তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২২
তাবাস্সুম খাতুন
“স্যার ম্যানেজার আমাদের সাথে বেইমানি করছে, আমাদের খেয়ে আমাদের কাছে থেকে অন্য কে পাই টু পাই সব খবর দিয়েছে। 30% করে প্রফিট ও দিয়েছে।”
কর্মচারির কথা শুনে নিশান চোখ বন্ধ করে বললো,,,
“তুই যা।”
কর্মচারী চলে যেতে জিহান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“ওই শালা কে কিছু বলবি না তুই? শালা আমাদের খেয়ে আমাদের পরে আমাদের পাছায় বাঁশ দিচ্ছে।”
নিশান গম্ভীর মুখে ল্যাপটপ এর কীবোর্ড এ হাত চালাতে চালাতে বললো,,,
“কয়টা বাঁশ দিলো তোকে?”
জিহান ভেবাচ্যাকা খেয়ে বললো,,,
“কয়টা বাঁশ দিলো মানে?”
নিশান চোখ উঠিয়ে জিহানের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“এইযে বলছিস তোর পাছায় নাকি বাঁশ দিচ্ছে? তো কয়টা দিলো? বাঁশ বাগানের মালিক হয়েছিস তো?”
জিহান নাক মুখ কুঁচকিয়ে বললো,,,
“আমি বিজনেস এর কথা বলছি। বাল বুজে সবসময়।”
নিশান স্বাভাবিক ভাবে বললো,,,
“বাল কাকে বলে জানোস?”
জিহান মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললো,,,
“না জানার কি আছে?”
নিশান — “তো এক্সপ্লেইন কর।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জিহান নিশানের দিকে ফিরে চোখ ছোট ছোট করে বললো,,,
“এক্সপ্লেইন এর কি দরকার? তোর ও আছে আমারো আছে।”
নিশান — “তো তুই দেখতে পারছিস না? আমার কত বড়ো বড়ো আছে।”
জিহান — “দূর শালা কি বলছিস এইসব?”
নিশান — “আমার বোন কে কি তুই বিয়ে করছিস? যে আমি তোর শালা লাগি।”
জিহান মুখ ভাঙিয়ে বললো,,,
“তো তুই ঐসব কি বলছিস?”
নিশান কপাল কুঁচকে জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“কি বললাম বাল মানে চুল। জানিস না? হিন্দি তে চুল কে বাল বলে। তুই কি নেগেটিভ ভাবছিস? তুই কি ছিঃ তোর মাইন্ড এর উপরে কুকুরে পেশাব করে দিক।”
জিহান কিছু ক্ষণ অবাক হয়ে নিশানের মুখে দিকে তাকিয়ে রইলো যা দেখে নিশান বিরক্ত কণ্ঠে বললো,,,,
“এইভাবে চোখ দিলে গিলে খাবি না আমি তোর বউ লাগি না।”
জিহান রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বললো,,,,
“হারামি কুত্তা নিজের মাইন্ড তো সবসময় নেগেটিভ পয়েন্ট এ থাকে আবার আমার মাইন্ড নিয়ে প্রশ্ন করিস? আমি এখনো পযন্ত ভার্জিন নিয়ে ঘুরছি তোর মতো আকাম করি নি।”
নিশান বাঁকা হেসে বললো,,,
“বউ নেই বলে ভার্জিন কাভার্ড এ তুলে রাখছিস বউ আসলে কাভার্ড থেকে টুক করে প্রথম রাতেই ভার্জিন হারাবি।”
জিহান নিজেকে বাহবা দিয়ে বললো,,,
“তা হলেও এমন কিছু করবো না যাতে বউ আমার অজ্ঞান হয়ে জ্বর চলে আসে।”
নিশান জিহানের দিকে গরম চোখে তাকাতেই জিহান ঠোঁটে হাত দিলো মানে সে চুপ। এর মধ্যে কেবিনে প্রবেশ করলো অভি আর আয়ান। জিহান গিয়ে ওদের সাথে কুলাকুলি করলো। জিহান বললো,,,
“কতদিন পরে দেখা পেলাম। হাতের কি অবস্থা?”
অভি — “আপাতত ভালো আছে।”
আয়ান জিহানের উদ্দেশ্য বললো,,,
“জিন্দেগীতে নিজের বউ ব্যাতিত অন্য কারোর বউ কে দেখা তো দূর পাশ দিয়েও যাবো না ভাই।”
আয়ানের কথা শুনে জিহানের হাসি লাগছে নিজের হাসি কন্ট্রোল করছে বহু কষ্টে। এইদিকে নিশান নিজের মতো কাজ করছে এমন ভাব যেন এইখানে সে ছাড়া আর কেউ নেই। অভি গিয়ে নিশানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,,,
“আগের কথা ভুলে যা ভাই। কংগ্রাচুলেশন ভাবিকেই শেষ মেষ বিয়ে করার জন্য।”
নিশান হাত উঠিয়ে হ্যান্ডশেক করলো। আয়ান ও করলো। তারপর তারা বসলো। আয়ান নিশানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,,
“কিরে বেডা তুই এত কিসের কাজ করিস? আমরা আসছি একটু কথা বল ভালো ভাবে।”
নিশান — “তোরা কি আমার সুমন্ধি লাগিস যে, ভদ্র ভাবে আলাপ করতে হবে।”
অভি — “সুমন্ধি না হলেও বন্ধু তো।”
নিশান — “যা খাবি অর্ডার দে।”
আয়ান — “বেশি কিছু না একটা বউ এর ব্যবস্থা করে দে ভাই তোর অনেক ক্ষমতা।”
নিশান — “গার্লস স্কুল এর সামনে গিয়ে মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক আর মুখ দিয়ে বলবি “বিয়ে করবো বিয়ে হোক সেইটা ক্লাস ফাইভ কি সিক্স একটা বউ হলেই যথেষ্ট।”
নিশানের কথা শুনে অভি আর জিহান হাসছে। আয়ান বললো,,,
“এমন করলে মেয়ের বদলে গণ ধুলাই খেতে হবে।”
নিশান — “তাহলে তোর ভাগ্য ভালো না। মেয়ের পরিবর্তে সবসময় মার খাওয়াই কপালে আছে।”
আয়ান মুখ ভাঙিয়ে বললো,,,
“দেখিস দেখিস একদিন আমিও বিয়ে করবো বাচ্চা পয়দা করবো তাও তোর আগে। শুধু তোর না ওদের দুজনের আগেও।”
নিশান কাজ করতে করতেই বললো,,,
“𝐵𝑒𝑠𝑡 𝑜𝑓 𝑙𝑢𝑐𝑘..!”
সময়টা দুপুর বারোটা বেজে পাঁচ মিনিট। সিমির জ্ঞান ফিরছে তবে চোখের পাতা যেন এখনো ভারী খুলতে পারছেনা। ধীরে ধীরে খুলার চেষ্টা করলো ঝাঁপসা ঝাঁপসা লাগছে। আবারো চোখ বন্ধ করলো। এইদিকে জারা, সামিয়া, রাত্রি ল্যাপটপ এ মুভি দেখছে গভীর মনোযোগ দিয়ে। সিমি আবারো চোখ খুললো। এইবার একটু ভালো লাগছে। সে আস্তে আস্তে উঠে বসলো। সামনে দেখলো ওরা তিনজন বসে আছে। ওদের ডাকবে ভাবলো কিন্তূ ওরা কি করছে সেইটা দেখার জন্য একটু উঁকি মারলো। উঁকি মেরে দেখলো ল্যাপটপ এর স্কিন এ ভাসছে একটা ছেলে একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছে। চুম্মাচুম্মি করছে। মেয়েটার পোশাক নেই বললেই চলে একটু একটু পোশাক। সিমি তওবা দিতে দিতে চিৎকার করলো,,,,
“আস্তাগফিরুল্লাহ নাউযুবিল্লাহ ছিঃ ছিঃ এইসব কি দেখছিস তোরা?”
ওরা তিনজন লাফ দিয়ে উঠলো। পিছনে তাকিয়ে দেখলো সিমি চোখ বন্ধ করে আছে। জারা ল্যাপটপ অফ করে দিয়ে সিমি কে বললো,,,,
“সমস্যা কি তোর? চিৎকার দেস কেন?”
সিমি চোখ খুললো বললো,,,,
“তোরা ঐসব কি দেখছিস? ছিঃ ছিঃ ওয়াক কেমন চুম্মাচুম্মি করছে জামা কাপড় নেই।”
সামিয়া চোখ ছোট ছোট করে বললো,,,
“তোরে বলছে জামাকাপড় নেই?”
সিমি — “তো কি?”
রাত্রি — “তো কি মানে মেয়ের গায়ে যথেষ্ট জামা আছে। আর ঐটা মুভি নেগেটিভ কিছু না বুজছিস।”
সিমি কপাল কুঁচকিয়ে বললো,,,
“এইটা আদাও মুভি ছিঃ।”
সামিয়া গালে হাত রেখে বললো,,,
“কোন জগতে বাস করিস? এইটা মুভি না তো কি?”
সিমি — “তো মুভিতে এমন হয়?”
জারা — “এইগুলো বিদেশি মুভি সিম্পল তাদের কাছে এইসব।”
সিমি — “নাম কি এই মুভির?”
রাত্রি — “My Fault..!”
মুভির নাম শুনে সিমি চোখ মুখ কুঁচকিয়ে বললো,,,
“ছিঃ এই মুভি কত খারাপ আমি শুনছি কি খারাপ কি খারাপ আর তোরা এই মুভি দেখছিস ছিঃ।”
সামিয়া — “শালী তোর ছিঃ পানিতে গুলে গুলে খাওয়াবো।”
জারা — “নিক কেমন ভাইরাল জানিস? দেখতেও খুব সুন্দর।”
সিমি মুখ ভাঙিয়ে বললো,,,
“বাল সুন্দর এর থেকে কোরিয়ান রা আরো সুন্দর।”
রাত্রি — “হ্যা তোকে কোরিয়ানের সাথে বিয়ে দেবো।”
সিমি মুখ ভাঙিয়ে বললো,,,
“সর আমার বিয়ে হয়ে গেছে, আমার স্বামী আছে।”
সিমির বিয়ে হয়ে গেছে স্বামী আছে। এই কথা ওর মুখ থেকে শুনে ওরা তিনজন চিৎকার দিয়ে বললো,,,
“কিহহহ বললি?”
সিমি ভ্রু কুঁচকে বললো,,,,
“চিৎকার করিস কেন?”
সামিয়া — “কি বললি তোর স্বামী আছে?”
সিমি মাথা নাড়লো। জারা বললো,,,
“তুই তো কালকেও এইগুলো অস্বীকার করতিস?”
রাত্রি — “তাইতো এক রাতের ভিতরে হলো কি তোর?”
সিমি মুখ ভাঙিয়ে বললো,,,
“যা হোক তাতে তোদের সমস্যা কি?”
জারা — “তুই কি পার্মানেন্টলি আমার ভাবিজান হয়ে গেছিস?”
সিমি — “তোর ভাই রে জিগা।”
সামিয়া — “না দুলাভাই এইখানে কেন আসবে? তুই আমাদের বান্ধবী তুই বল?”
সিমি কিছু বলবে সেইসময় নিশান রুমে ঢুকলো। নিশান কে দেখে ওরা তিনজন কোন কথা না বলে ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেলো। নিশান দরজা লক করে বেডে সিমির কাছে গেলো। সিমি লজ্জা তে মাথা নুয়ে রাখছে। নিশান গম্ভীর কণ্ঠে বললো,,,
“জ্ঞান কখন ফিরছে?”
সিমি — “একটু আগে।”
নিশান — “এখন কেমন লাগছে?”
সিমি — “মোটামুটি ভালো।”
নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“মাথা নিচু করে আছিস কেন?”
সিমি ঐভাবেই বললো,,,
“এমনি।”
নিশান — “তাকা আমার দিকে।”
সিমি কিছু বললো না ঐভাবেই রইলো। নিশান এইবার ধমক দিয়ে বললো,,,
“ইডিয়েট তাকা আমার দিকে।”
সিমি উপায় না পেয়ে মাথা উঁচু করলো নিশানের চোখে চোখ পড়তেই সে চোখ নামিয়ে নিলো। নিশান আবারো ধমক দিয়ে বললো,,,
“তাকা বলছি।”
সিমি ঐভাবেই বললো,,,,
“আপনার চোখের দিকে আমি তাকাতে পারবোনা।”
নিশান — “পারবি না কেন? তোর নাক লাল হচ্ছে কেন? সমস্যা হচ্ছে?”
সিমি দ্রুত নিজের নাকে হাত দিলো এই বিদেশি কুত্তা কে কিভাবে বুজবে তার লজ্জা লাগছে। আর লজ্জার দরুন নাক লাল হচ্ছে।সিমি থেকে উত্তর না পেয়ে নিশান আবারো বললো,,,
“কথা কানে যাই না। কি জিজ্ঞাসা করছি আমি?”
সিমি এইবার বিরক্তি নিয়ে বলা শুরু করলো,,,
“আমার লজ্জা লাগছে আর লজ্জা তে নাক লাল হচ্ছে। হয়েছে এইবার।”
নিশান — “লজ্জা লাগার রিজন?”
সিমি নিশানের দিকে হতবিহিব্যল হয়ে তাকিয়ে বললো,,,
“লজ্জা লাগার রিজন ও আপনাকে এক্সপ্লেইন করতে হবে?”
নিশান — “লজ্জা পাবি তুই আর এক্সপ্লেইন করবো কি আমি?”
সিমি বেড থেকে নেমে যেতে গেলেই হাতে টান লাগলো। ক্যানেলা দিয়ে সেলাইন দেহে ঢোকার বদলে রক্ত উঠে যেতে লাগলো। নিশান দ্রুত সিমির কাছে এসে ক্যানেলা টা খুলে দিলো। ফিনকি দিয়ে রক্ত বাহির হলো। নিশান দ্রুত একটা ওয়ান টাইম টেপ লাগিয়ে দিয়ে ধমক দিয়ে বললো,,,
“ইডিয়েট!মাথায় কি কোন কনসেন্স নেই? একটুর জন্য বড়ো ক্ষতি হয়ে যেত।”
সিমি মাথা নিচু করে আছে কোন কথা বলছে না। নিশানের রাগে মাথা ফেঁটে যাচ্ছে। গম্ভীর মুখে আছে। সিমি কে দার করালো। ওয়াশরুম এ নিয়ে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে দিলো। আবারো বেডে নিয়ে বসালো। মুখ মুছিয়ে দিলো। কপালে হাত দিয়ে চেক করলো জ্বর না নেই হাল্কা গরম। নিশান সিমি কে উদ্দেশ্য করে বললো,,,
“আমি ফ্রেশ হতে যাচ্ছি। কোন রকম অকাজ যেন করা না হয় চুপ করে বসে থাকবি ok।”
সিমি মাথা নাড়লো। নিশান ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। পনেরো মিনিট পরে বেড়িয়ে আসলো। অ্যাস কালারের টাউজার আর সাদা রং এর টি শার্ট পড়া। চুল থেকে এখনো টিপটিপ করে পানি পড়ছে। সিমির কাছে এসে সিমির উড়না টেনে নিয়ে চুলগুলো সুন্দর করে মুছলো মুছা শেষে উড়না আবারো রেখে দিলো সিমির পাশে। সিমি হা করে তাকিয়ে আছে নিশানের দিকে। গোসল করে আশায় নিশান কে যেন আরো সুন্দর লাগছে। সিমির হা করে তাকানো দেখে নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“হা করে আছিস কেন? মুখ অফ কর। আমি খাবার নিয়ে আসছি।”
বলে নিশান চলে গেলো। সিমি মুখ বন্ধ করে নিশানের যাওয়ার পানে তাকিয়ে বললো,,,
“শালা বিদেশি কুত্তা জীবনে ভালো হবে না।”
নিশান নিচে গিয়ে সিমির জন্য আর নিজের জন্য এক প্লেটে ভাত আর তরকারি আনলো। সেলিনা ছেলে কে দেখে বললো,,,,
“আমাকে বললেই তো হতো আমি দিতাম।”
নিশান যেতে যেতে উত্তর দিলো,,,
“যদি বিষ মিশিয়ে আমার ইশু কে আবারো কেড়ে নিতে চাইতে।”
বলে নিশান সিঁড়ি বেয়ে উঠে নিজের রুমে ঢুকলো। সেলিনা নিশানের যাওয়ার পানে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। নিশান রুমে ঢুকে বেডে বসে সিমি কে নিজ হাতে খাইয়ে দিতে লাগলো। খাওয়া শেষ হতে সিমি কে ওষুধ খাইয়ে দিলো। সবকিছু শেষ করে নিশান ডিভানে গিয়ে নিজের ল্যাপটপ আর কিছু ফাইল নিয়ে বসলো। অফিসের কাজ করতে। এইদিকে সিমি কি করবে ভেবে না পেয়ে নিজের ফোন উঠিয়ে ঐভাবে বসে থেকে থেকে কোরিয়ান ড্রামা দেখতে লাগলো।
জিহান নিজের রুমে ঢুকার সময় দেখা হলো সামিয়া, জারা আর রাত্রির সঙ্গে। জিহান রাত্রি কে বললো,,,
“রাত্রি আমার রুমে আয়।”
বলে জিহান নিজের রুমে ঢুকে গেলো। সামিয়া আর জারা নিজেদের রুমে গেলো সাওয়ার নেওয়ার জন্য। রাত্রি জিহানের রুমে গিয়ে বললো,,,
“কি হয়েছে ভাইয়া?”
জিহান — “আমার এক জায়গায় একটা চিঠি দিতে হবে। আমার হাতের লেখা দিলে সে চিন্তে পারবে তাই।”
রাত্রি ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“তাই কি হয়েছে ভাইয়া?”
জিহান — “মানে তোর লেখাও সে চেনে তাই এখন আমাকে একটা উপকার করতে হবে।”
রাত্রি — “কি উপকার।”
জিহান — “ইয়ে মানে সিমি, সামিয়া আর জারা এদের তিনজিনের হাতের লেখা আমাকে দেখাতে হবে। যেইটা বেশি ভালো লাগবে তাকে দিয়েই লিখাবো করবি উপকার।”
রাত্রি একটু ভেবে বললো,,,
“Done আমি একটু পরে এনে তোমাকে দেখাচ্ছি।”
জিহান — “ok,”
তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২১
রাত্রি রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। জিহান বিড়বিড় করে বললো,,,
“চিন্তা নেই মিস চিরকুটয়ালি দ্রুত আপনাকে খুঁজে বাহির করছি।”
বলে জিহান ওয়াশরুম এ ঢুকে গেলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য।