মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৭+৮
নওরিন কবির তিশা
সকাল থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিল নিঝুম আর শিশির। তাদের গল্প যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছিল না। সারা সকাল গল্প করার পর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা নিজেদের ঘরে গেল।
কিছুক্ষণ পর 🌺🌺
দরজার কলিংবেলের তীব্র আওয়াজে ঘুম ছুটে যায় শিশিরের। কলিংবেলের শব্দ বারবার হচ্ছে। বিরক্তিতে শিশির কানে বালিশ চাপা দিল । তারপরে তার মনে হল হয়তো কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে কেউ এসেছে। আর তহুরা মনে হয় ঘুমাচ্ছে ।বাড়ির সবাইও এখন বিশ্রামে। তাই কোন উপায় না পেয়ে নিজেই গেল। অন্যদিকে দরজার কলিংবেল বারবার পড়ছে। শিশির দরজা খুলতে খুলতে বলল,
“আরে বাবা এসে পারবো তো”
তবে দরজা খুলতেই একটা তীব্র ঘ্রাণ তাকে ছুঁয়ে যায়। সে তাকাতেই দেখতে পায়। নাহিয়ান মুখ গম্ভীর করে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। হাতে দুইটা লাগেজ মুহূর্তের শিশিরের মুখ চুপসে যায়। সে মনে মনে ভাবে
এই বেডার কি সারাদিন মুড অফ থাকে। আল্লাহর ওয়াস্তে কখনো যদি একটু হাসে। গোমড়া মুখো কোথাকার।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তবে নাহিয়ান শিশিরকে দেখে তাকে কোনরূপ ত্বোয়াক্কা না করেই তার পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। এবার একটু অপমান বোধ হয় শিশিরের ।বাড়ির কাজের মেয়ের সাথেও তো মানুষ এমন ব্যবহার করে না। শিশির এবার রাগান্বিত কন্ঠে বলে ওঠে
হোয়াটস প্রবলেম?? সমস্যা কি আপনার?? আমায় দেখে কি মানুষ মনে হচ্ছে না?? সবসময় জড় পদার্থের মতো ট্রিট করেন কেন আমায় হ্যাঁ?? বিরক্তিকর লোক কোথাকার😒😒
তবে নাহিয়ান তার কথায় একবারও সেদিকে ফিরেও তাকায় না। সিঁড়ি দিয়ে উঠে যায় নিজের রুমে উদ্দেশ্য। শিশির শুধু সেদিকে চেয়ে থাকে।
🌆🌆 সন্ধ্যায়……
বাড়ির সবাই জড়ো হয়েছে ড্রয়িং রুমে। শিশিরকেও ঘুম থেকে এক প্রকার টেনে তুলে নিয়ে এসেছেন নওরিফা খানম। নাহিয়ান নাকি সবার জন্য বিদেশ থেকে জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে। সেগুলোই দেওয়া হবে।
রুম থেকে লাগেজ গুলো নামাতে নাহিয়ান এর রুমে গেলেন আকবার হোসেন। দরজার বাইরে থেকে ডাক দিলেন,,
“নাহিয়ান বাবা। দরজাটা খোলো আমি লাগেজ গুলো নিতে এসেছি।”
ভেতর থেকে নরম কিন্তু গম্ভীর গলায় নাহিয়ান জবাব দিল,,
“আপনি চলে যান চাচা আমি নিজেই নিয়ে আসছি ।”
আকবর হোসেন আর কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন কারণ তিনি জানেন নাহিয়ানের এক কথাই শেষ কথা। অগত্যা সে নিচে চলে আসলো।
কিছুক্ষণ পর 🌼🌼
নাহিয়ান এক হাতে একটা লাগেজ টেনে নিয়ে নিচে নামল।
সবার দৃষ্টি তখন তার দিকেই আটকে গেল।
যেন এক পলক দেখতেই বোঝা যায়—এই মানুষটা সাধারণ নয়।
লম্বা, সুঠাম দেহ, নিখুঁত চেহারা, গভীর চোখ… একদম যেন হলিউডের কোনো মুভি ক্যারেক্টারের মতো!
নিঝুম প্রথম ছুটে এসে চিৎকার করে বলল,
“ভাইয়া! এটা কি সত্যিই তুমি?!”
নাহিয়ান হালকা হাসল, একমাত্র নিঝুমের জন্য নিঝুমের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল ,
“হ্যাঁ, আমি। তুই তো অনেক বড় হয়ে গেছিস, নিঝু।”
নিঝুম শুধু মুচকি হাসল। নির্ঝর এগিয়ে এসে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“ওয়েলকাম ব্যাক, মিস্টার হিডেন।”
নাহিয়ান একটা ছোট্ট হাসি দিল, যেটা যেন একদমই ইচ্ছাকৃত নয়, স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে এল।
এতপর নাহিয়ান একে একে তার পরিবারের সকলের সাথে কথা বলল। সকলকে তার গিফট বুঝিয়ে দিল। কিন্তু যখনই শিশিরের পালা আসলো…
নাহিয়ান অন্যমনস্ক হয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,,
“সরি ওটা মনে হয় আমার রুমে থেকে গেছে। মা, তুমি কিছুক্ষণ পরে গিয়ে নিয়ে এসো।”
কথার জবাবে নওরিফা বলল,
“এজন্যই আমি আকবরকে পাঠিয়ে ছিলাম। জানতাম তুই কিছু না কিছু ভুল করবি। আমার কিছুই করার নেই আমি এখন বের হব। আর কিছুক্ষণ পর ডেকোরেশন এর লোকজন চলে আসবে ডেকোরেট করার জন্য। তাই আমার আর সময় হবে না পারলে তুই পরে নুয়াকে দিয়ে দিস।”
নাহিয়ান গম্ভীর সুরে বলল,,
“আমার সময় হবে না।”
নাওরিফা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,,
“নুয়া,মা তুই একটু পরে গিয়ে নিয়ে আসিস তো।”
শিশির তখন নাহিয়ান সম্পর্কে কিছু খারাপ কথা বলতে গিয়েও থেমে গেল। সে বুঝলো সে যদি এখন সবার সামনে বলে, যে নাহিয়ান তাকে ইগনোর করে তাহলে মান সম্মান তারই যাবে। সবচেয়ে বড় কথা এখানে ইয়ালিনা আছে। আর তার সামনে শিশির কিছুতেই নিজের সম্মান নষ্ট হতে দিতে পারবে না। তাই সে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
প্রায় রাত আটটার দিকে🌙🌙
শিশির মনস্থির করতে পারছে না।
যাবে, নাকি যাবে না?
মনে মনে সে বুঝতে পারছে—যদি যায়, নাহিয়ান নিশ্চিতভাবে তাকে ঠাণ্ডা, কাঠের মতো ব্যবহার করবে।
আর না গেলে, কাল সকালে সবার সামনে সে মুখ দেখাবে কীভাবে?
বিশেষ করে, ইয়ালিনার সামনে?
রুমের এক কোণ থেকে আরেক কোণে সে পায়চারি করতে থাকল।
মনে মনে চলছিল একরকম যুদ্ধ।
শেষমেশ সে সিদ্ধান্ত নিল—যা হোক, গিয়ে দেখা যাক।
নিজের অহং, অভিমান সব গিলে সে বেরিয়ে পড়ল।
নাহিয়ানের রুমে দরজার সামনে এসে শিশির থমকে দাঁড়াল । চলে তো এসেছে কিন্তু দরজা তো ভিতর থেকে দেওয়া মনে হচ্ছে। এখন সে কি বলবে। ছোটবেলায় তো নাহিন ভাই বলে ডাকত। এখন তো তাদের সম্পর্ক সেরকম নেই।
তাহলে কি বলে ডাকবে?? শিশির কিছু না বলে দরজায় টোকা দিল। দরজাটা খুলে গেল। তার মানে দরজাটা ভিতর থেকে দেওয়াই ছিল না ভেজানো ছিল। শিশির ভেতরে ঢুকে দেখল রুমে কেউ নেই। শিশির নাহিয়ানকে ডাকতে গেল তখনই টের পেল ওয়াশরুমের ভেতর থেকে পানি পড়ার শব্দ হচ্ছে। সে বুঝলো নাহিয়ান মনে হয় গোসল করছে। কিন্তু অসময়ে গোসল। যাইহোক শিশিরের কি??
শিশির নিজ মনে নাহিয়ানের রুমটা দেখতে লাগলো। নাহিয়ানের রুমটা এবারের অন্যান্য রুমের তুলনায় অনেকটা বড়। তবে রুমে আসবাবপত্রের ভেতরে আছে একটা কাউচ, আলমারি একটা ড্রেসিং টেবিল আর বিলাসবহুল একটা পালঙ্ক। আর কিছুই নেই। থাকবেই বা কি করে? ওতো এতদিন দেশেই ছিল না। দেশে থাকলেও ঐরকম গম্ভীর লোকের ঘরে এর থেকে বেশি আর কিছু আশা করা যায় না।
হঠাৎই ওয়াশরুমের ভেতর থেকে বের হয়ে আসলো নাহিয়ান।
ভেজা চুল দিয়ে তখন ও টুপটুপ করে পানি পড়ছে। শরীর সম্পূর্ণ উন্মুক্ত শুধু তার কোমরে একটা টাওয়াল জড়ানো। এটাতো শৈল্পিক দেহকে এতটা আকর্ষণীয় লাগছিল যে শিশির নজর ফেরাতে পারলো না। কিন্তু পরক্ষণে নিজের এমন বোকামি দেখে সে নিজেই লজ্জা পায়। চোখ সরিয়ে দ্রুত ওপাশে ঘুরে বলে,
“স..সরি, সরি আমি আসলে বুঝতে পারিনি। আমি এখুনি চলে যাচ্ছি। আপনি চেঞ্জ করে নেন তারপরে আসতেছি।”
নাহিয়ান ও তাকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। পরক্ষণে নিজেকে আবার গম্ভীর করে বলে,,
“কারো রুমে ঢুকতে গেলে নক করে ঢুকতে হয় সেটা কি অন্তত জানিস না। আর এখন আর নাটক করে কি হবে যা দেখাতে তো দেখেই নিয়েছিস। বস আমি তোর জিনিস গুলো বের করে দিই।”
শিশির নাহিয়ানের দিকে পিছন ঘুরে বললো,,
“তার আগে আপনি প্লিজ চেঞ্জ করে নেন আপনি এরকম করে দেখতে কেমন জানি লাগছে।”
কথার জবাবে নাহিয়ান তার সামনে এসে বলল,,
“বেশি নাটক করা আমার পছন্দ নয়। যখন নক না করে আমার রুমে ঢুকে ছিলি তখন মনে ছিল না । এখন তুই বসবি,আমি এই অবস্থায় তোকে গিফট বের করে দিব।”
নাহিয়ান এর এমন কথায় শিশির কিঞ্চিৎ অবাক হলো।
নাহিয়ান আলমারি খুলে একটা লাগেজ বের করল। যাতে শিশিরের জন্য বিভিন্ন জিনিস ছিল। একটা বড় প্যাক ছিল । আর বাকি আরেকটা প্যাক যাতে ছোট ছোট অনেকগুলো বাক্স,যা ছিল র্যাপিং করা। কিন্তু শিশিরের মনোযোগ একদমই তার গিফটের দিকে নেই। সে অবাকের চরমসীমায় অবস্থান করছিল । যখন সে দেখল,নাহিয়ানের আলমারিতে আরেকটা লাগেজ যদিও সেভাবে বোঝা যাচ্ছিল না তবুও কিছুটা যা বোঝা গেল। তাতে খুব সম্ভবত লাগেজের উপর লেখা ছিল
Just for my “SUHASINI” (mine)
সুহাসিনী শব্দটা ইংলিশে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল। তাই বুঝতে বেশি অসুবিধা হলো না । শিশির আড়চোখে নাহিয়ানের দিকে তাকালো। আর মনে মনে বলল,
“এই গম্ভীর খাইস্টা বেডার আবার সুহাসিনী”……
সকাল থেকেই নাহিয়ান মঞ্জিলে ব্যস্ততার আমেজ। একে একে আসতে শুরু করেছে ইমতিয়াজ চৌধুরীর ক্লায়েন্ট, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনরা। নওরিফা খানমও কম ব্যস্ত নন। তাঁর পুরনো বান্ধবীরা আসবে যে আজ!
এদিকে শিশির তখনো ঘুমে নিমগ্ন।
নওরিফা খানম এসে দরজায় টোকা দিলেন।
একবার… দুইবার… তিনবার…
শিশিরের ঘুম হালকা হলো। ঘুমচোখে শুনতে পেলেন নওরিফার আওয়াজ:
— “কিরে! আজকেও কি দেরি করে উঠবি?”
শিশির এক ঝটকায় উঠে দরজা খুলে বলল,
— “আন্টি, আসলে খেয়াল ছিল না। কাল রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে গেছে তো…”
নওরিফা খানম কপালে হাত দিয়ে বললেন,
— “ব্যাপার না। তোকে তো প্রতিদিনই বলি! কিন্তু আমি যা বলেছিলাম, তা করেছিস?”
শিশির চোখ কচলে বলল,
— “কি বলেছিলে?”
— “আহা নুয়া! ভুলে গেলি? আমি তোকে বলেছিলাম আনায়াকে বলবি যেন আসে। যদিও আমি ওকে বলেছি, তার বাবা-মার কাছ থেকেও অনুমতি নিয়েছি… তবুও তোর একবার বলা উচিত ছিল, না? তোদের নিয়ে কই যাই! একদিকে নাহিয়ান— একদিন আগে এসে সব প্ল্যান নষ্ট করল। আর তুই?”
শিশির লজ্জা পেয়ে বলল,
— “সরি, আন্টি! আমি একদম ভুলে গিয়েছিলাম। দাঁড়াও, এখনই বলছি।”
নওরিফা খানম চলে গেলেন। শিশির স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ফোন করল আনায়াকে। সৌভাগ্যবশত, আনায়া বলল,
— “টেনশন করিস না! আমি রেডি আছি, এখনই বের হব।”
ফোন রেখে শিশিরও ছুটে গেল ওয়াশরুমে। তাকেও তো রেডি হতে হবে!
অন্যদিকে…
ইয়ালিনা সকাল থেকেই ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে। একটার পর একটা ড্রেস তুলে দেখছে আর ছুঁড়ে ফেলছে।
“উফফ! একটাও পছন্দ হচ্ছে না!”
শেষমেশ একটা ব্ল্যাক লং ফ্রক তুলে নিল। নিজের মনে বলল,
“নাহিয়ান ভাইয়ার ফেভারিট কালার তো ব্ল্যাক… আজ ও নিশ্চিত কিছু একটা ব্ল্যাক পরবে। আর আমি? আমি কেন তার সাথে ম্যাচ করব না?”
ড্রেসের সাথে চিকন ডায়মন্ড নেকলেস পরে সে নিজেকে আয়নায় দেখল। কালই দুইজন বিউটিশিয়ানকে হায়ার করেছে— আজকে তাকে সাজিয়ে দেবে। সাজানো শেষে আয়নায় তাকিয়ে এক ঠাণ্ডা হাসি দিল ইয়ালিনা। নিজের মনেই বলল,
“ওয়েট, শিশির শাহ, ইয়ালিনা চৌধুরী ইজ কামিং… আজকে দেখব সবাই কেমন তোমার প্রশংসা করে😏
এদিকে…
শিশির আজ পারপেল কালারের একটা গাউন পরেছে। সামান্য গর্জিয়াস, কিন্তু ভীষণ ক্লাসি। কাল রাতে নাহিয়ানের রুম থেকে উপহার নিয়ে আসার পর প্যাকেট খুলে দেখেছিল। বড় প্যাকেটটাতেই ছিল এই গাউন।
গাউনটা একদম তার পছন্দমতো— হেভি গর্জিয়াস নয়, বরং নরম, স্নিগ্ধ এক সৌন্দর্য।
সাথে একটা চিকন নেকলেস পরে নিল। তার ফর্সা গলায় সেটা চিকচিক করছিল। শিশিরের সাজ সাদামাটা— হালকা ফাউন্ডেশন, চিকন আইলাইনার, ঠোঁটে মেরুন লিপস্টিক। ব্যস, আর কিছু নয়।
নিচে ড্রয়িংরুমে বন্ধু-পরিজনদের সঙ্গে গল্প করছিল নাহিয়ান। হঠাৎ তার চোখ আটকে গেল সিঁড়ির দিকে।
ধীরে ধীরে নামছে একটা মেয়ের অবয়ব। পার্পেল কালারের গাউনে যেন কোন রূপকথার রাজকন্যা।
নাহিয়ানের চোখ আটকে গেল।
ঠিক তখনই পাশে জোরে একটা ধাক্কা। ফিরে তাকাতেই দেখে সাজিদ দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে।
নাহিয়ান ভ্রু কুঁচকে বলল,
— “হোয়াটস প্রবলেম??? তোর কারনে কি একটু শান্তি করে নিজের বউটাকে দেখতেও পারবোনা?”
সাজিদ ঠোঁট টিপে বলল,
— “উমম… এসেছে আমার বউবাদী জামাই রে! এত শখ? যা, সামনে গিয়ে বল ‘তুমি আমার বউ’ — দেখি না কেমন অবস্থা করে তোর !”
নাহিয়ান কিছু বলার আগেই পাশে রিদিত হেসে উঠল,
মাঝরাতের রোদ্দুর পর্ব ৫+৬
— “হায় হায়! শেষ পর্যন্ত আমাদের গম্ভীর সিআইডি অফিসার নাহিয়ান চৌধুরীও বউয়ের কাছে টাইট হবে! ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে!”
সাজিদ আর রিদিত— নাহিয়ানের বেস্ট ফ্রেন্ড। তবে সাজিদের একটা বাড়তি পরিচয়ও আছে— সে শিশিরের মামাতো ভাই।
তাদের এই ইয়ার্কি শুনে নাহিয়ান হেসে বলল,
— “শুধু টাইট? দরকার হলে ওর হাতে মরতেও রাজি আছি!”….