দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২২
আফরোজা আশা
দুপুরের তপ্ত রোদের মাঝে রিকশায় বসে বিরক্তিকর চাহনি নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে দিশা তালুকদার। মন-মেজাজ বিক্ষিপ্ত। হাত উঠিয়ে সময় দেখল। দেখতেই মাথায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠল। ও বাড়ি থেকে বেরিয়েছে ২:২৫ এ। এখন ২:২৭ বাজে। কোচিংয়ের পরীক্ষার আর মাত্র তিন মিনিট বাকি। এমনিতেই বাড়ি থেকে বের হয়েছে হাত গোনা কয়টা সময় নিয়ে তার মাঝে রাস্তায় আটকে আছে। দুই দলের ছেলের মারপিট দেখছে বসে বসে। এর মধ্যে কয়েকজনকে ওর বেশ ভালোভাবেই চেনা। হবে না-ই বা কেনো! ওর গুনধর বড় ভাইয়ের লাফাঙ্গা সাঙ্গ-পাঙ্গ। বেটা নিজে তো গিয়েছে ঘুরতে কিন্তু এগুলোকে ছেড়ে দিয়েছে।
আবারো ঘুরিতে নজর বুলালো দিশা। পরপর-ই রাগে গজগজিয়ে পায়ের একটা স্লিপার খুলে দিল ফিক। মাথার তাড় ছিঁড়েছে ওর।
রাস্তার পাশে বিশাল এক গাছের ছায়ার নিচে একটা কালো মার্সিডিজ দাঁড়িয়ে। তার উপরে আয়েশী ভঙ্গিতে বসে বসে সিগারেট টানছে ফাহাদ। পরণে অ্যাশ কালারের একটা টি-শার্ট। সিগারেটে একটা জোরে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ার জন্য উপরে আকাশের দিকে মুখ তুলেছিল ও কিন্তু অনুভব করল পাশে কিছু একটা পড়েছে। আস্তে করে ঘাড় বাঁকিয়ে দেখার চেষ্টা করল। দেখতে সক্ষমও হলো। মেয়েলি ডিজাইনের একটা স্লিপার। তা দেখে কিঞ্চিত ভুঁ গুটালো সে। তখন-ই কানে ভেসে এলো একটা মেয়ের গলার আওয়াজ। চড়া গলায় কিছু বলছে। চোখে সেদিকে ফেরালো ও।
এদিকে রিকশা থেকে নেমে গটগট পায়ে মারামারির এরিয়ায় এসে দাঁড়ালো দিশা। সামনেই হকিস্টিক দিয়ে একজনকে বেধরক পিটাচ্ছিল রতন। বয়স দিশার সমান-ই তবে পড়াশোনো কোন জন্মে ছেড়েছে তার ইয়াত্তা নেই। ওর বাবা তালুকদার বাড়ির পুরনো ড্রাইভার। আর ও দিগন্তের সাথে চ্যালামি করে বেড়ায়।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রতন মারতে ব্যস্ত। তখনি পেছন থেকে জোরে রতনের মাথার বাবড়ি চুলগুলো থাবা মেরে ধরল দিশা। তারপর দুহাতে মাথার চুল টেনে ধরে জোরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলতে লাগল,
‘ এইই জঙ্গল! তোরা মারামারি করার জায়গা পাস না। সময়-অসময় নেই তোদের? এই ভর-দুপুরে মাঝ রাস্তায় চুমাচুমি শুরু করছোস। ’
ইতিমধ্যে পটপট শব্দ তুলে রতনের এক গাছি চুল দিশার হাতের মাঝে চলে গিয়েছে। যন্ত্রনায় কাতড়ে রতন হড়বড়িয়ে বলল,
‘ চুল ছাড় দিশা। ইসস! লাগতাছে ছাড় তাড়াতাড়ি। ’
রতনের কথার প্রেক্ষিতে দিশা মাত্র মুখ খুলতে নিয়েছিল তখনি পাশ থেকে একটা হকিস্টিকের বাড়িয়ে এসে লাগল রতনের পায়ে। ব্যাথায় রতন কঁকিয়ে উঠল।
যে ছেলেটা রতনকে মারল ঘাড় ঘুড়িয়ে ভয়ংকর নজরে তার দিকে তাকালো দিশা। মুহূর্তের মাঝেই রতনের হাতে থাকা হকিস্টিকটা নিয়ে সেই ছেলের পশ্চাৎ দেশ বরাবর দিল জোরে এক বারি। পেছন দিকে হাত চেপে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠল ছেলেটা। ওর এরকম করুণ আর্তনাদময় চিল্লানি শুনে মারামারি করতে থাকা সকলের হাত থেমে গেল। গোল গোল চোখে ছেলেটার দিকে চাইল সবাই।
গাড়িতে বসে দেখল সেটা ফাহাদ। বিড়বিড়িয়ে বলে উঠল,
‘ ফেটেছে! ’
এদিকে দিশা ব্যাথায় আর্তনাদ করা ছেলেটার দিকে হকিস্টিকটা উচিয়ে দাঁতে দাঁত পিষে বলল,
‘ মাকালের জাত! তুই গুতালি কেন? যখন দেখলি আমি রতনকে সাইজ করছি মাঝখানে এসে তোকে কেনো খোঁচাতে হবে? তোরা আসলেই জাউড়া। ’
পেছন থেকে হাড্ডিসার একটা ছেলে দাপটের সহিত বুক ফুলিয়ে দিশার দিকে তেড়ে আসতে নিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই দিশা একের পর এক যাকে-ই সামনে পেল মারা শুরু করল। দিগন্তের দলের ছেলেগুলো যারা দিশাকে চেনে তারা আগে থেকে-ই সাইড কেটে গিয়েছিল। কিন্তু ফাহাদের দলের ছেলেগুলো কি করবে বুজতে পারল না। ইতিমধ্যে কয়েকজন মার খেয়েছে। ফাহাদ ইশারায় ওদের চলে যেতে বলল। দু-একজন যারা মার খেয়ে দিশার দিকে তেড়ে যেতে চাইছিল কিন্তু ফাহাদের গরম চোখের চাহনি দেখে দমিয়ে নিয়েছে নিজেদের। সুরসুর করে লেজ গুটিয়ে রাস্তা ফাঁকা করল নিমিষেই।
সব চলে যেতেই দিশা অনুভব করল ওর এক পায়ে তাপে পুড়ে যাচ্ছে। মাথা নিচু করে হেলিয়ে দেখল এক পায়ে জুতো আছে কিন্তু অপর পা জুতো ছাড়া রোদে উত্তপ্ত থাকা পাকা রাস্তায়। মাথায় হাত দিয়ে চেঁচিয়ে উঠল দিশা,
‘ হায় রেএএ! আমার জুতা হারাইছে। ’
পাশ থেকে কেউ একটা জুতা ওর হেলিয়ে রাখা চোখের সামনে ধরে বলল, ‘ এটা তোমার? ’
খপ করে জুতাটা টেনে নিল দিশা। সেটা নিচে ফেলে পায়ে গুজতে গুজতে দ্রুততার সহিত বলল,
‘ হ্যাঁ! হ্যাঁ!আমার। রাগের মাথায় ফিক মারছিলাম মনে হয়। এক পরীক্ষার চক্করে আমি গ্রামে যেতে পারি নি। খালি যদি আজ আমার পরীক্ষা মিস যায় তাহলে দিগন্ত তালুকদারের তো চুল ছিঁড়বোই সাথে আরেক দলের গরুর খোঁজ বের করে থাপ্পড়ের উপরে রাখবো।’
ফাহাদ সরু চোখে সামনের শ্যামরাঙা বাঁচাল মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। কাকে কি বলছে মেয়েটা! এতো দ্রুত কথা বলল যে ফাহাদ অর্ধেক বুঝল আর বাকি অর্ধেক কানের পাশ দিয়ে উড়ে গেল।
জুতা পা দেওয়া শেষ হতেই মাথা উঠালো দিশা। পাশে দাঁড়ানো ফর্সা চামড়ার, লম্বা-চওড়া,সুন্দর ছেলেটার দিকে নজর পড়তেই চোখ রসগোল্লার ন্যায় বড় হয়ে গেল। সহসা দুগালে হাত রেখে চেঁচিয়ে উঠল,
‘ ইয়া আল্লাহ! কি সুন্দর পোলা! ’
চোখ-মুখ কুঁচকে ফাহাদ বলল, ‘ হোয়াট? ’
ফাহাদের প্রশ্ন কানে তুলল না দিশা। নিজের মতোই বলে গেল,
‘ আপনার সাথে আমার আবার দেখা হোক। এখন আর এক সেকেন্ডও সময় নাই হাতে। ’
বলেই ওর রিকশার দিকে ছুট লাগালো। ফাহাদ ভ্রুঁ-কুঁচকে দেখল ওকে। এতো চঞ্চল মেয়ে ওর কোনো-কালেই পছন্দ না। কিন্তু মেয়েটার সাহস আছে। ছোট মেয়ে অথচ এতোগুলো ছেলের মাঝে এসে মারপিট শুরু করে দিল।
এদিকে ফাহাদের সাথে দিশাকে কথা বলতে দেখে দূর থেকে রাগে ফুঁসছে রতন। চোখ দিয়ে আগুন ঝড়ছে ওর।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে খানিক সময় আগে। রকেয়া তালুকদারের ঘরে এতোক্ষন জম্পেশ আড্ডা দিয়েছে সবাই মিলে। মাইশার মা রেহানা, বাণী আর রকেয়া মিলে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। রাতের রান্না বসাবে এখন। যদিও বাণীকে নিতে চায় নি সাথে। বাণী-ই জোর করে গিয়েছে। রুমে এখন বেলা আর মাইশার অবস্থান। মাইশার সাথে সহজেই মিশে গিয়েছে ও।
সামনে রাখা গরম গরম ছোট সাইজের সিঙ্গারাগুলো টপাটপ মুখে পুড়ছে বেলা। খেতে অনেক মজা। খাচ্ছে আর একের পর এক প্রশ্ন করছে মাইশাকে। মাইশাও ওর কথাগুলো মন দিয়ে শুনছে আর শান্তভাবে উত্তর দিচ্ছে। ঠিক এ কারণেই মাইশাকে বেশ মনে ধরেছে বেলার। মেয়েটা দেখতেও যেমন সুন্দর ওর কথাবার্তাও সেরকম মিষ্টিমুখো।
ওদের কথার মাঝেই ঘরের দরজার সামনে মাথা বাড়িয়ে রায়হান বলল,
‘ দিগন্ত কোথায়? ’
রায়হানের আওয়াজ শুনে সেদিকে তাকালো বেলা। কিন্তু হাসি-খুশি মুখের ভঙ্গিমা পাল্টে মুখ কিছুটা বেঁকিয়ে বলল,
‘ বাড়ির পেছনের দিকে গিয়েছে। ’
বেলার উত্তর কানে গেল রায়হানের। চলে যেতে নিলে চোখ গেল ওর দিকে পিঠ ঘুরিয়ে বসে থাকা একটা মেয়ের দিকে। মাথায় কাপড় চাপিয়ে বসে আছে। কিন্তু দরজার উল্টো দিকে বসে থাকার কারণে মুখ দেখতে পেল না। এতো বেশি ঘাটল না রায়হান। মুখ দেখলে-ও বা কি! রকেয়া আর দিলদার তালুকদার ব্যতিত এখাকার একটা কাক-পক্ষীকেও চেনে না ও। তাই হাঁটা ধরল দিগন্তের কাছে যাওয়ার জন্য।
যদিও মাইশা আগে থেকেই মুখ ঘুরিয়ে বসে ছিল। রায়হানের গলার আওয়াজ পেয়ে নিজেকে আরো কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছে। চাইলেই মাথা ঘুরিয়ে লোকটার চেহারা দেখতে পারত কিন্তু কোনো ইচ্ছে নেই। যে লোক বিপদের সময় একটা মেয়েকে কটু কথা শুনিয়ে একা ফেলে আসে। সে লোককে দেখতে চায় না ও। তবে মনে মনে লোকটার প্রতি কৃতজ্ঞ। ঠিক সময়ে না এলে আজ সর্বহারা হতো ও। মরা ছাড়া বুঝি আর উপায় থাকত না!
রায়হান যেতেই বেলা মন কিছুটা বেজার করে মাইশাকে বলল,
‘ জানো আপু! এই ভাইয়াটা ভালো না। ’
বেলার কথাটা শুনে ধক করে উঠল মাইশার মন। তাও নরম কণ্ঠে প্রশ্ন করল, ‘ কেনো? ’
-‘ আমার পছন্দ হয়েছিল বলে প্রপোজাল দিয়েছিলাম কিন্তু তার বদলে দিগন্ত ভাইয়ের হাতে থাপ্পড় খেয়েছি। ’
অবাক হলো মাইশা। বিস্মিয়ভরা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ তারপর? ’
-‘ মার খেয়ে ব্যাথার জন্য কদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। যখন দিগন্ত ভাই বলল রায়হান ভাইয়ের প্রেমিকা আছে তখন থেকে তাকে পছন্দ করাও বাদ দিয়ে দিয়েছি। ’
বেলার মুখ থেকে লোকটার নাম জানল মাইশা। সাথে এও জানল প্রেমিকা আছে তার। হালকা হাসল ও। এজন্য-ই হয়তো ওরকম ব্যবহার করেছিল। কানে আবারো ভাসলো কিছু তিক্ত কথা, ‘তোকে আমি মানি না। না তোর মুখ দেখেছি আর না কখনো দেখতে চাই। তুই ওদের-ই যোগ্য। ’
দিগন্তের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রায়হান। সেটা টের পেয়ে দিগন্ত ওর দিকে না ফিরেই বলল,
‘ কাহিনী কি তোর? ’
হুট করে দিগন্তের এহেন প্রশ্নে হকচকালো রায়হান। আমতা আমতা করে বলল, ‘ মানে?ক.. কিসের কাহিনী? ’
-‘ এসেই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়লি কেনো? কতক্ষন ডেকে এলাম কোনো হুশ নেই তোর। ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলি? ’
-‘ ওই আরকি! মাথা ব্যাথা করছিল। তাই একটা খেয়ে ঘুমিয়েছিলাম। ’
এবার রায়হানের দিকে তাকালো দিগন্ত। কিছুটা সন্দিহান গলায় বলল,
‘ ওভারথিংকিং থেকে বাঁচতে ঘুমের ওষুধ খাস তুই। সত্যি কথা বল। কোনো কারণে চিন্তায় আছিস? ’
রায়হান দোটানায় ভুগছে। দিগন্ত আর ও একে অন্যের কাছে খোলা পাতার মতো। নিজেদের মধ্যে কখনো কিছু লুকায় নি। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটা ঘটনাটা বলবে কিনা বুজতে পারছে না। নিজের মনেই দোটানা এক অশান্তি রয়েছে ও। তখন রাগের মাথায় মেয়েটাকে ফেলে এলেও এখন বেশ অপরাধবোধে ভুগছে। মেয়েটাকে না দেখেছে আর না কোনো পরিচয় জানে। মেয়েটাকে নিজের জীবনের সাথে জড়াবে না ঠিকি তবে মাফ চেয়ে ওর জীবন গুছিয়ে দিতে পারত।
-‘ কোথায় হারালি? ’
দিগন্তের প্রশ্নে কি উত্তর দিবে রায়হান জানে না। তাই প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল,
‘ বারবার একি প্রশ্ন করা বন্ধ কর শালা। কি হবে? কিছুই হয় নি। এতো প্রশ্ন না করে চল একটা রাইড দিয়ে আসি। ’
রায়হানের আড়ালেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল দিগন্ত। অতঃপর দুজনে নিজেদের সাথে দিহানকেও ধরে বেঁধে নিয়ে রাইড শুরু করল। বাকিরা থাকল বাড়িতে গল্প-আড্ডাতে মেতে।
রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে কিছুক্ষন আগে। মাইশারা সব কাজ গুছিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। সবাই এক সাথেই খেতে বসেছিল। কিন্তু ধীরগতি বেলার খাওয়া শেষ হলো সবার শেষে। এখন হাত ধোঁয়ার জন্য কলপাড়ে যেতে হবে।
বেলা ছুটতে ছুটতে সে দিকে যাচ্ছিল। মাঝপথে কারো সাথে ধাক্কা খেলো। চোখ তুলে দেখার আগেই চারপাশ অন্ধকারোচ্ছন্ন হয়ে গেল। ভয়ে চেঁচালো বেলা,
‘ আব্বুউউ! ভূত। ’
বেলার অকারণে ভয় দেখে ধমকে উঠল দিগন্ত,
‘ চুপ কর বেয়াদব। ’
-‘ দ..দি..দিগন্ত ভাইই? ’
-‘ হু ’
-‘ এতো অন্ধকার কেনো? ’
-‘ লোডশেডিং। ’
-‘ আমাদের বাড়িতে তো কারেন্ট গেলেও আলো জ্বলে। এখানে কেনো নেই? ’
-‘ তোর বাপের আইপিএস আছে। এখানে আইপিএস নেই। ’
বেলা দিগন্তের কাছ ঘেঁষে একহাত দিয়ে হাতড়ে ওর শার্টে এক কোণ ধরল। কাঁচুমাঁচু করে বলল,
‘ কেনো? অ..আমার অন্ধকারে ভয় লাগে খ..খুব। ’
-‘ তোর বাপের মতো আমরা বড়লোক না তাই নাই। ’
বলতে বলতে পকেট থেকে ফোন বের করে বেলার হাতে ধরিয়ে দিল দিগন্ত। আলো পেয়ে চারপাশ কিছু দেখতে পেল বেলা। ভয় কিছুটা কমল ওর। পরক্ষণেই দিগন্তের দিকে চোখ পড়তে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘ এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো? ’
দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২১
দিগন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। আবহাওয়া এখন অনেকটা-ই ঠান্ডা তাও বেলা ঘেমে গিয়েছে। অন্ধকারে ভালো-ই ভয় পায় মেয়েটা। একে তো সর্বক্ষন অন্ধকারে রাখা উচিত তাহলে দিগন্তের আগ-পিছে ঘুরঘুর করে বেড়াবে।
বেলার প্রশ্ন শুনে ঠান্ডা গলায় বলল,
‘ কিছু না। হাত ধুয়ে আয় যা। ’