প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৯

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৯
Zannat Xhowdury

ভোরের আলো এখনও ঠিকমতো ফোটেনি। ঘরে জমেছে শীতলতা। নির্ণয় চেয়ারে বসা , সিগারেটের শেষ অংশটা আঙুলে চেপে ধরা , আগুন নিভে গেছে অনেকক্ষণ ।
বিছানায় গুটি শুটি মেরে শুয়ে আছে রোজা, মুখে যেন যুদ্ধ জয়ের হাসি , যা এড়িয়ে যেতে পাড়েনি নির্ণয়ের চোখ। হঠাৎ পায়ের শব্দ কানের আসতেই চোখ খিচে ঘুমের ভান ধরে সে ।
চেয়ার ছেড়ে ধীর পায়ে এগিয়ে বিছানায় বসে নির্ণয় ভ্রু জোড়া কুঁচকে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে রোজার মুখ পানে , চোখ পিটপিট করছে রোজা। দেখেই বোজা যাচ্ছে ঘুমের ভান ধরছে। একপ্রকার দুষ্টু হেসে আবারো উঠে যায় বেড ছেড়ে।
নির্ণয় উঠতেই ধপ করে চোখ খুলে রোজা হালকা কাত হয়ে নির্ণয়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে জিহ্বা দিয়ে ভেংচি কাটে ।

রোজার করা প্রতিটি কাহিনী ঘরে থাকা বিশাল আয়না বিশিষ্ট ড্রেসিংয়ে দেখে মুসকি হাসে নির্ণয়
হাসির মাঝেই একটু একটু করে এগিয়ে এসে দাঁড়ায় ড্রেসিং টেবিলের এর সামনে। একটানে গায়ে জড়ানো টিশার্ট খুলতেই , উন্মুক্ত সাদা শরীর দৃশ্যমান হয় আয়নার সামনে । নিজের স্লিকি চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে নিজেকে একবার উল্টেপাল্টে দেখে নেয় সে ‌। কিছু সময় বাদে উল্টো ঘুরে একবার তাকায় রোজার দিকে । একটু দেখে আবারও ঘুড়িয়ে নেয় মুখ।
ড্রেসিং এর ড্রয়ার হাতরে ছোট সিজার বের করে হাঁটা ধরে বেডে দিকে।
বিছানার একেবারে ধারে এসে দাঁড়াতেই…হঠাৎই খপ করে হাত বাড়িয়ে রোজার টিশার্টের নিচে থাকা ইনারের বেল্ট চেপে ধরে সে।
রোজার নিঃশ্বাস আটকে আসে, শরীর একসাথে কেঁপে ওঠে ভয় নাকি উত্তেজনা, তা নিজেও বুঝতে পারে না সে।
নির্ণয় এবার ধীরে ধীরে সিজার তুলে, ইনারের স্ট্র্যাপে ছুঁইয়ে দেয়।ধাতব ঠান্ডা ছোঁয়ায় রোজার বুকের ভেতরটা ছ্যাঁ করে ওঠে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রোজা নিঃশ্বাস চেপে ধরে তাকিয়ে থাকে নীল মনির চোখ জোড়ার দিকে । যেখানে স্পষ্ট তাকে দখলের নেশা
বেল্টটা কেটে ফেলতেই হালকা ‘চটাস’ এক শব্দ হয়। স্ট্র্যাপটা আলগা হয়ে যায় রোজার গায়ে থেকে ।সে খানিকটা চুপচাপ, শুধু নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ ছাড়া আর কিছু নেই ঘরে।
নির্ণয় বেল্টটা তুলে নিয়ে হাতের মধ্যে ধরে রাখে , কিছুক্ষণ মনোযোগ দিয়ে চোখ বুলায় তাতে যেন এটাই কোনো যুদ্ধের ট্রফি,
রোজা কিছুটা বিস্ময়ে,তাকিয়ে থাকে তার দিকে নির্ণয় বেল্টটা হাতে ঘু রিয়ে আঙুল বুলিয়ে নেয় স্ট্র্যাপের সেলাইয়ের উপর দিয়ে।

ঘরের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। হাতে থাকা সিজার ছুড়ে মারে বিছানার পাশে। ইনারে বেল্ট হাতে ধীরে ধীরে ঝুকে আসে রোজা মুখের দিকে
রোজা কিছু বলতে যাবার জন্য ঠোঁট হালকা ফাঁকা করার আগেই নির্ণয় আচমকা বেল্টটা উঁচু করে আনে।একটানে রোজার দু’হাত মাথার পেছনে নিয়ে শক্ত প্যাঁচে বেঁধে ফেলতে থাকে ।
হাত দুটো ঠিক গিয়ে বাড়ি খায় বেডের বারতি কাঠের সাথে
রোজার নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসে, মুখে কিছু বলার চেষ্টাও থেমে যায় । সব শক্তি ক্ষয় হতে থাকে তার নির্ণয় আরো কিছুটা ঝুকে আসে ধীরে ধীরে মাথা নিচু করে রোজার গলার কাছাকাছি চলে আসে…
“কি করছেন টা কি আপনি!”

রোজার গলা কাঁপছে , চোখে মুখে এক রাশ বিরক্তি সাথে অস্বস্তি যোগ হয়েছে তাতে।
নির্ণয়ের হাত থামে না। হাতে প্যাঁচানো বেল্টের শেষ প্রান্তটা শক্ত করে গিঁট দেয় সে । তারপর একপলক তাকিয়ে থাকে রোজার চোখের দিকে।
বেঁধে নিচ্ছি,
“নাহলে এরা আমাকে বাঁধা দিবে।”
তা বেঁধে কি হবে শুনি?
চোখ সরু করে ধীরে ধীরে বলে রোজা।এবার আর গলায় কাঁপুনি নেই, চোখে অসীম কৌতূহল ।
– ভোরের মিষ্টি আলোতে রাতের কালো পিরিতটা হবে বেইবি । তৈরি হয়ে নাও একবার শুরু হলে থামতে অনেক দেরি ।
লজ্জায় মিইয়ে যায় রোজা , গলার শুকিয়ে আসে তার। শরীর জুড়ে হালকা কাঁপুনি ঠোট ভিজে উঠছে নিজের অজান্তেই‌।

নির্ণয় লজ্জাবতীর লজ্জা আরো কিছুটা বাড়াতে হাতের নাক ঘসতে লাগে রোজার গালে।
কি ভেবেছিস , আমার নাকের ডগায় চালাকি করে বেঁচে যাবি ?
লজ্জা বতী গাছের মতো একবারেই মেইয়ে যায় রোজা। চোখ খিচে বন্ধ করে নেয় । নির্ণয় মুখ তুলে কিছু টা সময় তাকিয়ে থাকে রোজার দিকে—গাল দুটো কেমন ব্লাস করছে মেয়েটার।
অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে ধরে নির্ণয় , ঠোঁট ছোঁয়ায় রোজার কাঁধের গাঁটে । বেশ লম্বা এক চুম্বন খায় সে কিছু সময় মুখ ডুবিয়ে থাকে তাতে। রোজা আঁকড়ে ধরে নির্ণয়ের গলা ।
ভোরের হালকা রোদ চোখে এসে পড়ছে জানালার পর্দা কিছুটা সরে গিয়ে। নির্ণয় ব্যস্ত তার একনিষ্ঠ কাজে ,
তার আঙুলগুলো ধীরে ধীরে নিচে নামছে ঠিক যেন তানপুরার তার ছুঁয়ে দেওয়ার মতো যত্নে, আঙ্গুলে উঠে আসছে শিহরণ, রোজার ঠোঁট ঠোট গলিয়ে বেড়ো চাপা শব্দ
প্লিজ নির্ণয় ভাই ,

রোজা তখন কাঁপছে…শুধু শরীর নয়, পুরো আত্মা জুড়ে কাপছে তার , নিঃশ্বাস ঘন ।
“এভাবে কাঁপছিস কেন? এখনো তো ঠিকমতো ছুঁইনি আমি…”
নির্ণয়ের গলায় এক মিষ্টি ধমক, কন্ঠে মাদকতা মিশ্রিত। মনে রোজকে পাওয়া কামুকতা আঙুলগুলো ধীরে ধীরে নেমে আসছিল রোজার কোমরের কাছে!
লজ্জা যেন আর ভর করে রোজার শরীরে , ইচ্ছে তো করছে মাটির নিচের ঢুকে তালা বন্ধ করতে ।
তুই যত লজ্জা পাবি , আমি ঠিক তত গভীরে যাবো জান ।
চোখ দুটো গোল গোল হয়ে যায় রোজার । ঠিক যেন রসগোল্লা , এই বুঝি কুঠির ছেড়ে বেড়িয়ে এলো বলে ।
ফিক করে হেসে ওঠে নির্ণয়। ডানে হাতে আলতো করে টেনে দেয় রোজার নাক আবারো মুখ ডোবার তার গলায় ।
তোর নেশা যেন মাদককেও হার মানায় জান।
তবুও তো সিগারেট খান !

রোজা চটপট উত্তরে ভরকে যায় নির্ণয় , প্রায় রোমান্স ভুলতে বসেছে । দুহাতে মাথাতে চেপে ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে বলতে থাকে
ফোকাস নির্ণয় , ফোকাস ।
মাথা টা*ল, সামনে নারী .. চল জলদি কাজ শুরু করি ।
রোজার বুকের ওঠানামা ধীরে ধীরে ছন্দহীন হয়ে উঠছে,
চোখে এক মিশ্র রেশ ভয় আর কামনার ।নির্ণয়ের হাত ধীরে ধীরে এক গভীর যাত্রায় নামে,তার আঙুলগুলো যেন কোনো কবিতার পঙক্তির মতো বয়ে যাচ্ছে রোজার ত্বকের উপরে।
প্রতিটা ছোঁয়া আগুনের শিখার মতোএকবার ছুঁয়েই যেন রেখে যাচ্ছে নিজের চিহ্ন।

সে এক হাতে রোজার ঘাড় ছুঁয়ে রাখে,আরেক হাতে নেমে আসে পিঠের নীচ থেকে,ধীরে ধীরে… কোমরের বাঁকে… তারপর আরও নিচে। রোজা বারংবার কেঁপে ওঠে দুজনে নিঃশ্বাস আঁচড়ে পড়ছে বদ্ধ বিছানায় …”
নির্ণয়ের আঙুল তখন বুকের খাঁজে যেন তামার ইস্পাতের মতো সেই উষ্ণতা । ধীরে ধীরে আরো এটু নিচে নামে সে … খুঁজে নিচ্ছে সেই জায়গা,যেখানে রোজা আর নির্ণয় আলাদা নয়,একটিমাত্র জোড়া মানুষ।
সময় যেন থেমে গেছে। চারপাশ নিঃস্তব্ধ শুধু শোনা যাচ্ছে‌ নিঃশ্বাসের চাপা গর্জন, হৃদয়ের ধুকপুক আওয়াজ, আর মাঝেমাঝে রোজার ঠোঁট থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষীণ অস্ফুট সাড়। দুটো শরীর, দুটো মন, দুটো অস্তিত্ব এখন যেন এক স্রোতে ভেসে চলেছে। একেকটা মুহূর্তে, নির্ণয় একটু একটু করে দখল করে নিচ্ছে রোজার হৃদয়, তার শরীর, তার নিঃশ্বাসের ভেতরের অলিন্দ।

হাপিয়ে উঠছে রোজা এদিকে সর্বাঙ্গ প্রায় অবশ , র্নির্ণয় নিজেও যেন ধৈর্যের প্রতিমা হয়ে ধীরে ধীরে, অবিরত, গভীরভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে রোজার প্রতিটি অনুভব। একেকটা স্পর্শ রোজাকে আরও নরম করে দিচ্ছে, আর ভিতর থেকে গলিয়ে দিচ্ছে তার সমস্ত বাধা, সমস্ত সংকোচ।
মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে দুটো নর – নারী শুধু শরীর নয়, আত্মাও। সময়টা যেন ধোঁয়াশা আলো-আঁধারিতে ডুবে থাকা এক বিষণ্ণ, রোমান্টিক স্বপ্ন। হঠাৎ নির্ণয় ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে, ‘
একটু জোরে দেই জান , হয়ে এসছে।

নির্ণয়ের কণ্ঠে অনুনয়, একটু তাড়না, আর কিছু দখলদারিত্ব কথাটা রোজার কানে ঢুকতেই তার শরীরটা কেঁপে উঠে। ক্লান্ত, ঘামে ভেজা শরীরে শেষ শক্তিটুকু দিয়ে খামচে ধরলো নির্ণয়ের চুলের গোছা চোখ বন্ধ, ঠোঁট কেঁপে উঠছে, নিঃশ্বাস ছাপিয়ে যাচ্ছে শব্দের সীমা। একটা তীক্ষ্ণ দীর্ঘশ্বাস ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এলো, যেন সমস্ত ব্যথা, সমস্ত ভালোবাসা আর সমস্ত হাল ছেড়ে দেওয়া মিশে আছে সেই নিঃশ্বাসে।
ধীরে ধীরে রোজার শরীরের প্রতিটা ভাঁজ চিনে নিচ্ছে নির্ণয় যেন এক অনন্ত ধৈর্য্য পরীক্ষা। রোজা নিজেও যেন তার অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়েছে নির্ণয়ের বাহুতে।
সময় কত গড়ালো জানা নেই দুজনের । ক্লান্ত শরীরে যেন নেতিয়ে পড়ছে তাদের । শরীরের প্রতিটা রক্তকণিকায় যেন ঘাম আর উষ্ণতার ধাক্কা। নিঃশ্বাস ভারি, হৃদয় ধীরে চলা ঘোড়ার মতো হেঁচকাচ্ছে। নিঃস্তব্ধ ঘরের ভেতর কেবলই শোনা যাচ্ছে শরীরের ঘর্ষণ থেমে যাওয়ার পরে জন্ম নেয়া নিস্তব্ধতা, যেটা ঘুম আর জাগরণের মাঝের একটা আবছা, বিষণ্ণ পৃথিবী।

চুপচাপ শুয়ে আছে রোজা , এক হাতে চেপে ধরে আছে নির্ণয়ের কাঁধ। চোখ আধবোজা, ঠোঁট দুটো ফাঁকা, নিঃশ্বাসে শীতলতার ছোঁয়া। অপর দিকে নিঃশব্দে কালো রঙের ছাদের দিকে তাকিয়ে আছে নির্ণয় ,একহাতে বুকে পড়ে থাকা রোজার চুলে আলগোছে আঙুল চালিয়ে যাচ্ছে সে ,
সময়টা অদ্ভুত দুজনের মাঝে নেই কোনো শব্দ ,নেই, কোনো তাড়া যেন এই একটি মুহূর্তে আটকে আছে সমস্ত জীবন। তবুও এক গভীর শূন্যতা পাঁজরের ফাঁকে ঢুকে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে ছেয়ে দিচ্ছে চোখ।
নিরবতা ভেঙ্গে ফোঁস এক নিঃশ্বাস ছেড়ে রোজা ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে,
আপনি সম্পূর্ণটাই আমার তাই না নির্ণয় ভাই ?

নিশ্চুপ নির্ণয় কোন উত্তর দেয় না সে , নিঃশব্দে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয় রোজার কপালে ।
ছিটকে কিছুটা দুরে সরে যায় রোজা । যেন এই মূহুর্তে এই নির্ণয় নামে কালসাপ কে খুব বিরক্ত লাগছে তার ‌।
“তুই থেকে থেকে এভাবে বাইলা মাছের মতো ছিটকে যাস কেন রোজ? কাছে আয় বলছি ।
নিশ্চুপ রোজা দাঁতে দাঁত চেপে মুখ বন্ধ রাখে সে । একদম উত্তর করবে না কোন কথার।
রোজ তোকে কাছে আসতে বলছি আমি , কাছে আয় ..!!
না আমার শরম করে ।।
এ্যাহ , শরমের নারী হা*গতে যায় মামা শ্বশুরের বাড়ি !
ছিঃ আমি মোটেও এমন করি না নির্ণয় ভাই , আমার বাড়িতে বিশাল বড় ওয়াস রুম আছে সাথে Expansive টয়লেট।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ২৮ (৪)

টয়লেট যত‌ই Expensive হোক না কেন ওর কাজ আমাদের হাগু গ্রহন করা আর আমাদের কাজ ত্যাগ করা তাই ভাব না দেখিয়ে কাছে আয় টপা – টপ কয়েকটা চুমু খেয়ে নি তোকে 😫
আপনার মুখে সিগারেটের বাজে গন্ধ ইয়াক থু আমি চাই না চুমু । আগে ব্রাশ করে আসেন । নোংরা লোক কোথাকার ..!!
কিহহহহ!
আবারো গন্ধ মুখে কথা বলছেন ছিঃ , পুরো ঘর দূষিত হলো ।

প্রনয়ের প্রথম পুরুষ পর্ব ৩০