ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৮

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৮
সারিকা হোসাইন

ভোরের আলো ফুটেছে আর ঘন্টা তিনেক আগে।সূর্যের প্রখর তেজ নিয়ে চিলবিল করে রোদ উঠে পুরো পৃথিবী ঝলসে দেবার চেষ্টা করছে।চারপাশে দাঁড় কাক গুলো কা কা ধ্বনিতে অস্থির এক পরিবেশের সৃষ্টি করে তুলেছে।নেই কোনো প্রাকৃতিক সমীরণ।নিজের বাসভবন পর্যন্ত গুমোট কবরের ন্যায় ঠেকছে।
এরকম অস্থির অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে নিজের কক্ষে উদোম গায়ে ইজি চেয়ারে বসে সমানে বিড়ি ফুকে চলেছে যুবরাজ।আজকাল কোনো ভাবেই দুই চোখের পাতায় ঘুম ধরা দিচ্ছে না তার।চোখ বন্ধ করলেই অতীতের বিশ্রী কিছু স্মৃতি চোখের সামনে এসে চিৎকার করে চলেছে সমানে।অজানা ভয়ে বারবার হৃদয় কেঁপে উঠছে।সর্বদাই মনে হচ্ছে এই বুঝি ভালোবাসার কেউ হারিয়ে গেলো।

যেই দুঃসময় যুবরাজ পাড়ি দিয়ে এপর্যন্ত এসেছে সেই সময়ের পুনরাবৃত্তি কি দ্বিতীয় বার হবে?
সিগারেট পুড়ে কখন হাতের কাছে আগুন এসে ঠেকেছে ঠাহরই করতে পারেনি যুবরাজ।ভাবনায় মগ্ন থাকা যুবরাজ হঠাৎই তীক্ষ্ণ ব্যাথায় আউচ্ শব্দ করে উঠলো।
সিগারেট এর টকটকে লাল অগ্নি তার মধ্যমা আর তর্জনী দুটো আঙুলকেই সযত্নে পুড়িয়ে দিয়েছে কয়েক সেকেন্ড এর ব্যাবধানে।মুহূর্তেই আঙ্গুলি দুটি গোলাপি বর্ন ধারণ করলো সেই সাথে অস্বস্তিকর জ্বলুনি।অজানা হিংস্র রাগে মাথা ফেটে যাবার উপক্রম হলো যুবরাজের।দ্রুত হাতে সিগারেট এর ফিল্টার গুলোকে এস ট্রে তে ফেলে ইজি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো যুবরাজ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“বহুত হয়েছে চিন্তা ভাবনা এবার শরীরের একটু একটু আরাম করা চাই।আর কতোদিন এভাবে হাইড এন্ড সিক খেলতে হবে কে জানে?তবে এতটুকু জানি খুব শীঘ্রই তোমার সাথে দেখা হতে চলেছে মামু”
কথা গুলো আপন মনে ভেবে এসির পাওয়ার কমিয়ে চোখে মুখে কাঁথা জড়িয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করলো যুবরাজ।চোখ বন্ধ করতেই চোখের সামনে ধরা দিলো রেহানের ঝুলন্ত বরফে পরিণত দেহ।

জিপিএস ট্র্যাকার এর নির্দেশনা অনুযায়ী যুবরাজ শহরের অদূরে একটি জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করে ।শহর থেকে জঙ্গলটির দূরত্ব বেশি নয় গাড়ীতে গেলে খুব করে হলেও আধা ঘন্টা সময়ের মতো ব্যায় হয়।কিন্তু যুবরাজের পায়ে হেটে কোমড় সমান বরফের স্তুপ পাড়ি দিয়ে সেই জঙ্গলে পৌঁছাতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টার মতো।
আশেপাশের কিছুরই দিক নির্দেশনা অনুমান করা যাচ্ছে না।এদিকে হঠাৎই জিপিএস ট্র্যাকার টিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়।হাড় হিম করা ঠান্ডা বাতাস সাথে কোমড় সমান বরফ।
“কোথায় আছিস রেহান তুই?আমি যে কোনোভাবেই আর টিকে থাকতে পারছি না,আমি পৌঁছাতে পৌঁছাতে তুই বাচবি তো?”

নিজের এমন করুন দশায় দুই চোখ ফেটে উপচে জল বেরিয়ে এলো যুবরাজের।বার বার ধৈর্য্য হারিয়ে যেতে লাগলো।শরীরটাও যেনো আর সায় দিচ্ছে না।শক্তি হীন দুর্বল মানুষের মতো পা দুটো অসাড় হয়ে বার বার বরফে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলো যুবরাজ।বেদুইন যেমন একটু পানির আশায় হন্যে হয়ে মরীচিকার পিছনে ছুটে চলে মাইলের পর মাইল যুবরাজের ঠিক সেই অবস্থা হলো।
পায়ের সমস্ত শক্তি হারিয়ে শেষমেশ হামাগুড়ি চলতে চলতে খুঁজতে লাগলো রেহানের শেষ অস্তিত্ব।
টানা তিন ঘণ্টার অভিজানেও যখন রেহানের সন্ধান মিললো না তখন চরম হতাশা আর ব্যার্থতায় দুই চোখ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে এলো।
কিন্তু চক্ষু বোঝার আগে অদূরে পরিত্যক্ত ফকফকে বরফে ঢাকা সাদা রঙের বাড়িটি যুবরাজের দৃষ্টি পরখ করতে ভুললো না।

বাড়িটি দেখার সাথে সাথেই যুবরাজের সারা শরীরে যেনো বিদ্যুৎ তরঙ্গ খেলে গেলো।নিমিষের ব্যাবধানে সিংহের ন্যায় শক্তি এসে জমা হলো মাঝারি গড়নের শরীরটাতে।
নিজের দুই হাতের পেশির শক্তির সহায়তায় গাছের মোটা মোটা দুটো ডাল ভেঙে তাতে ভর দিয়ে হেটে চললো সেই বাড়ির অভিমুখে।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ডাল দুটোর সহায়তায় বাড়িটির ভেতরে প্রবেশের বরফ পরিস্কার করে ভেতরে ঢুকে পড়ল যুবরাজ।আসে পাশে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় দৃষ্টি বুলিয়ে দড়িতে উপুড় করে ঝুলিয়ে রাখা বরফ জমে সাদা হয়ে থাকা একজন মানুষের অবয়ব এর দিকে চোখ গেলো তার।প্রথম দেখায় ভয় পেলেও মনে সাহস সঞ্চয় করে দ্রুত পদে সামনে এসে দাড়ালো।

নিজের সমবয়সী একটা ছেলে যার শরীরের গড়ন রেহানের মতো।যুবরাজ হাতের লাঠি ফেলে তৎক্ষণাৎ পায়ের বাধন আলগা করে ধীরে ধীরে নীচে নামালো এরপর নিজের গায়ের মোটা পোশাক তার গায়ে জড়িয়ে চেহারার দিকে নজর দিতেই আঁতকে উঠলো।পুরোটা মুখ একদম ঝলসে কালো হয়ে গিয়েছে।কিছু কিছু জায়গা থেকে তেল ঝরে বরফে জমে রয়েছে।চোখ গুলো পুড়ে কুঁচকে রয়েছে।এমন বিভৎস দৃশ্য চোখের সামনে দেখে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো যুবরাজ।এরপর নিজের চোখের গড়িয়ে পড়া জল গুলোকে না মুছেই ছেলেটির বাম হাত চেপে ধরলো।
কব্জির কাছের বার্থ মার্ক স্পষ্ট বলে দিচ্ছে এটা রেহান।
রেহানের সারা শরীর বরফে আচ্ছাদিত,মনে হচ্ছে তাকে কোনো ডোম ঘরের রেফ্রিজারেটর থেকে সদ্য বের করা হয়েছে।যুবরাজ তার মনের আশা হারালো না তবুও।
“তুই কখনোই এভাবে মরতে পারিস না।আমি মরতে দেবো না তোকে।তোকে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তোর সবকিছুর জিম্মিদার আমি।তবে কেনো তুই মৃত্যু পথযাত্রী?
যুবরাজ প্রথমে ভাবলো রেহান হয়তো বেঁচেই নেই।এরপরেও মন মানতে চাইলো না।হাতের পালস চেক করতেই হুহু করে ডুকরে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো যুবরাজ।
কথায় আছে না ?

“রাখে আল্লাহ মারে কে?
যুবরাজ যেনো নতুন করে রেহানকে বাঁচানোর সুযোগ পেলো।রেহান বেঁচে আছে,হ্যা রেহান বেঁচে আছে।তার পালস রেট খুবই ক্ষীন গতিতে চলছে।তবুও সে বেঁচে আছে।রেহানের দেহে প্রাণ আছে এটাই যুবরাজের জন্য অনেক কিছু।
নিজের গায়ের শার্ট দিয়ে কোনো ভাবে নিজের সাথে বেঁধে নিজের পিঠে তুলে নিলো রেহান কে।নিজের সম উচ্চতার একজন শক্ত সামর্থ্য যুবক কে পিঠে তুলতে বেশ বেগ পেতে হলো যুবরাজকে।তবুও যেখানে জীবন মৃত্যুর মাঝখানে অবস্থান সেখানে মৃত্যুর আগে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে দোষ কোথায়?

রেহানকে নিয়ে কোথায় যাবে কি করবে কিছুই ভেবে পেলো না যুবরাজ।একজন জেল পলাতক ক্রিমিনাল এই কঠিন অপরিচিত শহরে এক সেকেন্ড ও টিকতে পারবে না।কিন্তু একটা ভালো হসপিটালে নিয়ে রেহানকে ইমারজেন্সি ট্রিটমেন্ট করাতে হবে।এক সেকেন্ড বিলম্ব করার মতো সময় ও আর অবশিষ্ট নেই।
চারপাশে যখন ঘন অন্ধকার আর হতাশা যুবরাজকে গ্রাস করলো তখন সবশেষে শেষ আশ্রয় স্থল হিসেবে যুবরাজের মাথায় ম্যাগানের নাম এলো।যুবরাজ যেনো তার চোখের সামনে আলোকিত ভোর দেখতে পেলো।
রেহান কে নিয়ে দুই লাঠিতে ভর দিয়ে কচ্ছপের গতিতে হেটে চললো ম্যাগানের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় ভোর হবার উপক্রম হলো।
জ্যকব গ্যাব্রিয়েল এর প্রকান্ড বাড়ির সামনে এসে আরো কুলকিনারা হারা হলো যুবরাজ।বরফে চারপাশ এমন ভাবে সব কিছু ঢেকে আছে বাড়ির ভেতরে ঢুকবার কোনো অবস্থা নেই।

“রেহান কে নিয়ে কোনো ভাবেই ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়,কি করবো এখন আমি?
চারপাশে দৃষ্টি বুলাতেই তুষারে আচ্ছাদিত একটি বড় গাড়ি দেখতে পেলো যুবরাজ,দ্রুত সেই গাড়ির কাছে গিয়ে কুনুই দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে ভেতর থেকে লক খুলে সেই গাড়ির ভেতর রেহান কে পরম যত্নে শুইয়ে দিলো।
“পরিস্থিতি তোকে আর আমাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে দেখেছিস?কখনো কি ভাবেছিলি আমাকে বন্ধু হিসেবে পেতে গিয়ে তোকে এমন নিষ্ঠুর নিয়তির সম্মুখীন হতে হবে?
নির্জিবের মতো পরে থাকা রেহানের পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসে না।নিজের কুৎসিত মন্দ ভাগ্যের উপর উপহাস করে কপাল চাপড়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে বাইরে বেরিয়ে এলো যুবরাজ ।

রেহান কে তুষারে আচ্ছাদিত গাড়ির ভেতর শুইয়ে রেখে বাইরের ওয়ালের সাথে থাকা স্টিলের ড্রেন পাইপ পরিষ্কার করতে করতে বেয়ে বেয়ে দুতলায় উঠে গেলো যুবরাজ।খোলা বেলকনি ডিঙিয়ে বাসার ভেতর প্রবেশ করতেই চারপাশ কেমন ভয়ানক ঠেকতে লাগলো।ঝা চকচকে বিশাল বড় বাড়ি কিন্তু মানুষের কোনো কোলাহল নেই।যুবরাজ জানে জ্যাকব গ্যাব্রিয়েল ছাড়া ম্যাগান মেয়েটির আর কেউ নেই ।নিকট আত্মীয় বলতে এক চাচা রয়েছে সে সুইজারল্যান্ডে বাস করে।
“এতো বড় বাড়িতে মেয়েটি একা একা কিভাবে বাস করছে?মেয়েটিকে পুরোপুরি একা করে দেবার জন্য কি সত্যিই আমি দায়ী?
নানান অসহ্য ভাবনা ভাবতে ভাবতে প্রতিটা কক্ষে গিয়ে ম্যাগান কে খুঁজে হতাশ হলো যুবরাজ।
আসে পাশে ঘুরে পুরো বাড়িতে কারো সন্ধান না পেয়ে একটা বদ্ধ রুমের সামনে আসতেই থমকে দাঁড়ালো যুবরাজ।ভেতর থেকে মৃদু গোঙানির আওয়াজ আসছে।দরজায় ধাক্কা দিতেই মনে হলো ভেতর থেকে লাগানো।তবুও যুবরাজ নব ঘুরিয়ে ডেকে উঠলো

“ম্যাগান?
“ইটস ডক্টর ইউভি,ক্যান ইউ হিয়ার মি?
যুবরাজের কন্ঠ পেয়ে মৃত্যু পথ যাত্রী ম্যাগানের বুকের ছাতি ফেটে কান্না এলো।কিন্তু চোখের জল সব অনেক আগেই শুকিয়ে গিয়েছে।সে এতটাই নিরুপায় হয়ে গিয়েছে আজ যে,কান্না করে নিজের দুঃখ পর্যন্ত নিজের পছন্দের মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারবে না।
ধীরে ধীরে ম্যাগানের গোঙানির আওয়াজ বাড়লো।
“ইজ শি অলরাইট?
আকষ্মিক চিন্তায় দ্বিতীয় দফায় ধক করে উঠলো যুবরাজের বুক।
চারপাশে খুঁজে হতবুদ্ধি হয়ে নিজের সর্ব শক্তি খাটিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করলো সে।যখন শক্তিতে আর কুলালো না তখন ডাইনিং রুমে গিয়ে চেয়ার এনে সজোড়ে একের পর এক বাড়ি দিতে লাগলো।ওক কাঠের চেয়ারটি কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে চুর্ন বিচূর্ণ হলো সেই সাথে খুলে গেলো দরজা।
দরজা খুলে বিবস্ত্র রক্তাক্ত ম্যাগান কে দেখে শিউরে উঠলো যুবরাজ।ধপ করে হাটু মুড়ে জ্ঞান শূন্য জড়বস্তুর ন্যায় ম্যাগানের সামনে বসে পড়লো যুবরাজ।

এ কাকে দেখছে সে?সেই মোমের মতো তুলতুলে নিখুঁত চেহারার ম্যাগান আর এই রক্তাক্ত বিভৎস ম্যাগানের আকাশ পাতাল ফারাক।কিছু একটা দিয়ে মেয়েটাকে ঢেকে দেবার ভাবনা পর্যন্ত যুবরাজের মস্তিষ্কে এলো না।ঐভাবেই মাথা নিচু করে নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলো যুবরাজ।
কিছু সময় অতিবাহিত হবার পর ম্যাগান তার রক্তাক্ত আঁচড় আর কামড়ের দাগ যুক্ত কাপাকাপা শীর্ন হাতে যুবরাজের হাত চেপে ধরে গুঙ্গিয়ে উঠলো।তার মুখের জিভটা পর্যন্ত কামড়ে ছিড়ে নিয়েছে শেরহাম।
কীয়তখন পার হতেই যুবরাজ অশ্রু সিক্ত নয়নে ব্যাথিত কন্ঠে শুধালো
“হু ডিড দিস?

যুবরাজের উরুতে কাঁপা আঙ্গুলির স্পর্শে কলম হীন কালীর মতো ধীরে ধীরে সময় নিয়ে ইশারা আকলো।
সেই ইশারা টের পেয়ে যুবরাজ বিস্ফারিত অশ্রু যুক্ত নয়নে নিভু নিভু কন্ঠে বলে উঠলো
“dr ফাইয়াজ?
ম্যাগান কিঞ্চিৎ মাথা দুলিয়ে সায় জানিয়ে ফ্লোরে উপুড় হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে রইলো।একটা প্রাণ এমন মৃত্যু যন্ত্রনা নিয়ে আর কতক্ষন বাঁচবে?
যুবরাজ নিজের জ্ঞানে ফিরে একটা চাদর দিয়ে ঝটপট ম্যাগান কে মুড়িয়ে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করলো।
ম্যাগান তার ক্ষতবিক্ষত আঙ্গুলি দ্বারা আরো কিছু ইশারা আকলো
“আই লাভড ইউ ডক্টর ইউভি,এন্ড দ্যাট ওয়াজ মাই বিগ অফেন্স টু ডক্টর ফাইয়াজ,হি রেপড মি,হি হ্যাজ ফিনিসড মি টু গিভ ইউ দ্যা গ্রেটেস্ট পেইন”..

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৭

ম্যাগানের আঙুলের প্রতিটা স্পর্শের লিখিত শব্দ নিমিষের ব্যাবধানে বুঝতে পেরে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো যুবরাজ।
ম্যাগান আরো কিছু লিখতে চাইলো,কিন্তু ধিকিধিকি প্রাণে আর কতক্ষন চলা যায়?
তবুও শেষ বারের মতো যুবরাজের বুকে আঙ্গুল উঁচিয়ে লিখলো
“উইল ইউ হাগ মি ওয়ান্স ডক্টর Yuv?

ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইড পর্ব ২৯