এমপি তামিম সরকার পর্ব ৭০
কাফাতুন নেছা কবিতা
” কথা কম কাজ বেশি! ”
” মানে?”
” ১৯/২০!”
” তামিম না! ”
” হ্যাঁ!”
” তাম…!”
সুবহাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তামিম মত্ত হতে থাকে সুবহার মাঝে! প্রায় সারারাত ধরেই চলতে থাকে তামিমের অ’ত্যাচার! সুবহা বাঁধা দিয়ে ও তামিমকে আটকাতে পারে না!
সারা রাত সুবহাকে বিরক্ত করার পর একটু দেরি করে ঘুম ভাঙে তামিম আর সুবহার! সুবহা তামিমকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকে! তামিমের ঘুম ভাঙ্গে অনেক ক্ষণ আগেই! কিন্তু ঘুমন্ত সুবহাকে দেখে আর ডাকে না তামিম! সারা রাত তামিম সুবহাকে এতোটাই জালাতন করে যে শেষ রাতে সুবহা বাধ্য হয়ে কাবাডে লুকিয়ে পড়ে!
” সুবহা…! মাই লাভ, মাই পরী! এভাবে দুষ্টুমি করো না, প্লিজ বাইরে আসো… ড্যাডি নিডস ইউ!”
” নো…..!”
” প্লিজ.. মাই বেইবি গার্ল! ”
” আসবো না আমি! আপনি কলিকাতা হারবাল খেয়েছেন!”
” আমি তিন অব্দি গুনবো..!”
” গুনতে থাকুন! আসবো না আমি…!”
”এক…দুই….তি..!”
তামিম তিন বলার আগেই সুবহা কাবাডের লক খুলে দেয়! আর তামিম সুবহার হাত ধরে এক টান দিয়ে খুব শক্ত করে সুবহার কোমর জা’প্টে ধরে!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
” এতো পালিয়ে বেড়াও কেন সকাল? ভালোবাসতে ইচ্ছে করে তো!”
” আপনি ভালোবাসেন কম,, কষ্ট দেন বেশি! ”
” তামিম সরকার ভালোবাসবে, আর তুমি কষ্ট পাবে না এটা তো পসিবল না বেবি!”
” আই হেট ইউ ”
” আই লাভ ইউ টু! ”
তামিম কাবাডের সাথে চেপে ধরে সুবহাকে! সুবহার নিঃশ্বাস উঠা_নামা করতে থাকে! এমনিতেই তামিম সুবহার ১২ টা বাজিয়ে রেখেছে! তাও যেনো মন ভরছে না তার! রাত প্রায় শেষের দিকে তাও তামিম সেই একই মুডে আছে!
” কেন যে টি’জ করতে গিয়েছিলাম!”
” সেটা আগে ভাবা উচিত ছিলো জান! আপনি সিডি’উস করেছেন, আর আমি মুডে চলে এসেছি! নাও হ্যান্ডেল মি বেইবি!”
” আই কা’ন্ট তামিম! প্লিজ ছেড়ে দিন এবার!”
” পসিবল না! ”
” তাম…!”
সুবহার মুখের কথা আর বাইরে আসলো না! তার আগেই তামিম আবার ও মুডে চলে আসলো! দখল করে নিলো সুবহার ওষ্ঠ যুগল! একহাতে শক্ত করে সুবহার হাত দুটো ধরে রেখেছে আর এক হাতে সুবহার কোমর!
বেশ অনেক ক্ষণ পর তামিম সুবহার ওষ্ঠ যুগল ছেড়ে একটু একটু করে পুরো গলায় চু’মু দিতে থাকে! চোখ বন্ধ করে ফেলে সুবহা! তামিমকে আটকানো তার দ্বারা সম্ভব নয়!
সুবহা চুপচাপ সহ্য করতে থাকে তামিমের পাগলামো!
খুব জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে! সুবহার নিঃশ্বাসে তামিম আরো মত্ত হতে থাকে সুবহার মাঝে!
রাতের শেষে তামিম শান্ত হয়! চুপচাপ সুবহাকে ধরে শুয়ে থাকে!
দু’জনের মুখে কোনো কথা নেই! সুবহা তো রাগে ফুলতে থাকে! তামিম সুবহার এই রাগান্বিত মুখমণ্ডল দেখে ইচ্ছে করে সুবহাকে টি’জ করতে থাকে!
” যাই বলো কুদরতি পানির কামাল আছে, তোমার গাল কেমন লাল হয়ে গেছে, তাও আটা_ময়দা ছাড়া!”
সুবহা রাগে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেই!
” ও জান!”
” হুম!”
” তুমি, জানো, তামিম সরকারের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র! ”
” হ্যা ভাই! সেই জন্যই বউ হসপিটালে যায়!”
” দিন দিন তুমি আমার মতো ঘা:ড় ত্যাড়া হয়ে যাচ্ছো না!”
” সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে!”
” হ্যাঁ?”
” আপনার দোষে আমি ভাসতাছি!”
তামিম সুবহার কোমর ধরে তাকে নিজের উপরে নিয়ে নেই!
” কী করছেন তামিম? ”
” তোমাকে আর একটু দোষে ভাসাচ্ছি! ”
” কু’ত্তা, বিলায়, বান্দর!”
” আই এম ইউর পারসোনাল ডগ বেবি!”
” ছি: তামিম!”
” আই লাভ ইউ পরী!”
” আই হেট ইউ! ”
তামিম খুব শক্ত করে সুবহার কোমর ধরে রাখে! তাকে নড়াচড়া করার মতো ও স্পেস দেয় না! সুবহা পরথমে অনেক নড়াচড়া করে তারপর শান্ত হয়ে তামিমের বুকেই শুয়ে পড়ে! তামিম ও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়!
–সকালবেলা–
তামিম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সুবহার দিকে! তারপর সুবহার কপালে চু’মু দেয়!
” একটা মানুষ তার বউকে কতটা কুনজরে দেখতে পারে এটা নিজেকে না দেখলে বুঝতামই না!”
” তাই বলি মুখে পিম্পল কেন বের হচ্ছে! ”
সুবহা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে তামিমের দিকে!
” মানুষ ঠিকই বলে, বন্দু:কের গু’লি আর স্বামীর বলি নারী জাতি কখনোই মিস করে না! ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হলে ও শুনে!”
” স্বামী এতো শয়তান হলে করনীয় কী?”
” আমি শয়তান?”
” না তার নানা!”
” সুবহার বাচ্চা! ”
তামিম সুবহাকে সুরসুরি দিতে থাকে! আর সুবহা তামিমকে থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়! কিন্তু কোনো লাভ হয় না!
” ইতিহাস স্বাক্ষী থাকবে তামিম সরকার! ”
” কীসের? ”
” বউ অসুস্থ থাকার পর ও ১৯/২০ করতে ভুলেনি তামিম সরকার! ”
তামিম চোখ বন্ধ করে উপরে তাকায়!
” হে খোদা! কী জিনিস পাঠাইছো জীবনে, কথায় কথায় স্বামীকে অপমান করে, টিভি সিরিয়ালের নাইকাদের মতো!”
” জীবন মানে জী বাংলা!”
” শা’লার! ”
” জিন্দেগী!”
সুবহা খুব জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে তামিমকে রাগিয়ে!
” বুঝছি রাতের ডোজ কম হয়ে গেছে! ”
সুবহা একদম চুপসে যায়! আর কোনো কথা বলে না! তামিম যদি আবার মুডে চলে আসে তাহলে মুশকিল! আজকে আর ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না তার! তামিম সুবহার চুপসে যাওয়া দেখে বুঝে যায় ঔষধ কাজে দিয়েছে! অবশেষে তার বউকে চুপ করাতে পেরেছে!
তামিম উঠে সুবহাকে নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে যায়!
বাথটাবে সুবহা তামিমের কোলে চুপচাপ বসে থাকে!
” তামিম! ”
” জ্বি পরী! ”
” একটা কথা জিজ্ঞেস করলে রাগ করবেন? ”
” তোমার ক্ষেত্রে আমার রাগ আসে না পরী!”
” সেদিন রাতে কী আমি ডার্ক রোমান্সের জন্যই হসপিটালে এডমিট হয়েছিলাম?”
” হুম!”
” তাহলে আজ কেন হলাম না?”
এমপি তামিম সরকার পর্ব ৬৯
” হলে খুশি হবা?”
” নাহ! নাহ! এমনি বলছিলাম! ”
” তুমি চাইলে আমি এখনই তোমাকে হসপিটালে পাঠাতে পারি!”
” তামিম! সরুন! আমার গোসল হয়ে গেছে! ”
” আমার হয়নি!”
