সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ১
বুশরা আহমেদ
জীবন বড়ই অদ্ভুত সময় কীভাবে চলে যায় বুঝায় যায় না,সময় আর পরিস্থিতির কাছে সবাইকে হার মেনে নিতে হয়,, নিজের প্রাইভেট প্লেনে বসে এই কথাগুলো ভাবছিল এক সুদর্শন ও পাওয়ারফুল পুরুষ যে চাইলে এই পৃথিবীর সব কিছু নিজের করে নিতে পারে । কিন্তু বলে না সব পাওয়ারফুল মানুষের একটা না একটা দুর্বলতা আছে ঠিক তেমনি আমার দুর্বলতা তুই,, আমার হৃদয় হরণী 🥀। তুই কবে আমার হবি। এই গুলো ভাবতে ভাবতে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো ,,।ঠিক তখনি একজন এসে বললো তারা আর কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বিডি তে ল্যান্ড করবে।সে খেয়াল করল তার বস এর হাতে একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।তার আর বুঝতে বাকি রইল না।এই ছবিটা নিয়েই তো এই
১৮ টা বছর কেটে দিয়েছে তার বস । তৌফিক জোবায়েদ,, দ্যা পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট আফ আর .এ অ্যান্ড দা সেকেন্ড বস অফ রয়েল গ্যাংস্টার। আর তার বস আর কেউ না দ্যা গ্ৰেট গ্যাংস্টার আন্ভ বিজনেস ম্যান অফ রয়েল গ্যাংস্টার আন্ভ আর .এ এর মালিক আ.ত.ম রায়হান আহমেদ রাহি। যার হাতের মুঠোয় সব কিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।
তৌফিক চলে যেতেই ,
হাতের মুঠোয় থাকা ছবিটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো রাহি আর বললো ” আর কয়েকটা ঘন্টা তার তোকে আমি দেখবো “হৃদয় হরণী। তুই আমার আমার হৃদয় হরণী। তোর জন্য এতো কিছু নিজেকে এতো কষ্ট দিয়েছি শুধু তোকে নিজের করবো বলে। “Coming soon dear”” কথাটা বলেই ছবিটার উপর চুমু খেয়ে নিজের বুক পকেটে রেখে দিল।
অন্য দিকে “আহমেদ মেনসন ” এ আজ সকাল থেকেই বিশাল আয়োজন করা হয়েছে “আজ বাড়ির বড় মেয়েকে দেখতে আসবে “সকাল থেকেই সবাই ব্যাস্ত ।সকাল থেকেই বাড়ির দুই কর্তৃ কয়একজন সার্ভেন্ট মিলে রান্না করছে । সকালে বাড়ির কর্তারা বাজার থেকে অনেক রকম বাজার করে নিয়ে আসছে।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
কোমর ছুই ছুই চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া পড়নে ডিলে ডালা গেঞ্জি আর প্লাজু গোলগাল চেহারা, চোখ দুটো বড় বড় পাঁপড়ি বিশিষ্ট টান টান,গায়ের রং দুধে আলতা, যাকে বলে লাল ফর্সা।মুখটা বাড়িয়ে দৃষ্টি ওই নীল আকাশে ,জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভাবছিল “কি অদ্ভুত নিয়ম তাই না কত স্বপ্ন ছিল মেডিকেল পরবে বড় হতে হতে সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল তারপর ভাবলো ভার্সিটি তে যে করেই হোক চান্স পেতেই হবে তাও হলে না। আম্মু বলেছিল ভার্সিটি তে চান্স না পাইলে বিয়ে দিয়ে দিব ।তাই বলে এতো তাড়াতাড়ি। আমি এতোটাই পর আর বোঝা হয়ে গেছি কিছুটা অভিমান জাগলো মেয়েটার।
আফরিন এসে বললো “আপু রেডি হয়ে নে তারাতাড়ি, আম্মু আর বড় আম্মু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে যেতে বললো। “আফরিন আহমেদ নাহার”
আহমেদ মেনসন এর ছোট মেয়ে।আজ তার বড় বোনকে দেখতে আসবে।
আপু জানিস ভাইয়া তো দেখতে অনেক হ্যান্ডসাম।তুই ভাইয়ার পিক দেখছিস? বল কেমন লাগছে? দ্যা হার্ট সার্জারিস্ট ডাঃ মাহিম জায়িন আমার দুলাভাই ভাবতেই কি আনন্দ হচ্ছে ।
আপর পাশ থেকে আফরিন এর বড় বোন বললো “না দেখি নি,,তোর এতো ভাবতে হবে না আমার মেটার আমি বুঝবো । তুই যা ।
আফরিন বললো ভাবতে চাই না আজ তোকে দেখতে আসবে বলে একটু বলতে আসছি ।তুই আমার বড় বোন ভাবতেই চাই না ।
“ভাবতে হবে না” অপর পাশ থেকে।
তুই চলে গেলে এই বাড়িতে আমি একা রাজ করবো।আমি হবো একমাত্র রাজকন্যা।
এই হলো দুই বোনের সম্পর্ক সব সময় ঝগড়া লেগেই থাকে কিন্তু কারো কিছু হলে সবার আগে তারা ঝেঁপে পরে একে অপরকে জন্য।
“বুশরা আহমেদ নুর” আহমেদ মেনসন এর বড় মেয়ে ,,যাকে আজকে দেখতে আসবে। আফরিন চলে যেতেই ।
আয়ান এসে বললো বুশরা আপু আব্বু নিচে তোমাকে ডাকছে।
বুশরা আয়ানকে কোলে নিয়ে বললো চলো।
মোহাম্মদ আয়ান আহমেদ। বুশরা & আফরিন এর ছোট ভাই।
বুশরা নিচে আসতেই দেখতে পেলে সোফায় তার আব্বু আর বড় আব্বু বসা ।আর একদিকে আফরিন আর রাদ ফোন নিয়ে কি যেন করছে।
বুশরার আব্বুরা তিন ভাই বোন। দুই ভাই এক বোন। বুশরার বড় আব্বু “হাফিজুর আহমেদ নাবীল,,”তার দুই ছেলে ছোট ছেলে রিফাত আহমেদ রাদ বড় ছেলে আ,ত,ম রায়হান আহমেদ রাহি।। ভাবতে চায় না তার কথা বুশরা।যে বিদেশ এ যাওয়ার পর সবার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও । বুশরার সঙ্গেও কথা বলতে চাইতো কিন্তু বুশরা তখোন দিনাজপুর তার নানি বাসায় থাকতো। পরে বুশরা যখন কথা বলতে চাইতো রাহি ব্যস্ততা দেখাতো।
বুশরার আব্বু ” রেজা আহমেদ আদীব” আর তার দুই মেয়ে এক ছেলে বুশরা, আফরিন, আয়ান।
আর তার ফুফি যাকে সে ভালো মনে করতো কীন্তু তার মায়ের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করাই এখন তার রাগ হয়।তার ফুফির এক ছেলে এক মেয়ে। রাকিবুল ইসলাম আর আনিকা ইয়াসমিন।
বুশরা আয়ান কে কোল থেকে নামিয়ে সোফায় বসলো । আয়ান ফোনে গেমস্ খেলতে ব্যাস্ত।
“আব্বু ডাকছো”
মেয়ের কথা শুনে মাথা তুলে তাকালেন রেজা আহমেদ , বললেন
আজকে তোমাকে দেখতে আসবে আম্মু তুমি তো জানোই। আমার বন্ধুর ছেলে মাএ ইন্টার্নি শেষ করে দেশে ফিরে এসেছে। তোমার কোন আপত্তি নেই
তো??
বুশরা কি বলবে কিছু বুঝতে পারলো না।
পাশ থেকে বড় আব্বু বললো”কি মামনি তোমার কি কাউকে পছন্দ??”
বুশরা অস্পষ্ট স্বরে বলল না!!একের পর এক গাড়ি এসে থেমেছে আহমেদ মেনসন এর সামনে। সামনে থাকা বিএমডব্লিউ গাড়িতে বসে আসে বাড়ির বড় ছেলে। তৌফিক এসে দরজাটা খুলতেই রাহি নেমে এলো। হাতের ইশারা করতেই বাকি তিনটি গাড়ি চলে গেলে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায়।
রাহি কোন কাজে গেলে বরাবরই “বিএমডব্লিউ ” ব্যবহার করে। তাছাড়া সে যখন একা বের হয় তখন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী এবং বিলাস বহুল গাড়ি “রোলস রয়েস লা রোজ নোরে ড্রপটেইল “ব্যবহার করে যার দাম তিন কোটি মার্কিন ডলার।সেই গাড়িতে সে এখনো পর্যন্ত কাউকে উঠতে দেয় নি কারণ সে তার প্রিয়সিকে প্রথম সেই গাড়িতে উঠাবে ও তাকে নিয়ে সে লং ড্রাইভে যাবে বলে ।কত স্বপ্ন তার প্রিয়সিকে নিয়ে।
অথচ সে জানেই না আজ তার প্রিয়সিকে কেউ দেখতে আসবে।
বুশরা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল। তার কেন জানি ইচ্ছে করছে না বিয়ে টা করতে।একটু পরেই বুশরার আম্মু মিসেস: রেবেকা সুলতানা অরফে রেবেকা আহমেদ রুমে এসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।আর বললো কি আম্মু “তোমার মন খারাপ? জীবনটাই এমন দেখলে না যাকে ভালোবাসছিলে সেও অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখে আছে।
“আম্মু প্লিজ ,ওইটা ভালোবাসা না আবেগ ছিল। আর স্কুল লাইফটা এমনি।আমি ভুল করেছি।আর আমার মন খারাপ না। আমি চাইনি এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে। কিন্তু কিছু তো করার নাই আমি কোথাও চান্স পেতেই পারিনি। তোমার বোঝা হয়ে গেছি।তাই আমিও চাই চলে যেতে।
এরই মধ্যে রুমে প্রবেশ করলো বুশরার বড় আম্মু রোকসানা আহমেদ
“এই ভাবে কেউ কথা বলে আম্মু এর সঙ্গে।তুমি আমাদের মেয়ে ।মেয়েরা কখনো বোঝা হয় না মায়ের কাছে। তোমার কি বিয়েতে মত নেই মামনি? মাহিম কিন্তু ভালো ছেলে।তুমি আগে দেখ পছন্দ না হলে আমরা না করে দিব । রেডি হয়ে নেও আম্মু।
বুশরা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো।
বড় আম্মু আর আম্মু চলে যেতেই বুশরা রেডি হতে লাগলো। সাদা রঙের থ্রি পিজ পরে নিলো । সঙ্গে হালকা মেকআপ,কানের দুল,গলায় একটা লকেট।বুশরা এইটা জন্মের পর থেকেই পরে থাকে। লকেট টাই হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো বুশরা এই লকেট টাই এক পাশে B অপর পাশে R দেওয়া। এই টুকু জানে যে এই সোনার লকেটা এই বাড়ির বড় ছেলের দেওয়া। তার যখন তিন বছর তখন চলে এই বাড়ি থেকে আমিরিকায় ।কবে ফিরবে কেউ জানে না। বুশরার যখন ছয় বছর তখন আফরিন হয় সেই জন্য বুশরা কেউ পাঠিয়ে দেয়া হয় তার নানি বাসায় দিনাজপুর এ এইগুলোই ভাবছিল বুশরা।
রায়হান আহমেদ রাহি বাসায় প্রবেশ করে দেখলো তার আব্বু আর ছোট আব্বু সোফায় বসে আসে। সবাই অনেক অবাক হলো হুট করে রাহির আসার কারণে।রাহিকে দেখা মাএই মিসেস , রোকসানা ছেলেকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিল ।তার ছোট আম্মু ও জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো । রাহি আয়ানকে কোলে নিয়ে আদর করলো । আয়ান বললো “রাহি ভাইয়া”।তারপর আফরিন আর রাদ এসে জরিয়ে করলো।
বুশরা নিচের শব্দে ভাবনা থেকে বাস্তবে আসলো।ভাবলো হয়তো তাকে যাদের দেখতে আসার কথা তারা চলে এসেছে।
রাহির আব্বু বললো ” কী বেপ্যার রাহি কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে এলে ” ঐ দিকে সব ঠিক আছে তো । তোমার আর .এ কম্পানি কেমন চলছে। তোমার শরীর ঠিক আছে তো??
ছোট আব্বু বললো” কি হলো কিছু বলছো না, তোমার কি কিছু হয়েছে “।? তৌফিক কি হলো রাহি এর কি কিছু হয়েছে।না জানিয়ে চলে এলো??
তৌফিক কিছু বলবে তার আগেই রাহি বললো ” কিছু হয় নি সব ঠিক আছে। তোমাদের যদি জানাতাম তাহলে সারপ্রাইজ হতো কিভাবে। আর ছোট আব্বু আমি বড় হয়ে গেছি বুঝছো এখন আমাকে নিয়ে তোমাদের এতো টেনশন করতে হবে না।” রাহি বসে আসে ঠিকই কিন্তু তার দু’চোখ অস্থির হয়ে গেছে তার প্রিয়সিকে দেখার অপেক্ষায়।
ঠিক তখনি ছোট আব্বু বললো “নিশ্চিত হলাম,আমরা অনেক স্যারপ্রাইজড ।তবে আজকে আর একটা গুড নিউজ আছে ” আজকে বুশরাকে দেখতে আসবে আমার বন্ধুর ছেলে তুমি তো চিনো মাহিম কে । তার সঙ্গেই বিয়ে দিব ঠিক করছি আর বাকিটা আল্লাহ ইচ্ছা।
কথাটা শুনেই রাহির মাথা গরম হয়ে গেল মনে হচ্ছে আগুনে কেউ ঘি ঢেলে দিছে ।। তৌফিক রাহিকে শান্ত করার ট্রাই করতেছে।
রাহির আম্মু বলে উঠলো ” কিরে এখনো বসে আছিস কেন তোর রুম পরিস্কার করা হয়ে গেছে ।যা ফ্রেস হয়ে নে।রাহি দু’চোখ লাল হয়ে গেছে তাকে দেখে মনে হচ্ছে সব ধ্বংস করে দিবে। তৌফিক ভয়ে একটা শুকনো ঢোক গিললো ।রাহি রুমে গিয়ে দরজা টা টাস করে লাগে দিল।আর মনে মনে বললো “এতো সখ তাই না তোর বিয়ে করার “আমিও দেখি কী করে বিয়ে করিস ওই ছেলে কে।।রাহি তৌফিক কে ফোন করে রুমে আসতে বললে তৌফিক রুমে আসে । তারপর কিছু একটা বলতেই তৌফিক বলে কিন্তু এইটা কী ঠিক হবে ।
রাহি রেগে গিয়ে বলল ” আমার প্রিয়সিকে দেখতে আসার অধিকার আমি দেই নি “!! তাও সে আসতেছে ।ওর ভাগ্য ভালো ওকে জীবিত রাখতে বলেছি । কেউ যদি আমার প্রিয়সির দিকে চোখ তুলে তাকাই আমি তার চোখ তুলে নিব।তৌফিক আর কিছু বলে না ” সে জানে কোন কিছু বলে লাভ নাই কারণ এই একটা মেয়ে যার জন্য তার বস জীবন দিতেও রাজি।যার জন্য এতো কিছু করেছে।
আফরিন বুশরার রুমে গিয়ে বললো আপু আপু রাহি ভাইয়া ফিরে এসেছে।
রাহি নামটা শুনে চমকে উঠলো বুশরা বুকের ভীতরে এক অজানা ভয় আর অস্থিরতা কাজ করতে লাগলো ,ব্যাথা হতে লাগলো বুকের বা পাশে।
বুশরা বললো” কিন্তু কেউ তো আমাকে বলে নি রাহি ভাইয়া এতো বছর পর দেশে ফিরবে??!বুশরার মনের মধ্যে এক সুক্ষ অভিমান জন্ম নিল । ফোনে মানুষটাকে অনেক দেখেছি ব্যাস্তবে কেমন সে।
আফরিন বললো “ভাইয়া সারপ্রাইজ দিবে বলে কাউকে জানাই নি”!!
এখন চল নিচে সবাই অপেক্ষা করছে।
“আহমেদ মেনসন” এর ডাইনিং এর সোফায় বসে আসে মাহিম ও তার পরিবার । তাদের সামনে বসে আসে আহমেদ মেনসন এর দুই কর্তা আর রাহি ।রাহির চোখ মুখ গম্ভীর।সেই তখন থেকে ফোনে চোখ দিয়ে আসে মনে হচ্ছে তার আশে পাশে কেউ নেই।
বুশরা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে যাবে তখনি তার দু চোখ থেমে গেল সিঙ্গেল সোফায় বসা সুদর্শন পুরুষটার উপর।
একমনে ফোনে তাকিয়ে আসে । গায়ের রং, উজ্জ্বল ফর্সা,মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি ,তার মাথায় কালো স্লিকি চুল গুলো জেল দিয়ে পিছনে ফেলে দেওয়া। নাকের ঠিক সাইডে চোখের অনেকটা নিচে সেই কাঁটা দাগটা যেন আরো সুন্দরর্য বারিয়ে দিয়েছে। এই গুলো ভাবতে ছিল তখনি আফরিন বললো কি রে সবাই ডাকছে চল কী এতো ভাবতেছিস। নিচে গিয়ে সবাইকে সলাম দিল বুশরা। কিন্তু তার নজর ছিল শুধু রাহির দিকে গম্ভীর মুখটা দেখে বুশরা ভাবলো “রাহি ভাইয়া কি কোন কারণে রেগে আছে”। ঠিক তখনি মাহিম এর আম্মু বললো তাদের বুশরাকে অনেক পছন্দ হয়েছে।তারা মত দিলে বিয়ের দিন ঠিক করবে ।।
বুশরা আব্বু আর বড় আব্বু বললো তারা খুব তাড়াতাড়ি জানাবে ।মাহিমরা চলে যাওয়ার অনেক্ষণ পর রাহি বুশরার রুমে আসে । বাথরুম থেকে পানি শব্দ আসতেছে রাহির বুঝতে বাকি রইলো না বুশরা কোথায়।রাহি রুমের চারিদিকে দেখছে “চারিদিকে সাদা রুমের কালার থেকে শুরু করে বেড এর চাদর সব কিছু”আসলে বুশরার সাদা রঙ খুব পছন্দ তাই রুমের থিম টাও সাদা । কিন্তু রাহির ঠিক উল্টো তার রুমের থিম ব্লাক । রাহির রুমে ডুকলে মনে হয় ভুতুড়ে রুমে।তার দেখা দেখি আফরিন আর রাদ এর রুম টাও তাদের পছন্দের রং এ সাজানো,, আফরিন এর পিঙ্ক কালার আর রাদ এর সবুজ।
বুশরা বাথরুম থেকে বের হতেই দেখলো তারা বেডে শুয়ে আসে রাহি । বুশরা কি করবে বুঝতে পারছে না। তার কথা জানো হারিয়ে গেছে।কারণ বুশরা শুধু টাওয়াল পরে আছে
রাহি চোখ বন্ধ করেই বললো “এই ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি??”
বুশরা বুঝতে পারলো না কিভাবে বুঝলো রাহি যে সে এখানে দাঁড়িয়ে আছে ,, কিন্তু কিছু না বলেই ওয়াড্রোপ থেকে গেঞ্জি আর প্লাজু নিয়ে আবার বাথরুমে চলে গেল।বুশরা বের হলো তখন দেখলো রাহি বসে ফোন স্ক্রল করছে ।
বুশরা বললো” ভাইয়া তুমি এতো রাতে” কিছু বলবে?
তৌফিক ভাইয়া কোথায়, আমার সঙ্গে এখনো দেখা করলো না কেন? রাহি উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না।
রাহি এক টানে বুশরাকে তার কোলে বসিয়ে দিয়ে চুল গুলো মুছে দিতে লাগলো । বুশরার হার্টবিট অনেক টা বেড়ে গেল বুকটা চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো ।”ভাইয়া কি করছো ?
রাহি এক ধমক দিল “চুপ একটা কথাও বলবি না”।।
অস্পষ্ট স্বরে বলল “প্রিয়সী , আমার হৃদয় হরণী কবে এতো বড় হলি ?!! বুশরা শুনতে পেল না কি বললো রাহি ।
কিন্তু আর জিজ্ঞেস করল না।
চুল মুছে দিতে দিতে রাহির চোখ গেল ডান ঘাড়ে থাকা বিউটি স্পট এর দিকে ।রাহি দুর্বলতা অনুভব করলো । চুলের পানি পরাই তিলটা চিক চিক করছে। চোখ সরাতেই চোখে পরলো বাম বাহুতে থাকা তিলটার দিকে যা কিছুটা বড় আর লোভনীয়।রাহি বলল না এইভাবে আমি বেশি দিন নিজেকে সামলাতে পারবো না তোর কাছ থেকে দুরে রাখতে।রাহি হাসকা টানে বুশরা কে উঠিয়ে দিয়ে ধমক দিয়ে বলল”এই ভাবে গেঞ্জি পরে আর আমার সামনে আসবি না” বলেই চলে গেলে।
বুশরা কে কথা বলার সুযোগ দিল না ,”বুশরা বিরবির করে বললো নিজেই আমার রুমে আসছে আবার নিজেই বলে যে আমার সামনে আসিস না।!!সাইকো একটা।