তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩১

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩১
অহনা আক্তার

গাড়ির কাছে আসতেই সেখানে ফারিশ কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে গেলো ফাইজা আর মুসকান। চারপাশ থেকে মাগরিবের আজানের ধ্বনি শুনা যাচ্ছে। আসোলেও খুব দেরি হয়ে গেছে। ফারিশ রেগে আছে কিনা বুঝা যাচ্ছে না। দু’জনেই ঢুক গিলে ভয়ে ভয়ে ফারিশের সামনে এসে দাঁড়াল। ফাইজা জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বলল,
— আরে ভাইয়া তুমি কখন এলে?
ফারিশ তীক্ষ্ণ চোখে তাকায় ফাইজার দিকে। ভাইয়ের চাহনি দেখেই গলা শুকিয়ে আসে ফাইজার। আর কিছু বলার সাহস হলো না।
পেন্টের দু পকেটে হাত রেখে নিঃশব্দে মুসকানের সামনে এসে দাঁড়াল ফারিশ। অতিশয় গভীর স্বরে বলল,

— স্বাধীনতাটা বোধহয় একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছি যার জন্য আমার ফোন ধরারও প্রয়োজন বোধ করছো না আজকাল।
মুসকান মাথা নুইয়ে ফেলল। ফাইজা নিচু আওয়াজে বলল,
— ভাইয়া ভাবির ফোন গাড়িতে ছিল এইজন্য ধরতে পারেনি।
— ওহ রিয়েলি! তা তোর ফোন তো তোর হাতেই দেখতে পারছি তুই ধরিস নি কেন?
ফাইজা আমতাআমতা করে বলল,
— আ..আসোলে ভাইয়া এখনতো বাড়িই চলে যাচ্ছিলাম তাই আর তোমার ফোন ধরিনি।
— আর একটা মিথ্যে বললে এখানেই থা*প্পড়িয়ে বেহুশ করে রেখে যাব বি’য়াদব। ড্রাইভার চাচা কে না জানিয়ে কোথায় গিয়েছিলি? (ধমকে)
ফাইজা কেঁপে উঠলো। সাথে মুসকানও। ফারিশ এবার মুসকানের উদ্দেশ্যে বলল,
— ফোন সাথে রাখতে বলেছিলাম না আমি? রাখোনি কেন? সন্ধ্যের আগে বাড়ি ফিরতে বলেছিলাম এখনো এখানে কি করছো?
মুসকান অনবরত ঘামছে। নিচের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— রেস্টুরেন্টে গিয়ে ছিলাম। গলা শুকিয়ে গিয়েছিল কো..কোল্ড কফি খেতে ইচ্ছে করছিলো।
— সেটা কি ড্রাইভার চাচাকে বলে যাওয়া যেত না? তোমাদের ফোনে না পেয়ে আমি ড্রাইভার চাচাকে কল করেছি। উনি বলল তোমাদের নাকি উনি খোঁজেই পাচ্ছেন না। (ফাইজার দিকে তাকিয়ে) আমার কলটা অন্তত একবার রিসিভ করে বলতে পারতি? তাহলে এতোটা উদ্বিগ্ন হয়ে এখানে আসা হতো না।
— ওহ ভয়ে আপনার ফোন তুলে নি। ভেবেছিল বকবেন। এখনও তো বকাই খাচ্ছে।
ফারিশ দীর্ঘশ্বাস ফেলল। পকেট থেকে টিশুর পেকেট বের করে সেখান থেকে একটা টিশু নিয়ে মুসকানের কপালের ঘাম মুছে দিতে দিতে বলল,

— ঘামছো কেন এতো? খারাপ লাগছে খুব? অন্যকিছু খাবে?
মুসকান মৃদু হেসে দুপাশে মাথা নাড়ল। ভিতরের অস্বস্তিটা মুখে প্রকাশ করলো না। ফারিশ পেকেট থেকে আরেকটা টিশু নিয়ে বোনের দিকে এগিয়ে গেল। ফাইজার কপালের, নাকের ঘাম মুছে দিয়ে বলল,
— খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। যা গিয়ে গাড়িতে বস। এমন কোনো কাজ আর করিস না যে কাজের জন্য আমাকে ভয় পেতে হয়।
ফাইজা মাথা নেড়ে দ্রুত গাড়িতে গিয়ে বসল। লম্বা করে শ্বাস নিয়ে আবার ফেলল। ভাইয়ার শেষ কথাটায় মনটা কেমন হঠাৎই উদাস হয়ে গেলো তার।

রাত বারোটা। ঘুমানোর জন্য বিছানা ঝেড়ে ঠিক করছিল মুসকান। ঠিক তখনই ওয়াশরুম থেকে ফারিশ বের হয়ে আসে। এই রাতের বেলায় সাওয়ার নিয়েছে সে। মুসকান আর ফাইজা কে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফারিশ আবার চলে গিয়েছিল। ফিরেছে ঘামে জবজবে হয়ে। মুসকান খাবার বাড়ার জন্য যেতে নিলে ফারিশ খেয়ে এসেছি বলে বাঁধা দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ফারিশ প্রায় সময়ই এমন বাইরে থেকে খেয়ে আসে। কখনো কখনো বন্ধুদের সাথে খেয়ে আসে তো কখনো কখনো যে কাজ করে সে কাজের সঙ্গীদের সাথে বা কখনো কোনো সুনামধন্য লোকদের সাথে। আবার কখনো বিভিন্ন পার্টির ইনভাইটেশন থেকেও রাতের ডিনার করে আসে ফারিশ। যার জন্য মুসকান আর খাবার বাড়তে গেলো না। চুপচাপ বিছানা গোছাতে লাগল। কুঁচকানো বিছানা বা অপরিষ্কার কোনো কিছু ফারিশ দেখতে পারে না। যে কারণে মুসকান সব আগেভাগেই পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করে গুছিয়ে রাখে। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আগে নিজের ফোন হাতে নিল ফারিশ। খালি বডি পরনে শুধু ধুসর রঙা টাউজার। চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে অথচ গলায় টাওয়াল জুলিয়ে রেখেও চুল না মুছে ফোন দেখছে।

মুসকান কোমরে দু হাত চেপে কপাল অন্ধকার করে ফারিশের সামনে এসে দাঁড়াল। ফারিশের কোনো ভাবাবেগ না দেখে সে নিজেই ফারিশকে কে টেনে বিছানায় বসিয়ে গলা থেকে টাওয়াল নিয়ে চুল মুছতে লাগল। ফারিশ ফোনে চোখ রেখে মুচকি হাসে। মুসকান রেগে বলল,
— একেতো এই রাতের বেলায় সাওয়ার নিয়েছেন। তারপর আবার চুল না মুছেই ফোনের ভিতর ঢুকে যাচ্ছেন। এখন আবার মিটিমিটি হাসছেন। ঠান্ডা লাগার ভয় নেই?
ফারিশ মুসকানের কোমর ধরে হালকা একটু টান দিয়ে নিজের কাছে এনে বলল,
— তুমি থাকতে ঠান্ডা লাগবে কেন? তুমি আছো না! এই যে কতো সুন্দর করে চুল মুছে দিচ্ছ।
মুসকান ফারিশের কাঁধে কিল বসাল তাকে ছাড়ার জন্য। ব্যথা না পেয়েও ফারিশ ব্যথার অভিনয় করল,

— আওচচচ..
মুসকান ভেঙচি কেটে বলল,
— শুধু ফা’জলামো।
ফারিশ এবার প্রশস্ত হাসল,
— কালকে যে রেজাল্ট মনে আছে মেডাম?
মুসকান উদাস হয়ে বলল,
— কেন মনে করাচ্ছেন? আমার টেনশন হচ্ছে। আচ্ছা সবসময় দু মাসের ভিতরে রেজাল্ট দিয়ে দেয়। এবার এতো লেট করল কেন?
ফারিশ দুষ্ট কণ্ঠে বলল,

— তোমাদের টেনশন বাড়ানোর জন্য।
— ধুরর, সবসময় দুষ্টুমি।
টাওয়াল রেখে ফারিশের দিকে একটা টিশার্ট বাড়িয়ে দিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল মুসকান।
ফারিশও রুমের লাইট বন্ধ করে এসে মুসকানের পাশে শুয়ে তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
— এতো চিন্তা করছো কেন? তোমার রেজাল্ট অবশ্যই ভালো হবে।
মুসকান উল্টো ঘুরে শুয়ে ছিলো। ফারিশের গলা শুনে তার দিকে ঘুরে তার বুকে ঘাপটি মেরে শুয়ে বলল,
— তবুও আমার খুব টেনশন হচ্ছে। যদি খারাপ হয়।
ফারিশ মৃদু হেসে মুসকানের চুলে হাত বুলাতে লাগল। আশ্বাস দিল,
— ভালো হবে। নিশ্চিন্তে ঘুমাও। খারাপ হলেও সমস্যা নেই। রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দেয়ার ভয় থাকবে না। নিজের স্বামীর বাড়িতেই আছো….
মুসকান আবারো ফারিশের বুকে হালকা করে কিল বসাল। ‘ অসভ্য লোক ‘

সকাল থেকে সোফায় বসে টিভি লাগিয়ে রেখেছে ফাইজা আর মুসকান। দু জনেই যথেষ্ট চিন্তিত। সকালের নাস্তাও করেনি এখনো। তাজমহল খাওয়ার জন্য বেশ কিছুক্ষণ জোরাজোরি করে রান্না ঘরে চলে গেলেন। মুসকানের থেকেও আজ ফাইজা বেশি চিন্তিত। টিভির দিকে তাকিয়ে টেনশনে সমানে নখ কামড়িয়ে যাচ্ছে সে। রেজাল্ট তার ভালো হবে না এটা ভালো করেই ধারণা করতে পারছে। একটা এক্সামও ভালো দেয়নি সে। এক্সামের সময়টায় নতুন নতুন রিশাদের প্রেমের ভুত চেপে ছিলো ফাইজার মাথায়। প্রেমের সাগরে ভাসতে ভাসতে কখন যে পড়া থেকে মনযোগ কমে গিয়েছে বুঝতেই পারেনি। যার ফলে এক্সাম গুলোও ভালো দেয়নি। মনে মনে দোয়া দুরুদ পড়ছে প্লাস টা যেন মিস না হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেজাল্ট হস্তান্তর করা হয়েছে। এবছর ফেইলের সংখ্যা বেশি আর প্লাসের সংখ্যাও কম। সেই থেকে ফাইজার টেনশন বেড়ে দ্বিগুণ। ফারিশ নিজের ল্যাপটপ নিয়ে এসে বোন আর বউয়ের মাঝখানে বসে পড়ল। এরশাদ তালুকদার, জিন্নাত, তানিয়া সকলেই ফোন দিয়ে কথা বলেছে তাদের সাথে। টেনশন করতে একদম মানা করেছে । ওরা দুজনেই স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো। রেজাল্ট নিশ্চয়ই ভালো হবে।
মুসকানের এডমিট কার্ড হাতে নিয়ে ল্যাপটপে রেজাল্ট বের করার চেষ্টা করছে ফারিশ। মুসকান টেনশনে ফারিশের কোমরের অংশের টিশার্ট মুঠোয় ভরে রেখেছে। এদিকে ফাইজাও টেনশনে বারবার কপালের ঘাম মুছছে। জহির তালুকদার আজ বাড়ি থেকে বের হননি। মেয়েদের রেজাল্ট জানার ইচ্ছায় সামনের সোফায় বসে গভীর আগ্রহ নিয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। টিভিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে রেজাল্ট পাওয়ার আনন্দ উপভোগ করছে। ল্যাপটপের স্কিনে মুসকানের রেজাল্ট সো করতেই ফারিশের ঠোঁটে অম্লান হাসির দেখা মিলে। প্রফুল্ল কণ্ঠে মুসকানকে ডেকে বলে,

— মুসকান স্কিনে তাকাও।
চোখ ঘুরিয়ে রেখেছিল মুসকান। ফারিশের কথায় স্কিনে তাকাতেই খুশিতে চকচক করে উঠে। একপ্রকার লাফিয়ে সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সশব্দে চেঁচিয়ে বলে,
— বড়চাচ্চুওওও,,,, আমি প্লাস পেয়ে গেছি !!
চওড়া হেসে সোফা থেকে উঠে আসেন জহির। মুসকানের মাথায় হাত রেখে আহ্লাদী সুরে বলেন,
— ভালো করেছো মা।
রান্নাঘর থেকে ছুটে বেড়িয়ে এসেছে তাজমহল। মুসকানের খুশিতে নিজেও সামিল হয়ে তার কপালে চুমু দিয়ে বলেন,

— খুব ভালো রেজাল্ট করেছো তুমি। হ্যা রে ফাইজার রেজাল্টের কি খবর? (ফারিশকে উদ্দেশ্য করে)
— দেখছি। ওরটা আস্তে সময় লাগছে..
মুসকান গিয়ে ফাইজার পাশে বসে ওর হাতের উপর হাত রেখে বলল,
— তোমার টাও ভালো হবে। চিন্তা করো না।
ফাইজা নিজের ঠান্ডা হাত দিয়ে মুসকানের হাত চেপে ধরল,
— আমার খুব ভয় করছে ভাবি।
ল্যাপটপের স্কিনে ফাইজার রেজাল্ট আসতেই ফারিশের চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে গেলো। হয়তো ভুল হয়েছে ভেবে পুনরায় আবার ট্রাই করল। পরপর একই রেজাল্ট আসতে দেখে চমকে ফাইজার দিকে তাকালো। ভাইকে এভাবে নিজের দিকে তাকাতে দেখে ফাইজা চিন্তিত স্বরে বলল,

— কি হয়েছে ভাইয়া?
ফারিশ গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
— তোর প্লাস মিস হয় কি করে?
জহির তালুকদার অবাক হয়ে বললেন,
— কি বলছো? আমার মেয়ে যথেষ্ট ভালো স্টুডেন্ট। ওর প্লাস মিস হতেই পারে না।
তাজমহলও সুর মেলালেন,
— হ্যা তাইতো। ফাইজাতো মুসকানের থেকেও লেখা পড়ায় ভালো!
ফারিশের ধারাল কণ্ঠ,
— এতো ভালো হলে ওরতো গোল্ডেন আসার কথা। সেই জায়গায় প্লাসই আসেনি।
— অসম্ভব। (জহির)

— বিশ্বাস না হলে নিজেই দেখে নিন। তিনবার ট্রাই করেছি। প্রতিবার একই ফল এসেছে।
ফাইজা এবার ফুপিয়ে উঠলো। ধীরে ধীরে কান্নার স্বর বাড়তে লাগল। জহির তালুকদার এবার নিজে বসলেন ছেলের পাশে। ল্যাপটপ নিজের দিকে ঘুরিয়ে তীক্ষ্ণ নজর বুলাতে লাগলেন। নিজেও একবার ট্রাই করে দেখলেন। স্পষ্ট লিখা উঠছে জিপিএ 4.93। মনটা খারাপ হয়ে গেলো জহির তালুকদারের। বন্ধু বান্ধব সবাই জানে মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তারা অনেকেই ফোন দিয়ে রেজাল্ট জানতে চাইবে। মিষ্টি খেতে চাইবে। উনি তো আশাই করে ফেলেছেন মেয়ে হয়তো গোল্ডেন পেয়ে বসেছে…

এরশাদ তালুকদার ফোন করেছেন। তাজমহল তুলেন। মুসকানের রেজাল্ট জানার পর ফাইজার টা জানতে চাইলেন। লজ্জায় বলতে না চেয়েও বলতে হলো। সবাই অবাক হলেন। সান্ত্বনা দিলেন সাথে খুশিও হলেন খারাপ করেনি যথেষ্ট ভালো করেছে। তবে আরেকটু ভালো করলে আরো ভালো হতো। প্লাসটা মিস যেত না।
ফাইজা জোরে জোরে কাঁদছে। মুসকান পিঠে হাত বুলাচ্ছে। কাঁদতে বারণ করছে। কিন্তু ফাইজার কান্না বন্ধ হচ্ছে না। আবারও ফোন আসল। তানিয়া ফোন করেছে। এবারও তাজমহল তুলল। একটু পর আবার জিন্নাত ফোন করল। তাজমহলের এবার আর ফোনই তুলতে ইচ্ছে করছে না। জহিরের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

— এই নিন। এবার আপনি কথা বলেন। লজ্জা করছে আমার। এক মেয়ে রান্নাবান্না, ঘর সংসার, সব সামলিয়েও প্লাস তুলে ফেলতে পারে আর অন্যজন সারাদিন শুয়ে বসে আরাম করেও প্লাস আনতে পারে না। এইসব কিছু আপনার জন্য হয়েছে। না করেছিলাম হাতে ফোন দিতে। আমার ছেলেটাও নিষেধ করেছিল। কলেজে উঠে নি এখনই কিসের ফোন। কিন্তু আপনি শুনেন নি। আপনার তো উদার মন। মেয়ের আবদার না রেখে থাকতেই পারেন না। এবার হলো তো। সারাক্ষণ ওই যন্ত্র নিয়ে চিপকে থেকে রেজাল্ট টা খারাপ করল। ওই ফোনই যত নষ্টের মূল। এই ফোন কোথায় তোর? দে ফোন দে বলছি। ফাইজার হাত থেকে থাবা মেরে ফোন নিয়ে নিল তাজমহল। বিয়েই দিয়ে দিব তোকে। শশুর বাড়ি গিয়ে মনযোগ দিয়ে সংসার করিস। একদিকে বাচ্চা কাচ্চা পালবি অন্য দিকে সংসারের কাজকর্ম করবি। তাহলেই শিক্ষা হবে। পড়ালেখা আর করার দরকার নেই।
মায়ের কথায় ফাইজা এবার আরো জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। জহির রাগি সুরে বলল,

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩০

— আহ তাজমহল হচ্ছে টা কি? আমার মেয়ে যথেষ্ট ভালো রেজাল্ট করেছে। থামো তুমি?
— এই আপনার লাই পেয়েই ওহ কারো কথা শুনে না। যা ইচ্ছে তাই করেন। আমি আর কিছু বলবো না।
রাগে গটগট করে রান্না ঘরে চলে গেলেন তাজমহল। সাথে করে ফাইজার ফোন নিয়ে যেতেও ভুললেন না । মেয়ের পরিবর্তন উনারও চোখে পরেছে বেশ। এবার দেখবে ফোন কি করে চালায়। কলেজে পড়া শেষ না হওয়া অবধি এই ফোন আর দিবেন না উনি। সে উনাকে যতোই জোর করুক না কেন…

তোমার মুগ্ধতায় পর্ব ৩২