মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ২৯
ইশরাত জাহান
আজ দুই মাস পর নিজের ছোট লাইব্রেরী ঘরে আসলো হিয়া।আজকে পরীক্ষা শেষ তার।কতদিন সাহিত্যের সাথে সাক্ষাৎ করেনি সে।সবকিছু ছেড়ে থাকতে পারে কিন্তু সাহিত্য ছেড়ে থাকতে পারে না।পরীক্ষা দিয়ে আসার সাথে সাথে তাড়াহুড়া লাগিয়েছে কখন লাইব্রেরীতে যাবে।খাবার খেয়েই চলে যায় লাইব্রেরীতে।দুইমাস পর লাইব্রেরীতে পা দিয়ে যেনো নতুন কোনো রূপ দেখছে হিয়া। লাইব্রেরীর বইগুলো সব নতুন যেগুলো সে কিনবে বলে ভেবে নিয়েছে।
কিন্তু এখনই তার লাইব্রেরীতে নতুন বইয়ের সুগন্ধ ছড়িয়েছে।দেখে অবাক হলো।হিয়ার বই হিয়া নিজে কিনে থাকে।খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বইগুলো দেখতে থাকে হিয়া।হঠাৎ করেই কাধে কারো গরম নিঃশ্বাস অনুভব করতে থাকে হিয়া।পিছনে তাকিয়ে দেখে রুদ্র বুকশেলফে এক হাত ভর দিয়ে দাড়িয়ে তাকে আগলে রেখেছে।হিয়া তার চশমা চোখ দিয়ে দেখতে থাকে রুদ্রকে।লোকটার বয়স বেশি।কিন্তু করেনা কিছু।এভাবে বেকার বসে থাকার মানে বুঝে না হিয়া।সারাদিন বাইরে থাকে।মন চাইলে আসে না চাইলে আসে না।প্রায় রাতে তো বাড়িতেই থাকে না।গা ছাড়া দেওয়া রুদ্র সবার সাথে যেমন থাকুক হিয়ার সাথে যেনো তার ভিন্ন সম্পর্ক।হিয়া রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলে,”আপনি হুট হাট করে চলে আসেন কেনো রুদ্র ভাই?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমার খাঁচায় থাকা পাখিকে দেখতে।এই পাখিকে দেখলে যে আমার চোখদুটো জুড়িয়ে যায়।”
“এই পাখি খাঁচায় থাকতে চায় না।সে উড়ন্ত পাখি।আপনার খাঁচা থেকে উড়ে সে পারি জমাবে ভিনদেশে।”
“পাখি যেদিকেই যাক।দিনশেষে সে আমার কাছেই পোষ মেনে আসবে।এটা এই রুদ্রের বিশ্বাস।”
“অন্য মেয়েদের সাথে চলাফেরা করে কি আপনার স্বাদ মিটেনা।আমার কাছে কেনো আসেন ঘুরেফিরে?”
“আমার শখের নারী যে তুই।তাই তো অন্য নারীতে মিলে গেলেও আসক্তি হতে পারিনা।”
“আপনি একজন নষ্ট পুরুষ।আপনাকে সেদিন থেকেই ঘৃণা করি যেদিন নিজের চোখে দেখেছি আপনি অন্য নারীর সাথে মিলে ছিলেন।”
“অতীত কি ভুলতে পারিস না।বাইরের জগতে মিশতে গেলে এরকম একটু আকটু কিছু হয়েই যায়।কিন্তু তাই বলে কি জীবন থমকে যাবে?”
“কথা বলার ইচ্ছা নেই আপনার সাথে।সরে যান।”
রুদ্র হালকা সরে দাঁড়ায়।তারপর বুকশেলফের দিকে ইশারা করে বলে,”বইগুলো পছন্দ হয়েছে?”
“আপনি কিনেছেন বই?”
“হ্যাঁ।বইমেলায় গিয়েছিলাম।ভিন্ন লেখক লেখিকার বই এসেছে।যাবি নাকি আমার সাথে বইমেলায়?”
“যাওয়া যায়। আর বইগুলো সুন্দর আছে।কভার দেখে ভালোই লাগছে।”
বলেই হিয়া বই নিয়ে বসে পড়ে।নতুন বই পেয়ে ঘ্রাণ নিতে থাকে হিয়া।এটা তার খুবই পছন্দের ঘ্রাণ।রুদ্র হিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,”ভাবছি এবার থেকে তোর কাছে আসার আগে বইয়ের সাথে আলিঙ্গন করে আসবো।”
“কেনো?”
“যেভাবে বইগুলোকে নিজের করে ঘ্রাণ নিতে থাকিস।আমার গায়ে এমন ঘ্রাণ আসলে তুই হয়তো আমাকেও নিজের করে নিবি।”
হিয়ার হাসি পেলো রুদ্রের কথায়।হো হো করে হেসে দেয়।রুদ্র তাকিয়ে দেখতে থাকে তার হিয়াপাখির হাসি।মনে মনে আওড়ায়,”তুই চিরতরে আমার হয়ে নাই বা থাক কিন্তু তুই আমার হৃদয়ের স্মৃতি হয়ে থাক।”
রাতে,
হলরুমে বসে মিটিং চলছে।সপরিবার মিলে মিটিং করতে থাকে।রাজ ও মায়ার রিসেপশন পার্টি করা হবে।মাহমুদ সরদার ও বাচ্চারা সবাই মিলে আগ্রহী।কিন্তু মালিনী সোনালী ও মোহন সরদার এতে কোনো ইন্টারেস্টেড না।তারপরও এখানে বসে আছে মাহমুদ সরদারের জন্য।সবাই কেনাকাটা করে এনেছে।হাসি এসেছে আজকে।হাসির সাথে বসে মাহমুদ সরদার সহানুভূতির সাথে কথা বলছেন।হাসি ও মাহমুদ সরদার সামনা সামনি বসে আছে।দুজনের মুখেই মিষ্টি হাসি।এই সবকিছু বেয়ান বেয়াই হিসেবে চলছে।কিন্তু মালিনীর চোখে এগুলো বিষের মতো লাগতে থেকে।মালিনী সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেদিকে।সোনালী সুযোগ বুঝে বলে,”দেখেছো আপা এই মহিলা বাসায় আসা থেকে শুরু করে যে এরা কথা বলছে এই কথার এখনও শেষ নেই।”
মালিনী অগ্নি দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছেন তাদের দিকে।হিংসা যেনো বেড়েই যাচ্ছে।মায়া তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকে মালিনীকে।বুঝতে পারছে না মালিনী এমন কেনো করছে।ছোটবেলায় তো মালিনী এমন ছিলো না।তাহলে কি সঙ্গদোষে নষ্ট হয়ে গেলো।তবে মায়া তাকে সোজা পথে আনবে।
কথা বলার শেষ পর্যায়ে মাহমুদ সরদার বলেন,”তাহলে ডিসিশন ফাইনাল।মায়া মা যেহেতু নীল রং বেশি পছন্দ করে আর রাজের প্রিয় রং কালো তাই মেয়েরা নীল ড্রেস আর ছেলেরা কালো রঙের পাঞ্জাবি পরবে।”
হাসি সহানুভূতি দেখিয়ে বলে,”আপনারা যেমন বলেন।তাহলে আজ আমি আসি।”
মাহমুদ সরদার হাসিকে আটকিয়ে বলেন,”সে কি! কাল রিসেপশন তারউপর এখন গভীর রাত।আজ রাত আপনি এখানেই থাকেন। কাল অনুষ্ঠান শেষ করে যাবেন।”
“বাড়ি ফাঁকা রেখে এখানে মেয়ের শশুর বাড়িতে থাকাটা মানায় না।”
মায়া হাসির পাশে এসে বলে,”আজকে তুমি এখানে থাকবে।বিয়ের পর তোমাকে অনেক দিন কাছে পাইনি।আজ থাকো। আর তাছাড়া আমার শ্বশুর কিন্তু কাউকে এভাবে থাকতে রিকোয়েস্ট করে না।একমাত্র তোমাকেই করেছে।”
শেষের কথাটি মায়া মালিনীর দিকে তাকিয়ে বলে।ফোঁস করে ওঠে মালিনী ঘরে চলে যায়।রাত গভীর হতে যাচ্ছে তাই যে যার ঘরে চলে আসে।মায়া ঘরে আসতেই রাজের শক্তপোক্ত হাত তাকে দেওয়ালের সাথে আটকে ধরে।মায়া তাকিয়ে আছে রাজের দিকে।রাজ দুষ্টু হেসে বলে,”বউ আমার বর ছাড়া সব বোঝে।এত পালাই পালাই করলে হবে?”
“বর তো আমাকে ঠিকই খুঁজে নিয়েছে।”
“এভাবে বউ পলাপলি খেলতে থাকলে তো বউয়ের অগোচরে জারা বেইবী এসে ধরা দিবে।আমার বেইবী কিন্তু খুব এক্সসাইটেড আমাকে ধরার জন্য।।”
মাথা গরম হয়ে ওঠে মায়ার।মনে হতে থাকে তার শরীরের রক্তগুলো টগবক করে ফুটছে।রাজের মুখে অন্য নারীর কথা সহ্য করতে পারলো না মায়া।রাজের কলার চেপে ধরে উল্টো দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে,”আপনার ওই জারা বেইবীকে যদি না আমি পঁচা ড্রেনের পানি খাইয়েছি তো আমার নাম মেহেরুন জাহান মায়া না।একবার আসুক আপনাকে টাচ করতে পুরো হাত আমি কুচি কুচি করে সুপ বানিয়ে দিবো।”
“সেই সুপ আমাকে খেতে দিও।জারা বেইবীর শরীরের মাংসের সুপ।টেস্ট তো করতেই হবে।”
“দরকার পড়ে দশটা কুকুর পুষে জারার সুপ রান্না করে খাওয়াবো।কিন্তু আপনার আশেপাশে ওকে আসতে দিবো না।মাইন্ড ইট মন্ত্রী মশাই।”
“ভালোবাসো আমাকে?”
“ভালো বাসি আর না বাসি আপনি একান্তই আমার ব্যাক্তিগত পুরুষ।”
“শখের পুরুষ না হয়ে ব্যাক্তিগত পুরুষ হয়ে লাভ কি।এর থেকে ভালো আমার জারা বেইবী।আমি এট লিস্ট ওর শখের পুরুষ।”
“হওয়াচ্ছি ওর শখের পুরুষ।বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাঙ্গর মুখে ঢুকিয়ে দিবো আপনার জারা বেইবীকে।”
“ইশ হাঙ্গরটা যদি আমি হতাম।জারা বেইবী পেলো না আমাকে।”
“খুব শখ না বউ থুয়ে অন্য নারীতে আসক্ত হতে?”
“বউ তো আমার কাছেই আসে না।সেই বিয়ের রাতে একটু ভালোবেসেছিলো।এভাবে আমার সাথে সংসার করলে তো আমার ভবিষ্যতে প্রজন্ম আসবে না।জারা বেইবী হলে অন্তত বাবা ডাক শুনতে পারতাম।”
“আপনার মুখে জারা নামটা শুনতেই আমার কাছে বিষ শ্রবণের সমান অনুভূতি পায়।”
“তাহলে একটু বরের অধিকার পালন করতে দেও।ভালোবাসার সুযোগটা দেও বউ।”
“আপনি এখন অপবিত্র পুরুষ।ওই নষ্ট জারার নাম আপনার মুখে ডেকেছেন হাজারবার।এখন গোসল করে আসেন।”
“এই যাহ।এত রাতে বিনা কারণে গোসল করবো কেনো?”
“আপনি কিছু না করলেও জারার নাম তুলে অপবিত্র হয়েছেন।আপনার মুখে আমি যে কয়বার জারার নাম শুনবো সেই কয়বার আপনাকে আমি গোসল করিয়ে আনবো।”
“দেখো বউ।এই রাতে বিনা কারণে গোসল করতে পারবো না।ঠান্ডা লেগে যাবে তো।তার থেকে চলো গোসলের কারণ হয়ে আসি।”
“শাট আপ অ্যান্ড গো টু ওয়াশরুম।”
“ধুর!বিয়ের পর বউ কাছেও আসেনা আবার অন্য কাউকে খুঁজলে বিনা কারণে গোসল করিয়ে আনবে।আমার হিংস্র মায়াবতী।”
বলেই রাজ চলে যায় ওয়াশরুমে।মায়া হেসে দেয়।রাজকে উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছে।ভালোবাসার মানুষের মুখে অন্য নারীর নাম বিষের মতো লাগে।মায়া তো ভালোবাসার কাঙাল।ভালোবাসা পেতে মায়া এতকিছু করেছে। আর সেই ভালোবাসার ব্যাক্তি কি না অন্য নারীর নাম মুখে আনে।শিক্ষা তো তাকে দিতেই হবে।
গোসল করে এসে রাজ দাড়ায় মায়ার সামনে।মাথার চুলগুলো পানিতে ভেজা।গলায় ঝোলানো তোয়ালে।মায়ার সামনে এসে রাজ তার মাথা ঝাকুনি দিলো।মাথায় থাকা সমস্ত পানি ছিটে মায়ার মুখে এসে পড়ে।গলায় থাকা তোয়ালে মায়ার কোমড়ে পেচিয়ে রাজ বলে,”এবার কি বউয়ের ভালোবাসা পেতে পারি?বাবা ডাক শুনতে চাই তো।”
মায়া রাজের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে ওমনি ওদের কানে ভাঙচুরের শব্দ ভেসে আসে।তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে।ভাঙচুরের শব্দ নিচ থেকে আসছে।সেখানে মাহমুদ সরদার ও মালিনী থাকে।সিয়া আর হিয়ার ঘরের দিকে ভালোভাবে পরখ করে দেখলো রাজ।ওরা দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছে।তাড়াতাড়ি ছুটে গেলো শব্দের কারণ খুঁজতে।তানাহলে এসবের ইফেক্ট বোনেদের উপর পড়বে।যেটা রাজ চায় না।মায়াও রাজের পিছনে ছুট লাগলো।রাজ আর মায়া ওদের ঘরের সামনে এসে দাড়াতেই দেখতে পায় দরজা হালকা চাপানো আছে।দরজাটা এক হাত দিয়ে খুলে রাজ দেখলো মালিনী ভাঙচুর শুরু করেছে আর বলে,”কি আছে ঐ মহিলার মধ্যে যা আমার মধ্যে নেই।কই আমাকে তো এভাবে আটকাও না।ওই মহিলাকে কি সুন্দর আটকালে।”
মায়া ও রাজ অবাক হয়ে দেখছে।দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ঘুরে তাকালেন মাহমুদ সরদার ও মালিনী।রাজ ওদের দিকে তাকিয়ে বলে,”সারাদিন জনগণের সেবা করার পর র সময়টা বউয়ের সেবা করার সুযোগ পাই।তোমাদের জন্য তো এই সুযোগটাও হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে।তোমরা কি চাওনা আমি আমার বউয়ের সাথে সুখে সংসার করি?”
মাহমুদ সরদার ধমকে বলেন,”এটা কি ধরনের ব্যাবহার?এই শিখেছো তুমি?”
“বউকে পাবো পাবো করে যখন হাতছাড়া হয়ে যায় তখন অনুভূতিটা কেমন হয় জানো?অবশ্য জানবে কীভাবে!তোমার বউ তো আর হাতছাড়া হয় না।হচ্ছে তো আমার বউ।”
মালিনী এবার চিল্লিয়ে বলেন,”যা না বাবা।কর না তুই সুখে সংসার।আমাদের স্বামী স্ত্রীর ভিতরে আসছিস কেনো?”
“তোমরা স্বামী স্ত্রী রাতের বেলা বাড়ি ফাটাচ্ছো যে তাই।”
“শাট আপ।ঘরে যাও।স্বামী স্ত্রীর ভিতরে এসো না।”
“তোমরা স্বামী স্ত্রী মিলে আমাদের স্বামী স্ত্রীর শত্রু হয়ে আছো।কোথায় নিজেরাও সুখে সংসার করবে আর আমাদেরও করতে দিবে তা না বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করো।”
মালিনী ক্ষেপে যায়।মোহন সরদারের দিকে তাকিয়ে বলেন,”এই বানিয়েছো ছেলেকে?”
“ওটা বানাতে হয়নি।ছেলে আমার দীর্ঘ বছর সিঙ্গেল থাকার কারণে বেয়াদপ হয়েছে।”
রাজ ফোড়ন কেটে বলে,”দোষ তো তোমাদের।উপযুক্ত বয়সে ছেলের বিয়ে দিলে আজ দাদা দাদী ডাক শুনতে।”
মাহমুদ সরদার দুই হাত এক করে অনুনয় করে বলেন,”ভুল হয়ে গেছে বাবা আমার।এখন যা আমাদের দাদা দাদী ডাক শোনা।আমরা আর বাধা দিব না।”
রাজ মালিনীর দিকে তাকিয়ে বলে,”শোনো মা আমার বাবা বয়সের তুলনায় অনেক স্ট্রং আর হ্যান্ডসাম।কিন্তু আমার বাবা একজন সৎ পুরুষ।সে কখনও বউ থুয়ে এই বুড়ো বয়সে অন্য নারীতে আসক্ত হবে না।তাই রাত বিরাতে এভাবে আমার বুড়ো বাবার ঘরে ভূমিকম্প লাগিয়ে দিও না।তোমার ছেলের তার বউয়ের সাথে ঘুমোতে অসুবিধা হয়।গুড নাইট।”
মায়াবতীর ইচ্ছা পর্ব ২৮
বলেই মায়ার হাত ধরে নিয়ে যায় রাজ।মালিনী তব্দা খেয়ে বসে আছেন।মাহমুদ সরদার হা হয়ে আছেন।মনে মনে বলেন,”ছেলে আমার সাথে ফ্রেন্ডলি ছিলো ঠিক আছে।কিন্তু বউ আসার পর তো পুরোটাই বেঁকে গেছে।বউ কি তার লাজ লজ্জাকে মাটি চাপা করে দিলো।এ যে মেয়ে এ তো মানুষ খুন করে মাটি চাপা দেয়।হয়তো রাজের লাজলজ্জাগুলো খুন করে মাটি চাপা দিয়েছে।”