ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ৩০
মাহিরা ইসলাম মাহী
“তুমি কাউকে ভালোবাসো না আপু?”
নাওমীর হঠাৎ প্রশ্নে মাহরিসার চমকে উঠে।
আজ আকাশে চাঁদমামার অস্তিত্ব নেই। কেমন গুমোট অন্ধকারে চারপাশ আচ্ছন্ন।
রুমের ভেতর প্রচন্ড গরম থাকায় মাহরিসা ছাঁদে এসেছে। নাওমী নিজেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছাঁদেই বসেছিল চেয়ার পেতে।
দুজনে গল্প করছিলো জমিয়ে।তার মাঝেই নাওমীর হঠাৎ প্রশ্নে মাহরিসা থমকে যায়।
মাহরিসা সেই বাল্যকাল থেকে যুবতীতে পরিণত হওয়ার মাঝে নিজের অনুভূতি গুলোকে পুনরায় অনুভব করার চেষ্টা করে ।
প্রত্যেক মানুষের অতীতেই থাকে সুখ দুঃখের সংমিশ্রণ। তার জীবনেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়।
আচ্ছা মাহরিসা কাউকে ভালোবাসে? কাকে? আদ্রিত কে? আসলেই?
আদ্রিত যখন বিদেশ গেল মাহরিসার বড্ড কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলার সাহস পায় নি। বলতে গেলে তার সে বয়স হয় ওও নি।এক নতুন অনুভুতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল সে।বুকের মাঝে এক সুক্ষ্ম ব্যথা অনুভব করেছিল সে।সময়ের সাথে সাথে তা আবার বিলীন ওও হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু তার আদু ভাই দেশে ফিরে আসার পরে পুনরায় আন্দোলন শুরু করেছিল তার মাঝে।
সেদিন যখন সবাই বের হয়ে গেল।
আদ্রিত কে সে প্রশ্ন করেছিল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমায় ভালোবাসেন আদ্রিত ভাই? কেন বিয়ে করতে চাইছেন আমায়। যে আমায় ভালোবাসে না তাকে আমি বিয়ে করবো না।
মাহরিসার মুখশ্রী তখন আদ্রিতের হাতের কব্জায়।
আদ্রিত শুধু তার কপালে কপাল ঠেকিয়ে ফিসফিস করে বলেছিল।
“ জানিনা,বিশ্বাস কর মেরিগোল্ড। একটা সুযোগ দে, কথা দিচ্ছি তোকে ভালোবাসার চাদরে আগলে রাখবো।”
মাহরিসা কি হয়েছিল কে জানে।হয়তো সেদিন আদ্রিতের কথায় সে এক অদৃশ্য ভরসা পেয়েছিলো।কোনো এক ঘোরে সে নিজের মাথাটা আদ্রিতের বুকের উপর রেখেছিলো। তার আদু ভাইয়ের হৃদস্পন্দন শ্রবণ হতেই সে শান্ত হয়ে গিয়েছিল।
“ আপুউউ।”
নাওমীর ডাকে মাহরিসার ভাবনার ছেদ ঘটে।
মাহরিসা শুষ্ক ঢোক গিলে।
সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে নাওমী হয় তো কিছু আঁচ করতে পেরেছে।
নয়তো সকালে ঘড়িটা আদ্রিতের হাতে দিয়ে দুজনকে চমকে দিতো না।
তখনকার মতন আদ্রিত কোনো রকমে পার হলেও সে তো আর পার হতে পারবে না।
সকালে কাছে মা ছিল অতঃপর সে কলেজে যাওয়ার দরুণ প্রশ্ন গুলো জমা ছিলো।
এখন করার পালা।
মাহরিসা হেসে বলল,
“ তোমার কি মনে হয় নাওমী?”
নাওমী প্রশ্নটা করেও পড়লো বিপাকে।
দাঁত কেলিয়ে হেসে চতুরতার সহিত বলল,
“ আমি যদি ভুল না হই তবে আদ্রিত ভাইয়া…”
“ শুনো নাওমী তোমার আদ্রিত ভাইয়াকে আমি ওই ভালোটালো মোটেও বাসি না।তোমার আদ্রিত ভাইয়া আমায় জোড় করে কবুল বলিয়ে বিয়ে করেছে।”
নাওমী হতভম্ব বদনে চোখ বড় বড় করে চেয়ে।
এতটাও সে আশা করেনি। ডিরেক্ট বিয়ে?
“ এই দেখ ঠিক এই গালটাতে থাপ্পড় মেরেছিলো কষিয়ে। টেকনিক খাটিয়েও কাজ হয়নি। উল্টো থাপ্পড় খেতে হয়েছে বিশাল জোরে। “
এবারে নাওমীর ভীমড়ি খাওয়ার পালা।
প্রচন্ড বিস্ময়ে সে বাকরুদ্ধ।
“ তাই বলে সোজা থাপ্পড়? ভাইয়া তো পুরাই আগুন। আগে বললে তোমার নিয়েতে আমি সাক্ষী হতাম আপুমনিইই।এমন আশ্চর্যের বিয়ের সাক্ষী হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করতাম গো।”
“ আগুন না ছাঁই, অসভ্য ডাক্তার । “
নাওমী মিটমিটিয়ে হাসে।
ফিসফিস মাহরিসার কানে কানে বলল,
“ অসভ্য বলেই বুঝি তোমায় রাতে আদর সোহাগ করতে আসে? উমম ব্যাপারটা মোটেও খারাপ না কিন্তু আপুমনি।”
মাহরিসা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে চায়।
“ ছিঃ, অসভ্য মেয়ে।”
মাহরিসা দু গাল লজ্জায় লাল হয়।
“ অসভ্য মেয়ে বলছো কি গো।আমি কিন্তু দেখে ফেলেছি তোমার অসভ্য ডাক্তার কে গাছ বেয়ে নামতে।ওত হ্যানত্যান করে আমার কাছে লাভ নেই গো।”
মাহরিসা আরো বেশি লজ্জা পায়।
ছিঃ শেষ পর্যন্ত তার চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েটার থেকে তার লজ্জা পেতে হচ্ছে। সব হচ্ছে তার বদমাশ আদু ভাইয়ের জন্য। কি হলো কাল এসে।সব খানে তার পেস্টিজ পান্চার করে দিয়ে গেল।
নাওমী মাহরিসাকে লজ্জা পেতে দেখে কথা কাটাতে অন্য টপিক তুললো।
“ আচ্ছা ওসব বাদ দাও।তোমরা কি ছোট থেকে পরিচিত ছিলে আপু?”
মাহরিসা মাথা নাড়ে।
“ হুম।শুধু পরিচিত ছিলাম না।লোকটার কারণে সারাক্ষণ কাঁদতে হতো আমায়।”
নাওমী শব্দ করে হেসে দিলো।
“ আচ্ছা এই মারু আপু তোমাদের ছোট বেলার কাহিনী শোনাও না আমায়।
নাওমী উৎসাহের সহিত আবদার করে।সে থুতমায় হাত ঠেকিয়ে বসে।ভীষণ উৎসাহিত দেখাচ্ছে তাকে।
মাহরিসা নিজেও বলতে লাগে,
“ শুনো নাওমী আমার বাবার তিন বন্ধু। সুজন, নিস্তব্ধ আর সৃজন আঙ্কেল।আদ্রিত ভাইকে দেখছো? সে আমার সম্পর্কে মামার ছেলে হলেও বাবা আর নিস্তব্ধ আঙ্কেল বন্ধু। “
নিস্তব্ধ নামটা শুনতেই নাওমী ক্ষণপল থমকায়।
শৈশবে মায়ের মুখে বহুবার নামটা উচ্চারিত হতে শুনেছে সে। তার জানতে বড় ইচ্ছা জাগতো কে এই নিস্তব্ধ ইয়াসার?
“ তুমি বোধহয় চিনবে নাওমী তোমাদের ভার্সিটিতেই তো পড়ে নিস্তব্ধতা আপু।”
“ নিস্তব্ধতা আপু? “
“ হ্যাঁ চিনতে পেরেছ?”
নাওমী মাথা চুলকায়।
“ চিনেছি বোধহয় একটু একটু।”
“ আদ্রিত ভাই আর নিস্তব্ধতা আপু দুজনে যমজ ভাইবোন বুঝলে।”
“ তাই নাকি। বলো কি?”
“ হ্যাঁ। কাশফি আর সাদাফ ভাইয়া দুজনে ভাইবোন।”
“ কাশফি?”
“ হ্যাঁ তো,সুজন আঙ্কেলের মেয়ে।”
“ তার মানে তোমরা সকলে ছোট থেকে পরিচিত?”
“ হ্যাঁ।”
“ তার মানে তুমি বলতে চাইছো নীবিড় ভাইয়া আর কাশফি পূর্ব পরিচিত তাইতো?”
নাওমী অবাক হয়ে প্রশ্ন করে কই কাশফি তো কখনো সে কথা তাকে আর অদিতিকে জানায় নি। ইনফ্যাক্ট সাদাফ ভাইয়া যে ওর আপন ভাই সেটাও আমাদের বলে নি। আশ্চর্য।
“ নীবিড় আর কাশফি পূর্ব পরিচিত বলছো কি আমি তো জানতাম কাশফি নীবিড় ভাইয়াকে পছন্দ ওও করে।”
“ কাশফি নীবিড় ভাইয়া কে পছন্দ করে? আর ইউ শিওর মারু আপু্।”
“ মাহরিসা মাথা দোলায়।আমি তো সেটাই জানতাম।”
“ দুটোতে মিলে কি করছিস তোরা ছাঁদে বসে? মশা তাড়াতে ভালো লাগছে?”
নীবিড়ের কন্ঠস্বর পেতেই নাওমী চট করে উঠে দাঁড়ায়।
কি হলো তার কে জানে।সে আর এক মুহূর্ত ওও দাঁড়ায় না সেখানে।
সোজা রুমে গিয়ে ঠাস করে নীবিড়ের মুখের উপর দরজাটা লাগিয়ে দেয়।
নীবিড় অবাক কন্ঠে বলল,
“ কি হলো ব্যাপারটা? আমি আসতেই ও দরজা লাগালো কেন মারু?”
মাহরিসা ঠোঁট উল্টালো।
“ আমি কি করে জানবো ভাইয়া। এতক্ষণ তো ঠিকঠাকই কথা বলছিলো।তুই আসলি আর সব গন্ডগোল পাকালো।”
গতকাল রাতের ঘটনায় আদ্রিত আজ মাহরিসার রুমে যেতে সাহস পাচ্ছে না। সে নিচে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে সমান তালে।
আদ্রিত নিজেকে ধিক্কার জানায়।
“ ছিঃ এতটা কাপুরুষ তুই হলি কবে থেকে আদ্রিত।সেম অন ইউ ব্যাড বয়। “
আদ্রিত মাহরিসাকে নিচে নামতে বললে মাহরিসা ঠাস করে থাই গ্লাসের পর্দাটা টেনে দিয়ে কাঠকাঠ কন্ঠে বলল,
“ চুপচাপ বাসায় যান। আমি কোথাও আসছি না। কোথাও নামছি না।”
বলেই অসভ্য মেয়েটা ফোন কেটে দিলো।
আদ্রিত চরম আশ্চর্য হয়। তার মারুর এত সাহস হুট করে উদয় হলো কেমন করে।
সত্যিই ভাববার বিষয়।
তবে কি তার বাবা আর দাদু ঠিকই বলে।
“পুরুষ মানুষ যতই হম্বিতম্বি করো না কেন।সকল কিছুই বিবাহের পূর্বে।বিয়ের পর সেসবের ভাত নেই বউয়ের কাছে মোটেও।”
রাগে দুঃখে আদ্রিত শেখ গাড়ির ডিকিতে লাথি বসায়।
“ দুর সালার বিয়ে করে ও শান্তি নেই।না পাচ্ছে বউয়ের আদর, আর না পাচ্ছে জামাই আদর।
ছ্যাহ।সালার জীবনটাই বেদনার।”
রাত তখন বারোটা প্রায়।
নিস্তব্ধতা দেখেছে ভাই তার আজ বাসায় দ্রুত ফিরেছে।এটাই সুযোগ।
নিস্তব্ধতা রুম ময় পায়চারি করছে আর সাদাফ কে ফোন করে যাচ্ছে সমান তালে।
সাদাফ ঘুম ঘুম চোখে ফোন রিসিভ করে।ইদানীং তার হয়েছে বড্ড জ্বালা।
মাঝ রাতে সে ঘুমালেই কর্কশ শব্দ তুলে তার অভদ্র ফোনটা বেঁজে উঠে।মেজাজটা এত গরম হয় তার। ইচ্ছে করে গিয়ে ওপাশের ব্যক্তিকে থাপ্পড়ে গাল ফাটিয়ে দেক।কিন্তু হায় আফসোস ওপাশে থাকা ব্যক্তির গাল ফাটানোর সৎ সাহস তার নেই।
“ কই তুই?”
“ জাহান্নামে।কি সমস্যা তোর নিরু? ঘুমাচ্ছি তো।ডোন্ট ডিস্টার্ব মি প্লিজ।”
“ তোর ডিস্টর্বের গুল্লি মারি।বের হবি তুই এখনি।”
“ বললাম তে আমি জাহান্নামে। “
“ তুই ওখান থেকেই বের হ। এখুনি।”
সাদাফ মেজাজ খিঁচিয়ে বলল,
“এখুনি মানে কি নিরু ফাজলামো নাকি? এত রাতে বের হয়ে কি করবো টাকি আমি।গরুর ঘাস কাটবো?”
“ এখনি মানে এখনি। আমি বললে কাটবি ঘাস সমস্যা কোথায়।
তুই কি চাস?আমি কি আন্টিকে কল করি? আন্টিকে ফোন দিয়ে বলবো যে তার ছেলে সিগারেট খায়? প্রতিদিন একটা দুটো নয়, ডজন খানেক?বলবো? সামলাতে পারবি তো?”
সাদাফের ঘুম পালায় মুহুর্তে। লাফ দিয়ে উঠে বসে সে।
“ এই ডাহা মিথ্যা কথাটা বলতে তোর কলিজায় বাঁধবে না রে নিরু পাখি?”
“ উহু একদমি না।প্রমাণ আছে কিন্তু। “
সাদাফ হাস ফাঁস করে।মেয়েটা এত্ত জ্বালাতন করে আমায়।
সাদাফ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“ আসছি রাখ।”
অগত্যা কোনো উপায় না পেয়ে সে কোনো রকমে পাশ থেকে টি-শার্ট টা তুলে গায়ে জরায়।
বাইক ছুটায় সকলের আড়ালে।এসে থামে ওসমান ভিলার সামনে।
দেখতে পায় নিস্তব্ধ’র বাচ্চাটা মাথায় ঘোমটা তুলে চুপিচুপি নেমে আসছে।
সাদাফ হাই তুলে বলল,
“ কেথায় যাবো।”
নিস্তব্ধতা বাইকের পেছনে বসতে বসতে দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল,
“আইসক্রিম খেতে। “
সাদাফের মেজাজ চরে। সে কটমট করে চাইলো।
“ তোর কি মনে হয় রাত একটার সময় ব্যাটারা না ঘুমিয়ে তোর আইসক্রিম খাওয়ার জন্য ওয়েট করে দোকান খুলে বসে আছে?”
নিস্তব্ধতা নির্লিপ্ত কন্ঠে বলল,
“ অবশ্যই খোলা না থাকলে তুই খোলাবি সমস্যা কোথায়।”
“ তোর কি আমায় দেশের প্রেসিডেন্ট মনে হয় যে আমি যা বললাম আর ব্যাটারা তাই শুনলো। “
“ একদিন নাহয় হলিই আঙার জন্য প্রেসিডেন্ট সমস্যা কোথায়।”
“ আর তুই কেন বাইকে উঠছিস। তোর বাপ যদি জানে তার মেয়েকে আমি বাইকে চরিয়েছি। আমায় আস্ত চিবিয়ে খাবে।”
“ সে জানবে কেমন করে? তুই বলবি?”
সাদাফ দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাল ছাড়ে।
নাহ তার পক্ষে এই মেয়েকে বোঝানো অসম্ভব।
অগত্যা বাইক ছুটায় সে এই মাঝ রাতে আইসক্রিমের খোঁজে। পাবে কি না কে জানে।
ঘড়িতে সকাল তখন দশটা প্রায়।
নীলাদ্র’র ফ্লাটের কলিংবেল বেঁজে উঠে।ঘুমন্ত নীলাদ্র মেজাজ খারাপ হয়। এত সকালে কে এলো। সালার ঘুমিয়েও শান্তি নেই।
হাফপ্যান্ট পরে সে কোনো দিকে না তাকিয়ে দরজা খুলে দেয়।
নীলাদ্র কে দেখেই কাশফি দাঁত কেলিয়ে হাসে।
“ নীল সমুদ্র আমায় এক গ্লাস পানি খাওয়ান প্লিজ। তিন তলায় উঠতে গিয়ে আমার জান বেরিয়ে গেল।নিচতলার ফ্লাট টা নিতে পারতেন।”
কাশফির চোখে আজ চশমার উদয় ঘটেছে।
ধূসর রংধনু ৩ পর্ব ২৯
ইদানীং সে বড্ড কম দেখতে শুরু করেছে চোখে।ডাক্তার তাকে চশমাটা সাজেস্ট করেছে। বলতে গেলে চশমা ছাড়া এখন এক প্রকার সে সবটা আবছাই দেখে।নাওমী ব্যারাম তার হয়েছে।
কাশফির মনে হচ্ছে আজকাল বোধহয় সে একটু চশমাটা পরে বেশিই দেখতে শুরু করেছে।নয়তো নীলাদ্র’র মতো দামড়া ছেলের পরনের হাফপ্যান্ট দেখতে পায় কি করে।এত বড় দামড়া ছেলে কখনো হাফপ্যান্ট পরে নাকি?
দরজা খুলে চশমা পরিহিত কাশফিকে দেখে নীলাদ্র’র চোখ কপালে।
নিচের দিকে তাকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয় সে কাশফির মুখের সামনে।
কাশফি চোখ টিপটিপ করে চায়।কি হলো ব্যাপারটা?