ধূসর রংধনু পর্ব ১১
মাহিরা ইসলাম
উত্তপ্তময় একটি রৌদ্রউজ্জ্বল সকাল।
বাতাস থেকে ভেসে আসছে ফুলেদের মনমাতানো মিষ্টি সুভাস।নিস্তব্ধ’র রুমের বেলকনিতেও রয়েছে কতগুলো ফুলগাছ ।লোকটা বোধহয় ফুল খুব পছন্দ করে।তবে যে ফুল খুব পছন্দ করে সে কি করে এমন কর্কশভাষী হতে পারে তাসফির জানা নেই।তাসফি তো জানতো যাদের ফুল পছন্দ তাদের মনটা হয় ফুলের মত শুভ্র। হৃদয়টা হয় ঠিক ফুলের পাপড়িগুলোর মতো কোমল।তবে তার অহংকারী ডাক্তার সাহেবের হৃদয়, মনটা এমন কঠোর নিষ্ঠুর হলো কি করে।
অনেক গুলো দিন পর আজ স্বামী- স্ত্রী তারা একসঙ্গে রাত্রী যাবন করেছিল। তবে সেটা কোনো মধুময় রাত্রী ছিল না। ছিল একে অপরের দিকে মুখ ঘুড়িয়ে,মুখ ভেঙ্গিয়ে ঘাপটি মেরে থাকা।
আজও তাসফি ঘুম থেকে উঠে নিস্তব্ধ কে বিছানায় পেলো না। এই লোক প্রতিদিন এত সকাল সকাল যায় টা কোথায়।
**তাসফি একদম রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো।
ফিরোজা বেগম বসে ছিলেন ড্রয়িংরুমের সোফায় বসা।
তিনি তাসফি কে কাছে ডাকলেন,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
–” এই মাইয়্যা এইদিকে আয় হুইনা যা দেহি।”
নানির কথায় তাসফি ভ্রু কুঁচকে চাইলো।
এগিয়ে গেলো তার দিকে । তাড়া দেখিয়ে বলল,,
— ” বলো, কলেজে লেট হয়ে যাবে দ্রুত বলো নানি।”
ফিরোজা বেগম তাসফির হাত ধরে তার পাশে বসালেন।বললেন,
-” থাম আমারে তোর কলেজ দেখাস না মাইয়্যা।
অতঃপর তাসফির হিজাবের নিচ দিয়ে চুল হাতড়ালেন।
তাসফি বাঁধা দিয়ে বলল,
–” আরে আরে কি করছো নানি। হিজাব খুলে যাবে তো আহাঃ ছাড়ো তো।”
ফিরোজা বেগম কপাল কুঁচকে অভিযোগ করে বললেন,,
–” প্রতিদন আমি এ কি দেখি বল তো নাতবউ। প্রত্যেকদিন চুল কয়রা শুকনা নিয়া ঢ্যাং ঢ্যাং করতে করতে বাইর হও। বলি ভেজা কবে দেখমু আমি শুনি? মরনের পরে।নাতি আমার বিয়ে করলো একমাসের বেশি। বিদেশ ঠিকা আইলো। তবুও তোমার চুল ভিজলো না এখনো।পেত্তেক দিন সক্কাল সক্কাল চুল গুলা শুকনা নিয়া তোমার কলেজ যাওন লাগে।বলি সু খবর টুখর কবে পাবো বলোতো দেখি আমি।”
তাসফি রাগ দেখিয়ে বলল,,
— “সেটা তুমি আমায় কেন জিজ্ঞেস করছো বলোতো বুড়ি। তোমার নাতিকেই জিজ্ঞেস করো না। কেন চুল ভেজে না। তোমার নাতি কাছে না আসলে আমি কি করতে পারি। তোমার নাতি একটা ইতর বদমাশ। খবরদার আর একবার যদি তুমি খালি আমায় ধরেছো বুড়ি।যত দোষ নন্দঘোস তাই না?”
তাসফি উঠে চলে যাবে তখন ফিরোজা বেগম দেখলেন নিস্তব্ধ নিচে নেমে আসছেন, সে তাসফির হাত ধরে আবার ঠাস করে বসিয়ে দিলেন।
তিনি ডাকলেন,,
— “এই যে গোলাপের পুতঃ এদিকে আহেন।আজকে আপনার খবর বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে এই বুড়ি বলে রাখলুম।”
নিস্তব্ধ কপাল কুঁচকে নানির দিকে এগিয়ে এলো।
ফিরোজা বেগম নিস্তব্ধ’র কান ধরে মোচর দিয়ে ধরলেন।
— ” আহঃ,কান ছাড়ো নানি লাগছে তো।”
তিনি বললেন,,
— লাগুক। লাগার জন্যই তো ধরেছি।বলি আমি কি সুখবর কোনোদিন পাবো না। আর কতদিন অপেক্ষা করোন লাগবো। বলি বউরে একটু আদর সোহাগ করোন যায় না। এত দূরে দূরে কি তোমাগো। নতুন নতুন বিয়া হইছে সোহাগ করবা। আদর করবা সারাদিন বউয়ের আঁচল ধইরা থাকবা। তা না করে থাকো বাইশ হাত দূরে কারণডা কও শুনি।প্রত্যেকদিন তোমাগোর চুল হুকনা পাই আমি কি কারণে।
নিস্তব্ধ আড়চোখে একবার তাসফির দিকে চাইলো।
তাসফি এতক্ষণ ভাবলেশহীন থাকলেও, নিস্তব্ধ’র সামনে সে লজ্জায় মূর্ছা যাচ্ছে। যদিও হোক তারও তো লজ্জা টজ্জা আছে নাকি।নানিরা এভাবে কেউ আদরের কথা বলে তাসফির জানা ছিল না।কি দমবদ্ধকর পরিস্থিতি। উঠে যাবে তাও পারছেনা। নানির নিষেধাজ্ঞায়। লোকটা কি ভাবছে তাকে।
নিস্তব্ধ এবারে নানির দিকে বিরক্ত নিয়ে চাইলো।
পরপর দুষ্টু হেঁসে ফিসফিস করে বলল,,
— “কেন নানি। আমাদের সুখবর না পেলে ও তোমার সুখবর তো দিতেই পারো। নানা নেই তো কি হয়েছে। নতুন নানা নিয়ে আসবো। তোমার তো ভরা যৌবন এখনো নানি। নতুন নানা তোমাকে অনেক আদর করবে বুঝলে। ”
ফিসফিস করে বললেও তাসফি প্রত্যেকটা কথা স্পষ্ট শুনলো।কতবড় বদ লোক। অসভ্য মানব।কে বলবে এই অসভ্য মানব নাকি ডাক্তার। তার উপর বউ ছাড়া থাকে। বদমাশ লোক।এই লোক এত বেশরম সে তো আগে বুঝে নি ছিঃ,ছিঃ।
কত্তবড় বদমাশ।এই লোক এমন বেফাঁস কথা বলতে পারে তার আগে জানা ছিল না।ছিঃ,ছিঃ, ছিঃ।
ফিরোজা বেগম চোখ বড় বড় করে নাতির দিকে তাকালো। তিনি এবারে দুহাতে নিস্তব্ধ’র কান টেনে ধরলো।বলল,
–” ওরে হাড়ামি, ওরে হতচ্ছাড়া এই ছিলো তোর মনে মনে।আজ তোর হচ্ছে।
শুনে রাখ এই ফিরোজা বেগম শুধু এক পুরুষেই আসক্ত ছিলো। হাজার পুরুষ আসলেও সে পাত্তা দিবে না। আর তোর ঠিক করা পাত্র কে তো মোটেও পাত্তা পাবে না। দেখা গেল তোর মত পাত্র ও ডুবলিকেট বের হলো।”
হাত ছাড়া পেতেই এই সুযোগে তাসফি ওখান থেকে মানে মানে কেটে পড়লো।
ইশশ ছিঃ, কি লজ্জা জনক পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে সে আগে পড়েনি। পড়বে কি করে আগে তো তার আর বিয়েও হয়নি।
নিস্তব্ধ শত চেষ্টা করে নাতির হাত ছাড়িয়ে টেবিলে গিয়ে বসলো।
অনিমা বেগম তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। মাকে বললেন,,
— “কি শুরু করেছো বলোতো মা। ওদের যখন ভালো লাগবে তখন সব হবে। তুমি কেন খিচাচ্ছো বলোতো।তাছাড়া মেয়েটার কি বয়স হয়েছে বলো।”
ফিরোজা বেগম ফিসফিস করে বললেন,
-” আরে রাখ তুই বয়স হয়নাই তা কি আমি জানিনা,কিন্তু দুইডায় এমন একশো ডজ্জন দূরে দূরে থাকলে তো আল্লায় পাপ দিমু। বুজোস না এখন ওগো কাছা কাছি তো থাকতে হইবো।সে বাইচ্চা কাইচ্চা নাহয় পরে হইলো সেই ডা তো দেখার বিষয় না। আল্লাহ আমারে বাঁচায় রাখলে ওগো ছাওয়াল মাইয়াগো দেইখাই মরমু।
অতঃপর ফিরোজা বেগম নিস্তব্ধ কে শুনিয়ে শুনিয়ে বিলাপ শুরু করলেন,,
— “হ্যাঁ সেই তো সেই তো। আমি কি। এই বুড়ি মরনের পর তোমার ছেলে তোমার জন্য নাতি নাতকুর পয়দা করবে।
নিস্তব্ধ অর্ধেক খেয়ে বেরিয়ে গেল। সময় নেই হাতে।
আজ তাসফিদের ক্লাসের প্রথম বেল শেষ হতেই দরজা সামনে দেখা গেল পিয়ন কে।
তাসফি বিনতে আনহা কে আছেন?
তাসফি জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
পিয়ন আবার বলল,,
— ” আপনাকে নিস্তব্ধ স্যার দেখা করতে বলেছে। ”
ক্লাসের সকলে তাসফির দিকে আড়চোখে চাইলো।
তাসফি ভ্রু কুঁচকে নিলো, এই লোক এখন আবার তাকে কেন ডেকে পাঠালো।
তাসফি নিস্তব্ধ’র চেম্বারেরর সামনে গিয়ে দেখলো অসংখ্য রুগীর মেলা।
তবুও সে দরজায় নক করলো,,
ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো,,
–” কাম ইন।”
তাসফি নিঃশব্দে ভিতরে ঢুকে দেখলো। মানব একজন কে প্রেশক্রিপশন লিখে দিচ্ছে।
নিস্তব্ধ লেখার মাঝেই তাসফিকে ইশারায় পাশের চেয়ারে বসতে বলল। সেও বসলো।
আগত রুগী বেরিয়ে যেতেই তাসফি জিজ্ঞেস করলো,,
— “ডেকেছেন কেন?”
নিস্তব্ধ কথায় জবাব না দিয়ে তার দিকে একটা খাবারের প্যাকেট এগিয়ে দিলো।
তাসফি তা আড়চোখে একবার তা পরোখ করে গোসা করে বলল,,
-” কি?”
-” খাবার।”
– ” তো কি করবো”
-“খাবে।”
— “খাবো না।”
নিস্তব্ধ আদেশ সূচক বাক্যে শক্ত কন্ঠে বলল,,
— জানতে চাইনি। দিয়েছি মানে খাবে।পরবর্তী থেকে কখনো যেন ব্রেকফাস্ট না করে বের হতে না দেখি। খাবার ফিনিশ করো ফাস্ট।
মা বলল তাই দিলাম।ভেবো না তোমার প্রতি মায়া দেখাচ্ছি।
তাসফি ফিসফিস করে বলল,
একদম ডাহা মিথ্যা কথা।সে ঠিক জানে মা তাকে কিছুই বলেনি। সে নিজে থেকে খাবার দিচ্ছে। অথচ বদমাশ লোক টা মোটেও শিকার করবে না।কেমন মায়ের নাম বানিয়ে দিলো। তবে লোকটা বুঝলো কি করে খেয়ে আসে নি।সে কি সবসময় তার উপর নজর রাখে নাকি।আশ্চর্য!
তাসফি রাগ নিয়ে খাবার তুলে নিলো মুখে। যতই না বলুল তার ঠিকই খুদা লেগেছে।
নিস্তব্ধ এক পলক তা দেখে বই হাতে বেরিয়ে গেল। তার ক্লাস আছে। তারপর আবার রুগীর কন্ডিশন চেকআপ দিতে হবে।
খাবার শেষ করে তাসফি ক্লাসে এলো।
পরবর্তী ক্লাসটা নিস্তব্ধ’র পাঁচ মিনিট পরেই শুরু হবে।
সেদিনের মান্সা নামের মেয়েটা আজও তাসফির পথ আটকে দাঁড়ালো।
তাসফির প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হলো এই মেয়ের সমস্যা কোথায়। ভদ্রতার খাতিরে সে চুপ রইলো।
মান্সা বলল,,
–“স্যার আজ তোমায় ডাকলো কি জন্য।আজ তো কোনো কাজ ছিলো না।”
তাসফি ভ্রু উচিয়ে মান্সার দিকে চাইলো,বাঁকা হেসে মান্সার কানে কানে ফিসফিস করে বলল,,
–” ডাক্তার নিস্তব্ধ ইয়াসার আমায় রোমান্স করতে ডেকেছিলো বুঝলে।”
মান্সা চোখ বড় বড় করে চাইলো।
— মানে?
তাসফি এক ঝাঁড়ি দিয়ে বলল,,
— এই মেয়ে সমস্যা কি তোমার। স্যার কেন ডেকেছে সেটা স্যারের কাছ থেকেই জেনে নিও। আমায় বার বার প্রশ্ন করবেনা। আর হাত ছাড়ো বার বার হাত ধরবেনা।অসহ্য। স্যারের সম্পর্কে তোমার এত জানার আগ্রহ কেন বুঝিনা। নিজের লিমিটের মধ্যে থাকো না। আমায় কেন স্যার ডেকে স্যারের কাছেই নাহয় শুনো। এখনই তো তিনি আসবেন ক্লাসে।
মান্সা কিছু বলতে নিবে তার আগেই নিস্তব্ধ হাজির হলো।
সে থমথমে কন্ঠে বলল,
— কি হচ্ছে এখানে?
তাসফি কোনো জবাব না দিয়ে বেঞ্চে গিয়ে বসলো।
মান্সা আমতাআমতা করে বলল,,
— নাথিং স্যার। নাথিং।
নিস্তব্ধ ‘ গম্ভীর স্বরে বলল,,
–” ক্লাসের মাঝে এমন ঝটলা পাকাবেন না। একটা মহৎ পেশায় আপনারা নিয়োজিত হতে যাচ্ছেন। একজন ভবিষ্যৎ ডাক্তারের থেকে কোনো রুগী বিশৃঙ্খলা কামনা করে না। সো বি কেয়ারফুল।নিজের জায়গায় যান।
মান্সা মাথা নত করে নিজের বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়লো। নিস্তব্ধ স্যার তার সঙ্গে কথা বলেছে। ওও মাই গড। এতেই সে ভীষণ খুশি।তার মনে লাড্ডু ফুটছে।
ওই তাসফিকে সে পরে দেখে নিবে।
নিস্তব্ধ একবার আড়চোখে তাসফি কে পরোখ করে ক্লাসে মন দিলো।
** রাতে তাসফি ঘুমানোর আগে নিস্তব্ধ কে উদ্দেশ্য করে রাগ দেখিয়ে বলল,,
— “খবরদার আপনি যদি আর আমায় আপনার চেম্বারে ডেকেছেন। আমি কেন আপনার চেম্বারে যেতে যাবো বলুন তো।আপনার জন্য আমার অন্যের সাথে গলা বারিয়ে কথা বলা লাগে।
ঊদয় ভ্রু উচিয়ে চাইলো। বলল,,
— কেন। কি সমস্যা?
— জানিনা। বেশি কথা বলবেন না।
নিস্তব্ধ এই পুঁচকে মেয়ের রাগ রেখে আশ্চর্য হয়ে যায়। মাঝে মাঝে মনে হয় সে নয় এই মেয়েই তার শিক্ষক।
ওও এখন তো তিনি পুচকে নয়,এইটটিন প্লাস।
নিস্তব্ধ ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়ে।
নিজ কাজে মনোযোগী হয়।
রাতের অন্ধকারকে ছাপিয়ে ভোরের আলো ফুটে উঠে। সূর্য ঊদয় হয় ধরণীর বুকে। কি এক অপার বিস্ময়। প্রতিটা দিন নিয়ম করে সূর্য্যি মামা উঁকি দেয় পৃথিবীর বুকে। এ যেন এক অপরুপ জাদু।সাদা জাদু। যে জাদু মানব জাতীর নিত্য নতুন কাজে লাগে।কালো জাদু নয় যা মানুষের ক্ষতি করে।মানব জাতির কাজ কে ক্ষত বিক্ষত করে।
কলেজে যাওয়ার আগে ওসমান শেখ নিজ ঘরে ডেকে পাঠালেন নিস্তব্ধ আর তাসফি কে।
দুজনে পৌঁছেতেই দাদু তাদের অফার করলো সিলেট ভ্রমণের জন্য। যেহুতু তাদের অনেকটা দিনই তো হলো বিয়ে হয়েছে। কোথাও ঘুরে আসা দরকার।
কিন্তু দুজনের কেউ রাজি হলো না
অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলো।
ধূসর রংধনু পর্ব ১০
নিস্তব্ধ বলল,, তার ছুটি নেই। কেবলি নতুন হসপিটালে জয়েন্ট করলো সে।অনেক এক্সপেরিয়েন্স লাভ করা বাকি তার।এখন শুধু শুধু সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না তার।
তাসফি অযুহাত দেখালো। তার ক্লাস আছে ইম্পর্টেন্ট। মিস দেওয়া যাবে না। অতঃপর দুজনে চলে গেল ভিন্ন যানবাহনে। একজন গাড়ি অপরজন রিক্সায়।দাদু হতাশ হলেন। দুজনের গন্তব্য তো একই তবে কেন পথ টা ভিন্ন করে নেবে তারা। এক পথে থাকলে তো চলার পথ আরো সহজ হবে।একসঙ্গে পাশাপাশি, কাছাকাছি থাকলে তো কাঁধের বোঝা কম ভারী মনে হবে। সময় কম ব্যয় হবে। কবে বুঝবে তারা নিজেদের। কবে এক হবে তারা। কবে ধূসর রংধনু রঙিন করবে তারা।কবে?