তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব ৪৯
নওরিন মুনতাহা হিয়া
প্রায় দুই ঘণ্টা পর ইনায়ার জ্ঞান ফিরে আসে। চোখের উপর কালো কাপড় দ্বারা বাঁধা, আর তার হাত পা মোটা রশি দিয়ে চেয়ারের সাথে বাঁধা। ইনায়া নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু সে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়। সমুদ্রর তীর থেকে যে তাকে কেউ কিডন্যাপ করেছে, সেটা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগে না। কিন্তু তার সাথে কার শএুতা থাকতে পারে, কোনো অপরিচিত ব্যক্তির কি?আগন্তুক শএু যে এতোদিন ইনায়ার আড়ালে থেকে তার ক্ষতি করে গেছে। যার কারণে দুইবছর আগে অরণ্যর এক্সিডেন্ট হয়েছে, এসএস কোম্পানির খাবারে বিষ মিশিয়ে যে হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে।
°°★ ইনায়া তার চোখ আর হাতের বাধঁন ছাড়ানোর চেষ্টা করে। অন্যদিকে ইনায়ার হাতে ঘড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করে রামিম তার লোকেশন ট্রাক করে। সমুদ্রের থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে এখন ইনায়া অবস্থান করছে, যা শুনে অরণ্য লোকজন নিয়ে সেখানে ছুটে যায়। যদিও ইভান তাদের সাথে যায় না, কারণ অরণ্য তাকে নিয়ে যেতে চাই নাই সেখানে অনেক ঝামেলা হবে যা ইভানের সম্মুখে না হওয়াই ভালো। তাছাড়া ইভান অনেক ছোটবেলা থেকে তার ফুপির কাছে থেকেছে বিদেশে, প্রায় পনেরো বছর বিদেশে তার কাছে থেকে পড়াশোনা করেছে। ফুপি তার কাছে মায়ের সমান, আর ফুপি অরণ্যকে ঘৃণা করতে পারে কিন্তু ইভানকে ওনি ভালোবাসেন। যদি এখন ইভান ফুপির কুৎসিত আর নোংরা রূপ দেখে, তবে তার কষ্ট হবে এবং মন ভেঙে যাবে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
°°★ গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে, রাস্তা যেনো শেষ হচ্ছে না। অরণ্য বারবার ঘড়ির দিকে সময় দেখে যাচ্ছে, আর জিপিএস ট্রাকার দিয়ে দেখছে লোকেশন অনুযায়ী কতদূরে রয়েছে ইনায়া। সারা শরীর বেয়ে তার বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেছে, অন্তর জুড়ে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ইনায়া এখনো চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে, তার হাত পায়ের বাঁধন মুক্ত করার চেষ্টা করছে। চেয়ারে থাকা একটা পেরেক দিয়ে হাতের দড়ির মধ্যে ঘষে যাচ্ছে। হঠাৎ করে তার চোখ থেকে কালো কাপড় সরিয়ে দেয় একজন, কিন্তু তার হাতের বাধঁন এখনো খোলা হয় নাই ——-
__ °°★ কালো কাপড় সরে যায় চোখের উপর থেকে। ইনায়া চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় অনুভব করে বাহিরে থেকে আসা রৌদ্রর আলো তার চোখে পড়ছে। ইনায়া পিটপিট করে চোখ খুলে, সামনে তাকিয়ে দেখে কয়েকজন সুষম দেহের অধিকারী পুরুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাদের প্রতৈকের হাত রয়েছে বন্ধুক, আর তাদের চোখে হিংস্র আর নাশকতা। এখানে প্রায় বিশ থেকে তিরিশ জন লোক উপস্থিত রয়েছে, কিন্তু তারা সকলে তো ইনায়ার শএু হতে পারে না। নিশ্চয়ই কারো নির্দেশে তারা ইনায়াকে কিডন্যাপ করেছে, কিন্তু মানুষটা কে সেটা জানার জন্য ইনায়া বলে
———-! “- কেনো কিডন্যাপ করেছেন আমায়? কি শএুতা রয়েছে আপনাদের সাথে আমার? আর কার কথায় বা কিডন্যপা করেছেন? আসল অপরাধীকে আমার সামনে আসতে বলুন, কে আমার শএু সেটা যানতে চাই আমি “।
°°★ ইনায়ার কথা শুনে সকল গুন্ডা সরে যায়, তাদের পিছন থেকে একজন মহিলা বের হয়ে আসে। যার হাতে ও বন্ধুক রয়েছে, কিন্তু অপরিচিত মহিলাকে দেখে ইনায়া থমকে যায়। এই মহিলা অপরিচিত নয়, বরং তার পরিচিত। ছোটবেলার সকল সৃতি হয়তো ইনায়ার মনে নেই, তার বাবা মায়ের চেহারা কিছু মনে আছে তার। সামনে থাকা মহিলা তাদের বাড়িতে আগে অনেকবার আসত, তার বাবার মৃত্যুর আগে ওনি বাবার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিলেন। আর ওনি তো মিলন সাহেবের বোন, চৌধুরী বাড়িতে কয়েকবার এসেছেন ওনি।
°°★ ইনায়া অস্পষ্ট স্বরে বলে ———-
——- “- ফুপি আপনি এখানে? ——-
°°★ চৌধুরী বাড়ির একমাত্র কন্যা সন্তান হানিয়া বেগম। মিলন চৌধুরী আর মাহির চৌধুরীর বোন, যার বিয়ে হয়েছে লন্ডনে । যেখানো স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন ওনি, দেশে আসা ওনি খুব একটা পছন্দ করেন না। প্রায় পাঁচবছর বা তার ও অধিক সময় পর পর ওনি দেশে আসেন। হানিয়া বেগম অনেক বড়োলোক, ওনার স্বামী ও বিদেশের অনেক বড়ো ব্যবসায়ী। বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য ইভান সেখানে যায়, এতোবছর সেখানে থেকে পড়াশোনা শেষ করে। কিন্তু ওনি এখানে কি করছেন, আর ইনায়ার কিডন্যাপ বা কেনো করিয়েছেন ওনি। ইনায়ার সাথে কি শএুতা থাকতে পারে ওনার, ইনায়ার এমন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা দেখে হানিয়া বেগম সয়তানি হাসি দিয়ে বলে ——-
———– “- কি ইনায়া রাজ চৌধুরী। এতোদিন পর আমাকে দেখে খুশি হও নাই। তোমার বাবার প্রিয় বন্ধু, সম্পর্কে তোমার ফুফু শাশুড়ী হয়। আর শএুতায় তোমার বাবার খুনি, এসএস কোম্পানির সাবেক এমডি ———-.
°°★ ” হানিয়া বেগম তাহলে ইনায়ার আগন্তুক শএু ” কথাটা যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না ইনায়ার। আর ওনি তার বাবার প্রিয় বন্ধু ছিলেন,তবে কেনো তার বাবাকে খুন করতে যাবেন ওনি? আর যার স্বামী বিদেশের সবচেয়ে বড়ো বিজনেস ম্যান সে কেনো এসএস কোম্পানির টাকার লোভ করতো যাবে। আর অরণ্যর কথা অনুসারে এই আগন্তুক শএু তার বাবার হত্যা করছে। যদি হানিয়া বেগম খুনি হয়, তবে সে কোনো নিজের আপন ভাইয়ের খুন করবে। ইনায়া বলে
_______ “- আমার সাথে কি শএুতা রয়েছে আপনার? আর আমার আব্বু আমার বন্ধু ছিলেন, তবুও তাকে কেনো খুন করলেন আপনি? এতো টাকার মালিক হওয়ার পর কেনো এসএস কোম্পানির টাকা চুরি করেছেন আপনি? আর কেনো নিজের ভাইকে খুন করেছেন?
ইনায়ার কথা শুনে হানিয়া বেগম বলে ———
_____ “- ইনায়া তোমার সাথে আমার কোনো শএুতা নেই। শএুতা রয়েছে তোমার বিশ্বাসঘাতক বাবা, আর সয়তান স্বামীর সাথে। আর এসএসে কোম্পানির আড়ালে আমার সমস্ত অবৈধ ব্যবসা লুকিয়ে ছিলো, যার কারণে এই কোম্পানি দরকার আমার ———–
______ “- আমার বাবা কি ক্ষতি করেছে আপনার? আর অরণ্য যথেষ্ট ভালো মানুষ, আর সে আপনার ভাইয়ের ছেলে তবুও তাকে খুন করার জন্য গাড়ির এক্সিডেন্ট করিয়েছেন আপনি? আর এসএস কোম্পানির মালিক আমি আপনি নন, আর আমার কোম্পানির খাবারে কোনো বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে মানুষ হত্যা করতে দিব না আমি ————–.
______ °★ ইনায়ার কণ্ঠে এমন তেজ দেখে হানিয়া বেগম হাসে আর বলে ——
———- “- ওয়াও একদম বাবার কার্বন কপি হয়েছ তুমি ইনায়া। তোমার বাবা মানে আমার প্রিয় বন্ধু এইরকম ছিলো, সবসময় সত্যর পথে চলত। যার কারণে আমার মতো এমন সুন্দরী, মর্ডান ইম্মার্ট মেয়ের ভালোবাসা প্রত্যাখান করে। এক গ্রাম্য মেয়ের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করে, যার শাস্তি স্বরুপ মৃত্যু উপহার দিয়েছি ওকে ——–.
ইনায়া অবাক হয়ে বলে —————
——– “- আপনি শুধু মাএ প্রতিশোধের জন্য আমার বাবাকে খুন করছেন? ওনি আপনাকে বিয়ে করে নাই বলে? এইটাই কি মূল কারণ আমার বাবার হত্যার?
হানিয়া বেগম কথাটা শুনে মাথা নাড়িয়ে না বলে —–
—– “- একমাত্র প্রতিশোধের জন্য ইনায়ার বাবাকে খুন করে নাই হানিয়া বেগম। বরং একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজের বন্ধু আর ভালোবাসার মানুষকে খুন করেছে। অরণ্যর বাবা মানে মাহির চৌধুরী যখন রেহানা বেগমকে বিয়ে করে তখন মিলন চৌধুরী আর তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কারণ রেহানা বেগম গরীব ঘরের সন্তান ছিলেন। এরপর মাহির চৌধুরী তার পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেয় বস্তিতে, মাহির সাহেব সামান্য কাজ করে তাদের সংসার চালাতো। বিয়ের কয়েকবছর পর তাদের ছেলে সন্তান হয় যার নাম অরণ্য। অন্যদিকে ইনায়ার বাবা ইমতিয়াজ আহমেদ বিয়ে করেন অরুণা বেগমের বান্ধবী রুনা বেগমকে ——
———- “- ইমতিয়াজ আহমেদকে আবার পছন্দ করতেন হানিয়া বেগম। কিন্তু চৌধুরী বাড়ির এক অনুষ্ঠানে হানিয়া বেগমের সাথে উপস্থিত হন ইমতিয়াজ আহমেদ। সেখানে অরুণা বেগমের বান্ধবীকে দেখেন ওনি, এরপর তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। যখন হানিয়া বেগম তাকে বিয়ের জন্য প্রপোজ করেন, তখন ওনি মানা করে দেন। কারণ হানিয়া বেগমকে ওনি বন্ধুর নজরে দেখতেন, যার ফলে হানিয়া বেগম রাগ করেন। কিন্তু ওনি মনে শএুতা নিয়ে, শুধু নাটক করে যান যে ওনি ইমতিয়াজ আহমেদ আর রুনার বিয়ে মেনে নিয়েছেন “——–
—— “- কয়েক বছর পর তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় ইনায়া। রুনা বেগমের বাবা শফিক সাহেব মেয়ের প্রেমের বিয়ে মেনে নেন নাই, যার ফলে ওনি তাদের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিছিন্ন করে। রুনা বেগম ও তার বাবার উপর রাগ করেন, কিন্তু ইনায়ার জন্মের খবর শুনো শফিক সাহেব খুশি হন। মেয়ের অন্যায় ভুলে যান নাই, তবে নাতনির জন্য ওনি কিছু জমিন আর এসএস কোম্পানি লিখে দেয়। যার বিষয়ে শুধু ইমতিয়াজ আহমেদ যানত, রুণা বেগম নয়। ইমতিয়াজ আহমেদ এসএস কোম্পানির বিষয়টা হানিয়া বেগমকে বলে ——–.
°°★ ইমতিয়াজ আহমেদ পরিবার যথেষ্ট ধনী ছিলো, তাদের নিজস্ব ব্যবসা তাকে সামলাতে হতো। তাছাড়া তখন ইনাযার মা রুনা বেগমের অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার কারণে ওনারা সকলে বিদেশে চলে যান। সকল দায়িত্ব দিয়ে যান হানিয়া বেগমের উপর, মাহির সাহবে তখন বেকার পুরুষ বউ বাচ্চার খরচ সামলাতে ওনি হিমশিম খান। যার জন্য মিলন সাহেব আড়াল থেকে এসএস কোম্পানির চাকরি করার জন্য অফার করেন তাকে। হানিয়া বেগম ও তার ভাইকে কাজ দিতে রাজি হন ——–.
°°★ এসএস কোম্পানির দায়িত্ব কয়েকদিন ভালোই পালন করছিলেন ওনি। যতখন না ওনার পরিচয় হয় একজন ড্রাগ ডিলারের সাথে, যে তাকে কোটি টাকার অফার করে। হানিয়া বেগম নিজের লোভ সংযত রাখতে পারে নাই, ওনি রাজি হয়ে যান। এসএস কোম্পানির খাবার বিদেশে পাঠানো হতো, যার মধ্যে হাজারো ড্রাগস পাচার করা হতো। এর ফলে হানিয়া বেগম একাউন্ট কোটি টাকা জমা হতো। কিন্তু এই বিষয়টা নজর এড়ায় না মাহির চৌধুরী।
°°★ মাহির চৌধুরী তার বোনকে অনেক বার সর্তক করেছে খাবার ড্রাগস না মিশাতে। কিন্তু ওনি শুনে নাই লোভ থেকে বের হতে পারে নাই। হানিয়া বেগমের বিরুদ্ধে সকল তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেন ওনি, যা ইমতিয়াজ আহমেদকে দেখাতে চান। কিন্তু হানিয়া বেগম এর আগেই তার আপন ভাইয়ের খুন করেন শাফায়াতের সাহায্য। শাফায়াত ইনায়ার মামা ছিলো, কিন্তু এসএস কোম্পানি তার নামে না লিখে দেওয়ায় ওনি রেগে ছিলেন। যার ফলে হানিয়া বেগমের সাথে হাত মিলান,
°°★ মাহীর চৌধুরীর মৃত্যু হয় এক্সিডেন্ট যার খবর ইমতিয়াজ আহমেদ শুনেন। বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন ওনি, এসএস কোম্পানির সকল দায়িত্ব আবার ওনার কনট্রালে নিয়ে নেয়। আর খুব সহজেই বুঝে যান হানিয়া বেগমের সকল ষড়যন্ত্র, যার কারণে ওনি তার বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত প্রমাণ পুলিশকে দিয়ে দিতে চান। হানিয়া বেগম ভয় পেয়ে যায়,তার ক্রাইম পার্টনার রাফির সাথে মিলে একই ভাবে ইমতিয়াজ আহমেদের এক্সিডেন্ট করিয়ে মেরে ফেলেন। এরপর এসএস কোম্পানির সহ সকল সম্পত্তির অবৈধ মালিক হন হানিয়া বেগম। আর বিদেশের ড্রাগস ডিলার রাফিকে বিয়ে করেন, এখানে এসএস কোম্পানির দায়িত্ব দিয়ে যান শাফায়াতকে। আর তখন বিধবা রুনা বেগমের জায়গা হয় চৌধুরী বাড়িতে।
°★ [ বর্তমান সময় ] ইনায়া সকল ঘটনা শুনে অবাক হয়ে যায়, তার বাবার খুনি এই হানিয়া বেগম। ইনায়ার রাগের পরিমাণ দিগুণ বেড়ো যায়, অন্যদিকে অরণ্য প্রায় গোডাউনের কাছে পৌঁছে গেছে। ঠিক তখন তার ফোনে কল করে হানিয়া বেগম, অরণ্য কল রিসিভ করে। হানিয়া বেগম বলে –
——- “- ইনায়ার মৃত্যুর আগে একবার ওর সাথে কথা বলার ইচ্ছা আছে তোমার?
——- “- ফুপি ইনায়ার যদি কিছু হয় তাহলে কিন্তু আমি আপনাকে খুন করে ফেলব। ওর কোনো ক্ষতি করবেন না আপনি? ———;
°★ অরণ্যর কণ্ঠ শুনে ইনায়া বলে ——–
______ “- অরণ্য ওনি আমার বাবাকে খুন করেছেন।এই মহিলাকে আপনি ছাড়বেন না, যদি আমি মারা ও যায় তবুও আপনি ওকে খুন করবেন?——
—— “- ইনায়া কিছু হবে না আপনার? যতদিন বাঁচব একসাথে বাঁচব। আমি এখুনি আসছি আপনার কাছে —–.
হানিয়া বেগম ফোন কানে নিয়ে বলে ——-
‘- তোমাদের এতো ভালোবাসা দেখার আমার হাতে নেই। শেষবার ইনায়ার কণ্ঠ শুনে নিলে, এখন ওর মৃত্যুর চিৎকার ও শুনো।
তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব ৪৮
°°★ হানিয়া বেগম বন্ধুক তাক করে ইনায়ার দিকে। ইনায়া চোখ বন্ধ করে নেয়, অরণ্য ফোনের অপর পাশ থেকে বারবার বলছে যাতে ইনায়ার কিছু না করে। কিন্তু হানিয়া বেগম শুনে না, ওনি বন্ধুকের টিগারে চাপ দেন। হঠাৎ করে এক গুলি ছুটে যায় চেয়ারের দিকে, গুলির শব্দ শুনে অরণ্য বলে -;——–
——–“- ইনায়া “——–