প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩২
অলকানন্দা ঐন্দ্রি
ছুটিকে এক সমুদ্র অবহেলা উপহার দিয়ে আবির অন্য দিকেই মুখ করে ঘুমাল। কিন্তু বারবার এই মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছে মানাতে না পেরে হতাশ হলো। ভাবল ছুটি ঘুমিয়ে গেলে সে সুযোগ জড়িয়ে ধরবে। অথচ ছুটি ঘুমাল না। কেমন ফ্যালফ্যাল করে আবিরকে চেয়ে চেয়ে দেখছে। আবির দুইতিনবার যতবারই মুখ ঘুরিয়ে ছুটি ঘুমিয়েছে কিনা তা দেখার জন্য তাকিয়েছে ততবারই চোখে পড়েছে ছুটির সে অসহায় চাহনি। আবিরের নিজেরও বোধহয় খারাপ লাগল। নিজের ভেতরে ইচ্ছেকে আর এই মেয়ের এমন চাহনি ঠেকাতে সে হঠাৎই উঠে দাঁড়াল। এই রুম ছেড়ে আগের রুমেই গিয়েই শুঁয়ে পড়ল। বিড়বিড় করে বলল,
“ আস্ত একটা যন্ত্রনা আমার এই মেয়েটা। আমায় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করতে আর কিছুর প্রয়োজন নেই, এই একটা মেয়েই যথেষ্ট! ”
অন্যদিকে ছুটি ওখানে পড়ে থাকল অবহেলিত কোন জড়বস্তুর ন্যায়। সে বিশ্বাস করতে পারল না যেন আবিরের এভাবে চলে যাওয়াটা৷। প্রত্যাখান করল তাকে? এভাবে? সে বেহায়ার মতো এই ঘরে শাড়ি পরে এল, জড়িয়ে ধরল, তবুও মন গলল না? ছুটির কান্না পায় ভীষণ। উঠে গিয়ে একবার ও রুমের দরজাও ঘুরে আসে সে। আবির বিছানায় শুঁয়ে আছে! নিষ্ঠুর! নিষ্ঠুর! ছুটি বার কয়েক বিড়বিড় করে ফের এখানে এসে বসে থাকল থমথমে ভাব নিয়ে। অতঃপর যখন কেঁদে ফেলল বাচ্চা মেয়ের মতো ঠিক তখন গাঢ় গম্ভীর স্বরে আওয়াজ আসল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ আর দুই মিনিটও যদি তোকে জেগে থাকতে দেখেছি ছুটি, সোজা বাসা থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে আসব৷ ”
এইটুকু বলেই ফের পাশে শুয়ে পড়ল আবির। ছুটি তাকায়। একবার ও রুম, একবার এ রুম করছে কেন? চোখের কান্না আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে বলে,
” আমায় এভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন? কি কঠিন অপরাধ করেছি আমি? ”
ফের আবার বলল সে,
“ তখন দূরে সরিয়ে দিয়েছি বলে? ওভাবে আপনার কাছে টেনে নেওয়ার মাঝে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি বলে এমন করছেন?”
এইটুকু বলেই আবিরের বুকে ঝাপিয়ে পড়ল মেয়েটা। আবিরকে জড়িয়ে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়ে কান্নারত মুখটা আবিরের বুকে লেপ্টে রেখে বলে উঠল,
“ আপনি যা তখন চেয়েছিলেন তা আমি এখন চাইছি।শাড়ি পরেছি, কাছ ঘেষছি আপনার। বুঝতে পারছেন না? কাছে টানছেন না কেন আমায়? আপনার স্পর্শ চাইছি, প্রেম চাইছি,আপনাকে চাইছি আবির ভাই। এড়িয়ে যাবেন না আমায়। আমার কষ্ট হয় আপনার এমন আচরণে। ”
আবির সরাতে নিল ছুটিকে। ছুটি এবার ছাড়ল না। বরং আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে আবিরের জেগে থাকা অবস্থাতেই মুখ উঁচিয়ে বলে উঠল,
“ আপনি কি কোন ভাবে আমার প্রতি আর ইন্টারেস্টেড নন? অন্য কাউকে পছন্দ হয়েছে? তাই এমন করছেন? ”
আবির ভ্রু বাঁকায়। হালকা একটু রাগ দেখালেই বউয়ের প্রতি তার ইন্টারেস্ট সব হারিয়ে যাবে? এই ছুটির প্রতি? সম্ভব? শান্তিতে একটু রাগও দেখাতে পারবে না সে?আবির বড্ড হতাশ! নারীমন! এই যে অল্প এতটুকুতে ছুটি এতদূর পর্যন্ত ভেবে ফেলছে এর দায় সে কাকে দিবে? আবির শক্তপোক্ত ভাবে সেভাবে থেকেই গম্ভীর গলায় বলল,
“ তোকে প্রেম দিয়ে, ভালোবেসে ছুঁয়ে তোর বিরক্তির কারণ হতে চাইছি না। ঘুমা। ”
ছুটি ছাড়ল না। আবিরকে খামচে ধরে রেখে মুখ ছোঁয়াল আবিরের বুকে। নাক ঘষে আবিরের গলার কাছটায় আচমকা ঠোঁট ছোঁয়াল সে। বলল,
“ আমি আপনার ছোঁয়াতে বিরক্ত হই না। ”
আবিরের হাসি পেল। ঠোঁট বাঁকা হতে নিল। ইচ্ছে হলে ছুটিকে জ্বালাতে। কিন্তু বর্তমান রাগ অভিমান দেখাতে গিয়ে তা আর পেরে উঠল। তবুও গম্ভীর হয়ে বলল,
“ কি হোস তাহলে? ”
ছুটি এর সঠিক উত্তরটা দিতে পারল না। সম্ভবত সে নিজেও জানে না আবিরের ছোঁয়াতে তার কি হয়ে যায়। এক মিষ্টি অনুভূতি! মুখে বলল,
“ জানি না। ”
আবির হাসল মনে মনেই। উপরে মুখ গম্ভীর করে বলে,
“ ঘুমা বোকাপাখি। ছাড় আমায়। ”
ছুটি ঘুমাল না। আগের থেকেও শক্তপোক্ত ভাবে জড়িয়ে আছে আবিরকে। আবির ভেতরে ভেতরে এই জড়িয়ে ধরাটায় বড্ড শান্তি অনুভব করলেও উপরে উপরে শুধাল,
” এভাবে আষ্ঠেপৃষ্ঠে আছিস কেন? বিরক্ত হচ্ছি তো আমি। দূরে সরে ঘুমা।”
আচমকা শক্তপোক্ত ধমকে ছুটি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বলে,
“ হ্ হু? ”
আবির উঠতে নিল। বলল,
“ ঐ রুমে যাচ্ছি। তুই এখানে ঘুমা। ”
ছুটির চোখ টলমল করে উঠে যেন এই নিরব প্রত্যাখানে। কি এমন করেছে সে? আবিরের দেরি হচ্ছে দেখেই তো তখন দূরে সরাতে এমন করল। এমন তো নয় যে সে আবিরের স্পর্শ অনুভব করছিল না, এমন তো নয় আবিরের সান্নিধ্যে থেকে সে বিরক্ত হচ্ছিল। আবির তার চোখমুখ দেখে বুঝে নি? ছুটি এক হাতে আবিরের শার্টটা আঁকড়ে ধরল। আবির উঠতে নিয়েও ঝুঁকে পড়ল ছুটির উপর। ছুটির অতোসব না ভেবে বলল,
“ এমন কেন করছেন? কি এমন করেছি আমি?ভুলে যান না তখনকার ঐ ছোট্ট ঘটনা। আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি আপনাকে হার্ট করার জন্য বা ছোট করার জন্য কিছু বলিনি তখন। বিশ্বাস করুন ”
আবির ওভাবে ঝুঁকে থেকেই ছুটির দিকে তাকাল। গম্ভীর স্বরেই জানাল,
“ কেমন করছি আমি? ”
“ আমাকে অনেকঘন্টা যাবৎ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন যেন আমি কেউ নই। আপনি আমায় চেনেনই না। সবচেয়ে বড় কথা,আপনি এখন আলাদা রুমে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কি এমন করেছি আমি? একবার আপনাকে দূরে সরিয়েছি এটাই অপরাধ? এখন কাছ ঘেষছি, আপনি পাত্তা দিচ্ছেন না।জড়িয়ে ধরাতে হাত সরিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিদিন জড়িয়ে ধরে ঘুমান আমায়।আষ্ঠেপৃষ্টে এমন ভাবে থাকতেন যেন নিজের ভেতর ডুকিয়ে নিবেস। নিঃশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসত তবুও ছাড়তেন না। ওভাবেই ঘুমাতে হতো।অথচ আজ ব্যাতিক্রম।কেন বলুন? ”
আবির গম্ভীর ভাবেই জবাব দিল,
“ অন্যদিন তুই বিরক্ত হতি না, আজ বিরক্ত হয়েছিস! দূরে সরিয়ে দিয়েছিলি ধাক্কা দিয়ে তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি নিজ থেকে তোকে আর কাছে টানব না। ”
ছুটি মুখ উঁচু করল। বলল,
“ আমি নিজে থেকে কাছে আসলাম। ”
“ কিভাবে বুঝব? ”
“ কি করলে বুঝবেন? ”
“নাথিং!”
আবির যখন কথাটা বলে মুখটা সরিয়ে নিবে ঠিক তখনই ছুটি লাজলজ্জ্বার মাথা খেয়ে আবিরের মাথার চুলে হাত রাখল। মুখ উঁচিয়ে ঠোঁটজোড়া দিয়ে আঁকড়ে নিল আবিরের। অতঃপর আবির বেচারাকে এক উষ্ণ অনুভূতির পরশ দিয়ে মুখটা আবিরের গলায় নিয়ে বলে উঠে,
“আপনার মতো করে কাছে আসলে আপনি কাছে আসা ভাবেন নিশ্চয়? ”
আবিরের আসলেই হাসি পায় ছুটির পাগলামো দেখে। মনে মনে হেসে বলল,
“ আমার কন্ট্রোলের বারোটা বাঁজাচ্ছিস ছুটির বাচ্চা ছুটি? শাড়ি পরে এলোমেলো শাড়ি নিয়ে সামনে পড়ে আছিস। তার উপর এসব ডা’কা’তি! আমার ধৈর্য্যের আর কত পরীক্ষা? ”
কিন্তু মুখে বলল,
“ এমন করলে কিন্তু তোর কপালে কঠিন কিছু আছে ছুটি। তোর মুখ আমার গলা থেকে সরা বলছি এক্ষুনি! ”
“ আপনার অবহেলার থেকে তো কঠিন কিছু নয়। আমায় আপনার এই তীব্র অবহেলা থেকে মুক্তি দিন।”
আবির উত্তর করে না। শুকনো ঢোক গিলে। এই মেয়েটা যে তাকে অর্ধউম্মাদে পরিণত করতে চাইছে তা যেন সম্পূর্ণ টের পাওয়া গেল। অথচ আবির সম্পূর্ণ ভাবে চাচ্ছে নিজের অবস্থানে স্থির থাকতে। অথচ এই ছুটি যা শুরু করেছে তাতে তা সম্ভব? তার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে এই মেয়ে? নাকি তাকে কন্ট্রোলল্যাস করে দিয়ে এই মেয়ে সুখ পায়?অন্যদিকে ছুটি আবিরকে চুপ থাকতে দেখে ফের বলে,
“ কথা বলছেন না কেন? আমার প্রতি আর ইন্টারেস্টেড নন আপনি তাই না? ”
আবির ঠোঁট গোল করে শ্বাস ছাড়ল। এই পর্যায়ে হুট করেই ছুটিকে চেপে ধরল যেন। দাঁতে দাঁত চিবিয়ে শুধাল,
“ আমার কন্ট্রোলের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করছিস? কন্ট্রোলল্যাস হলে এখনকার মতো ভদ্ররূপ দেখাব তোকে আমি? ভেবে চিন্তে তারপর আমার কাছে এসেছিস এখন তাই না? তোকে তো আবার আমার কাছে আসতে নাকি ভাবনা চিন্তা করে আসতে হয়? তাই না?”
ছুটি ছোটশ্বাস টানে এইবারে। আবিরের দিকে চেয়ে বলল,
“ আমি আপনার স্পর্শ আজীবন চাই। আজীবন আপনাতে হারাতে চাই। আজীবন আমি আপনাকেই চেযে এসেছি, চাই। ভেবেচিন্তে দেখার হলে আমি কিশোরী বয়স থেকে আপনার জন্য নিজের জীবন উৎস্বর্গ করতাম না আবির ভাই। ঐ কথাটার এত গভীর অর্থও ছিল না যতোটা আপনি ভাবছেন। ”
“ শিওর? ”
ছুটি উত্তর করে,
“ শিওর। ”
আবির ঠোঁট বাঁকায়। হুট করেই আঁকড়ে ধরে ছুটিকে। নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। অতঃপর ছুটির থেকে দ্বিগুণ আগ্রাসী হয়ে ছুটিকে কাছে টানল। কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে,
“ আমি ধৈর্য্য হারালে তোকে তোর শাস্তির কানায় কানায় বুঝিয়ে দিব ছুটি। ”
রাহা অফিস জয়েন করলেও দাদাজানের আশাস্বরূপ সে বিজন্যাসে কোন কাজই করল না। দুদিন যাবৎ অফিসে সে শুধুশুধুই আসছে আর যাচ্ছে৷ সময় কাঁটাচ্ছে, আবার চলেও যাচ্ছে। রোহান সবকিছুই খেয়াল করল সূক্ষ্ম নজরে।অতঃপর নজরদারি করতে করতে হঠাৎ দেখা গেল রাহা সাদিয়ার সাথে ভাব জমিয়ে ফেলেছে। সাদিয়ে এই দুইদিনে দুইবার এসেছে কেবল এবং এই দুইবারের অধিকাংশ সময়ই রাহা সাদিয়ার সাথে ছিল। কি এত গল্প করল কি এত জানল রোহান নিজেও জানে না। অন্যদিকে রাহা আজ সকাল থেকেই থমথমে মুখ করে বসে আছে। সকাল বেলাতেই তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে রোহান সাদিয়াকে নিয়ে বাইরে গিয়েছে। লাঞ্চ করে এসেছে বাইরে থেকে। এমন কি সাদিয়ার সাথে ভাব জমিয়ে সে এইটুকু বুঝতে পেরেছে তাদের দুইজনের খুবই গভীর সম্পর্ক। খুবই ক্লোজ!
তাই তো। ক্লোজ না হলে লিপস্টিকের দাগ থাকত? লাঞ্চ করত? রাহা সবই বুঝল, সবই মানল তবুও কোথাও তার একটা চাপা রাগ করছে। রোহানকে ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। উপায় না পেয়ে সে এক পরিচিত বড়ভাই যে কিনা এই অফিসেই কর্মরত আছে তাকে নিয়ে বেরিয়েছে। এই খবরটা রোহান পেল তার একটু খানি পর। স্টাফটা মেয়ে হলে রোহান গুরুত্ব দিত না কিন্তু কথা হলো সে ছেলে। এবং এসেছে পর্যন্তই রাহাকে এই ছেলেটার সাথে কথা বলতে বেশি দেখা গিয়েছে।ছেলেটা রাহার কি হয় তাও অবশ্য অজানা। এদিকে রোহানকে একটু পরই একটা মিটিং এ জয়েন করতে হবে। রোহান যখন রাহার পিছনে নিজের পি এ কে লাগিয়ে দিয়ে মিটিং এর জন্য প্রস্তুত হলো ঠিক তখনই একটা ম্যাসেজ এল রাহার। রোহান ভ্রু কুঁচকায়। মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রাখতে চেখে পড়ে,
“ মিঃ রোহান ফারাবী?আমার ডিভোর্স চাই!প্লিজ তালাক বলে দিন মুখে। ”
আকস্মিক এই ছোট্ট ম্যাসেজটায় রোহান সর্বপ্রথম বিস্মিত হলো। এটা কেমন বার্তা? হুট করে এই সিদ্ধান্তেই বা আসবে কেন এই মেয়ে? রোহান দাঁতে দাঁত চাপল! কল ব্যাক করল রাহাকে। অথচ মুহুর্তেই জানতে পারল রাহার ফোন অফ! আচমকা রোহান রাগে চিড়বিড় করে উঠল। ইম্পোর্টেন্ট মিটিং ফেলে রেখে সে দ্রুত বের হলো গাড়ি নিয়ে। পি এর থেকে জানতে পারল রাহা এতক্ষনে বাড়ি পৌঁছিয়েছে। সে অনুযায়ী রোহান বাড়িতেই গেল। থমথমে মুখে দ্রুত পা ফেলে রুমে আসতেই দেখা গেল রাহা ব্যাগ গুঁছিয়েছে। আর কয়েকটা জিনিসপত্র ছোট ব্যাগটায় নিচ্ছেে রোহান কপাল কুঁচকে গিয়ে দ্রুত চেপে ধরল রাহার হাতটা। দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
“ হোয়াট ইজ ইওর প্রবলেম নবনী? ”
রাহা হঠাৎ হকচকিয়ে উঠলেও নিরব দৃষ্টি ফেলে। সামলে নিয়ে বলে,
“ কোন প্রবলেমই নেই। আমি একটু আপুর বাসায় যাচ্ছি। ওখান থেকে ভার্সিটিতে যাব। ”
একের পর এক মাথা খারাপ করা কথায় রোহান ফুঁসে উঠে। বলে,
“ বলেছিলাম না যেতে পারবে না? ”
রাহা নির্লিপ্ত স্বরেই বলে,
“ বাট হোয়াই? ”
শক্ত স্বরে উত্তর আসে,
“ বলতে ইচ্ছুক নই। কিন্তু তুমি যেতে পারবে নাহ। ”
রাহা হকত বোধহয় পিস্ট হচ্ছে রোহানের হাতের বন্ধনে। তবুও দৃঢ়স্বরে বলে,
“ কী আশ্চর্য! গেলে তো আপনার অসুবিধা হচ্ছে না মিঃ রোহান ফারাবী! বরং সুবিধাই হবে। ”
“ কি বলতে চাচ্ছো? ”
প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩১
“ দেখুন লাইফে একটা বিয়ে করার দরকার ছিল দাদাজানের কথাতে সে বিয়েটা করে ফেলেছি ইতোমধ্যেই৷ এখন আর কোন চাপ নেই তাই এই বিয়ে থেকে চলে যেতে চাচ্ছি। ”
রোহান দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে উঠল,
“ এত সহজ? বললেই হলো? তোমায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে নবনী, সময় দিয়েছি নাগালে পাওয়ার। তুমি সেই সুযোগটা কাজেই লাগালে না। স্যরি, স্যরি নবনী!”