তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৪

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৪
তাবাস্সুম খাতুন

সময়টা দুপুর, এখন একটা বেজে দশ মিনিট। সূর্যের প্রখর তাপ মানুষকে অতিষ্ট করে তুলছে, তাও সবাই নিজ নিজ কর্মে ব্যাস্ত। একটু আগে নিশান আর জিহান চৌধুরী ম্যানশন এ প্রবেশ করলো। বাড়ির তিন কর্তা তখন অফিসে ছিল। আর গিন্নি রা রান্নার কাজে ব্যাস্ত তাই কে গেলো কে আসলো সেইটা তারা খেয়াল করে নি। জিহান আর নিশান নিজেদের রুমে চলে গেলো। লম্বা শাওয়ার নিয়ে দুইজনে এক রুমেই ঘুমিয়ে পড়লো। ব্লাঙ্কেট টা কোমর পযন্ত তুলে এসি অন করে, ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমালো।

দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা দুইটার কাটায় চলে আসলো। সিমিরা বাড়ি ফিরলো মাত্র। যে যার রুমে ফ্রেশ হতে ব্যাস্ত। বাড়ির তিন কর্তা সহ রুবেল শেখ আর তিহান ও বাসায় আসলো। তারাও নিজেদের ব্যাবসার কাজেই বাহিরে ছিলো। তারাও সবাই ফ্রেশ হতে নিজ কক্ষে গিয়েছে। বাড়ির গিন্নিরা সহ মেহেরিমা ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজিয়ে দিচ্ছে। একে একে ফ্রেশ হয়ে সবাই ডাইনিং টেবিলে বসলো। সিমি কে দেখে সেলিনা জিজ্ঞাসা করলো,,
“সিমি মামুনি, নিশান কোথায়?”
সিমির যেন রাগ হচ্ছে নিশান কোথায় আছে সে কিভাবে জানবে? আছে হয়তো কোথাও, সেইটা তাকে জিজ্ঞাসা করার কি আছে? সিমি স্বাভাবিক ভাবে হেসে উত্তর দিলো,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“জানিনা বড়ো আম্মু, হয়তো অফিসে আছে।”
সেলিনা আর কোন কথা বললো না। সবাই চুপচাপ নিজের খাবার খেতে লাগলো। এর মধ্যে সদর দরজা হয়ে একটা মেয়ে প্রবেশ করলো। হাতে বড়ো লাগেজ, ছায় মাটি রং এর জিন্স আর সাদা টপ্স, গলায় স্কাপ ঝুলানো আছে। চোখে কালো সানগ্লাস, চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া শুধু সামনের থেকে একটু তুলে পাঞ্চ কিলিপ দিয়ে আটকানো আছে। মেয়েটা এসেই চিৎকার করে ডাকলো,,,
“খালাআম্মুউউউউউউউউ।”

সবার দৃষ্টি মেয়েটার দিকে যাই। সেলিনা দৌড়ে মেয়েটার কাছে গিয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে। মেয়েটাও জড়িয়ে ধরে। এইদিকে ডাইনিং টেবিলে বসে সবাই দেখতেই আছে আসলে মেয়েটা কে কেউ জানেনা? হয়তো তাজউদ্দিন জানে তাইতো নিজের মতো খেয়ে যাচ্ছে কোন দিকে না তাকিয়ে। সেলিনা মেয়েটার মুখে হাত রেখে বললো,,
“আমার মামুনি টা কত শুকিয়ে গেছে, তুই কি খাওয়া দাওয়া করতিস না নাকি?”
মেয়েটা চোখের সানগ্লাস খুলে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে সেলিনার গাল টেনে দিয়ে বললো,,
“বেশি গুলুমুলু হয়ে গেলে তো আর কেউ বিয়ে করতে চাইবে না।”
সেলিনা মেয়েটার মাথায় হাল্কা চাটি মেরে বললো,,

“পাগলী মেয়ে আমার।”
বলে সেলিনা আবারো উচ্চসরে একটা সার্ভেন্ট কে ডাক দিলো,,
“মিনা এই মিনা।”
মিনা দৌড়ে সেলিনার কাছে এসে বললো,,
“জি বড়ো ম্যাডাম বলেন।”
সেলিনা মেয়েটার লাগেজ মিনার হাতে দিয়ে বললো,,
“নিশানের পাশের রুমের দরজা খুলে দে, আর এই লাগেজ সেখানে রেখে আয়। আমি পরিষ্কার করেছি তাও যদি ময়লা থাকে একটু পরিষ্কার করে দে দ্রুত যা।”
মিনা আর না দাঁড়িয়ে দৌড়ে চলে গেলো। সালাউদ্দিন এইবার বলে উঠলো,,
“ভাবি এই মেয়েটা কে চিনলাম নাহ তো!”

সেলিনা — “দেখেছো ওকে পেয়ে কথা বলতে বলতে তোমাদের সাথে পরিচয় করাতে ভুলে গেলাম।”
বলে সেলিনা মেয়েটার হাত ধরে সবার সামনে নিয়ে গিয়ে বললো,,
“এইযে মেয়েটা, ইনি হলো আমার চাচাতো বোনের মেয়ে। আমার ভাগ্নি। অনেক বছর দেশের বাহিরে ছিলো পড়াশোনা করতো। আপাতত দেশে এসেছে আমাদের বাড়িতেই থাকবে। আর হ্যা ওর নাম মারজিনা আলম মিষ্টি। মিষ্টি বলেই ডাক দিও সবাই।”
কেউ কিছু বললোনা শুধু দেখলো। তারপর সেলিনা মিষ্টিকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। পরিচয় শেষে সেলিনা সবার দিকে তাকিয়ে বললো,,

“এই তোমরা খাচ্ছ না কেন? খেয়ে নাও।”
বলে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বললো,,
“মামুনি তুমি নিজের রুমে যাও, গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো। তারপর লাঞ্চ কর। যাও।”
মিষ্টি আর কিছু বললোনা সবার দিকে এক পলক তাকিয়ে সেলিনা থেকে বিদায় নিয়ে উপরে উঠে গেলো। মিষ্টি চলে যেতেই সিমি জারার হাতে চিমটি কেটে ফিসফিস করে বললো,,
“আচ্ছা দুনিয়ার যত আবার আছে সবগুলো কি আমাদের বাড়ির ঠিকানা তেই পাওয়া যাবে?”
সিমির কথা শুনে জারা নিজের হাসি আটকিয়ে সিমিকেও ফিসফিস করে বললো,,

“আরে আমার ভাবিজান, আবাল বাদ ওই মাইয়া কিন্তূ সাধারণ মাইয়া না, নিজের জামাই রে আঁচলে বেঁধে রাখো, নয়তো ম্যারাথন দৌড় দিয়ে ভাইয়া কে নিয়ে পালিয়ে যাবে। তখন কপাল চাপড়ানো ছাড়া কিছু করার থাকবে না।”
সিমি মুখ ভাঙিয়ে বললো,,
“How funny জারা শেষে কিনা ওই বিদেশি কুত্তার জন্য আমি কপাল চাপড়াবো, এই মেয়ে যদি বিদেশি কুত্তা কে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় দিয়ে পালাতে চাইলে, আমি সিমি হেল্প করবো Because দৌড় দেওয়ার সময় যদি কোন বাঁধা আসে।”

জারা এইদিকে ওইদিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললো,,
“তোর কপাল ভালো সিমি ভাইয়া শোনে নি এইসব, যদি শুনতো, তাহলে তোর সরকারি গালটা লাল রঙে রঞ্জিত হতো।”
বলে জারা খাওয়াতে মনোযোগ দিলো। সিমি ও আর পাত্তা দিলো না নিজের মতো খেতে লাগলো।

মিষ্টি উপরে নিজের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, ভিতরে ঢুকেও যেন ঢুকছে না, কারণ একটাই তার রুমের পাশের যেই রুমটা ঐটা নিশানের। মনটা চাচ্ছে ঢুকে পড়তে রুমের ভিতরে কিন্তূ ঢুকতে পারছেনা। এইভাবে দোটানা তে ভুগতে ভুগতে প্রায় দশ মিনিটের মাথায় মিষ্টি রুমের দরজা আস্তে আস্তে খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে প্রবেশ করে রুম এর দরজা আবারো লাগিয়ে দিলো। রুমের ভিতরে তিমিরে ঢাকা অন্ধকার। আর ঠান্ডা। মিষ্টি নিজের ফোনের টচ অন করলো। বেডে টচ এর আলো পড়তেই দেখতে পেলো কেউ একজন ঘুমিয়ে আছে উবুড় হয়ে, ব্লাঙ্কেট ওই কোমর পযন্ত তোলা। রুম টা যেহেতু নিশানের তাই মিষ্টি সিওর হয়ে গেলো ঐটা নিশান হবে। মিষ্টি এগিয়ে গেলো আস্তে আস্তে করে নিশানের পাশে গিয়ে বেডে শুয়ে পড়লো।

নিশানের গায়ে একটা হাত দিলো।মিষ্টির দম যেন বন্ধ হয়ে আসছে। নতুন নতুন অনুভূতি এইসব সবকিছু গলার কাছে দম বন্ধ হয়ে আছে। যেইদিন থেকে তাকে বিয়ের কথা বলা হয়েছে সেইদিন থেকে নিশানের ছবি নিশানের সম্পূর্ণ সবকিছু নিয়ে সে দেখতে দেখতে নিশান কে ভালোবেসে ফেলে। যেই ভালোবাসা থেকে সে উঠতে পারবেনা। থাকতেও পারলোনা আর। তার আসার কথা ছিলো এখনো অনেক পরে কিন্তূ আজকেই চলে আসছে। এতদিন কল্পনাতে নিশান কে জড়িয়ে ধরেছে। কিন্তূ বাস্তবে নিশান কে এইভাবে কাছে পেয়ে। জড়িয়ে ধরার অনুভূতি টা যেন বলার বাহিরে। মিষ্টি যে এত এক্সসাইটেড যে সে কি করছে কিছু বুজতে পারচ্ছেনা। মিষ্টি আরো একটু শক্ত করে নিশান কে জড়িয়ে ধরতেই নিশান পাশ ফিরলো মিষ্টির দিকে ফিরলো।

মিষ্টির গলা শুকিয়ে কাট হয়ে গেছে। নিশান মিষ্টির গায়ে হাত দিলো। মিষ্টি যেন কেঁপে উঠলো। এইদিকে নরম কোন কিছু দেখে নিশানের কপাল সহ মুখ কুঁচকে গেলো। হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে মিষ্টির চুল দেখলো। মেয়েদের মতো। নিশান দ্রুত হাত বাড়িয়ে ল্যাম্প পোস্ট এর কাছে সুইচ অন করলো সাথে সাথে ঘর আলোকিত হলো। এইদিকে মিষ্টি দ্রুত উঠে বসলো বিছানায় নিশানের দিকে তাকাতেই জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো। মিষ্টির চিৎকার দেখে সেও চিৎকার দিলো।ওদের দুইজনের চিৎকার এর মধ্যেই ওয়াশরুম এর দরজা খট করে শব্দ তুলে কেউ একজন বেড়িয়ে আসলো। দুইজনে সামনে তাকিয়ে দেখে নিশান দাঁড়িয়ে আছে। একটা টাওয়াল কোমরে জড়ানো। আরেকটা টাওয়াল গলার দুইপাশে ঝোলানো। চুল থেকে টুপটাপ করে পানি পড়ছে। নিশান নিজের রুমে অচেনা একটা মেয়েকে দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো। তার পাশে জিহান কে দেখে কুঁচকে যাওয়া ভ্রু যেন আরো কুঁচকে গেলো। নিশানের কুঁচকানো ভ্রু দেখে জিহান বেড থেকে নেমে এসে নিশানের পাশে দাঁড়িয়ে নিশান কে বললো,,,

“বিশ্বাস কর দস্ত, এই মেয়েটা কে আমি চিনিই না। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম আর এই মেয়েটা কখন এসে, আমাকে জড়িয়ে ধরছে। আমি প্রথমে বুজতে পারি নি। পরে বুজতে পেরে লাইট অন করতেই চিৎকার করলো।”
জিহানের কথা শুনে নিশান মিষ্টির দিকে তাকিয়ে বললো,,
“এই মেয়ে কে তুমি?”
মিষ্টি কিছু বলবে এর মধ্যে রুমের দরজা খুলে প্রবেশ করলো সিমি। সে রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে সামনে ঘুরতেই দেখে মিষ্টি বেডে বসে আছে। আর জিহান আর নিশান এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে দুই ভাই এর একটার গায়েও পোশাক নেই। সিমি উচ্চসরে বললো,,,

“ছিঃ ছিঃ নাউযুবিল্লাহ আপনারা কি করছিলেন? আমি কি ভুল টাইম এ এসে পড়লাম, সরি সরি আমি চলে যাচ্ছি।”
বলে সিমি দরজার হাতলে হাত দিতেই শোনা গেলো নিশানের হুহংকার দিয়ে বলা সাবধানতা,,,
“খোদার কসম ইশু, তুই যদি এই রুম থেকে বেড়িয়ে যাস, তোকে জ্যান্ত কবর দেবো আমি। বুজেছিস তো জ্যান্ত কবর।”
নিশানের এমন বাণী শুনে সিমির পা কেন পুরো শরীর তাই যেন সেখানে জমে গেলো। নিশান এইবার মিষ্টির দিকে তাকিয়ে জোরে চিল্লিয়ে বললো,,
“এই মেয়ে এই কে তুমি? এইখানে কি করছো?”
মিষ্টি মাথা নিচু করে বললো,,
“আমি মিষ্টি।”

মিষ্টির এই কথা শুনে নিশান রাগে গজগজ করতে করতে বললো,,
“তুই কোন জায়গার, কোন দামে কেনা মিষ্টি আমি জানতে চাই নি সেইটা, তুই এইখানে কি করিস সেইটা জানতে চেয়েছি আমি ডেমিট।”
নিশানের কথাই সিমি মিষ্টি দুইজনেই কেঁপে উঠলো। মিষ্টি এইবার বললো,,
“সেলিনা চৌধুরী আমার খালা মনি হয়। আপনি তো নিশান তাই না, আপনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে আর কয়দিন পরে বিয়ে সেইজন্য আমার এইখানে আসা।”
মিষ্টির কথা শুনে সিমি মনে মনে বললো,,

“জেনে বুজে বাঘের খাঁচায় ধরা দেওয়া ফিডার খাওয়া মামুনি রে।”
এইদিকে মিষ্টির এই কথা শুনে নিশান দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,
“কোন বিয়ে টিয়ে হবে না, বেড়িয়ে যা রুম থেকে।”
নিশানের এই কথা যেন মিষ্টির পছন্দ হলো না তাই বললো,,
“কেন হবে না, খালামনি রাজি আপনিও রা…!”
বাকি কথা শেষ করতে না দিয়েই নিশান চিল্লিয়ে বললো,,
“আমি রাজি শতবার বিয়ে করতে, তবে পাত্রী হিসাবে আমার ইশু কেই লাগবে। এখন বেড়িয়ে যা আমার রুম থেকে।”

নিশানের এইসব কথা যেন মিষ্টির মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তূ সিমি মনে মনে বললো,,
“শালা হতচ্ছাড়ি বিদেশি কুত্তা, আমিও শতবার বিয়ে করবো, রাস্তার এক পাগল কেউ তবে তোকে না হুউউউ।”
মিষ্টি বুজতে না পেরে প্রশ্ন করলো,,
“ইশু আমার মনে হয় আপনি এই মেয়েকে বলছেন, উনি তো আপনার বো…!”
মিষ্টি কে কথা সম্পূর্ণ করতে না দিয়ে নিশান চিৎকার দিয়ে বললো,,
“খবরদার মেয়ে, মুখের কথা মুখে ঢুকিয়ে নে, ওই আমার কোন কালেই বোন ছিলো না, ও আমার বোন লাগে না, ও আমার বউ লাগে বউ, বুঝেছিস বউ, বউ মানে wife wife.. বেড়িয়ে যা এইবার রুম থেকে, যা বেড়িয়ে যা, I say get out……!”

মিষ্টির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো সে ওই জায়গায় আর এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে নিজের রুমে চলে গেলো। এইদিকে সিমি মাথা নিচু করে আছে। এখন না জানি কোন ধরণের এটম বোম বিস্ফোরণ হবে। নিশান জিহানের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,
“তোকে কি স্পেশাল ভাবে ইনভাইট করতে হবে রুম থেকে বেরোনোর জন্য।”
জিহান মেকি হাসি দিয়ে বললো,,

“না না যাচ্ছি তোর রুমে থাকার শখ মিটে গেছে, কোথাকার কোন পাগল। আমার বউ এর হক চুরি করে নিলো।”
বলে জিহান বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে। এখন রুমে সিমি আর নিশান আছে। সিমি কি করবে বুজতে পারছেনা, চলে যাবে যদি চলে যাই তখন যদি ওকে জ্যান্ত কবর দেই না না থাক। নিশান এক পা এক পা করে সিমির দিকে এগিয়ে আসলো। সিমির কাছে এসে ঘাড় এই পাশ ওইপাস করে ফুটালো। এক হাত দিয়ে দরজা লক করলো। সিমির কাছে দাঁড়ালো। কয়েক ইঞ্চি ফাঁকা আছে। নিশান সিমিকে বললো,,

“খেয়েছিস?”
সিমি মাথা উপর নিচে নাড়ালো। নিশান আবারো বললো,,,
“এই রুমে কি করতে এসেছিস?”
সিমি মনে মনে বললো,,
“আসছিলাম একটু শান্তিতে থাকতে ওমা এসেই যে বাঘের গুহায় পড়বো জানলে কি আর আসতাম নাকি আমি?”
কিন্তূ মুখে বললো,,,
“এমনি ঘুরতে ঘুরতে চলে আসছি।”
নিশান — “ঘুরতে ভালোবাসিস?”
সিমি ঐভাবেই মাথা নিচু রেখেই বললো,,
“হুম।”

নিশান সিমির কাছ থেকে সরে গিয়ে ডেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো ঠিক থাক করতে করতে বললো,,
“সন্ধ্যায় তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো, তৈরী থাকিস। দ্বিতীয়বার যেন আর বলতে না হয়।”
নিশান ভাই ঘুরতে নিয়ে যাবে এইটা শুনে যেন সিমি শকড হয়ে গেছে। সে নিশানের দিকে হা করে তাকিয়ে পড়তেই। নিশান বললো,,

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৩ (২)

“আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে বলি নি, রেডি হয়ে থাকতে বলেছি। এখন এই রুম থেকে বেড়িয়ে যা।”
সিমি নিজের শকড নিজের মধ্যে রেখে রুম থেকে বেড়িয়ে বিড়বিড় করলো,,
“বিদেশি কুত্তা এত ভালো কবে থেকে হলো? আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে, আল্লাহ মনে হয় সুবুদ্ধি দিয়েছে।”

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৫