Violent love part 44
Mariam akter juthi
“রাদিফ রোদ কে পিছিয়ে যেতে দেখে, ওর পা ধরে ওর কাছে টেনে এনে বলল,
‘আজ থেকে তোকে আমি বেডেও নিব। তখন বুঝবি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু হলে কেমন লাগে। — বলে রোদের কোন কথা না শুনেই রোদকে নিজের সাথে আস্তে আস্তে একটু করে মিশিয়ে নিল। প্রথমে রোদের নরম তুলতুলে ঠোঁট দুটো রাদিফের পুরুষায়ালি ঠোঁট দ্বারা আবদ্ধ করে নিল। অতঃপর ঠোঁট ছেড়ে ঘার নিচু করে রোদের ফর্সা গলায় চুমু খেতে খেতে দুই ইঞ্চি নিচে এসে, দাঁত দ্বারা রোদের পেঁচানো তোয়ালে টা কামড়ে সরিয়ে নিল। অতঃপর রোদের উন্মুক্ত বুকে পরপর দুটো শব্দ করে চুমু খেলো।
রাদিফের এমন কাজে রোদ ভয়ে প্লাস সহ্য করতে না পেরে, এক হাতে বিছানার চাদরটা খামছে অন্য হাতে রাদিফের চুলগুলো শক্ত করে মুঠ করে ধরল। রোদ রাদিফের চুলগুলো মুঠিবদ্ধ করতে, রাদিফ যেন নিজ হুশ হারিয়ে ফেলল। তারপর? তারপর আর কি? দুটি দেহ পরিপূরক ভাবে এক হয়ে গেল। হল দুটো বাঁধনে পবিত্র আত্মার মিলন। যারা চাইলেও আর অস্বীকার করতে পারবে না, তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। আর না রাদিফ রোদকে ঠেলে সরিয়ে দিতে পারবে। রাদিফ রোদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ ঘনিষ্ঠ হয়ে ক্লান্ত হয়ে অপর পাশের বালিশের উপর শুয়ে পড়তে, রোদ তখনো শরীরের ব্যথায় ফুপিয়ে কাঁদতে ব্যস্ত। যে মানুষটা ওকে ভালোবাসে না ওকে সহ্য করতে পারে না সুযোগ হলে ওকে তার জীবন থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিত।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সেখানে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, আজ ভাগ্য তাকে সম্পূর্ণ তার করে দিল। সে চাইলেও এখন আর তার থেকে দূরত্ব বাড়াতে পারবে না। রাদিফ অবহেলা করলেও তা মেনে নিয়ে তার সাথে জীবনটা কাটাতে হবে কারণ নারীর সতীত্ব তো একটাই। তা শুধু এক পুরুষের কাছেই সপে দেওয়া যায়। ছেলেদের মত বিভিন্ন মানুষের কাছে পুনঃত্ব হয় না। – রোদ এসব ভেবে মাথাটা কাত করে ভেজা চোখে রাদিফের দিকে তাকালো সে দিব্যি ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে। রোদ এটা দেখে নিঃশ্বাস ফেলে পাশে ছড়ানো তোয়ালেটা শরীরে জড়িয়ে, এগিয়ে রাদিফের বুকে মাথা রেখে একটু জোরে ফুপিয়ে উঠে, অতঃপর রাদিফ যাতে বুঝতে না পারে সে তার বুকে মাথা রেখেছে, সেভাবে আস্তে করে বলল,
‘আপনি আজ যা করলেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু তবুও মানিয়ে নিতে হবে। আপনি যে আমার স্বামী, আপনি যদি একটু ভালোবাসা দিতেন না, আমি রোদ সব কষ্ট মেনে নিতাম। এই আমিটা যে একটু খানি ভালোবাসা পাওয়ার কাঙ্গার।
“সময়টা ঘড়ির কাটায় রাত্র ১১ টা। আয়ান তানিশার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে দোতালা উপরের ঘরের দিক তাকিয়ে পকেট ফোনটা বের করে কল মিলালো তানিশা নাম্বারে, প্রথমবার কল বাজতে বাজতে কেটে গেল, কিন্তু অপর পাশ থেকে কেউ রেসপন্স করলো না দেখে, আয়ান পর পর দুটো কল দিতে তখনও একই রকম বেজে কেটে যেতে আয়ান এবার ভ্রু কুঁচকে আবারো কল দিতে, তানিশা এবার ঘুমের ঘোরে বেশ বিরক্ত হলো। দেখছে যে কল রিসিভ হচ্ছে না, তারপরও বারবার কল দিচ্ছে। তাই কে এত বারবার কল করছে দেখার জন্য, ফোনের ভেসে ওঠা নাম্বারটা না দেখেই কলটা রিসিভ করে ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলল,
‘কে?
‘তোমার ফিউচার হাসবেন্ড।
আয়ানের সোজা উত্তরে তানিশা তখনও ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলল,
‘তাহলে আপনি হয়তো রং নাম্বারে কল করেছেন। সরি মিস নাম্বার ইজ ভুল ডায়াল।
‘জ্বি না মহারানী আমি আপনাকেই কল করেছি । – গম্ভীর কন্ঠে।
মহারানী শব্দটা কানে আসা মাত্র তানিশা চোখ দুটো খুলে ফোনে স্কিনের ঝলঝল করা নাম্বারের দিক তাকাতে দেখে তিত করলা নামে সেভ করা নাম্বারটা। এটা দেখে তানিশা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়ান আবারো একই সুরে বলল,
‘নিচে আসো কথা আছে।
আয়ানের এমন কথায় তানিশা চট করে বিছানা থেকে উঠে বসে ঘড়ির দিক তাকিয়ে টাইমটা দেখে মেজাজ দেখিয়ে বলল,
‘সমস্যা কি আপনার? রাত কটা বাজে দেখেছেন?
‘তুমি আসবা নাকি আমি উপরে আসবো?
‘আপনি কিন্তু এইবার বাড়াবাড়ি,,
‘ঠিক আছে আসতে হবে না। আমি বরং আন্টিকে ফোন দেই। তখন বিষয়টা আরো ভালো হবে। এই অর্ধ রাতে জামাই আদর পাবো, – আয়ানের কথা শেষ হওয়ার আগেই তানিশা তড়িঘড়ি করে বলল,
‘আম্মুকে ফোন দিতে হবে না। ওয়েট করুন আমি আসছি।
‘হুম। – ঠোঁট কামড়ে হেসে।
আয়ান ফোন কাটতে তানিশা বালিশের পাশে রাখা ওড়নাটা শরীরে বউদের মত গোল করে মাথায় ঘোমটা দিল। অতঃপর পাশে গভীর ঘুমে থাকা বোন শর্মির দিক একবার দেখে, বিছানা থেকে নেমে পা টিপে টিপে রুমের দরজা খুলে সিঁড়ি বেয়ে নিচে এসে মেইন দরজা খুলে বের হয়ে পুনরায় আস্তে করে চাপিয়ে, রাস্তায় আসতে দেখে আয়ান বাইকের লুকিং আয়নায় চুল ঠিক করছে। তানিশা এটা দেখে মনে মনে আয়ান কে গালি দিয়ে উঠে বলল, – ‘শয়তানের আরগিলা একটা। তানিশা এসে দাঁড়াতে আয়ান ঘাড় কাত করে ওর দিক তাকিয়ে টেডি স্মাইল দিয়ে বাইক থেকে নেমে, বাইকে উপর হেলান দিল এক পায়ের উপর অন্য পা ভর করে। অতঃপর দক্ষিণ পূর্ব দুই দিকে হাত সোজা করে তানিশাকে এমন ভাবে কাছে ডাকলো মনে হচ্ছে, নায়িকাকে কেউ বন্দী করে রেখেছে সেখানে নায়ক সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নায়িকার কাছে এসে হাত বাড়াতে নায়িকা ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরবে। কিন্তু আয়নের ধারণা পাল্টে দিয়ে হলো তার উল্টোটা। তানিশা আয়ান কে হাত বাড়াতে দেখে পরনের জামা খামচে ধরে দু’পা পিছিয়ে বলল,
‘আপনি আমাকে এসব করার জন্য ডেকেছেন?
তানিশাকে এভাবে পিছিয়ে যেতে দেখে আয়ান ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,
‘মানে?
‘আপনিতো সাধু পুরুষ, তাই মানে বুঝতে পারছেন না। – অন্য দিক মুখ করে। অজ্ঞতা আয়ান তানিশার কথায় পাত্তা না দিয়ে, ওর কাছে এগোতে তানিশা হাত উঠিয়ে বাধা দিয়ে বলল,
‘একদম আমার কাছে আসবেন না।
‘হুয়াই?
‘কারণ টা খুব সিম্পল, আপনার এক ভাই বাসর করে বউকে তিনদিন অজ্ঞান করে রাখছে। আপনিও তো তারই ভাই? আপনাকে, কি বিশ্বাস আছে? যে আপনি আমাকে দশ দিন অজ্ঞান করে রাখবেন না? দেখা গেল, আপনার একটা কথার অবাধ্য হলাম, তখন আপনি আমাকে সত্যি সত্যি দশ দিন অজ্ঞান করে রেখে দিলেন। তখন?
তানিশা কথাটা শেষ করতে না করতে, আয়ান ওকে টেনে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল। হঠাৎ কি হলো বুঝে আসলো না তানিশার। পরক্ষণই যখন বুঝতে পারলো তখন আয়ানের থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করতে আয়ন হুস, এর মত শব্দ করে আস্তে ফিসফিসিয়ে বলল,
‘ছটফট করো না প্লিজ, থাকো না একটু এভাবে। ভীষণ শান্তি লাগছে।
তানিশা আয়ানের এহেম কোথায় কেমন শীতল বরফ জমে গেল। তার হঠাৎ কি হলো কে জানে? আয়ান তানিশাকে ছটফট করা বন্ধ করতে দেখে, বেশ কিছুক্ষণ জড়িয়ে থেকে, ওর দুই বাহুতে হাত রেখে সামনে এনে দুহাত দ্বারা তানিশার নরম গাল দুটো হাতের মধ্যেও আবদ্ধ করে, পরপর এ গালে ওগালে, নাকে কপালে শব্দহীন চুমু খেলো। অতঃপর আবারও বুকের সাথে জড়িয়ে বলল,
‘আমি খুবই সামান্য, তবে ভালোবাসাটা তুমি পিওর পাবে।
‘অ,আমার কেমন যেন লাগছে। – তানিশা কথাটা বলা মাত্র আয়ন ওকে সাথে সাথেই ছেড়ে দিল। সে কোন বিষয়ে জোর করতে রাজি নয়, যখন তার ভালোবাসার মানুষটা তার কাজে সায় জানাবে তখনই সে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবে তার আগে নয়। কারণ মানুষটা তো দিন শেষ তারই তাই না? সেখানে জোর জবরদস্তি করা বিষয়টা দৃষ্টিকটু দেখায়। তবুও একটা দিক থাকত জবরদস্তি করার, যদি অন্য কেউ তাকে পেতে চেত। যেখানে মানুষটা তারই হবে সেখানে জবরদস্তি শব্দটা আসেই না। আয়ান এসব ভেবে তানিশা দিক ডান হাতটা বাড়িয়ে বলল,
‘চলো নাম না জানা মোটা গাছটার নিচে বেন্সয় বসি।
তানিশাও আর না করল না, তবে আয়ানের হাতে হাতও রাখল না। বরং আয়ান কে পাশ কাটিয়ে বেঞ্চ ট্যায় বসতে, আয়ান ও দুই বাহু উপরে করে ঠোঁট উচিয়ে হেঁটে এসে তানিশার গা ঘিসে বসতে, তানিশা ওর মাথা সরিয়ে দিতে নিলে আয়ান বলল,
‘উহুম, ভুলেও একদম না।
তানিশাও আর সরালো না, কারণ সে তো জানে, এই ব্যক্তির স্বভাব। সে যতবার সরাবে এই ব্যক্তি ততবার ওর কাঁধে মাথা রাখবে। তাই চুপচাপ বসে থাকতে আয়ান হঠাৎ গেয়ে উঠল,
~~ আজ এই দিনটা হোক দুজনার…
~~ ভালোবাসাতে আরো মধুময়…
“বাইরের রাজনীতির কোলাহল পেরিয়ে, মাত্রই খান মহলে এসেছে আরিশ। সেই বিকেলে পর থেকে বাহিরে আশায়, ব্যস্ততার উপর ব্যস্ততা। জীবনটাই কেমন ধুলিকণার মত হয়ে গেছে। এমপি সাহেব বলতে কথা? প্রতিটা সাধারণ জনগণের ভালো-মন্দ তাকেই দেখতে হবে। হ্যাঁ সে সামান্য উসিলা মাত্র। রিজিক তো আল্লাই দেয় তাদের। তার উপর শত্রুর তো অভাব নেই। যে যেখান থেকে পারছে হামলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আরিশের ইলেকট্রনিক বুদ্ধির সাথে পেরিয়ে উঠতে পারছে না। এইতো সেদিনও আমান ও তার লোকেদের সাথে ঝামেলা হয়েছিল। তবে আমান নিজে থেকেই এসে ক্ষমা চেয়ে গেছে। এতে বেশ অবাক হয়েছিল আয়ান। তবে আরিশ মোটেও অবাক হয়নি। কারণ আমানের মত লোক ক্ষমা চাইবে না সেটা তার বিচক্ষণ মাইন্ড জানে। নিশ্চয়ই কোন ফন্দি এটেই ক্ষমাটা চাইতে এসেছে। তবে আমানের নেক্সট পরিকল্পনা কি সেটাই দেখার পালা। আরিশ KTM RC 390 বাইক টা রাইড করে, গাড়ির পার্কিং এরিয়ায় পার্ক করে বাইক থেকে নেমে, হাত দ্বারা ঘাড়ের শার্টটা উপরের দিক তুলে ঝাড়তে ঝাড়তে
বসার ঘর পেরিয়ে রুমে যেতে নিলে সানজিদা খান পিছু ডেকে বললেন,
‘আরিশ আব্বু ফ্রেশ হয় মৌকে নিয়ে খেতে আসো। – আরিশ হেটে যেতে যেতে উত্তর কোরল,
‘হুম।
আরিশ রুমের দরজার পিন লক ডায়াল করে, রুমে ঢুকতে দেখে তার মৌ মুখ ফুলিয়ে গোল হয়ে বিছানার উপর বসে। আরিশ এটা দেখে তপ্ত নিশ্বাস ফেলে, দু পকেট থেকে দু পকেট ভর্তি কিটক্যাট ডেইরি মিল্ক বের করে বিছানায় ক্যাচ দিতে। জুথি চকলেট গুলো দেখেও আরিশের সামনে না দেখার ভান করল। সে কি ভুলে গেছে? এই লোক তাকে কতগুলো থাপ্পড় দিয়েছে? উহুম একদম না। জুথির মুখ ঘোরানো দেখে আরিশ ফ্রেশ হওয়ার জন্য, তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুম যেতে যেতে বলল,
‘আমি ফ্রেশ হতে যাচ্ছি। অবাধ্য হয়ে, একদম রুম থেকে বের হওয়ার সাহস দেখাবি না। – আরিশ কথাটা বলে আড় চোখে জুথির দিক তাকাতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে, সেও আর কথা বাড়ালো না। হেটে ওয়াশরুম চলে গেল। আরিশ ওয়াশরুমের দরজাটা লাগাতে জুথি সেদিক তাকিয়ে ভেংচি কেটে বলল,
‘মোকলেস, চিনি ছাড়া মিষ্টি কুমার, আমি এক্ষুনি তোর রুম থেকে চলে যাব রে ‘কাদের। – বলে উঠে আবারো ভ্যান করে দরজা পর্যন্ত আসতে চকলেট গুলোর কথা মনে পড়তে ফিরে এসে দুহাতের মধ্য চকলেট গুলো নিয়ে নিজ রুমে চলে এসে দরজাটা শক্ত করে লাগিয়ে নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
‘*বালের একখান স্বামী। চলেই তো এলাম ধরে রাখতে পেরেছেন? হু…? হি হি হি।
বেশ সময় নিয়ে আরিশ ফ্রেশ হয়ে মুখ মুছতে মুছতে বের হয় বিছানার দিক তাকাতে জুথি কে দেখতে না পেয়ে হাত দুটো মুঠি বদ্ধ করে তোয়ালে টা বিছানার উপর ছুড়ে মেরে দাঁতে দাঁতে চেপে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
‘অবাধ্য, অবাধ্য, অবাধ্য, হফফুটের বাচ্চা। এই জিনিসটা আমার মোটেও পছন্দ না যেটা তুই বারবার করে আমাকে রাগিয়ে দিস। – আরিশ রাগে ঘনঘন নিশ্বাস ফেলে আবারো বলল,
‘ঠিক আছে অবাধ্য হয়েছিস না? দেখব কতদিন নিজেকে ঘর বন্দি করে রাখতে পারিস। বলে রাফ পায়ে হেঁটে খাবার খেতে টেবিলে আসে।
খান বাড়ির সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ, রাতে যে যার রুমে চলে যেতে জুথি পেটের ক্ষুদায় ঘর থেকে বেরিয়ে চুপি চুপি টেবিলে এসে বসার ঘরে কোনরকম একবার দেখে দ্রুত পায়ে ফ্রিজের কাছে এসে খাবার তুলে পুনরায় রুমে চলে যেতে পিছন ফেলে গেল আরিশ কে। সে যখন খাবার নিতে নিচে এসেছিল তখন আরিশ লিভিং রুমের পিছনের সুপায় পায়ের উপর পা তুলে ফোন দেখছিল। যার কারণ জুথির চোখে আরিশ পড়েনি। তবে আরিশ বসার ঘরে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তাকাতে জুথি কে খাবার নিতে চুপিচুপি আসতে দেখে, ভ্রু কুঁচকে ওকেই দেখছিল। কারণ তার জানা সবার খাওয়া হয়ে গেলে তার বোকামৌ টা চুপিচুপি খেতে আসবে আর তখন সে তার বউকে নিজের কাছে নিয়ে যাবে। কিন্তু আরিশ জুথির পা টিপে টিপে আসা মুহূর্তটা দেখে জুথি কি কি করে দেখার জন্য তাকিয়ে থাকতে জুথি ততক্ষণে খাবার নিয়ে রুমে চলে গেছে। বিষয়টা তখন তার স্মরণে এসেছে। আরিশ তার মৌ কে নাগালে না পেয়ে ধান হাত বা হাতে ঘুসি মেরে বলল,
‘সিট মিস হয়ে গেল।
জুথি খাবারগুলো পেট পুরে খেয়ে ঢেকুর তুলে আরামসে একটা ঘুম দেওয়ার জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দিতে দিতে বলল,
‘এখন মজা বুঝুন মিসেস AK. বউ ছাড়া কেমন লাগে। হুম,,। – বলে কোলবালিশটা জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে ১০ মিনিট কাটিয়ে দিতে জুথির চোখে ঘুম ধরা দিলো না তাই বিরক্ত হয়ে পুনরায় আবারো ঘুমানোর চেষ্টা করল, কিন্তু আগের বারের মতো এবারও বিশ মিনিটের মাথায় বিরক্ত হয়ে কোলবালিশটা লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে উঠে বসে বলল,
Violent love part 43
‘*বালের কোলবালিশ, তুই কি আমার স্বামী? যে আমার শরীরের মধ্যে ঢুকে ঘুমানোর চেষ্টা করছিস? বেয়াদব, তুই জানিস না আমি আমার স্বামীর বুকের মধ্যে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা? হুম? – এতটুকু বলে ফুসতে-ফুসতে আবারও বলল,
‘*বালেলের রাগ আমার?*বালের অভিমান? এই *বালের রাগ অভিমানের গুষ্টি কিলাই আমি। আমি আমার জামাইয়ের কাছেই ঘুমাবো, হু…।

একবার শুধু জামাইয়ের কাছে যাও এবার এক মাস ছাড়া আর বিছানা থেকে উঠতে পারবে না 😁😁
একদম ঠিক বলছো আপু 😁🤭😋
Next part please 🥺
Daliy episode please
Plz next part den ..r opekkha korte parsi nah
Ami aj 8 din wait korteci
Please next today
I am wait for this
আচ্ছা পর্বগুলো কতদিন পরপর দেওয়া হয়
apu 9 din hoye gese kokhon diben next part
Next part plssssssssssssssss😓🙏
আপু নেক্সট পার্ট প্লিজ 🥺
অনেক অনেক ভালো হয়েছে, পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি দেন আর কত অপেক্ষা করবো
Next part
Next part taratari Dan please apni onak late a Dan
Next part……
Next ep ta dan, ar koto din oppakha korbo?
Next part quickly plzzzzzz