vilen part 13
আনু
রোজি আস্ত আস্তে নেমে আসে দাড়াতে পারছে নাহ তাই ফ্লোরে বসে পরে। তাও এই ব্যথা বাদ দিয়ে বলে,
রোজি : যেতে দিন?
নিলয় : কীসের যাওয়া?
রোজি : মানে? আপনি না যেতে দিবেন?
নিলয় : আমার রাজ্যে আসা যায় কিন্তু যাওয়া যায় নাহ!
রোজি ব্যথায় রাগে রি রি করতে করতে বলে,
রোজি : আমাকে ডিভোর্স দিন আমি থাকতে চা..
নিলয় তেড়ে যায় রোজিকে বসা থেকে তুলে চুল ধরে দেয়ালে ছুড়ে মারে। রোজি ছিটকে পরে। নিলয় নিজের মধ্যে নেই। নিলয় নিজের সাইকো রুপে বের করে এনেছে,
নিলয় : ডিভোর্স চাই এই জনমে কেন কোনো জনমেই পাবিনা!
রোজি : চাই আমি চরিত্রহীন এর সাথে থাকতে চাই নাহ!
নিলয় হঠাৎ নিজের বেল্ট খুলে এটা দেখে রোজি ডোক গিলে। আর বলে,
রোজি : কী কী কী করবেন এটা দিয়ে?
নিলয় কিছু না বলেই বেল্ট খুলে রোজিকে মারতে থাকে। রোজি ভাঙা গলায় চিৎকার করতে থাকে।
রোজি : আমায় আমায় আমার ব্যথা লাগছে নিলয়।
নিলয় তাও থামে নাহ মারতেই থাকে। নিজের শরীরের শক্তি দিয়ে মারছে। রোজি প্রতিটা আঘাতে চিৎকার করছে।
রোজি : আহহ, দয়া করুন, আমি আর পালাবো নাহ। আহহ!! কোথাও যাবো নাহ। এখানেই থা আহহহ থাকবো। নিলয়ের থামার নাম নেই।
রোজি আর না পেরে নিলয়ের পা দরে বসে,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
রোজি : নিলয় আমার আর মারবেন নাহ। আমি মরে যাবো। আমি পারছি নাহ নিলয়।
রোজি আর সহ্য করতে না পেরে একসময় মেঝেতে লুটিয়ে পরে। মাটিতে শুয়ে নিভু নিভু দেখতে পায় নিলয়ের চোখের খোব।
রোজি নিচে পরে মারের আগাথে ছটপট করছে গলাদিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে নাহ!
নিলয় আরও বেশ কিছুখন রোজিকে মারে। রোজি নিথর হয়ে পরে আছে জায়গায় জায়গয় রক্ত। রোজি আর চিৎকার করে নাহ চুপ হয়ে যায়। কামড়ের স্থান এ লাগায় রক্ত ঝরছে। পা থেকে রক্ত ঝরছে নিলয় এক সময় শান্ত হয়ে বাহিরে চলে যায়। রোজি ওখানে পড়ে আছে।
প্রায় ৩ ঘন্টা পর নিলয় টলতে টলতে রুমে এসে শুয়ে পরে রোজি সেই ভাবেই শুয়ে থাকে।
সকালে নিলয় এর ঘুম ভাঙলে দেখে রোজি নিচে পরা শরীরে কাপড় নেই বললেই চলে। নিলয় দেখলো রক্ত আর রক্ত তার রোজ এর রক্ত। নিলয় দৌড়ে গেলো,
নিলয় : রেজ? এই রোজ ওপেন ইয়োর আই?
কিন্তু রোজ উঠে নাহ। নিলয় আবার ও বলে,
নিলয়: রোজ জান উঠো প্লিজ?
রোজি উঠছে নাহ দেখে। নিলয় বলে,
নিলয় :এই শালী ওঠ নাহ? কত জ্বালাবি?
নিলয় রোজির নাকে হাত দেয় দেখে শাস অনেক আস্তে চলছে। নিলয় বুঝতে পারে রোজির অবস্থা ভালো নাহ। নিলয় আর দেরি না করে ডক্তার ডাকে ডাক্তার এসে দেখে মলম,ইনজেকশন পুশ করে।
কিছুখন পর ডাক্তার বলেন,
ডাক্তার : ওনাকে এইভাবে মারা ঠিক হয়নি উনি খুবই বেশি উইক।
নিলয় : এইসব আমি আপনার কাছে জিজ্ঞেস করিনি আপনি ট্রিটমেন্ট দিয়ে এখান থেকে যান।
নিলয়ের কথা শুনে ডাক্তার আর কোন কথা বাড়ায় না তিনি ট্রিটমেন্ট করে চলে যায়।
আজ আকাশটা দেখতে খুব সুন্দর। চারিদিকে সুন্দর পরিবেশ মেইনলি নিলয়ের বাড়ীটা বেশি পরিপাটি, বাড়ীটা দোতালা ডুপ্লেক্স, বাড়ী থেকে বের হলেই ফল-ফুলের গাছ।
রোজির কাল রাত আর জ্ঞান ফিরেনি। নিলয় রোজির সাথে জতোই খারাপ বিহেব করুক কুন্তু নিলয় তো রোজিকে ভালেবাসে তাই নাহ?
রাতে রোজিকে আর না ডিস্টার্ব করে মেইডদের বলে সুপ বানিয়ে রোজিকে ঘুমের মধ্যেই খায়িয়ে দেয়,রোজিও ঘুমের ঘোরে খেয়ে নেয়।
নিলয় ও খেয়ে রোজিকে আনড্রেস করে মলম লাগিয়ে দেয় তারপর নিজের একটা ডোলাডালা হুডি পরিয়ে দেয় নাহলে ওর ঘুমাতে কষ্ট হবে।
রোজির পা পুরো ব্যান্ডেজ করা পা থেকে কাচগুলো ডাক্তার বের করেছিলো যখন নিলয় ভাবছিলো আমি কী মানুষ?
নেশাগ্রস্ত হওয়ায় এমন হয়েছে নাহলে আমি রোজিকে কীভাবে এতো মারলাম? আল্লাহ আমার রোজিকে ভালো করে দেও।
রোজি আর নিলয় পাশাপাশি শুয়ে আছে রোজিতো অজ্ঞান কারন ডক্তর ওকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে।
নিলয় আস্তে আস্তে রোজিকে নিজের বুকে নিয়ে আর বলে,
নিলয় : রোজ জান আমার আমি ইচ্ছে করে এমনটা করি নি আম সরি বেবি। রোজ তবে তোমাকে আমি কয়েকদিন কষ্ট দিবো কারন তুমি আমায় অনেক কষ্ট দিবো। যতোদিন তুমি আমায় নাহ বুঝবে ততোদিন আমি তোমাকে এমনি কষ্ট দিবো!
সকালে রোজির আগে নিলয় উঠে যায় কারন সে রোজিকে দেখাতে চায় নাহ তার কেয়ারগুলি।
সকাল ১০ টায় রোজির চোখ খুলে শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হাত পা কোনোটাই নাড়াতে পারছে নাহ।একটু যে উঠে দেখবে তার ও কোনো সুজোক নেই।
নিলয় গোসল থেকে এসে দেখে রোজি চোখ খুলে একটু নরাচরা করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে নাহ। নিলয় নিজের মতো কাজ করতে লাগলো।
রোজি অনেক চেষ্টা করে একটু নরতেই শরীর জলে উঠে আর ব্যথা। রোজি আর না মিনমিনে গলায় নিলয় কে ডাকে,
রোজি : শুনছেন?
নিলয় : নিশ্চুপ!
রোজি : শুনছেন?
নিলয় শোনে নাহ দেখে রোজি উঠার চেষ্টা করে।
চোষ্টা করতেই কালকে নিলয় যেই ভাবে অন্তরঙ্গ হয়েছে পেট মোচর দিয়ে ওঠে সারা শরীর এর ব্যথা মাথা চারা দিয়ে ওঠে আর না পেরে আবার শুয়ে পরে ফুপিয়ে ওঠে,
নিলয় এর এবার বিষন খারাপ লাগছে। এবার একটু বেশি হয়ে গেছে। নিলয় আর কিছু না ভেবে কন্দনরত যুবতি রোজির কাছে গিয়ে রোজিকে বলে,
নিলয় : কী হয়েছে?
রোজি : আমি ওয়াসরুমে যাবো।
নিলয় : এখন আমি কী করবো?
রোজি : আমি উঠতে পারছি নাহ।
নিলয় : আমি মেডকে বলে দিচ্ছি ও নিয়ে যাবে আমি এতো সব পারবো নাহ!
রোজি : তাহলে বিয়ে করেছেন কেনো?
নিলয় রাগ সংবরন করে বলে,
নিলয় : চাহিদা মিটাতে!
রোজি চোখ ভরতি জল নিয়ে নিলয় এর দিক তাকায় কিন্তু নিলয় এগুলো পাত্তা না দিয়ে এরিয়ে যায় আর মেডকে ডাকে, মেড আসতেই নিলয় বলে,
নিলয় : ওকে ওয়াসরুম নিয়ে যাও And be carefull!!
মেড হ্যা সুচক সম্মতি দিয়ে রোজিকে যেই নাহ ধরেছে ওমনি রোজি চিৎকার করে ওঠে,
রোজি : আহহ!!
মেডও ভরকে যায় নিলয় বুঝতে পারে সারা শরীর ব্যথা মেডটি পারবে নাহ মেডকে যেতে বলে এবং সে রোজির দিকে এগিয়ে যায়।
যেয়ে রোজিকে আস্তে করে কোলে নিয়ে ওয়াসরুম থেকে ফ্রেস করিয়ে আনে।
রোজিকে আবার বিছানায় শুয়িয়ে দিবে কিন্তু রোজি নিলয়কে ছাড়ছে নাহ নিলয় বিরক্ত হওয়ার নাটক করে বললো,
নিলয় : কি হয়েছে?
রোজি : আমি মানে আমাকে একটু কোলে নিয়ে রাখুন নাহ?
নিলয় : পারবো নাহ।
নিলয় রোজিকে শোয়াতে নিলেই রোজি কেদে ওঠে আর বলে,
রোজি : এতোই ভারি আমি আমায় একটু কোলে নিতে পারছেন নাহ?
নিলয় এবার পরলো মহা মুসকিল এ সে আর না পেরে রোজিকে কোলে নিলো রোজি আবার বলে,
vilen part 12
রোজি : একটু হাটুন সং এর মতো দাড়িয়ে আছেন কেনো?
নিলয় হাটা ধরলো ৩০ মিনিট পর নিলয় রোজিকে বিছানায় শুয়িয়ে দিলো তখন খেয়াল করলো রোজির শরীরটা একটু গরম উষ্ন কিন্তু এতো মাথা গাটায় নাহ। সে ভাবলো এমনি হয়তো।