তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২৩
তাবাস্সুম খাতুন
জিহান ওয়াশরুম থেকে বাহির হয়ে দেখলো রাত্রি তার বেডের উপরে বসে আছে। রাত্রি জিহান কে দেখে বললো,,,
“ভাইয়া এইযে আমি বলি কোন টা কার হাতের লেখা?”
জিহান রাত্রির পাশে এসে বসলো রাত্রি প্রথমে একটা লেখা দেখালো যেইটা সিমির। পরের লাইন টা জারার। তারপরের লাইন টা রাত্রির আর শেষ লাইন টা সামিয়ার। জিহান ভ্রু কুঁচকে লেখাগুলো দেখলো তারপর রাত্রি কে বললো,,,
“তুই খাতা রেখে নিজের রুমে যা। আমি তোকে পরে জানিয়ে দিবো।”
রাত্রি আচ্ছা বলে চলে গেলো। জিহান রুমের দরজা লাগিয়ে এসে। কাভার্ড থেকে সেই চিরকুট বাহির করলো। চিরকুট এর লেখার সাথে। জারা আর সামিয়ার হাতের লেখা মিলালো। চিরকুট এর লেখা আর সামিয়ার হাতের লেখা হবুহু এক। জিহান এইটা দেখে কিছুসময় বসে রইলো। তারপর সে ওই চিরকুট এর পিছনে লিখলো,,,
“মিস চিরকুটয়ালি আমার বউ হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকার জন্য। অভিনন্দন আপনাকে। সমস্যা নেই চিরকুটয়ালি আপনি একটু বেশি ক্যারক্যার করেন তাতে কি হয়েছে? আমার বউ হয়ে গেলে ভদ্র হয়ে যাবেন আমার মতো। So be carefull আমি কিন্তূ দিনের আঁধারেই তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে আমার বউ বানিয়ে ফেলবো। মিস চিরকুটয়ালি।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
চিরকুট এ লেখা শেষ করতেই জিহান একটা বাঁকা হাসি দিলো। চিরকুট টা সুন্দর করে ভাজ করলো। ডেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো হেয়ার ডায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিলো। এরপর রাত্রির রেখে যাওয়া খাতা আর চিরকুট টা নিয়ে জিহান রাত্রির রুমের দিকে গেলো। রাত্রির রুমে গিয়ে নক করতেই রাত্রি দরজা খুললো। জিহান খাতা টা রাত্রি কে দিয়ে বললো,,,,
“একটারও হাতের লেখা পছন্দ হয় নি আমার ছি কি বিচ্ছিরি।”
রাত্রি মুখ ভাঙিয়ে বললো,,,
“ঐখানে সিমির ও হাতের লেখা ছিলো। আমি নিশান ভাই কে বলে দেবো।”
জিহান নিজের রুমের দিকে রওনা দিতে দিতে বললো,,,,
“তো আমি ভয় পাই নাকি।”
বলে জিহান নিজের রুমে না ঢুকে সিমির রুমের কাছে গেলো। যাওয়ার সময় দেখলো সামিয়া বেডে বসে আছে ল্যাপটপ নিয়ে। জিহান দূরে দাঁড়িয়ে চিরকুট টা জোরে চেলে মারলো সামিয়ার গায়ে। যেইটা সামিয়ার কোলে পড়লো। এর মধ্যে জিহান নিজের রুমে ঢুকে গেছে। এইদিকে সামিয়া নিজের গায়ে কিছু পড়তে এইদিকে ঐদিকে তাকাতে লাগলো কই কেউ নেই তো। সামিয়া ভ্রু কুঁচকিয়ে চিরকুট টা খুললো। ওমা এইটা তো তার লেখা যেইটা সে জবেদার ভাতার কে দিয়েছিলো। ডেয়ার পড়াই। সামিয়া পিছনের পৃষ্টা তে দেখলো। জিহানের লেখা গুলো। সম্পূর্ণ পড়া শেষ করে সামিয়া অবাক হয়ে বললো,,,
“ও পোলা গো পোলা কি ডেঞ্জারেস পোলা মাইরি। হাইহাই কি হুমকি দিলো? আমাকে নাকি দিনের আলোয় বিয়ে করবে হোপ শালা বিয়ের ভূত তোকে গুলে গুলে খাওয়াবো শরবত বানিয়ে। ছি ছি আমার রুচি এতটা ও খারাপ না তোর মতো জবেদার ভাতার কে বিয়ে করবো ওয়াক।”
নিজে বলে আবার নিজেই ওয়াক তুলতে লাগলো সামিয়া। চিরকুট টা মুড়িয়ে মুড়িয়ে গোল পাকিয়ে টি টেবিলের উপরে রাখলো। ফুফির কাছে নালিশ দেবে সে। তার ছেলে ডেঞ্জারেস বহুত। যদি সত্যি বিয়ে করে ফেলে। সামিয়ার রাগ হচ্ছে ওই জবেদায় ভাতারের উপরে। সে ল্যাপটপ রেখে সোজা রাত্রির রুমে গেলো। রুমে ঢুকে জোরে দরজা লাগিয়ে দিলো। সামিয়া কে এমন করতে দেখে জারা বললো,,,,
“কিরে তোকে আবার কোন ভুতে ধরলো?”
সামিয়া রাগে ফুসতে ফুসতে বললো,,,
“ভূত না জবেদার ভাতার।”
রাত্রি বেডে বসলো জারা চোখ ছোট ছোট করে বললো,,,
“জবেদার ভাতার আবার তোর কি নিয়ে দৌড় দিলো?”
সামিয়া — “শালা জবেদার ভাতার আমাকে হুমকি দেই যেন আমি সাবধানে থাকি দিনের আলোয় আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। কি সাংঘাতিক ছি।”
রাত্রি চোখ বড়ো বড়ো করে বললো,,,
“কিহহহ ভাইয়া তোকে এই বলছে? ”
সামিয়া মাথা নাড়লো। জারা বললো,,,
“কি জন্য বললো এমন টা?”
সামিয়া — “আরে সেই ট্রুথ ডেয়ার খেলার সময় ওই রোজিনার বাচ্চা সিমি য্খন আমাকে ডেয়ার দিয়েছিলো না ওই জবেদার ভাতার কে চিরকুট লিখতে ঐটা পরে আমাকে রিটার্ন চিরকুট পাঠায়সে।”
জারা কপাল কুঁচকিয়ে বললো,,,
“আচ্ছা সে নাহয় মানলাম কিন্তূ ঐটা যে তোর লেখা চিরকুট বুজলো কিভাবে?”
সামিয়া নিজেও ভাবতে ভাবতে বললো,,,
“সত্যি আমার লেখা চিনলো কিভাবে?আমার লেখা তো ওই জীবনে দেখে নি?”
রাত্রি বলে উঠলো,,,
“ওওও এইবার বুজেছি তার মানে ভাইয়া এইজন্য আমার কাছে তোদের সবার হাতের লেখা চাইছে।”
জারা আর সামিয়া একসাথে বলে উঠলো,,,
“কিহহহ।”
রাত্রি সম্পূর্ণ বিষয় খুলে বললো। যা শুনে জারার হাসি লাগছে। এইদিকে সামিয়া রাত্রির উপরে গরম দেখিয়ে বললো,,,
“শালীর ঘরের শালী। তোকে কে বলেছে আমার হাতের লেখা তোর ওই গুণধর ভাই কে দেখাতে?শালী হারামি গাছে উঠিয়ে দিসো সবাই আমাকে হুউউউ।”
সামিয়ার কথা শুনে জারা আর রাত্রি উচ্চসরে হেসে উঠলো।ওদের হাসি দেখে সামিয়া রাগে ফুস ফুস করতে করতে সেই রুম থেকে বেড়িয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে বেডে চুপ করে শুয়ে রইলো। ভীষণ রাগ হচ্ছে। সিমি কে এখন হাতের কাছে পেলে পানি ছাড়া চিবিয়ে খেত ও। হুউউউ।
বিকাল পাঁচটা বেজে চার মিনিট। সিমি ঘুমিয়ে আছে। জিহান নিশানের রুমে নক করলো। নিশান ল্যাপটপ নিয়েই কাজ করছিলো। সে চোখ উঠিয়ে একবার সিমির দিকে তাকালো। তারপর উঠে সিমির কাছে গেলো সিমির পোশাক ঠিক করে গায়ে সুন্দর করে ব্লাঙ্কেট জড়িয়ে দিলো। নিশান গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে আবারো ডিভানে বসে ল্যাপটপ এ কাজ করতে লাগলো। জিহান রুমে ঢুকে দরজা টা আবার লাগিয়ে দিলো। জিহান নিশান কে ডাক দিলো,,,
“নিশান কই তুই?”
নিশান দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,
“শালা চুপ কর ইশু ঘুমাচ্ছে।”
জিহান মুখে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে নিশানের পাশে বসলো ফিসফিস করে বললো,,,,
“কি করছিস তুই এখন?”
নিশান — “অফিসের কাজ করছি।”
জিহান একটু সিরিয়াস হয়ে বললো,,,
“আমি বিয়ে করবো ভাই।”
নিশান স্বাভাবিক ভাবে ল্যাপটপ এর কীবোর্ড এ হাত চালাতে চালাতে বললো,,,
“তো কর।”
জিহান — “তোর হেল্প লাগবে?”
নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“বিয়ে করার সময় কবুল বলবি তুই? বিয়ের পরে বাসর করবি তুই? ভার্জিন নষ্ট হবে তোর? এইখানে আমার কিসের হেল্প লাগবে?”
জিহান একটু সিরিয়াস ভাবে বললো,,,
“আরে তুই যদি হেল্প না করিস ভাই আমি বউ হীনা অনাহারে মরবো। কর না একটু হেল্প।”
নিশান ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললো,,,
“আচ্ছা মেয়েটা কে?”
জিহান একটু গলা পরিষ্কার করে বললো,,
“ঐযে সামিয়া।”
নিশান ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“কোন সামিয়া?”
জিহান — “আরে সিমি, জারা এদের সাথে যেই মেয়েটা থাকে ওই মেয়েটা।”
জিহানের কথা শুনে নিশান কিছু বলবে তার আগে সিমি বেড এ শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসে বললো,,,
“সত্যি ভাইয়া তুমি সামিয়া কে বিয়ে করবেন?”
সিমির আচমকা কথা তে নিশান সহ জিহান দুইজনেই একটু ভড়কে গেলো। সিমির এমন রিয়েকশন দেখে নিশান এইবার ধমক দিয়ে বললো,,,
“বেয়াদব মেয়ে কানের নিচে দেবো দুইটা থাপ্পড়, বাঁদরের মতো এইভাবে লাফ দেওয়া।”
সিমি নিজের পোশাক ঠিক থাক করে নিশানদের কাছে এসে বসে নিশান কে বললো,,,
“আপনার থাপ্পড় গুলো আপনাকে ডেলিভারি করে দিলাম চুপ থাকুন।”
বলে সিমি জিহানের দিকে তাকিয়ে গালে হাত দিয়ে বললো,,,
“ভাইয়া তুমি বল, তুমি সত্যি সামিয়া কে বিয়ে করব?”
জিহান একটু আমতা আমতা করে বললো,,,
“ইয়ে মানে, ওই আর কি…!”
জিহান কে আমতা আমতা করতে দেখে সিমি আশ্বাস দিয়ে বললো,,,
“আরে ভাই আমি বাঘ ভাল্লুক না যে এইভাবে আমতা আমতা করবে, সোজাসুজি বলে ফেল।”
জিহান এইবার শান্ত কণ্ঠে বললো,,,
“না করার কি আছে? কত কাল আর বউ ছাড়া থাকবো?”
সিমি লাফিয়ে উঠে বললো,,,
“ভাইয়া গো ভাইয়া তোমার মুখ থেকে এইটা শুনে যে কি খুশি লাগছে কি বলবো।”
সিমির আবার লাফ দেওয়া দেখে নিশান আবারো ধমক দিয়ে বললো,,,
“ইশু এইবার কিন্তূ আমি তোকে সত্যি থাপ্পড় দেবো বারবার বাঁদরের মতো লাফিয়ে উঠছিস কেন?”
সিমি — “কারণ এইবার একটা বিয়ে খাবো, আমার বিয়ে তো আমি খেতে পারি নি। রাতে চুরি করে বিয়ে করছেন।”
নিশান সিমির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো,,,
“বিয়ে খাওয়ার শখ হচ্ছে তোর?”
সিমি — “হ্যা হ্যা অনেক? ”
নিশান — “ok done রাতে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে যাবো সব বিয়ে বাড়ির খাবার দিবো খেয়ে নিস্।”
সিমি চোখ মুখ কুঁচকিয়ে বললো,,,
“অমন খাবার আমার লাগবে না আপনি চুপ করে বসুন।”
তারপর সিমি জিহানের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“কবে বিয়ে করতে চাও?”
জিহান — “যাকে বিয়ে করবো সে কি রাজি আদাও?”
সিমি ভাব নিয়ে বললো,,,
“আমার উপরে ছেড়ে দাও, সামু কে রাজি করিয়ে একবারে তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার দায়িত্ব আমার। যাকে বলে ঘটকালি আমি তোমাদের প্রেমের ঘটক হবো।”
সিমির আজগুবি কথা শুনে নিশান বললো,,,
“বেয়াদব মাথায় কোন কমনসেন্স নেই। প্রেমের ঘটকালি করতে গিয়ে যদি তোর কিছু হয় ইশু? বিলিভ মি একদম মাডার করে ফেলবো আমি।”
বলে নিশান ল্যাপটপ বন্ধ করে গুছিয়ে রেখে ওয়াশরুমের ভিতরে ঢুকে গেলো সাওয়ার নিতে। নিশানের যাওয়ার পানে সিমি তাকিয়ে মুখ ভাঙালো। তারপর জিহান কে বললো,,,
“তুমি নি চিন্তায় থাকো। আমি সব ঠিক করে দেবো।”
জিহান একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো,,,
“বোন তো ভাই এর প্রেমে ঘটকালি করতেই পারে। পুরো বিশ্বাস আছে তোর উপরে। তুই আমার প্রেম করিয়েই দিবি।”
সিমি মাথা নাড়লো। জিহান সিমির থেকে বিদায় নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। জিহান বেড়িয়ে যেতেই সিমি বিড়বিড় করলো,,,
“জাস্ট আজকের রাত তারপর থেকে সামু তোমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার দায়িত্ব আমার। বাবা অনেক কাজ আমার। একটু রেস্ট নেই পরে যদি সময় না পাই।”
বলে সিমি বেডে গিয়ে হেলাম দিয়ে বসলো। নিশান পুরো পনেরো মিনিট পরে সাওয়ার নিয়ে বেরোলো কোমরে একটা সাদা টাওয়াল জড়ানো। নিশান কে ঐভাবে বাইরে আসতে দেখে। সিমির চোখ নিশানের দিকে যেতে সে ঐভাবেই হা করে তাকিয়ে রইলো। আগে সে চোখ বন্ধ করলেও চুরি করে দেখতো। আর এখন সরাসরি দেখছে। সিমি কে নিজের দিকে এইভাবে তাকাতে দেখে নিশান সিমির কাছে গেলো সিমির দুই পাশে হাত রেখে নিচু হয়ে বললো,,,
“কি দেখছিস?”
সিমি ঢোক গিলে বললো,,,
“আপনার ট্যাটু গুলো। কি সুন্দর লাগছে পানির ফোঁটা থাকাই।”
নিশান নিজের বুকের দিকে একবার তাকালো বাঁকা হেসে সিমির মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“শুধুই ট্যাটু দেখছিস?”
সিমি তাড়াতাড়ি বললো,,,
“সত্যি বলছি শুধু ট্যাটুই দেখছি আমি। আপনার লোম হীন প্রসস্ত বুক। পেট হাতের মাসাল এইসব কিছু দেখি নি আমি।”
নিশান ঠোঁট কামড়ে ধরে বললো,,,
“তো আমি কখন বললাম যে তুই আমার ঐসব দেখছিস?”
সিমি আমতা আমতা করতে লাগলো চোখ সরিয়ে নিলো। নিশান হাঁস্কি টোনে বললো,,,
“আমি কি দেখতে পারছি জানিস?”
সিমি — “কিহ?”
নিশান সিমির ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“তোর গোলাপি রং এর শুকনো ঠোঁট জোড়া।”
সিমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে নিলো। নিশান একটু নিচু হয়ে সিমির ঠোঁটে শব্দ করে চুমু খেলো। সিমির দুই গালে শব্দ করে চুমু খেলো। আর ঠিক সেই সময়ই জারা নক না করেই রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললো,,,
“ভাবিজান জানিস আজকে কি হয়েছে? তুই শুনলে হাসতে হাস….!”
বাকি কথা শেষ করার আগেই জারা দেখলো নিশান আর সিমি কাছাকাছি আছে। জারা দ্রুত চোখ বন্ধ করে বললো,,,
“আমি কিছু দেখি নি সরি ভাইয়া সরি ভাবি।”
নিশান সিমির কাছ থেকে উঠে কাভার্ড থেকে জামা পেন নিতে নিতে গম্ভীর কন্ঠে বললো,,,
“কারোর রুমে আসতে গেলে পারমিশন নিতে হয় জানিস না তুই?”
জারা মাথা নিচু করে বললো,,,
“সরি ভাইয়া আমি ভাবছি তুমি চলে গেছো তাই আর নক করি নি।”
নিশান কিছু বললো না ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। জারা মুচকি হাসতে হাসতে সিমির পাশে এসে বসলো। সিমি লজ্জায় মাথা নত করে আছে। জারা ফিসফিস করে বললো,,,
“কি হচ্ছিলো রে এইখানে?”
সিমি চোখ গরম করে বললো,,,
“যাই হোক তুই শুনে কি করবি?”
জারা — “আরে আমি তো তোর বান্ধবী বল না আমাকে কি হচ্ছিলো কিসিং নাকি?”
সিমি — “ডাক দিবো কি তোর ভাই কে? ডেকে বলবো কি যে তুই শুনতে চাচ্ছিস আসলে হয়েছে কি?”
জারা সিমির কাছে হাত জোর করে বললো,,,
“না আফা না থাক। আপনাকে আর মীরজাফর হতে হবে না। আমি কিছু জিজ্ঞাসা করছি না। তবে বিয়ে আমিও করবো। তখন তোকে দেখিয়ে দেখিয়ে জামাই এর কোলে উঠে রোমান্স করে বেড়াবো।”
সিমি — “আগে বিয়ে কর। তার আগে বল আজকে কি হয়েছে?”
জারা এইবার সব ঘটনা খুলে বললো। সামিয়ার চিরকুট এ জিহান যেই চিরকুট লিখছে সাথে। সামিয়ার রাগ সম্পর্কে। সবকিছু শুনে দুই বান্ধবী আবারো হাসি তে মেতে উঠলো। নিশান ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসতে জারা মুখে হাত দিলো সিমি ও তাই করলো। নিশান ভ্রু কুঁচকে তাঁদের দুইজনের দিকে একবার তাকিয়ে ডেসিং টেবিলে গিয়ে চুল গুলো সেট আপ করে টি টেবিল থেকে নিজের ফোন তুলে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে। নিশান চলে যেতেই সিমি হাসতে হাসতে বললো,,,
“যাই বলিস জবেদার ভাতার কিন্তূ আমাদের সামু কে ভালোই শিক্ষা দিসে।”
জারা — “হ্যা হ্যা এখন যদি সত্যি সত্যি ওদের বিয়ে দেওয়া যেত ভালোই লাগতো দুইজনের মানাবে সেই।”
জারার কথা শুনে সিমি একটু আগে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা বললো। যা শুনে জারা অবাক হয়ে বললো,,,
“সত্যি।”
সিমি মাথা নেড়ে বললো,,
তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ২২
“হ্যা এখন শুধু সামিয়া কে রাজি করাতে হবে।”
জারা — “সমস্যা নেই একসাথে লেগে থাকলে সফল দ্রুত হব।”