প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২০
Zannat Xhowdury
রিধি , এই রিধি ,
দুই রুমের পরের রুমেই ঘুম বুদ হয়ে একে ওপরের শরীরের উপর পা তুলে ঘুমোচ্ছে রিধিমা আর তৃধা ।
রিয়ানে গলা ফাটানো ডাকে ঘুম কিছুটা হালকা হয়ে এলো তৃধার তবে সেদিকে পাত্তা না দিয়েই আবারো যেই না ঘুমের দেশে ডুব দিবে আবারো সেই একই গলা ফাটানো ডাক ।
রিধি জলদি আয় ।
রিয়ানের কন্ঠে উত্তেজনা । ব্যাপারটা খেয়াল হতেই ঘুম ছুটে যায় তৃধার । চোখ খোলেই দেখতে পায় রিধিমা তার শরীরের লেপ্টে আছে । মেয়েটার মুখটা বেশ শান্ত লাগছে । সারারাত জেগে মাত্রই ঘুমিয়েছে দুজন । এখনি ঘুম ভাঙ্গানোর ইচ্ছে করছে না তৃধার , তবে ডাকতে তো হবেই ।
এই রিধিমা , রিধিমা ।
উফফ রোজা বেবি আর একটু ঘুমতে দে না ।
আমি রোজা নই ।
এই রিধিমা ।
রিয়ান ডাকছে তোমাকে ।
ডাকুক আমি ঘুমোবো ।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হঠাৎ কিছু ভাঙ্গার আওয়াজ কানে এলো তৃধার । শব্দ এতো জোরেই ছিলো যে , যার ফলে , ধিরপির করে ঘুম থেকে জেগে ওঠে রিধিমা । এক মূহুর্ত দেরি না করে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় তৃধা ।
কি ঘটছে এখনো ঠাওড়ে এলো না রিধিমার তবে আগ পাঁচ না ভেবে ঘুম ঘুম চোখে সেও গেলো তৃধার পিছু ।
রিয়ানের ঘরের সামনে এসেই পা থেমে গেলো দুজনের । চোখ জোড়া কাপালে উঠার উপক্রম ।
রিধিমা যেই ঘুম ঘুম চোখে এসেছিলো সেই চোখ জোড়ায় এখন বিস্ময়ের ছাপ কাঁচের টি টেবিলের কাচ গুলো টুকরো টুকরো হয়ে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছে । তা পাশেই ডিভেনে বসা নির্ণয় হাত থেকে টুপ টুপ করে রক্ত জোড়ছে । কিছু একটা ঘটেছে ভেবেই ভয়ে পিটিয়ে গেলো রিধিমা ।কাপা কাঁপা গলায়
ভ ভ ভাই ।
দরজায় কারো কন্ঠ পেতেই কাটা হাতেই বসা থেকে দৌড়ে এলো নির্ণয়।
রিধু আমার রোজ কই রোজ ।
বেশ বড় একটা শক খেলো রিধিমা । রোজা মিসিং ,
কি হলো চুপ করে কেন আছিস , বল আমার রোজ কই ?
আ আর আমি জা জা জানি না ভাইজান । ওতো রাতে তো ..
কথা শেষ করার আগেই রিধিমা কে থামিয়ে নির্ণয় বললো
হ্যা এসেছিলো তবে সকাল থেকে ওকে কোথাও পাচ্ছি না ।
সেকি এ্যানসি একা একা কোথায় যাবে মেয়েটা এখানকার কিছু চিনে নাকি ও।
জানি না আমি কিছু জানিনা ।
নিজের মাথার চুল টেনে বাচ্চাদের মতো কাদতে লাগলো নির্ণয় ।
ও রিয়ান তোর বোনকে এনে দে আমার কাছে ।
প্লীজ ভাই ! আমার রোজ কে আমার কাছে ফিরিয়ে দে ।
মাথার চুল ছেড়ে । দ্রুত গিয়ে। রিয়ানের পা চেপে ধরে নির্ণয় ,
প্লিজ ভাই , আমি জানি তুই লুকিয়ে রেখেছিস আমার রোজ কে । আমার রোজ কে ফিরিয়ে দে ভাই ।
নির্ণয়কে বাচ্চাদের মতো অসহায় ভাবে কান্না করতে দেখে এগিয়ে এলো রিধিমা ।
ভাই শান্ত হো রোজ আশেপাশে কোথাও আছে হয়তো ।
রিয়ানের পা ছেড়ে এবার রিধিমার পা আকড়ে ধরে নির্ণয় ।
রিধু প্লীজ বেক মাই রোজ । ওকে খুঁজে এনে দে বোন…
আশে পাশের কোন কোথায় যেন কানে যাচ্ছে না রিয়ানের এক মাত্র বোন হারিয়ে গেছে তাতেও নেই কেও প্রতিক্রিয়া ।
কি হয়েছিল এ্যানসি , তুই কি ওকে রাতে কিছু বলেছিলি ?
রাতে , রাতের কথা মাথায় আসতেই কান্না থামিয়ে দেয় নির্ণয় ।
চোখ বন্ধ করে মনে করে আসলে কি ঘটেছিল …
প্রথমেই ঝাপসা দেখলেও মুহূর্তেই মনে পড়ে যায় রাতের কথা । প্রেয়সীর ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে এগিয়ে যায় বিছানায় । বেশ আরাম করেই তাকে শুইয়ে দেয় বিছানায় । চুম্বনের মাঝেই নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে দুজনের ।
দুজনেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে থাকে প্রণয়ে । নির্ণয় রোজার ঠোট জোড়া ছেড়ে দিয়েই মুখ ডুবিয়ে দেয় গলায় । ছোটো ছোটো চুমু তে ভরিয়ে দেয় পুরো গলা ।
এক হাতে ধীরে ধীরে বুক থেকে নামিয়ে দেঢয় কালো রঙের স্লিক শাড়ির আঁচল । লাস্যময়ী নারীটি বেশ লোভনীয় লাগছে তার কাছে । নিজেকে নিয়ন্ত্রনের নেই কোনো প্রয়াস ।
গলা থেকে মুখ সরিয়ে নেয় নির্ণয় । দৃষ্টি আনে , রোজার লজ্জা লাল আভা ফোটে ওঠা মুখের পানে ।
রোজ পাখি !
নেশালো সুরে উত্তর দেয় রোজা ।
হুঁ !
জানি এখন আমাদের মাঝে যা হবে তাতে তোর কষ্ট টাই বেশি হবে। তবে বিলিভ মি , আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না ।
ফা*ক ওফ নির্ণয় ভাই ।
নির্ণয়ে চোখ জোড়া এক প্রকার বড় বড় হয়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম । আর ইউ সিরিয়াস রোজ ?
ইয়েস আই এম । নাউ ফা*ক মি হানি ?
নির্ণয় যেন অবাকে শীর্ষে পৌঁছে গেছে । এই মেয়েকে নাকি এতোদিন সে ছোট ভেবে ভুল করেছিলো ।
কি হলো ওভাবে তাকিয়ে না থেকে আদর করবে তো নাকি । ওয়েট ওয়েট তোমার বডিতে আবার প্রবলেম আছে নাকি নির্ণয় ভাই।
কি বললি তুই ?
তা না হলে আমার মতো হটি একটা মেয়ে তোমার কাছে আঁচল ফেলে শুয়ে রয়েছে । আর বাবাজি তো দেখি ঘুম ।
তবে রে শালি ।
নির্ঘাত আজ হাড্ডি ভাঙ্গবে তোর । Just imagine?
তা দেখো এমন জেনো না হয়। দু মিনিটে ই আবার বমি হয়ে যায় ।
নো বেবি , নির্ণয় চৌধুরী এত নড়বড়ে নয় যে অল্পতে বমি হবে। আগে তোর বমির কথা ভাব , তারপর না হয় …
কথা সম্পূর্ণ করার আগেই নির্ণয়কে টেনে নিজের ওষ্ঠের দ্বারা দখল করে নেয় নির্ণয়র ওষ্ঠ ।
মনে মনে বেশ খুশি হয় হয় নির্ণয় সমান তালে তাল মিলিয়ে যায় নির্ণয় দ্রুত হাতে খুলেতে লাগে নিজের শার্ট ।
ঠোঁটে ঠোঁট ডুবানোর যে মাঝেই নির্ণয় হাত বিচনোর কারে রোজার পুরো শরীরে কেপে ওঠে অষ্টাদশী ।
এক এক করে রোজার শরীরে জড়িয়ে থাকা প্রতিটি বস্তুই খুলে ফেলে নির্ণয় । ছোট ছোট চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে সারা শরীল ,
এবার । মিলিত হতে থাকে তৃষ্ণার্ত দুটি নর নারী ,
অধিক সময় পার হওয়ার পরে দু’জনে বেশ ক্লান্ত । নির্ণয় পুরো শরীরের ভর ছেড়ে দিয়েছে বাচ্চা মেয়ে টার উপর ।
উফ নির্ণয় আপনি এতো ভাড়ি ।
এতোক্ষণ তো উপরেই ছিলাম তখন ভাড়ি লাগে নি নাকি । এখন এসেছিস ঢং করতে ।
এই উঠুন তো আমি ওয়াস রুমে যাবো ।
যা তো কে ধরে রেখেছে তোকে ।
এতো বড় শরীর নিয়ে আমার উপর পরে রয়েছেন কেন ?
রোজা নির্ণয় কে সরাতে বার কয়েক ধাক্কা দিলো তবে চুল পরিমান নড়াতে সক্ষম হলো না সে ।
উফ তোর জ্বালায় আর পারি না ।
হ্যা হয়েছে উঠুন । আর একটু হারবালে স্বরণাপর্ণ হয়েন । যা দম দেখলাম।
কি বলিস এত সময় তাও দম নেই । এই তুই কি বাঙালি ।
না আমি উগান্ডার বাসিন্দা উঠুন তো ।
রোজার ধমকেই সরে যায় নির্ণয় । রোজার কথা না বাড়িয়ে পা বাড়ায় ওয়াস রুমে দিকে । কিছুক্ষণ পর বেড়িয়ে এসে সে
বিছানায় গিয়ে আবারো শুয়ে পড়ে । রোজা এসেছে বুঝতেই পেরে নিজে সাথে আবারো জড়িয়ে নেয় তাকে মুখ ডুবিয়ে দেয় রোজা হালকা ব্রাউন কালার চুলে ।
আহ !
হঠাৎ গাড়ে কিছু টা ব্যথা অনুভব করে তারপর তারপ আর …
ধ্যান ভেঙ্গে নিজের ঘাড়ে হাত রাখে নির্ণয় । কই এখন তো ব্যাথ্যা করছে না । কাল তাহলে কি হয়েছিল ?
কি হয়েছিল কাল উফ মাথাটাই বা এতো যন্ত্রণা দিচ্ছে কেন ।
সময় প্রায় মাঝরাতে কাছাকাছি , জঙ্গলের পথেই ছুটে চলেছে দুটি তরুণ যুবক তার পিছনেই ছুটে চলছে সিভিলে একদল পুলিশ। দৃষ্টি সীমার যত দূর তাকানো যায় ঘন জঙ্গল , আশেপাশে নেই কোনো লোকালয়
পুরো জঙ্গল জুড়ে শুনা যাচ্ছে কয়েক জোড়া পায়ের শব্দ থেকে হচ্ছে ফায়ার । একে বেকে দৌড়ে চলেছে যুবক দুটি , দেশের সবচেয়ে বড় ড্রাগের ব্যবসায়ী হাত রয়েছে এদের ।
মরণের সময় ঘনিয়ে এলে পাপের বোঝাও বেড়ে যায় । দু’জনে নামেই রয়েছে ধর্ষণ কেস । পুলিশের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে চলেছে যুবক দুটি হঠাৎ সামনে কিছুর ছায়া পেতেই থমকে যায় পা পিছনে পুলিশ সামনে যমদূত । কে বাঁচাবে তাদের। এক অপর জনের দিকে একবার তাকালো শরীরে ঘাম ঝরছে অবিরাম।
হো হো করে হেসে উঠলো ছায়া । ফিমেল ভয়েস সেই মুধুর হাসি যেন আজ বড্ড ভয়ংকর । যা মস্তিষ্ক ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে । বাড়ছয়ে দিচ্ছে রক্ত সঞ্চালন ।
হঠাৎ থেমে গেলো হাসি কানে ভেসে এলো দুটি লাইন ।
পালা , পালা ।
বাঁচতে চাইলে পালা !
অন্তর আত্মা শুকিয়ে আসছে যুবক দুটি । শুষ্ক ডোক গিলে সুমন নামের একজন বললো ।
ক ক কে
আবারো শোনা গেলো হাসির শব্দ ইতোমধ্যে পুলিশগুলো বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে ।
পিছনে দৃষ্টি দিলো মৃদুল । ভাই পুলিশ আসছে , পালা ভাই পালা ।
প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ১৯
আবারো শুষ্ক ঢোক গিলে নিলো সুমন । হঠাৎ গুলি আওয়াজে থমকে গেলো পুরো জঙ্গল । কাঁপতে লাগলো সুমন পাশে তাকাতেই চোখে এলো মৃদুলের নিথর দেহ । এবারো শুষ্ক ঢোক গিলে নিলো সে । পিছনে আস্তে থাকা পুলিশ গুলো থেমে গেছে গুলির শব্দ ।