প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৮

প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৮
অলকানন্দা ঐন্দ্রি

সিয়া আজ ইচ্ছে করেই কলেজ গেল না। ছুটি নিল। মাঝেমাঝে সে একা একাই ঘুরতে বের হয়। একা একাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিংবা কফিশপে গিয়ে কফিতে চুমুক রাখে। অনেকটা নিজের সাথে নিজে ঘোরাফেরা, নিজেকে ভালোবাসা, নিজেকে সময় দেওয়া বলা চলে। আজও তাই করল। পরনে লাল এর মধ্যে কালো পাড়ের একটা শাড়ি জড়িয়ে চোখে গাঢ় কাজল আঁকল। চুলগুলো খোলা রাখল। অতঃপর এই সিম্পল সাঁজ নিয়েই কাঁধে একটা ব্যাগ নিয়ে বের হলো সে এক দূরবর্তী নদীর উদ্দেশ্যে। যেখানে সে একা একাই যায়, একা একাই বসে থেকে নিরব সময় কাঁটায়, আবার একা একাই ফিরে আসে।

সময় হলে ওখানকার টং দোকানে মাঝেমধ্যে দুয়েক কাপ চা মুখে তুলে। আজ টং দোকানে সে গেল না। সকাল থেকে দুপুর অব্দি সে নদীর পাড়টায় বসে থেকে সে ফের ফিরে এল দুপুর আড়াইটার দিকে। অতঃপর দুপুরের ক্ষিধেটা মেটাতে গেল একটা রেস্টুরেন্টে। খেয়ে আবার কিছুটা সময় নিজে নিজে ঘুরব। ফুরফুরে মন! মাঝেমাঝে জীবনের বিষন্নতার মাঝখানে নিজেকে এমন কিছু ফুরফুরে সময় এনে দেওয়া উচিত। আনন্দ দেওয়া উচিত। এত দুঃখ পুষে জীবনে লাভ আছে? জীবনকে একা একাও উপভোগ করা যায় খুব করে। সিয়া তা ভেবেই হেসে রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার দিচ্ছিল। অর্ডার দিয়ে একা একা বসে থেকে যখন অপেক্ষা করছিল তখন দেখা হলো এক ভার্সিটি ফ্রেন্ডের সাথে। সম্ভবত বন্ধুদের সাথে এসেছে সে। সিয়া আড়চোখে একবার একটা টেবিলে ছেলেটার পুরো বন্ধুমহলকে দেখে হালকা কথা বলল। তারপর যখন ছেলেটা চলে গেল ঠিক তখনই আরো একটা স্বর এসে বাঁধল তার কানে। সিয়া চমকায়। ঠিক শুনল সে? তাকে নিশ্চিত করতে আবারও সে স্বরটা বলে উঠল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“ সিয়া? ”
সিয়া তাকায়। এই স্বরটা তার চেনা। আসলেই চেনা। সিয়া মুহুর্তেই সে মানুষটিকে কাছ থেকে আবিষ্কার করে কিছুটা চমকাল। সাথে সাথেই সেই বিস্ময় চেপে গিয়ে হাসল মৃদু। বলল,
“ হ্যাঁ, সাদ ভাই? কেমন আছেন? অনেকদিন পর দেখা আপনার সাথে। ”
সাদ হালকা হাসল।পরনে তার ফর্মাল ড্রেস আপ। এক হাতে সম্ভবত একটা কোট ঝুলছে। সাদ আচমকায় সিয়ার সামনের চেয়ারটা দখল করে বসল। তাকাল সিয়ার দিকে। আগের সিয়া আর এই সিয়ার মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ। এই সিয়াকে দেখতে ম্যাচিউরড,গম্ভীর রমণী লাগছে। মুখচাহনিও গম্ভীর। কথাগুলোও কি সুন্দর ম্যাচিউরড পার্সনদের মতো। সাদ অল্প হাসল। বলল,

“ রেস্টুরেন্টে কার সাথে এলে? বরের সাথে?”
সিয়া হাসে অল্প। তার আবার বর? কে? সিয়া তো একটা সময় মনে মনে ধরেই নিয়েছিল সামনের পুরুষটি তার বর হবে। সামনের পুরুষটিই তার জীবনের পথচলার সঙ্গী হবে। কিন্তু হলো কই? সিয়া হেসে শুধাল,
“ বরের সাথেই যে রেস্টুরেন্টে আসতে হবে তা কোথাও লিখা আছে সাদ ভাই? বর ছাড়া আসা যায় না? ”
” অবশ্যই যায়, তবে আমি সম্ভবত এই টেবিলটায় কিছুক্ষন আগে একজন পুরুষকেও দেখেছিলাম সিয়া। তাই জিজ্ঞেস করলাম। ”
সিয়া হাসে এবারে। বলল,

“ অনেকক্ষন থেকে খেয়াল করছিলেন নাকি আমায়? সাথে বউকে আনেননি? অন্য মেয়েকে খেয়াল করছেন দেখলে তো এতক্ষনে কপালে শনি থাকত আপনার। ”
আগের সিয়া কখনো এই কথাগুলো এভাবে হাসি হাসি মুখে বলতে পারত বলে সাদের মনে হয় না। তবে এখনকার সিয়া ভিন্ন। একদম ভিন্ন। সাদের যেন অদ্ভুত হাঁসফাঁস লাগল আগের সিয়াকে হারিয়ে। জানতে মন চাইল তার প্রতি কি এই মেয়েটার এখনো একটু হলেও অনুভূতি আছে? সাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে এই কথাটা ভেবেই। কেন থাকবে অনুভূতি? সেই সাড়ে ছয় বছর আগেই তো সে শুনেছিল সিয়ার বিয়ের খবর। সুহা নিজে তাকে ইনভাইট করেছিল সিয়ার বিয়েতে। শহর ছাড়ার ছয় মাস পর! সাদ সেবারে কি ভীষণ রাগ জেদ নিয়ে নিজের বন্ধুমহলও ত্যাগ করল। কন্ট্যাক্ট নাম্বার ও চেঞ্জ করল। সিয়া সিয়ার মতো ভালো থাকুক এমন একটা প্রতিজ্ঞা বুকে পুষে নিয়ে সে সর্বোচ্চ দূরে সরে গিয়েছিল।সাদ ম্লান হাসে। জবাবে বলে,

“ তোমার বর কেমন আছে? আমি খুবই দুঃখিত তোমার বিয়েতে আসতে পারিনি বলে সিয়া।”
সিয়া তাকায়। বিয়ের একটা নাটক সে করেছিল প্রায় ছয় বছর আগে। তাও সাদের জন্যই৷সুহাকে দিয়ে সে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ইনভাইট করেছিল। ভেবেছিল সাদকে একবার আনতে পারবে তার বিয়ের ইনভাইট করে। অথচ সাদ বরাবরের মতো নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে হাজির হলো না। উল্টে সাদের সাথে যোগাযোগ করার যে সিঙ্গেল ওয়ে ছিল সেগুলো অব্দি বন্ধ করে দিল। কি নিষ্ঠুর এই পুরুষ ! সিয়া হাসল। সত্যিই তো নিষ্ঠুর। নয়তো অন্য এক নারীকে বিয়ে করতে পারত? পারত না তো। মানল সে, সাদের জীবনে প্রথম নারী রাহা। কিন্তু রাহার পরবর্তীতে যে নারীকে জায়গা দিল সে নারী কী সিয়া হতে পারত না? সিয়ার বিয়েটা অবশ্য পরে সিয়া ভেঙ্গেই দিয়েছিল। সাদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে মাস দুয়েক ঘর বন্দিও ছিল। তারপর আস্তে আস্তে সুহা,স্বচ্ছ, স্নিগ্ধ, নিজের মা বাবার সবার প্রচেষ্টায় সে এখন অনেকটা হাসিখুশি! অনেকটাই প্রাণবন্ত। সিয়া হেসে শুধাল,

“ আমার বিয়ে? সেই সাড়ে ছয়বছর আগে?”
সাদের স্পষ্ট সময়টা মনে আছে। স্পষ্টই মনে পড়ে তার এখনো৷ তবে সে মুখে বলল,
” সময়টা তেমনই হবে বোধহয়।”
সিয়া এবারে বলল,
“ আপনি তো এমনভাবে লেজ গুঁটিয়ে পালালেন, বোধহয় ভাবলেন আমার সুইসাইডের দায়টা আপনার উপন গিয়ে পড়বে, সেই জন্যই এভাবে হাওয়া হয়ে গেলেন হুহ?”
সাদ গম্ভীর হয়ে তাকায়৷ বলল,
“ আমাকে কি কাপুরুষ মনে হয়? ”
“ না তো। ”

সাদ ফের কিছু বলতে নিবে তখনই ফের সিয়ার সে ভার্সিটির ফ্রেন্ডটা এসে বসল। একটা টিস্যু পেপারের মতো কিছু সিয়ার দিকে এগিয়ে দ্রুত বলল,
“ সিয়া, সিয়া? তোর জন্য একটা চিরকুট! জ্বালিয়ে মারছে ওরা এটা তোকর দেওয়ার জন্য, তুই প্লিজ মাইন্ড করিস। দরকার হলে পড়েই ফেলে দিস। ”
সাদ ভ্র কুঁচকে তাকাল। ছেলেটার দিকে তাকাতেই ছেলেটা সাদকে ইশারা করেই সিয়াকে শুধাল,
“ ব্রো কি আমাদের হবু দুলাভাই?ব্রো আবার জ্বেলাস হবে না তো? ”
সিয়া এবারে টিস্যুটা এগিয়ে ধরল। ছেলেটা আবারও হেসে কিছু বলতে নিতেই সিয়া হেসে বলল,
“ ব্রো এর অলরেডি একখানা বউ আছে ভাই। ব্রো তোদের হবু দুলাভাই হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ”
সাদ ভ্রু কুঁচকায়। হবু দুলাভাই সম্বোধনটা মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায়। অতঃপর জিজ্ঞেস করেই ফেলল,
“ তোমার বিয়েটা কি হয়নি এখনো সিয়া?”

সিয়াকে বলতে না দিয়ে মাঝপথেই সিয়ার সে বন্ধু সিয়ামই উত্তর দিয়ে বসল,
“ কিভাবে হবে, আমাদের সিয়া তো নিজেই বিয়েতে রাজি হয় না। আমাদের বন্ধুমহলের দুয়েকটা ছেলেও তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে পাঠিয়ে দিনরাত ম’রে যাচ্ছে। এখনও…..।কিন্তু উনি রাজি নন। ”
সাদকে বিভ্রান্ত দেখাল। বিভ্রান্তি নিয়েই সে বলল,
” আমি যে শুনেছিলাম ওর বিয়েটা রাজশাহীতে হয়েছিল।প্রায় ছয় বছর আগে.. ”
সিয়াম এবারেও ফট করে বলে বসল,
“ আপনি বোধহয় ভুল করছেন,সিয়ার সেই নাটক নাটক বিয়েটা তো শেষ পর্যন্ত হয়নি৷ সিয়া ভেঙ্গে দিয়েছিল বিয়েটা৷ ”

সিয়া বিরক্ত। প্রচুর বিরক্ত এই ছেলের প্রতি। ওকে এভাবে গড়গড় করে সব বলে দিতে কে বলেছে? রাগ হচ্ছে সিয়ার। অনেকটা দাঁতে দাঁত চেপেই বলে উঠল এবারে সিয়া,
“ সিয়াম! যাবি এখান থেকে? ”
সিয়াম সিয়র চোখ রাঙ্গানো দেখে উঠে গেল। জলদি যেতে যেতে বলল,
“ যাচ্ছি, যাচ্ছি! ”
সিয়াম যেতেই খাবার এল। সিয়া ফের সাদের জন্য কিছু অর্ডার দেওয়ার কথা বলতেই সে জানাল সে খেয়ে নিয়েছে। খেতে খেতেই একা বসে থাকা সিয়াকে তার চোখে পড়েছিল। সিয়া হাসে৷ সাদ ফের কৌতুহল দেখিয়ে শুধাল,
“কেন হলো না তোমার বিয়েটা?বিয়েটা ভেঙ্গে দিয়েছিলে কেন সিয়া? ”
সিয়া খাবার মুখে তুলল। হেসে বলল,

“ এমনিই! বিয়ে তো মানুষের লাইফে অতো ইম্পোর্টেন্ট না। আপনার কথা বলুন, বিয়ে কবে করেছেন? বউ বাচ্চাসহ হ্যাপি তো? ”
“ হু? ”
“ সেদিন রিক্সায় আপনার পাশে একটা মেয়ে দেখেছিলাম। সম্ভবত আপনার ওয়াইফ। তাই জিজ্ঞেস করলাম। ”
“ কোনদিন? ”
সিয়া হেসে তাকায়। বলে,
“ প্রতিদিনই বের হোন আপনারা? ”
সাদ জানাল,

“ আমি এখানে এসেছি কয়েকদিন হলো সিয়া। তোমাদের এলাকাতেই বাসা নিয়েছি তাই দেখা হয়ে যাচ্ছে বোধহয় বারবার।যদিও আমি তোমার দেখা আজই পেলাম। ”
সিয়া হাসল। বলল,
“ ওহ, একদিন আপনার ওয়াইফকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসবেন।”
“ অবশ্যই। ”
সিয়া উঠল। খাবারের এইটুকু অংশও যেন তার গলা দিয়ে নামছে। তবুও চেষ্টা করছিল সে খাওয়ার। অবশেষে না পেরে উঠে গেল। সাদকে বলল,

“ আজ আসি তাহলে, তাড়া আছে একটু। ”
সিয়া মিথ্যে বলছে। মোটেই তার তাড়া নেই। তবুও যাওয়ার জন্য বিদাল নিল। বিল মেটাতে গিয়ে হুট করে শুনল তার বিল পে করা হয়েছে। সিয়া ভ্রু কুঁচকায়। পরমুহুর্তে জানতে পারল সাদই দিয়েছে। সিয়া ফের ঘাড় ফেরাতে গিয়ে দেখল সাদ তার পেছনেই দাঁড়িয়ে। শুধাল,
“ সিয়া? সুহার কন্ট্যাক্ট নাম্বারটা দেওয়া যাবে? দয়া করে.. ”
সিয়া ভ্রু কুঁচকে শুধায়,

“ যোগাযোগ হয়নি আর সুহা আপুর সাথে? ”
সাদ মুখ গম্ভীর করে এবারে বলল,
“ যোগাযোগ করার পথ রাখিনি আসলে আমি নিজেই। ওদের কারোর সাথেই যোগাযোগ করিনি।দেওয়া যাবে ওর নাম্বারটা? ”
সিয়া হেসে বলল,
“ অবশ্যই। ”
এটুকু বলেই সে নাম্বার দিল। পরমুহুর্তেই এগিয়ে পা বাড়াল। আর সাদ সে চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করল,
“সিয়া? তুমি কি এখনো আমার প্রতি অনুভূতি পুষে আছো? নাকি মুঁছে নিয়েছো সবটুকু অনুভূতি? ”

সুহার হাতে একটা প্র্যাগনেন্সি রিপোর্ট।যা স্পষ্ট বুঝাচ্ছে প্রেগন্যান্সি রেজাল্ট পজিটিভ। আজ সকালেই সে হসপিটালে গিয়েছিল।সুহার চোখ টলমল করে যেন। স্বচ্ছকে এই খবরটা কখন দিবে তার জন্য অপেক্ষা করে। অতঃপর স্বচ্ছ যখন এল তখন সুহা কি বলবে বুঝে পেল না। অনেকক্ষন যাবৎ ভেবেচিন্তে সে স্বচ্ছর পিছুপিছু ঘুরঘুর করে বিষয়টা যখন জানাল তখন আচমকাই স্বচ্ছর মুখচোখ কঠিন দেখাল। সুহার দিকে তাকিয়ে শুধাল,
“ এটা কি খুব বেশি প্রয়োজনীয় ছিল সুহাসিনী? স্নিগ্ধ কি এনাফ ছিল না তোমার জন্য? ”
সুহার মুখের খুশিখুশি ভাব মুহুর্তেই নিভে গেল৷ স্নিগ্ধ তার জীবনে সর্বোত্তম সুখ। এটা সে অস্বীকার করতে পারে না। স্বচ্ছ কেন এই খানে স্নিগ্ধকে টানল? সে কি স্নিগ্ধাে ভালোবাসে না? সুহা শুধাল,

“ স্নিগ্ধর তুলনা আমি কখনো কারোর সাথেই করতে পারব না স্বচ্ছ। আমার স্নিগ্ধ আমার প্রাণের চাইতেও বেশি। তাই বলে আমি অন্য কারোর মা হতে পারব না এমনটা কি কোথাও উল্লেখ আছে? ”
স্বচ্ছ আচমকায় ঝাপটে ধরল মেয়েটাকে। শুধাল,
“ আমি তোমায় হারাতে পারব না সুহাসিনী। একবারে আমি বুঝে গিয়েছিলাম, আমার জীবনের উপর কি গিয়েছিল সেবার।”
সুহা শান্ত স্বরে বলে,

“ খারাপটাই কেন ভাবছেন? ”
“ কারণ আমি খারাপটারই সম্মুখীন হয়েছিলাম। খুব বাজেভাবে। ”
“ আচ্ছা? তিহানকে কি এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি? ”
স্বচ্ছ দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বলল এবারে,
“ ম’রে গেছে ও। ”
সুহা মুহুর্তেই তাকায়। বলে,
“ হু? ”
“ জানি না। বাদ দাও। ”
সুহা বাদ দিল। কিয়ৎক্ষন স্বচ্ছর বুকের হৃদস্পন্দন শুনে বলল,

প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৭

“ এবারে আমি সত্যিই সাবধানে থাকব স্বচ্ছ৷ খুশি হবেন না আপনি?খুশি হওয়া উচিত নয় কি আপনার? ”
স্বচ্ছ ছোটশ্বাস টেনে শুধায়,
“ ভয় হচ্ছে আমার সুহাসিনী। আবারও একই রিস্ক…আমি এবারে সত্যিই সামলাতে পারব না কিছু হলে। ”
সুহা আশ্বাস দিয়ে জানায়,
“ কিছু হবে না। আমি সত্যিই সাবধানে চলাফেরা করব।তাছাড়া আমার স্নিগ্ধ আছে তো আমার সাথে এবার। ”

প্রেমের সমর সিজন ২ পর্ব ৩৯