দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫০

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫০
আফরোজা আশা

পূর্ণিমার বৃহৎ চাঁদ আকাশের বুক চিরে জ্যোতির্ময় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। তার মৃদু আলো নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। সন্ধ্যা গড়িয়ে আগমন ঘটেছে রাতের প্রহরের। হিসেব মতো আজ বেলার পাটোয়ারী বাড়ি যাওয়ার কথা। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, তা আর হয়ে উঠল না। দুপুরে ওবাড়ি থেকে মানুষজন এসেছিল। রহমান পাটোয়ারী আর রাসেল পাটোয়ারী এসে রতনের আব্বার জানাজায় শরিক হয়েছিল। বিকেলের পর তারা হাসপাতালের দিকে গিয়েছে মনাকে দেখতে।

তালুকদার বাড়ি আপাতত ফাঁকা। সবাই হাসপাতালে। বাড়িতে শুধু রকেয়া তালুকদার, বেলা, প্রত্যাশা আর রতন আছে। রতনের মানসিক স্বাস্থ খুব বেশি ভালো নয়। গেস্ট রুম গুছিয়ে দেওয়া হয়েছে ওর জন্য। সেখানে ঝিম ধরে বসে আছে একাকী। কারো সাথে কথাবার্তা বলছে না।
বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতিতে আকস্মাৎ প্রচণ্ড দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে বেলা। বাপের বাড়ির আহ্লাদী ছোট মেয়েটা গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্বের তাগিদে ছুটছে। না; কেউ বলে দেয়নি ওকে। নিজ থেকে হাতে হাতে কাজ করছে, কোথায় কি লাগছে সেসব দেখছে। কারো কোনো কিছু প্রয়োজন পড়লে নিজ উদ্যাগে করছে। হয়তো বা গুছিয়ে করতে পারছে; হয়তো বা পারছে না। তবে চেষ্টার কমতি নেই। কারণ, শোকাচ্ছন্ন তালুকদার বাড়ির সকলের মনের অবস্থা বিবর্ষ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

প্রত্যাশা এতোক্ষন ওর কাছে ছিল। ওকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ঘুম পাড়িয়ে, রকেয়া তালুকদারের কাছে রেখে, রুমে ফিরল বেলা। অগোছালো হয়ে আছে পুরো রুম। কাপড়-চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে বিছানা জুড়ে। এ অবস্থা অবশ্য বেলা নিজেই করেছে। দুপুরে দিগন্তের সাদা পাঞ্জাবি খুঁজতে গিয়ে পুরো কাবার্ড ঘাটতে হয়েছে ওকে। কাঙ্ক্ষিত জিনিস কোথায় থাকতে পারে তা না জানা থাকলে যা হয় আরকি!

রুমে ঢুকে দরজা চাপিয়ে দিল বেলা। ফোঁস করে দম ছেড়ে মাথা থেকে কাপড় নামালো আগে। সুতি থ্রি-পিসের কি বিশাল ওড়না! সেটা আবার ঠিকঠাকভাবে গায়ে পেঁচিয়ে, মাথা মুড়িয়ে ঢেকে রাখা আরো বিশাল ব্যাপার-স্যাপার ঠেকছে ওর কাছে। সারাদিন এভাবেই বেড়াতে হয়েছে। বিয়ের দিন সকালে আমেনা বেশ কিছু আচার ব্যবহার শিখিয়ে-পড়িয়ে দিয়েছিল বেলাকে। তার মধ্যে এটা একটা। খারাপ লাগছে না ; তবে অভ্যাস না থাকার কারণে সামলাতে খানিক অসুবিধা হচ্ছে বেলার। মাথা থেকে কাপড় পড়ে যেতে চায় বারবার, সেটা আবার টেনে ঠিক করতে গিয়ে ভেতরের কাট-ছাট ছোট চুলোগুলো এলোমেলো হয়ে জটলা বাঁধে।
এতো এতো কাপড়ের স্তূপ দেখে মুখটা খানিক ছোট হয়ে এলো বেলার। ইচ্ছে তো করছে কাপড়গুলোর ওপরের হাত-পা ছড়িয়ে দিয়ে একটু ঘুমাতে। কিন্তু উপায় নেই! যাওয়ার আগে এক ফাঁকে আমেনা কড়া নির্দেশ দিয়ে গিয়েছে সব সময় পরিপাটি রাখতে।

বিছানার কাছে এসে কদম থামালো বেলা। গায়ে জাপটানো ওড়না খুলে একপাশে রাখলো। ছেড়ে রাখা আধভেজা চুলগুলো হাত খোঁপা করে নিল। অতঃপর এক এক করে ভাজ করল সব কাপড়গুলো। কাবার্ডের সবচেয়ে উপরের তাকে হাত গেল না বেলার। নিচের দুটো তাকে ওর আর দিগন্তের কাপড় নিজ সুবিধামতো তুলে রাখতে লাগলো।
এর মাঝে দরজার কপাট খোলার শব্দ এলো। কর্মরত হাত জোড়া থামলো। ঘাড় বেঁকিয়ে দরজার পানে চাইল বেলা। কাঙ্ক্ষিত পুরুষকে দেখে ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটলো। আবার হুট কিছু খেয়ালে আসতেই খোঁপা করা চুলগুলো খুলে বুকের সামনে, দুভাগে টেনে আনল। তারপর প্রশ্ন করল,
‘ সব এনেছেন? ’

দরজার খিল আটকে ফ্যাকাসে চোখে বেলার দিকে তাকালো দিগন্ত। মুখ থেকে ছোট উত্তর বের হলো, ‘ হু ’
বিকেলে বের হওয়া স্বাভাবিক দিগন্তের সাথে, এখন ফিরে আসা দিগন্তের মিল পেল না বেলা। অধরকোণের হাসিটুকু মিলিয়ে গেল। এলোমেলো পায়ে বেলার কাছে এসে ওর দিকে দুটো ব্যাগ বাড়িয়ে দিল দিগন্ত। ওর মুখের দিকে চেয়ে থেকে ব্যাগ দুটো নিল বেলা। দেখলো, প্রত্যাশার কয়েক সেট জামাসহ, প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস। সেগুলোও কাবার্ডের এক সাইডে তুলে রেখে ব্যস্ত পায়ে দিগন্তের কাছে এলো ও।

এদিকে বিছানার একপাশে গা এলিয়ে কপালে হাত চেপে রেখেছে দিগন্ত। চোখজোড়া বন্ধ। ওর ওপর পাশে এসে পা গুটিয়ে বসল বেলা। কিছু বলার জন্য মুখ খোলার আগে দিগন্তের মাথার কাছে পড়ে থাকা ওড়নাটার দিকে নজর পড়ল। হাত বাড়ালো সেটা নেওয়ার জন্য। কিন্তু বাড়ানো হাত বাড়ানোই রয়ে গেল। পেটের দিকে কাপড় ভেদ করে প্রবেশ করা উষ্ণতায়, শরীর শিউরে উঠল ওর।
বালিশ ছেড়ে বেলার কোলে মাথা রেখেছে দিগন্ত। পুরুষালি দুহাত আড়াআড়ি ভাবে ওর কোমড় জড়িয়ে রেখেছে। মুখ গুজেছে বেলার পেটে।
নড়চড় করল না বেলা, না মুখ ফুটে কিছু বের হলো। শরীর জমে গিয়েছে ওর। স্থির চিত্তে বসে রইল। এক সময় দিগন্তের ডাক ভেসে এলো,

‘ বেলা? ’
জবাব দিল, ‘ হুম ’
‘ মাথা ব্যাথা; শান্তি পাচ্ছি না। ’
এক হাত তুলে দিগন্তের এলোমেলো চুলের কাছে নিয়ে এলো বেলা। পরক্ষনেই মনে পড়লো চুলে টান সহ্য করতে পারে না দিগন্ত। কি ভেবে হাত কিঞ্চিৎ নামিয়ে ঘাড়ের কাছে আনল। আলতো ভাবে ম্যাসাজ করতে লাগলো। নরম হাতের ছোঁয়ায় হয়তো কিছুটা স্বস্তি মিলল দিগন্তের। মাথার সমস্ত ভর ছেড়ে দিল বেলার কোলে।
কিছুটা সময় গড়ালো; বেলার হাত এখনো চলমান। এক পর্যায়ে কিছু একটা ঠাওর করতে পেরে চমকালো ও। পেটের কাছের ভেজা ভাবটা ক্রমশ বাড়ছে। বড় আশ্চর্য নিয়ে ঝট করে চোখ নামিয়ে দিগন্তের পিঠের দিকে তাকালো বেলা। থেকে থেকে ইষৎ কেঁপে উঠছে। তা দেখে বুকের ভেতরে কেমন মোচড়ে উঠল ওর। গাম্ভীর্যতায় ঘেরা এই পুরুষটা কাঁদছে? বেলার কোলে মুখ ডুবিয়ে চোখের পানি ফেলছে লোকটা!

অস্থির লাগল বেলার। খুব করে জানতে ইচ্ছে হলো কেনো এই চোখের পানি! কিন্তু কোনো প্রশ্ন করলো না। ভেতরের অস্থিরতা দমিয়ে রেখে শুধু নিরবে সাক্ষী হলো গড়িয়ে পড়া প্রত্যেক বিন্দুকণার।
একটা সময় পর দিগন্তের নিশ্বাস ভারী হলো। সেভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছে ও। বেলা টলমলে নেত্রে এখনো দিগন্তের ঘাড়ে হাত বুলাচ্ছে। ঘড়ির কাঁটা আটটা পেরিয়ে দশটার ঘরে এসেছে। দুই ঘণ্টা যাবৎ একভাবে বসে আছে বেলা। কোমড় লেগে এসেছে ওর। নড়তে চাইলেও পাড়ছে না। মাত্র ঘুমিয়েছে দিগন্ত, সে ঘুম ভাঙাতে চায় না ও। পিঠের দিকটাও লেগে এসেছে। আস্তে-ধীরে মাথা হেলিয়ে দিল হেডবোর্ডের দিকে। ঘাড় কিঞ্চিৎ বাঁকিয়ে পিঠ টানটান করার মাঝে দৃষ্টি আটকালো বালিশের পাশে রাখা নোটপ্যাডে। উপরের কাভারটা কাঠের তৈরি। মাঝখানে খোদাই করা একটা ফুলের ছবি। পছন্দ হলো বেলার।

দিগন্ত এতোক্ষনে গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়েছে। ম্যাসাজ করা থামিয়ে, কৌতুহলি হাত নোটপ্যাডটার দিকে গেল। নতুনের মতো চকচক করছে। বেলার ধারণা হলো এটা নতুন কেনা হয়েছে। সামনের পেছনের মোটা কাঠের কাভারটা উল্টে-পাল্টে দেখল। অতঃপর ভেতরের পৃষ্ঠাগুলো দেখার জন্য খুললো।
প্রথম পৃষ্ঠা মেলতেই বেলার ধারণা ভুল বের হলো। বড় বড় অক্ষরে ডিজাইন করা নামটা দেখে ভ্রুঁ কুঁচকালো বেলা। ঠোঁট নাড়িয়ে উচ্চারণ করল, ‘ মোনালিসা মনা ’
পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু এই নামটাই লেখা। অজানা কারণে বেলার আগ্রহ বাড়লো। নোটপ্যাড চোখের সামনে এনে পরের পৃষ্ঠা উল্টালো। কালচে মণির সম্পূর্ণ নজর সেখানে নিবদ্ধ হলো। ঠোঁট নড়তে শুরু করল বেলার, তবে কোনো শব্দ হচ্ছে না।

« আগস্ট ১৮, ২০১৬ »
❝ চট্টগ্রামের ঘোর গ্রামে, এক নিম্নবিত্ত,গরিব ঘরে জন্মানো সাদা-সিধে মেয়েটা চান্স পেল ঢাকার এক নামকরা ভার্সিটিতে। ঘরকুনো সে মেয়ে একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় জীবনে প্রথমবারের মতো ঢাকা শহরে পা রাখলো। একা; সাথে আসার মতো কোনো মানুষ নেই তার। আম্মা সারাদিন গায়ে-গোতরে খেটে দুমুঠো ভাতের জোগান দেয়। ঘরে বারো বছর বয়সী এক ছোট ভাই। বাবা থাকাও যা, না থাকাও তা। মাদকাসক্ত লোক সারাদিন, নেশা-ভান নিয়ে পড়ে থাকে। কখনো যদি নেশা কেনার টাকায় টান পড়ে, তখন আম্মার গায়ে হাত তুলে। তার হাতে যে দুটো টাকা আসে সেগুলো জুলুম খাটিয়ে নিয়ে নেয়। ঘরের দু-এক যা জিনিসপত্র সেগুলো বেঁচে ফেলে। এমনও একদিন হয়েছে, খাওয়ার থালা মাত্র দুটো, আম্মায় কিনেছিল। সেই থালাগুলোও বেঁচে খেয়েছে। এরকম এক বাবার মেয়ে আমি।
ভয়-ভীতিতে জর্জরিত আমি মনে প্রবল সাহস সঞ্চার করে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি। হাতে বেশি টাকা ছিল না কিন্তু। একদম হিসেব করে বাস ভাড়া আর খুচরা কয়টা টাকা আম্মা দিয়েছিল, তাও অন্যের থেকে ধার করে। তারপর কি হবে, কিভাবে কি করব কিছু জানতাম না। চট্টগ্রাম থেকে একবুক সাহস আর আশা নিয়ে এলেও, বাস থেকে নেমে মানুষ ভর্তি ব্যস্ত ঢাকা শহর দেখে সেসব নিমিষেই হারিয়ে গেল। এতো এতো মানুষ, ব্যস্ত মহাসড়ক এর মাঝে চক্কর কাটতে শুরু করলাম। বেশভূষা দেখে যে কেউ সহজে ঠাওর করতে পারবে আমি কোন পরিবার থেকে উঠে এসেছি। হাতে পাটের তৈরি একটা ছোট ব্যাগ। সেখানে প্রতিদিনের পড়া দুই সেট জামা, একটা ভাঙ্গাচোরা বাটন ফোন আর শুকনো দুটো বিস্কুটের প্যাকেট।

বাস থেকে নেমেছিলাম দুপুরে, কোথা থেকে কোথায় যাবো তা ঠিক করতে করতে মাগরিব গড়িয়ে গেল। মানুষজনের কাছে শুনে বুঝলাম, ভার্সিটি কিছুটা দূরের রাস্তা। এখান থেকে রিকশায় যেতে হবে। ভার্সিটির কাছে পৌঁছালে আমার পেরেশানি কমবে। একটা গার্লস ম্যাচে উঠব।
ব্যস, বোকা আমি রিকশা চড়ে বসলাম। ভাড়া জিজ্ঞেস করলাম বলল, চল্লিশ টাকা। ব্যাগে খুচরা চল্লিশ টাকাই অবশিষ্ট ছিল। রিকশা ছাড়ার পর মনে মনে ভয় কমলো।
রিকশা চলছে তো চলছেই। একসময় আমার কোমড় লেগে গেল, অথচ ভার্সিটির টিকিটাও চোখে এলো না। রিকশাচালককে জিজ্ঞেস করলে বলল আরেকটু রাস্তা। এই আরেকটু রাস্তা, আরেকটু রাস্তা বলে পুরো তিনঘণ্টা হয়তো ঢাকা শহরের অর্ধেক ওলিগলি ঘুরিয়ে তবে ভার্সিটির কাছে আনলো। এতে অনেকটা রাত হয়ে গেছে। এই যে লিখতে লিখতে সে ঘটনা স্মৃতিচারণ করে শব্দ করে হাসছি। দুনিয়াতে কত ধরণের মানুষ! রিকশাচালকটা আমাকে দেখে ঠিক বুঝে ফেলেছিল শহরে আমি নতুন মানুষ।

রিকশা থেকে নেমে ভাড়া চল্লিশ টাকা দিতেই রিকশাওয়ালা খ্যাক করে উঠল। আমি বুঝলাম না তার মানে। জোরে জোরে চিল্লানি দিয়ে জানালো ভাড়া পাঁচশত চল্লিশ টাকা। দুনিয়া ঘুরে গেল আমার। স্পষ্ট শুনেছি, লোকটা শুধু চল্লিশ টাকা বলেছে। সে কথা বলতেই কেমন যেন বিচ্ছিরি ব্যবহার করল আমার সাথে। রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আমাকে সেকি গালাগাল করল। পাঁচশ চল্লিশ টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ছাড়বেন না তিনি। এদিকে ভয়ে আমি জোড়োসোড়ো হয়ে আছি। এতো টাকা কোথায় পাবো!

রিকশাওয়ালা টাকা না নিয়ে ছাড়বে না, এদিকে আমার কাছে টাকা নাই। এক সময় চোখমুখ বন্ধ করে নিয়ে ওই জায়গা থেকে ভোঁ ছুট লাগালাম। দূর্ভাগ্যবশত, রাস্তায় দৌড়ানোর ফলস্বরূপ একটা বাইকের সাথে ধাক্কা খেলাম। রাস্তায় পড়ে হাত-পা কেটে একেকার অবস্থা। দূর্ভাগ্য? নাহ, মোটেও দূর্ভাগ্য ছিল না। বরং, জন্মের পর থেকে সেদিন পর্যন্ত পাওয়া আমার জীবনের এক ও এক মাত্র সৌভাগ্য।

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৪৯

বাইক থেকে নামলো দুইটা ছেলে। ব্যাথায় জর্জরিত আমি। রাত গভীর হওয়ার কারণে মানুষজনের জটলা একটু কম পড়েছিল। ছেলেদুটো কি ভীষণ চালাক! আমার কাছে এসে দাঁত কেলিয়ে এমনভাবে কথা বলল, রাস্তায় জোরো হওয়া গুটিকতক লোকগুলো বুঝল আমরা পূর্ব-পরিচিত। তারা নিজ কাজে চলে গেল। আমি বোকা রাস্তায় বসে শুধু দেখেই থাকলাম হা করে।
এর মাঝে আবার রিকশাওয়ালাও চলে এলো আমার কাছে। ছিঁলে যাওয়া হাত-পা দেখে মায়া হলো না তার। তিনি আবার পড়লেন ভাড়া নিয়ে। বলা বাহুল্য, সে যাত্রায় জৈনিক ছেলেদুটোই আমায় বাঁচালো।

দিগন্তবেলার প্রেমান্দোলন পর্ব ৫০ (২)