মধ্য রাতের চাঁদ পর্ব ৩৮
মুসতারিন মুসাররাত
ইচ্ছে ফোনের ওপাশ থেকে রীতিমত কান্না করছে। সে মাম্মার কাছে যেতে চায়। নীরব ফোন বুয়ার কাছে দিতে বলে। বুয়া জানায়— ‘প্রীতি ঘুমের ঔষুধ খেয়েছে। তাকে সার্থক হসপিটালে নিয়েছে। সেই থেকে ইচ্ছে একটানা কাঁদছে।
নীরব ঘড়ির দিকে তাকাল। নয়টা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি। প্রত্যাশার পরীক্ষা শুরু হবে ঠিক দশটায়। কিছুপল দাড়িয়ে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করল নীরব — কী করবে? কী করা উচিত?
একটা লম্বা শ্বাস ফেলে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিল।
ত্রস্ত পায়ে হেঁটে ড্রয়িংরুম পার হচ্ছিল। ঠিক তখনই মায়ের ডাক এলো,
-” নীরব? খেয়ে যাচ্ছিস না? না খেয়ে এভাবে কোথায় যাচ্ছিস?”
নীরব পেছন না ঘুরেই বলল,
-” এখন খাওয়ার সময় নেই মা। বাইরে কিছু খেয়ে নেব।”
নীহারিকা কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললেন,
-” এত তাড়াহুড়ো কেন রে বাবা? একটু ধীরে সুস্থে খেয়ে যা।”
নীরবের গলায় তাড়াহুড়োর ঝাঁজ,
-” বললাম তো মা, এখন খাওয়ার টাইম নেই।”
সকালে প্রত্যাশা ফোন দিয়ে দোয়া চেয়ে নিল। আজ থেকে পরীক্ষা শুরু জানেন নীহারিকা। তাই ভাবলেন, নিশ্চয়ই সেদিকেই যাচ্ছে নীরব। বলে উঠলেন,
-” সবে নয়টা বাজে, পরীক্ষা তো দশটায়। কিছু মুখে দিয়ে যা, দেরি হবে না।”
মায়ের কাছে প্রীতির ঘটনা আড়াল করে নীরব। অধৈর্য স্বরে শুধু বলল,
-” অন্য কাজ আছে।”
এতটুকু বলে ত্রস্ত হাতে দরজা খুলে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যায়।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রথম পরীক্ষার দিন কেমন একটা অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতি হয়। কিছুটা উত্তেজনা কাজ করে, আবার নার্ভাসনেসও থাকে। ****কলেজে প্রত্যাশাদের পরীক্ষা কেন্দ্র। প্রথম দিন একটু সময় হাতে নিয়েই এসেছে প্রত্যাশা। প্রত্যাশা বারবার হাতঘড়িতে সময় দেখছে। নয়টা চল্লিশ বাজে। নীরবের কোনো খোঁজখবর নেই। অথচ কথা ছিল নীরব প্রত্যাশার আগেই এসে উপস্থিত থাকবে। ফ্রেন্ডরা তাড়া দিচ্ছে। কোয়েল বলল,
-” অ্যাই প্রত্যাশা এভাবে গেইটে দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি? সবাই ঢুকছে, চল।”
প্রত্যাশা বারবার রাস্তা বরাবর চাইছে। ম্লান মুখে বলল,
-” তোরা যা আসছি আমি। আব্বু আছে সমস্যা হবে না।”
ফ্রেন্ডদের গার্ডিয়ান তাড়া দিতেই ওরা ভেতরে ঢুকল। শফিক সাহেব নরম গলায় বললেন,
-” প্রত্যাশা চল। সময় হয়ে আসছে যে মা।”
-” আব্বু তোমার ফোনটা একটু দাও তো।”
-” এখন ফোন? কোনো কিছু কী ফেলে এসেছো?”
প্রত্যাশা দুপাশে মাথা নাড়িয়ে বলল,
-” আরে না। ফোনটা দাও তো।”
শফিক সাহেব দ্বিরুক্তি না করে ফোন বের করে মেয়ের হাতে দিলেন। প্রত্যাশা একটু ফাঁকে গিয়ে নীরবের নম্বরে ডায়াল করল। রিং হয়ে কে”টে যাচ্ছে। দু’বার কল দিয়েই প্রত্যাশার মন ভার হয়ে গেল। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আব্বুর হাতে ফোন দিয়ে বলল,
-” চলো।”
পপুলার হাসপাতালের গ্রাউন্ড ফ্লোরে লিফটের সামনে ইচ্ছের হাত ধরে দাঁড়িয়ে নীরব। লিফটের তীর চিহ্নটা জানান দিচ্ছে, এটা এখন তিনতলায় উঠছে। নীরবের মুখ গম্ভীর হয়ে গেল। হাতঘড়িতে চোখ ফেলল; সময় এখন ঠিক নয়টা চল্লিশ। এক মুহূর্ত দেরি না করে ইচ্ছেকে কোলে তুলে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলায় উঠে। কপাল বেঁয়ে নীরবের ঘাম ঝরছে। করিডোরে নজর বুলাতেই মনাকে পেল। ইচ্ছেকে নামিয়ে বড় কদমে এগোল। আইসিইউর দরজার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে দু’হাতে ইচ্ছেকে উঁচুতে তোলে। দরজায় বসানো গোল কাঁচের ভিতর দিয়ে ঝাপসা দৃশ্য দেখা যায়; বেডে নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে প্রীতি। মুখে অক্সিজেন মাস্ক। ইচ্ছে কাঁচের ওপরে ছোট ছোট হাত রাখে। কান্নাভেজা কণ্ঠে ডেকে ওঠে,
-” মাম্মা…আ..আ।”
শব্দটা যেন দেওয়াল ছুঁয়ে ফিরে আসে। নীরব আস্তে করে বারণ করতে বলল,
-” ইচ্ছে এভাবে শব্দ করো না।”
নীরব মনাকে জিজ্ঞাসা করল,
-” কী অবস্থা?”
মনা চোখ মুছে নেয় হাতের আঁচলে। নাক টেনে বলল,
-” আমি তো কইবার পারি না স্যার। সার্থক স্যারই তো সব জানেন। উনি ত এইখানেই আছিলেন। মনেহয় এখন উনার রুমে গেছেন। স্যারই ভালো কইবার পারবো। স্যার দেহেন ওনার চেম্বারেই আছে।”
নীরব কথা না বাড়িয়ে ইচ্ছেকে নিচে নামিয়ে দাঁড় করায়। তারপর করিডোরে থাকা নার্সের ডেস্কের দিকে এগিয়ে যায়।
-” ডিউটি ডাক্তার কোথায়?”
নার্সটি মাথা ঘুরিয়ে পাশের কেবিনের দিকে ইশারা করে।
-” ওখানে স্যার। ভেতরেই আছেন।”
নীরব গিয়ে কেবিনের দরজায় টোকা দিয়ে ভেতরে ঢোকে। একজন ডাক্তার ফাইল লিখছিলেন। মুখ তুলে তাকালেন।
-” জি বলুন?”
নীরব দ্রুত স্বরে বলল,
-” আইসিইউতে যে পেশেন্ট আছেন। প্রিয়স্মিতা খান প্রীতি উনার কী অবস্থা?”
ডাক্তার ফাইল উল্টে পেছন দিকের পাতায় চোখ রাখলেন। ঠোঁট চেপে বললেন,
-” ওভারডোজ কেস। শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হয়ে আসছিল, তাই তৎক্ষণাৎ অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। আমরা গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ করে চারকোলও দিয়েছি। এখন আপাতত স্ট্যাবল। তবে এখনই কেবিনে ট্রান্সফার করছি না। প্রিতম স্যার রিস্ক নিতে চান না, তাই আইসিইউতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
নীরব উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
-” একটা ছোট বাচ্চা, ওর মাকে একঝলক দেখবে বলে কাঁদছে। পাঁচ মিনিটের জন্য ওকে ভেতরে যেতে দেয়া যাবে?”
ডাক্তার একটু ভ্রু কুঁচকে বললেন,
-” পেশেন্ট এখনো আধচেতন। চমকে উঠতে পারে। তবে আপনি নিজে সঙ্গে থাকবেন, একদম শব্দ না করে। আর হ্যাঁ পাঁচ মিনিট কিন্তু?”
নীরব কৃতজ্ঞভাবে মাথা নাড়ল।
নীরব মনাকে বলে ইচ্ছেকে নিয়ে একঝলক প্রীতিকে দেখিয়ে আনতে। ইচ্ছের সামনে উবু হয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলল নীরব,
-” ডোন্ট ক্রাই। তোমার মাম্মার কিছু হবে না। ঠিক হয়ে যাবে। আমি যাচ্ছি, তুমি গুড গার্ল হয়ে থাকবে। মনা যা বলে শুনবে? কেমন?”
ইচ্ছের চোখ মুছে দেয় নীরব। ইচ্ছে ছোট্ট করে ঘাড় কাত করল,
-” ওকে।”,
নীরব মনার দিকে তাকিয়ে বলল,
-” ইচ্ছের দিকে খেয়াল রেখো। চোখেচোখে রেখো।”
-” আইচ্ছা স্যার।”
নীরব সময় দেখল পঞ্চান্ন বাজে। সিঁড়ি বেয়ে ত্রস্ত নামতে লাগল। স্পিড বাড়িয়ে ঝড়ো বেগে বাইক ছুটে যাচ্ছে। অসুস্থ ভাইয়ের আমানত হওয়ার কথা ছিলো তার বউ- বাচ্চা। তবে প্রীতির আচরণে প্রীতির প্রতি সম্পর্কের নূন্যতম সম্মান, শ্রদ্ধাটুকুও আসে না নীরবের। বরং, ঘৃ*ণা হয় প্রচন্ড। তবুও একটা মানুষ যখন মৃ*ত্যু পথযাত্রী হয়, মৃ*ত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, তখন না চাইতেও কঠোর মনটা একটু হলেও মিইয়ে আসে। তবে তীব্র ঘৃ*ণা সাইডে রেখেই নীরব আসছে। ভাইয়ের আত্মা তার মেয়ে। সেই মেয়ের চোখের কান্না থামাতেই ছুটে আসা। তবুও সারাটাক্ষণ মাথার মধ্যে ঝিঁঝিঁ পোকার মতো ঝিনঝিন শব্দ তুলে যাচ্ছে —- প্রত্যাশার সাথে দেখা করতে হবে।
সেন্টারের গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকেই বিল্ডিংয়ের সামনে সাঁটানো পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর তালিকার কাছে দাঁড়াল নীরব। চোখ বুলাতে বুলাতেই পকেট থেকে ফোন বের করল। স্ক্রিন জ্বলে উঠতেই চোখ আটকে গেল; শফিক সাহেবের নম্বর থেকে আসা কলে। নীরব নিজের উপর নিজেই মেজাজ হারিয়ে বলল,
-” উফ্! ফোনটা সাইলেন্টেই ছিল দেখছি।”
প্রত্যাশা গতকাল রাতে মেসেজে রোল- রেজিঃ নম্বর দিয়েছিল। নীরব দ্রুত মিলিয়ে নেয়। ঘন্টা পড়েছে পাঁচ মিনিট খানেক হবে। নীরবের ঠোঁটের ফাঁক গলে বেরিয়ে এল,
-” ওহ্, শিট!শিট! আর পাঁচ মিনিট আগে এলেই হতো। এখন হলে ঢোকা সহজ হবে না। প্রটোকল ভেঙে যাওয়া তো মুশকিল।”
নীরব বিরক্ত শব্দ তুলে প্রথমে ইনভিজিলেটরের সাথে সাক্ষাৎ করে। নিজের পরিচয় দেয়। রিকোয়েস্টের সুরেই বলে নীরব,
-” আই নো, পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশে শৃঙ্খলা ও গোপনীয়তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্ব পালন ছাড়া ব্যক্তিগত কারনে একজন প্রশাসনিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে সে এলাউ নয়। পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ আইনসম্মত নয়। তবুও আমি রিকোয়েস্ট করছি, কাইন্ডলি যদি আমাকে টু মিনিটসের জন্য হলেও এলাউ করতেন।”
ইনভিজিলেটর থম মে*রে থেকে গম্ভীর গলায় বললেন,
-” দুঃখিত! আমার পক্ষে প্রোটোকল ভেঙে ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া ইম্পসিবল। আপনি সেন্টার ইনচার্জের সাথে কথা বলুন। লিখিত বা মৌখিক অনুমতি দেয়া হলে আমি ঢুকতে দিতে পারি।”
নীরব দ্রুত সেন্টার ইনচার্জের সাথে ফোনে কন্টাক্ট করে। ফোন রিসিভ হতেই নীরব সালাম দিয়ে বিনম্র, বিনীত কণ্ঠে বলল,
-” আমি এএসপি নীরব মাহবুব বলছি। *** পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত আছি। এটি একেবারেই ব্যক্তিগত ভিজিট, তবে অনুরোধটা মানবিক।”
সেন্টার ইনচার্জ হালকা বিস্ময় নিয়ে বললেন,
-” জী স্যার, বলুন।”
-” একজন এক্সামিনী এর গার্ডিয়ান আমি। ওর মানসিক অবস্থা নিয়ে একটু চিন্তিত। জাস্ট এক পলকের জন্য হলেও দেখা করা জরুরী। অলরেডি পরীক্ষা শুরু হয়েছে জানি। তাই প্রটোকলের বাইরে যাচ্ছি না। আমি শুধু দরজার গার্ডের সামনেই এক মিনিট দাঁড়িয়ে ওকে ইশারায় আশ্বস্ত করতে চাই, একদম কোনো শব্দ বা ব্যাঘাত সৃষ্টি করবো না।”
সেন্টার ইনচার্জ একটু ভেবে বললেন,
-” দেখুন স্যার, আমাদের দিক থেকে নির্দেশনা কড়া। তবে আপনার অনুরোধটা মানবিক। আপনি নিজেই সেন্টার প্রটোকল বুঝে শৃঙ্খলার বাইরে কিছু চাইছেন না দেখে আমি মৌখিক অনুমতি দিচ্ছি। আপনি যেহেতু প্রশাসনিক কর্মকর্তা সেহেতু আপনাকে পরীক্ষা পরিদর্শনের জন্য বলে অনুমতি দেয়া হলো।”
নীরব হাঁপ ছেড়ে বলল,
-” থ্যাঙ্ক ইয়্যু।”
বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা আজ। প্রত্যাশা ম্লান মুখে লিখছে। এমন সময় বেঞ্চের উপর থেকে কেউ একজন ওর প্রশ্নটা হাতে তুলল। কেন্দ্র ভিজিটর হবে হয়তো এইভেবে প্রত্যাশা নার্ভাস হয়েই মুখ তুলে তাকাল। এদিকে কক্ষ জুড়ে পিনপিনে নীরবতা চলছে। কেউ কোনো দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না, তবে দুএকজন আড়চোখে লক্ষ্য করছে। নীরবের উপস্থিতি পেয়ে প্রত্যাশার ভেতর হালকা একটা শীতল হাওয়া বয়ে গেল। প্রত্যাশা চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে। সময় দেখল ঝটপট, দশটা পনেরো বাজে। নীরব প্রশ্নটা দুহাতে ধরেই একদম লো ভয়েজে বলল,
-” স্যরি ফর লেইট। একটু আঁটকে গিয়েছিলাম।”
নীরব প্রশ্ন ধরে আছে মনে হচ্ছে খুব মনোযোগ দিয়ে প্রশ্নটা পড়ছে সে। প্রত্যাশা আড়ালে ভেংচি কা’টল। নীরব খুব নিচু কণ্ঠে বলল,
-” মন দিয়ে পরীক্ষা দাও। একদম নার্ভাস হবে না। ভাববে উত্তর তুমি জানো, শুধু আত্মবিশ্বাসটা তোমার কলমে আনো। যদি কোনো প্রশ্ন না পারো, সেটার জন্য মন খা”রাপ করবে না। উত্তর না পারা মানে হে*রে যাওয়া নয়। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করাটাই আসল সাহস।”
প্রত্যাশা ভরসা পেল। একটুএকটু করে নার্ভাসনেসটাও কমতে থাকল। নীরব প্রশ্নটা নামাল। সবার অগোচরে থাম্বস আপ করে বোঝায়,
মধ্য রাতের চাঁদ পর্ব ৩৭
-” অল দ্য বেস্ট।”
প্রত্যাশা বিনিময়ে প্রসন্ন হাসি ঠোঁটে আনল। প্রত্যাশার হাসি দেখে নীরবের ভেতর ভালোলাগা কাজ করল। নীরব কেন্দ্র ভিজিট করার মতো কক্ষে এক রাউন্ড চক্কর দিয়ে বেরিয়ে গেল।
কক্ষে ডিউটিতে একজন ছেলে টিচার আর অপরজন মেয়ে টিচার ছিলেন। খাতায় সিগনেচার করার সময় ম্যাডাম প্রত্যাশাকে কৌতুহলী গলায় জিজ্ঞেস করল মৃদুস্বরে,
-” খানিকক্ষণ আগে যে অফিসার এসেছিলেন। কী হয় তোমার? রিলেটিভ?”
প্রত্যাশা উত্তরে ঝটপট বলল,
-” আমার হ্যাজবেন্ড।”