ধূসর রংধনু পর্ব ৬
মাহিরা ইসলাম
তাসফি আজ থেকে বাসন্তীর রুমে থাকবে।
বাসন্তী তাকে অন্য রুম দিতে গেলে তাসফি মুচকি হেসে বলল,,
–” কি যে বলো না আপা, আমি একা একা কিছুতেই থাকতে পারবো না। আমি তোমার সঙ্গেই তাকবো। ও বাড়িতে তো রাতে দাদি কে নিয়ে ঘুমাতাম বুঝলে। অবশ্য তোমার সমস্যা হলে বলতেই পারো আমি কষ্ট হলে ও মানিয়ে নেবো।”
মানিয়ে নেবো কথটা যেন একদম তীরের মতো বাসন্তীর বুকে এসে ফোনা তুলল।
মানিয়ে নেওয়া বাক্যটা যে বড্ড বিষাক্ত। জানা সত্ত্বেও সে কি করে এই মিষ্টি মেয়েটাকে বিষের মাঝে পাঠাবে।
বাসন্তীর নিস্তব্ধ’র উপর বড্ড রাগ হলো।
তার ভাই সব বুঝেও কেন এমন অবুঝপনা করছে, সে কিছুতেই ঠাহর করতে পারছে না।
এমন মিষ্টি মেয়েটাকে কেন কষ্ট দিচ্ছে তার ভাই।
বাসন্তী পক্ষে তো আর জানা সম্ভব নয় তার ভাইয়ের মনের গোপন রহস্য। যদি জানতো এখনি সব নিমিষেই সমাধান করে ফেলতো।তার ভাইকে গাঙে ছুঁড়ে ফেলতো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নিস্তব্ধ আকাশে জুড়ে মিটিমিটি তাঁরারা জ্বলজ্বল করছে।যেন কালো রংয়ের মাঝে কতগুলো তার বিহীন অদৃশ্য ফেইরী লাইট জ্বেলে দেওয়া হয়েছে গগনের বুকে।ওসমান ভিলায় ও বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা।
কিছুক্ষণ আগে হিনমন্যতা ঢাকার আপ্রান চেষ্টা করছে সকলে।সঙ্গে তাসফির মনোভাব পুলকিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে সবাই। সে তা ঠিকই বুঝতে পারছে।
যেমন কিছুক্ষণ আগে ফিরোজা বেগম কোমড় দুলিয়ে হেঁটে এলো বাসন্তীর রুমে।বলল,
” শোন নাতী বউ একদম চিন্তা করবি না। ত্যাড়া নাতীর ত্যাড়া ঘাড় সোজা করা আমার দুই মিনিটের কাজ বুঝলি।ওর মাথার সমস্ত চুল ছে্টে আমি ন্যাড়া যদি না করেছি আমার নাম ও ফিরোজা বেগম নয় এই আমি বলে রাখলুম।বিয়াই মশাইকে একবার শুধু আসতে দে।মাঘ মাসের শীতে ওরে পঁচা পানির পুকুরে চুবামু আমি এই বলে রাখলাম। যখন ঠরঠর করে কাঁপপে তখন ওই হতছ্যাড়া আমার পায়ে পরবে। কান ধরে তোর কাছে ক্ষমা চাবে দেখে নিস নাতী বউ।”
তারপর নিলয় সাহেব এলেন, এসেই তাসফির মাথায় কিছুক্ষণ আদুরে হাত বুলিয়ে শান্ত্বনা দিয়ে গেলেন।
পায়েল ভাবী এসেও তাসফির পাশে বসে গল্পের আড্ডা জমিয়েছেন। যেন তাসফির মন ফুরফুরে তাকে।তাসফি কি কিছুই বোঝেনা। উহু সে সকলের ভাব মুর্তি বুঝতে পারছে।আর ছোট্ট পান্না তাসফির কোলের মাঝে বসে আছে।
ছোট্ট পান্নাও এর থেকে বাদ যায় নি।
পান্না তার ছোট্ট ছোট্ট আঙুলে তাসফির সারা মুখে বুলিয়ে বলল,,
” কাকিয়া,কায়িকা তুমি একদম মন খারাপ করো না। কাকাই কে বকে দেবো। এই এত্ত গুলা বকে দেবো।আমার কাকিয়ার সঙ্গে আড়ি করায় কাকাই সঙ্গে আজ থেকে আমারও আড়ি”
তাসফি মনে মনে ভীষণ মজা পাচ্ছে। সঙ্গে উপভোগ করছে সকলের আদর গুলো।এমন মিষ্টি আদর পায় না সে কত গুলো বছর। শেষ কবে মায়ের আদর অনুভব করেছিল তার হদিস নেই।অতীতের স্মৃতি নিষ্প্রাণ হচ্ছে ধীরে ধীরে। মানুষের বয়স যত বাড়ে শৈশবের স্মৃতি তেমনি মলান হতে শুরু করে।
প্রথমে খারাপ লাগলেও, এখন তার ওই অসভ্য ইস্তব্ধ, নিস্তব্ধ কে হাজারটা ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই যে ওই অহংকারী লোক যদি তাকে বের করে না দিতো।
সে সকলের এমন মিষ্টি আদর গুলো পেতো? পেতো না তো।সে কি বুঝতে পারতো এই কদিনেই সকলের মনের মাঝে কত খানি জায়গা করে নিয়েছে।
ভালোবাসা সত্যি সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর। যদি হয় তা একটি সয়ংসম্পূর্ণ পরিবার থেকে।
এই যে সবাই তাকে আদর করলেও ইয়ানা ভাবী মুখ বাঁকিয়েছে এতে তাসফি বুঝে গিয়েছে, ওই নারীর মনে অহংকারে পরিপূর্ণ। আর তাসফি সাবধান হয়ে গেল।অহংকারী নারীদের সংস্পর্শে থাকা ভয়ংকর। তারা তোমার নিষ্পাপ হৃদয়কেও অহংকারে পরিপূর্ণ করে দিতে পারে।তাই তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাই সর্বউত্তম পন্থা।
এই জন্যই বলে উপর ওয়ালা যা করেন ভালোর জন্যই করেন। তিনি যাহাই করুক না কেন এতে তোমার কল্যাণ নিশ্চিত। তাই আমাদের ওও তার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখা উচিত।
***অসম্ভব সুন্দর একটি সকাল। পাখির কিচিরমিচির শব্দে কেমন গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে ধরণী।কেমন মন মাতানো হালকা বাতাস বইছে।
বেলকনি তে থাকা ফুলগাছের পাতা গুলো কেমন না্চছে তাসফির আনন্দে।তারা ফিসফিস করে তাসফিকে জিজ্ঞেস করলো,
” হে সুন্দরী রমণী তোমার কিসের এত আনন্দ আমাদের ও জানাও,মোরাও একটু নিজেদের নির্জীব হৃদয়কে সতেজ করি।”
তাসফি বাতাসে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিলো।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাদা এপ্রোন গায়ে দিতেই কেমন শীড়শীড়ানো অনুভুতিতে ছেয়ে গেল মনটা।
নিজের স্বপ্ন কে পূরণ হতে দেখলে বোধহয় এমনি অনুভুতি হয়।
বাসন্তী দেখে ভারী অবাক হলো, ইসস মেয়েটাকে কি স্নিগ্ধ লাগছে।যেন চোখ ফেরানো দায়। মেয়েটার কাজল বিহীন মায়াবী চোখ যেন ঝলসানো রুপের ইঙ্গিত দেয়।
কে বলে কাজল কালো আঁখিতেই নারীর চোখ সুন্দর। কই তাসফির তো কাজল লাগছেনা। তাকে তো ওই আনন্দস্ফূর্ত চোখেই মায়াবী লাগছে ভীষণ।
তাসফি নিচে নামলে অনিমা বেগম তাকে মন ভরে দেখে।
মেয়েটা আজ নিজের স্বপ্নের ক্যামপাসে পা রাখবে।ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যেন তার পূরণ হয়। এই পর্যায় আসতেই তো তার আজ এতকিছু।এই স্বপ্ন পূণ না করলে কি হয়।নিজের ছেলে দ্বারা ওর প্রথম স্বপ্ন পূরন না হলে কি হবে। বাকি স্বপ্ন গুলো পূরণে সে সাহায্য করবে এই মেয়েটাকে।কখনো তিনি একা ভাবতে দেবেনা ওকে।
মেয়েটার সামনে যে অনেক বড় ঝড় আসতে চলেছে। সেই ঝড়ের তান্ডবে লন্ডবন্ড হয়ে যাওয়া উদ্দান কি করে গুছিয়ে নতুন করে সব শুরু করবে মেয়েটা তা সে যানেনা। তবে অনিমা বেগম সর্বদা সাহায্য করবে।
অনিমা বেগম মেয়েটার জন্য মন ভরে দোয়া করেন।
★ভীষণ ব্যস্ততার মাঝে কেটে গেছে দীর্ঘ একটি মাস
নিস্তব্ধ ইয়াসার আজ বাড়িতে নেই এক মাস যাবত। তাসফিকে নিজ রুম থেকে বের করে দেওয়ার পরদিনই সে প্লেনে করে পারি জমায় দূর অজানায় বিদেশের মাটিতে। তার ডাক্তারী কার্যকলাপে।কি কার্যকলাপ তা তাসফি জানেনা। তার জানার দরকারও নেই।
অতঃপর তাসফির সাথে অহংকারী পুরুষের না হয়েছে দেখা না হয়েছে কথা।থাকুক অহংকারী পুরুষ তার অহংকার নিয়ে তাতে এই তাসফি ইবনে আনহার কি। হুহ!
সে আছে তার নিজের দুনিয়ায়।
পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে তাসফির। এই ব্যস্ত শহরের মাটিতে পাখির কিচির মিচিরের আওয়াজ হঠাৎ মেঘে ঢাকা আকাশে চাঁদমামার দেখা পাওয়ার সমান।আজ ঘুম থেকে উঠে তাসফি সোজা জামা কাপড় নিয়ে এসে ঢুকলো নিস্তব্ধ’র রুমের ওয়াশরুমে। গত একমাস যাবত এই কাজটাই করে সে। অহংকারী ডাক্তারের না থাকার ফায়দা লোটে সে দারুণ ভাবে। এই যে তার ওয়াশরুমে গোসল করে মেয়েলি জিনিস সব ফেলে রাখা।ড্রেসিং টেবিলে সব তার ক্রিম, লোশন। ওয়্যারড্রোবে সব তার জামা কাপড়। সে যখন তখন এই বিছানায় এসে ঘুমিয়ে থাকে। অহংকারী ডাক্তারের পারফিউমের ঘ্রাণ মাখে নিজের গায়ে।মাঝে মাঝে ভাবনার সাগরে ডুবে গিয়ে রাতেও নিস্তব্ধ’র রুমেই ঘুমিয়ে পড়ে সে।
বিছানার সকল, বালিশ,কাঁথা, কোলবালিশে এখন তাসফির মেয়েলি সুভাষে আচ্ছন্ন।
তাসফি ভেবে রেখেছে যেদিন ওই লোক আসবে আগের দিন সে তার সকল জিনিসপত্র সঙ্গে সঙ্গে গুছিয়ে নিয়ে ফুরুত হবে।পগারপার হবে।ওই নিস্তব্ধ না বিস্তব্ধ তার আর টিকিটাও খুঁজে পাবে না।পাবে শুধু তার গায়ের মিষ্টই সুঘ্রান। আহাঃ কি শান্তি।
নানি হেঁসে হেঁসে বলেছে। “আরে দেখিস লো মেয়ে আমার নাতি আসলে তুই ওগুলো সরানোর ওও সুযোগ পাবিনা।”
তাসফি রাগ দেখিয়ে বলেছে “কেন সু্যোগ পাবোনা। আসলে তো বাসন্তী আপাকে জানিয়েই আসবে। সঙ্গে আমি ওও জেনে যাবো হুহ।সরো তো বুড়ি।”
“এই বুড়ির কথাই ফলবে তুই দেখেনিসলো মেয়ে।”
“সব সখিরে পার করিতে নেবো আনায় আনা,,
তোমার বেলায় নেবো সখি তোমার কানের সোনা গো।
ওহো আমি প্রেমের ঘাটের মাঝি……”
গান গাইতে তাসফি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো।
তার পরণে তোয়ালে উপরে শুধুমাত্র মেয়েলী বস্ত্রটি পরিধান করা।
তার খুব বাজে অভাস ওয়াসরুমে সে কাপড় বদলাতে পারে না। পানিতে সব ভিজে যায়। তাইতো প্রতিবার বাইরে এসেই কাপড় পাল্টাতে হয়।
দিনের আলোয় রুম এখন স্বল্প আলোকিত। আলসেমিতে সে লাইট জ্বালালো না। সেভাবেই কাপড় চেঞ্জ করে ফেললো।
অথচ রমণী একবারো ঠাহর করলো না বিছানায় কাথা গায়ে শয়নরত অবস্থায় একজোড়া তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন পুরুষালী চোখ তার সকল চঞ্চল কর্মকান্ড ভ্রু উঁচিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। রমণীর শরীরে মেয়েলী ভাজের অর্ধাংশ তো পুরুষটির তীক্ষ্ণ চোখ না চাইতে ও দেখে ফেললো।পুরুষটি চাইলেও নিজেকে আটকাতে পারেনি সেই অদ্ভুত বশিকরণ থেকে। রমণী কি তা একবারো টের পেলো না।
হাতে পায়ে ক্রিম মাখিয়ে তাসফি ঝটপট বেরিয়ে গেল রুম ছেড়ে। বড্ড তাড়া তার আজ। কলেজে প্রথম ক্লাস নেই তার।তাই ভেবেছে একবার ওবাড়িতে গিয়ে দাদীর সঙ্গে দেখা করে আসবে। আঁধাঘন্টার পথ। একঘন্টায় যাবে আর আসবে। সে পথেই কলেজে চলে যাবে।
কোনো রকমে ডিম সিদ্ধ আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে বেরিয়ে গেল। বাসন্তী তাকে কি যেন বলতে চাইলো তাও শুনলো না।
ওবাড়িতে গিয়ে তাসফি দাদিকে দেখে আবার তাড়াহুড়ো করে কলেজে পৌছালো।
প্রথমদিন মেডিকেল কলেজে পা রেখে তাসফির প্রথমে যে কথাটি মস্তিষ্কে এসেছিল তা হলো সে তার স্বপ্নের একদম চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গিয়েছে। এখানেই তাকে প্রচুর পরিশ্রম করে একজন ভালো ডাক্তার হতে হবে।
সে যখন ভর্তি পরিক্ষা দিলো সরকারিতে চান্স পেলো না প্রচুর কান্না করেছিল। তখন তাকে সন্ধ্যায় এসে বাবা বললো তাকে প্রাইভেট এ ভর্তি করবে।
খুব খুশি হয়েছিল সে। আনন্দে তার চোখ চকচক করছিলো।অথচ তাসফির একদমি মাথায় আসেনি তাদের মতো মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে কি করে বাবা তাকে প্রাইভেট মেডিকেলে পড়ালেন।কি করে পাবে এতগুলো টাকা।
তার এক মাসের মাথায় তাসফির বিয়ে হয়ে গেল। এক অজানা অচেনা পুরুষ মানুষের সাথে।
আর আজ একমাসের বেশি সে শ্বশুর বাড়িতে স্বামী ছাড়া। আহাঃ কি জীবন তার।
বিয়ের পর তাসফি বুঝতে পারলো বাবা কেন সেদিন তাকে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে পড়ানোর কথা বলেছিল।
তাসফি যখন বললো বাবা আমি এমবিবিএস শেষ করে বিয়ে করি। তখন তার বাবা তার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলো,, আমার যে তোকে পাঁচটা বছর প্রাইভেটে পড়ানোর এত টাকা নেই মা। তাই তোর এই বিয়ে। ওবাড়ি গিয়ে তুই তোর স্বপ্ন অনায়াসে পূরণ করতে পারবি রে মা। তাই তাসফি ওও স্বার্থ পরের মতো বিয়ের পিরিতে বসে গেল।তবে শুধুই কি তাসফির মেডিকেল স্বপ্ন পূরণের জন্য এই বিয়ে? উপর দিয়ে দেকতে সবটা যতটা সহজ।সবকিছু কি আসলেই এত সহজ?
না তো। সব কিছু যে সহজ নয়। মানবজনমের থেকে মানুষের চিন্তা ধারা যে আরো জটিল পর্যায়ে।
আজ তাসফি উপর থেকে তার বাবার কথায় বিশ্বাস করে ফেলেছে, কিন্তু আসলে কি কথা সত্য কি মিথ্যা রমণী বুঝবে কেমন করে?
ক্লাসরুমে প্রবেশ করে তাসফি প্রতিদিনের চাইতে আজ একটু বেশিই গুঞ্জন, ফিসফাস শুনতে পেল।
সে তৃতীয় বেঞ্চে তার বান্ধবী আশার পাশের গিয়ে বসলো।
আশাকে জিজ্ঞেস করলো,,
— “কি নিয়ে এত কথা হচ্ছে রে আশা?”
— আশা ওও সকলের মতো ফিসফিস করে বললো,
“আজ কলেজে নতুন একজন ডাক্তার এসেছে। ভীষন হ্যন্ডসাম দেখতে রে তাসফি।আমি তো ক্রাশ ভাই। ইশশ কি লুক কি এ্যাটিটিউড।ওসাম।”
তাসফি আশার বাহুতে থাপ্পর মেরে বললো,,
— “পাখির বাসা এমন ফিসফিস করছিস কেন।
আর হ্যন্ডসাম ডাক্তার দেখেই ক্রাশ খেতে হবে তোর। বাড়িতে ভাত খাসনি। নির্লজ্জ মেয়ে মানুষ। যদি তার বউ বাচ্চা থেকে থাকে।”
–” আরে মনে হয় না বউ বাচ্চা আছে। একদম ইয়াং। আর থাকলেও সমস্যা নেই।”
তাসফি আরো একটা মারলো ওর বাহুতে।
সে আশেপাশে তাকালো।শুধু গুঞ্জন। কার? নতুন হ্যান্ডসাম ডাক্তারের।
তাসফি ভেবে পায় না এরা কি করে ডাক্তারি পরতে আসলো। মানুষ এতো ফাউল প্যাচাল কেমনে পারে।
পরতে এসে ওও এদের ক্রাশ খেতে হবে তাও শিক্ষক কে দেখে।
আর এখন যুবক, সুদর্শন ডাক্তার কয়জনই বা আছে দেশে। সবার মাথায় টাক পড়া।পড়তে পড়তে তাদের মাথার চুল উধাও।
ধূসর রংধনু পর্ব ৫
তার কলেজে সুন্দরের মাঝে দুজন ডাক্তারই আছে।তার বর নিস্তব্ধ’র বন্ধু সুজন এবং হাবিব স্যার।
গুঞ্জনের মাঝেই হঠাৎ ক্লাসে স্যার প্রবেশ করলো।
আশা ইশারায় তাসফিকে দেখালো এইতো এইতো সেই আমার ক্রাশ ডাক্তার। উফফ’স।কি লুক দোস্ট।
প্রতিদিন এমন ডাক্তারের দেখা পেলে আমি প্রতিদিন ক্লাস করতাম সবগুলো।
আশার কথায়
সুদর্শন ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে তাসফির পিলে চমকে উঠলো।একি দেখছে সে তার সামনে সে ভুল দেখছে না তো।
বিস্ময়, হতভম্বে তার চোখ বড় বড় হয়ে গেল মুহুর্তেই।
এ কি করে সম্ভব।!