এমপি তামিম সরকার পর্ব ৭২

এমপি তামিম সরকার পর্ব ৭২
কাফাতুন নেছা কবিতা

হাতে ফুল নিয়ে দলের ছেলেপেলের সাথে, সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত তামিম সরকার, পানি মন্ত্রীর বাড়িতে যায়! পানি মন্ত্রীর মেয়ের অকাল মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানাতে! যুবতী মেয়ের অকাল মৃত্যুতে অনেকটায় ভেঙে পড়েছেন উনি! তামিম আসতেই মোটামুটি একটা থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়! সচারাচর তামিম সরকারকে কখনো এমন পরিবেশে দেখা যায় না! কিন্তু আজকে গেলো!
তামিম গিয়েই ফুলের বুকে টি যথাস্থানে রেখে পানি মন্ত্রীকে সমবেদনা জানায়! পানি মন্ত্রী ও আবেগে আপ্লূত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে!

” দোয়া করি আল্লাহ, আপনার মেয়েকে জান্নাত বাসি করুক!”
তামিম পানি মন্ত্রীর সাথে কুশল বিনিময় করে আবার বের হয়ে আসে, কারণ তাকে এখন আরেকটা ফুলের বুকে নিয়ে নিজের ফুপির বাড়িতে যেতে হবে! সাথে তার পঞ্চ পান্ডব ও আছে! পঞ্চ পান্ডবের মুখে নেই কোনো কথা! সবাই যেনো কিছু একটা নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন!
গাড়িতে বসেই গাড়ি চালানো শুরু করে পেট মোটা রফিক! তামিম সহ বাকি চার জন্য যে যার সিটে! পিছনে তাদের বডিগার্ডরা নিজেদের মতো করে গাড়ি নিয়ে আসতে থাকে! উদ্দেশ্য রমনা ময়দান! তার ফুপির বাড়ি! আরশি নগর থেকে কিছুটা দূরেই! গাড়ি চলতে থাকে আপন গতিতে, কারো মুখে তখন ও বলি ফুটেনি!
” আমি মনের কথা পড়তে পারি না! কী বলবি সরাসরি বল!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তামিম তার পঞ্চ পান্ডবদের উদ্দেশ্য করে কথাটি বলে, তামিমের কথা শুনে একটু সাহস পায় তারা! এক জন আরেকজনের দিকে তাকায়! এতোক্ষণ ধরে তারা এতো কাচুমাচু করছিলো যে, তাদের দেখলেই যে কেউ বলে দিবে তারা কিছু বলতে চাই, কিন্তু পেটের কথা মুখে আনতে পারছে না! সাকিব শুকনো ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করে…!
” ভাই! আপনে কাল রাইতে দুই নাগিনরে পরপারে পাঠাইলেন, আজকে আবার ফুল দিয়ে সমবেদনা জানাইতাছেন, কিছুই তো মাথায় ঢোকে না আমার!”
সাকিবের কথা শুনে তামিম নিজের চশমা খুলে এবং আবার ও ফুঁ দিয়ে পরে ফেলে!

” রাজনীতিতে একটা প্রবাদ আছে, শত্রুরে মাটির নিচে পাঠায়া , উপরে ফুল দিয়া ঢাকো!”
পঞ্চ পান্ডব সিটি বাজিয়ে উঠে খুব জোড়ে! তারা ঠিক এই জিনিসটার জন্যই অপেক্ষা করছিলো! ঠান্ডা মস্তিষ্কের ভয়ংকর তামিম সরকারের কাম ব্যাক! the aura is back! পঞ্চ পান্ডব যে যার মতো সিটি বাজিয়ে উঠে! তামিম নিজের মোছে তাও দিতে দিতে বলে…”
” আমার কলিজায় হাত দিছিলো, ওগো কলিজা যে কু’ত্তা দিয়ে খাওয়ায় নাই এইটাই অনেক! ”
” এই জন্য আপনি ‘তামিম সরকার ‘ভাই, যারে বুঝার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাই! ”
সাকিবের সাথে সকলে ‘ঠিক, ঠিক, বলে উঠে আর তার কথার সাথে একমত জানাই! তামিম সরকারকে বোঝা আসলেই কারো পক্ষে সম্ভব নয়! তার মাথায় কী চলে কেউ বলতে পারবে না! এই জন্য মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ও বেশ সুনাম আছে তামিম সরকারের!

” বউয়ের জন্য জান দিতে ও পারি, বউয়ের জন্য জান নিতে ও পারি!”
নিজের হাতের ব্রেসলেট টি উপরে উঠাতে উঠাতে কথাটি বলে তামিম!
” আমার বউয়ের দিকে হাত দেওয়া, আর মৃত্যুকে ইনভাইট করা, দুইটাই সেম!”’
তামিম খুব শক্ত ভাবে কথাটি বলে উঠে! তামিমের এই কথার অর্থ পঞ্চ পান্ডব গতকাল রাতে ঠিকমতো টের পেয়েছিলো!
গতকাল রাতে……….!

তামিম সুবহার কপালে আদুরে পরশ ছুইয়ে উঠে দাড়ায়! ড্রয়ার থেকে ৫টি গু’লি নিয়ে লোড করে! আজকে এমপি তামিম নয় বরং স্বামী তামিম সরকার ক্ষেপে গেছে! আজকে আর কারো রেহাই নেই! তামিম দরজার কাছে গিয়ে আবার ও পিছনে ফিরে তাকায়! সুবহা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন! অবশ্য সুবহার ঘুম এমনিতে ও এতো সহজে ভাঙ্গবে না! তামিম সুবহাকে কোলে নিয়ে আসলো তারপর ও যখন ভাঙ্গেনি, তার মানে পরবর্তীতে ও ভাঙ্গবে না! তামিম বুঝতে পারে কিছু তো একটা হয়েছে! কিন্তু কী? সেটা তো মনিকা আর ছন্দাই ভালো বলতে পারবে! অবশ্য বলানোর দায়িত্বটা তামিম নিজের কাঁধে নিয়েছে!
তামিম কিছু একটা ভেবে আবার ও সুবহার কাছে চলে আসে! আর তার পায়ের নিচে বসে! তামিম সুবহার পা দু’টো শক্ত করে ধরে নিজের কপাল বরাবর রাখে!

” তোর চোখের প্রতিটি পানির হিসাব আমি নিবো বউ! তুই শুধু আমার হয়ে থাক!”
তামিম সুবহার পায়ের পাতায় চু’মু দেয়,আর বেরিয়ে পরে তার উদ্দেশ্যে!
তামিম চোয়াল শক্ত করে নিচে নামতে থাকতে! মুখে কোনো কথা নেই! তামিমকে চুপচাপ নিচে নামতে দেখে উপস্থিত সকলে একটু ঘাবড়ে যায়! হয়তো তামিম এখনই এক এক করে সকলের গেম বাজাবে! কিন্তু না! সবাইকে অবাক করে দিয়ে তামিম চুপচাপ বেরিয়ে পরে! তানভির সরকার ও ঠিক বুঝতে পারে না তামিমের মনের অনুভূতি! সুবহার সাথে এতো কিছু হয়ে গেলো আর তামিম কাউকে কিছু বললো না! বিষয়টি কেমন যেনো অষ্টম আশ্চর্যের মতো! তামিমকে চুপচাপ বেরিয়ে যেতে দেখে তন্বী বেগম বুঝতে পারে তামিমের মন ঠিক নেই! আর পাগল বউ নিয়ে হয়তো সে খুবই হতাশ!!

” দেখেছেন ভাই জান! তামিম কীভাবে চুপচাপ বেরিয়ে গেলো? ওর মুখ দেখেছেন? ”
তানভীর সরকার তন্বী বেগমকে কিছু না বলে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে দরজার দিকে! মনিকা আর ছন্দা ও খুব খুশি হয়! তাদের প্ল্যান সাকসেসফুল! তারা ও তন্বী বেগমের সাথে তালে তাল মিলাতে থাকে!
” সুবহা ভাবি, এভাবে আমাদের মার’বে, বুঝতে পারিনি মা!”
” ওই মেয়ের তো মাথা খারাপ! আল্লাহই জানে পালিয়ে গিয়ে কত কী করেছে! কত জনের সাথে রাত…!”
পুরো কথাটি শেষ করার আগেই তন্বী বেগমের গা:ল বরাবর খুব জোড়ে চ’ড় পড়ে! হঠাৎ চ’ড় পড়ায় বেশ থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয় হল রুমে!

” আয়েশা তুই…!”
” হো, আমি! আয়েশা সরকার! তোর চাচাতো ভাইয়ের একমাত্র বউ!”
গা’লে হাত দিয়ে থতমত খেয়ে যায় তন্বী বেগম! শেষে কী-না আয়েশা বেগম তার গা’লে হাত দিলো?
” একটা রাস্তার মেয়ের…!”
” চুপপ! থাপ্প’ড় খাইয়া নিজের থোবড়ার নকশার পরিবর্তন না করতে চাইলে, বিসমিল্লাহ বলে বের হয় আমার বাড়ি থেকে! ”
” তুই আমাকে বের হতে বললি?”
” কানে কী কম শুনতে পাস? তোরেই বলছি! যা বের হো! ”
” ভাই জান দেখেছেন? ”
” তোর ভাই কী দেখবো রে? আমি কী ভয় পায় তাকে? ভুলে যাস না আমি আয়েশা সরকার! তোর ভাইয়ের মতো কুখ্যাত লোককে সোজা করে ছাড়ছি, আর তুই কোন খেতের মুলা? বেশি তেরিমেরি করবি তো, মা-মাইয়া দুইটারে ধইরাই চুল কাইট্টা পুরো আরশিনগরে ঘুরাবো!”

আয়েশা সরকারের কথা শুনে রাগে ফুলতে থাকে তন্বী বেগম! তিনি খুব ভালো মতোই জানেন আয়েশা সরকার কী জিনিস! তার যুবতী বয়সে সে ছিলো এক নাম্বারের দরজাল মেয়ে! বয়স বাড়লে ও তেজ ঠিক এক মতোই আছে!
” আয়েশা?”
” কর্তা, মহিলা গো বিষয়! আপনে এর মধ্যে না পড়লে খুশি হবো! আর যদি পড়েন আমি বাড়ি থেকে এখনই বের হয়ে যাবো, এখন ও ওতো বুড়ো পড়েন নাই আরেকটা বিয়ে করে নিয়েন!”
আয়েশা সরকারের কাটকাট কথা শুনে সকলে বুঝে যায় তার উপর দিয়ে কথার মতো সাহস কারো নেই! ।
তানভীর সরকার এসে আয়েশা সরকারের হাত ধরে! আর ভালো মতো দেখতে থাকে! তন্বী বেগম ধারনা করে এই বুঝি আয়েশার গাল বরাবর পড়লো!

” আইয়ুব? ”
” জ্বি কর্তা?”
” আইস কিউব নিয়ে আয়, আমার আয়েশার হাত লাল হয়ে গেছে! ”
তানভীর সরকার আয়েশা সরকারকে নিয়ে সোফাতে বসায়! আর হাতে বরফ ডলতে থাকে!
” কী দরকার গিন্নি? এতো নরমে হাতে গরম কাজ করার? কতোটা লাল হয়ে গেছে দেখেছেন? ”
” বুড়ো বয়সে ও রস কমলো না আপনার কর্তা! ”
” আপনাকে দেখলে ফুল জোসে থাকি গিন্নি! আল্লাহর এক অপরূপ সৃষ্টি আপনি!”
তানভীর সরকার আর আয়েশা সরকারের এতো মাখোমাখো প্রেম দেখে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায় তন্বী বেগম! যেমনটা যুবতী বয়সে হতেন তিনি! মেয়ের হাত ধরে হনহনিয়ে বেরিয়ে পরে! এখানে তার ডাল গলবে না!
বাইরে বেরিয়ে মনিকা আর ছন্দা এক গাড়িতে উঠে, আর ত্বন্বী বেগম আরেক গাড়িতে! গন্তব্য তাদের আলাদা! তন্বী বেগম সোজা তার বাড়িতে যায়! আর মনিকা এবং ছন্দা ক্লাবে যাওয়ার জন্য বলে ড্রাইভার কে!

” আরে কোন রাস্তা ড্রাইভার? ”
” তোগো পরপারে পাঠানোর রাস্তা কাল নাগিনীরা! ”
বো’মা সাকিবের কথা শুনে মনিকা আর ছন্দার আত্মা বের হয়ে আসার উপক্রম হয়ে উঠে!
” সাকিব ভাই আপনি..!”
” কোন জন্মের ভাই তোর আমি! শা*লী আমার আম্মার গায়ে হাত! চল ভাই তোগো লগে প্রাইভেট মিটিং করবো!”
সাকিব খুব জোড়ে গাড়ি নিয়ে যায় তামিমের রঙ্গমঞ্চের দিকে! মনিকা আর ছন্দা হাত ধরে খুবই আকুতি মিনতি করে! কিন্তু কোনো লাভ হয় না! সাকিব নিজের মতো করে গাড়ি চালাতেই থাকে!
প্রায় ২৩ মিনিট পর গাড়ি তার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যায়! মনিকা আর ছন্দা গাড়িতেই জড়ো হয়ে বসে থাকে! সাকিব কালা মানিককে ফোন দিয়ে আসতে বলে! কারণ মাথা গরম হয়ে গেলে এখনই সাকিব বো’ম দিয়ে উড়িয়ে দেবে! কিন্তু তামিম তো এতো সহজ মৃত্যু তাদের দিবে না!
মানিক এসেই গাড়ির দরজা খোলে দাড়ায়!

” আহো কাল নাগিনীরা আহো! তোমাগো আব্বা ভিতরে অপেক্ষা করতাছে! তোমাগো চান্দের দেশে পাঠাইবো!”
মানিকা আর ছন্দা হাত জোড় করে মাফ চাইতে থাকে! কিন্তু কোনো লাভ হয় না! কারণ তামিম মাফ না করলে আর কারো স্বার্থ নেই তাদের মাফ করার!
কালা মানিক মনিকার চু’ল ধরে টা’নতে টানতে নিয়ে যায় রঙ্গমঞ্চের ভিতরে, আর সাবিক ছন্দার হাত ধরে!

রঙ্গমঞ্চের ঠিক মাঝ বরাবর একটা বিশাল ড্রাম রাখা! তাতে গরম চা রাখা আছে! দু’জন মানুষের সাউজের ড্রাম! আর চা গুলো এতোটাই গরম যে হাত দিলেই ঝলসে পড়বে! অবশ্য শুধু যে চা রাখা ড্রাম ভর্তি সেটা ও নয়! তাতে এসিড ও মি’ক্স করা হয়েছে! পানির গরমে পুরো রুমটি ঝালালো গরম হয়ে গেছে!
পাশেই চেয়ার নিয়ে তামিম বসা! সাকিব আর মানিক তাদের দু’জনকে এনে সোজা তামিমের পায়ের নিচে ফেলে দেয়!
তামিম উঠে দাঁড়ায়! তার পঞ্চ পান্ডব ও তামিমের পিছনে দাড়িয়ে পড়ে!

” তামিম ভাই..!”
ছন্দা খুব বিনয়ের সাথে ডাকে তামিমকে! তামিম ভ্রু কুঁচকে তাকায় ছন্দার দিকে!
” তোর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে রে! ভাইয়ের হাতে বোনের মৃ’ত্যু! বিষয়টা আসলেই কষ্টের!”
তামিমের কথা শুনে ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে ছন্দা!
” তো বল! তোদের পরিকল্পনা একটু শুনি!”
” ভাইয়া..!”
“” জ্বলদি বল..! ”
খুব জোড়ে ধমকিয়ে উঠে তামিম!
” সুবহা ভাবিকে পুরোপুরি পাগল বানানো! ”
” হুমমম! আর ওর মুখে কী দিয়েছিলি? ”
” সুইসাই’ডাল এট্যাম্প’স ড্রা’গস! ”
তামিম খুব শান্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে! সুবহা যেনো নিজেই নিজের জীবন নিয়ে নেই সেটার জন্য তাকে এমন পদার্থ চকলেটের সাথে মিশে খাওয়ালো? তামিমের নীরবতা বলে দিচ্ছে কিছু একটা হতে যাচ্ছে! ভয়ংকর কিছু! কথায় আছে না ঝড় আসার আগে পরিবেশ কেমন ঠান্ডা নীরব হয়ে যায়? ঠিক তেমনই!
তামিম নিজের ঘাড়ের রগ বাকিয়ে সোজা করে চোখের চশমা পড়ে ফেলে!

” মাহির….!”
” ভাই?”
” চা-পাতি দে!”
মাহির তামিমের হাতে চাপা’তি দিয়ে দেয়! আর পিছনে দাড়িয়ে পড়ে!
” তামিম সরকার কখনো মহিলাদের গায়ে হাত তোলে না! কিন্তু কোনো মহিলার হাত যদি আমার ব্যক্তিগত মহিলার গায়ে উঠে! তারে ও ছাড়ে না!”
তামিম ইশারা করে তার পঞ্চ পান্ডবদের! তামিমের ইশারা অনুযায়ী পঞ্চ পান্ডব তাদের দু’জনে হাত শক্ত করে ধরে মাটিতে!
তামিম চাপা’তি নিয়ে মনিকার সামনে দাড়ায়!

” কোন হাত দিয়ে আমার বউয়ের গা’লে মারছিলি?”
” ভাই ডান হাত ছিলো! ”
মাহির মনিকার ডান হাত ধরে ইশারা করে! তামিম মনিকার ডান হাত বরাবর দাড়ায়!
” হুমমমম! ভাবতাছি তোর হাতের চামড়া দিয়ে আমার বউয়ের জন্য জুতা বানাবো! বেশ ভালোই চামড়া লাগবে আমার!”
তামিমের কথা শুনে মনিকার প্রাণ যায় যায় অবস্থা! তামিম সরকার ভয়ংকর! কিন্তু স্বামী তামিম সরকার যে এতোটা ভয়ংকর সেটা জানা ছিলো না! শেষে কী না নিজের বউয়ের গায়ে হাত তোলার অপরাধে চামড়া কে’টে জুতো বানাবে?

” তা…! আহহহহহহহহহহহ!”
মনিকা কিছু বলতে যাবে, তার আগেই তামিম মনিকার হাত বরাবর কো’প বসায়! প্রায় ৪-৫ টু’কটো করে মনিকার হাত! অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে মনিকা! কিন্তু তাতে ও বিন্দু মাত্র মায়া হয় না তামিমের!
মনিকার এমন করুন দৃশ্য দেখে ছন্দা ভয়ে আরো জোড়ে জোড়ে কেঁদে উঠে!
তামিম ছন্দার সামনে গিয়ে দাড়ায়! আর তার হাতের আ’ঙ্গুল গুলো কে’টে ফেলে! ছন্দা ও ছটফট করতে থাকে!
” ইতিহাস স্বাক্ষী আছে! যতবার কোনো স্বামী ক্ষেপেছে, ততবার কুরুক্ষেত্র হয়ে গেছে! আমার বউয়ের গায়ে হাত! তোগো হাত কাইট্টা আমি ক’ত্তা দিয়ে খাওয়াবো!”
তামিম খুব জোড়ে জোড়ে চিৎকার করতে থাকে!

” মানিকককক!”
” জ্বি ভাই!”
” চুবা!”
তামিমের নির্দেশ মতো মানিক ছন্দা আর মনিকার চু:ল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় ড্রামের কাছে! রফিক আর মাহির মানিকের সাথে মিলে তাদের দু-জনকে ফুটন্ত গরম চা’য়ে তাদের ফেলে দেয়! পুরোপুরি ঝ’লসে যায় তাদের শ’রীর! তামিম খুব শান্ত ভাবে তাকিয়ে থাকে সে-দিকে! যেন খুব তৃপ্তি পেলো সে!
” আমার বউয়ের হাতে চা ফেলছিলো, ওগো গরম চায়ে না ডুবিয়ে মা’রলে, স্বামী হিসেবে আমি ব্যর্থ হতাম!”
তামিম চশমা খুলে ফু দিয়ে আবার পড়ে ফেলে!

” সাকিববব?”
” এখনই উড়ায়’তাছি ভাই!”
” মাহিররর?”
” এখনই সব ক্লিয়ার করতাছি ভাই!”
তামিম সুন্দর মতো রঙ্গমঞ্চ খানা থেকে বেরিয়ে যায়! আর বাকিরা নিজেদের কাজে লেগে পড়ে! সম্পূর্ণ বিষয়টি এমনভাবে সাজানো হয়, যেনো দেখে মনে হয় তেলের ট্রাকের সাথে এক্সিডেন্ট করে দুটো গাড়ি একদম শেষ! সিসিটিভি ফুটেজ ও ফেক বানানো হয়! তামিম যে মাস্টারমাইন্ড এটা তার কাজ দেখলেই বোঝা যায়!
পুরো দেশে যখন পানি মন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রীর বোনের মেয়ের মর্মান্তিক মৃ’ত্যুর খবরে ছড়াছড়ি, তখন তামিম সরকার সুন্দর মতো তার বউয়ের সাথে রোমান্স করতে ব্যস্ত!

—-রঙ্গমঞ্চ খানা থেকে ফিরেই তামিম সোজা উপরে চলে যায়! তার পরীকে দেখতে!
তামিম রুমে এসে দেখে খুব এলোমেলো ভাবে শুয়ে আছে সুবহা! তামিম ডোর লক করে সোজ সুবহার কাছে চলে যায়!
” মাত্র খু’ন করে আসছি! আর এই ছেমরি আমাকে ১৯/২০ এর সংকেত দিচ্ছে! ”
তামিম নিজের পাঞ্জাবি খুলে সাইটে রেখে দেয়! ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুধু একটা টাওজার পড়ে চলে আসে! ড্রিম লাইটে সুবহার মুখ আরো আর্কষনীয় লাগছিলো!
তামিম এসেই সুবহার কোমর ধরে তাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়! ঘুমের ঘোরেই সুবহা তামিমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!

” তোকে আমি খুব ভালোবাসি সকাল! খুব ভালোবাসি তোকে!
তামিম ঘুমন্ত সুবহার ঠোঁ’টে নিজের ঠোঁ’ট বসিয়ে দেয়! তার হাত দু’টো বিচরণ করতে থাকে সুবহার সমস্ত শ’রীরে! এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অবচেতন সুবহার উপরে নিজের অধিকার বোধ ফলাতে থাকে! এক পর্যায়ে সুবহার ও ঘুম আলগা হয়ে আসে!

এমপি তামিম সরকার পর্ব ৭১

” তামিম…!”
” আই নিড ইউ সকাল! আই ডেস্পারেটলি নিডস ইউ! ”
” ঘুমন্ত বউকে ও রেহায় দিলেন না!”
” আপনাকে রেহায় দিলে, আমার বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে ম্যাডাম!”

এমপি তামিম সরকার পর্ব ৭৩