Violent love part 43

Violent love part 43
Mariam akter juthi

“রিনঝিন থোম দেওয়া বাতাস, শহরের রাস্তা জুড়ে ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোয় আলোকিত। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচলের তীব্র হর্ণের শব্দ, প্রতিটা জায়গা মুখরিত হচ্ছে। এই সময় ফারি নিজ রুম বসে ফোনে মাই ফল্ট মুভি দেখছে। আর চোখ জোড়া সরু করে ডান হাতের তর্জনীয় আঙ্গুলের নখ, দাঁত দিয়ে কাটছে। এমন সময় ফারির মনে হলো, পিছন থেকে কেউ ওকে সাপের মত পেঁচিয়ে নিচ্ছে। ওর এমনটা মনে হতে ভয়ে দরফরিয়ে উঠে হাতের মোবাইলটা হাত থেকে ফেলে দিয়ে যেই চিৎকার করতে নিবে এমন সময়, কেউ ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,

‘ডোন্ট বি অ্যাফ্রেড, মাই গার্ল, আই’ম হিয়ার.
অর্থ~ (ভয় পেয়ো না মাই ডল , আমি এসেছি)
লুসিয়ানের এমন নেশাতুর কণ্ঠ শুনে, ফারি ঘাড় ঘুরিয়ে ওর চোখের দিকে তাকাতে দেখে, লুসিয়ান কেমন চোখ করে ওর ঠোঁটের দিকে ঝুঁকে আসছে। এটা দেখে ফারি সাথে সাথে লুসিয়ানের দৃষ্টি থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্য পাশে সরিয়ে নিল। ফারি কে হঠাৎ এভাবে মুখ ঘুরিয়ে নিতে দেখে, লুসিয়ান কপাল কুঁচকে ওর দিক আরেকটু ঝুঁকতে, ফারি লুসিয়ান কে নিজের থেকে ঠেলে সরাতে চেয়ে বলল,
‘এটা ঠিক হচ্ছে না, হুটহাট করে এভাবে অনুমতি না নিয়েই ,, — ফারি কথাটা সম্পূর্ণ শেষও করতে পারল না। তার আগেই লুসিয়ান ওকে টেনে বিছানায় ফেলে, ফারিকের নিচে রেখে, ওর উপরে লুসিয়ান উঠে, ফারির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘ফরেন্ট বয়েজ আর লাইকড, বাট দেয়ার রোমান্স ইজ নট লাইকড? ইটস ভেরি ব্যাড মাই গার্ল।
~অর্থ:(ফরেন্ট ছেলে পছন্দ, কিন্তু তাদের রোমান্স পছন্দ নয়? এটা খুবই খারাপ,আমার ব্যক্তিগত নারী।) – লুসিয়ান কথাটা শেষ করে, বিপরীত ফারির কোনতুর কথা না শুনেই, ওর নরম তুলতুলে গোলাপি ঠোঁট দুটো নিজের আয়তে নিয়ে চুষতে আরম্ভ করল।
লুসিয়ান এর এমন কাজে, ফারি ওর থেকে ছাড়া পেতে ছটফট করতে লুসিয়ান নিজেই ওর থেকে সরে এলো। লুসিয়ান ওর থেকে সরে আসতে, ফারি মুখটা আবারও ঘুড়িয়ে অন্য পাশ করতে, লুসিয়ান বেশ বিরক্ত হয়েই বলল,
‘সমসা কী তমার? কয়কদীন যবত এমোন কড়ছ কন?

লুসিয়ানের এমন গম্ভীরনীয় কন্ঠে, মাথাটা লুসিয়ানের দিক করে ছোট ছোট চোখ করে তাকালো লুসিয়ানের চোখের দিক। তার কিছু বলার ভাষা নেই, তার এভাবে লুসিয়ান কে ফিরিয়ে দিতে কষ্ট হচ্ছে, তবুও বারবার শুধু মনে পড়ছে তার মায়ের বলা ইভার ফের আসার দিন রাতের কথাগুলো। পরপর থাপ্পর দুটো, কি ভয়ংকর লাগছিল সেদিন তার মাকে। এতোটুকু ভেবে ফারির মনে পড়ে সেদিন রাতের কথা,

“সেদিন সন্ধ্যা রাতে ইভা নতুন জামাই কে নিয়ে ফের আসায়, তাদের সন্ধ্যায় নাস্তা দেওয়ার জন্য কর্তিরা রান্না ঘরে, বিভিন্ন নাস্তা বানাতে ব্যস্ত। বাকিরা ছোট বড়ো সবাই প্রায় এক জায়গায় বসার ঘরে বসা, ঘোসগল্প করছে। শুধু ফারি লুসিয়ান ব্যতীত। তারা খান মহলের খোলা বাগানে একসাথে বেশ ঘনিষ্ঠ সময় পার হয়ে করেছে‌। তবে ঘনিষ্ঠ মানে এটা নয়, যে তারা একসাথে ঐসব লুতুর পুতুল কাজ করেছে। বরং তারা একসাথে একে অপরে ছোঁয়াছুঁয়ে খেলেছে রাতের আকাশের সুন্দর তারা গুলো উপভোগ করেছে, একে অপরের মনের কথা বলেছে। এক সময় দুজন দুজনার সাথে সময় কাটাতে লুসিয়ান ফারির কোমর পিছন থেকে জড়িয়ে গোলগোল ঘুরতে ফারিও হাসতে হাসতে বলল,
‘কি করছেন? নামান আমাকে, পড়ে যাবো তো?

কে শুনে কার কথা? লুসিয়ান দু-তিনটা ঘুড়ুনি দিতে হাসি মুখে ওকে আস্তে করে মাটিতে ধার করিয়ে, ওর মুখের দিকে ঝুকে ওর ঠোঁটে চুমু খেতে গেলে, পিছন থেকে কারো গমগমে কণ্ঠে বলা কিছু বাক্য শুনে লুসিয়ান ঘুরে সেদিক তাকায়,
‘এই যে বিদেশি ফর্সা ছেলে, তোমাকে তোমার মা ডাকছে।
মেহজাবিন খানের কথায় লুসিয়ান আড় চোখে একবার ফারির দিক তাকিয়ে, ঘুরে মেহজাবিন খানের দিক তাকিয়ে বলল,

‘ইয়েস আই এম গোয়িং। — লুসিয়ান উক্ত কথাটা শেষ করে জায়গা ছাড়তে, মেহজাবিন খান ফারির দিক ঘুরে ওর মুখ থেকে কোন রকম শব্দ বের করার আগেই পরপর শক্ত হাতে ফারির দুগালে ধাবাংমার্কা চড় মারতে, ফারি পরপর এমন থাপ্পর খেয়ে তন্দ্রাখেয়ে গালে দুহাত রেখে ততক্ষণে তার মাকে সে কিছুই বলল না। শুধু নীরবে নাকের পাঁঠা ফুলিয়ে চোখের অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলো। তার বুঝে আসলো না, তার মা হঠাৎ তাকে এভাবে মারল কেন? ফারি এসব ভেবে না পেয়ে যখন গালের ব্যথাটা আঁচ করতে পারল, তখন নিঃশব্দে কান্নাটা ফুপিয়ে উঠতে মেহজাবিন খান বললেন,

‘এটা খান মহল, তোমাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তাই বলে এই না, যে তোমরা যা মনে চাইবে তাই করবে। এই ছেলেটা আসার পর থেকে বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করেছি, ছেলেটার সাথে অতিরিক্ত ঘেষাঘষি করছো তুমি। সেগুলো আমার মোটেও পছন্দ না। তোমাকে ওয়ান করছি, বাধ্য করছি না। ফের এসবকিছু তুমি তোমার কল্পনাতে এনো না, মনে রেখো আমার চোখে যেন দ্বিতীয়বার এইসব কোন জিনিস না পড়ে, কারণ বিদেশী কোন ছেলের সাথে তোমার বিয়ে আমরা কোনদিনও দেব না। সো বি কেয়ারফুল। — মেহজাবিন খান উক্ত কথাগুলো বলে আর এক মুহূর্ত ওখানে দাঁড়ালেন না। রাফ পায়ে হেঁটে বাড়ির ভিতরে চলে গেলেন, উনি চলে যেতে ফারি অশ্রুসিক্ত নয়নে উনার চলে যাওয়ার দিক তাকিয়ে কিছুক্ষণ ওভাবে ফুঁপিয়ে কেঁদে, হুট করেই দৌড়ে বর্ষার ঘর পেরিয়ে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে নিজের রুমে চলে এল। সেদিনের পর থেকে লুসিয়ান যতবার ফারির সাথে আলাদা করে সময় স্পেন করতে চেয়েছে, ফারি ততবারই এটা ওটা বলে দূরত্ব বাড়িয়েছে, শত হোক তার ফরেন্ট ছেলে পছন্দ। সে তার মা-বাবার অবাধ্য হবে না। কিন্তু এ দূরত্ব যেন লুসিয়ান মেনে নিতে পারছিল না। তাই আজ সুযোগ বুঝে ফারির রুমে একান্ত ফারির সাথে কথা বলতে এসেছে।

ফারি কে এক মনে কিছু একটা ভাবদে দেখে, লুসিয়ান ওর বাহুতে ধাক্কা দিয়ে বলল,
‘হোয়াট হ্যাপেন্ড টু ইউ? হোয়াট আর ইউ থিঙ্কিং সো মাচ অ্যাবাউট?
~অর্থ: (কি হয়েছে তোমার? কি এতো ভাবছো তুমি?
ফারি লুসিয়ানের পুনরায়, গমগমে গম্ভীর কণ্ঠ শুনে ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে এসে বলল,
‘ক,কই কিছু ভাবছি না তো, আপনি আমার রুম থেকে যান। প্লিজ।
‘ডোন্ট মেক মাই হেড হট, গো বিফোর কামিং ক্লোজ। আই’ম আ বয় হু গ্রু আপ ইন সুইজারল্যান্ড, অ্যান্ড আই লাইকে ডার্ক রোমান্স। অলদৌ আই ডিজডিন্ট বিফোর, আই ওয়ান্স টুক আ বুক ফ্রম মাই ব্রাদার অ্যান্ড রেড ইট। সিন্স দেন, আই’ভ বীন কুয়াইট ইন্টারেস্টেড ইন ডার্ক রোমান্স।

~অর্থ: আমার মাথা গরম করবা না, কাছে আসার আগেই যান, এটা কেমন ব্যবহার? আমি সুইজারল্যান্ডে বড় হওয়ার ছেলে, আমার ডার্ক রোমান্স পছন্দ। যদিও এটা আগে ছিল না, ভাইয়ের থেকে একটা বই নিয়ে পড়েছিলাম। তখন থেকেই ডার্ক রোমান্সে বেশ আগ্রহী আমি।

লুসিয়ান এর কথা শেষ হতে, ফারি সরু চোখে পুনরায় ওর চোখের দিকে তাকালো। তার এটা জানা, আরিশ ভাই ডার্ক রোমান্সের বই গুলো বেশ পছন্দ করে। যখন ভাই দেশে ছিল প্রায় সময় ফ্রি থাকলে বাসায় বসে পড়তো। তবে সে বিষয়ে তখন তেমনটা জানা ছিল না ওর। তাই তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, যে আরিশ ভাইয়ের মতন একটা লোক উপন্যাসের বইও পড়তে জানে? তবে এখন বেশ জানে। কেন আরিশ এই উপন্যাস গুলো পছন্দ করত? আজ হঠাৎ লুসিয়ান এর মুখে ডার্ক রোমান্সের কথাটা শুনে বুকের মধ্যে ধুক করে উঠলো। সত্যি বলতে ডার্ক রোমান্স তারও পছন্দ। ফারি কে আবারো কিছু একটা একধানে ভাবতে দেখে, লুসিয়ান ঝুকে ওর নরম তুলতুলের ঠোঁট দুটো নিজের আয়তে নিয়ে নিল। ফারিও আর বাধা দিলো না। দিয়ে কি করবে? এই লোক কি ওর কথা শুনবে নাকি? লুসিয়ান ১২ সেকেন্ড ফারির ঠোঁটে মও থাকতে, দরজায় খটখট শব্দ পেয়ে ফারির থেকে সরে আসতে শুনতে পেল মেহজাবিন খানের কন্ঠ,

‘ফারি দরজা খোল!
ফারি এই সময় রুমে মায়ের কন্ঠ পেয়ে, দরফরিয়ে উঠে লুসিয়ান কে একটু জোরেই ধাক্কা দিয়ে, ওর থেকে সরিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে ঘন ঘন নিশ্বাস করতে ফেলতে,তাড়াতাড়ি লুসিয়ান এর হাত ধরে ওকে খাটের তলায় ঢুকতে বলে বলল,
‘প্লিজ তাড়াতাড়ি খাটের নিচে ঢুকে পড়ুন, আর নয়তো আমি আজ শেষ।
‘অজাব অমি কেন ওই খাটের নচে নোংরা জয়গায় যব?
‘দয়া করুম না, প্লিজ ঢুকুন! – চোখ দুটো সরু করে।
‘কিন্তু,,
‘এত কথা বলার সময় নেই আম্মু বারবার দরজা ধাক্কা দিচ্ছে, প্লিজ ঢুকুন প্লিজ প্লিজ। – ফারি তাড়াহুড়ায় কথাগুলো কোনরকম শেষ করে, নিজেই ঠেলে ঠুলে খাটের তলায় লুসিয়ান কে ঢুকিয়ে দিল। অতঃপর চোখে মুখের জড়ো হাওয়া ঘামগুলো শরীরের ওড়না দ্বারা মুছে দরজাটা খুলে দিতে, মেহজাবিন খান ভিতরে ঢুকে চারপাশটা দেখে ওর দিক তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললেন,

‘কার সাথে কথা বলছিলে তুমি এতক্ষণ?
ফারি মায়ের কথায় পর পর ঢোঁক গিলে হাসার চেষ্টা করে বলল,
‘ক,কই আম্মু? আমি তো কার সাথে কথা বলছিলাম না।
‘কিন্তু আমি তো স্পষ্ট শুনেছিলাম, তুমি কাউকে চলে যেতে বলেছিলে?
ফারি মেহজাবিনের এমন কথায়, পরনের স্কার্ট টা খামচে ধরে রিনিয়ে বলল,
‘ও,ও তুমি এই কথাটা বলছো? আমি তো ফোনে মুভি দেখছিলাম, আর ভিলেন তাকে চলে যেতে বলেছিলাম। যেন নায়িকার সাথে নায়কের মিল হয়।
‘কিন্তু আমার তো মনে হল, তুমি কারো সাথে কথা বলছিলে?

‘আরে আম্মু তুমি আমাকে এভাবে অবিশ্বাস করছো কেন? আমি রুম আটকে কার সাথে কথা বলবো?
মেহজাবিন খান আর কথা বাড়ালেন না, তিনি মেয়েকে চেনেন, তাই এই মুহূর্তে বাড়াবাড়ি না করে সন্ধিহান দৃষ্টিতে রুমের চারপাশটা একবার তাকিয়ে চলে গেলেন। উনি চলে যেতে ফারি
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভিতর থেকে দরজাটা লক করে খাটের কাছে এসে লুসিয়ানের হাত ধরে ওকে বের করে আনতে দেখে, ওর শার্টে মাথার চুলে আন্দু লেগে আছে। এটা দেখে ফারি শরীরের ওড়নাটা হাতে নিয়ে লুসিয়ানের মাথা শার্টের আন্দুগুলো ঝেড়ে দিতে লুসিয়ান তাকালো ফারির ওড়না ছাড়া শরীরের দিকে। ফর্সা শরীর, স্কার্টের সাদা পেট পর্যন্ত টপ টায় যেন হাই কি দ্বিগুন হটইনি লাগছে। লুসিয়ান আর নিজেকে দমাতে পারল না, হুট করি ফরির উন্মক্ত ঘাড়ে চুমু খেয়ে সরে এসে মাথাটা চুলকে বলল,

‘নো ওয়ে বিবিজান, ইউ আর এক্সট্রিমলি হট। আই ডোন্ট নো, ইফ আই ফিল কমপ্লিট ওনারশিপ ওভার ইউ, হোয়াট উড আই ডু? মেবি আই’ড ইট আপ ইয়োর হটনেস ইফ আই ক্যান্ট হ্যান্ডেল ইট।
~অর্থ: না হওয়া বিবিজান, আপনি ভীষণ হট। জানিনা আপনার উপর সম্পূর্ণ অধিকার বোধ পেলে, আপনাকে কি করি? হয়তো হটনেস নিতে না পেরে খেয়ে ফেলতে পারি।
লুসিয়ান কথাটা শেষ করে, হঠাৎ করেই ফারি কে টেনে নিজের সাথে জড়িয়ে বিছানায় ধপাস করে ওভাবেই শুয়ে পড়লো। তারপর? তারপর আর কি? দুজনে বেশ মুহূর্ত কাটালো, তবে এইসবের ভিতর লুসিয়ান কিছু একটা মনে মনে পরিকল্পনা আটলো। তবে তা ফারি কে বুঝতে দিল না। নিজ মনেই রাখল।

“তখন রোদ শাওয়ার শেষ করে,কোন উপায়ান্তর না পেয়ে, কি করবে না করবে ভেবে না পেয়ে,রুমে কারো উপস্থিতি টের না পেয়ে স্বস্তিতে পুরো শরীরে শুধু তোয়ালে পেচিয়ে বেরিয়ে এল। এমন সময় রুমের মধ্যে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে পিছন তাকিয়ে দেখে রাদিফ বারান্দা থেকে ওর দিকে কেমন চোখ করে এগিয়ে আসছে। এটা দেখে রোদ ও কি পরে রাদিফের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সেটা না ভেবেই তুললিয়ে বলল,
‘গোসল করেছি তো, এখন আর আমার গা থেকে গন্ধ আসছে না সত্যি বলছি…
ততক্ষণে রাদিফের কি হলো কে জানে, অতিরিক্ত ফর্সা শরীর। সমস্ত শরীরে চিক চিক পানি, লম্বা চুলগুলো থেকে টপটপ পানি পড়া উন্মুক্ত দুটি পা। সব মিলিয়ে যেন রাদিফ হুস হারিয়ে ফেলল। তার পুরো শরীরে কেমন পুরুষত্ব জেগে উঠলো। রাদিফ অতিরিক্ত কন্ট্রোল হারিয়ে শেষে গরম নিঃশ্বাস ফেলে ড্রেসিং টেবিলের পাশে রাখা কাচের ফুলের টপটা ছুড়ে রোদের পায়ের কাছে ফেলে চেঁচিয়ে বলল,

‘এভাবে অর্ধনগ্ন হয়ে আমাকে সিডিউস করার চেষ্টা করছিস? তোর কি মনে হয়? তুই এভাবে আসলে আমি তোর সাথে ইন্টিমেন্ট হবো? তারপর তোর পেটে বাচ্চা আসুক, তারপর আমি বাধ্য হয়ে তোকে মেনে নেই? – কথাটা বলে তেড়ে এসে রোদের উন্মুক্ত দুই বাহু চেপে ধরে ঝাক্কাতে ঝাক্কাতে আবারো কিছু বলতে যাবে এমন সময় রোদের তোয়ালেটা আলগা হয়ে পড়ে যেতে নিলে রোদ চোখটা খিচে বন্ধ করে নিতে রাদিফ রোদের বুকের কাছে থেকে তলাটা চেপে ধরতে আনমনেই ঢোগ গিলে পরমুহূর্তেই কিছু একটা মনে করে বাঁকা হেসে বলল,
‘ওয়েট, তুই তো আমার বউ তাই না? আমার তো অধিকার আছে? তোর সাথে বেড পারফরম্যান্স করার? – বলে ওকে ঘুরিয়ে বিছানার উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলতে রোদ ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,

‘আমি আপনার সাথে থাকতে চাই না। দয়া করে আমার সাথে এমনটা করবেন না।
রাদিফের মাথা এমনিতেই গরম ছিল। তার উপর থাকতে চাই না, শব্দটা শুনে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গায়ের শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে রোদের দিক এগিয়ে আসতে আসতে বলল,

Violent love part 42

‘কেন সোনা? বিয়ে করছ? স্বামীকে বেডের শান্তিটুকু দেবে না? তবে আমি যে আজ আমার ফুলবানুর সাথে ইন্টিমেন্ট হবোই। – বলে রোদ কে ছুটি নিলে রোদ পিছিয়ে বলল,
‘প্লিজ রাদিফ ভাই, আমার সাথে এমনটা করবেন না।
রাদিফ রোদ কে পিছিয়ে যেতে দেখে, ওর পা ধরে ওর কাছে টেনে এনে বলল,…

Violent love part 44

4 COMMENTS

  1. Assalamu alaikum apu ❤️❤️
    Apu apnar golpo ma sha allah onek sundor hoyece. Amr khub valo legeche..apu golper part sob gula diben na? Next parter opekkai roilam.❤️❤️🥰🥰

Comments are closed.