প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৪
Zannat Xhowdury
রোজা আবারো কামর দিতেই
আহ ! এইটা কি করলে তুমি পাগল হয়েছ ? নীড়ের ধমক দিয়ে বলা কথাগুলোয় রোজা বাচ্চাদের ঠোঁট উলটে দাঁড়িয়ে রইল ।
এই মেয়ে এই দেখি তোর দাঁত?
কথাটা বলতে দেরি রোজার দাঁত বের করে দেখাতে দেরি হয় নাই ।এই চোর মামা দেখেন তো সুন্দর না আমার দাঁত গুলো ।নিয়ম করে দুইবেলা ব্রাশ করি বুঝলেন তাও আবার পেপসুডেন্ট দিয়ে হু।
কি বললে তুমি আমাকে চোর মামা । ‘ লাইক সিরিয়াসলি ‘ আমাকে দেখতে তোমার চোরের মতো লাগে ? সাথে আবার মামা , থাপ্পরাইয়া তোর গালে মানচিত্র বানায় দিবো বেয়াদব মেয়ে ।
এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ । নীড়ে কথা শুনে সাথে সাথে কান্না জুড়ে দিলো রোজা
এতে নীড় ভেবাচেকা খেয়ে আবার নিজেকে সামলে নিলো । রোজার যে এই চঞ্চল স্বভাবের সে ভাবতেও পারেনি কতগুলো বছর পর দেখছে সে তাকে ।
এই মেয়ে এই কাঁদছো কেন চুপ করো ।
এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ ।
আবার কান্না করে এই মেয়ে ,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তখন থেকে কি মেয়ে মেয়ে করছেন আমার নাম রোজা চৌধুরী । বুঝলেন রোজা চৌধুরী।
নীড় এবার ঠোঁট চেপে হাসলো
রোজা কান্না থামিয়ে আবারো বলতে শুরু করলো , ওমা আমি তো খেয়াল করিনাই আপনি বাঙ্গালী ভাষায় কথা বলছেন তবে আপনাকে পাক্কা ইংরেজের ফেলে যাওয়া বংশধরের মতোই লাগে
এই মেয়ে এই কি বললে তুমি ?
ইংরেজের ফেলে যাওয়া বংশধর । রোজার সোজা উত্তর।
নিজে কি খরগোশের বাচ্চা একটা ।
আচ্ছা আপনি বাসায় কিভাবে ঢুকলেন ?
আমার বাসায় আমি
কিভাবো ঢুকবো তাও তোমাকে বলতে হবে ।
এ্যাঁহ বললেই হলো আপনার বাসা এখানে তো আমার ভাই ….
রোজার কথা শেষ করার আগেই নির্ণয় বললো তোর ভাইকে আমি থাকতে দিয়েছি বুঝলি।
তাই বলেন আচ্ছা জানেন তো আমি আগেই বুঝেছিলাম আপনি চোর হতেই পারেন না আপানকে একদম চোর চোর লাগে না । , আচ্ছা আপনি কখন বাসায় আসলেন নাকি আগে থেকেই ছিলেন ?
এই মেয়ে একদম চুপ নাহলে তোকে মেরে ফ্রিজে রেখে দেব বাচাল মেয়ে । আর একটা কথা বলবি তো ,,,, কথাটা বলে রোজার দিকে তাকাতে নির্ণয় খেয়াল করলো রোজা বাচ্চাদের মতো ঠোঁটের উপর আঙ্গুল রেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে । নির্ণয় আর বেশি কিছু না বলে সোজা কিচেনের দিকে হাটা শুরু করলো । রোজা যদিও নিচে পানি খেতে নেমেছিল তবে বকবক করতে করতে তার ভীষণ খিদে পেয়েছে তাই সেও নির্ণয়ের পিছন পিছন যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে ,,
একদম এইদিকে আসবিনা মেয়ে সোজা গিয়ে টেবিলে বস ।একটুও যেন নাড়ানড়ি না হয় ।
রোজা ও বাধ্য মেয়ের মতো টেবিলে গিয়ে বসে পানি খেতে লাগলো ।
বাব্বাহ বড্ড পিপাসা পেয়েছিলো ।
১০মিনিট পর……
দুই প্লেট পাস্তা হাতে টেবিলের কাছে এলো নির্ণয় ।
পাস্তা ” আই লাইক পাস্তা ” বলেই নির্ণয়ের সামনে থেকে এক প্লেট পাস্তা নিয়ে খেতে শুরু করলো রোজা
Wow yummy 🤤 আপনি রান্না ও পারেন
না বাইরে থেকে আনা , রোজা উত্তর শুনলো কি শুনেনি কে জানে সে তো খাওয়াতে ব্যস্ত । নির্ণয় খেয়াল করলো রোজা বাচ্চাদের মতো পুরো মুখে খাবার লাগিয়ে খাচ্ছে ।এতে তার হাসি পেলেও সে হাসি চেপে রোজাকে ধমকের সুরে বললো
এই মেয়ে এই এইভাবে কে খায় । এত বড়ো হয়েছো এখনো খাওয়া শিখলে না । পুরো মুখে লাগিয়ে কে খায় শুনি
রোজা এবার অসহায় মুখ করে বললো আমি তো বাংলাদেশে থাকতে আমাকে মাম্মা না হলে ভাইয়া খাইয়ে দিত । তাই একটু সমস্যা হচ্ছে
নির্ণয় এবার রোজার কথা শুনে মনে মনে বললো আর কবে বড় হবি তুই রোজ ।। তুই বড় হতে হতে আমি বুড়ো হয়ে যাবো তো । নিজেকেই সামলাতে শিখলি না এখনো আমাকে কিভাবে সামলাবি ।
এবার সে টেবিলে উপর থেকে একটি টিস্যু নিয়ে নিজের চেয়ার টা একটু টেনে রোজার সামনে বসলো তারপর তার মুখ মুছিয়ে দিয়ে পাস্তার প্লেট টা রোজার সামনে থেকে নিজের হাতে তুলে নিলো
নেও হা করো , রোজা কিছু বলতে যাবে তার আগেই
কথা বলতে বলি নাই হা করতে বলছি । রোজা আর কিছু বললো না খেতে শুরু করলো খাওয়া শেষে রোজার হাতে এক গ্লাস পানি দিয়ে রোজার খাওয়া প্লেটে নিজের খাবার গুলো ঢেলে নিয়ে খেতে শুরু করলো নির্ণয় ।
এতে রোজা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো যুবকটির দিকে ।
ফুল স্লিপের সাদা টি – শার্ট সাথে ব্লাক ট্রাউজার , হলুদে ফর্সা গায়ের রঙ , চোখ জোড়া হালকা নীল , চেহারায় বিদেশি বিদেশি ভাব , চোখ ছুঁই ছুঁই চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে রোজার খুব ইচ্ছে হলো চুল গুলো ছুঁয়ে দিতে তবে কারো কথায় হকচকিয়ে উঠলো রোজা
এইভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার নজর লেগে যাবে বুঝলে মেয়ে যদিও জানি আমি সুন্দর তবুও এভাবে তাকিয়ে থেকো না ।
সুন্দর না ছাই বলেই মুখ বাকালো রোজা ।
কি বলতে চাইছো তুমি আমি সুন্দর না , দ্যা গ্রেরেট নির্ণয় চৌধুরীর যার জন্য মেয়েরা পাগল সে সুন্দর না ।
কি নাম বললেন …….
নিজের দরকারি কিছু জিনিস কেনার জন্য শপিং মলে এসেছিলো রিধিমা । কেনা শেষ করে বাসায় যাবার জন্য বের হতে তার সামনে একটি ব্লাক কালার বিএমডব্লিউ এসে দাড়ালো । গাড়ির দিকে তাকাতেই খেয়াল করলো ফরমাল গেটাপে সাথে চশমা দেওয়া একটা ছেলে নেমে তার দিকেই আসছে
একি আপনি! আপনি এখানে কি করছেন ?
কেন মিস আসতে পারিনা বুঝি ?
না আ…আ আসলে তা বলতে চাইনি আমি ?
তো কি বলতে চেয়েছেন শুনি ? কথাটি বলেই বাঁকা হেসে রিধিমা দিকেই ঝুঁকে গেলো যুবকটি ।
এটি কাছে আসছেন কেন ? দে দে দেখুন … মিস্টার আয়ান দূরে থাকুন
রিধিমার অবস্থা দেখে উচ্চশব্দে হেসে উঠলো আয়ান ।কোনমতে হাসি থামিয়ে বললো আসলে এইদিকে একটু কাজে এসেছিলাম ,,কাজ শেষে তাই চলে যাচ্ছিলাম পথে আপনার সাথে দেখা ,, আর আমাকে ভয় পাবার কিছু নেই খেয়ে ফেলবো না আপনাকে । বলে আবারো হাসতে শুরু করলো
রিধিমা এবার বেশ লজ্জাই পেলো ।
তা আপনি এখানে কেনো
আসলে আমার কিছু জিনিস কেনার ছিলো তাই এসেছিলাম এখন বাসায় ফিরছি ।
তো মিস ,, যাহ্ নামটাই ভুলে গেছি
রিধিমা চৌধুরী।
মিস চৌধুরী আমিও ওই দিকেই যাচ্ছিলাম আপনি চাইলে আপনাকে পৌঁছে দিতে পাড়ি ।
তার দরকার হবেনা মিস্টার আয়ান ।
ভয় পাচ্ছেন বুঝি আমাকে যদি আপনাকে ….
আয়ান কথা না শেষ করার আগেই গাড়িতে গিয়ে বসলো রিধিমা । আয়ান তা দেখে মুসকি হেসে। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসলো ।
প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৩
এই নামটা তো আমি চৌধুরী বাড়িতে অনেক বার শুনেছি তার মানে ….
পিছন থেকে কারো ডাকে ঘুরে তাকালো রোজা দেখলো রিয়ান কিছু চকলেট হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
ভাইকে দেখেই দৌড়ে তার কাছে গেলো রোজা।
ভাইয়া কোথায় গিয়েছিলে তুমি ?
রিয়ান বোনর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো এই নে তোর চকলেট আর রিধিমা কই ?
আপু বাইরে গেছে জানো একা একা কত খারাপ লাগছিল আমার
ওওও তাই বুঝি তুমি একা ছিলে। তাহলে আমার কানে পোকা কে মারলো
কারো কথায় সামনে তাকালো রিয়ান ……