vilen part 21

vilen part 21
আনু

সকালে রোজির ঘুম ভাঙ্গেনি। মেড এসে বড় থাই গ্লাস থেকে পর্দাটা সরাতেই এক ঝলক রোদ এশে রোজির মুখে পড়ে। রোজি চোখ মুখ কুচকে নেয় কেননা হঠাৎ করে তার চোখে রোদ পড়েছে। চোখ মুখ কচলাতে কচলাতে রোজি উঠে বসে। বসে আশেপাশে তাকায় দেখে মেইড দাঁড়িয়ে আছে।
রোজা কিছু না ভেবে উঠে দাঁড়ায় আর মোড়া ভাঙ্গে এবং ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে।প্রায় ১৫ মিনিট পর রোজি বের হয়। ততক্ষণে মেড টি ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসে রোজি ঘরে বসে ব্রেকফাস্ট করে নেয়। ব্রেকফাস্ট ছিল ফ্রুট মিক্স আর হেলদি ভাবে হোয়াইট সোস উইথ পাস্তা। ব্রেকফাস্ট করে রোজি রুমে একটু পাইচারি করে।

কিন্তু রোজি একটা কথা চিন্তা করছে যে যেই লোক তার জন্য এতটা পাগল এতটা মাতোয়ারা সেই লোক কিছুদিন যাবৎ তার সাথে কেমন ব্যবহার করছে এবং রোজিকে অন্য ঘরে রেখেছে তার সাথে রাখছে না। রোজির ইদানিং রাত্রে ঘুমাতে খুবই কষ্ট হয় কারণ সে নিলয়ের বুক ছাড়া ঘুমাতে পারে না। খালি আশপাশ ফিরে কিন্তু ঘুম চোখে হানা দেয় না। সে আর কিছু ভাবে না মত রুমে বসে থাকে।
এদিকে, নিলয় নিজের মত কাজ করছে। রোজির উপর তীব্র রাগ থেকে তার এই এড়িয়ে চলা। নিল আজ সারাদিন নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে যেন রোজির সামনে যেতে না হয় রোজিকে যেন তার মনে না হয়। এমনি এমনি চলে গেল অনেক দিন।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সেদিন রাতে রোজি একটু ফ্রেশ হয়ে। নিজের চুলগুলো বাধঁছে অন্যমনস্ক হয়ে আর গুনগুন করছে। এমনি রোজির শারীরিক এবং মানসিক মন মানসিকতা একদমই ঠিক নেই।
এমন সময় নিলয়ের আগমন হয় রোজির রুমে নিলয় এসে রোজিকে এতটা পরিপাটি দেখে রেগে যায় কেননা নিলয় এখন রোজির কাছে আসে না তাহলে কেন সে এত পরিপাটি থাকবে। রোজি নিলয় কে খেয়াল করেনি নিজের মতো গুনগুন করছে আর চুল বাঁধছে।
নিলয় হঠাৎ করে রুম থেকে একটি কেচি নিয়ে রোজির সামনে যায়। সে রোজির কমর ছুইছুই চুলগুলো মুঠো করে ধরে ক্যাচ করে কেটে দিল।

কিছু কাটার শব্দ রোজি কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। রোজি ভাবছে কি কাটলো কিসের শব্দ হল। হঠাৎ সে আয়নার দিকে তাকালো দেখল নিলয় অগ্নি মূর্তি হয়ে রক্তবর্ণ চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে। রোজি কিছুটা হকচকিয়ে গেল নিলয়কে দেখে। এতদিন পর লোকটা তার সামনে এসেছে। রোজিত নিলয় কে দেখামাত্রই পেছনে ফিরলো দেখলো নিলয়ের হাতে অনেকগুলো চুল।
চুলগুলো এখনো বেনুনি করা অবস্থায়। এটা দেখে রোজির প্রাণ যায় যায় অবস্থা। নিজের চুলে হাত দিতেই দেখল কোমর ছুই ছুই চুল গুলো এখন কাদ থেকে কিছুটা নিচে। রোজি দপ করে নিচে বসে পড়লো আর চিৎকার শুরু করলো,

রোজি : কী করলেন কী করলেন আপনি আল্লাহ!!
নিলয় : হাহাহাাা কষ্ট হচ্ছে?
রোজি : আমার এতো শখের চু…..
রোজের কথা মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে নিলয় বলল,
নিলয় : এতোটুকু তো এত কষ্ট হচ্ছে তুই নিজেও তোমার শখের ছিলি?
রোজি : কি বলতে চান এখন আমি আর শখের নেই?
কাদতে কাদতে বল্লো রোজি,
নিলয় : নাহ!
রোজি : আমি পুরোনো হয়ে গেছি তো….
বলার আগেই নিলয় খপ করে রোজের চোয়াল চেপে ধরে,
নিলয় : কী বল্লি? আবার বল?

রোজি কিছু বলছে নাহ দেখে নিলয় রোজির হাত পিছনে মুচরে ধরে।
রোজি : আ হহহহহহহ ছাড়ুন আমায় নিলয়?
নিলয় : চুপ আমার সাথে এমন করার আগে মনে ছিলো নাহ এর ফলাফল কেমন হবে?
রোজি : দরকার নেই জানার আপনি নিজেও….
নিলয় রোজির হাত আরও জোরে চেপে ধরল রোজি চিৎকার করে উঠলো,
রোজি : আহহহহহ প্লিজ ছাড়ুন আহহহহহ,
নিলয় : এতো বড় অপরাধ করে এতো দেমাগ তোর?
রোজি : আপনি কী খুনি,মিথ্যাবাদি,চরিত্রহীন!!!
নিলয় : শালি ধান্দাবাজ কী বল্লি?
বলেই রোজিকে ঘুড়িয়ে দিল এক থাপ্পর। রোজি বিছানায় পরে গেলো। নিলয় তাও থামলো নাহ রোজির উপর উঠে ওর গলা চেপে ধরলো,
নিলয়: আমি খুনি,মিথ্যাবাদি মানলাম। কিন্তু চরিত্রহীন নাহ।
বহু কষ্টে রোজি নিজেকে নিলয় এর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ায়। দুজনে উঠে দাড়ায়। সেই মুহুর্তে রোজি চিংকার করে বলে,

রোজি : আপনি চ চরিএ হহহীন!
নিলয় : চরিত্রহীন তুই নাগরের জন্যে সাজছিস নিজেকে পরিপাটি করছিস।
বলেই রোজিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। রোজি বিছানায় পরে বালিশে মুখগুজে কাদতে থাকে।
সেদিনের পর নিলয় রোজির খেজখবর মেডদের কাছথেকে নেয় রোজির ধারে কাছেও যায় নাহ।
রোজি নিলয়কে দেখে নাহ কারন নিলয় রোজির ঘুম ভাঙর আগে অফিস যায়। রোজি ঘুমানের পর বাড়ী ফীরে। এভাবে কেটে যায় বহুদীন।
কিন্তু ইদানিং রোজির শারীরিক অবনতি হচ্ছে।
রোজি কিছু খেতে পারেনা কিছু খেতে নিলেই বমি করে দেয় হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘুরায় রোগের শরীরে এবং মুখে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে যা লক্ষণীয়।

চোখের নিচে কালি পরে গেছে, গাল চেপে গেছে,মুখ শুকনো। মেয়েটা অনেক শুকিয়ে গেছে
নিলয় একজন মেডকে রোজির ওপর সুগভীর দৃষ্টি দিয়ে রাখতে বলেছে। সকল মেডরা সকলের খেয়াল রাখলেও সেই মেডটি শুধু রোজির খেয়াল রাখবে। রোজির ছায়া হয়ে তার সামনে পিছনে থাকবে। সেই মেডটি রোজির এই অবস্থা কিছুদিন যাবত এটি ফলো করছে। নিলয় কে কিছু বলেনি মেডটি সে মনে করেছে সম্পর্কের অমিল তাই।
রোজি প্রতিদিনই নিজের সময় কাটাতে ছাদে বা বাগানে যায় হাঁটতে। আজ সে বাগানের দিকে চায় হাঁটার জন্য। তবে রোজির আজ খুবই দুর্বল লাগছে। সে বাগানে হাটতে হাঁটতে গোলাপ ফুল গাছের সামনে যায়। নিলয় এনের সারি সারি গোলাপ ফুলের গাছ মোটামুটি দেশি-বিদেশী সকল ধরনেরই গাছ আছে এখানে। দেশি-বিদেশি ফরমুল এর গাছ আছে। এমন কোন গাছ নেই যেখানে নেই। কেননা নিলয় অনেক টাকা খাইয়ে রোজি এর জন্য এগুলো এনেছিল।
রোজি গোলাপ ফুলের গাছের সামনে দিয়ে হাঁটছে।একটু পর রোজি তার জন্য বানানো নিলয়ের দাওয়া দোলনার কাছে যায়।

অতীত,
এ বাড়িতে আসার পর পর রোজি বলেছিল,
রোজি : বাগানে কিছু গাছ এবং একটা দোলনা বানালে খুবই ভালো হয় তাই না?
নিলয় : কেন তোমার কি দোলনা পছন্দ?
রোজি : হ্যাঁ খুব বেশি!!!
নিলয় : তোমার কি গাছপালাও খুবই পছন্দ?
রোজি : হ্যাঁ এগুলো আমার খুবই পছন্দ আমি যখন আমার বাবার বাসায় ছিলাম না? তখন আমি আমাদের বাগানে,ছাদে আর আমার ছোট্ট বারান্দায় আমি বাগান করেছিলাম।
নিলয় : আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমার জন্য দোলনা এবং দেশি-বিদেশি সকল ধরনের ফল ফুলের গাছ লাগাও হ্যাপি?

vilen part 20

রোজি : হ্যাঁ।
বলেই টুপ করে নিলয়ের গালে কয়েকটা চুমু খেয়ে বসলো । সেদিনই নিলয় রোজির দোলনা গাছপালা লাগিয়েছিল।
বর্তমান,
দোলনাটির কাছে গিয়ে রোজি অনেকক্ষণ দোল খায়। তারপর উঠে আশপাশ ঘুরতে থাকে কিন্তু কিছুটা সামনে যেতেই রোজি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। মেডটি দৌড়ে যায় যেয়ে দেখে রোজি অজ্ঞান এর মতোই আদখোলা চোখ।

vilen part 22

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here