দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩০

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩০
আফরোজা আশা

তিন দিন যাবৎ হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে বেলা। জ্বর একবার কমছে একবার বাড়ছে। চোখমুখের অবস্থা ফ্যাকাশে। চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। ফর্সা গাল দুটো হালকা লাল হয়ে আছে।
আমেনা ওর মুখের সামনে খাবার ধরে রেখেছে। কিন্তু বেলা তা মুখে তুলতে নারাজ। চোখ-মুখ কুঁচকে আরেকদিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।
-‘ অল্প করে হলেও খা না মা। খালি পেটে তো ওষুধ খাওয়া যাবে না। ’
-‘ খাবো না। সবকিছু তিতা লাগছে। ’
-‘ সকাল থেকে না খেয়ে আছিস। একটু খা। ’
-‘ না ’
আমেনা হাতের খাবারটুকু প্লেটে রেখে হতাশ ভঙ্গিতে বেলার দিকে তাকিয়ে আছে। আগে এতো জেদ ছিল না বেলার। ইদানিং খুব জেদ হয়েছে। যেটা না বলছে তো নাই। কারো কোনো কথা কানে তুলছে না।

‘ পানি শেষ হয়ে গিয়েছে। দুটো বোতল ভরে পানি আনলাম এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে ফুরালো কে জানে। বাড়ি থেকে আসতেও দেরী হবে। একটু থাক আমি আনছি। ’
মায়ের কথা শুনে বেলা তার দিকে তাকালো। শুকনো গলায় বলল,
‘ আব্বু কখন আসবে? ’
-‘ দোকানের কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি আসবে। বাণীটা কাল সারারাত জেগে ছিল ওকে আজ আসতে মানা করেছি। রিনা আর বৃষ্টি হয়তো এখনি চলে আসবে। আমি পানি আনি। ওষুধের সময় চলে যাচ্ছে। ’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমেনা পানি নিতে চলে গেল। বেলা চুপচাপ আবার শুয়ে পড়ল। মন ভালো না থাকলে শরীর আর কিভাবে ভালো থাকে। কিছুই ভালো লাগছে না বেলার। সবকিছুই বিরক্ত লাগছে। কারো কথাও শুনতে ইচ্ছে করছে না। দুচোখের পাতা এক করে নিরবে শুয়ে থাকলো। ক্লান্ত শরীরে হয়তো ঘুমের রাজ্যে ডুব দিল।
হাসপাতালের একসাইডে জীপের উপর বসে আছে দিগন্ত আর রায়হান। দিগন্তের ফোন বেজে উঠল। কানে চেপে ধরতেই একজন মেয়ের কণ্ঠ ভেসে এলো,
‘ কেবিন ফাঁকা আছে ভাই। ’

দিগন্ত কিছু না বলে ফোনটা কেটে দিল। সামনের দিকে নজর তাক করতেই দূরে হাসপাতালের গেটে আমেনাকে দেখতে পেল। জীপ থেকে নেমে দাঁড়িয়ে রোদ চমশাটা খুলে হাতে নিল। রায়হানকে উদ্দেশ্য করে বলল,
‘ যা , রহমান পাটোয়ারী খ্যাটখ্যাটে হলে বউটা খুব ভালো। কথা বলে ব্যস্ত রাখ আমি আসছি। ’
রায়হান চকিত দিগন্তকে বলল,
‘ আমি কি কথা বলব? এসব পারব না। যা করার তুই কর। ’
দিগন্ত বাঁকা হেসে বলল, ‘ বিয়ে করেছিস নাকি! বউয়ের তো কোনো হুদিস জানিস না শালা। আমার রাস্তা ক্লিয়ার করে দে। একদিন দেখবি আমিও তোর অনেক কাজে লাগবো। ’
রায়হানের মন কিছুটা ভার হলো। একটা বড় শ্বাস ফেলে বলল,

‘ কি করব এখন? কাজীর কাছে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নাই। দুনিয়ার কোনো এক কোণে আমার বিয়ে করা বউ পড়ে আছে। আর এদিকে বউ থাকতেও আমি একাকী ঘুরে বেড়াচ্ছি। সেদিন ছেড়ে এসে কি ভুলটাই না করছি। এখন হাতড়েও ভুলের সংশোধন খুঁজে পাই না। ’
দিগন্ত শুনেও শুনল না রায়হানের দুঃখের কথা। ভেতরের দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।
**
ঘুমন্ত রমণীর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দিগন্ত। মুখটা শুকিয়ে গিয়েছে। অসুস্থতার ছাপ পুরো চোখমুখ জুরে। বেনী করা চুল বালিশের একপাশে পড়ে আছে অবহেলায়। পিঠ ছাড়িয়ে কোমড়ের কাছে নেমেছে চুলগুলো। বেলার গালের সাথে লেপ্টে থাকা দু-তিনটা চুল হাত বাড়িয়ে সরিয়ে দিল দিগন্ত। বুড়ো আঙুল দিয়ে বেলার নাকের অগ্রভাগে স্পর্শ করল। মাত্র ধেয়ে আসা তন্দ্রাচ্ছন্নভাব কাটল বেলার। শরীর শিউরে উঠল হুট করে। চোখ হালকা খুলে কাঙ্ক্ষিত লোকটাকে দেখে আবারো বুজে ফেলল। মাথা হেলিয়ে একপাশে করে রাখলো।
দিগন্ত বেলার নাক থেকে আঙুল নামিয়ে গালে স্লাইড করতে করতে আদুরে গলায় ডাকল,
‘ বেলা! ’

বেলা শুনল সে ডাক। দিগন্তের এই ডাকে ভেতরে কোথায় যেন একটা ভালোলাগা কাজ করে। ওর খুব করে ইচ্ছে করছে সাড়া দিতে কিন্তু দিবে না। না চোখ খুলল, না একটু নড়লো-চড়লো।
‘ বড় বেয়াদব তুই! একবার ডাকলে শুনিস না। ’
বেলা নিশ্চুপ। আগের মতোই পড়ে আছে। দিগন্ত ঠোঁট কামড়ে ধরে অভিমানী বেলার কাজ-কারবার দেখলো। চোখের পাতা নড়ছে। চোখ খুলতে চেয়েও খুলছে না।
‘ এটুকুতেই জ্বর বাঁধিয়ে দিলি। শরীরে ইমিউনিটি নাই আবার ছোট মাথায় এতো চিন্তা আনিস কেনো? ’
বলার প্রায় মিনিট খানেক পেরিয়ে গেল বেলার নড়চড় নেই। দিগন্ত বিরক্ত হলো। মুখ দিয়ে চুউউ শব্দ বের করে ধমকে উঠল,

‘ এই কথা বল। নাদানের ঘরের নাদান! ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিস? আমার ইগো হার্ট হলে বুঝবি। কেঁদে ভাসালেও আর এতো তেলাবো না। অসভ্য মেয়ে মানুষ। ’
এবেলা আর দিগন্তের ধমকেও কাজ হলো না। বেলার কোনো ভাবান্তর নেই। অবাক হলো দিগন্ত। হাঁটু বয়সী মেয়েটা এখন ওকে জেদ দেখাচ্ছে। এতো কথা খরচ করল তাও মুখ থেকে একটা শব্দ বের করতে পারলো না। এখন কি রাগারাগি করে, ধমকাবে নাকি নরমভাবে কথা বলবে নিজেই কনফিউজড হলো দিগন্ত। অতঃপর গলা খাঁকড়ি দিয়ে নরম স্বরে ডাকলো,

‘ বেলা! সোনা শোন। ’
এতো মিষ্টি ডাকে আইসক্রিমের মতো গলে গেল বেলার তনু-মন। পিটপিট করে চোখ খুলল। ঘাড় সরিয়ে দিগন্তের দিকে ফিরে ওর চোখের দিকে তাকালো। দিগন্ত বেলার দিকে একটু ঝুঁকে ঠান্ডা গলায় বলল,
‘ কথা বল। ’
বেলা চোখমুখ কুঁচকে নিয়ে নাক ফোলালো। সেটা দেখে দিগন্ত ঝট করে দু’আঙুলের সাহায্যে ওর নাক টিপে দিল। ব্যাথায় বেলার চোখে পানি চলে এলো। নাকে হাত দিয়ে ব্যাথাতুর গলায় বলল,
‘ আহ! লাগালেন কেনো? ’
‘ লেগেছে? ’
‘ হ্যাঁ ’ বলে চোখ বড় বড় হয়ে গেল বেলার। মুখে হাত চেপে ধরে সেভাবেই দিগন্তের দিকে তাকালো। ও না পণ করেছিল এই বাজে, পাষান্ড লোকটার সাথে আর কথা বলবে না। কি করে বলে ফেলল! এখন আবারো কান্না পাচ্ছে বেলার।
দিগন্ত সরু চোখে চেয়ে দেখল ওকে। অতঃপর হাত বাড়িয়ে ঢেকে রাখা খাবারের প্লেটটা হাতে তুলে নিল। বেলার মুখের সামনে এক লোকমা খাবার নিয়ে মোলায়েম গলায় বলল,

‘ খেয়ে নে। ’
দিগন্তের কথাটা অমান্য করল না বেলা। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খেয়ে নিল। খাচ্ছে আর বারবার চোখ ফিরিয়ে দিগন্তের মুখপানে তাকাচ্ছে। দিগন্ত বেলার নজর খেয়াল করেছে। কিছু বলে নি। অল্প একটু খেয়ে আর খেতে পারলো না বেলা। দিগন্তও জোর করল না। হাত ধোঁয়ার জন্য উঠতে নিলে আটকে দিল বেলা। দিগন্তের শার্টের এক কোণা চেপে ধরে রেখেছে। প্রশ্ন সূচক চাহনিতে বেলার দিকে তাকালো দিগন্ত।
বেলা কিয়ৎক্ষন গাঁইগুঁই করে বলল,
‘ আপনি কি এখনি চলে যাবেন? ’
‘ হু। কেনো? ’
‘ আরেকটু থাকবেন না। ’
‘ তুই চাইছিস আমি থাকি। ’
‘ হুম। ’

দিগন্ত হাতের প্লেটটা রেখে দিয়ে বেলার কাছাকাছি এলো। দিগন্তের এতো কাছে আসাতে ভেতরে ভালোলাগার জোয়াড় বয়ে গেল বেলার। দিগন্ত বেলার চোখের দিকে হালকা ফুউ দিল। আবেশে চোখের পাতা এক করল বেলা। বেলার খুব কাছে এসে দিগন্ত ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ আমি তোর কাছে এসেছি জানতে পারলে তোর বাপ আমাকে কারাগারে পাঠাবে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হো। তুই নিজ থেকে আমার কাছে না আসা পর্যন্ত আমার হাত-পা বাঁধা। ’

কথাগুলো বলে বেলার কাছ থেকে সরে যেতে চাইলে, চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় দিগন্তের বুকের কাছে শার্ট আকড়ে ধরল বেলা। ধীরস্থির ভাবে চোখ খুলে সরাসরি দিগন্তের কালচে মণিজোড়ায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করল। দিগন্তের এলোমেলো দৃষ্টি তাতক্ষনাৎ আটকে গেল বেলার সম্মোহিত চাহনিতে। কিছুক্ষন একদৃষ্টে তাকিয়ে থেকে একটা ফাঁকা ঢোক গিললো। মন অনেক কিছুই চাইছে কিন্তু সময় পরিস্থিতি কোনটাই সঠিক নয়। একটা বড় শ্বাস টেনে বেলাকে বলল,
‘ এভাবে ধরে রেখেছিস কেনো? ছেড়ে দে। ’
বেলার কোনো পরিবর্তন নেই। দিগন্তের চোখের দিকে তাকিয়েই ডাকল,
‘ শুনেন ’

বেলার এহেন সম্বোধন দিগন্তের বুকে গিয়ে আঘাত হানলো। হৃদস্পন্দন এর গতি তীব্রতর হলো। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এসেছে। মরিয়া হয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু বাসনা। বেলা এখনো দিগন্তের জবাবের অপেক্ষায়। কয়টা শ্বাস টেনে নিজেকে শান্ত করল দিগন্ত। অতঃপর বেলার একগালে হাত রেখে শান্ত গলায় জবাব দিল,
‘ বলেন ’
দিগন্তের কথা আহ্লাদীপনা বাড়লো বেলার। এতোক্ষনের চেহারা ভোল পাল্টে গেল মুহূর্তেই। ঠোঁট উল্টে মাসুম চেহারায় গদগদ ভাব নিয়ে বলল,
‘ আমার খালি কান্না পায়। ’
বেলার কথায় মৃদ্যু হাসলো দিগন্ত। ওর গালে হাত রেখেই জিজ্ঞেস করল,

‘ তারপর? ’
‘ কেমন যেন লাগে বুঝতে পারি না। ’
‘ আচ্ছা। তারপর? ’
‘ বারবার আপনার কথা মনে পড়ে। তখন সবকিছু বিরক্ত লাগে। আপনাকে দেখতে ইচ্ছে খুব। ’
‘ তারপর? ’
এবার বেলার চোখ গড়িয়ে পানি পড়লো। দিগন্ত ঠান্ডা চোখে দেখল সেটা। নিচে গড়িয়ে পড়ার আগেই আঙুল দিয়ে মুছে দিল। ওর বুকের কাছে বেলার ধরে রাখা হাতজোড়া নিজের দাবাং একহাতের মাঝে নিল। বেলা নাক টেনে কিছু বলতে চাইলে আটকে দিল দিগন্ত। ভারী গলায় বলল,
‘ তারপর আবার মাইশার টপিক এনে আমাকে রাগিয়ে দিবি তাই তো? বলতে হবে না আর। তোর এতোক্ষনের করা বেয়াদবির জন্য আমি এমনিই অনেক এলোমেলো হয়ে গিয়েছি। না খেয়ে থাক তুই আর আসবো না তোর কাছে। যত পুষ্টির ঘাটতি হবে সব পরে পুষিয়ে দিবো। ’

বলে জোর করে বেলার হাত নামিয়ে দিল। বেলা ছাড়তে চাইলো না কিন্তু দিগন্তের শক্তির সাথে ওর চুনোপুটি শক্তি সুবিধা করতে পারলো না। বেলার হাত ছাড়িয়ে আর ওর দিকে তাকালো না দিগন্ত। ঝটপট পা বাড়িয়ে বাহিরের দিকে হাঁটা ধরল। বেলা কয়েকবার ওকে ডাকলো, দিগন্ত শুনেও শুনল না বেলার সে ডাক। দিগন্ত ওর ডাক উপেক্ষা করলো দেখে কান্নার বেগ বাড়লো বেলার। কাঁদছে আর দুহাত দিয়ে চোখের পানি মুছছে।
দিগন্ত সোজা এসে জীপের সামনে দাঁড়ালো। ভেতরের উথাল-পাথাল অনুভূতির তোপে পুরো শরীর জুরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে চেপে ধরল। জীপের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে নিল।

এতোক্ষন ধরে আমেনার সাথে বকবক করেছে রায়হান। দিগন্তের মেসেজ পেয়ে বড় একটা দম টানলো। রায়হানকে পেয়ে আমেনাও বেশ আময়িক আচরণ করেছে। অনেকক্ষন কথাবার্তা বলে রায়হান এবার বিদায় নিল আমেনার কাছ থেকে। আমেনাও হাসিমুখে বিদায় দিয়ে পানির বোতল নিয়ে হাসপাতালের দিকে গেল। ছেলেটার কথাবার্তা, আচার-ব্যবাহার বেশ ভালো লেগেছে আমেনার। বৃষ্টির সাথে মানাবে ভালো। আজ রহমানের সাথে কথা বলবে এ ব্যাপারে।
রায়হান দিগন্তের কাছে এসে হাফ ছাড়লো। কি থেকে কি বলেছে তা নিজেই জানে না। বিরাট যুদ্ধ করে এসেছে ও। দিগন্তের দিকে চোখ যেতেই ওকে ধাক্কা দিয়ে বলল,
‘ কিরে শালা! চোখ বন্ধ করে এভাবে সিগারেট ফুকছিস কেনো? ধীরে টান শেষ হয়ে যাচ্ছে না তো। ’
রায়হানের গলার স্বর শুনে ঝট করে চোখ মেললো দিগন্ত। চোখজোড়া লাল হয়ে গিয়েছে। পা উঠিয়ে রায়হানের বাহুর কাছে জোরে একটা লাথি দিল। বাহুতে হাত রেখে পিছিয়ে গেল রায়হান। চরম বিস্ময় নিয়ে দিগন্তের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ মারামারি করছিস কেনো? আমি কি করলাম? ’
দিগন্ত রাগী গলায় গজগজিয়ে বলে উঠল,
‘ সব নষ্টের মূল তুই। বিয়ে করে বউ সামলে রাখতে পারিস না। সেটাও আমাকে দেখতে হচ্ছে। এদিকে নাদানের ঘরের নাদান, কিছু না বুঝে নিজের ক্ষতি করছে। জ্বরে শুকিয়ে কাঠ হয়েছে। বিয়ে করে মেয়েটাকে রেখে পালিয়ে এসেছিলি কেনো হারামজাদা। শালা; তুই একটা কা-পুরুষ। আবার আমাকে জিজ্ঞেস করছে; আমি কি করলাম? তুমি বা*ল ফেলাইছো। মগা কোথাকার! ’

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ২৯

বলে দিগন্ত জীপে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিল। রায়হান হতবাকের ন্যায় দিগন্তের কথাগুলো শুনলো। সব কথা মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে ওর। ইঞ্জিনের শব্দ পেয়ে ধ্যান ভাঙ্গল। দিগন্তকে চলে যেতে দেখে তড়িঘড়ি করে বলল,
‘ এই থাম! আমি বাইক আনি নি। আরে থাম; শালা! আমাকে নিয়ে যা। ’
দিগন্ত ততোক্ষনে হাসপাতালের রাস্তা ছেড়ে মেইন রাস্তায় উঠেছে। পেছন থেকে রায়হানের গালিভর্তি চেঁচামেচি ভেসে আসছে। সেসবে পাত্তা দিল না। আপাতত ওর মন-মস্তিষ্ক একজনকে নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত।

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৩১