অনুভবে তুমি পর্ব ১৩

অনুভবে তুমি পর্ব ১৩
লিজা মনি

তার ভাবনা প্রহর ঘনেই তার সামনে কালো রঙ্গের একটা গাড়ি থামে………
ইয়ানা যেনো নিজের প্রান ফিরে পায় একটা গাড়ির সন্ধান পেয়ে।কিন্তু পর মুহূর্তেই গাড়ির মালিককে দেখে অস্বস্তি আর ভয়ে নাক মুখ কুচকে ফেলে। আজ এই ছেলেগুলোর জীবন টাটা বাই বাই এইটুকু জানে,,,,,সাথে ওর কি করবে আল্লাহ ওই যানে,,,,,
কিন্তু আহানের দৃষ্টি ছিলো একদম শান্ত।
,,,, এইভাবে সং এর মতো দাঁড়িয়ে না থেকে গাড়িতে উঠো। নাকি ছেলেদের রুপ দেখানো এখনো শেষ হয় নি।
আহানের কথা শুনে ইয়ানা রেগে যায়। সে কি এখানে ছেলেদের রুপ দেখানোর জন্য দাঁড়িয়েছে নাকি। গাড়ি পাচ্ছিলো না তাই দাঁড়িয়ে ছিলো। উঠবো না আমি ওনার গাড়িতে। কি পেয়েছেনটা কি ওনি যা খুশি বলেতে পারবে আর আমার আত্নসম্মান নেই।

ইয়ানার কোনো রেসপন্স না পেয়ে আহান একটু হালকা ধমক দিয়ে দলে,,,,, কি বলেছি কথা কানে যায় না। গাড়িতে এসে উঠছোনা কেনো। আমার অনেক কাজ আছে তোমার জন্য সারাদিন বসে থাকলে তো আর হবে না। তাই বলছি চুপচাপ চলে এসো।
ইয়ানার এইবার প্রচুর রাগ হয় সাথে অভিমান ও। সে কি বলেছিলো নাকি ওকে এসে নিয়ে যেতে আজব। নিজে থেকে এসে তাকেই কথা শুনাচ্ছে,,, যাব না আমি দেখি কিভাবে নিয়ে যায়।
আহান নিজের রাগটাকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রনে রেখে শান্ত গলায় বলে,,,
“দেখো ইনু ভালভাবে বলছি চুপচাপ চলে এসো। আমি যদি একবার গাড়ি থেকে বের হয় সেটা তোমার জন্য ভালো হবে না”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আহান শেষের কথাটা একটু জোরেই বলেছে,,,, তাতে ও ইয়ানার কোনো হেলদুল নেই,,,
আহান একপলক ছেলেগোলোর দিকে তাকিয়ে ইয়ানার দিকে তাকায়,,, রাগে তার চোখগুলো লাল বর্ণ ধারন করেছ,, হাতের রগগুলো ভেসে উঠছে। এই মেয়েকে আর বাচিয়ে রাখা যাবে না। অগ্নি চৌধুরির অবাধ্য হওয়া। এই মেয়েকে হারে হারে বুঝিয়ে দিবো অগ্নি চৌধুরি কি জিনিস।
আহান গাড়ি থেকে নেমে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে হাত চেপে ধরে।
ইয়ানা ব্যথায় কুকরিয়ে উঠে,,,, আহানের চোখের দিকে তাকাতেই ওর আত্না কেপে উঠে। একটা শুকনো ঢোক গিলে মনে মনে ভাবে,,, এইভাবে এমন একটা জায়গায় ঘুমন্ত সিংহকে না জাগালে ও পারতি ইয়ানা।
ছেলেগুলো এতক্ষন ইয়ানাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলো ,,,
তাদের মধ্যে একজন এইবার বলে উঠে,,

— ওহে ফোল্টুসি শুধু নিজের নগরকে খুশি করলেই হবে।
আমাদের দিকে ও একবার তাকাও।অনেক জন আছি আমরা,,, আজ রাতে চলো একদম খুশিতে বরিয়ে দিবো।
তাদের মধ্যে আরেকজন বলে উঠে,,
— তোমার মতো এমন হট সেক্সি মেয়েইতো চাই আমরা।শুধু চলো আমাদের সাথে একবার। আজ রাতটা খুব এনজয় করবো।বলেই সবাই বিশ্রিভাবে হাসা শুরু করে।
ইয়ানার মনে হচ্ছিলো নিজের জীবন নিজে দিয়ে দিতে। ছিহহ কত অসভ্যকথাবার্তা। তার ভাবনার ছেদ ঘটে একজনের কথা শুনে,,,
— তোদের কেনো মনে হলো ও হট সেক্সি,, বিশ্বাস কর একদমই সেক্সি নয়। আমার কথা বিশ্বাস না হলে তোরা টেস্ট করে দেখতে পারিস। রাতে তোদের কাছে পাঠিয়ে দিবো।এমনিতে এই মেয়ে আমার কথার অবাধ্য হয়। ওকে আমার কাছে রেখে কি লাভ বলতো।
ছেলেগুলোর কানে আহানের কথা প্রবেশ করেছে কি না জানা নেই,,,, তবে একেকজনের কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে। কারন সয়ং অগ্নি চৌধুরি তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

— স.. স.. রি স্যার আমাদের ক্ষমা করে দিন। আমাদের অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। আমরা আপনাকে ভালোভাবে না দেখেই আপনার জিএফ কে নিয়ে কথা বলেছি।
আহান একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,
— তোদের কেনো মনে হলো যে এই মেয়ে অগ্নি চৌধুরির জিএফ। তোদের মতো আমি ওকে হট সেক্সি ভেবেছিলাম। পরে দেখি আমার ভাবনা ভুল।কিন্তু তোদের যেহেতু মনে ধরেছে আজ রাতে তোদের কাছে ওকে দিয়ে দিবো। যদি রাতের অন্ধকার দেখতে পাস।
আহান শেষের কথাটা রেগে দাতে দাত চেপে বলেছে।
তবে ইয়ানা বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে আহানের দিকে,,, লজ্জায় আর ঘৃনা সারা শরির ঘিনঘিন করছে। আর এইদিকে তুমুল বেগে বর্ষন শুরু হয়ে গেছে।ইয়ানা এই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে পা বাড়াতেই আহান পুনরায় হাতটি চেপে ধরে,,, তবে এইবার আগের তুলনায় একটু বেশি।

ইয়ানা হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,,,, ছারুন আমায় অসভ্য লোক। একটা মেয়েকে নিয়ে কি ভাষা দিয়ে কথা বলতে হয় এইটুকু জানেন না। আর আপনার মতো মাফিয়া থেকে কি আশা করা যায়।
কে শুনে কার কথা এই বৃষ্টির মধ্যে একপ্রকার টেনে নিয়ে গিয়ে গাড়ির ভিতর ছুরে ফেলে।ইয়ানা হালকা ব্যথা পেয়ে আহহ করে উঠে। কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইয়ানার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায় ,,,, সমস্ত ছটফট এক নিমিষেই কমে যায়। আহান পরম আয়েশে ইয়ানার ঠোট দুটো আকড়ে ধরে,,,, চুমু থেকে আস্তে আস্তে কামড়ে পরিনিত হতে থাকে।যেনো সমস্ত রাগ এই ঠোটের উপর ঝারছে।ইয়ানা ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে আহান থেকে নিজেকে ছাড়াতে ছটফট শুরু করে। আহান ইয়ানার চোখ দুটি নিজের হাত দ্বারা চেপে রেখেছে। আহান থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য অধৈর্য হয়ে পড়েছে।কিন্তু আহানকে এক চুল ও নরাতে পারেনি। এইভাবে প্রায় দশ মিনিট পর আহান ছেরে দিয়ে স্টিয়ারিং মাথা রেখে জোরে জোরে শ্বাস নেয়।
আর এইদিকে ইয়ানার জীবন যায় যায় অবস্থা,,, যেনো সিংহের খাচা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
ঠোট কেটে রক্ত বের হচ্ছে। ইয়ানা নিজের ঠোটে রক্ত দেখতে পেয়ে লজ্জাকে একসাইটে রেখে বে বে করে কান্না শুরু করে দেয়😭😭😭।

আহান স্টিয়ারিং থেকে মাথা তুলে ধমক দিয়ে বলে,,
,, এইভাবে বাচ্চাদের মতো কান্না করছো কেনো। কান্না থামাও বিশ্রি লাগে দেখতে।
ইয়ানা এইবার রাগে তেতে উঠে বলে,,,
— কেনো কান্না করছি আপনি জানেন না। কোনো মেয়ের অনুমতি ছাড়া তাকে স্পর্শ করা ঠিক না এইটা কি আপনার জানা নেই । সাহস কি করে হলো আমাকে চুমু খাওয়ার। আমার ঠোট কি আপনার বাপের সম্পত্তি বার বার এসে হামলা করেন,, অসভ্য পুরুষ। রাগের বশে ইয়ানা কি বলছে নিজেরেই জানা নেই।
আহান গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলে,,,,
— যেখানে পুরু মানুষটাই আমার সেখানে অনুমতি নেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। বলেছিলাম কথার অবাধ্য না হতে,,, শাস্তি হিসেবে চুমু খেয়েছি তাতে আমার কি দোষ। এখনো যে জিবিত আছো তার সুক্রিয়া করো। আমার সামনে এখন যেইভাবে এখন বসে আছো তারপর কিছু করলে অসভ্য আবার আমাকেই বলবে,, বাহহ ইন্টারেস্টিং ব্যপার।

ইয়ানা আহানের কথা শুনে নিজের দিকে তাকায়,,,
দেখে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারনে বেবি পিংক কালারের জামাটা শরিরের সাথে একেবারে লেপ্টে আছে। শরিরের প্রত্যেকটা ভাজ বুঝা যাচ্ছে। ইয়ানা এইবার লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেলে। উড়না ধারা যথাসম্ভব নিজেকে আবৃত শুরু করে। আহান ইয়ানার এই অবস্থা দেখে আড়ালে একটা মুচকি হাসি দিয়ে গাড়িতে রাখা এক্সট্রা ব্লেজার ইয়ানার গায়ে জড়িয়ে দেয়। দেখতে দেখতে ইয়ানাদের বাসার সামনে চলে আসে । ইয়ানা গাড়ি থেকে নেমে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আহান এই জায়গা থেকে প্রস্থান করে।
ইয়ানা ভেবলার মতো দাঁড়িয়ে থেকে বির বির করে বলে,,,,
আরে বাবা তোকে কি থেন্ক ইউ বলতাম নাকি আজব।আমিতো বলতাম যাতে আর কখনো গাড়ি নিয়ে না আসে,,, আর ব্লেজারটা ফেরত দিতাম। আজ আপনি আমায় কম অপমানিত করেন নি মিষ্টার অগ্নি চৌধুরি আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই আমি অন্যের লিখিত দলিল হয়ে যাবো।

আহানের গাড়ি গিয়ে থামে সেই অন্ধকার টর্চারসেলে।
ভিতরে প্রবেশ করেই একটা বাকা হাসি দিয়ে নিচে পরে থাকা ছেলেগুলোর সামনে গিয়ে বসে।
আহান এইবার আরিফের দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে,,
— আরিফ আমার সৎ ভাইটা কোথায় বলতো ওদের সাথে একটু পরিচয় করা। কি জানিস তো ওরা ও আমার প্রেয়সীকে এক রাতের জন্য চেয়েছিলো।যাতো আমার ভাইটাকে একটু নিয়ে আয়।
আরিফ ভয়ে ভয়ে রায়হানকে বন্ধ রুম থেকে বের করে নিয়ে আসে। রায়হানকে দেখে একেকজনের আত্না কেপে উঠে। তার এক হাত নেই ঠুট কেটে রক্ত বের হচ্ছে, শরিরে কোনো জামা নেই শুধু একটা পেন্ট পড়া,,, পুরো শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে,, হাতে কাটা জায়গায় পচন ধরে গেছে। নিচে পড়ে থাকা ছেলেগুলো রায়হানের অবস্থা দেখে হাউমাউ কারে কান্না শুরু করে।

আহান রায়হানের দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে,,,, কি ভাই কেমন লাগছে আমার খাতির যত্ন।
রায়ান নিভু নিভু চোখে আহানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,
— আমাকে যা করার করে নে যেইদিন আমার বাপ জানতে পারবে তার ছেলের মৃত্যুর খবর ওই দিন তোর দিন ও শেষ অগ্নি চৌধুরি। আর তোর প্রেমিকার যেই অর্ধ নগ্ন ভিডিও আছে ওইটা ও ভাইরাল হবে,,,,,বলেই জোরে জোরে হাসতে থাকে। হাসির মধ্যেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। কারন আহান রায়হানের বুকে পর পর চারটা গুলি করে।আহান রায়হানের দিকে রেগে তাকিয়ে বলে,,, ভেবেছিলাম তোকে কয়েকদিন পর মারবো,,, কিন্তু সেটা আর হলো না।
আহান এইবার একটা ছেলেকে ডাক দিয়ে বলে,,,,,,

“”এই নর্দমার কীট কে নিয়ে এসিডে ডুবিয়ে রাখ যতক্ষন না পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন হয়””
আরিফ এইবার ভয়ে ভয়ে বলে,,,, ভাইএইটা কি বেশি প্রয়োজন।
আহান এইবার আরিফের দিকে ঘার কাত করে তাকায়। আরিফ আহানের তাকানো দেখে ভয় পেয়ে যায়।
— সরি ভাই।
এতক্ষন পর্যন্ত ছেলেগুলো এই দৃশ্য দেখতে না পেরে অঙ্গান হয়ে পরে।
আহান ছেলেগুলোর এই অবস্থা দেখে মুখে ‘ চ’ শব্দ করে একজনকে ডাক দিয়ে বলে,,,, এদের ঙ্গান ফিরা তারাতারি।
আহানের কথা অনোযায়ী ছেলেগুলোর ঙ্গান ফিরানো হয়। ছেলেগুলোর ঙ্গান ফেরার সাথে সাথে আহানের পা জরিয়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেয়।
— স্যার প্লিজ আমাদের কিছু করবে না না। আমরা জানতাম না ও আপানার গার্লফ্রেন্ড ছিলো। আমাদের ক্ষমা করে দিন প্লিজ।

আহান ছেলেগুলোকে নিজের কাছ থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,,,,কি করে ছেরে দেয় বলতো। যার দিকে তাকাতে আমার নিজের আত্না কেপে উঠে সেখানো তোরা কিভাবে তাকিয়ে ছিলি। যার সাথে কথা বলতে গেলে আমায় হাজার বার ভাবতে হয় কোন কথাটা ওর খারাপ লাগবে সেখানে তোরা ওকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিস। যাকে আজ পর্যন্ত আমি ভালোভাবে ছুইনি পর্যন্ত সেখানে তোরা এক রাতের জন্য চেয়ে নিলি।
আর কয়েকদিন আগে একটা মেয়ে রেপ হয়েছে না,,, রেপটা তো তরাই করেছিলি। খুব শখ না নিজেদের পুরুসত্ব নিয়ে যদি এইটাই না থাকে কেমন হবে বলতো।
সবাই ভয়ে তটস্ত হয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কারোর কিছু বলার সাহস নেই। একমাত্র আহান ওই জানে সে কি খেলাই মেতে উঠেছে।
আহান এইবার আরিফকে ডাক দিয়ে বলে,,,,,,, আরিফ আমার প্লায়ার্স আর ছুরিটা দেতো।
আরিফ ভয়ে ভয়ে বলে,,,,, জি ভাই দিচ্ছি।
একটু পর আহান সবাইকে বলে,,, সবাই নিজের চোখ বন্ধ করতে পারো। খোলা রাখলে আমার কোনো সমস্যা নেই।

— ছেলেগুলোর হাজার ও আকুতি আহানের মন গলাতে পারেনি। পর পর তিনজনের ওই গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে।ছেলেগুলো চিৎকার দেওয়ার ও সমায় পাইনি তার আগেই মুখের ভিতর শুট করে দেয়।
আহান নিজের হাত টিস্যু পেপার দিয়ে মুছতে মুছতে বলে,,, এইগুলো পরিষ্কার কর তারাতারি। আর লাশগুলোর ব্যবস্থা কর।
তারপর বেরিয়ে আসে অন্ধকার সেই টর্চার সেল থেকে। হয়ে যায় অগ্নি চৌধুরি থেকে আহান চৌধুরি।

আহান পাসওয়ার্ড চেপে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। গিয়ে দেখে রায়ান সোফায় মাথা নিচু করে কিছু একটা ভাবছে।
আহান কিছু একটা ভেবে রায়ানকে ডাক দেয়,,, কিন্তু রায়ানের কোনো রেসপন্স নেই। আহান এইবার একটু মৃদু ধাক্কা দেয় ফলে রায়ান হকচকিয়ে উঠে।
রায়ানের চোখ দুটি কেমন লাল হয়ে আছে,,,, আহান জানে অতিরিক্ত প্রেসার নিলে ওর এইরকম হয়। আহান কপাল কুচকে রায়ানকে জিজ্ঞাসা করে,, ,,,,,
— কি হয়েছে বলতো তোর ? ইদানিং দেখি অন্যমনস্ক হয়ে বসে থাকিস।
রায়ান একটা হাসি দিয়ে বলে,,,, আরে ভাই অফিসের একটু চাপ ছিলো এই আরকি। তেমন কিছু হয় নি বলেই রুমের দিকে হাটা শুরু করে।
“” ভালোবাসিস তুই সুমাইয়াকে””””

রায়ানের পা থমকে যায়। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে। কি বলবে তার ভাই সমতুল্য বন্ধু কে।
“”সেকি আদও ভালোভাসে? হ্যা ভালোবাসে ও সুমুকে।কখন কিভাবে ভালোবেসে ফেলেছে সে নিজে ও জানে না।””
রায়ানকে এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মুখে ” চ ” শব্দ উচ্চারন করে বলে,,,,, তুই এইরকম মেয়েদের মতো হলি কবে বলতো। সামান্য একটা প্রশ্ন করেছি তাতে কোন ভাবনার মাঝে ডুকে পরেছিস তুই।
রায়ান আহানের কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,,, তোর কাছে এইটা সামান্য হতে পারে বাট আমার কাছে ওনেক। ভালোবেসেছি কিনা তা জানি না তবে ওকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও আমি থাকতে পারবো না। বাই দা ওয়ে,,,, কোথায় ছিলি বলতো আজ তুই। কোথায় গিয়েছিলি আবার কাকে মেরেছিস।
আহান নিজের শরীর জারতে জারতে ভাবলিশহীন ভাবে উত্তর দেয়,,,,,,

“” তুই কি আমার বিয়ে করা বউ এইভাবে যে জেরা করছিস। আর যদি গোয়েন্দা হয়ে ও থাকিস তাহলে সেটা অন্যদের জন্য আমার জন্য না। তাই আমার উপর থেকে গোয়েন্দাগিরি বাদ দে।
রায়ান প্রথমদিকে একটু ভেবাচেকা খেলেও সন্দেহের বশে আবার প্রশ্ন করে,,,,,বাজে কথা বন্ধ কর আর বল কি করেছিস।
আহানের সোজাসাপ্টা উত্তর,,,,,,,, রায়হানকে শেষ করেছি আর তিনটা ছেলেকে,,,, বলেই উপরে চলে যায়। তারপর আবার কিছু একটা ভেবে পিছন দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,
“”এত ভেবে লাভ নেই। তুই জানিস বিনা কারনে আমি কাউকে মারি না। আর সময় থাকতে ভালোবাসা ধরে রাখ। আবার দেখিস অন্য কেউ না নিয়ে চলে যায়””

অনুভবে তুমি পর্ব ১২

হুমায়ুন স্যারের একটা লেখা পড়েছিলাম…
লেখাটা ছিল এরকম,,
যদি তোমার কাউকে মনে পড়ে তাহলে কল করো, যদি কাউকে তোমার দেখাতে ইচ্ছে হয় তাহলে জানিয়ে দাও,, যদি তুমি কাউকে ভালবাসো তাহলে তুমি তাকে বলে দাও।
কারণ তুমি পাঁচ মিনিট বাঁচ*বে কিনা তার কোন গ্যারান্টি নাই, অপূর্ণতা নিয়ে কখনো পৃথিবী ছে*ড়ো না।

অনুভবে তুমি পর্ব ১৪