vilen part 1
আনু
আজ ২য় বারের মতো Rossy কে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে তার কলেজ থেকে।
ফ্ল্যাশব্যাক…..
দেশের নামকরা সুনামের শীর্ষে একটাই নাম Niloy দেশের বেশিরভাগ মেয়েদের মুখে শুধু নিলয়কে দেখার ইচ্ছা তাকে কাছথেকে দেখার ইচ্ছা। কিন্তু তা কী সম্ভব? একদমই নাহ সে তো একজনেই আসক্ত সে রোজি।
এই গল্পের মেইন লিড রোজি এবং নিলয়।
রোজির পরিচয় : রোজি তার বাবা-মা এর বড় সন্তান রোজির বাবা সরকারী কর্মকর্তা এরং তার মা গৃহিনী। রোজিরা তারা দুইবোন রোজি বড় রোজির বয়স ১৭ বছর আরও একটি ছোটো বোন আছে তার নাম asha তার বয়স ১৪ বছর রোজি এখন ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ছে আর তার ছোটো বোন আশা ক্লস ৯ এ পড়ছে।
Rossy : রোজি দেখতে খুবই সুন্দর চোখগুলো টানা টানা, চোখের পাপড়িগুলো তুলনামূলক বড় দেখতে পুতুলের মতো, দুধে-আলতা গায়ের চামড়া টোক্কা দিলেই রক্ত ঝড়বে!!!ঠোঁটগুলো গোলাপি নয় বরং লাল টকটকে, চুলগুলো বেশি বড় না হলেও কোমর ওবদি। চুলগুলো cherry কালার এর দেখতে সে মারাত্মক সুন্দরী। শরীরের গঠন বাকানো ধনুকের ন্যায়। লম্বায় সে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি।
Niloy : নিলয় এর বাবা-মা আপন কেও নেই। সে নাম করা একজন মাফিয়া। দেশের নামকরা বিজনেসম্যান সে। দেশের নামকরা বিজনেসময়ানদের মধয়ে সে একজন। নিলয় দেখতে ও কম নয় তার গায়ের রং উজ্জ্বল চুলগুলো স্ট্রেট দেখতে খুব ড্যাসিং। তার রয়েছে পেটানো সুঠাম দেহ। 6 pack body লম্বায় সে ৬ ফুট সে তার আশেপাশের কোন মেয়েকে সহ্য করতে পারে না। তার দুইজন বন্ধু রয়েছে বন্ধু বলে ভুল হবে তারা তো আর ভাইয়ের মত যেহেতু নিলয়ের কেউ নেই সে তাদের নিজের ভাইয়ের মত দেখে সে খুবই গম্ভির তার মুখে হাসি দেখা আর নিজের হাতে চাঁদ পাওয়া একই কথা। তারসেই দুই ভাইকে তার ডান হাত এবং বাম হাত বলা চলে। তার বাড়ির চারপাশে তার অফিসের চারপাশে শত শত গার্ড থাকে তাকে পাহারা দেয়ার জন্য।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
নিলয় রোজিকে দেখেছিল নিলয়ের একটি মিশনের দিনে নিলয় কারে করে যাচ্ছিল তার মিশনের স্থানে যেহেতু সে একজন গ্যাংস্টার সেহেতু তার মিশনে যেতে হয়। সেই দিনও সে প্রতিদিন এর মত মিশনে যাচ্ছিল। হঠাৎ রাস্তায় জ্যাম লেগে যায় বৃষ্টির কারণে। সেদিন খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল। নিলয়ের গাড়িও যে আমি আটকে ছিল। নিলয়ের গম্ভীর মুখ আরও গম্ভীর হয়ে উঠে।
হঠাৎ সে জানালা খুলে জানার বাইরে তাকায় হঠাৎই তার চোখে পড়ে এক অপরূপ সুন্দর দৃশ্য তার কেউ না রোজির বৃষ্টি ভেজা দৃশ্য!!!সেদিন রোজি ও বের হয়েছিল তার কলেজের উদ্দেশ্যে কলেজ থেকে ফেরার পথে সে এবং তার বান্ধবীরা কাঁদ বেজা হয়ে যায়। রোজির বাড়ী তার বান্ধবীদের বাড়ী থেকে কিছুটা দূরেতাই তার বান্ধবীদের থেকে বিদায় নিয়ে সে সেইটুকু পথ একাই পাড়ি দেয় সকল দিনের মতো। সেদিন রোজি কালো কালোরের একটা হাটু অবদি টপস এবং কালো ফিসকাট প্যান্ট পেরেছিল। আর কালো কালারের একটা সিফন ওড়না গলায় পেচিয়ে রেখেছিলো।
সে বেজা থাকায় তার শরীরের প্রতিটি বাজ বোঝা যাচ্ছিলো তা দেখে পাথরের মতো মনের মালিকের চোখ আটকে গিয়েছিলো। যে মেয়েদের সহ্য করতে পারে নাহ আজ সে একটা মেয়ে এর দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছে। তার মনে এক টুকরো ভালোলাগা জন্মায়। রোজিকে বৃষ্টির আানন্দ নিতে দেখে কারন রোজি হেলে-দুলে যাচ্ছিলো।বার বার গুরপাক খাচ্ছিলো। তার উজ্জ্বল মুখখানা বৃষ্টির পানিতে আরো উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। তারে এক কথায় অপরূপ রূপবতি লাগছিল। নিলয় তা দেখে হাবলার মতো তাকিয়ে ছিল রোজির পানে। তার চোখের পলক পরছিল না। তখনই রোজি তার বাসার সামনে চলে আসে। রোজি তার বাসায় ঢুকে পড়ে এবং নিলয়ের গাড়িও চলতে শুরু করে। যতক্ষণ রোজিকে দেখা যাচ্ছিল নিলয় ততক্ষণ ঘাড় ঘুরিয়ে রোজিকে দেখছিল।
এদিকে মিশন শেষ করে নিলয় ক্লান্ত শরীরে বাসায় ফিরে। ফ্রেস হয়েই শুয়ে পরে। নিলয় খুবই অগোছালো। এমন না যে তার বাসায় মেইড নেই। তারপর ডুপ্লেক্স বাসায় ১৫ থেকে ১৬ জন মেইড রয়েছে । যারা সে ঘুম থেকে উঠলে তার রুম পরিষ্কার করে তাকে কফি দিয়ে আসে তার পর পর সে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয় কিন্তু বাসায় গিয়ে আবার সে রুম অগোছালো করে ফেলে। কিন্তু আজ সে বিছানায় শোয়ার পর চোখ বন্ধ করলেই তার রোজির চোখ ভেসে ওঠে রোজের সেই বৃষ্টি ভেজা দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে এবং সে পাগল হয়ে যায় সে বলতে শুরু করে…..
নিলয় : তোমাকেতো আমার লাগবেই তা যা করে হোক নিলয় একবার যা চায় তা হাসিল করে শান্ত হয় এগুলো ভাবতে ভাবতে সে গুমের দেশে তলিয়ে যায় কারন সে ড্রিং করেছিলো।
সকালে,
সকালে নিলয় ঘুম থেকে উঠেই তার দুই ক্লোজ বন্ধু যারা তার ডান হাত রহিদ এবং বাম হাত রেদোয়ান তাদেরকে বলে রোজির পুরো বায়ো ডাটা বের করে কারণ তার তো রোজিকে লাগবেই।
নিলয় : এক ঘন্টার মধ্যে আমার ওই মেয়ে এর ফুল ডিটেইল চাই and no excuse
কিন্তু রোহিত আর রেদোয়ান কে ওই চিনে না রোজীকে আর তার বস কোন মেয়ের কথা বলছে কারণ নিলয় ছাড়া রোজিক আর কেউ দেখেনি আর নিলয়ও রোজিকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখেছিল!
ঠিক ৫৯ মিনিট পর রোহিতার রেদওয়ান মাথার নিচু করে নিল এর কাছে যায়। তারা যেতে খুবই ভয় পাচ্ছিলো কারন নিলয়ের রাগ অনেক বেশি।
নিলয়ের কাছে গিয়ে বলে বস আমরা তো মেয়েটিকে চিনি না আমরা মেয়েটিকে দেখিওনি এখন আমরা কিভাবে মেয়েটির খোঁজ বের করব আমরা ব্যর্থ হয়েছি এটা শুনে নিলয় রাগে ক্ষোবে তার হাতে থাকা ড্রিংকসের গ্লাস ছুড়ে মারে তা নিচে পড়ে তছনছ হয়ে যায় তা দেখে রোহিত এবং রেদোয়ানের হিসু করে দেওয়ার মত অবস্থা😹
নিলয় গর্জে ওঠে এবং বলতে শুরু করে হুংকার ছুড়ে : ঐই মেয়ে কে আমার চাই মানে চাই at any cost. কিছুক্ষণ পর নিলয় নিজ থেকে বলে ওঠে যে সে মেয়েটিকে একটা বাড়িতে ঢুকতে দেখেছে হতে পারে ঐইটাই মেবি মেয়েটার বাড়ি নিলয়ার দেরি করে না রোহিত এবং রেদোয়ানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বাড়ির সামনে গিয়ে তারা প্রায় সেখানে তিন চার ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু কাউকে পায় না ঠিক দুপুর ১:৩০ এ রোজি গোসল করে বারান্দায় আসে এবং সে তার চোখগুলো নাড়াচাড়া করতে থাকে যেহেতু তার চুলগুলো কোমর অব্দি সেগুলো নাড়াতে শুরু করে হঠাৎ ই নীলয় এর চোখে এটা পড়ে যা দেখে সে মন্ত্রমুগ্ধের নাই চেয়ে থাকে রোজির পানে সে প্রায় অনেকক্ষণ রোজির পানে চেয়ে থাকে কিছুক্ষণ পর সে নিজেই রহিত এবং রেদোয়ানকে বলে যে এই সেই মেয়ে ওর ফুল ডিটেলস আমার চাই ওকে আমার লাগবে! এই কথা বলে নিলয় আবারো রোজির পানে চোখ দেয় কিন্তু সে আর রোজিকে দেখতে পায় না কারণ রোজই রুমে ঢুকে গিয়েছে।
সে shit বলে গাড়িতে একটা ঘুসি মারে। তারা আর কিছুক্ষণ এখানে থেকে বাসায় চলে আসে।
বাসায় আসার পর নীলয় বসায় বসে অফিসের কাজ করে এভাবে কিছুদিন কেটে যায় সে সেইদিনের পর রোজির ফুল ডেটা সংগ্রহ করে তখন সে রোজির ব্যাপারে সকল কিছু জানতে পারে সেদিনের পর থেকে সে রোজির উপর নজর রাখতে শুরু করে রোজির বাসায় আশেপাশে তার কিছু গার্ড পাহারা দেয় রোজি বাসায় কি করে না করলে রোজি কোথায় যায় তার কাছে সকল ইনফরমেশন আসে এভাবে আরও কিছুদিন কেটে যায়
একদিন নিলয় হঠাৎ অফিসের জন্য রওনা করে কারণ তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং রয়েছে। মিটিংটি অতীব জরুরি না হলে সে মিটিং এ যেত না। সে ফ্রেস হয়ে ফর্মাল গেটাপ নিয়ে এসে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয় BMW গাড়িতে বসে সে অফিসে মিটিংটি শেষে তার খুবই খিদে পায় তার খুব একটি পছন্দের জায়গায় সে খেতে যায় যখন সে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে তখন তার চোখ যায় রোজির উপর রোজি তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে রোজি, তার চারটে ছেলে বন্ধু আর দুইজন মেয়ে ফ্রেন্ড রিমা,সিমা, আরুস,রোহান,মাহিন,তুহিন
তারা বসে আড্ডা দিচ্ছে তবে আরশ ছেলেটা রোজির সাথে ঘিসে বসে আছি এবং সে বিভিন্ন তার মাঝে রোজির গায়ে স্পর্শ করছে তা দেখে নিলয়ের চোখ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে এমনিতেই নিলয়ের রাগ অনেক আর যদি দেখে এভাবে কেউ তার প্রিয়জনের গায়ে হাত দিচ্ছে।
তারপরও নিলয় নিজেকে খুব কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে কারণ এটা পাবলিক প্লেস নিলয়ের কিছু না হলেও রোজির সমস্যা হতে পারে কারণ নিলয় একজন বিজনেসম্যান তার পাশাপাশি গ্যাংস্টার তাকে এত সামনে থেকে কেউই দেখেনি। যদি কেউ রোজির প্রতি এত কেয়ার দেখে তাহলে রোজির জীবনের আশঙ্কা থাকতে পারে তাই সে নিজেকে কন্ট্রোল করে বসে থাকে কিন্তু হঠাৎ করে ছেলেটি রোজির চুল ঠিক করে দিতে থাকে এটা দেখে তার সহ্য হয় না সে উঠে গিয়ে পুরো রেস্টুরেন্ট থেকে মানুষ বের করে দেয় তার এক গর্জনে পুরো রেস্টুরেন্ট খালি হয়ে যায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে কিন্তু নিলয় থামিয়ে দেয় এবং সে দ্রুত গিয়ে ছেলেটির হাত খপ করে ধরে ফেলে আর গর্জে বলতে থাকে:
তুই কী করে ওর গায়ে স্পর্শ করস? এতো সাহস? এতো তোর কলিজা টেকে ছিরে ফেলবো আমি এইবলে ছেলেটিকে ইচ্ছামতো মারতে থাকে ছেলেটাকে পুরো আদমরা করে ফেলে এটা দেখে রোজি এগিয়ে নিলয় কে বলতে থাকে
রোজি : কে আপনি ওকে মারছেন কেনো কী ক্ষতি করেছে ও আপনার?
নিলয় : সেতো মারতেই ব্যস্ত সে আরও একটা লাত্থি মারতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে কে যেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সে আর কেউ নয় রোজি এটা দেখে নিলয়ের রাগ ৭ আসমান উপর চলে যায়।
রোজি ধাক্কা দিয়ে বলতে শুরু করে :
আপনি কোন সাহসে ওকে মারছেন? কী করেছে ও? ওকে মারছেন কেন? আর বললেন আমাকে স্পর্শ করার সাহস পায় কই এটা বলার আপনি কে? আমার বাবা,ভাই,বি-এফ কোনটা, কোনোটাই নন আপনি তাহলে এতো সাহস হয় কীভাবে?
রোজি একনাকার এগুলো বলেই যাচ্ছে!
এদিকে তার রিমা, সীমা, আরুশ, রোহান, মাহিন, তুহিনওরা থর থর করে কাঁপছে কারণ ওরা চিনে নিলয় কে!