অনুভবে তুমি পর্ব ৪
লিজা মনি
দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ চলে গেলো এর মাঝে ইয়ানা আর আহানের সম্পর্ক একটা চেনা জানার জায়গা নিলো। সাথে আয়াত, রায়ান, আরোরা, আকাশ, রুহান, সুমাইয়া তারাও একে অপরের সাথে পরিচিত হলো।ঐ দিনের পরে ইয়ানা ও আর আহান ওরফে অগ্নির দেওয়া কোনো চিঠি পায় নি।
কাল তাদের ভার্সিটির নবীন বরন অনুুষ্ঠান। তাই সবাই ভর্সিটি শেষে তারাতারি বাড়িতে ফিরে আসে।কাল অনেক সাজগুজ করবে। ছেলেরা কালো পাঞ্জাবি আর মেয়েরা কালো শাড়ি। ইয়ানা সকালে কিভাবে সাজবে? কিভাবে সাজলে ভালো লাগবে এইসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কারন কাল অনুষ্ঠান ফলে ভর্সিটিতে অনেক কাজ করতে হয়েছে। বিছানায় ঘা এলিয়ে দিতেই তলিয়ে যায় ঘুমের রাজ্যে। মধ্যরাতে মনে হলো ঘুমের মধ্যে কেউ গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছে। ইয়ানা ঘুমের মধ্যে খুব ভালোভাবেই অনুভব করতে পারছে। কিন্তু শরীর ক্লান্ত থাকায় চোখ মেলে তাকাতে পারছে না।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ও ঘুমের মধ্যে বুঝতে পারছে ওর পুরো মুখে কেউ গভীরভাবে স্পর্শ করছে।আবার হঠাৎ মনে হলো কেউ তাকে শক্তভাবে জড়িয়ে রেখেছে। ইয়ানার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেনো নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক কষ্টে ইয়ানা চোখ খুলে তাকায়। দ্রুত রুমের লাইট অন করল। কিন্তু না কোথাও কেউ নেই। তাহলে কি আমি ভুল বুঝলাম। কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে কেউ ছিল। হয়তো আমার মনের ভুল কোনো স্বপ্ন দেখছিলাম। হঠাৎ জানালা দিকে তাকাতে সে দেখতে পেলো বেলকনির দরজা খোলা। কিন্তু আমার যতটুকু মনে আছে আমি তো দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। তাহলে দরজা খুললো কে? তার মানে কেউ এসেছিল? কিন্তু কে?
ইয়ানা যখন আবারো ঘুমাতে যাবে তখন দেখতে পায় ঐদিনকার মত আবার ও আরেকটা চিঠি।সে ভয়ে ভয়ে চিঠিটা হাতে নিল।
চিঠিটাই লেখা ছিল,
“আমার অনুভবের রানী, আমার হৃদয় হরিণী, আমার ইনু সোনা খুব মনোযোগ দিয়ে একটি কথা শোনো,,,
আমি জানি কাল তোমাদের ভার্সিটির নবীনবরণ।তুমি অনুষ্ঠান শাড়ি পরার প্ল্যান করছো। কিন্তু তুমি কোনো শাড়ি পরবে না। আর না করবে কোনো সাজগোজ। সব সময় ভার্সিটিতে যেভাবে যাও ঠিক সেই ভাবেই যাবে। কারণ তোমার এই ঝলসে যাওয়া রুপ একমাত্র আমিই দেখব অন্য কেউ নয়। যা বলছি ঠিক তাই করবে । একদম আমার কথার অবাধ্য হবে না। আর হ্যাঁ এইসব কথা কাউকে বলবে না যদি বলো তাহলে তোমার ফ্যামিলি…..
শোনো মেয়ে অবাধ্যতা একদম আমার পছন্দ নয়। আমি চাইনা আমার ভয়ঙ্কর রূপ তোমার সামনে আনতে। তাই যা বলছি ঠিক তাই করবে। যদি আমার কথা অমান্য করো, আই সয়ার আমি কি করব আমি নিজে ও জানি না””
ইয়ানা চিঠিটা ভালো করে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখছিল আর কিছু লেখা আছে কিনা। কিন্তু না আর কোনো লেখা নেই।
ইয়ানা এবার কিছুটা মুখ ভেংচি দিয়ে বলে,,,
“”কেরে তুই তোর কথা শুনবো। বয়েই গেছে তোর কথা শুনতে। এক তো আমাকে প্রতিদিন এরকম চিঠি দিয়ে নাস্তানাবুদ করছিস। তার উপর আবার আমাকে ঠান্ডা মাথায় হুমকি দেয়। একবার শুধু তোর পরিচয়টা জানি যদি তোকে নাকের চুবানি না খাওয়াইছি তাহলে আমার নাম ও ইয়ানা বিনতে আসাদ নয় হুমহ”
এই বলে সে আবারো ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যায়।
সকালে কারো ফোনে ইয়ানার ঘুম ভাঙ্গে। দেখে তাদের বন্ধুদের অনেকগুলো ফোন। সে তাড়াতাড়ি করে একটা শাড়ি পরে সুন্দর করে সাজগোজ করে নেই। আচ্ছা আমি যে সেজেছি ছেলেটা যদি কিছু করে। আবার ভাবে,,,,,কি আর করবে হয়তো রাস্তার কোন বখাটে ছেলে।যদি সামনে কিছু করতে আসে আমিও বুঝিয়ে দিবো ইয়ানা কি জিনিস।
এইসব ভাবতে ভাবতে সে রুয়ানাকে ডাক দেই,,,
– কিরে রেডি হয়েছিস আর কতক্ষন লাগবে?
রুয়ানা উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে,,,
“এই তো আপু এসে গেছি”
আসলে রুয়ানাও ইয়ানার সাথে নবীনবরন অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। ইয়ানা রোয়ানাকে দেখে বলে,,,
“মাশাল্লাহ আমার বোনটাকে তো খুব সুন্দর লাগছে। যেনো কারোর নজর না পরে”
রুয়ানা এবার একটু লজ্জা নিয়ে বলে,,,,
–কি যে বলোনা আপু। তোমাকেও খুব সুন্দর লাগছে। তারা দুই বোন খুনসুটি করতে করতে মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে ভার্সিটিতে চলে যায়।
অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। বিশেষ অতিথির জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। আরোরা, ইয়ানা, আয়াত,সুমাইয়া আর তাদের সিনিয়র কিছু মেয়ে ফুলের তোরা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এবার ইয়ানা রেগে হলে উঠে,,,
“”কোন রাজ্যের কোন রাজা আসছে কে জানে। কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি এখনো ব্যাটার আসার নাম নেই। ওই সুমু আর কতক্ষণ দাঁড়াতে হবে”
ঠিক তখনই কালো রঙ্গের তিনটা গাড়ি এসে থামে। সামনের দুটি গাড়ি থেকে কয়েকজন বডিগার্ড নামে।
তারপর লাস্টে গাড়ি থেকে নামে একজন সুদর্শন যুবক। হাতে ব্ল্যাক ওয়াচ, ব্ল্যাক শার্ট, ব্ল্যাক সোজ, ডান হাতে ব্রেসলেট। চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা।
আয়াত : বোন ছেলেটার পিছন থেকে দেখেই তো ক্রাশ খেয়েছি। আল্লাহ চেহারাটা না জানি কি সুন্দর।
ঠিক তখনই আহান সামনে ফিরে তাকায়, ইয়ানার দেখে মনে হলো,,,
“আরে এই ছেলেটাকে তো সে চিনে। এত সেই ছেলেটা যেদিন রায়হানের সাথে বিশ্রী ঘটনা ঘটেছিল সেদিন ওই গোডাউনে ছেলেটার সাথে দেখা হয়েছিল। কিন্তু এই ছেলেটা সবসময় মাস্ক পরা থাকে কেনো?
ইয়ানা ভাবনার মাঝে শুনতে পায়,,,
আয়াত—– সুমু, আরু বেবি আমি যা দেখছি তোরাও কি তাই দেখছিস। ohh my good, আমার সপ্নের নায়ক অগ্নি চৌধুরি আমাদের ভর্সিটিতে। আমারা তাকে বরন করব। ইসস আর ভাবতে পারছি না।
আরু—- আমিতো ভেবেছিলাম কোনো ভুড়িওয়ালা হবে। এখন তো দেখি সবার ক্রাসবয় অগ্নি চৌধুরি।
ইয়ানা —–কে উনি তোরা কি তাদের আগের থেকে চিনিস নাকি। আর সুমু তোকে বলছিলাম না ওইদিন একটা মাস্ক পড়া ছেলে আমাকে সাহায্য করেছিলো এইটা সেই ছেলেটা।
সুমু —- কিহহ। সত্যি ইনু আর তুই ওনাকে চিনিস না ওনিতো মা….. আর বলতে পারল না তাদের কথোকপথনের মাঝেই আহান তাদের সামনে এসে দাড়ায়। আহান এতক্ষন ইয়ানাকে খেয়াল না করলেও এখন খেয়াল করে তাড়াতাড়ি নিজের সানগ্লাসটা পড়ে নেয় এবং ইয়ানার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।
দেখে ইয়ানা কালো শাড়ি পরেছে। হাতে রেশমি কাচের চুরি। প্রত্যেকবারের মত চোখে গাঢ় কাজল,লম্বা চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া।
তারা তাদের দেখতে থাকুক আসেন আগে আহান আর অগ্নির কথা খোলাসা করি।
( আহান আর অগ্নি একি ব্যক্তি কিন্তু তাদের কাজ ভিন্ন। মাফিয়া জগতে সবাই তাকে অগ্নি নামে চিনে। যার শির দারায় সবসময় আগুনের লাভা নিসৃত হয়।
[ লাভা বলতে অতিরিক্ত রাগকে বোঝাতে বলা হয়েছে] আর সাধারন লোকজন সবাই ব্যবসায়ী আহান। তবে যদি বলা হয় আহান আর অগ্নি একি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ তাহলে ভুল হবে আহান ও খুব রাগী।ওইযে বলে না মানুষ যতই রুপ পাল্টাক কিন্তু স্বভাবতো আর পল্টাতে পারে না। আসলে আহান চাই না সে মাফিয়া জগতের সম্পৃক্ত হওয়ার কারনে তাদের আপনজনের ক্ষতি হোক।)
আহান এইবার ইয়ানাকে দেখে চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। রাগে সে তরতর করে কাপতে থাকে। হাতের রগগুলো ফুলে উঠে। চোখগুলো লাল আকার ধারন করে। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে ইয়ানাকে শেষ করে দিতে। আহান রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে। তবে চোখে সানগ্লাস থাকায় সেটা কেউ লক্ষ্য করে নি।
অগ্নিকে কিছু সিনিয়র ভাইয়েরা মালা পড়িয়ে সম্মানের সাথে স্টেজে নিয়ে যায়। অগ্নি স্টেজে গিয়ে ঘম্ভীর হয়ে বসে থাকে। ইয়ানা তার কথার অবাধ্য হয়েছে ভাবতেই যেনো অগ্নির রাগ নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাচ্ছে। কত বড় কলিজা হলে অগ্নি চৌধুরির কথাকে অমান্য করে?
ইয়ানা তাদের হল্লা পার্টি মিলে একটা গ্রুপ ডান্স দিবে। ট্রায়াল রুমে এসে ইয়ানা বেঁকে বসে।
ইয়ানা — আমি ডান্স করব না তরা কর গিয়ে? সবার সামনে ডান্স করতে কেমন জানি অস্বস্থি হচ্ছে।
আয়াত — সবকিছু শেষ পর্যায়ে এসে বলছিস ডান্স করবি না এটা কেমন কথা ইনু? তর নাচতে হবে মানে হবে। আরে একটা দিন ওইত।
ইয়ানা — ওকে ঠিক আছে। আমি আমার স্টেপটা করে চলে আসব।
সুমু — ওকে ঠিক আছে। কিন্তু আমার তো বিশ্বাস ওই হচ্ছে না সয়ং অগ্নি চৌধুরি আমাদের ভার্সিটিতে।
রায়ান — একজন গ্যাং স্টার মাফিয়ার দিকে তাকিয়ে ক্রাস খাস তদের লজ্জা করে না।
আরু— উনি মাফিয়া হলেও সবার থেকে আলাদা। উনি অন্য মাফিয়াদের মত খারাপ না।
আকাশ —- আরে ওরা বড়লোক বাবার বখাটে ছেলে। সবার সামনে ভালো সাজার মুখোশ পরে থাকে । আর তাছাড়া উনি তো একজন মাফিয়া লিডার। উনার কাছে কোনো কিছু ভালো প্রত্যাশা করায় বেকার।
ইয়ানা—- কিহহ। উনি একজন মাফিয়া।
আয়াত —- কেনো তুই জানিস না। উনাকেতো সবাই চিনে আবার সবাই যমের মতো ভয় পায়। ওনি অন্যায়কে কখনো পশ্রয় দেয় না। ওনি খুব সাংঘাতিক। উনি ওনার সত্রুদের মৃত্যুর চেয়ে ভয়ংকর মৃত্যু দেয়। তাইতো সবার ক্রাশ হলে কি হবে কারোর এত সাহস হয় নি তাকে প্রপোস করার।
রায়ান —-হুম। আমি শুনেছি ওনি যদি কাওকে খুন করে তাহলে তার অস্তিত্বের খবর ও কেউ পায় না।
ইয়ানা –মাফিয়া হোক আর যাই হোক বডি স্টাইল একদম মাশ আল্লাহ।
ইয়ানার দিকে সবাই অবাক হয়ে তাকায়। কারন ইয়ানা এত সহজে কারোর প্রশংসা করে নআ।
ইয়ানা —কি হলো তোরা সবাই আমার দিকে এইবাবে তাকিয়ে আছিস কেনো আমি কি এলিয়েন?
রুহান —না তুই এলিয়েন হতে যাবি কেনো তুইতো এলিয়েনের বউ।
ইয়ানা —-রুহাইন্নার বাচ্ছা কি বললি তুই?
আকাশ —–এই থাম তোরা তারাতারি রেডি হ।
তারা যার যার মতো একটু রিহার্সেল করে স্টজের এইখানে চলে যায়। গিয়ে দেখে আহান কিছু বক্তব্য পেশ করছে।
তারা একটা জায়গায় গিয়ে বসে পরে।
রুয়ানা —-আপু এই মাফিয়াটাতো সত্যিই অনেক স্মার্ট। তার পাসে বসা ছেলেটা ও অনেক সুন্দর। কোনটা রেখে কোনটার উপর ক্রাশ খায়।
ইয়ানা —–তাতো বুঝলাম রুই মাছ কিন্তু এই মাফিয়া এখনো মাস্ক আর সানগ্লাস পড়ে আছে কেনো? কানা নাকি?
আরোরা—-আরে না উনি কানা নয়।উনি সবসময় এইভাবেই থাকেন। আসলে উনার চেহারা সচারাচর কেউ দেখেনি। তবে শুনেছি উনি নাকি খুব সন্দর একদম মন কেড়ে নেওয়ার মত চেহারা।
আকাশ —-বাহহ উনার ব্যাপারেতো অনেক জানিস দেখছি।
আরুরা —-আসলে ওনার সকল ইন্টারভিউ আমি দেখেছি তাই।
রুহান —–হুম আরেক বেডারেতো দেখবিই। তোদের কাজ ওইতো হলো ছেলেদের দেখে এইসব কুখাদ্য খাওয়া।
রুয়ানা —-একদম কুখাদ্য বলবে না রুহান ভাইয়া এইটা আমাদের জন্মগত অধিকার।
তাদের কথার মাঝখানেই প্রিন্সিপাল স্যার তাদের ডাক দেয়। তারা ও স্টেজে চলে যায়।
আহান এতখন মোবাইল স্ক্রল করছিল ইয়ানার নাম শুনেই ইয়ানার দিকে তাকায় দেখে সে স্টেজে উঠে একটা ছেলের সাথে ফিসফিসিয়ে কথা বলছে।যা দেখে চোয়াল শক্ত হয়ে আসে রাগে হিতাহিত ঙ্গান হারিয়ে ফেলে। কোনো একটা কাজের কথা বলে স্টইজ নেমে চলে আসে।
ইয়ানা তারাও নাচ শেষ করে গিয়ে যে যার জায়গায় গিয়ে বসে।
রুহান —- কি রুইমাছ নাচ কেমন হলো?
রুয়ানা—– আমাকে একদম রুইমাছ বলবে না ভাইয়া। তবে তোমাদের নাচ খুব সুন্দ হয়েছে।
তাদের কথার মাঝে স্কুলের পিয়ন এসে বলে,,,
“ইয়ানা জাফর স্যার তোমাকে ডাকছে”
ইয়ানা: কেনো ভাইয়া?
অনুভবে তুমি পর্ব ৩
পিয়ন—–সেটা আমি কি করে বলবো তুমি স্যারকে গিয়ে জিঙ্গাসা করো।
“হুম “বলে ইয়ানা চলে যায়। জাফর স্যারের রুমে ডুকতে যাবে এমন সময় কেও একজন ইয়ানার হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে একটা রুমে নিয়ে ফেলে দেয়। ইয়ানা টাল সামলাতে না পেরে টেবিলের উপর গিয়ে বারি খায়। সাথে সাথে মাথা ফেটে তরল রক্ত বের হওয়া শুরু করে। ইয়ানা মাথায় হাত দিয়ে উঠতে যাবে এমন সময়…….