ধূসর রংধনু পর্ব ১৫

ধূসর রংধনু পর্ব ১৫
মাহিরা ইসলাম

আজ রাস্তায় জ্যামটা মন হয় একটু বেশিই ছিল।তাই তো আধঘন্টার পথটা এক ঘন্টায় পারি দিতে হলো।অতঃপর নিস্তব্ধ’র গাড়িটা তাসফিদের একতলা বিশিষ্ট ছোট্ট বিল্ডিংয়ের সামনে এসে থামলো।
পান্না প্রায় ঘুমিয়ে পড়ে ছিল। তাসফি পান্নার পেটে কাতুকুতু দিতে দিতে উৎফুল্ল চিত্তে বলল,
-” পান্না শোনা উঠো উঠো।নানা বাড়ি এসে গেছি তো আমরা।”

কাতুকুতুতে পান্না খিলখিল করে হাসতে লাগলো।
পরমুহূর্তেই হাততালি দিয়ে বলল,-” ইয়েয়ে নানাবাড়ি এসে গেছি”
সবাই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো।
মোস্তফা সাহেব কে দেখা গেলেো গেটের বাইরেই।ভদ্রলোক আজ মেয়ে আসার আনন্দে কোনো কাজেই হাত লাগান নি।কতদিন পর মেয়েটা আজ তার বাপের ভিটায় আসলো।
মোস্তফা সাহেব এগিয়ে গেলেন।
এসো বাবা এসো তোমরা ভেতরে চলো।
আয়েশা সালাম দিলো তাকে।
মোস্তফা সাহেবও তার মাথায় স্নেহের হাত বুলালেন।
তাসফি পান্নার কানে ফিসফিস করে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-” সোনা ওই যে তোমার নানুভাই।”
পান্না দু হাত বাড়িয়ে চেঁচিয়ে উঠলো,
–” নানু ভাই। কেমন আছো..?আমি তোমায় অনেক অন্নেক মিস করেছি এতদিন।তুমি কেন আসো নি?”
মোস্তফা সাহেব মুঁচকি হেঁসে তাকে কোলে নিলো।বলল,
-” এই তো চলে এসেছি দিদিভাই।”
অতঃপর কুসল বিনিময় শেষে তারা ভেতরে ঢুকলো।
বসার ঘরেই দেখা গেল তাসফির দুই চাচির হাস্যউজ্জ্বল মুখশ্রী।আর সঙ্গে তার চাচাতো ভাইবোন।
ছোট চাচির কলেজে পড়ুয়া মেয়ে আনিকা তার মায়ের কানে ফিসফিস করে আফসোসের স্বরে বলল,
-” দুলাভাই দেখতে কিন্তু একদম ফিটফাট কি বলো মা।বিয়ের দিন তো দেখতেই পারলাম না।ব্যাটা হুট করে গায়েব হয়ে গেল।ইশশ এমন একটা বর যদি আমার হতো।”
চাঁচিও মেয়ের মতো ফিসফিস করে বলল,

-” হুহ।ভাইজান বড়লোকের ব্যাটা দেখে মেয়েকে ওই সুন্দর ছেলেটার কাঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছে বুঝলি।এখন যদি তোর জন্য একটা ভালো সমন্ধ আনতে বলি,তাহলে দেখিস ঠিক কই থেকে টাকলা একটা কে ধরে নিয়ে আসবে।”
ছোট চাঁচি ও মেয়ের ফিসফিসানোর মাঝেই মেজো চাঁচি নিস্তব্ধ ও আয়েশার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নিলো।
ছোট চাঁচি মুখ বাঁকান তা দেখে।
-” ইশশ সব আদ্যিক্ষেতা।জানি তে সব টাকা পয়সার লোভে।”
পরমুহুর্তে সেও নিজের রং পাল্টে ফেলেন।
মেকি হেঁসে নিস্তব্ধ’র দিকে এগিয়ে যায়।
-” তা ভালো আছো জামাই বাবা? ”
আয়েশার দিকে তাকিয়ে বলে,

-” ওমা এ কে তাসফি, তোর জা নাকি?বাহ ভারী মিষ্টি দেখতে।ভালো আছো মা।”
-” জ্বি আন্টি আলহামদুলিল্লাহ। ”
মোস্তফা সাহেব গেলেন একটু বাহিরে।
কথার আভাস পেয়ে তাসফির দাদি কমলা বেগম হাক ডাক ছাড়তে ছাড়তে বাইরে বেরিয়ে আসে।
-” কেরা আইলো, আমার আনহু আইলো নাকি। কই দেহি মাইয়্যার রুপ কান দেইখা নেই।নাত জামাই সঙ্গে আইয়া পড়ছে নাকি।”
তাসফি দৌঁড়ে গিয়ে দাদি কে জরিয়ে ধরলো।

-” কেমন আছো বুড়ি।বাহ তুমি তো বেশ ফিটফাট হয়েছো আগের থেকে।”
কমলা বেগম তাসফির কান টেনে সরিয়ে বললেন,
-” এই মাইয়্যা তুই সর দেখি আগে আমার নাত জামাই মুখখানা দেইখ্যা লই।সালা এতদিন পর কেন আসলো আমাগো বাড়ি তার বিচার কইরা লই।”
নিস্তব্ধ এগিয়ে এসে দাদি কে সালাম দিলো,
-” আসসালামু আলাইকুম দাদি। ভালো আছেন?”
কমলা বেগম তার চশমা ঠেলে নিস্তব্ধ কে চোখ ছোট্ট ছোট্ট করে দেখে সালামের উত্তর দিয়ে বলল,
-” তা তুমি আইলা এহন ভালো হইয়া গেলাম বুঝলা নাতি।তা মাঝে মাঝে আমাগো বাড়ি আসতে পারো তো তোমার বউ ডারে নিয়া।এত ভয় পাও ক্যান।”
নিস্তব্ধ মাথা চুলকে মেকি হেঁসে বলল,

– “আসলে ওই দাদি সময় পাইনা তো তাই আসলে,,।”
দাদি থামলেন না হাজার টা প্রশ্নের বানে নিস্তব্ধ কে ঝাঁঝড়া করে দিতে লাগলেন।
যে নিস্তব্ধ বন্ধুদের আড্ডার আসরে সবসময় চুপচাপ থাকে,সে এই দাদির প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে হাঁপিয়ে যাচ্ছে।
নিস্তব্ধ মনে মনে বুড়ির গুষ্টি উদ্ধার করে দিচ্ছে। তাকে একটু বসতেও বলছে না কেউ।কি আশ্চর্য। আর দেখো তার অভদ্র বউ কেমন করে হেঁসে হেঁসে মজা লুটছে।
তাসফির মনে মনে বলে,

-” কাছে এসেছো বাঁছাধন এবার বোঝো ঠেলা।সারাক্ষণ এই তাসফিকে ধমকানো তাই না।সারাক্ষণ মুখখানাকে বাংলার পাঁচ করে রাখো কারণ ছাড়া।এবার কারণ নিয়ে একটু কাঁদো কাঁদো মুখ করো বাঁছা হুহ।”
মেজো চাঁচি গিয়েছিলেন নাস্তা পানির ব্যবস্তা করতে।এসে এই কান্ড দেখে তিনি তাসফির কাছে গিয়ে কান টেনে ধরে ধমক দিলেন।

-” এই যে কি করছো তুমি।জামাই কে এভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছ কেন।” ছিঃ ছিঃ ছেলেটা এতটা সময় দাঁড়িয়ে আছে।আশ্চর্য এই মেয়ের কি কোনদিন বোধবুদ্ধি বানাতে পারবেন না তিনি।”
মেজো চাঁচি হতাশ মুখে শ্বাশুড়ি দিকে এগিয়ে গেল।মাথার চুল পেকে বুড়ি হয়ে গেল।তবুও তার শ্বাশুড়ির ও কি কোনো দিন কাণ্ডজ্ঞান হবে না।
নতুন জামাই কে কেউ এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে।
-” আম্মা আপনি কি করছেন।কথাবার্তা তো পরেও বলা যাবে, ছেলেটাকে এভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন।যাও বাবা তুমি রুমে যাও ফ্রেস হয়ে নাও।এই তাসফি জামাই বাবাকে রুম দেখিয়ে দে যা। আবার দাঁড়িয়ে থাকে।”
উফফ নিস্তব্ধ এতক্ষণ যেন নিজের প্রাণ হাতে পেল।এমন গ্যাড়াকলে তো সে কোনোদিন পড়ে নি। তার নানি ও তো এত কথা বলে না।ইয়া খোদা।
তাসফি মুখ বাঁকিয়ে নিস্তব্ধ উদ্দেশ্য বলল,

-” আসুন জনাব।”
নিস্তব্ধ যত দ্রুত সম্ভব কেটে পড়লো।
ওরা যেতেই মেজ চাঁচি বললেন,
-” হ্যাঁ রে ছোট তুই জামাই বাবাকে বসতে দিবি না। এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখবি।”
ছোট চাঁচি বলল,
-“আমি কি করবো আপা।আম্মাই তো কথা বলছিলো।”
-” তুই ও না। কি যে করিস। আয় আমার সাথে হাত লাগা।ওদের নাস্তা পানি দিতে হবে তো।
মেজ চাঁচি মেয়ে রাহেলার দিকে তাকিয়ে বলল,
-” এই যে তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন যাও। ওদের রুম দেখিয়ে দাও।”
অতঃপর আয়েশার দিকে তাকিয়ে বলল,

-” যাও মা তোমরা যাও ফ্রেস হয়ে এসো।”
আয়েশা মুচকি হেঁসে বলল,
-” না না চাঁচি সমস্যা নেই।এই তো যাচ্ছি।”
আয়েশা পান্নার দিকে তাকিয়ে দেখলো পান্না তাসফির চাচাতো ভাইবোন দুটোর সঙ্গে খেলতে বসে গেছে।দুটোই পান্নার বয়সি।
দাদি বলল,
-” হ্যাঁ যাও যাও গিয়া ফ্রেস হইয়ালও।”
নিস্তব্ধ তাসফির রুমে ঢুকেই ঠাস করে তার বিছানায় বসে পড়লো। তার পা আর চলছে না। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তার কোমড় ব্যাথা হওয়ার যোগাড়। ইয়া খোদা ছেলেদের ও যে কোমড় ব্যাথা হতে পারে তা সে আজ বুঝতে পারলো।

তাসফি চেঁচিয়ে উঠলো,
-” এই কি করছেন, কি করছেন কি? নামুন।বিছনা থেকে নামুন বলছি।”
তাসফির চিল্লানোতে নিস্তব্ধ আবারো লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।তার মনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এই না আবার দাদি এসে কথা জুরে দেয়।
দাদির বদলে তাসফি কে দেখে বিরক্তি নিয়ে বলল,
-” কি ব্যাপার এভাবে চেঁচাচ্ছ কেন।বসেই তো আছি একটু খাট ভেঙে তো আর ফেলি নি।”
তাসফি বলল,

-” তো খাটে কেন বসছেন আপনি?
নিস্তব্ধ অবাক হয়ে বলল,
-“তো কোথায় বসবো। আশ্চর্য! ”
তাসফি এগিয়ে এসে কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
-” এই আপনার সাহস কত বড় এতসময় জার্নি করে এসে ফ্রাস না হয়ে বিছানায় বসে যাচ্ছেন।এই আপনি না একজন ডাক্তার। তাহলে আপনি এত অপরিষ্কার হলেন কি করে বলুন তো।আমার বিছানায় একদম ময়লা নিয়ে বসা যাবে না।”
নিস্তব্ধ চোখ ছোট্ট ছোট্ট করে বলল,
-” তো ডাক্তার তো কি হয়েছে।তোমার দাদির কথা যে ডাক্তারই শুনতে বসবে সেই না পাগল হয়ে যাবে।এই তোমার দাদা এত বছর যাবত টিকে ছিলো কি করে বলো তো।তোমার দাদির এতকথার ক্যাচালেই বোধহয় বৃদ্ধ পরপারে পারি জমিয়েছে।”
-” এই আপনি নামবেন।আমার দাদির কাছেই যান না শুনে আসুন।আগে আপনি নামুন।”
নিস্তব্ধ সয়তানি হাসি দিয়ে বলল,

-” নামতে হবে তো? এই নামলাম।”
বলেই নিস্তব্ধ নামার বদলে ঠাস করে বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে পড়লো এবারে।
তাসফি চোখ বড় বড় করে ফেললো।
কত্তবড় বদ লোক।এই লোক এখন কিনা তার সাথে ঝগড়া করার পায়তারা করছে।
তাসফি এগিয়ে গিয়ে বলল,
-” এই আপনি নামবেন না তাই তো?”
নিস্তব্ধ সয়তানি হেঁসে জবাব দিলো” নাহ।বিছানাটা আরামদায়ক। মনে হচ্ছে রাতে ঘুম ভালো হবে বুঝলে।”
তাসফি পাশ হতে বালিশ নিয়ে নিস্তব্ধ কে মারতে শুধু করলো।

-” এই মেয়ে কি করছো কি থামো।তোমার এই হাতুরে মারে কিন্তু আমি মোটেও ব্যাথা পাচ্ছি না বুঝলে।”
তাসফি এবারে নিজেও বিছানায় উঠে বসলো।দু হাতে দুটো বালিশ নিয়ে মারতে শুরু করলো।
নিস্তব্ধ থামাতে গিয়ে হঠাৎই তাসফির একহাতের কব্জিতে টান দিলো
তাসফি ব্যালেন্স রাখতে না পেরে নিস্তব্ধ’র শক্তপোক্ত পুরুষালী শরীরের উপরে উবু হয়ে পড়লো।
নিস্তব্ধ তাসফির বাম হাতের কব্জি চেপে ধরা।অপর হাত গিয়ে ঠেকলো তাসফির কোমড়ে। দুজনের ঠোঁট ছুই ছুই।
হঠাৎ এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দুজনে হতবাক হয়ে গেল। তাদের মোটেও কল্পনায় এমন কিছু ছিল না।
তাসফি নিস্তব্ধ’র দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো।তার বুকের মাঝে কেমন যেন ঢোল পেটাচ্ছে। কেমন শিরশিরানো অনুভুতি।পেট গুরগুর করছে। ইশশ কই সে আগে তো কখনো এমন অনুভূতি হয় নি।তবে আজ কেন হচ্ছে। সারা শরীর কেমন অবশ অবশ লাগছে তার।পুরুষ মানুষের,বিশেষ করে হালাল পুরুষের সংস্পর্শে বুঝি এমই অনুভূতি হয়?
নিস্তব্ধ ফিসফিস করে বলল,

-“এই যে মেয়ে তুমি এত ভয়ংকর কেন বলোতো?”
তাসফির মুখের উপরে কয়েক গোছা চুল এসে হানা দিয়েছে।নিস্তব্ধ একদৃষ্টি তাকিয়ে আছে সে দিকে।ইশশ গুলো বড্ড বেয়াদব তার বউয়ের মতো।
নিঃশব্দে সে তাসফির বাম হাতটা ছেড়ে দিয়ে কপালে আশা চুলগুলো সরিয়ে দিতে হাত বাড়ালো।তাসফি না চাইতেও চোখ বন্ধু করে নিলো নিমিষেই।
তখনই পান্না রুমে ঢুকলো। কাকাই-কাকিয়া কে এই অবস্থায় দেখে ছোট্ট পান্না কি বুঝলো কে জানে সঙ্গে সঙ্গে সে চোখে হাত দিয়ে পিছু ঘুরে বলল,

-” দেখে ফেলেছি, দেখে ফেলেছি।কাকাই কাকিয়াকে জরিয়ে ধরেছে।ইয়েয়ে… দেখে ফেলেছি । মাকে গিয়ে এক্ষুনি বলছি।
সব উচাটন অনুভুতির জোয়ার কে বিসর্জন দিয়ে নিস্তব্ধ আর তাসফি দুজনে দরজার দিকে চোখ বড় বড় করে চাইলো।
তাসফি ততক্ষণাৎ তার কোমড়ে থাকা নিস্তব্ধ’র হাতে জোড়ছে খামছি মাড়লো।
কোনো রকমে উঠে গিয়ে পান্না কে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল,
-” না সোনা।মাকে কিছু বলতে হবে না।কাকিয়া তো তোমায় চকলেট দেবে তাই না সোনা।এসব পঁচা কথা কাউকে বলতে নেই বুঝেছো?”
নিস্তব্ধ ততক্ষণাৎ চেঁচিয়ে উঠলো,

-“উফপ,গেছে,গেছে রাক্ষুসে মেয়ে তার হাতের মাংশ খাবলে ছিঁড়ে নিয়েছে।ইশশ! শেষ তার হাত শেষ জ্বলে যাচ্ছে। এই মেয়ে তোমার নখ কাটো না কেন।উফফ!
তাসফি ভেঙচি কেটে চোখ গরম করে বলল,
-” একদম বেশ হয়েছে।কত্তবড় সাহস তার কোমড়ে হাত দেয়।অসভ্য পুরুষ মানুষ।একদম ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না অসভ্য ডাক্তার । ”
পান্না ওও ততক্ষণাৎ বলে উঠলো কাকাই অসভ্য পুরুষ মানুষ ইয়েয়ে…
নিস্তব্ধ হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইলো পান্নার পানে।

এই মেয়ে তার সব কাছের মানুষকে হাত করে ফেলেছে কেমন করে দেখেছো।
নিস্তব্ধ উঠে গিয়ে পান্নার হাত ধরে বলল,
-” না মামনি।তুমি না কাকাই এর ভালো মেয়ে।একদম এসব পঁচা কথা বলে না বুঝেছো।তোমর কাকিয়া পঁচা বুঝলে।”
পান্না ততক্ষণাৎ না প্রতিবাদ করে উঠলো,
-” না না আমার কাকিয়া বেস্ট। তুমি অসভ্য। ”
নিস্তব্ধ হতবাক হয়ে চেয়ে রইলো।খেয়েছে তার ইজ্জ্বতের ফালুদা করে দিয়েছে এই মেয়ে।
-” না সোনা এসব পঁচা কথা মোটেও বলতে নেই কাকাই তো তোমায় চকলেট দেবে তো সোনা। অন্নেকগুলো চকলেট দেবে। ”

-” সত্যি দেবে তো? প্রমিস?”
তাসফি পান্নার হাত ধরে বলল,
-” না সোনা তুমি কাকিয়ার কথা শুনো সবাই কে গিয়ে বলবে,তোমার কাকাই,নির্লজ্জ, অসভ্য।
নিস্তব্ধ তাসফির দিকে কটমট করে তাকিয়ে থেকে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
-” সত্যি দেব তো সোনা। প্রমিস। অনেক গুলো চকলেট দেব তোমাকে মামনি।ভুলেও এসব কাউকে বলবে না ঠিকআছে। ”
-আচ্ছা

ধূসর রংধনু পর্ব ১৪

ইইয়েয়ে আমি এত্তগুলো চকলেট পাবো।কাকাই দেবে, কাকিয়া দেবে।কাকাই দেবে।কাকিয়া দেবে
বলতে বলতে পান্না বেরিয়ে গেল।
তাসফি ঠোঁট ভেঙছি কেটে নিস্তব্ধ কে এমন হেনস্তা হতে দেখে মিট মিট করে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল।
একদম উচিত শিক্ষা হয়েছে।কত্তবড় সাহস এই অসভ্য ডাক্তাররের তার মন ছোঁয়ার আগেই তার কোমড় ছুয়ে ফেলল।ওও মাই গড। ওও মাই গড।শিট। শিট!

ধূসর রংধনু পর্ব ১৬