সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ৪

সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ৪
Jannatul Firdaus Mithila

সেদিনকার করা রৌদ্রর ব্যাবহার গুলো আজও মনে পড়ে অরিনের। তখন সেই ছোট ছোট বিষয় গুলো অরিনের বোধগম্য না হলেও দিন যতো বেড়েছে সেসব স্মৃতি অষ্টাদশীর মনে ঠিক ততোই দাগ কেটেছে। ক্ষনে ক্ষনেই অষ্টাদশীর বেররোয়া মন ভাবনায় পড়ে যায়, আদৌ কি তার রোদ ভাই সে ছোট বলে এমনটা করতো নাকি অন্যকিছু ছিলো এসব যত্নের আড়ালে।নাকি সেই একটু বেশি ভাবছে এসব নিয়ে? আচ্ছা তার রোদ ভাই তো আজ কতগুলো বছর ধরে দূরে আছে,,আদৌ কি তার অরিনকে মনে পড়ে? আচ্ছা সে কি অরিনকে ভালো… না,, না,, কিসব ভাবছে অরিন।রোদ ভাই যদি শুধু বোন হিসেবে তাকে দেখে তাহলে তো অরিনের এসব ভাবনা নিছক মাত্র। নিজেই নিজের উদ্ভট সব ভাবনায় বিরক্ত অরিন।আসলে কিশোরী বয়সটাই যে এমন। অল্পতেই আবেগাপ্লুত হয়ে যায়।

বেশকিছুক্ষন পর রিকশা এসে থামলো অরিনের কোচিং গেটের সামনে।অরিন ভাড়া চুকিয়ে সামনে হাটঁতেই দু’জোড়া পা তার সামনে এসে উপস্থিত হয়।অরিন ভ্রু কুচকে চোখ উপরে তুলতেই দেখে তার বেস্টুরা হেনা আর ফারিয়া দাড়িয়ে। সহসা কুঁচকানো ভ্রু শিথিল করে সে। তাদের দেখেই দাত বের করে হেসে উঠে অরিন।হেনা আর ফারিয়া একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেই সুহাসিনীর দিকে।কথায় আছে যাদের হাসি সুন্দর তাদের নাকি সুহাসিনী বলে। অরিনকে দেখলেই যে তাদের মনে হয় এই নামটা বুঝি এই মেয়েটার সাথে খুব ভালো যায়।
এই যে তাদের সামনে একটা জীবন্ত পুতুল দাড়িয়ে আছে। অরিনের পড়নে হাটুর নিচ অবধি একটি বেবি পিংক কালারের টপস আর ব্ল্যাক জিন্স।মাথায় কি সুন্দর করে হিজাব পড়া। তাদেরকে নিজের দিকে এমন করে তাকিয়ে থাকতে দেখে চোখ ছোট ছোট করে তাকায় অরিন। হাত দিয়ে তাদের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলে উঠে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—কিরে কি হলো? এমন হা করে কি দেখছিস?
— তোকেই দেখছি।ভাবছি আমার কোন বড় ভাই কেনো হলো না।যদি থাকতো তাহলে জোর করে হলেও তোকেই আমার ভাবি বানাতাম।
আফসোসের সাথে বলে উঠে ফারিয়া।
— তোর তো তাও ভাই নেই কিন্তু আমার, আমার ভাই টা যে আমারই ছোট ওর জন্য তো চাইলেও অরিকে নিতে পারবো না।
একটু নাটকীয় ভঙ্গিতে কপাল চাপড়াতে চাপরাতে বললো হেনা।
—হয়েছে এবার থাম তোরা।ভাগ্যিস তোদের ভাই নেই,না থাকতেই যেভাবে কাড়াকাড়ি করছিস থাকলে না জানি কি করতি। এখন চল ক্লাসে যাই লেট হচ্ছে।
— হ্যা,হ্যা চল।বলেই তিনজন ক্লাসে ঢুকে পড়ে।

কোচিং শেষ হতে হতে প্রায় ১২:১০ বেজে যায়। অরিন তার ফ্রেন্ডসদের সাথে কিছুক্ষণ দুষ্টুমি করতে করতে রাস্তার পাশে একটি ছোটো ক্যাফে সেখানে চলে আসে। তারা তিনজনই আইসক্রিম অর্ডার করে। এরই মাঝে হেনা বলে উঠে,
— শোননা দোস্ত,আমার না আজকের ক্লাসের কোন পড়াই মাথায় ঢুকে নি।কেমনে যে কি করি।একটু পড়লে বাকিটুকু ভুলে যাই। একটা প্রশ্নর উওর খুজতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে উওর পেয়ে গেলে আবার প্রশ্নই ভুলে যাই। আমার যে কি হবে।
কাঁদোকাঁদো ভাব নিয়ে টেবিলের ওপর কনুই ঠেকিয়ে এক হাত দিয়ে কপাল চেপে বলে উঠে হেনা।
হেনার কথা শুনে যারপরনাই ফারিয়া আর অরিন যেন হাসতে হাসতে কুটোকুটি খাওয়ার মতো অবস্থা। হেনা ঠোঁট উল্টে ওদের দুজনের দিকে চেয়ে রয়।

— যাহ মীরজাফর কতগুলা।আমি এখানে নিজের দুঃখ কাহিনি বলছি আর এনারা কেমন হাসছে। বলি তোরা কি হাসি থামাবি নাকি আমি চলে যাবো?
— এই না না বেবি যাস না।আচ্ছা সরি আর হাসবো না,এই ফারি চুপ কর।
অগত্যা হাসি থামিয়ে বলে উঠে অরিন।
এরই মাঝে তাদের আইসক্রিমও চলে আসে। তারা সকলে আইসক্রিম হাতে নিবে এর মাঝেই ফারিয়া বলে,
— এই চলনা হাটতে হাটতে খাই।বেশ মজা হবে।
— হ্যা আইডিয়া টা বেশ দারুণ। চল।
বলেই অরিনসহ হেনা আর ফারিয়া বেরিয়ে আসে ক্যাফে থেকে।
রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই তিনজন রাজ্যের আলাপ জুড়ে চলছেন।এরই মাঝে হঠাৎ একটি বাইক অরিনদের সামনে এসে দাড়ায়।অরিনসহ বাকিরাও কিছুটা ভড়কে যায় কিন্তু বাহির থেকে নিজেদের স্বাভাবিক রাখে। বাইক থেকে একজন ছেলে নেমে এসে অরিনের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে।ছেলেটিকে দেখেই ফারিয়া অরিনের কানে ফিসফিসিয়ে বলে,

— অরিন উনি তো সিহাব ভাই।আমাদের কোচিং-এর কেমিস্ট্রি টিচারের ছোট ভাই।
ফারিয়ার কথা শুনে অরিন হতবিহ্বল হয়ে চেয়ে থাকে সেদিকে। ছেলেটি বসেই একটি গোলাপের বুকে অরিনের সামনে ধরে। বুক ফুলিয়ে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে একটানে বলে উঠে,
— আব, আসলে প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছি ঠিক সেদিন থেকেই তোমাকে আমার ভালো লেগে গিয়েছে। অনেকদিন চেয়েছি তোমায় বলতে কিন্তু কখনো সাহসে কুলোয় নি।কিন্তু আজ না বললেই নয়।অরিন আমি তোমাকে ভালোবাসি।খুব ভালোবাসি।প্লিজ না করোনা।
অরিন কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না।তার হাতের আইসক্রিমটিও ইতোমধ্যেই গলে রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। সেটা নিয়ে রাজ্যের আফসোস তার।কন্ঠে একরাশ তেজ নিয়ে খেঁকিয়ে উঠে অরিন,

— এই কি করলেন টা কি আপনি হ্যা,আপনার জন্য আমি আমার পছন্দের আইসক্রিম টা খাওয়ার আগেই গলে রাস্তায় পড়ে গেলো।সামনে থেকে সরুন আমার। আপনাকে দেখলেই এখন আমার মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে।
অরিনের কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় সিহাব।ও মেয়েটাকে প্রপোজ করছে আর মেয়েটা কি না একটা সামান্য আইসক্রিম এর জন্য এতটা রিয়েক্ট করছে।সিহাবের এমন ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া দেখে হেনা আর ফারিয়া মুখ টিপে হাসতে থাকে।সিহাব তো আর জানেনা অরিন কেমন। এই মেয়ে এসব লাভ,রিলেশন এসবে একদম তোয়াক্কা করে না।সারাদিন বাড়িতে ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে হই হুল্লোড়, পড়াশোনা, ফ্রেন্ডসদের সাথে আজিব আজিব বিষয়গুলো নিয়ে গসিপ এসবেই যেনো তার লাইফ বিন্দাস চলছে। প্রেম অথবা রিলেশনশিপের জন্য সময় কই।
সিহাবকে এমন হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবার খেঁকিয়ে বলতে থাকে অরিন,

— এই এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেনো? সামনে থেকে সরতে বলেছি না।আমি বাসায় যাবো। যেতে দিন সরেন।
এই বলে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নেয় অরিন কিন্তু এরই মাঝে সিহাব বলে উঠে,
— অরিন আ’ম সরি আমার জন্য তোমার আইসক্রিম নষ্ট হলো।দরকার হয় আমি তোমায় আরও কিনে দিবো তবুও অন্তত আমার প্রপোজালের রিপ্লাই টা দাও।

— এই কি বললেন, আপনি আমায় আইসক্রিম কিনে দিবেন মানে? আমাকে কি আপনার ফকির মনে হয়? আমার কি আইসক্রিম কেনার ক্ষমতা নেই নাকি যে আপনার থেকে নিতে হবে।শুনুন মিস্টার এসব ফালতু কথা আর আমার সামনে কখনো বলবেন না।আর রইলো আপনার প্রপোজালের রিপ্লাই দেওয়ার কথা, তাহলে শুনুন আমি এখনো অনেক ছোটো। এসব প্রেম, রিলেশন বড়দের কাজ।ছোটরা করলে আল্লাহ পাপ দেবে।ওকে বায়। বলেই আর এক মুহূর্ত দাড়ালো না অরিন। সামনে থেকে আসা এক রিকশায় উঠে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেয় সে।এদিকে সিহাব হতবুদ্ধি হয়ে এখনো চেয়ে আছে অরিনের যাওয়ার পানে।অরিনের বান্ধবীরাও এতক্ষণে পিছন থেকে চলে গিয়েছে। তাদের আর দাড়িয়ে থেকে কি লাভ।তারা তো জানে অরিন এমনই।অরিন এসব ঠাট্টা করে বললেও তারা তো জানে অরিনের কিশোরী মনে একজন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। অরিন যে তাকে ছাড়া অন্য কারো কথা স্বপ্নেও ভাবে না।মাঝে মাঝে তাদের অরিনের জন্য বেশ চিন্তা হয়,না জানি ওর এমন পাগলামি ওর জন্য কাল হয়ে দাড়ায় কি না। যদি রৌদ্র ভাইয়ের জিবনে অন্য কোন মেয়ে থাকে তাহলে অরিন তা সইতে পারবে তো?

এদিকে সিহাবের এতক্ষণে হুশ ফিরে তার বন্ধুর হর্ণ বাজানোর আওয়াজে। সে এখনো ভেবে চলছে এই মেয়ে বললো টা কি তাকে? সে নাকি এখনো ছোট? লাইক সিরিয়াসলি! যেখানে বর্তমান যুগের ক্লাস সেভেনে পড়া পিচ্চিদেরও নিব্বা-নিব্বি মার্কা প্রেম চলে সেখানে এই মেয়ে আর কয়েকদিন পর অনার্সে উঠবে সে নাকি এখনো ছোট, তার নাকি প্রেম করার বয়স হয়নি।হা! বেশ বুঝতে পারছে সিহাব এই মেয়ে ওকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই হয়তো এমনটা বলেছে। কিন্তু সিহাবও কম যায় না। ও তো অরিনকে পটিয়েই ছাড়বে। বাইকে উঠতে উঠতেই হালকা বাঁকা হেসে বিড়বিড় করে বলে উঠে সিহাব,
— সুন্দরী সিহাব সিনহার হাত থেকে পালানো এত সহজ না।যেহেতু আমার নজরে একবার এসেছো তাহলে তোমার তো আমার হতেই হব।বাই হুক ওর বাই ক্রুক।

অরিন বাসায় ফিরতে ফিরতে ১:০০ বেজে গেছে। সে নিজের রুমে গিয়ে গোসল করে একেবারে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে।ড্রয়িং রুমে বসে আছে পুতুল, আহি ও মাহি। টিভিতে খুব মনোযোগ সহকারে কি যেন একটা মুভি দেখছে তারা।অরিনও গিয়ে তাদের পাশে বসে পড়ে। অরিন বসে থেকে হুট করেই পুতুলের গাল দুটো টেনে দেয়।
— উঃহ অরিপু। ব্যাথা লাগে তো।
চোখ মুখ কুচকে বলে উঠে পুতুল।
— অঅঅ সোনা পুতুল ব্যাথা পেয়েছিস। উম্মাহ

বলেই টেনে দেওয়া গালে একটা ছোট্ট চুমু খায় অরিন।অরিনের চুমু পেয়ে গলে যায় পুতুল। খিলখিলিয়ে হেসে উঠে সে।এদিকে আহি মাহিও ওকে আরেকটু হাসাতে পেটে সুড়সুড়ি দিতে থাকে।বেচারা পুতুল এবার শরীর দুলিয়ে হেসে উঠে। হাসতে হাসতে যখন চোখে পানি জমে আসে তখনি ছেড়ে দেয় ওরা।চারজনের এমন হাসি ঠাট্টায় পুরো ড্রয়িং রুম রমিয়ে উঠে।বেশকিছুক্ষন পর সকলে উঠে ডাইনিং এ চলে যায়। অরিনসহ সকলে বসে খেতে। কবির সাহেব অরিনকে দেখে জিজ্ঞেস করেন,
— অরিমা।পড়া কেমন চলছে।কোন সমস্যা হচ্ছে না তো? হলে বলো কিন্তু। দরকার হয় বাসাতেও প্রাইভেটের ব্যাবস্থা করবো।
— না বড় আব্বু। আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা হচ্ছে না আমার পড়া বুঝতে। তবুও কোন সমস্যা হলে জানাবো তোমায়।

—আচ্ছা। বলেই খেতে শুরু করলেন কবির সাহেব।
এদিকে অনিক বসেছে অরিনের সাথে। অরিনকে এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছে সে। অরিন মাছের কাটা বেছে খেতে পারে না।অনিক বেশ যত্ন করে প্রতিবার বোনের জন্য মাছের কাটা ছাড়িয়ে দেয়।আজ ও ব্যাতিক্রম নয়।ওদিকে রুহি অরিন অনিকের এমন মিষ্টি ভালোবাসা দেখে প্রতিবারই ছোট্ট নিশ্বাস ছাড়ে। তার ভাইটাও যে তাকে বেশ আদর করতো, আগলে রাখতো।কিন্তু কতগুলো বছর হলো সে এখন কাছে নেই।ভিডিও কলে দুজনের মাঝে কথা বললেও কি আর সব হয়।রুহিও বেশ মিস করে নিজের ভাইকে। রুহির এমন চিন্তা -ভাবনার মাঝেই কউ তার পাতে মাছ উঠিয়ে দিয়েছে। চোখ ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখতে পায় অনিক তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।পরক্ষণেই রুহির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠে অনিক,

— এখন আমি দিচ্ছি। এই তো আর একসপ্তাহ এর পরেই ভাইয়া চলে আসলে সেই তোকে নিজ হাতে এগিয়ে দিবে।এখন খাওয়া শুরু কর।
অনিকের কথায় ঠোঁট ছড়িয়ে হাসলো রুহি।তার এই ভাইটাও তাকে এত বুঝে।কি সুন্দর কিছু না বলাতেও সবটা বুঝে ফেললো যে রুহি রৌদ্র কে মিস করছে।
সকলের খাওয়ার মাঝেই কবির সাহেব বলেন,
— তা রৌদ্র তো আমায় কল দিয়ে বললো ও আগামী সপ্তাহে আসছে। এখন কথা হচ্ছে ছেলেটা কে আনতে কে কে যাবে তোমরা?
— ভাইজান রোদ তো বললো কারোর যাওয়ার নাকি প্রয়োজন নেই সে নাকি একাই আসবে।
সহসা সাব্বির সাহেব বলে বসেন।
—হুম কি যে করি ছেলে টা কে নিয়ে। আমরা গেলে কি এমন হবে। সবসময় এক রোখামি।
নাখোশ হয়ে বলেন কবির সাহেব।
— থাক না ভাইজান। ছেলেটা যখন বলেছে ও একাই আসবে তাহলে আর এ বিষয়ে আলাপ করে লাভ নেই।
খেতে খেতে বললেন তায়েফ এহসান।
এমনই কিছু টুকটাক কথার মধ্য দিয়ে সকলে খাবার শেষ করে। আজ এহসান বাড়ির কর্তারা সকলেই রৌদ্রর আসার খবর পেয়েই হাফ ডে ডিউটি করেই চলে এসেছে। না জানি যেদিন রৌদ্র আসবে সেদিন কি করবে।

সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ৩

বিকেল ৫:০০। গোধূলি লগ্নে আকাশ যেনো এক অন্য লালিমা সৌন্দর্যে রুপান্তরিত হয়েছে। অরিন মুগ্ধ হয়ে ছাদে দাড়িয়ে আকাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। হঠাৎ করেই মনে পড়লো আজ দুপুরের কথা।সিহাবের প্রপোজালে খুশির চেয়ে বরং দুশ্চিন্তা বেশি হচ্ছে তার। কেননা এই পর্যন্ত অরিনকে যে কয়জন প্রপোজ করেছে প্রত্যেকেই প্রপোজের পরের দিনই গুরুতর আহত হয়েছে।কারোর কখনো বাইক এক্সিডেন্টে হাত ভেঙেছে তো কারোর রাস্তায় গাড়ির সাথে। মাঝে মাঝে তো অরিন ভেবেই পায়না এসব কি শুধুই একটা কো ইনসিডেন্স নাকি কেউ ইচ্ছে করে করছে।কিন্তু পরক্ষণেই আবার ভাবে কেউ ইচ্ছে করে করলে তো অন্তত অরিনের সামনে আসতো সে কিন্তু কই না তো কেউই তো আসলে না। আবার ভাবে এসবটা যদি কো ইন্সিডেন্ট হয় তাহলে পরপর এতগুলো কেমনে।নাহ আর ভাবতে ভালো লাগছে না অরিনের। এরই মাঝে ঘাড়ে কারোর শীতল স্পর্শ পায় অরিন,,,,,

সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি পর্ব ৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here