এমপি তামিম সরকার পর্ব ৫৯
কাফাতুন নেছা কবিতা
” তামিমমমমমমমমমমমমমমম!”
কিছু স্বপ্ন হয় না? একদম পুরো দিনকে বিষাদ ময় করে তুলে, এইটা ও যেনো ঠিক তেমনই! একটি দূরস্বপ্নের মতো!
হাঁটু পেরে মাটিতে বসে পরে সুবহা! তার চোখের সামনে যেনো সব কিছু অন্ধকার হতে শুরু করলো! ভিষণ অন্ধকার! আধারে ঢাকা অন্ধকার! এক মুহুর্তের জন্য যেন সব কিছু নিশ্চুপ হয়ে গেলো!! কারো কোনো আওয়াজ আর কানে পৌঁছাচ্ছে না সুবহা!
আজকে তার চোখের সামনে তার অপছন্দের মানুষটি পাহাড় থেকে পড়ে গেলো! সে তো এখন মুক্ত! কোনো বাঁধা নেই আর তার জীবনে! তামিম নামক ভয়ংকর মানুষটি আর নেই সুবহার জীবনে! সে চলে গেলো সুবহাকে মুক্ত করে দিয়ে!!
” অথচ আপনি কোনোদিন ও জানতেই পারলেন না, কতোটা ভেঙ্গে চুড়ে চেয়েছিলাম আমি, আপনাকে! ”
সুবহা চোখের পানি মুছে খুব জোড়ে তামিমের দিকে দৌড় দেয়! দৌড়াতে খুব কষ্ট হচ্ছিল তার! পেটে ধরে সুবহা নিজের প্রাণ পনে চেষ্টা করে দৌড়ানোর! সুবহা পর্বতের একদম শেষ চূড়াতে যাওয়ার আগেই মাহির সুবহার হাত ধরে ফেলে!
” তামিম পড়ে গেলো! আমার হাতু ছাড়ুন!”
সুবহার গলা দিয়ে খুব কষ্ট করে কথা বের হয়! কান্নার শ্রোতে কথা গুলো দলা পেচিয়ে আসে!!
” পড়তে দেন ভাবি!”
মাহিরের এমন কথায় সুবহার পায়ের মাটি সরে যায়!! তামিমকে তো তারা নিজের বাবার মতো দেখে! ছোটো থেকে তামিম তাদের মানুষ করেছে, আজকে সেই তামিমের এতো বড় বিপদে তারা পাঁচ জনই চুপ!!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” প্লিজ ওকে বাঁচাননননননন!”
সুবহা খুব জোড়ে জোড়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে! কিন্তু কেউ তাকে খাদের কাছে যেতে দেয় না!
” আপনেরে ছাড়া তো আমাগো ভাই এমনিতে ও জীবন্ত
লা’শ হয়ে গেছিলো ভাবি! হাতের র’গ কে’টে মরতে গেছিলো! আপনে এমনিতেই তারে কোনোদিন ও ভালো বাসেন না, ম’রতে দেন!”
তামিমের হাতে সুবহা অনেক গুলো কা’টা দাগ দিয়েছিলো ঠিকই! কিন্তু তার জন্য যে
হাত কে’টে ম’রতে গিয়েছিলো এটা সুবহার ও অজানা ছিলো!! এক মুহুর্তের জন্য সুবহার দুনিয়া তা-ই অচল হয়ে গেছিলো!!
” হো ভাবি! আপনারে এতো কষ্ট দিলো! ম’রতে দেন! ”
” কেন বাঁচাইবেন তারে!”
” উনি আমার স্বামী! ”
” আগুনে হাটানো স্বামী থাকার চাইতে না থাকায় ভালো! মরুক! এতোক্ষণে তো মায়ের ভোগে গেছে গা!”
সুবহা নিজের হাত ছাড়িয়ে খুব জোড়ে থাপ্প’ড় বসিয়ে দেয় সাকিবকে! আর মাহিরকে ধাক্কা দিয়ে তামিমের নাম খুব জোড়ে ডেকে খাদের কাছে চলে যায়!
সুবহা একদম খাদের কাছে যেতেই কেউ একজন তার কোমর ধরে উপরে তুলে ফেলে সুবহাকে!
”ছেড়ে দাও আমাকেককককক। তামিম কষ্ট পাচ্ছে! প্লিজ ছাড়ো….! ছেড়ে দাওওওওওওও!”
নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় সুবহা! তার আর্তনাদে পুরো পর্বত চূড়া যেনো কেঁপে উঠে! কিন্তু পিছনে থাকা লোকটির হাতের বাঁধন আরো শক্ত হয়! সুবহার বুক ফাটা আর্তনাদ যেনো আরো বেড়ে যায়! কিন্তু না সে আর ছাড়া পায় না!
” তামিমমমমমমমমমমমমমম!”
” ম’রি নাই বাঁইচা আছি!”
পরিচিত কন্ঠ কানে ভেসে আসতেই নিশ্চুপ হয়ে যায় সুবহা! একদম বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায় সে! একটু আগে ও যে সুবহা লাফালাফি করছিলো তা তাকে দেখে মনেই হচ্ছিল না! একদম চুপচাপ হয়ে যায় সে!!
আঘাত প্রাপ্ত বাঘিনীর মতো তাকায় তামিমের দিকে! চোখ মুখ শক্ত করে!!
তামিম ও সুবহাকে একটু সেফ জায়গায় দাড় করায়!
” ছেমরি, ভালো তো তুই বাসিস, কিন্তু স্বীকার করছোস না!”
সুবহা কোনো উত্তর না দিয়ে তামিমের সামনে থাকা পাথরের উপরে দাড়ায়! আর তামিমের গাল বরাবর খুব জোড়ে থাপ্প’ড় বসিয়ে দেই! রীতিমতো নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই মা’রে তামিমকে! একটু নড়ে উঠে তামিম! গাল ধরে দাড়িয়ে থাকে! সুবহা যে তাকে মারার জন্য এইভাবে উঁচুতে উঠবে এটা তামিম কল্পনা ও করেনি!! নিচে থাকলে হয়তো গাল বরাবর থাপ্প’ড় পড়তো না!! তাই সুবহা উপরে দাড়ায় তাও তামিমের সাহায্যে!!
” শয়তান বেডি, এক থাপ্প’ড়ে চাপার দাঁত নড়িয়ে..! ”
পুরো কথা শেষ করার আগেই আরো একটা থাপ্প’ড় পড়ে তামিমের আরেক গা’লে!
তামিম চুপচাপ দুই গালে হাত দিয়ে সুবহার সামনে দাড়িয়ে থাকে! সুবহার এমন রূপ দেখে শুকনো ঢোক গিলে তামিম! মনে মনে ভাবে নাহ! এটা তার বউ হতেই পারে না! সিউর ৪৫ টি থাপ্প’ড় খেয়ে তার বউয়ের স্মৃতি শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে!!
তামিম সুন্দর মতো সুবহার খুব কাছে দাড়িয়ে দুই কানে হাত দিয়ে বলে…!
”সরি পরী!”
সুবহা তামিমের হাত সরিয়ে তাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে! আর ছোটো বাচ্চাদের মতো হাউমাউ করে কান্না করতে থাকে! সুবহার এমন কান্না দেখে তামিমের ও চোখ দিয়ে পানি বের হয়! তামিমের চোখের পানি বের হয় খুশিতে! তার পরী ও তাকে ভালো বাসে! খুব ভালোবাসে! সুবহার কান্না আজকে বলে দিচ্ছে সে তামিমকে খুব ভালোবাসে!!
তামিম ও সুবহাকে নিজের হাতের বাঁধনে আবদ্ধ করে নেই!
” আপনি কেন এলেন তামিম? কেন এলেন আমার জীবনে? আর এলেনই বা যখন কেন এভাবে পাল্টে গেলে? আপনার তো মা-বাবা ভাই, আত্মীয় সবাই আছে! আমার তো আপনি ছাড়া কেউ নেই! আমি তো এতিম মানুষ! ভাই যা আছে তাও আধমরা! আপনি কেন আমার ভাইকে মা’রতে বললেন তামিম? আমি তো পুরোপুরি ভাবে আপনার হয়ে গেছিলাম! আপনার ভালো খারাপ সবই মেনে নিয়েছিলাম! তারপর ও কেন এমন করলেন? আমার ভাই তো অবলা বাচ্চা! ছোটো মানুষ! ও যদি ঠিক থাকতো কখনোই আমাদের মাঝে আসতো না! আপনার ওর প্রতি এতো রাগ কীভাবে হলো?
ও তো যে-কোনো দিন আমাকে একা করে মা-রা যাবে! তারপর ও কেন এমন করলেন? আমার তো আপন বলতে আপনি আর ভাই ছিলেন! কেন আমার বিশ্বাস ভাঙ্গলেন তামিম! কেনননননন?”
সুবহার বলা প্রতিটি কথাই তামিমের গায়ে সুচের মতো বিঁধলো! আসলেই তো তাই! সুবহা তো এতিম! তাকে যে যা বুঝাবে, সে তো তাই বুঝবে! সুবহার পরিস্থিতি তো আর সাধারণ পাঁচ টা মেয়ের মতো ছিলো না! মা ম’রার একদিনের মাথায় তামিম তাকে বিয়ে করলো! বাবার আসল পরিচয় বের হলো! ভাই ও আধমরা! এসময় সুবহাকে যে যা বুঝাবে, সে তো তাই বুঝবে।
তামিম চোখ বন্ধ করে ফেলে! তামিমের চোখ দিয়ে ও পানি গড়িয়ে পরে! রাজনীতিতে তামিম এতোটায় ব্যস্ত ছিলো যে সুবহার দিকটা তেমন ভাবে লক্ষ্যই করলো না! তার উপরে এতো কষ্ট দিলো! ৪৫ টি থাপ্প’ড়!! তাও যে সুবহা ঠিক আছে এটাই অনেক!
” আমি তোর ভাইকে মা’রতে বলি নাই সকাল!”
সুবহা ছেড়ে দেয় তামিমকে! আর খুব ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তামিমের দিকে!!
” আমি নিজের কানে আপনার ভয়েস শুনেছি!”
তামিম পকেট থেকে ফোন বের করে সুবহার সামনে ধরে! সেখানে তার ফুফি নিজের কুকর্ম স্বীকার করে! সুবহার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরে! তার মানে সুবহার নিজের বাবা ও তারই আপনজনের হাতে শেষ হয়েছিলো!!
কিন্তু এটা তো ছিলো তার ফুফির আগের কুকর্ম! তার সাথে তামিম যে তার ভাইকে মা’রতে বলেছিলো তার সম্পর্ক কী? সুবহা প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকায় তামিমের দিকে!!
” আমি জানি তুই কী ভাবছিস! সেদিন তুই আমাকে বের করে দেওয়ার পর তোর ফুপি রুমে ঢুকে তোকে যেই ফরওয়ার্ড করা ভয়েস শুনায় সেটা এ আই দিয়ে তৈরি ছিলো! আর হসপিটালে সকালে গিয়ে যেই দু’জন নার্সের কথা শুনেছিলি সেগুলো ও নাটক ছিলো! ”
” আপনি যে মিথ্যা বলছেন না তার গ্যারান্টি কী?”
তামিম ৪ মিনিটের আরেকটা ভিডিও অন করে। সেখানে দেখা যায় সেদিন হসপিটালে সুবহা যাদের কথা শুনে থমকে গিয়েছিলো, তামিমকে ভুল বুঝেছিলো, তারা আসলে সালমান হকের ভাতিজী! সুবহা তাদের মাক্স পড়া অবস্থায় চিনতে পারেনি।
সুবহা ছলছল নয়নে তাকায় তামিমের দিকে!
” আমি খারাপ মানুষ এটা আমি জানি সকাল! কিন্তু তোর খারাপ হোক এটা আমি চাইনি! তোর ভাই আমার ও ভাই! আর তুই এতিম না! আমি তোর অভিভাবক! যতদিন আমি জীবিত ততদিন তুই এতিম না!”
সুবহা কিছু না বলে শুধু তামিমের দিকে তাকিয়ে থাকে! তামিমকে সে এতো ভুল বুঝলো?
” আমার একটাই আফসোস! তোর বিশ্বাস অর্জন করতে পারলাম না! ভালো থাকিস সকাল! ‘
‘
তামিম সামনের দিকে পা বাড়ায়!! তারপর আবারো পিছনে ফিরে তাকায়!!
” কিছু মানুষ সারাজীবন আমাদের ভাগ্যে থাকে! কিন্তু নসিবে নয়!!”
সুবহা তামিমের কথার অর্থ বুঝতে পারে!!
” তুই সারাজীবন আমার মনে থাকবি, কিন্তু নসিবে নয়!”
তামিম নিজের কালো চশমা চোখে দিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সামনে হেটে যেতে থাকে!! আজকে তামিমের হাঁটার গতি বলে দিচ্ছে তার পা দুটো খুবই অচল! ছেলে মানুষ সহজে কাদে না! কিন্তু তামিমের কালো চশমার সাইট দিয়ে গড়িয়ে পড়া পানি সুবহার নজর এড়ায়নি!!
প্রায় ৫ মিনিট ধরে তামিম হেঁটে যেতে থাকে! তারপর তার হাতে টান পড়ে। তামিম নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে সুবহা চোখ ভর্তি পানি নিয়ে তার পিছনে হাত ধরে দাড়িয়ে আছে! তামিম খুব আস্তে করে সুবহার হাত সরিয়ে আবার ও সামনে যেতে থাকে। আর সুবহা ও অনাথ শিশুর মতো তামিমের পিছু পিছু যেতে থাকে!!
” তামিম!..
তামিম কোনো উত্তর দেয় না! বরং হেঁটেই যেতে থাকে! আর সুবহা ও বার বার তামিমের হাত ধরে যেতে থাকে!!
‘ তামিম প্লিজ!’
‘ তামিম…!’
‘ শোনো না প্লিজ!..’
” চলে যা পরী! তুই মুক্ত!”
” প্লিজ এই ভাবে বলো না!’
‘ শোনো না’
‘ তামিম’
সুবহা তামিমের পিছু পিছু যেতে থাকে তার নাম জবতে জবতে! কিন্তু তামিমের কোনো প্রতিক্রিয়া সে দেখে না! এক পর্যায়ে সুবহা কেঁদে উঠে!
‘ আই লাভ ইউ! ‘
‘ আই লাভ ইউ সো মাছ!’
তামিম এবার থামে। তারপর সুবহার হাত ধরে টান দিয়ে তাকে বুকো জড়িয়ে নেই!
‘ আই লাভ ইউ তামিম! ‘
” আমি কী তোমাকে জোড় করেছি?”
” নাহ! আমি স্বেচ্ছায় আপনার প্রেমে পড়েছি!”
” পরী?”
” হুম?”
” আই লাভ ইউ ইয়ার! তোকে অনেক ভালোবাসি আমি! তুই আমাকে ছেড়ে যাস না প্লিজ! বড্ড এলোমেলো হয়ে গেছিলো আমার জীবন! ”
সুবহা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তামিমকে! তামিম ও সুবহাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
” নাটকে তামিম ভাই সেরা রেরররর!”
পঞ্চ পান্ডব এসে হাজির হয় তামিম সুবহার ব্যক্তিগত মুহুর্তে!!
” তোগো কী জন্মই হয়ছে, আমার আর বউয়ের প্রিরিতে বাঁধা দেওয়ার জন্য?? ”
পঞ্চ পান্ডব মিটমিট করে হাসে। কিন্তু কিছু বলে না! কারণ আজকে খুশির দিন! তামিম যে তাদের তল দেশের সাল তুলবে না এটা ও তারা জানে!!
” ভাবিসাপ আপনে কইলাম আর যাইবার পারবেন না আমাগো থুইয়া!”
সুবহা নেড়ে সম্মতি দেয় আর যাবে!
” গেলে আমার গোল্ডেন চাপা’তি দিয়ে ওর মাথা আলাদা করবো না!”
” আর আপনার হাত কে’টে অন্য হাতে ধরিয়ে দিবো!”
সুবহার কাটকাট কথা শুনে তামিম আর তার পঞ্চ পান্ডব অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে!
” মাহির!”
” জ্বী ভাই!”
” খোঁজ লাগা এটা কার বউ!”
সুবহা সহ সকলে খুব জোড়ে জোড়ে হেসে উঠে!
” আমার ওমন শান্তি শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট বউটা এমন ডাইনিস্বর কবে থেকে হলো!”
সুবহাকে ডায়নি বলায় সুবহা তামিমের পায়ে খুব জোড়ে পারা দেয়! তামিম ও একটু লাফিয়ে উঠে!
” কিছু কইলেই মা’রে! ”
তামিমের কথায় আবারো সবাই হেঁসে উঠে। তামিম সরকার কোনো এক জনের সামনে যে ভেজা বেড়াল সেটা সহজেই বোঝা গেলো!!
তামিম সুবহা হাত ধরে হেঁটে সামনে যেতে থাকে! আর তাদের পিছু পিছু পঞ্চ পান্ডব আসতে থাকে!!
”সরি তামিম!”
” কেন লক্ষী?”
” অলক্ষীর মতো কাজ করলাম যে!”
তামিম দাড়িয়ে পড়ে! সাথে সুবহা আর তার পঞ্চ পান্ডব ও! তামিম রাগি দৃষ্টিতে পিছনে তাকায়!
” ধরতে গেলে সকাল তোমার আর আমার কোনো দোষ নাই! সব দোষ এই জাও’রা গুলার!”
তামিমের কথা শুনে পাচ জনই হতভম্বের মতো তাকিয়ে থাকে!!
” আমরা কী করলাম ভাই?”
” সেদিন যদি অক্সিজেনের আইডিয়া না দিতি তাহলে ওর কুটনি ফুফু না আমাদের মধ্যে আসতে পারতো আর না আমি বউ হারা হতাম!”
” ভাই আইডিয়া তো সাকিব্বাহর ছিলো ওরে ধরেন!”
তামিম হাতা উপরে উঠিয়ে যেই তাদের মা’রতে যাবে তখনই সুবহা হাত ধরে ফেলে!
” খবরদার, আমার ছেলেদের গায়ে আপনি হাত দিবেন না!”
পঞ্চ পান্ডবকে নিজের ছেলে বলায় তাদের চোখে পানি চলে আসে!! কারণ তারা পাঁচই ছিলো এতিম! কেউ কখনো তাদের নিজের ছেলে বলে ডাকেনি। তামিমই ছিলো তাদের বাবার মতো! বয়সে তামিম খুব বেশি বড় না হওয়ায় তারা সকলে ও তাকে ভাই বলে ডাকতো!
” আম্মা….!”
পাঁচ জনই হাত বাড়িয়ে অতি আবেগে সুবহাকে জড়িয়ে ধরতে যায়! তামিম তাদের মতিগতি বুঝতে পেরেই সামনে দু-হাত বাড়িয়ে দাড়িয়ে পড়ে!
” করস কী শা’লার ভাইরা, এইটা আমার বউ!”
” ভাই আপনে সরেন, এইটা আমাগো মা! আম্মা…..!”
” আরে সর! এই আমার বউ!”
” ভাই আপনে কইলাম মা-পোলার মাঝে আইতে পারেন না! আম্মা….!”
তামিম যতই তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা ততই সুবহার কাছে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়!
” ভাই আপনের নিচে বোম ফা’লামু, সরেন কইতাছি, মা গো…..!”
” আরেহহহহহ! এইটা আমার বউ!”
তামিম খুবই রেগে যায় তাদের অতি আবেগে। কিন্তু আজকে তামিমের রাগ আর তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না!!
” আচ্ছা দাড়া…! আগে আমি ধরমু! তারপর তোরা ধরবি!”
সকলে একসাথে মাথা নাড়িয়ে হা বলে…!
তামিম সুবহাকে জড়িয়ে ধরে! আর পঞ্চ পান্ডব তামিমকে! এভাবেই তারা তাদের মা’কে জড়িয়ে ধরে!!
কিছু ক্ষণ পর সকলে এসে জীপের সামনে দাড়ায়! যে যার মতো জায়গায় বসে পরে। আর সুবহা নিজ ইচ্ছে তে তামিমের কোলে!
এমপি তামিম সরকার পর্ব ৫৮
” ভাই কই যামু…?”
” ডেন্টিস এর কাছে..!”
সকলে তামিমের দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে!
” হঠাৎ ভাই?”
তামিম সুবহার দিকে তাকায়!
” এক থাপ্প’ড়ে তোগো মা আমার চাপার দাত নড়াইয়া দিছে! ”