প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৬ (৩)
Zannat Xhowdury
ভর দুপুরে নিস্তব্ধ ঘর, জানালার পর্দা সরে গেছে হাওয়ায়
রোজার পরিহিত টিশার্ট ততক্ষণে বিছানার কিনারে ঝুলে আছে।
ওর চোখ অর্ধেক বন্ধ… গাল লাল… ঠোঁট ফোলা।
নির্ণয়ের শরীর ওর গায়ে ছায়া ফেলে রেখেছে — উষ্ণ, ঘর্মাক্ত, অভিভূত।
দিনের আলোয় সবকিছু স্পষ্ট
রোজার বুকের ওঠানামা, নির্ণয়ের কাঁধের পেশী,
আর ঘামে ভেজা সেই একফালি কোমল ত্বক,
যেখানে নির্ণয়ের ঠোঁট আবার ছুঁয়ে যায়।
রোজা কাঁপতে কাঁপতে বলে
“এই রোদে না… সব কিছু দেখা যায়… আপনি এমনি করে আমায়…”
নির্ণয় নিচু গলায় জবাব দেয় —
“তোকে দেখতে দিনের আলোই পারফেক্ট
তোর প্রতিটা দাগ, প্রতিটা নিঃশ্বাস, তোর ভিতরটা…
এই আলোতেই দেখতে চাই আমি।
তুই লুকাইস না… আমার হইয়া থাক।”
ওর শরীর নিচু হয়ে আসে। ঠোঁট ছুঁয়ে যায় রোজার নাভির চারপাশে।
রোজা একবার ঘাড় বাঁকিয়ে বিছানার চাদর চেপে ধরে…
নির্ণয়ের জিভ তখন তার নিজের ভাষায় রোজাকে লিখে যাচ্ছে।
দুপুরের আলোয় ঘরটা হঠাৎ দুলে ওঠে।
একটা নিঃশব্দ বিস্ফোরণ ঘটে—
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নির্ণয়ের স্পর্শে, রোজার ডাকে, আর তাদের দু’জনের ছায়া গলে মিশে যায় ঘরের মেঝেতে।
নির্ণয়ের জিভটা রোজার বুকের মাঝ বরাবর নামছে, ঘামে গলে গেছে ওর শরীর… কিন্তু ঠোঁটে এখনো প্রতিরোধ।
হাপিয়ে উঠছে রোজা বুকের মাঝে সমুদ্রে অতলে তলিয়ে যাচ্ছে সে নিজেকে চেয়েও সংযত রাখতে ব্যর্থ হাতে ব্যান্ডেজের স্থান হতে তাজা রক্ত গড়িয়ে পড়ছে
আপনি এমন করলে আমি বরফ হয়ে গেলে পড়বো নির্ণয় ভাই ..!!
কন্ঠে মাদকতা জিহ্বা স্বাদ নিতেই ব্যাস্ত নির্ণয় ফিসফিসিয়ে তার কানে বলে—
“গলেই যদি পড়িস, তাহলে পড়… আমি ধরে রাখছি তোকে…”
রোজা তখন আর কিছুই বলে না। ও শুধু চোখ বন্ধ করে দেয়।
নির্ণয় এবার ওর দুই হাঁটুর মাঝখানে মুখ নামায়— রোজা হঠাৎ চমকে ওঠে। মুখে হাত চাপা দিয়ে রাখে। কিন্তু ততক্ষণে ওর শরীরটা কাঁপছে…
জান আমার … পুরোটা সহ্য কর বেইবি
I know it’s to much big
নির্ণয়ের নামছে একেবারে গভীরে… ওর নিশ্বাস গরম, ওর জিভ নরম… রোজা যেন ভেঙে গলে যাচ্ছে একদম… ওর পেটের ভেতর থেকে উঠে আসছে একটা মোচড়— একটা ডাক… অচেনা, অপরিচিত… তবু নিজস্ব। ঠোঁট কাঁপছে, এক হাতের নখ বিছানার চাদরে আঁচড় কেটে যাচ্ছে।
“আর পরছিনা…
আমি মরে যাচ্ছি… নির্ণয় ভাই
” “আপনি থামুন…”
নির্ণয় উন্মাদ দুনিয়ার কিছুই যেন খেয়াল নেই তার , ঘাম ঝরছে তার শরীরে বের রোজাকে আরো জোরে চেপে ধরে নিজের সাথে ওর কানে মুখ নিয়ে গিয়ে বলে—
“সহ্য করে নে জান…
এই তো হয়ে এসেছে…”
রোজা চোখ বন্ধ করে ফেলে, নির্ণয়ের শরীর ওর শরীরে চেপে বসে
“আপনার… ছোঁয়া… আমাকে জ্বালিয়ে দেয়…”
নির্ণয় অস্থির , সময়ের তারোনায় মিটিয়ে নিচ্ছে নিজের খায়েস দাঁতে দাঁত চেপে ফিসফিস করে
“তোর এই জ্বলা… আমার জন্য নেশা…”
রোজা কেঁপে ওঠে।
ওর চোখ কান বেয়ে গড়িয়ে পড়ে একফোঁটা পানি কিন্তু মুখে একটুখানি তৃপ্তির ছায়া। কী যেন একটা… দাহ আর দখলের মাঝখানে… ভালোবাসা নয়— একটা ভয়ঙ্কর টান।
ক্লান্ত দুটো শরীর একে অপরের নিঃশ্বাসে মিশে আছে , রোজার ঠিক উপরেই নির্ণয়ের বলিষ্ঠ দেহ , ঘাম ঝড়ছে নির্ণয়ের শরীর থেকে আর তাতেই ভিজে উপছে রোজা
সরুন না ..!
যা বাবা তোর সুখে ঘাম ঝড়ালাম
এখন আমাকে দূর দূর ছাই ছাই ,
বাহ রে বাহ নারী , কি সুন্দর অভিনয় তোমার
তুমি সুখের মাঝেও চোখের পানি ফেলাও , তৃপ্তি নিতে চেঁচিয়ে আগ্রহ বাড়াও ।
খেকে উঠে রোজা আপনি নামবেন আমার উপর থেকে , নামুন বলছি …!!
নাম…. দরাজায় কারো নাক কর্তারা শব্দ কানে আসতেই কথা থামিয়ে দেয় নির্ণয় , রোজার উপর থেকে নেমে উদাম শরীরেই
দরজা খুলে নির্ণয়
ভা…
কি বে শালা কাবাবের হাড্ডি …!
একি ভাই তুমি খালি গায়ে কেন আর এতো ঘাম ছাড়ছে কে শরীর। তোমার রুমে কি এসির প্রবলেম হয়েছে ..সরো তো দেখি
উঁহু ! ভেতরে যাওয়া যাবে না,
কেনো ভেতরে কি প্রবলেম ?
ওখানে তোকে মামা বানানোর প্রসেসিং কাজ চলছিলো তবে তুই কাবাবে হাড্ডির টুকরো হয়ে ছুটতে ছুটতে চলে এলি
বর্তমানে আমি প্রসেসিং বন্ধ রেখেছি
তুমি কি মানুষ রোজ অসুস্থ !
কি করবো বল , তোর বোনের স্পর্শ আমাকে মাতাল করে দেয় ! কন্ট্রোললেস হয়ে প…
থাক থাক আর শুনতে চাইছিনা !
কেন আসো শালা বাবু তোমাকে পুরো নাটক শট গল্পে বলি !
না না দরকার নেই !
এখন কাজের কথায় আয় আমার রেডিমেড ছেলেকে পেয়েছিস !
ও হ্যাঁ ! তোমার রেডিমেড ছেলেকে আমার ঘরে রেখে এসেছি।তুমি অনুমতি দিলে তাকে তোমার কাছে হাজির করে নিজেকে ধন্য করতে পারি !
আমি ফ্রেশ হয়ে রোজ কে নিয়ে নিচে নামছি তুই রিধি কে খাবার বাড়তে বল পাপ্পু কেও নিয়ে যাবি ?
যথা আগ্গে জাহাপনা !
এখন বিদেয় হো ! গেট লস্ট
হ্যাঁ এখন তো
আমার দরকার ফুরিয়েছে
একবার আসুক আমার ভাগ্নে তারপর তোমাকে দেখছি জলদি প্রসেসিং শেষ করো । “আই ওয়ান্ট জুনিয়র ”
তুই গেলে তবেই না প্রসেসিং সম্পূর্ণ করবো।
যাচ্ছি বাবা যাচ্ছি বলেই উল্টো হেটে চল যায় রিয়ান, খট করে দরজা লাগিয়ে বেডের কাছে আসে নির্ণয় , হাত থেকে রক্ত পড়ছে রোজার , ব্যাপা টা মাথা থেকেই বেড়িয়ে গিয়েছিলো তার ;
খাবার টেবিলটা বসার ঘরের একপাশে রিয়ান, তৃধা, অপূর্ব, আয়ান আর পাপ্পু সবাই চুপচাপ বসে আছে। কারোর মুখে একটুও হাসি নেই, শুধু একটা অদ্ভুত উত্তেজনা ভাসছে। রিধিমা হাতে প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে খাবার পরিবেশন করছে, তার চোখও কোথায় যেন আটকে আছে, মাঝে মাঝে উপরের দিকে তাকিয়ে।
“ভাই ওদের নামার সময়টা কখন হবে ?
ওটাই জানলে আমরা ঠিক করে খেতে বসতে পারতাম” রিয়ানের কণ্ঠে একটু আগ্রহ আর একটু চিন্তার ছাপ।
পাপ্পুর চোখ বড় হয়ে উঠলো, রোজাকে দেখার কৌতুহল মনে গেঁথে আছে তার। আয়ান ওর পাশে চুপচাপ বসে, বারবার ছাদের দিকে চোখ ঢোকাচ্ছে, যেন সেখানে কোনো সিগন্যাল আসবে।
তৃধা একটু হালকা হাঁসি মুখে বলল,
“ওদের দরজার কাছ থেকে একবার ঝলক দেয়া তো দরকার ওদের অপেক্ষায় গরম খাবার ঠান্ডা হতে শুরু করেছে , এরপর তো গরম গরম খাবার খাওয়ার আর ভাগ্যে হবে বলে মনে হয়না।”
রিধিমা প্লেট গুলো হাতে ধরে এক একটা করে সবাইকে দিয়ে যাচ্ছে, তার হাতে কাঁপন মনে হচ্ছে। টেবিলের ওপর আলো পড়ছে, আর সবাই যেন একটানা উপরের দিকে তাকিয়ে আছে, নির্ণয় রোজার আসার মুহূর্তের অপেক্ষায়
পাপ্পু একটা গভীর শ্বাস নিয়ে বলল,
“এই রিয়ান, এই রিয়ান, আমার রোজ কখন নামবে রে?”
তার চোখে একটা মিশ্র আশা আর উত্তেজনার ছোঁয়া।
রিয়ান একটু হাসি দিয়ে বলল,
“তা তুই যেখানে আমিও সেখানেই বসে রইছি আমি কিভাবে বলবো শুনি?
বল না রিয়ান আমার রোজা কখন নামবে ?
পাপ্পু আবার জিজ্ঞেস করতেই রিয়ান চোখ ঝাপসা করে ঠাট্টা স্বরে বলল, “বেটা, মনে হচ্ছে আমি তোর না তুই আমার বড়!”
পাপ্পু একটু লজ্জা পেয়ে গরম গরম মুখ নিচু করল,
“হ্যাঁ মামা, তুই তো বড়ই।”
রিধিমার হালকা হাসি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল, আর বাকিরাও হেসে উঠল এই মজার আড্ডায়। খাবার টেবিলটা সেই মুহূর্তে একটু বেশি প্রাণ ফিরে পেল।
হাসির মাঝে হঠাৎ ঠাস করে একটা শব্দে সবাই চুপ।সেই নির্ভর, সেই পরিচিত শব্দ—নির্ণয়ের ঘরের দরজা খুলেছে। একটা টানটান নিস্তব্ধতা ঘরে নেমে এলো।
রিধিমার হাতের থালার ঝুনঝুনি থেমে গেল। তৃধা নিজের চোখ মেলে তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে। রিয়ান উঠে দাঁড়ানোর মতো করল, মুখটা গম্ভীর। আয়ানের ঠোঁটে চেপে থাকা আধা হাসি মিলিয়ে গেল।
ওই যে, নির্ণয়ের ঘর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সাথে তার রোজা।
পায়ের আওয়াজ নেই, কিন্তু উপস্থিতি গম্ভীর। সে একদৃষ্টিতে সকলেই তাকিয়ে আছে তাদের দিকে, যেন এক অদৃশ্য চাপ নিয়ে এসেছে সঙ্গে করে। চোখে কিছু নেই, মুখে কোনো রং নেই— তবুও তার আগমনেই ঘরের বাতাস ভারী হয়ে উঠল।
পাপ্পু আস্তে ফিসফিস করে বলল, “মামা, রোজা… নামছে?”
রিয়ান আর কিছু বলল না। সবাই বসে আছে,
রিধিমার হাতে ধরা থালাটা হালকা কেঁপে উঠল। নির্ণয় রোজা দাঁড়িয়ে, নিরব… কিন্তু তার চোখে যেন লেখা, আজ আর কিছুই আগের মতো থাকবে না।সকলের নজর এখন একদৃষ্টে আটকে আছে, নির্ণয় রোজার উপর।
ঘরের হালকা আলোয় রোজার উপস্থিতি যেন কাঁপিয়ে দিয়ে গেল সবার ভেতরটা। তার পরনে ওভারসাইজড ব্ল্যাক টপস, যেন নিজের শরীরটাকেই আড়াল করতে চায়। নীচে জিন্সের মতো কিছু একটা পরা ..!!অস্পষ্ট, ধুলো লেগে যেন আরও ঘোলা। বাম হাতে মোড়ানো ব্যান্ডেজটা স্পষ্ট, ক্লিনের সাদা কাপড়ের ভিতরে কী লুকিয়ে আছে, কেউ জানে না।
কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার— তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে নির্ণয়। সাদা টিশার্ট আর ট্রাউজারে ছিমছাম, শান্ত মুখে। তার ডান হাতে ধরা রোজার বাঁ হাতটা, যেটাতে ব্যান্ডেজ। আস্তে আস্তে, ভীষণ ধীর পায়ে সে রোজাকে নিয়ে আসছে খাবার টেবিলের দিকে।
চারপাশে কারো একটা শব্দ নেই। পাপ্পুর মুখ হা হয়ে গেছে, আয়ানের চোখে ভ্রু কুঁচকে উঠেছে। তৃধা ঠোঁট কামড়ে ধরে তাকিয়ে আছে, রিয়ান শুধু তাকিয়ে মুসকি হাসছে—কোনো ভাব প্রকাশ করছে না,
রিধিমার হাতের থালা তখনো কাঁপছে একটু একটু। রোজা কারো চোখের দিকে তাকাচ্ছে না, সে কেবল হাঁটছে… আর নির্ণয় তার হাত ধরে টেবিলের দিকে নিয়ে আসছে তাকে।
সেই মুহূর্তে ঘরে যেন শব্দহীন বিস্ফোরণ— কিছু বদলেছে। চুপিচুপি, নিঃশব্দে— কিন্তু সবার ভিতরেই।
নির্ণয় অনেক আগেই এসে পৌঁছেছিল।
সে তখন থেকেই টেবিলের এক সকলে মুখ ভঙ্গি খেলায় করছে তবে কোনো রিয়েকশন নেই, রোজা নিজেও বেশ বিরক্ত , নির্ণয়
রোজার একসাথে আসা এক রুম থেকে বেড়োনো সাবার যেন , একটা বিস্ফোরণের মতো হয়ে গেল।
সকলেই থমকে গেছে।
রিয়ান, তৃধা, অপূর্ব, আয়ান, পাপ্পু—
সবাই যেন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে,
ঠিক যেন সামনে ভুত দেখেছে।
চোখে বিস্ময়, মুখে নিঃশব্দ প্রশ্ন।
রোজা এক মুহূর্ত থেমে যায়।তার বাম হাতটা এখনো নির্ণয়ের হাতে ধরা।চোখ বুলিয়ে নেয় চারপাশে—সবার তাকানোই যেন কেমন কেটে-কেটে লাগছে।
“What?”
নির্ণয়ের গলাটা ঠান্ডা, তবে স্পষ্ট।
তারপর ঠোঁটটা সামান্য বেঁকিয়ে, চোখ সরু করে বলে—
“এভাবে কি দেখছো সবাই? আমাদের মুখে কি কোনো সিনেমা হচ্ছে?”
তবুও কারো মুখে শব্দ নেই।কেউ যেন ঠিক জানে না কী বলবে, কীভাবে বলবে।আর নির্ণয়, চুপচাপ, ওর চোখে একরকম স্বস্তি আর জেদ—সে রোজার হাতটা শক্ত করে ধরেই রাখে।
“সিনেমা না ভাই… এর থেকেও বড়।”
মুখ ফসকে বলে ফেলে তৃধা সকলেই বড় বড় চোখ করে তাকায় তার দিকে নির্ণয় ভ্রু কুঁচকে নেয় ঘরে একটা চাপা গুঞ্জন যেন ছড়িয়ে পড়ে সেই সাথে।
রিয়ান চোখ সরিয়ে ফেলে জানালার দিকে।
অপূর্ব টেবিলের কোনা নিয়ে খেলতে শুরু করে—
চোখে চাপা বিস্ময়। পাপ্পু অবুঝ বাচ্চা সে পরিস্থিতি বুঝতে চাইছে
“তুমি কী বলতে চাস তুই?”
তৃধা গলা নামিয়ে ফেলে। মনে ধুকপুকানি ভুল জায়গায় মুখ ফসকেছে ভেবেই নিজেরে এখন শ খানেক গালি দিতে ইচ্ছে করছে তার চোখ নামিয়ে …
ইয়ে মানে এ্যানসি!
হোয়াট ?
কই কিছু নাতো , !
নির্ণয়ের চোয়াল শক্ত হয়।
সে একবার রোজার দিকে তাকায়, তারপর চারপাশে—
তার চোখ যেন বলে,
“তোমাদের কারো কিছু বলার থাকলে কন্টিনিউড করতে পারো ”
তবে আমি শুনছি না !
মাত্রই বিষ্ময় কাটাতে একগ্লাস পানিতে চুমুক দিয়েছিলো আয়ান নির্ণয় কথায় বেশ বড় এক বিষম খেলো সে …
এতক্ষণের পুরো কাহিনী পর্যবেক্ষণ করছিলো , গোয়েন্দা বলে কথা চোখ দেখেই যেন মন পড়তে পারে সে, চেয়ারে বসতে নিয়ে
সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যায় সে, চোখে ঠান্ডা আগুন নিয়ে,
আরও একবার টেবিলের চারপাশটা দেখে নেয়—
এবার সে বুঝে গেছে, এখানে শুধু খাবার না,
চোখে চোখে চলছে এক অদৃশ্য যুদ্ধ।
এই থমথমে মুহূর্তে, হঠাৎ ছোট্ট একটা কণ্ঠ বাতাস কেটে উঠে আসে—
“রোজ, তোমার হাতে কি হয়েছে? অনেক লাগছে বুঝি?”
সবচেয়ে ছোট, অবুঝ পাপ্পুর কণ্ঠ।
তার চোখে নেই কোনো জিজ্ঞাসা, নেই কোনো সন্দেহ—
শুধু নিখাদ উদ্বেগ।
রোজ থমকে যায়। গ্রামের ভাষা পাল্টে সেদিন শহরে ভাষায় আয়ত্তে আনতে বলেছিলো বাচ্চা ছেলে টাকে , বেশ কিছু বার চেষ্টা করিয়ছে শেখাতে ।। ছেলেটা বেশ মেধাবী অল্পতেই সব বুঝে নেয়
রোজ!
আবারো সেই কন্ঠ, ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে একবার নজর বুলায়
তার বাঁ হাতে মোড়ানো ব্যান্ডেজের দিকে তাকায় একটু,
তারপর চোখ রাখে পাপ্পুর দিকে—
যে তখন টেবিলের ওপাশ থেকে মাথা বের করে তাকিয়ে রয়
ঘরের বাতাস হঠাৎ বদলে যায়। বিস্ময়ের ধোঁয়া যেন মিলিয়ে যায় নিঃশব্দে।
রোজ ঠোঁটের কোণে একটুকরো নরম হাসি এনে বলে—
নো বাডি !আমি একদম ঠিক আছে ..!
চেয়ারের বসা থেকে উঠে এসে ছুটে রোজা কে জড়িয়ে নেয় পাপ্পু ।
পাপ্পু একটু সামনে এগিয়ে বলে— আমি জানি তোমার অনেক লেগেছে
“তুমি কান্না করেছিলে?”
রোজ এবার হেসে ফেলে ভীষণ আদুরে এই ছেলেটি , অল্প দিনেই মায়ায় জড়িয়েছে রোজাকে ,
কে এনেছে তোকে ?
কেবলা এক হাসি দিয়ে হাত উঁচু করে রিয়ান
আমি !
Thanks ভাইজান ।
অনেক হয়েছে এবার খেতে বসবি !
এতোক্ষণ ইমোশনাল সিনের সমাপ্তি হয় নির্ণয়ের এক কথায় । সকলে পুরো সিন থেকে বেড়িয়ে আগের সিনে আসে
চ্যাম্প ! ইউ কাম হেয়ার ..
রিয়ানের ডাকে রোজাকে ছেড়ে ছুটে রিয়ালের কাছে গিয়ে বসে পাপ্পু , মামা ভাগ্নেতে বেশ জমে
খাবার টেবিলের এক চেয়ার টেনে রোজাকে বসিয়ে দেয় নির্ণয়। gesture টা সামান্য, রোজা চুপচাপ বসে পড়ে, চোখ নামিয়ে রাখে।
রোজার পাশেই চেয়ার টেনে বসে নির্ণয় । দুজন বসতে তাদের খাবার বেড়ে দেয় রিধিমা । দুটো প্লেট থেকে একটা প্লেট নিজের হাতে তুলে নেয় নির্ণয় প্রথম লোকমা এগিয়ে ধরে রোজার মুখের পানে ।
একি রোজ তোমাকে এই ভাইয়াটা খাইয়ে দিচ্ছে কেন ?
প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৬ (২)
মূহুর্তেই পুরো ঘর থমকে যায়। সকলেই হাসি চাপিয়ে রাখতে চাইছে ?
এই লোকটা কে রোজি ,আসছি থেকেই দেখছি তোমার সাথে একদম মিশে আছে ।
কপালে ভাঁজ ফুটে নির্ণয় । চেহারা গম্ভীর
বেটা বাপকে চিনো না !