vilen part 29

vilen part 29
আনু

ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি, যা দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না—কেবল হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়।তুমি আমার জীবনের সেই মানুষ, যার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত স্বপ্নের মতো সুন্দর। ভালোবাসা মানে একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি, সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অঙ্গীকার।ভালোবাসা কখনো দূরত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃদয়ের টান।ভালোবাসা হলো দুটি আত্মার একত্রে পথচলা, যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ।
রাত তখন ২ টা চারদিকে হৈচৈ। মিউজিক চলছে চারপাশে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। সেখানেই কাপল ডান্স হচ্ছে। গানের তালে তালে নাচছে সবাই তবে তার মধ্যে মুখ্যমনি হচ্ছে নিলয় ও রোজি। যারা খুবই ক্লোজলি ডান্স করছে। নিলয় ডান্সের মাঝে রোজিকে ডিপলি স্পর্শ করছে। যার কারনে রোজি বার বার কেপে কেপে উঠছে।
কিছুক্ষণ আগে রোজি নিলয়কে দেখেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো। হঠাৎ নিলয়ের আগমন রোজিকে উত্তেজিত করে তুলেছিলো। এতোদিনের ধকল, টেনশন, ভালোবাসার মানুষ নিখোঁজ, থানায় দৌড়ানো মানসিক ভাবে ভেঙে ফেলেছিলো।

তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস হয় যা হারিয়ে গেলে হঠাৎ একদিন হুট করে অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পেয়ে গেলে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই জিনিসটি রোজির ক্ষেত্রে ও হয়েছে তাইতো মেয়েটা নিলয়কে দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারায়!
জ্ঞান হারানোর পর নিলয় রোজিকে আগলে ধরেছিলো। রোজির জ্ঞান হারানো দেখে নিলয় বেশ অবাক হয়ে যায় সে রোজির গালে হালকা হাতে চাপর দিতে দিতে ডাকতে শুরু করে,
নিলয় : রোজ এই রোজ কী হলো? ওঠো জান এই দেখ আমি তো চলে এসেছি।
কিন্তু রোজিতো অজ্ঞান হয়ে আছে সে কী আর তা শুনতে পারে? তখনি শিউলি দৌড়ে পানি নিয়ে আছে এবং রোজির মুখে হালকা ছিটিয়ে দিতেই রোজি ধরফরিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো। আার চারিদিকে তাকাতে লাগলো কিন্তু সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটিকে সে দেখতে পারল না। কেননা শিউলি আর আশা মিলে রোজির সাথে দুষ্টুমি করছে। তারা আগেই নিলয় কে সরিয়ে রেখেছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রোজি চারিদিকে তাকিয়ে ৭ ৫ না ভেবে জিজ্ঞেস করলো,
রোজি : এই আমি ওনাকে দেখেছি কই সে?
শিউলি : কারে দেখসছ?
রোজি : নিলয়কে উনি কই?
আশা : তুই পাগল হয়ে গেছিস? ভাইয়া তো নিখোঁজ!
এটা শুনেই রোজি চিৎকার করে কান্না করতে লাগলো নিজের চুল খামচে ধরলো এটা দূর থেকে নিলয় দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলো নাহ দৌড়ে তার জানের কাছে আসলো। এসেই রোজিকে জরীয়ে ধরলো। রোজি যখন বুঝতে পারলো কেউ তাকে জরীয়ে ধরেছে। নাকে চেনা সুগন্ধি প্রবেশ করার সাথে সাথে সে বুঝলো এটা তার সেই ব্যক্তি যার জন্য সে এতোদিন এতো টানা পোরা দিয়ে গিয়েছে। সে সাহসা নিজের থেকে লোকটিকে ছাড়িয়ে দেখলো না এটা তো সে ই রোজি তাড়াতাড়ি তাকে জরীয়ে ধরলো বললো,

রোজি : কই ছিলো তুমি কই ছিলে।
বলেই জোরে জোরে কান্না করতে লাগলে। নিলয়ও রোজির চুলের ফাঁকে ফাঁকে হাত বোলাতে লাগলো আর আরেক হাত দিয়ে কোমড় জোরে চেপে ধরেছে লাগছে একটু ঢিলে হলেই রোজি পালিয়ে যাবে। রোজি এমনি অনেক কাঁদলো। কিছুখন পর নাক টানতে টানতো বললো,
রোজি : কই ছিলেন আপনি?
নিলয় : তুমি নাহ আমায় তুমি তুমি করে বললে এখনো বলে প্লিজ জান?

রোজি বেশ ল্জ্জা পেলো কিন্তু কিছু বললো নাহ নিলয় ও দেখলো ব্যপারটা। তাই আর লজ্জা দিতে চাইলো নাহ। নিলয় রোজির দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। কেননা এই কালো জর্জেট শাড়িতে রোজিকে আগুন সুন্দরী লাগছে। এমনিতেই রোজি খুব ফর্সা যেন টোকা দিলে রক্ত বের হবে। নিলয় রোজির সুন্দর্যের মোহে আটকে গিয়েছে।
রোজিও নিলয় কে দেখছে নিলয় বেশ পরিবর্তন হয়েছে। মাথার সিলকি চুলগুলো হালকা ছোট করা। বেশি ছোট করা হয়েছে আগের মতো দোল খায় না। এই কাটেও যেন ওকে মারাত্মক লাগছে একদম ভিলেন টাইপ। কাল একটা শার্ট পড়ে এসেছে মনে হয় নামি-দামি কোন ব্র্যান্ডের। শার্টের স্লিপ্স গুলো গুটিয়ে রেখেছে। কালো একটা ডেনিম প্যান্ট পড়েছে। হাতে রোলাক্স ওয়াচ। গলায় একটা মোটা সিলভার কালার চেইন। এক কথায় নিলয়কে আজ মারাত্মক লাগছে!!

রোজি : বললেন নাহ কই ছিলেন আপনি?
নিলয় : জান পরে বলবো আগে কেক কাটি?
রোজি : চলুন!
নিলয় রোজির দিকে একটা ফুলের তোড়া এগিয়ে দিলো। রোজিও হাসতে হাসতে তা নিলো। তারপর সবাই একত্রিত হয়ে সবাই গোল করে দাঁড়ালো মাঝখানে রোজী এবং নিলয়। দুজনের মুখে হাসি। দুজন যখনই কেক টা কাটবে খুনি চারপাশ থেকে সবাই বলে উঠলো,
happy anniversary!!!!
happy anniversary niloy and rossy!!!
happy anniversary Bhai and bhabhi!!!!
অবশেষে রোজির বাবা-মা বলল,

মা – বাবা : happy anniversary!!! শুভকামনা রইল সব সময় হাসি খুশি থাকো!
সকলে তাদের গিফ্ট দিলো। এভাবে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করতে করতে তাদের সাথে আড্ডার দিতে দিতে প্রায় ২ টা বেজে গেল শিউলি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে স্টেজে উঠলো আর বলতে শুরু করল,
শিউলি : লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান আজকে এখানে কাপল ডান্স হবে সবাই তৈরি হন!!!
সবাই হৈ হৈ হৈ করে উঠলো। শিউলি সবাইকে দেখিয়ে দিলো কোথায় হবে ডান্স সকলে নিজেদের পজিশন মেতাবেক দাড়ালো। এদিকে রোজি ভাবছে আমি কী শাড়ি পরে ডান্স করতে পাবো? নিলয় তাকে টেনে নিয়ে গেলো। রোজি মৃদু চিৎকার করলো,

রোজি : এই শুনুন নাহ?
নিলয় : হুম জান বলো?
রোজি ভয় জড়ানো কন্ঠে বললো,
রোজি : আমি শাড়ি পরে ডান্স করতে পারবো?
নিলয় : কেনো পারবে নাহ তুমি নিলয় চৌধুরী এর বউ!!
রোজি : আমি যদি পরে যাই?
নিলয় : নিলয় থাকতে তুমি পরে যাবে?
রোজি : বললাম আরকি!!
নিলয় : নিলয় এর এতোটা কাছে থেকে তুমি এক বিন্ধু কষ্ট পাবে নাহ তবে আমি দিলে সেটা অন্য ব্যপার!
রোজি : চুপ অসভ্য লোক!!!

নিলয় : আমি সভ্য ছিলাম কবে?
রোজি : এসব বাদ দিন শুনুন?
নিলয় : হুম জান বলো?
রোজি লাজুক হেঁসে বললো,
রোজি : আমায় কেমন লাগছে?
নিলয় : নিলয়ের আগুন সুন্দরী!!!!
রোজি মুখে হাত চেপে হাসতে লাগলো। এদিকে নিলয় অপলক তাকিয়ে রইলো। এভাবে তারা তিন কাপল ডান্স করতে শুরু করলো। এক পাশে রোহিদ ও আশা এবং অন্য পাশে রেদোয়ান ও শিউলি মাঝে আমাদের নিলয় ও রোজি। তাদের ডান্স শেষ হতেই রোহিদ,আশা এবং রেদোয়ান,শিউলি নিচে নেমে আসলো আর আমাদের নিলয় ও রোজি শেষ দিকে নিলয় রোজির আঙ্গুল ধরে তাকে ঘুরিয়ে নিজের হাতো নিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো!!!!!
সবাই হৈ হৈ করে উঠলো। রোজিতো লজ্জায় শেষ। কোথাও লুকাতে না পেরে অবশেষে নিলয়ের প্রশস্ত বুকে মুখ গুজলো।

পার্টি শেষ হয়েছে অনেকখন তবে এখনো অনেকে ডান্স করছে মিউজিক এর তালে তালে। তবে রোজি ও নিলয় একান্ত সময় পার করছে নিলয় কথায় কথায় রোজিকে চুমু দিচ্ছে, চুল ঠিক করে দিচ্ছে। কোমড় ধরে তাকে আগলে রেখেছে।
অপরদিকে,
রোহিদ ওদের খুনশুটি দেখে নিজের বউকে খুজছিলো। যখন খুঁজে পেলো দেখলো আশা কেক খাচ্ছে।
রোহিদ : আমার প্রেম প্রেম পাচ্ছে আর আমার বউকে দেখ কেক খাচ্ছে একবার রুমে যাই দেখাচ্ছি মজা! ( ফিসফিস করে)

রোহিদ জোরে ডাক দিলো,
রোহিদ : আশু এই আশু?
আশা মুখ ভড়া কেক নিয়ে তড়িগড়ি করে করে গিলে উওর দিলো,
আশা : বলো!
রোহিদ আশার কাছ থেকে কেকের প্লেট নিয়ে বউকে কোলে নিয়ে চারপাশে তাকালো দেখলো কেউ দেখছে নাকি। এদিকে আশা তো অবাক করছে কী এই ছেলে। রোহিদ যখন সিওর হলো কেউ দেখছে নাহ সে দ্রুতো ওকে নিয়ে স্টেজের পিছনে গেলো। আশা এটা দেখে মৃদু চিৎকার করে বললো,
আশা : কই নিচ্ছো?

রোহিদ দৌড়াতে ব্যস্ত। এটা দেখে আশা ছটফট করতে লাগলো। আবারো বললো,
আশা : নিচ্ছো টা কই বললে তো আমি ই হেটে যাই!!
রোহিদ নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে আশাকে নামালো তারপর বললো,
রোহিদ : জান আমার প্রেম প্রেম পাচ্ছে তো?
আশা ভেবাচেকা খেয়ে গেলো সে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বললো,
আশা : কীহহহহহ!!!!
আর কিছু বলতে না দিয়ে আশার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো রোহিদ। আশা থ হয়ে গেলো। সে ও কিছু নাহ বলে রেসপন্স করতে লাগলো।

এদিকে,
শিউলি দাড়িয়ে ছিলো তখনই দেখলো রোহিদকে দেখলো চারিদিকে কেমন চোরা চোখে তাকালো। তারপর দিকবেদিক নাহ দেখে বউ কুলে নিয়ে দৌড় দিলো পোছনে রোমেন্স করতে। এই খুনশুটি দেখে ওর ও সুপ্ত অনুভূতি মাথা চারা দিয়ে উঠলো। সে ভাবতে লাগলো তার স্বামী মানে রেদোয়ান একদমই আনরোমেন্টিক। কিন্তু ৫ মিনিট পর শিউলি যেই নাহ একটা জুস হাতে তুললো দেখলো কেউ তার দিকে তেড়ে আসছে। সে আর কেউ নাহ রেদোয়ান। সে চারদিকে তাকিয়ে দেখছে। এসে তার হাত থেকে সশব্দে জুসটা নিয়ে রেখে তাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। শিউলির জ্ঞান লোপ পেয়েছে। শিউলি বেকুব এর মতো রেদোয়ান এর দিকে তাকিয়ে আছে। সে বুঝতে পারছে নাহ কী করছে। রেদোয়ান তাকে টানতে টানতে পেছনে নিয়ে গেলো গিয়েই তাকে ছেড়ে দিলো। শিউলি বললো,

শিউলি : কী হলো এখানে আনলেন কেনো?
রেদোয়ান : জান ভই কী সুন্দর রোমেন্স করছে।
বলেই শিউলির ঠোঁটে তার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। শিউলির হাত দুটো নিচে ঝুলে গেলো স্বামীর প্রথম ছোয়া। সে বেকুব বনে গেলো। সে ভাবলো,
শিউলি : আমার কি রেসপন্স করা উচিত? নাকি চুপ করে থাকা উচিত? না না রেস্পন্স করি প্রথম কিস বলে কথা!!!!!! (মনেমনে)
শিউলি রেস্পন্স করতে লাগলো এটা দেখে রেদোয়ান এক হাত দিয়ে তার কোমর চেপে তাকে আরো কাছে টেনে নিল।

এদিকে
দুই কাপল কিস করতে করতে একেকজন পিছুতে লাগল হুট করেই দুই কাপল অর্থাৎ আশা ও রোহিদ এবং শিউলি ও রেদওয়ান ধাক্কা খেলো।
দুই কাপলেরই ধ্যান ভেঙ্গে গেল দুই কাপল রাই লাফিয়ে উঠলো একে অপরের দিকে তাকাতে পারছে নাহ লজ্জায় কিছু বলতেও পারছে নাহ। এদিকে তাদের ফুলটুসি রা এগুলো সহ্য না করতে পারে দুজন দুই দিকে দৌড় দিল। তাদের বউরা অন্যদিকে দৌড় দিতেই দুজন একে অপরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো তাদের তাকানোর মানে হচ্ছে “ভাই তুই এখানে কেন এলি অন্যদিকে যেতে পারতি কেন আমার রোমেন্সের বারোটা বাজাই লি”
তারপর ওরা দুজনও নিজেদের বউদের পেছনে দৌড় দিল।
রেদোয়ান : বউউউ যেও নাহ!!!!!!
অন্যদিকে,

রোহিদ : আশু যেওওওওও নাহহহহ প্রেম পাচ্ছে তো!!!!!!
সকল কাজ পার্টি শেষে সবাই বাড়ীতে ডুকলো। নিলয় রোজিকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে কেননা রোজি ক্লান্ত। সবাই যে যার মতো বউ নিয়ে দৌড় রুমে। রোহিদ ও রেদোয়ান তো যুদ্ধে নেমেছে কে কার আগে বেইবি নেবে। নিলয় রোজিকে কোলে করে ধীরে সুস্থে রুমে প্রবেশ করল। তারপর রোজিকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ করিয়ে আনলো। রোজিকে নরমাল কাপড় পরিয়ে দিল!
নিলয় : এখন শান্তি লাগছে?
রোজি : হ্যা অনেকটাই হালকা লাগছে। যান আপনি ও ফ্রেস হয়ে আসুন!
নিলয় সায় দিয়ে চলে গেলো। নিজেও ফ্রেশ হয়ে এলো। রোজি কে কিছু বলল না রোজি খুব ক্লান্ত।
তবে একটু দুষ্টুমি তো কাই লাগে। নিলয় খাকারি দিয়ে বলল,
নিলয় : রোজ আজ নাহ আমাদের বাসর?

রোজি শুকনো ঢোক গিল্লো বলল,
রোজি : ম ম মনে কীসের বাসর?
নিলয় : গত বছর ঠিক এই সময়টাই তো আমাদের বাসর ছিল তাই না?
রোজি : হুম তো কী হইছে?
নিলয় নির্দ্বিধায় বলল,
নিলয় : তাহলে নিশ্চয়ই আজও আমাদের বাসর?
রোজি : হ্যা তো লী হইছে?
নিলয় : আসো তাহলে বাসর করি?
রোজি : নাাাহহহহ!!! আপনার মাথা ঠিক আছে।

vilen part 28

নিলয় কিছু না বলে রোজির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল!! রোজি ভেবেছিল নিলয় হয় তোবা কিছু করবে। কিন্তু নিলয় রোজিকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে দিয়ে রোজিকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলো। রোজির মাথায় একটা শব্দ করে চুমু খেলো। চুলে হাত বোলাতে লাগলো। রোজিও আর কিছু বলল না দুজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল!!!!

vilen part 30

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here