তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৬

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৬
তাবাস্সুম খাতুন

অবস্থানটা শহরের বাইরে নির্জন এক পরিবেশে। পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর ভিতরে। সময়টা রাত একটা বেজে দুই মিনিট। গভীর রাত যাকে বলে। চারিদিকে তিমিরে ঢাকা আঁধার। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা যাই। শো শো বাতাসের শব্দ কানে আসছে। নিশানের বাইক থামলো বিল্ডিং এর কাছে নেমে পড়লো বাইক থেকে। ভিতরে প্রবেশ করলো। লিপ্ট নিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলো। পাঁচ মিনিট মতো সময় লাগলো। বিল্ডিং টা দশ তলা। নিশান লিফ্ট থেকে বের হতেই জিহান এগিয়ে আসলো। নিশান জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,

“কোথায়?”
জিহান — “ধরে রাখতে বলেছিস ধরে রাখছি চল আমার সাথে।”
বলে জিহান হাঁটতে লাগলো নিশান জিহানের পিছু পিছু গেলো। একটু হেঁটে তারা থামলো। হলদেতে আলো আছে এইখানে। আর সেই আলোর নিচে একটা চেয়ার এ বাঁধা অবস্থায় আছে একটা লোক। মুখের ভিতরে কাপড় চোখ বাঁধা। কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তূ পারছেনা। নিশান এগিয়ে গেলো। মুখের কাপড় খুলে ফেললো, লোকটা চিৎকার দিয়ে বললো,,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“কোন শুয়ারের বাচ্চা আমাকে এইভাবে আটকিয়ে রেখেছে রে? কার সাহস ভবিষ্যত এমপি কে এইভাবে আটকানোর, সাহস থাকলে আমাকে খুলে দে।”
নিশান কোন কথা না বলে চোখের কাপড় ও খুলে দিলো। লোকটা চোখ বন্ধ করে রাখলো এখন খুললেও ঝাঁপসা লাগবে। তাই ধীরে ধীরে খুললো। সামনে নিশান আর জিহান কে দেখে লোকটা চিৎকার দিয়ে বললো,,
“তোরা? এত সাহস আমাকে বেঁধে রেখেছিস কেন? আর কেন ধরেছিস? কাপুরুষ দের মতো কাজ ছি।”
লোকটার কথা শুনে নিশান বাঁকা হেসে বললো,,
“কাপুরুষ তো তুই? টাকলা ইদ্রিস মির্জা!তুই তো মেইন কাপুরুষ এইজন্য তো পিছন থেকে ছুরি বসাস, সামনাসামনি লড়তে ভয় লাগে বুজি?”
ইদ্রিস মির্জা ভ্রু কুঁচকিয়ে বললো,,

“কারোর পিছন থেকে আমি ছুরি বসায় নি মিস্টার চৌধুরী। আপনি নিজেই আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছেন।”
নিশান ঘাড় একবার ডান পাশে তো আরেক বার বা পাশে দিয়ে ঘাড় ফুটিয়ে নিলো। আওয়াজ আসলো। হুট্ করে নিশানের মুখের রং পাল্টে গেলো। চোখ দুটো লাল রক্তের মতো হয়ে গেলো। যেন চোখ বন্ধ। করলে পানির বদলে, রক্ত বেড়িয়ে আসবে। নিশান এসে ইদ্রিস এর গলা চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,
“হারামির বাচ্চা, পুরুষ মারাও? শালা কাপুরুষ, পিছন দিক দিয়ে ছুরি দিয়েছিস ভালো, কিন্তূ তুই আমার কলিজার দিকে হাত বাড়িয়ে ছিস কেন বল কেন হাত বাড়িয়েছিস? আমার ইশু কে আঘাত করতে চেয়েছিস কেন আনসার মি।”
নিশান অনেক জোরেই ইদ্রিস এর গলা চেপে ধরেছে যার দরুন কাশি উঠে গেছে। জিহান গিয়ে নিশান কে টেনে তুললো। ইদ্রিস কাশতে কাশতে নিজেকে একটু ঠিক করে বললো,,

“কে বলেছে ওকে মারবো আমি? মাল টা হেব্বি সেই সুন্দর, একটু ভোগ করতাম তাই কিডন্যাপ করতে পাঠিয়েছিলাম, আচ্ছা ঐরকম মাল তুই পেলি কই নিশান।”
ইদ্রিস এর কথা শেষ হতেই নিশান জিহান কে ধাক্কা মেরে ফেলে ইদ্রিসের কাছে গিয়ে। পরপর ইদ্রিসের দুই গালে চড় মারলো কলার টেনে ধরে বললো,,
“তোর সাহস দেখে আমি অবাক ইদ্রিস, তুই বারবার সাপের গুহায় মুখ দিচ্ছিস? আর ভাবলি কিভাবে? সাপের গুহায় মুখ দিলে সাপ তোকে ছেড়ে দেবে।”
বলে নিশান ইদ্রিসের গাল জোরে চেপে ধরে হিংস্রতার সাথে বললো,,
“আমার ইশু কে তোর ওই fuck face দিয়ে মাল বললি, তোকে আমার ইশু কে মাল বলার সাহস কে দিয়েছে বল বল কে দিয়েছে? আর আর কি যেন বললি আমার ইশু কে ভোগ করবি, আমার ইশু কে ভোগ করা স্বপ্নের ব্যাপার। ইশুর বদলে কুকুর কে ভোগ করতে পারবি আজীবন। শুয়ারের বাচ্চা are you talking fuck shit? dammit….!”

বলে নিশান ইদ্রিস কে ছেড়ে দিলো। ইদ্রিসের মনে হয় দাঁত ভেঙে গেসে। মুখ নাড়াতে পারছেনা। এর মধ্যে নিশান আবারো বললো,,
“ভবিষ্যত এমপি ছাড় দিলাম but ছেড়ে না ভুলে যাস না তোর কীর্তি কালাপ কি কি। আর দ্বিতীয় বার আমার ইশুর দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখ তুলে ফেলবো।”
ইদ্রিস চুপ করে আছে কিছু বলছে না। নিশান এইবার জিহান কে বললো,,
“জিহান পাত্র টা নিয়ে আয় ফার্স্ট। আমি বাসায় যাবো এইখানে থাকলে আমার রাগ কমার বদলে বাড়বে।”

জিহান মাথা নাড়িয়ে পাত্র আনতে গেলো দুই মিনিটের মধ্যে একটা ছোট পাত্র নিয়ে হাজির হলো। নিশান পাত্র টা নিয়ে ইদ্রিসের কাছে গেলো।হাতে প্রথমে গ্লাফস পরে নিলো। ইদ্রিসের একটা হাত আর একটা পা খুলে দিলো। নিশান বাঁকা হাসি দিয়ে ইদ্রিসের বাম হাত টা ওই পাত্রের ভিতরে চেপে ধরলো। পাত্রের ভিতরে ছিলো নাইট্রিক এসিড। যা অতি মাত্রায় ক্ষতিকরক। ইদ্রিস জ্বালা যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলো। আর নিশান পৈচাসিক হাসি হাসছে। দুই মিনিট পরে ইদ্রিস এর হাত ছেড়ে দিলো। ইদ্রিস এর হাত পুড়ে একদম চামড়া পুড়ে গেছে মাংস বেড়িয়ে এসেছে।ইদ্রিস হাত দেখতে অমনি নিশান ইদ্রিস এর ডান পা দিলো নাইট্রিক এসিড এর মধ্যে। ইদ্রিস গগন বিধারী চিৎকার দিয়ে উঠলো কিছু সময় রেখে নিশান ছেড়ে দিলো তাকে ইদ্রিস চিৎকার করছে এখনো। নিশান বললো,,

“আমার সাথে লাগতে আশা উচিত হয় নি, so sad কি অবস্থা করে দিলাম আমি। এর থেকেও ভালো অবস্থা করতাম but ভবিষ্যত এমপি বলে কথা তাই ৭০% ডিসকাউন্ট পেয়ে গেলি আল্লাহ হাফেজ।”
বলে নিশান জিহান কে বললো,,
“বাড়িতে দিয়ে আয় এই গাধা কে তারপর বাড়ি ফিরিস আমি বাড়ির দিকে গেলাম.।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৫

জিহান মাথা নাড়লো নিশান বেড়িয়ে গেলো বিল্ডিং থেকে। নিচ্ এ নামতে বাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
জিহান ইদ্রিস এর কাছে গেলো। ইদ্রিস এখনো চিৎকার করছে জিহান বাঁকা হেসে বললো,,
“শালা তাক তোকে কত বার নিষেধ করে শুনিস না, but এইবার বাঘ কে আঘাত করেছিস, বাঘ তোকে ছেড়ে দিবে না, আজকের কথা মনে থাকলে শালা টাকলা তোর কিছু হবে না আর।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ৬ (২)