vilen part 27

vilen part 27
আনু

তোরে মন দিয়া, মন দিয়া
আগুন জ্বালাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
তোরে মন দিয়া, মন দিয়া
আগুন জ্বালাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
বাড়ির ধারে সবুজ মাঠে
দুঃখ বিলাই পথে পথে
বাড়ির ধারে সবুজ মাঠে
দুঃখ বিলাই পথে পথে
তোর সুবাস মাখা ঘাসে
অঙ্গ বোলাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
প্রহর গুনি তোর আশাতে
আসবি তুই আমার বুকে
প্রহর গুনি তোর আশাতে
আসবি তুই আমার বুকে
তুই কি আর আসবি নারে
শূন্য হৃদয়ে মনে?
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
তোরে মন দিয়া, মন দিয়া
আগুন জ্বালাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
জানলার পাশে বসে গানটি শেষ করল রোজি!

আকাশের চারিদিকে মেঘ জমেছে। রোজির মনেও এমন মেঘ জমা যেকোনো সময় বর্ষণ হতে পারে। তবে বাধা দিয়ে রেখেছে যে একজন!
রোজি : তার অনুমতি ছাড়া তো কাদাও মানা! সে কর জানে সে আমাকে কতটা পোড়াচ্ছে? সে কী আমায় ভুলো গেছে? আমায় ছাড়া থাকতে পাবে সে? সে পারবে তবে আমি? আমি কেমনে পারবো?
কথাগুলো হালকা শব্দে বিড়বিড় করল রোজি! আজ প্রায় ১৩ দিন নিলয় নিখোঁজ! এই কয়দিনে মেয়েটা পাগল প্রায়। দিন যত যাচ্ছে রোজির মোনের আশঙ্কা তত বাড়ছে। এক’বার ভাবে নিলয়ের শত্রুরা নিলয়কে কিছু করলো নাহ তো?নাকি লোকটা কোথাও আটকে গেলো?নাকি লোকটা তাকে ভয় দেখাচ্ছে কিন্তু ভয় দেখাবে কেনো? সেতো কিছু করে নি তার প্রেমে মশগুল ছিলো এগুলোই ভাবছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তবে একটা কথা রেদোয়ান বাড়িতেই আছে কিন্তু রোহিদ নেই। রোহিদ নিলয়ের সাথেই আসছে তার মানে। এতোদিনে রোহিদের মোবাইলে রোজির কয়েক হাজার কল চলে গেছে। নিলয় নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন আগে। রোজির বোন অর্থাৎ আশার সাথে রোহিদের বিয়ে হয়েছে। কেননা তারা অনেকদিন আগের থেকে তাদের মধ্যে লুটুর পুটুর চলছিল তা রোজির কাছে ধরা না পড়লেও নিলয়ের কাছে ঠিকই ধরা পড়ে গিয়েছিল!
বিয়ে হওয়ার পর থেকে আশা রোজির সাথে নিলয়ের বাড়িতেই থাকে কেননা রোহিদ রেদওয়ান নিলয় একই বাড়িতে থাকে নিলয় কে তারা ভাইয়ের মতো মানে তাই তারা নিলয়ের বাড়িতে থাকে!
আশা প্রায় পাগল কেননা নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে এর মধ্যেই রোহিদ এবং নিলয় ভাই নিখোঁজ!
রোজি প্রায়ই থানায় যায় কিন্তু তাদের কোনো খোজ এনে দিতে পারছ নাহ কেউ। পুলিশদের একই কথা,
-নিলয় স্যারকে কেউ কিছ করতে পারবে নাহ কেননা স্যার যতটুকু দেখার তার থেকেও বেশি হিংস্র ও শক্তিশালী তিনি।

-ভয় পাবেন নাহ ম্যাম স্যার এর কিছই হবে নাহ চলে আসবেন হয়তো নিজের কোনো কাজে ব্যাস্ত তিনি?
ভালোবাসার মানুষ নিখোঁজ আবার তার এতো এতো শত্রু যার হিসেব নেই। সে কী ভালো থাকে?
এতোটা দিন রোজি কান্না, ঘুম এর মধ্য দিয়ে গেছে। খাওয়া দাওয়া তো নেই ই বল্লে চলে।
আজ আবারো রোজি থানায় যাবে বলে বের হয়। গাড়িতে বসে থানয় পৌছায়। পৌঁছে রোজি থানায় দ্রুত প্রবেশ করলো করে সিনিয়র পুলিশের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
রোজি : আমার নিলয় কে কি আপনারা পেয়েছেন?
পুলিশ : ম্যাম আমরা ওনাকে পাইনি!
রোজি : আপনারা কিভাবে কাজ করছেন যে একটা জলজ্যান্ত মানুষকে খুঁজে পাচ্ছেন না তার সাথে তো রোহিত ও আছে ওকে তো খুঁজে পাচ্ছেন না?
পুলিশ : ম্যাম হাইপার হবেন না বেশিরভাগ মাফিয়া বা গ্যাংস্টাররা গোপনে কাজ করে থাকে এই গোপনীয়তা এত সহজে খুঁজে বের করা যায় না!

রোজি আর কী বলবে সে আরও অনেক কথা বলে কিন্তু ফলাফল শূন্য। রোজি কাঁদতে কাঁদতে থানা থেকে বেরিয়ে আসলো তারপর গাড়িতে বসে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করলো সাথে আশাও ছিল অবশ্য। কিন্তু আশা এত কিছু তো বুঝেনা তাই সে বেশি কিছু বলো না!
বাড়ি পৌঁছে যে যার মত রুমে চলে গেল রোজই রুমে বসে অঝোরে কাঁদতে লাগলো!
রোজি : কেনো করছেন এমন? কেনো কেনো?
রোজি নিজের পেটে হাত দিয়ে বললো,
রোজি : বাবুই তুই টেনশন করওস নাহ তোর বাবার কীছু হবে নাহ সে আমাদের ছেড়ে যেতে পারে নাহ। সে পিছু পা হবে নাহ বাবুই।

বলেও কাঁদতে লাগলো। এই ১২ টা দিন এর প্রত্যেকদিন রোজি এমনি করেছে । এটা যেন একটা রুটিনের মত হয়ে গেছে! ঘুম থেকে উঠে থানায় যাওয়া থানা থেকে এসে অঝোরে কান্না তারপর রাত্রে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়া পরদিনও এমন ভাবেই চলতে থাকে এমনি এমনি কেটে গেলো আরও ৪ দিন।
এত দিনের কান্না, না খাওয়ায়, সারাক্ষণ টেনশনের মধ্যে থাকার কারণে রোজে শরীর আজ অনেক খারাপ বললে ভুল হবে রোজের শরীরে আরো আগে থেকে খারাপ। যেহেতু রোজী প্রেগন্যান্ট তার মধ্যে এত মানসিক চাপ। রোজের শরীরটা কুলিয়ে উঠতে পারছে না। বিছানা থেকে উঠার শক্তি সে পাচ্ছে না। তাই সে শুয়ে রইল জড় বস্তুর মত লাগছে তার দেহে প্রাণ আছে কিন্তু মনটা নেই।
আজ দুই দিন রোজি থানায় যাচ্ছে না। আজ হঠাৎ রোজির নামে একটা পার্সেল আসলো। শিউলি পাশে নিয়ে রোজ এর কাছে দিয়ে আসলো,

শিউলি : আপু আপনার নামে একটা পার্সেল এসেছে!
রোজি : কেন আমি তো কিছু অর্ডার করিনি?
শিউলি : আপু আপনার নামই এসেছে।
রোজি : আচ্ছা তাহলে রেখে যাও আমি পরে দেখে নিচ্ছি।
শিউলি চলে গেলো কেননা রেদোয়ান শিউলিকে ডাকছে। শিউলি এবং রেদোয়ান এর বিয়ে হয়েছে। রোহিদ ও আাশা এবং রেদোয়ান ও শিউলি এর বিয়ে হয়েছে একই সাথে।
শিউলি রেখে যাওয়া পার্সেলটা অনেকক্ষণ বেডে পড়ে থাকে রোজের কোন রেসপন্স নিয়ে ওটা খোলার অনেকক্ষণ পর সে একটু কষ্ট করে উঠে বসলো এসে একটু খুলে দেখবে ওটার মধ্যে কি আছে। পার্সেলটা কাছে টেনে নিয়ে খুলল। খুলে তার চক্ষু চড়ক গাছ!!!

কেনোনা সেখানে একটা রেকর্ডার আছে এখন রোজী ভাবছে রেকর্ডারটা কে দিয়েছে আর কেনই বা দিয়েছে? রোজি কোন কিছু না ভেবে রেকর্ডার টা চালু করল তখনই হঠাৎ নিলয়ের কন্ঠ ভেশে আসলো। তবে কথা কম গোলাগুলি এর শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে। রোজের বুকটা ধক করে উঠলো সে বুঝে গেছে নীলয় বিপদে আছে।
নিলয় : জান একদম ভয় পাবে না আমি জানি তুমি আমাকে নিয়ে টেনশন করবে নিজের এবং আমার বাচ্চার খেয়াল রাখবে আর আমি একদম ঠিক আছি আমি এত কাঁচা খিলাড়ি না যে আমি হেরে আসবো আমি জিতে আসবো একটু সময় লাগবে। আর আমি চলো জানত তোমার সামনে দাঁড়াবো!
এতটুকুই ছিল রেকর্ডারে তবে রোজির এখন ভয় আরো বেশি বেড়ে গেছে সে ভাবছে নিলয়ের যদি কিছু হয়ে যায়। তবে রেদওয়ান একেবারে নির্বিকার রেদওয়ান একবারই বলেছিল রোজিকে যখন রোজী রেদোয়ানের কলার ধরে কে যাকে জিজ্ঞেস করছিল,

vilen part 26

রোজি : আমার নিলয় কই বল ইউ বাস্টা র্ড বল?
রেদোয়ান : আমি কানি নাহ ভাবি!
রোজি : চুপ আমাকে বাধ্য করিস না তোর বসের বউয়ের পাওয়ার দেখাতে!
ঠিক এতোটুকু বলার পরে রেদোয়ান হুর হুর করে বলতে লাগলো,
রেদোয়ান : ভাবি শুধু শুধু টেনশন করছেন ভাইয়ের কিছুই হবে না ভাই এতটা ছোট খেলোয়াড় না যে হেরে আসবে আপনি ভুলে যাচ্ছেন তিনি একজন গ্যাংস্টার আপনার সামনে সে নিজেকে নরম এবং সফ্ট দেখালেও তিনি মোটেও এমন না। আশা করি আপনি বুঝোছেন।

vilen part 28

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here