আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৬৬
ইশিকা ইসলাম ইশা
তপ্ত দুপুর পেরিয়ে সময় তখন পড়ন্ত বিকেল।তীর রিদি কে নিয়ে এগিয়ে গেল রেজা ভিলার সরু রাস্তায়। আশেপাশে তাকিয়ে সঠিক রাস্তা খুজার উদ্দেশ্য তাঁদের দিকে এগিয়ে আসা চিকন এক ছেলেকে জিজ্ঞাসা করল,
জি প্রফেসর মোঃ রোশান রেজা কোথায় বলতে পারবেন?
রোশান স্যার!
জি!
ওনি সম্ভবত লাইব্রেরীতে!এদিক দিয়ে সোজা গিয়ে বামে লাইব্রেরি পুরানো বাড়ির মতো!
জি ধন্যবাদ!!
আপনারা কারা?
জি আমরা ওনার বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছি।
ওহহ!! মানে আপনারা আয়ান ভাইয়ের বাড়ির লোক!
জি!!
আমি ওনার ডাকপিওন! দেখতে চিকনা হতে পারি বুদ্ধিতে না।
তীর ফিক করে হেসে বলল,
ডায়লগ টা জোস বস!!
ছেলেটি হেসে একপলক রিদিকে দেখে বলল,
আপা টা কে?
আপনাদের প্রফেসর এর স্বপ্নকন্যার একমাত্র কন্যা।
ছেলেটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তীরের দিকে তাকালো।তীর ক্যাবলা মাকা হাসি দিয়ে চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে এগিয়ে গেল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পুরানো আমলের লাইব্রেরি! দেখতে মনে হয় অনেক বছর আগের তৈরি।মেরামত করেছে তবুও দেখতে অনেকটা পুরাতন আমলের বাড়ির মতো। দুই পাশে ফুলের বাগান।মাঝে সরু রাস্তা। লাইব্রেরীর উপরের দেওয়ালে কিছু লেখা।
রেজা ভিলা!!
রিদি ভেতরে প্রবেশ করে।চারদিকে বইয়ের স্তুপ।সারি সারি অনেক বই সাজিয়ে রাখা।ভেতরে বিশাল বড় রুম। সেখানে রাখা আছে কয়েকটা বেঞ্চ।সামনের দেওয়ালে কালো একটা বোর্ড। একপাশে একটা টেবিল আর চেয়ার।সব কিছু দেখে মন হচ্ছে এখানে হয়তো আগে পড়ানো হতো।রিদি বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল সবটা।রিদির দেখার মাঝেই ভেসে এলো কারো ভরাট কন্ঠস্বর!
তুমি??
রিদি পিছনে ঘুরতেই দেখল সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত ফর্সা একজন মধ্যবয়স্ক লোক।কালো ফ্রেমের চশমায় উঁচা লম্বা একজন।বোঝা যায় যুবক বয়সে সুদর্শন ছিলেন।রাইফা আন্টির সাথেও চেহেরায় বেশ মিল।মানে ইনিই রোশান রেজা।
রিদিকে দেখে রোশান অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল শুধু।ঠিক যেন তার দুষ্টু পাখির অবয়ব।সেই চাহনি!সেই মায়া!
জি আমি রিদিতা…….
তুমিই তবে তীব্রর বৌ!!
রিদিতা হচকচিয়ে গেলেও বলল,
জি!!!
কি জানতে চাও!!
রিদি আশেপাশে নজর বুলিয়ে বলল,
এটা কি অনেক পুরানো আমলের লাইব্রেরী??
না!১০ বছর ধরে এটা লাইব্রেরী!
লাইব্রেরীর স্মৃতির পাতায় বন্দি করে রেখেছেন তাকে!
রোশান নিসংকোচ ভাবে বলল,
চেষ্টা তো সেটাই!
এতো কিছুর পরেও!!
শত কিছুর পরেও!সব কিছুর উর্ধ্বে!!
রিদি হাসল ।শুনেছি আম্মুর মাস্টারমশাই নাকি খুব মোলায়েম কন্ঠের একটা মানুষ ছিল!
রোশান সেকথা উওর না করে বলল,
ঠিক মায়ের মতোই হাসি!!মায়ের কার্বন কপি!
রিদি আবারো হাসল। রোশান দেখল সে হাসি।কতো বছর!!কতো বছর দেখে না সেই খিলখিলিয়ে মিষ্টি হাসি।অথচ সে চলে গিয়েও এই মেয়েটার মাঝে নিজেকে সপে দিয়ে গেছে।
বিয়ে করেন নি কেন??
সে করতে চাইনি!
এরপর!!
কাউকে ভালোলাগেনি!
তবে কেন তাকে আটকে রাখলেন না!
সে আমার ভাগ্যে ছিল না।শুধু তার স্মৃতিই আমার ভাগ্যে লেখা ছিলো।
সেদিন কি হয়েছিল?
তখন জানতাম না!
এখন তো জানেন!
জানি!!রিদি উৎসুক হয়ে তাকালো রোশানের দিকে।রোশান একটু থেমে বলল,
সেদিনের পর দিয়ার সাথে আমার দেখা হয় ঠিক তার বিয়ের ৪ বছর পর এক বই মেলায়।সে আমাকে এড়িয়ে গেলেও আমি এগিয়ে গেলাম।কারন সে তখনো আমাকে বলে নি আমাকে কেন ফিরিয়ে দিয়েছিল।দুইজনে গিয়ে দাঁড়ালাম নির্জন জায়গায়।
ফিরিয়ে কেন দিয়েছিলেন বলেন নি এখনো!!
জানা কি জরুরি!!
বাধ্যতামূলক বলতে পারেন!
দিয়া হাসল। মাস্টারমশাই যখন অংক করতে দিত তখন ঠিক এভাবে বলত,”এই অংক করা বাধ্যতামূলক”।
আপনার স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হতে চাইনি!
রোশান প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে তাকালো দিয়ার দিকে।দিয়া মলিন মুখে হাসি টেনে বলল,
সেদিন রাতে আপনি যাবার পরপরই রুমে ঢুকে রুপেস।হাতে একটা ফাইল।ফাইলটা আমার দিকে এগিয়ে দিল।আমি পড়ে দেখলাম আপনার স্বপ্ন!রেজা কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জরুরি ও গোপন সূত্র। আপনার এতো বছরের তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্ন।আপনার জীবনের জমানো সঞ্চয়!আমি চাইলাম রুপেসের দিকে সে আমার হাত থেকে ফাইলটা নিয়ে বলল,
রোশান রেজার স্বপ্ন আমার হাতে!
তুমি ধোঁকা দিবে রুপেস??
প্রয়োজনে দিব!
মাস্টার মশাই তোমাকে কতোটা বিশ্বাস করে তুমি ভেবে দেখছো!
তাতে আমার কি? আমার তোমাকে চাই!
আমাকে কখনো পাবে না!তুমি যাই করো না কেন! মাস্টার মশাই ঠিক আবার নিজেকে গড়ে নিবে।
বেঁচে ফিরলে তো!
মানে!!
সি ইউ সুন!!
রুপেস চলে যাওয়ার ঠিক ১৫ মিনিট পর রুমে ঢুকে আপনার বাবা মা। তারা আমাকে জানাই আপনার এক্সিডেন্ট হয়েছে। অবস্থা খুব খারাপ।জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন।ওরা আপনার ছবিও আমাকে দেখাই।নিথর দেহে রাস্তায় পড়ে ছিলেন আপনি।আমি মানসিক ভাবে আরো ভেঙে পড়ি।নিজের অতীত,নিজের অস্তিত্ব,আপনাকে হারিয়ে ফেলার ভয় সব মিলিয়ে আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম আমি কি করব।আমি সেই অবস্থায় আপনার কাছে যেতে চাইলে আপনার বাবা মা আমার পা আকরে ধরে।আমি অবাক হয়ে ওনাদের দিকে তাকালাম।আপনার মা আমার পা জরিয়ে ধরেই বলল,
আমার ছেলেকে বাঁচাতে দে দিয়া! ওকে মেরে ফেলিস না!!
আমি ভীষণ অবাক হলাম।আমি মেরে ফেলব তাকে!!যার হাসিতে আমার দুনিয়া হাসে!আমি সত্যিই ভীষণ অবাক হলাম।আমি কিছু বলার আগেই ওনারা দুহাত পাতল আমার সামনে।আমি ওনাদের হাতে ধরতেই আপনার মা আমার হাত ছুঁড়ে ফেলে বললো,
কলঙ্কিত হাতে আমাকে ছুবি না!যার সাথে কলঙ্ক রটিয়েছিস তার সাথেই বিয়ে কর মুখপুড়ি।আমার ছেলেটাকে রেহায় দে।
আমার ছেলেটাকে বাঁচতে দাও দিয়া!ওর রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু গ্রামের হাসপাতালে ওর রক্ত কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র ঐ রুপেসের রক্তে মিল আছে। কিন্তু রুপেস রক্ত দিবে না বলেছে।ও রক্ত না দিলে মরে যাবে আমার ছেলে দিয়া।আমি অসহায় বাবা তোমার কাছে হাত জোর করছি!আমার ছেলেকে বাঁচাতে দাও!!(রোশানের বাবা)
আমার দুনিয়া আমি আপনার মাঝেই দেখেছি।সেই দুনিয়া উজার করে কিভাবে ভালো থাকা যায় বলুন।আমি কথা বলতে রুপেসের কাছে গেলাম।রুপেস অমাকে শর্ত দিল তাঁকে বিয়ে না করলে সে আপনাকে রক্ত দিবে না।
একদিকে আপনার জীবন অন্যদিকে আপনাকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা! শেষ মেষ আপনার জীবন বাঁচাতে কবুল পড়লাম অন্য কারো নামে।
দিয়া একটু থামল।ভারী স্বরে বলল,
জানেন মাস্টারমশাই!! যখন ঐ তিনটা শব্দ উচ্চারণ করেছি তখন আমার মাঝে আমিটা মৃত প্রায়!চারদিকে শুধুই অন্ধকার!!কথাও আলোর রেখা নেই।সেদিন আমি সেই অন্ধকারকেই আলিঙ্গন করে নিলাম।
ঠিক ভোর হওয়ার আগে আরো একটা সত্যির মুখামুখি হলাম।আপনার এক্সিডেন্ট হয়েছে তবে গুরুতর আহত হননি।এসব ছিল রুপেস আর আপনার বাবা মায়ের মিলিত নাটক।ওনারা কখনো চাইনি আমার মতো অনাথ একজনকে রেজা বাড়ির একমাত্র পুত্র বধূ করতে।রুপেসের সাথে সকল প্ল্যানে তারা জরিত ছিল।সেটা হোক আমার মাথায় কলঙ্কের দাগ বা আমার গলায় বিয়ে নামক ফাঁসির ফান্দা।
কথাটা বলেই দিয়া হাসলো।একপলক রোশানের অশ্রু সিক্ত রক্তলাল মুখখানা দেখে বললো,
বিয়ে করেন নি কেন!বয়স অনেক হয়েছে মাস্টারমশাই!
রোশান সেকথার উওর করল না।কান্না আটকে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
তুমি ভালো আছো দুষ্টু পাখি!!
দিয়ার চোখ বেয়ে সাথে সাথে পানি গড়িয়ে পড়ল।মুখে হাসি চোখে জল।উফফ!!!এই যন্ত্রনা!!দিয়া হেসে উঠলো।সেই হাসি রোশানের বুকে আজ ছুরিঘাত করল।অথচ এই হাসিই তার প্রশান্তির কারন ছিল।
“আমি খুব ভালো..ভালো আছি! মাস্টার মশাই!
রোশান এবার আর দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পেল না।ধপ করেই বসে পড়ল পাশের চেয়ারে।চোখ বেয়ে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ল।ছেলে মানুষ অতি কষ্ট না পেলে কাঁদে না।তবে যদি কাঁদে সেটা তার সহ্য সীমানার বাইরে।রোশান কম্পিত হাতে চেয়ারের একটা হাতল শক্ত করে ধরে মৃদু স্বরে বলল,
আমি ভালো নেই দুষ্টু পাখি!আমি যে আর পারছি না!
দিয়া রোশানের দিকে একবার তাকিয়ে কান্না গিলল।দূবল হয়ে যাবে ভেবে চলে আসার জন্য কয়েক কদম বাড়াতেই রোশানের শক্ত আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে গেল।এই প্রথম রোশানের ছোঁয়া অনুভব করল।যে কখনো হাতটা পর্যন্ত ধরেনি অবৈধ স্পর্শ ভেবে সে আজ বিবাহিত এক নারীকে আলিঙ্গন করেছে।রোশানের চোখের পানি শব্দহীন ভাবে দিয়ার কাধ ভিজিয়ে দিল।দিয়ার চোখেও আজ পানি।শক্ত প্রাচীর ভেঙে কান্না বেরিয়ে এসেছে ইতিমধ্যে।
আমি বিবাহিত নারী রোশান স্যার।
ভালোবাসা এসবে পরোয়া করে না।
কিন্তু লোকসমাজ করে!
রোশান দিয়াকে ছেড়ে দিতেই দিয়া আর এক মুহূর্তও দাঁড়াল না।এখন থেকে গেলে আর হয়তো যেতে পারবে না।দিয়া ছুটল এক প্রকার।যেন পিছে কেউ তারা করছে তাকে।
এপরর আমি অনেক বার দিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছে তবে পারেনি। তবে শেষ দেখা হয়েছিল দিয়ার মৃত্যুর দিনে।নিথর দেহে সাদা কাপড়ে মোড়ানো ছিল তার দুষ্টু পাখি।পাশেই ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়ে বসে ছিল।ঠিক মৃত মায়ের গলা জড়িয়ে।আমি আর থাকিনি দূর থেকেই চলে এসেছি।যার সাথে বৃদ্ধ হতে চেয়েছি সে!সে চলে গেল সেদিন আমার ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
রিদি চোখের পানি হাতের উল্টা পিঠ দিয়ে মুছে ভাঙ্গা গলায় বলল,
রাইফা আন্টি কেন আম্মুকে ঘৃনা করে??
আমি কাউকে কিছু জানাই নি!
কেন?
তোমার আম্মু চাইনি!রাইফা নিজের বাবা মাকে ঘৃনার চোখে দেখুক। মহান ছিলেন যে তিনি। সবার কথা ভাবতেন।শুধু আমার টা বাদে!!
রিদি হাসল রোশানের অভিমান বুঝে।রোশান আবারো দেখল দিয়ার হাসি।মেয়েটার মাঝেই দিয়ার বসবাস।এর মাঝেই লাইব্রেরির সদর দরজা থেকে ভেসে এলো পায়ের খটখট শব্দ।রিদি সেদিকে তাকিয়ে দেখল একটা মেয়ে ছুটে এদিকে আসছে।সে সোজা রোশানের দিকে এগিয়ে গিলে হাঁপিয়ে উঠা কন্ঠে বলল,
পাপা!আমাদের ইনস্টিটিউট এর রাস্তার ৫-৬ টা বড় বড় গাড়ি এসেছে।সেখানে সব কালো পোশাক পড়া লোকজন দাঁড়িয়ে আছে।
রোশান মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
রিল্যাক্স রোমা!ওরা আমাদের ক্ষতি করবে না।
রিদি অবাক হয়ে বলল,
পাপা!!
রোশান রিদির দিকে তাকিয়ে বলল,
আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে।রোমা।
রোমা রিদির কথায় রিদির দিকে তাকিয়ে হতবাক হয়ে বলল,
দিয়া আন্টি!!!
রোশান তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল,
ও রিদিতা। দিয়ার মেয়ে!!
ওহহ তাই তো বলি!দিয়া আন্টি পাপার কল্পনা ছেড়ে বাস্তবে এলো কিভাবে।তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগলো।তুমি বসো আমি চা নিয়ে আসছি!
চা লাগবে না আপু!!
আরে লাগবে না কি কথা।আজকে এখানে থাকবে তোমরা।
না মানে আসলে আপু!!
তোমার ওনি থাকবে না তাইতো!আরে আকাশে দেখ মেঘ জমেছে। বৃষ্টি হতে পারে থেকে যাও!
রিদি চাইলেও না করতে পারল না।রোমা মেয়েটা বড্ড মিশুকে।
চারদিকে তখন মুশুলধারে বৃষ্টি নেমেছে।রিদি আর রোমা রান্নাঘরে রাতের জন্য খিচুড়ির আয়োজন করছে।রিদি টুকিটাকি কেটে দিচ্ছে।
সাহেববাবু কি রেগে আছে?
রিদি মিষ্টি হেসে বলল,
ওনি সবসময় রেগেই থাকেন আপু!
হাহা!তা ঠিক! রসকষহীন আনরোমান্টিক ব্যাটা মানুষ!
রিদি হাসল।রোমার কথা বলার ধরন দেখে।অথচ সে জানে না সেই ব্যাডা মানুষ তাকে কতোটা অত্যাচারে রাখে। রোমান্টিক টচার বললেও ভুল হবে না।
শোনো মেয়ে তোমার ওনি কিন্তু আমারো প্রথম ক্রাশ ছিল।মানের রুকুর আব্বুর আগে।তবে তোমার ওনি যা ভয়ংকর বাপরে বাপ!দেখলেই আমি আয়াতুল কুরসি পাঠ করি।
রিদি এবার খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো।রিদিকে হাসতে দেখে রোমা নিজেও হেসে উঠলো।
তা তোমার ওনি খুব ভালোবাসে তোমায়!
এক আকাশ পরিমাণ!
আর তুমি?
সে আমার পুরো পৃথিবী!
খুব ভাগ্যবান সে!
না!!আমি ভাগ্যবতী আপু কারন,
“”সবার জীবনে তীব্র চৌধুরী আসে না
সবাই তীব্র চৌধুরীকে পায় না
তাকে পেতে খুব ভাগ্যবতী হতে হয়
আর আমি সেই ভাগ্যবতী
আমি বলতে বাধ্য আমি ভাগ্যবতী “”
রোমা মুগ্ধ হয়ে দেখল রিদিকে। কিন্তু আমি শুনেছি তোমার সাথে তার নিষ্ঠুর, হিংস্রতা,উম্মাদ আর ভয়ঙ্কর সেই ব্যবহার।
রিদি হাসল।রোমা অবাক হয়ে বলল,
তুমি হাসছ কেন?
জানেন আপু!ওনাকে প্রথম প্রথম আমার এতোই ভয় লাগতো আমি তো দেখলেই ঙ্গান হারাতাম।আপনি ঠিক বলেছেন,
“”সে নিষ্ঠুর .….
তবে তার ভালবাসার কোমলতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি বারবার।
সে ভয়ংকর
তবে আমার প্রতি তার ভালোবাসার ধৈর্য্যও ভয়ংকর সুন্দর।
সে হিংস্র
তবে তার হিংস্রতায় আমি খুঁজে পেয়েছি ভালাবাসার পুরো এক পৃথিবী।
সে উম্মাদ
তবে তার উম্মাদনায় আমি মত্ত হয়েছি বারবার।””
আপনাতেই আমি সিজন ২ পর্ব ৬৫ (২)
রোমা আবারো অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখল রিদিকে।মেয়েটার চোখ মুখে মনোমুগ্ধকর হাসি।সেই হাসি যেন বার বার বলছে,
শত খারাপের মাঝেও সে আমার,সে আমার,সে আমার……