না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১১
মাইশা জান্নাত নূরা
পিহুকে একেবারে আপন করে নিয়েছেন খান পরিবারের প্রতিটি সদস্য মূহূর্তের মধ্যেই। রাতের খাবারটা পিহুকে একা খেতে দেয় নি বরং পালা করে তাহমিনা, আতুশি আর শিউলি নিজ হাতে ওকে মুখে তুলে খাইয়েছেন। এতো যত্ন, এতো মায়া দেখে পিহুর বুকের ভেতরের অশান্ত ভাবটা আজ কেমন শান্ত শান্ত বোধ করছে। সারফারাজ মুগ্ধ চোখে দেখতে তা। নিজের পরিবারকে এতো সহজেই পিহুকে মেনে নিতে ও আপন করে নিতে দেখে ওর মনটাও ভিষণ শান্তি অনুভব করেছে আজ।
রাত তখন ৯টা….
খান বাড়ির সবাই একসাথে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছেন। তেজ ও নির্ঝর সেই যে বিকেলে বাসা থেকে বেড়িয়েছে এখনও বাসায় ফেরে নি। পিহু মাথা নিচু করে মুখে লাজুকভাব ফুটিয়ে রেখে সবার কথা শুনছে।
জামাল খান সারফারাজকে উদ্দেশ্য করে বললেন…
—“পিহুর বাবা তো আছেন শুনলাম। চট্টগ্রামে চাকরি করেন, তাই তো?”
সারফারাজ মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। জামাল গম্ভীর ভঙ্গিতে আবারও বললেন….
—“তিনি যতোই দায়িত্বজ্ঞান*হীন ও কম যত্নশীল অভিভাবক হন না কেনো তবুও একজন মেয়ের উপর বাবার যে হক থাকে তা আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। আমরা চাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পিহু মায়ের বাড়িতে স্ব-পরিবারে যেতে আর সাক্ষাৎ-এ জবরুল ভাইয়ের সাথে কথা বলতে। তার নিকট তার মেয়েকে আমাদের বাড়ির বউ বানানোর আবেদন করতে চাই।”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
পিহুর চোখের পাতা ভারি হয়ে আসলো। বুকের ভেতরটাও কেমন যেনো করে উঠলো। কিন্তু জামালের কথার পিঠে কিছু বলার সাহস হলো না ওর।
মোস্তফা খান-ও মাথা নেড়ে জামালের মতের সাথে একমত পোষণ করলেন। বাড়ির বাকি মহিলারা নীরব রইলেন কোনোরূপ আপ*ত্তি জানালেন না।
পরক্ষণেই সারফারাজ ধীরতা বজায় রেখে দৃঢ় কণ্ঠে বললো….
—“ঠিক আছে, তোমরা সবাই যেহেতু চাইছো তাহলে তাই হোক। আমি আজই আঙ্কেলের সাথে পারসোনালি ফোনে কথা বলবো এই বিষয়ে। আর তাকে বলবো কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় আসার জন্য। এরপর সময় মতো সবাই মিলে যাওয়া হবে তাদের বাড়ি।”
জামাল খান সন্তুষ্ট স্বরে বললেন…..
—“হুম, সেটাই ভালো হবে। তাছাড়া সামনের সপ্তাহে তোমার চাচারাও লন্ডন থেকে ফিরবেন। ব্যবসার কাজ শেষ করেই চলে আসবে ওরা দেশে। আর নীরাকেও ডাকা হবে। পরিবারের একজন সদস্যের বিয়ে অথচ পরিবারই অ*সম্পূর্ণ থাকবে এটা তো হতে পারে না। সবাইকে একসাথে নিয়েই আসল আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব।”
কিছুক্ষণ পর….
পিহু সবাইকে সালাম জানিয়ে খান ভিলা থেকে বিদায় নিলো। সারফারাজ পিহুকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বেরিয়ে পড়লো নিজের গাড়িটা নিয়ে।
গাড়িটি রাতের নীরব শহর চিঁ*ড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে আপন গতিতে ছুটে চলছে। পিহু জানালার বাইরে দৃষ্টি স্থির রেখেছে। কোথায় যেনো হারিয়ে গিয়েছে সে এমন লাগছে সারফারাজের কাছে।
সারফারাজ পিহুর দিকে একপলক তাকিয়ে আবারও সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে জিজ্ঞেস করলো…..
—“মন খারাপ?”
পিহু মলিন কণ্ঠে বললো….
—“অনেক রাত হয়ে গিয়েছে এমপি সাহেব। একটা ভদ্র এলাকার মেয়ে এতো রাত পর্যন্ত বাইরে থাকাটা আর তাকে তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে আপনার মতো একজন পরিচিত, বড় মাপের মানুষের আসাটা কেউ দেখে ফেললে শত রকমের কথা ছড়াবে। কু*ৎ*সা, অ*প*বাদ, ক*লঙ্ক এসব জিনিসে বড্ড ভ*য় কাজ করে আমার।”
সারফারাজ নিরব রইলো কিয়ৎক্ষণ এরপর আকস্মিক ভাবেই গলায় সুর তুললো…..
❝প্রেম করে ভাসল সাগরে
অনেকে পাইলো না কূল
জগৎ জুড়ে বাজে শোনো
পিরিতের কলঙ্কের ঢোল
দিতে গিয়ে প্রেমের মাশুল
মান-কুলমান থাকে না (২)
সখি তোরা প্রেম করিও না
পিরিত ভালো না (২)
পিরিত করছে যে জন জানে সে জন
পিরিতের কী বেদনা (২)
পিরিত পিরিত সবাই বলে
পিরিতি সামান্য নয়
কলঙ্ক অলঙ্কার করে
দুঃখের বুঝা বইতে হয় (২)❞
পিহু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সারফারাজের দিকে। সারফারাজ গান করা থামিয়ে দিয়ে বললো….
—”পিরীত করতে গেলে ২-৪ টে ক*ল*ঙ্ক দাগের বোঝা সবাইকেই টানতে হয় প্রিটিহার্ট। তবেই না পিরীতের আসল মজা পাওয়া যায়! দুই মনের পিরীত কতোটা খাঁটি তা জগতের লোক সহ আপন মনও উপলব্ধি করতে পারে তখন৷ তাই ভ*য়*কে এবার জয় করতে শিখো।”
পিহু আর কিছু বললো না। কিয়ৎক্ষণ পর পিহুদের বাড়ির সামনের মোড়ে এসে গাড়ির ব্রেক কষলো সারফারাজ। পিহু বললো….
—”আপনাকে আর আসতে হবে না। এইটুকু রাস্তা আমি চলে যেতে পারবো।”
সারফারাজ নিজের সিটবেল্ট খুলতে খুলতে বললো…
—”হাত তো ধরেছি সারাজীবনের জন্য। সবরকম পরিস্থিতিতে পাশে থাকার জন্য। এখনও লিগ্যালি অধিকারটা পাই নি ঠিকই। তাই বলে কি তীরে আসার আগেই পানিতে নামিয়ে দিয়ে তরী ফেরত নিয়ে যাবো? তা তো হয় না।”
পিহু কিছু বললো না। অতঃপর ওরা দু’জনেই গাড়ি থেকে নামলো। একসাথে হাঁটতে হাঁটতে পিহুদের বাড়ির মূল দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো। পিহু বললো….
—”এবার তো যান।”
—”ভিতরে যাও তুমি। আর কমলা কিছু কাজে ওর বাড়ি চলে গিয়েছে কাল সকালে আসবে। রাতটুকু তোমায় একাই থাকতে হবে আজ।”
—”আচ্ছা, আপনি?”
সারফারাজ ভ্রু নাচিয়ে ঠোঁটে দু*ষ্টু হাসির রেখা ফুটিয়ে বললো….
—”এখনও পারমিশন তো পাই নি তোমার সাথে একঘরে এক বিছানায় থাকার। যাবো কিভাবে!”
সারফারাজের এমন কথায় পিহুর মুখ অটোমেটিক হা হয়ে গেলো। পরক্ষণেই পিহু ‘যাচ্ছে তাই লোক কোথাকার’ বলে গেইট খুলে ভিতরে চলে গেলো। সারফারাজ নিরবে হাসতে শুরু করলো। পিহু যে লজ্জা পেয়েছে তা সে বুঝেছে।
পিহু ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখলো সোমা আর সোনালী বারান্দায় বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছে। কারেন্ট নেই। সৌরবিদ্যুতের একটা ছোট্ট বাল্ব বারান্দার খুটির পাশে ঝুলানো রয়েছে যা নিভু নিভু ভাবে জ্বলছে। পিহু নিঃশব্দে বারান্দায় উঠে দাঁড়াতেই সোমা বললেন….
—”এ ক’দিন মুখ পুঁ*ড়া*তে দিনের বেলা বাহিরে যেতি এখন রাতেও যাওয়া শুরু করেছিস মুখ*পু*ড়ি!”
পিহু থ*ম*কে গেলো সোমার এমন নোং*রা অর্থ পোষণ করা কথা শুনে। সোমার দিকে তাকিয়ে বললো…
—”আমি কোনো নোং*রা*মি করি না মা যে আপনি এভাবে বলবেন আমায়।”
সোমা দাঁত কি*ড়*মি*ড়ি*য়ে বললেন….
—”পুরুষ মানুষের সাথে রাতে-বিরাতে বাহিরে থাকলে কি লোকে তোমার মুখে ফুল ছুঁ*ড়*বে?”
—”যে কাঁদা আমার মুখে লোকে ছুঁ*ড়*বে সেই কাঁদার একাংশ দা*গও যে আপনারা নিজেদের উপর নিবেন না তা আমি জানি।”
সোনালী বললো….
—”তা আমরা নিতে যাবো কেন? নিজের দো*ষে ক*ল*ঙ্কে*র দাগ তুই নিজের উপর লাগাবি সম্পূর্ণ ভার তাই তোকেই বহন করতে হবে।”
সোমা বললেন….
—”তোর মতো ন*ষ্টা মেয়ে-ছেলেরে তো উচিত গলা টি*প্পা মা*ই*রা ফালানো। তোর বাপ আসুক। তারপর যা করার তিনিই করবেন। ঐ এমপিও পারবে না তোরে তখন বাঁচাইতে।”
সেইসময়ই গেইট খোলার আওয়াজ ওদের কানে ভেসে এলে সোমা-সোনালী সামনের দিকে হালকা ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করলেন কে আসছে। সোমা বললেন…..
—”কে ওখানে?”
পিহুর দু’চোখ ছলছল করছে৷ পা উঠছে না ঐ স্থান থেকে। সোমার কথার প্রতিত্তুরে ব্যক্তিটি বললো….
—”শরীরে ক*ল*ঙ্কে*র কাঁদা লাগার জন্য শরীরের অস্তিত্ব দুনিয়ায় থাকা লাগবে। যদি সেই শরীরটাই ১০ হাত মাটির নিচে গে*ড়ে দেই তাহলে কেউ কিভাবে তাতে ক*ল*ঙ্কে*র কাঁদা ছুঁ*ড়*বে বলুন তো হবু সৎ শ্বাশুড়ি আম্মা..?”
পরিচিত পুরুষালি কন্ঠটি ভেসে আসতেই পিহু ঝট করে পিছন ফিরে তাকালো। সারফারাজ ততোক্ষণে অন্ধকার কাটিয়ে আলোর মাঝে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্পূর্ণ চেহারা জুড়ে তীব্র রা*গে*র ছাপ স্পষ্ট ফুটে আছে সারফারাজের। চোয়াল শক্ত হয়ে আছে। দু’চোখ দিয়ে যেনো আ*গু*ন ঝড়ছে। সারফারাজের এই দৃষ্টিই যেনো যথেষ্ট মূহূর্তের মধ্যেই সোমা ও সোনালীকে পু*ড়ি*য়ে ভ*স্ম বানিয়ে দেওয়ার জন্য।
সোনালী আর সোমার হাত থেকে হাতপাখা দু’টো ধ*প করে নিচে পরে গেলো। দু’জনেরই ভ*য়ে ঘেমে-নেয়ে যাচ্ছে তাই অবস্থা হয়ে দাঁড়ালো মূহূর্তেই। সোমা ঢোক গিলে নিজের শুকিয়ে আসা গলাটা ভিজানোর চেষ্টা করলেন কিন্তু সফল হলেন না। সারফারাজ আকস্মিক ভাবে উপস্থিত হবে তা ওরা দু’জনের কেউ-ই আশা করে নি।
কমলা নেই সেই সুযোগে আজ মনের ঝা*ল টা মেটাতে চেয়েছিলো ওরা পিহুর উপর। সারফারাজ বারান্দায় উঠে পিহুর পাশে দাঁড়িয়ে বললো…..
—“দিনের পর দিন এই কা*লো মুখটা দিয়ে তো কম বি*ষ ঝরালেন না আপনি! একবার সাবধান করেছিলাম কলিজায় ভ*য় ধরে নি? কি ভেবেছিলেন আমি ফাঁকা আওয়াজ দিয়েছিলাম খালি কলসীর মতো?”
সোমা ভ*য়ে আমতা আমতা করে বললো….
—”আ- আমি ওভাবে ব-বল-বলতে চাই নি!”
সারফারাজ উচ্চস্বরে হু*ঙ্কা*র দিয়ে বললো….
—”বলতে চান নি তাহলে বললেন কিভাবে?”
সোমা আর সোনালীর অন্তর-আ*ত্মা কেঁ*পে উঠলো সারফারাজের হু*ঙ্কা*রে। সোনালী চেয়ারে বসা অবস্থাতেই পিছাতে নিয়েছিলো ফলস্বরূপ চেয়ার সমেত পিছন দিক দিয়ে বারান্দার মেঝের উপর পরে গেলো। কোমরে, মাথার পিছনে ভালো রকম-ই ব্য*থা পেলো সোনালী। কিন্তু মুখ দিয়ে খুব বেশি আ*র্ত*না*দ করতে পারলো না। সারফারাজ আবারও বললো….
—”পিহুর সাথে আমার এখনও বিয়ে হয় নি ঠিকই কিন্তু পিহুকে আমি আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কবুল করে নিয়েছি অনেক আগেই। তাই পিহুকে আ*ঘা*ত করা বা ওকে ক*টু কথা শোনানো মানে তা আমার সাথেও করা। তাই আমার অংশের উপর তো এভাবে আঁ*চ*ড় কেটে আপনাদের পার পেয়ে যেতে দিবো না বারবার।”
সোমা তোঁ*ত*লা*নো স্বরে বললেন….
—”আ-আমি-আমি তো ও-ওভাবে আ-আসলে ভু-ভু*ল বুঝবেন না আমাদের এমপি সাহেব…!”
সারফারাজ এবার সোমার উপর এতটাই ঝুঁকে এলো যে সোমার নিঃশ্বাস আটকে এলো মুহূর্তেই। হারহীম করে দেওয়ার মতো ভ*য়ং*কর শীতল কণ্ঠে সারফারাজ বললো….
—“ভু*ল বুঝবো না? ভু*ল*টা আবারও করতে দিলে তো তা নিয়ে বোঝা-বুঝি করার সুযোগ আসবে তাই না!”
সোমা তখুনি চেয়ার থেকে নেমে সারফারাজের পায়ের কাছে বসলো। দু’হাতে সারফারাজের পা জড়িয়ে ধরে বললো….
—”শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দিন আমাদের এমপি সাহেব। এরপর আর কখনও এমন ভু*ল হবে না কথা দিচ্ছি।”
সোনালী ব্য*থা*য় কাঁ*ত*ড়ে পরে আছে আগের ন্যয়ই। নিজ শক্তিতে উঠে বসতে পর্যন্ত পারছে না সে। আর না সাহায্য চাইতে পারছে সারফারাজের ভ*য়ে। সারফারাজ ঝা*ট*কা মে*রে নিজের পা থেকে সোনালীকে সরিয়ে দিয়ে কঠিন কন্ঠে বললো…
—”শেষ বার। শেষ বারের মতো ছাড় দিচ্ছি। জীবনটা ভি*ক্ষা দিচ্ছি। যদি আপনাদের কোনো কথা বা আচারণের প্রভাবে আমার হবু বউ ক*ষ্ট পেয়েছে এমন কিছু আর একটাবার আমার চোখে বা কানে এসে পরে তাহলে কসম বলছি, আপনাদের গলা চিঁ*ড়ে এই জবানটাই ছিঁ*ড়ে বের করে আনবো। তখন আর এভাবে পায়ে পরে বোঝানোর মতোও কোনো সুযোগ আপনারা পাবেন না।”
সোনালীর সর্বা*ঙ্গ শি*উ*রে উঠলো এবার। মাথা মাথা নুইয়ে জড়ো-সড়ো হয়ে বসে আছে। পিহু এতো সময় ধরে নিরব ভাবে ওদের প্রতিটা কথপোকথন শুনছিলো। পিহুরও শরীর কেঁ*পে কেঁ*পে উঠছিলো যখুনি সারফারাজ রাগে থ্রে*ট গুলো দিচ্ছিলো সোমা ও সোনালীকে।
এক মুহূর্তের নীরবতা কাটিয়ে সারফারাজ পিহুর দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নরম স্বরে বললো…
না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১০
—“আমি জানতাম তুমি ভিতরে আসার কেউ আশেপাশে দেখার ও শোনার নেই বুঝে এরা তোমার সাথে দূ*র্ব্যবহার করবে তাই তখন তুমি ভিতরে আসার পরপরই আমি চলে যাই নি। দাঁড়িয়ে শুনেছি এদের প্রত্যেকটা কথপোকথন।”
পিহু কিছু বললো না। সারফারাজ বললো….
—”যাও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমাও এখন।”
পিহু নিরবে নিজ রুমে চলে গেলো। সারফারাজ সোমা আর সোনালীর দিকে অ*গ্নী চোখে তাকিয়ে ডান হাতের শাহাদত আঙুল খানা নাচিয়ে স্থান ত্যগ করলো।