vilen part 30

vilen part 30
আনু

“চারপাশে বইছে বাতাস। সকালের টাজা বাতাস কী জে শান্তি লাগে। আর নিলয় এর বাড়ীর মধ্যে বাতাস কিছুটা বেশিই প্রবেশ করে। তবে আজ গরম পরেছে। ভাবসা গরম তবে বাতাস বইছে কিন্তু বাতাস ঠান্ডা নয় সেটিও গরম।”
“সকালে নিলয়ের আগে রোজির ঘুম ভাঙতো আগে কিন্তু এখন এর ব্যতিক্রম হয়। কারণ এখন রোজির আগে নিলয় ঘুম থেকে উঠে পড়ে। উঠেই তার প্রধান কাজ ফ্রেস হয়ে তৈরি হওয়া তারপর রোজিকে আস্তে ধীরে উঠানো তাকে ফ্রেস করানো তারপর তাকে তার প্রাকৃতিক উপাদান ভেজানো পানি খাওয়ানো। এই কয়টা কাজ করে নিলয় নাস্তা করে নিজের অফিস চলে যায়!”

এরপর বাকি কাজ শিউলি করে তাদের মধ্যে শিউলি বড়। আশার রোহিদ এর সাথে বিয়ে হওয়ার পর পর রোজি মা চলে গেছেন তার বাড়ী। মাঝে মাঝেই চলে আসেন কেননা তার দুই কলিজার টুকরা তো এখানেই। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন নিলয়ের অগোচরে তিনি রোজির খেয়াল রাখতেন নিলয়ের কথামত। মেয়েগুলো বিয়ে হওয়ার পর বিষন একা হয়ে গেছেন তারা। পুরো বাড়ীটা যেনো নিস্তব্ধ হয়ে থাকে। যে বাড়ীতে রোজি লাফালাফি করতো সেখানে এখন নিস্তব্ধতা!
সাকালে ঘুম থেকে আজও নিলয় রোজিকে তোলে। বাবু পেটে আসার আগে যেই ঢং করতো ঘুম থেকে তুলাই যেতোনাহ। এখন বাবু পেটে আসার পর আরও ঢং করে কিছু বললেই হুরহুরিয়ে কেঁদে দিবে অহেতুক রাগ দেখাবে ব্লা ব্লা ব্লা!!!!!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এগুলো ভাবতে ভাবতে নিলয় রোজিকে ডাকলো,
নিলয় : এই মেয়ে এই!!!!!
রোজি কোনো শব্দ করলো নাহ নড়লোও নাহ। নিলয় শান্ত ভাবে আবার ডাকলো,
নিলয় : রোজ মাই লেডি উঠো নাহহহহ!!!
রোজি তাও উঠলো নাহ নিলয় এটা দেখে একটু চুপ করে থাকলো কোনো শব্দ করলো নাহ। শব্দ নাহ পেয়ে রোজি এক চোখ খুলে দেখলো। সে তাকাতেই দেখলো নিলয় কেমন করে যেন তার দিকেই তাকিয়ে আছে। যেই নাহ কিছু বলবে তার আগেই নিলয় রোজিকে আস্তে টান দিয়ে নিজের কাছে নিলো। রোজি উল্টো ঘোরা ছিলো নিলয় রোজিকে ঠাস করে উল্টে নিজের দিক করলো। রোজি মুখ খুলতে নিলেই ঠোঁ’টে ঠোঁ’ট চেপে ধরলো।
রোজি : উ’মমমমমমম!!!

করতে লাগলো কিন্তু নিলয় রোজিকে না ছেড়ে নিজের হাত রোজির কোমড়ে নিয়ে একটু চাপ দিলো যার ফলে রোজি আরও নিলয় এর সাথে চিপকে গেলো। নিলয় শুষে নিতে থাকলো রোজির ঠোঁ’টের স্বাদ। রোজি নিলয়ের বুকে ধা’ক্কা দিতে লাগলো কিন্তু নিলয়কে এক চুল নড়াতে পারলো নাহ। অনেক সময় পর নিলয় রোজিকে ছাড়লো,
রোজি : অসভ্য লোক!!!!
নিলয় : তোমারই তো!!!!
রোজি : ঠোঁট কাটা লোক!!!!
নিলয় : তোমাকে আদর দিতে ঠোঁটকাটা থেকে শুরু করে কত কী কাটলাম।
রোজি ভরকে গেল। তাও নিজের ঠোঁট টেনেটুনে কিছু শব্দ উচ্চারণ করলো,
রোজি : মা’নে?

নিলয় : ছোট বেলায় একটা কাটলাম তোমায় মা হওয়াতে বড় বেলায় ঠোঁট কাটা আর কত কী বানাবে আমায়?
রোজি : কী বলছেন?
নিলয় : হাহহহহহ এখন বুঝবে নাহ কত কষ্ট করেছি জানো?
রোজি এখনো হিসেব মিলাতে ব্যস্ত। অনেক খন আকাশ পাতাল চিন্তা করছে। কিন্তু যখন বুঝলো গাল নাক লাল হয়ে গেছে লজ্জায় নিলয় বললো,
নিলয় : বুঝেছ?
রোজি : নাহ।
নিলয় : লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছো তাতেই বুঝা যাচ্ছে তুমি বুঝে গেছো জান!!!!

~অনেকখন তারা দুস্টুমি করলো। তারপর নিলয় নাস্তা করলো তারপর বের হয়ে গেলো গন্তব্য অফিস। নিলয় বের হতেই শিউলি রোজিকে নিয়ে গেলো ডাইনিং এ ব্রেকফাস্ট করাতে। অমনি আশা ও এলো রোহিদকে বিদায় দিয়ে। আর শিউলি আগে থেকেই রেদোয়ান কে সকল কিছু পৌছে দেয় যেনো তাড়াতাড়ি চলে যায়। তারা সবসময় এক সাথেই যায়। শিউলিও রোজিকে খাবার দিয়ে দেয়। আশা চেয়ার টেনে বসে পরলো সাথে শিউলি মাঝে। রোজি কী মনে করে যেনো বসে বলতে লাগলো,
রোজি : কী রে আজ এনারা এতো জলদি গেলো কেনো?

শিউলি ও আশা : জানি নাহ রে।
রোজি : খটকা লাগছে আমার।
আশা : লাগবেই তো নিলয় ভাই এর বউ নাহ?
রোজি : চুপপপপপ!!! তুই বুঝিস এতো কিছু?
আশা : বুঝি বুঝি!!!!
রোজি : ছোটো ছোটোর মতো থাক!
শিউলি বিরক্ত হয়ে বললো,
শিউলি : চুপ কর!!! ভাইকে কল দিব যে তুই নাহ খেয়ে বক বক করছিস!
রোজি আমতা আমতা করতে লাগলো,
রোজি : না মানে না থাক চুপ কর খাই আমরা!

বলেই তিনজন খাবার খেতে লাগলো। আর নরমাললি কথা বলতে লাগলো। যে যার মত খেয়ে উপরে গেলো। রোজি খাবার খেয়ে একটু হাটে। হাটাহাটি করে সে গোসলে যায়। গোসল সেরে বের হতেই দেখলো শিউলি বসে তার রুমে। সে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো,
রোজি : কী রে তুই এখানে কোনো দরকার?
শিউলি : বাগানে অনেক ফল পেকে আছে চল ছিড়ে আনি।
রোজিকে আর পায় কে তার গাছ পাকা জিনিস অনেক পছন্দ তবে সে ভুলেই গেছে। যে একবার বাগানের গাছে উঠে খেতে খেতে নামার সময় ঠাস করে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। নিলয় যে কী কষ্ট দিয়েছিলো কত দিন কথা বলে নি। এটা নেহাত তার মাথা থেকে বেরিয়ে গেছে। তাই সে দেখবেদিক না দেখে শিউলির হাত ধরে দ্রুত বাগানে যেতে লাগলো সাথে আশা কেও ডেকে নামালো।

৩ জন মিলে বাগানে গেলো দেখলো আসলেই অনেক কিছু পেকে আছে বেশিদিন গেলে পচে যাবে। নিলয় কিছুদিন রোজিকে বাগানে যেতে দেয় নি। করা নিষেধ ছিল শিউলি কেও মানা করে দিয়েছে যেনো রোজি কোন প্রকার বাহিরে যেন যেতে না পারে। কারন কিছুদিন মানে নিলয় আসার পর, তাদের বিবাহ বার্ষিকী এর কিছুূিন পর নিলয় এর এক গার্ড দ্রুত দৌড়ে এসে নিলয় কে বলেছিলো যে বাড়ির চারপাশে একটি ড্রোন উড়ছে হয়তো শত্রুপক্ষ আমাদের উপর নজর রাখছে। এটা শুনে সাথে সাথে তার একটি গান বের করে বাহিরে দৌড় লাগায়। বাহিরে এসেই নিলয় দেখলো আসলেই ড্রোনটি এখন ছাদের পাশ বরাবর আছে সে গানটি পয়েন্ট করে ড্রোনের গায়ে গুলি চালালো। সাথে সাথে ড্রোনটি নিচে পড়ে গেল। তারপর সে অনেক খোঁজ নিলেও এর কোন খবরা-খবর পাওয়া যায়নি।
বর্তমান,

রোজি এতো ফল দেখে লোভ সামলাতে পারলো নাহ এমনি গর্ভবতি হলে লোভ সামলানো যায় নাহ রোজি এদিক ওদিক থেকে ফল নিয়ে ওরনা দিয়ে পরিস্কার করে খেতে লাগলো। শিউলিও মাঠে নেমে পরলো সাথে আশা নিজেও। কিন্তু সকল ফল মিষ্টি টক কোনো ফল পাওয়া গেলো নাহ। চোখে পরলো পেয়ারা তবে তা ছোটো ভেবেছিলো কেটে থেতলে পোরা মরিচ দিয়ে তেঁতুল দিয়ে মাখিয়ে খাবে তা আর হলো নাহ। আশা পেয়ারা পারতে গেলে রোজি ধমক দিলো,
রোজি : এই আাশা ওগুলো করা কষ্টি হবে রে মেয়ে নিস নাহ বড় হলো খাওয়া যাবে তো নাকি?
আশা থত মত খেলো। সে ঘরে বললো,

আশা : আমার যে কী ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছে রে।
এটা শুনার পর ওমনি রোজির চোখ চিক চিক করে ওঠে। সে শিউলির দিকে ইনোসেন্ট ফেইস নিয়ে তাকায়। তা দেখে শিউলি বললো,
শিউলি : একদম আমায় উসকাবি নাহ বেয়াদপগুলো।
রোজি : চল নাহ প্লিজ?
আশা : হ্যা চল চল।
শিউলি : ভাইয়া মেরে ফেলবে রে!
রোজি : কিছু হবে নাহ আমি দেখবো চল।
শিউলি আর কিছু বলতে পারলো নাহ এটা তার একটা রোগ কেও বেশি মিনতি করলে সে ফেলতে পারে না। তবে সে মানলো ঠিকি শর্ত দিলো,

শিউলি : ভাইয়ার গাড়ি করে যাবি ওকে?
রোজি : হ্যা যাবো চল তুই আগে।
বলেই সকলে রেডি হলো। রোজি একটা সাদা হুডি পরলো সাথে প্যান্ট। শিউলি কালো হুডি পরলো আর প্যান্ট। আশা গোলাপি হুডি পরলো আর প্যান্ট। তিনজন পরিপাটি হয়ে বের হলো। গাড়িতে উঠলো উঠে টএসি মোরে গেলো রোজি আর তার বান্ধবীরা মাঝে মাঝেই কলেজ বাঙ্ক মেরে টিএসি মোড়ে যেত। সেখানে অনেক ধরনের ফাস্টফুড এবং বাঙালিয়ানা খাবার পাওয়া যায়। সেখানকার ফুচকা তো মাস্ট ট্রাই!!!

তিনজন পৌছে যায় সেখানে গিয়েই এক একটা জিনিস ট্রায় করতে থাকে। রোজিতো শুধু টক জাতিও খাবার খাচ্ছে কেননা প্রেগনেন্সিতে একটু টক খেতে ইচ্ছে করে। শিউলি ও আশা ও লেগে পরেছে। সামনে গিয়ে দেখলো চরখি রোজির এটা দেখে কী বায়না সে উঠবে তখন থেকে এটা নিয়েই কথা কাটাকাটি হচ্ছে।
রোজি : দে না উঠি।
শিউলি : একদম নাহ তুই প্রেগনেন্ট ভুলে গেছিস?
রোজি : নাহ তো তাও উঠবো দে নাহ প্লিজ।
আশা : আপু তোর উঠা ঠিক হবে নাহ তো চল।
রোজি : দে প্লিজ।
শিউলি : ভাইয়া জানলে মেরে পুতে দিবে আমাদের।
রোজি : ওনাকে জানাবো নাহ তো।
আশা : আপু তুই ভাইয়াকে চিনিস নাহ? ভাইয়া কী নরমাল কেও?
আশার কথা শোনে রোজি চুপসে গেল। রোজি আর বাহানা করলো না হাঁটতে হাঁটতে কথাবার্তা হাসি-ঠাট্টা করতে লাগলো। হটাৎ রোজির সামনে একটি ছেলে এলো এসেই জিজ্ঞেস করলো,

আরুস : আরে রোজি যে কেমন আছো?
রোজি তাকে দেখেই বললো,
রোজি : তুমি আরুস নাহ?
আরুস : হ্যা, এখানে কী করছো?
রোজি : ঘুরতে এসেছি।
আরুস : চলো একসাথে যাই?
রোজি : চলো।
বলেই রোজি এবং আরুশ একসাথে হাঁটতে লাগলো এবং পিছে পিছে আশা এবং শিউলি আসতে লাগলো। রোজির হঠাৎ চোখ গেল ফুচকার দিকে সে লাফিয়ে উঠলো,
রোজি : চলো চলো ফুচকা খাবো!!!

সবাই ওর এতো খুশি দেখে যেতে লাগলো। যেয়ে চার প্লেট ফুচকা ওডার দিলো। রোজি ও আরুশ কথা বলতেই আছে। ফুচকা আসতেই সবাই খেতে লাগলো। আরুস তো রোজির দিক তাকিয়ে খাচ্ছে। রোজি হঠাৎ একটা ফুচকা তুলে আরুসের সামনে নিয়ে দেখিয়ে বললো,
রোজি : কতদিন পর খাচ্ছি জানো?
আরুস : কতদিন?
রোজি : অনেক দিন হি হি!!!!

তারা ফুচকা খেতে খেতে কথা বলতে লাগলো তবে দূরে কেউ যে তাকে দেখছে সে তো তা জানে নাহ আরুস হঠাৎ একটি ফুচকা রোজির মুখের সামনে ধরলো সাথে সাথে কে যেনো এসে তার হাতে গুলি চালিয়ে দিলো। আরুস নিজের হাত চেপে ধরলো। ধরে রাখা ফুচকার প্লেট নিচে পারে গেছে। রোজিও ভয়ে অতঙ্কে কান চেপে ধরেছে। আশেপাশের সকলে জায়গা খালি করে দিলো সকলে নিজেদের প্রান নিয়ে পালালো। রোজি চোখ খিচিয়ে রেখেছে সামনে কে তা দেখছে নাহ। হঠাৎ কেউ তাকে তার দিকে ঘুরায় রোজি আধো আধো চোখ মেলে তার পানে চাইল। সে তাকে দেখে বিস্ময়ের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছালো,
রোজি : নিলয় আপনি?
হ্যা নিলয় এসেছে রোজিকে বাড়িতে নাহ পেয়ে সে মোবাইল ট্রেক করে এখানে এসেছে। রোজির কথার উওরে নিলয় বললো,

নিলয় : বাহিরে কেনো এসেছিস?
রোজি উওর দিতে পারছে নাহ এটা দেখে নিলয় নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে নাহ পেরে হটাৎ রোজির গালে নিজের সর্বচ্চ শক্তি দিয়ে চর মেরেছে। রোজি টাল সামলাতে না পেরে কয়েক কদম পিছিয়ে যায়। শিউলি ও আশা এগিয়ে আসতে নিতেই রোহিদ ও রেদোয়ান তাদের দুটোকে টেনে নিয়ে যায় গাড়িতে ছুড়ে মারে। তারা অনেক ব্যথা পায়। দুজনেই চিৎকার করে ওঠে।
দুজন পিছে ফিরলেই দেখতে পায় তারা আগুন দৃষ্টিতে তাদের দেখছে। তারা ভয় পায় কিন্তু তাদের ভয় আরও বাড়িয়ে দিয়ে তারা গাড়িতে ওঠে গাড়ি চালানো শুরু করলো। বাসায় পৌছেই তারা তাদের টানতে টানতে উপরে নিয়ে নিজেরাও প্রবেশ করলো।
তাদের রাগ একটাই ছেলেদের সাথে কী করছিলো? নিলয় ভাই বাহিরে যেতে মানা করেছে তাও কেনো যেতে হলো?
শিউলি ফ্লোরে পরে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,

শিউলি : আহহহহ ব্যথা লাগে তো নাকি?
রেদোয়ান : চুপ বাহিরে কী করছিলে?
শিউলি : ফুচকা খেতে গিয়ে….
বলার আগেই শিউলির চোয়াল চাপ দিয়ে ধরলো। শিউলি কুকরে উঠে,
শিউলি : এমন করছেন কেনো ব্যথা লাগছে আমার আহহহ।
রেদোয়ান : বাহিরে যাওয়ার আগে মনে ছিলো নাহ?
বলেই ঠাটিয়ে এক থাপ্পার দিলো। শিউলি কিছু বলতে নিলেই রেদোয়ান শিউলিকে তুলে বিছানায় ছুড়ে মেরে বললো,
রেদোয়ান : এতোদিন যা তুলে রেখেছিলাম তা তুমি আজ পাবে বলেই জাপিয়ে পরলো শিউলির ওপর।
শিউলিও বা তাকে কেন থামাবে তার স্বামী সে তার অধিকার আছে। রেদোয়ান রাগে তাকে ব্যথা দিচ্ছে কিন্তু শেষে কেমন যেনো আদুরে হয়ে উঠে।

অন্যদিকে,
রোহিদ রেগে আশাকে অনেক কথা শোনায় আশা তো তর্ক করছে,
রোহিদ : বাহিরে গিয়েছিস মানলাম কিন্তু ছেলে কেনো?
আশা : যাবোই ছেলেদের সাথেই থাকবো।
বলতে দেড়ি রোহিদের হাতের চড় পরতে দেরি হলো নাহ। সেই তখন থেকেই আশা কাদছে।
—–এদিকে

রোজি নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় তার দিকে তেড়ে গেলো তা দেখে আরুস সামনে এলো। এটা দেখে নিলয় মুখ বাঁকিয়ে ফেল্ল। আরুসকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়েছে সে তারপর রোজিকে টান মারলো। রোজির মনে হলো তার হাত খুলে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু বলতে পারছে নাহ ভয়ে কাপছে সে কিছু বললে যদি মেরে দেয় এমনি লোকটা রেগে আছে। এর মধ্যে আবারো আরুস এসে রোজির আরেক হাত চেপে ধরলো এটা দেখে নিলয় বললো,

নিলয় : ছাড় ওকে।
অরুস : তুই কে কোন অধিকারে পর হাত…..
বলার আগেই সেই হাতেও গুলি চালালো নিলয় যেই হাত অক্ষত ছিলো। এটা দেখে রোজি চিৎকার করে নিলয়ের শার্ট ধরে ফেললো।
নিলয় রোজিকে টেনে গাড়িতে বসালো আস্তে করেই বসিয়েছে। তারপর গাড়ি স্টার্ড দিলো। ধোঁয়া উড়িয়ে গাড়ি নিলয়ের বাড়ীতে আসলো। নিলয় রোজিকে টেনে কাধেঁ তুলে বাড়ীতে ডুকলো।সোজা রুমে গিয়ে রোজিকে বেড়ে ফেললো। বেড নরম তাই রোজি ব্যথা পায় নি।
রোজি কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই নিলয় রোজির গাল চেপে ধরে। রোজি কুকরে উঠে কিন্তু নিলয় ছাড়লো নাহ আরও জোরে চেপে ধরলো। রোজির চোখ বেয়ে পানি পরছে। নাক মুখ লাল হয়ে গেছে মেয়েটার। মেয়েটা কিছু বলতে চাইছে কিন্তু পারছে নাহ। নিলয় আবার জিজ্ঞেস করলো,
নিলয় : বলছিস নাহ কেনো বাহিরে কেনো গিয়েছিস।
রোজি বলার জন্য মুখ খুলতেই নিলয় রোজির চোয়াল চেপে ধরে রোজি ব্যথায় চোখ বুজে নেয়। নিলয় চেপে ধরে বললো,

নিলয় : বনিতা করবি নাহ বলে দিলাম যা করতে গেয়েছিস তাই বলবি!
রোজি : জজি।
নিলয় : বল এখন।
রোজি : ফফ ফুচকা খেতে ইচ্ছে করছিলো তা তাই।
নিলয় : আমায় বলিস নি কেনো? এই ছেলে সাথে কেনো খাচ্ছিলি? তুই কেনো ওকে খায়িয়ে দিচ্ছিলি? ও তোকে কেন খায়িয়ে দিচ্ছিলো?
রোজি : আ আপনি ভু…..
নিলয় কাছে এসে রোজির গলায় চাপ দিলো। রোজির আওয়াজ থেমে গেলো। কিছু বলতে পারছে নাহ গলায় অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে। চোখ বুজে নিলো। চোখ বুজতেই নিলয় রোজিকে ছেড়ে দিলো। রোজি বিছানায় শুয়ে পরলো। নিলয় অনেক হাসফাস করছে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে রুমে পাইচারি করতে লাগলো। নিজের মাথার চুল খামচে চেষ্টা করছে নিজেকে কন্ট্রোল করতে। কিন্তু পারলো নাহহ। মাথায় ঘুরছে সেই ছেলেটা সে কেমনে বললো নিলয় এর অধিকার কী।

নিলয় পাগল হয়ে যাচ্ছে। আবার রোজি এমনি শুয়ে আছে নিলয় রোজির কাছে গিয়ে ওকে উঠিয়ে বেডলি টাচ করতে লাগলো। রোজির গলায় কামড় দিতে লাগলো। রোজি চোখ মুখ কুচকে রেখেছে। যানে নিলয়কে থামানোর সাদ্ধ নেই তার। তাই চুপচাপ সহ্য করছে। নিলয় এবার রোজির গুডি খুলতে নিলেই রোজি ভয়য়ে নিলয়কে ধাক্কা দেয়। নিলয় বেডে রোজির দিকে ঝুঁকে থাকায় সে পিছিয়ে যায় এই সুজুকে রোজি হামাগুড়ি দিয়ে বিছানার ওপর পাশে যায় তার আগেই নিলয় রোজির পা ধরে টেনে আনে এনেই রোজিকে চেপে ধরে শক্ত করে। রোজির ওপর বেশি চা’প প্রয়োগ করায় রোজির মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে ব্য’থা ও পাচ্ছে। রোজি ছুটোছুটি করছে দেখে নিলয় বেড সাইড টেবিল থেকে একটা হ্যান্ড’কাফ বের করে রোজির হাতে পরিয়ে দিলো। রোজির তো প্রান যায় যায় অবস্থা। চোখ দিয়ে নোনা জল গড়িয়ে পরছে। নিলয় এগিয়ে আসতেই রোজি আবার চলে যেতে চায় নিলয় রোজির পেটে নিজের বা হাত দিয়ে টেনে নিজের কাছে আনে। চিবিয়ে চিবি বললো,

নিলয় : অধিকার কার কতটুক আছে দেখাই তোকে?
বলেই বেড়ে ফেলে নিজেও রোজির উপর ঝাপিয়ে পরলো। রোজি কুকরে গেলো। সে বুঝে গেলো কী হতে চলেছে তার সাথে। এটা ভেবেই সাথে সাথে বেডশীট দু হাতে খামচে ধরলো। নিলয় রাগে রোজির ঠোঁট কামড়ে ধরলো। রোজি কুকরে উঠে নিলয়কে ধাক্কা দিতে লাগলো। কিন্তু নিলয় ছাড়লো নাহ তাকে ধরে রাখলো। নিলয় রোজিকে রুডলি টাচ করা শুরু করলো,
রোজি : আ’হহহহ নিলয়!! ছাড়ুন প্লিজ আমার লাগছে।
নিলয় : লাগার জন্যেই ধরেছি।
রোজি : প্লিজ আমায় একটু বলতে…..

বলতে দিলো নাহ নিলয় রোজির ঠোঁ’ট ঠোঁ’ট ডুবিয়ে দিলো। অনেকখন পর রোজিকে ছারলো,
রোজি : নিলয় আমার লাগছে প্লিজ আমায় ছাড়ুন আমি পারছি নাহ।
নিলয় আর কিছু নাহ বলে ডয়ের থেকে কচটপে এনে রোজির মুখে মেরে দিলো। রোজি আর কিছু করতে পারলো নাহ নিলয় রোজিকে ছাড়লো না।

মত্ত হলো সে রোজিতে গভীরভাবে ডুব দিলো সে রোজিতে।
অর্ধরাতরে যখন রোজির নাজেহাল অবস্থা তখন নিলয় তার উত্তপ্ত ঠোঁ’ট রোজির কানে নিয়ে বললো,
নিলয় : যদি আঙ্গুল আসে আমার অধিকার কী? ঠিক এটাই আমার অধিকার!
রোজি কিছু বললো নাহ বলার অবস্থাতেই নেই সে।

vilen part 29

তবুও নিলয় ছাড়ে নি তাকে রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে রোজিকে অত্যাচার করে নি ভালোবেসে ব্যথা দিয়েছে। যা রোজির শরীরে কাল ফুটে উঠবে। অবশ্য এখনই ফুটে উঠেছে। তারপর দুজনে হারিয়ে গেলো কোনো অজানা সুখে!

vilen part 31

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here