দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫
আফরোজা আশা

একদল বখাটে ছেলে পার্কের ভেতর হাঙ্গামা করে বেড়াচ্ছে। লোকজন প্রায় ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু ছেলেমেয়ে ছোটাছুটি করছে। হকিস্টিক হাতে বখাটে ছেলেগুলো যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই আঘাত করছে। রাইমা আর বেলা পার্কের সামনের দিকে এসে থ মেরে দাঁড়িয়ে পড়ল। ছেলেগুলো কেমন পাগলের মতো মানুষকে মারছে আর হাসছে। একটা জীপ গাড়ির উপর কালো সানগ্লাস পরিহিত একটা ছেলে বসে সিগারেট টানছে আর সেসব ভিডিও করছে।
রাইমা ভয়ে কেঁদে দিল। বেলার হাত আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আটকা আটকা গলায় বলল,
‘ব..বেলা ওরা আ..আমাদের মেরে ফেলবে? ’

শুকনো ঢক গিলল বেলা। চোখ জোড়া ভিজে এসেছে। দৌড়ে পালাবে সে শক্তিও নেই শরীরে। হাত-পা কেমন এক জায়গায় অসাড় হয়ে গিয়েছে। ওদের কিছুটা দূরে একটা ছেলেকে বেধড়ক পেটালো তিনটা ছেলে মিলে। ছেলেটার মাথা ফেটে গড়গড় করে র’ক্ত ঝড়ছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিঁলে একাকার। একটা গুন্ডা ছেলে হকিস্টিক হাতে বেলার দিকে এগিয়ে আসছে ক্রমশ। রাইমা বেলার পিছে লুকিয়েছে। ছেলেটা ধেয়ে বেলার দিকে চলে এসেছে। নড়ার শক্তি পাচ্ছে না ও। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। ছেলেটা ওর সামনে এসে হকিস্টিকটা তুলে, জোড়ে ছেড়ে দিল বেলার মাথার দিকে। একটা বিকট চিৎকার ছুড়ে চোখজোড়া বন্ধ করে ফেলল বেলা।
টংয়ের দোকানে বসে দলের ছেলেদের সাথে চা খাচ্ছে আর খোশ গল্পে মেতে আছে দিগন্ত। এর মধ্যে ওর দলের একটা ছেলে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ ভাই, ফাহাদের ছেলেপেলে পার্কের মধ্যে মারামারি শুরু করছে। ওই জায়গায় ওদের পাওয়ার দেখাতে যাকে পাচ্ছে তাকেই মারছে। অনেক গন্ডগোল লেগেছে, ভাই। তাড়াতাড়ি চলেন। ’
চায়ের কাপটা আছাড় দিয়ে ফেলে দিল দিগন্ত। রাগে গজগজিয়ে দলেরলের সব ছেলেদের নিয়ে পার্কের দিকে গেল।
হকিস্টিকটা বেলার মাথায় লাগার আগেই ধরে ফেলল ফাহাদ। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ তোরা ওদিকে যা। এটা আমি দেখছি। ’

ফাহাদের কথায় ওর দলের ছেলেগুলো আশাপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মানুষদের দিকে চলে গেল। বেলা চোখ খিঁচে বন্ধ করে রেখেছে। চোখের পাতা পানিতে টুইটুম্বর।
ফাহাদ হাতের স্টিকটা সোজা মাটিতে রেখে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বেলাকে দেখতে লাগল। দুপাশে দুই বেনী কোমড পর্যন্ত পরে আছে অবহেলায়। ফর্সা গাল কান্নার কারণে হালকা লাল হউএ গিয়েছে। চোখের টানা টানা বড় পাপড়ির মাঝে বিন্দুকণা আটকে আছে। পলক ঝাপটালেই পানি গড়িয়ে পরবে। স্কুল ড্রেস পরিহিত গুলুমুলু স্বাস্থ্যের ছোট মেয়েটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে ঘোর লেগে গেল ফাহাদের।
অনেকক্ষন একিভাবে থাকার পরও কোনো আঘাত লাগেনি। পিটপিট করে চোখ খুলে সামনের দিকে তাকালো বেলা। ফাহাদকে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ঘাবড়ে গেল ভীষণ। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

‘ আমাদের মারবের না। আমরা ছোট মানুষ। ওই বড় লাঠির আঘাত নিতে পারব না। দয়া করে যেতে দিন আমাদের। ’
বেলার ভীত গলার মিষ্টি সুর শুনে চোখ বুজল ফাহাদ। আওয়াজটা কানে বাজচ্ছে। চোখ খুলে ভারী গলায় বলল,
‘ বেলা ১২ টার ঘরে। স্কুলে না গিয়ে এখানে কি করছিস? নাম কি? ’
হেঁচকি উঠে গিয়েছে বেলার। হেঁচকি টেনে কোনো মতো বলল,
‘ ওটাই নাম। ’
বুঝল না ফাহাদ। ধমক দিয়ে বলে উঠল, ‘ কি বললি? ’
-‘ ব..বে..বে..’

বিরক্ত হলো ফাহাদ। আবারো একটা জোরে ধমক দিল। ওর ধমকে আরো কেঁদে ফেলল বেলা। ওর সাথে সাথে সুর মিলিয়ে পেছনে ওকে আকড়ে ধরে কাঁদছে রাইমাও। এতোক্ষনে পায়ের নিচের বালুকণা থেকে দুমুঠো বালু দুহাতে তুলে নিয়েছে ও। কাঁদতে কাঁদতে হাতের বালুগুলো ফাহাদের চোখের দিকে ছুড়ে মারল। হঠাৎ এই আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল না ফাহাদ। বেলাকে দেখায় ব্যস্ত ছিল বলে রাইমার কাজ ধরতে পারেনি। চোখ খোলা থাকার কারণে দুচোখেই গিজগিজে বালু ঢুকে গেল। চোখের জ্বালা-যন্ত্রনায় হুংকার ছাড়ল ফাহাদ। দুহাতে চোখ কোচলাতে কোচলাতে গালি ছুড়ল।
‘ ব্লাডি বিচ। হাউ ডেয়ার ইউ! মেরে ফেলব তোকে। ’

সুযোগ পেয়ে বেলার হাত ধরে ফাহাদের সামনে থেকে দৌড় লাগাল রাইমা। এদিকে ফাহাদের চিৎকারে ওর দলের ছেলেরা ওর কাছে চলে এসেছে। ফাহাদ দুহাতে চোখ চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলছে,
‘ মেয়ে দুটোকে ধর। আমার চাই ওদের। পালাতে দিবি না। ’
পার্কের ভেতর এক ভয়াবহ হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। পর পর কয়েকটা বাইক এসে পার্কের সামনে থামল। দিগন্ত আর ওর ছেলেরা হকিস্টিম হাতে পার্কে ভেতরে ঢুকল। দিগন্ত এক ঝলক চোখ ঘুরিয়ে পার্কের ভেতরটা দেখল, তখনই চোখে পড়ল ফাহাদকে। চোখ দুটোতে হাত চেপে ধরে কাউকে কিছু বলছে। মুখ দিয়ে গালির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে দিগন্তের কানে এসে লাগল ফাহাদের বলা কথা,

‘ চোখে বালু ছুড়ে দিছে। ধর, ধর ওদের। ’ ফাহাদ হুংকার দিল। কণ্ঠস্বর রাগে কাঁপছে।
এদিকে রাইমা আর বেলা টালমাটাল পায়ে পার্কের ভেতর গুলমারির গাছের দিকে দৌড়াচ্ছে। ওদের ছোট পা দিয়ে এতো জোরে দৌড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তবুও ভয়ে দৌড়াচ্ছেই। পেছন থেকে ভেসে আসছে কারো চিৎকার,
-‘ওই সামনে গেছে। ধর ওদের। ’
বেলার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। দম নিতে পারছে না ঠিকভাবে। চোখ দিয়ে টপটপ করে কান্না ঝরছে। তবুও থামার নাম নেই। রাইমা ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
হাঁপাতে হাঁপাতে কাঁদো কাঁদো গলায় বলল বেলা,
‘এ..একটা জায়গায় লুক..লুকাইই। ’

রাইমা বেলাকে টানতে টানতে বলল, ‘ সামনে দেখ ভালো করে। দিগন্ত ভাইরা এসেছে। ওদের কাছে চল। ’
দিগন্তের নাম শুনতেই সহসা দাঁড়িয়ে পড়ল বেলা। রাইমার হাত টেনে ধরল। হাতে টান পড়ায় রাইমাও থেমে গেল। বেলা আতংকিত গলায় বলল,
‘ ওদিকে যাওয়া যাবে না। দিগন্ত ভাই দেখার আগেই অন্য কোথায় পালা। স্কুল ড্রেসে, এ অবস্থায় এখানে দেখলে আবার মারবে আর বাড়িতে বলে দিবে। ’
রাইমা পেছনে ঘুরে ভয়ার্ত গলায় বলল, ‘ পেছনে দেখ লোকগুলো আমাদের দিকেই আসছে। মারবে আমাদের বেলা। দিগন্ত ভাই ভালো। উনার কাছে চল। ’

পালানোর জন্য অন্য দিকে ছুটার কারণে বেলারা এখন দিগন্তের অপজিট সাইডে আছে। দিগন্ত এখনো বেলাকে দেখে নি। রায়হান আর ওর বাকি ছেলেরা ফাহাদের ছেলেদের সাথে মারামারি করছে। ফাহাদ ওর জীপের কাছে দাঁড়িয় চোখে পানি দিচ্ছে। দিগন্ত পা বাড়ালো ওর কাছে যাওয়ার জন্য কিন্তু অতি পরিচিত একটা আওয়াজ কানে বাড়ি লাগতেই পা জোড়া থেমে গেল। ঝট করে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাল। মূহুর্তেই চোখজোড়া মাত্রাতিরিক্ত লাল হয়ে গেল। রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিল। চোখ বন্ধ করে কয়েকটা জোরে শ্বাস টেনে নিজেকে সংবরণ করার চেষ্টা করল কিন্তু ব্যর্থ হলো। সেকেন্ড সময় ব্যয় না করে বড় বড় পা ফেলে বেলার সামনে হকিস্টিম হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলে দুটোকে বেধড়ক মারা শুরু করল। দিগন্তের শক্তির সাথে ওই দুটো ছেলে কিছুতেই পারল না। মেরে নাক-মুখ ফাটিয়ে রক্তাত্ত করে দিল ওদের। ডান হাত দিয়ে বাম হাতের বাহু চেপে ধরে মাটিতে বসে আছে বেলা। রাইমাও ওর হাতের উপর হাত রেখে কাঁদছে। দিগন্ত রক্তচক্ষু নিয়ে বেলার দিকে তাকিয়ে হিসহিসিয়ে
বলল, ‘ কে মেরেছে? ’

কান্নারত চোখজোড়া নিয়ে ভয়ে ভয়ে দিগন্তের দিকে তাকাল বেলা। দিগন্তের রাগী চাহনি দেখে ঠোঁট উল্টে কেঁদে ফেলল।
বেলার কান্নায় ভরা মুখটা ছুড়িকাঘাত করল দিগন্তের বুকের মাঝে। দুকদম এগিয়ে এসে হাঁটু গেড়ে বেলার সামনাসামনি বসে ওর ছোট ফোলা গালগুলো নিজের খড়খড়ে বড় হাতের মাঝে আগলে ধরল। হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে বেলার চোখের পানি মুছে দিতে দিতে নরম গলায় শুধালো,
‘ ব্যাথা পেয়েছিস খুব? ’
উপর-নিচ মাথা নাচিয়ে সায় দিল বেলা। দীর্ঘশ্বাস ফেলল দিগন্ত। রাগগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে ক্রমশ। পাশে বসে থাকা রাইমাকে জিজ্ঞেস করল বেলাকে কে আঘাত করেছে। দিগন্ত কিছুক্ষন আগে যাদের মেরে নাক-মুখ ফাটিয়েছে তাদের মধ্যে একজনকে দেখিয়ে দিল ও। মাথা নিচু করে নিজেকে কিছুটা শান্ত করার অচেষ্টা করল দিগন্ত। তারপর চোখের ইশারায় রায়হানকে কাছে ডাকল। রায়হান একপলক চোখে-মুখে পানি দেওয়া ফাহাদের দিকে তাকিয়ে দিগন্তকে বলল,

‘ এখানে এতোটা কনসার্ন দেখানোটা কি ঠিক হবে? ফাহাদের চোখে এসব একবার পড়লে ও…’
রায়হানের কথার মাঝে দিগন্ত ভয়ংকর ঠান্ডা কণ্ঠে বলল,
‘ জ্যান্ত পুঁতে ফেলব ওকে। ’
দমে গেল রায়হান। দিগন্তের ঘাড়ে হাত রেখে বলল,
‘ আচ্ছা ঠিক আছে। আমি ফাহাদকে দেখছি। তুই বেলাকে নিয়ে যা। ’
দিগন্তের হাতের মাঝে থাকা বেলার গাল ঝটকা মেরে সরিয়ে দিল দিগন্ত। রাইমাকে বলল, ‘ বেয়াদপটাকে নিয়ে আয়। ’
বলে সোজা হয়ে দাঁড়ালো দিগন্ত। রাইমা বেলাকে টানছে উঠার জন্য কিন্তু বেলা উঠছে। হেঁচকির দমকে নাজেহাল অবস্থা ওর।

ঠোঁট দিয়ে দাঁত চেপে ধরে বেলার ডান হাতে হেঁচকা টান মেরে দাঁড় করাল ওকে। টানতে টানতে নিয়ে গেল বাইকের কাছে। দিগন্তের পায়ের সাথে পা মিলাতে পারেনি বেলা। ফলস্বরূপ দুই-তিনবার উষ্টা খেয়ে পড়তে পড়তে বেঁচেছে।
একটা রিকশা নিয়ে রাইমাকে পাঠিয়ে দিল। আরেকটাতে বেলাকে ধমকে-ধামকে বসাল। পাশে ও বসল। বেলা কাঁদছেই।
দিগন্ত বেলার একপাশের বেনী টেনে ধরে কড়া গলায় বলল,
‘ কাঁদছিস কেনো? মন চাইছে চড়িয়ে কানের গোড়া নড়িয়ে দেই। অসভ্য, বেয়াদপ মেয়ে। স্কুলে না গিয়ে বাইরে একা একা রঙবাজি করে বেড়াচ্ছিস। এতো সাহস তোর! চল, কত বড় কলিজা তোর আজ মেপে দেখবো। ’
কান্না থামিয়ে বেলা টুকুর টুকুর চোখে দিগন্তের দিকে তাকাল। ভীত কণ্ঠে শুধালো, ‘ কলিজা মেপে দেখবেন কিভাবে? মেরে ফেলবেন আমায়? ’

-‘ হ্যাঁ। ’
চোখ ভর্তি পানি টপটপ করে উপচে পড়ল চোখ বেয়ে। দিগন্তের থেকে দূরে সরে রিকশার হুডের সাথে ঘেঁষে বসল বেলা। ভার মন নিয়ে আটকে যাওয়া গলায় বলল,
‘ আমাকে মারার আপনি কে? ’
বেলার অসময়ে উল্টাপাল্টা কথায় দিগন্তের রাগের আগুনে ঘি ঢেলে দিল। রাগের বশে বেলার বাম হাতের বাহুতে টেনে ধরে হালকা চাপ দিল। ওর হাতের উপর আরেক হাত রেখে চেঁচিয়ে উঠল বেলা। ‘ আহহহ!’

ব্যাথায় চোখ-মুখ নীল হয়ে গেল মুহুর্তেই। ছেড়ে দিল দিগন্ত। বেলার মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে বলল,
‘ আস্তে ধরেছি তাও ব্যাথা গিয়ে লেগেছে না কলিজায়। তোর থেকেও বেশি ব্যাথা আমি পেয়েছি। বড় হোস নি? দুদিন বাদে এসএসসি দিবি এখনো এতো ছোট ভাব কেনো তোর মাঝে? আমার আগলে রাখা জিনিসে অন্য কেউ এসে আঘাত হানার সাহস পেল কেনো? শুধুমাত্র তোর বেয়াদপির জন্য। এখানে একা এসেছিলি কেনো? কারো পারমিশন নিয়েছিলি? কি হলো বল, চুপ করে আছিস কেনো অসভ্য মেয়ে। ’
বেলা কিছু না বলে চুপ করে রাগী দিগন্তের দিকে চেয়ে ওর কথাগুলো শুনলো। দিগন্তের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবারো ঠোঁট উল্টে দিল। ব্যাথাতুর গলায় বলল,

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৪

‘ হাতে ব্যাথা করছে খুব দিগন্ত ভাই। ’
ব্যস উতলা হয়ে গেল দিগন্তের মন। কঠোর ব্যক্তিধারী দিগন্তের মন ছোট প্রেয়সীর ব্যাথায় ব্যথিত হয়ে গেল। বেলার মাথায় হাত রেখে অসহায় গলায় বলল,
‘ কি করব আমি এখন? তোর ব্যাথাটা আমার করে নিতে পারলে তখনি নিয়ে নিতাম। আর একটু সহ্য কর, ডাক্তারের চেম্বারে চলে এসেছি প্রায়। ’

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৬