না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১৮

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১৮
মাইশা জান্নাত নূরা

নির্ঝর একপ্রকার বিরক্ত নিয়ে নিজের ফোনটা বের করে ইউটিউবে ঢুকে গাড়িতে উঠার পর সিটবেল্ট কিভাবে লাগাতে হয় সেই ভিডিওটা চালিয়ে মেয়েটার দিকে ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বললো….
—“আপনার অতিরিক্ত স*ন্দে*হ পরায়ণতা স্বভাবের জন্য আমি তো কাছে গিয়ে সিটবেল্টটা লাগিয়ে দিতে পারবো না। তাই এই ভিডিওটা দেখেই শিখে নিন কিভাবে সিটবেল্টটা লাগাতে ও পরবর্তীতে খুলতে হয়।”
মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে বললো…
—“ফোনটা নিচে রাখুন।”
নির্ঝর বললো…

—“নিচে! ওও আচ্ছা, বুঝেছি। নিশ্চয়ই এবার ভাবছেন এই ফোন দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে আমি আপনার হাত ছোঁয়ার মতো মহা ষ*ড়*যন্ত্র নিজ মনে আঁটতেও পারি। তাই না?”
মেয়েটা ঠোঁট কাঁ*মড়ে হালকা হেসে চুপ করে রইলো। নির্ঝর ফোনটা নিচে রাখতেই মেয়েটা ফোনটা তুলে নিয়ে ভিডিওটা মনোযোগ দিয়ে দেখে সিটবেল্ট লাগিয়ে নিলো। তারপর ফোনটা আগের জায়গায় রেখে দিলো।
নির্ঝর একবার গভীর নিঃশ্বাস ফেলে বললো…..
—“এই ক’মিনিটে আমি বুঝে গিয়েছি আপনার বিশ্বাস পাওয়া কতোটা কঠিন!”
এই বলে নির্ঝর গাড়ি স্টার্ট করলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সারফারাজ বেলকনি থেকে রুমে ফিরে এলো। পিহু তখনও বিছানায় বসে আছে। দু’হাতে কান চাপা দিয়ে। ওর শ্যমবর্ণের মুখশ্রী জুড়েও লজ্জার লাল আভা ফুটে উঠেছে। সারফারাজ মুচকি হেসে পিহুর সামনে দু’হাঁটু গেড়ে বসলো। পিহু কান থেকে হাত সরিয়ে দ্রুত স্বরে বললো…..
—”একি, কি করছেন? পায়ের কাছে এভাবে বসলেন কেনো? উঠুন ওখান থেকে।”
সারফারাজ কথা শুনলো না। পিহুর দু’পায়ের উপর মাথা ঠেকালো। বুঁজে নিলো দু‘চোখ। পিহু দু’হাতে বিছানার দু‘পাশের চাদর খাঁ*ম*চে ধরে এই অনুভূতিকে সহনশীল করে তুললো। সারফারাজ বললো…..
—”মানুষ হিসেবে আমায় তোমার কেমন মনে হয় বউ?”
পিহু ঢো*ক গি*ললো একবার। আরেকবার। তারপর বললো….

—”আপনি যেমন তেমনই মনে হয়।”
—”কেমন আমি?”
পিহুর গলা কাঁ*প*ছে। তবুও বললো….
—”ভা-ভালো।”
—”শুধুই ভালো!”
—”উহুহ। সাথে ভিষণ রকম যাচ্ছে তাই-ও।”
পিহুর এরূপ কথায় সারফারাজ মৃদুস্বরে হাসলো। অতঃপর পিহুর এক হাঁটুর উপর নিজের থুঁত*নি ঠেকিয়ে বললো…..
—”তুমি এমনই প্রিটি যে তোমার কাছে আসলে নিজেকে ‘যাচ্ছে-তাই’ হওয়া থেকে আটকে রাখতে পারি না কোনো ভাবেই।”
পিহু অন্যপাশে তাকিয়ে বললো….

—”স-সরুন আমার পায়ের কাছে থেকে।”
—”সরতে পারি তবে শর্তসাপেক্ষে।”
—”কিসের শর্ত?”
—”একটা চুমু খেতে দিতে হবে।”
—”দরজার পাশে মাথা ঠেকিয়ে দেওয়ালে চুমু খান যান।”
—”বিয়ে করেছি কি বউকে রেখে দেওয়ালকে চুমু খাওয়ার জন্য?”
পিহু এই লজ্জার ভার আর নিতে পারছে না। দু’হাতে সারফারাজকে নিজের পায়ের কাছে থেকে সরানোর চেষ্টা করতে নিলে সারফারাজ পিহুর দু’হাত ধরে নিজের দিকে টানলো ওকে। ফলস্বরূপ পিহু সারফারাজের দিকে ঝুঁকে এলো কিছুটা। পিহুর এবার মনে হচ্ছে ওর হৃদপিণ্ডটা বুক ফেঁ*টে বের হয়ে আসবে। পিহু সঙ্গে সঙ্গে দু’চোখ বুঁজে নিলো। সারফারাজ পিহুর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো…..

—”শোনো, মজার ছলে অনেক কথাই বলি ঠিকই। কিন্তু আমি জানি আজকের রাতটা তোমার জন্য একেবারেই নতুন এবং বাকি রাতগুলোর থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। তোমার ভিতরে কাজ করা চাপা ভী*তিটুকুও আমি বুঝি। তাই কোনোকিছুর জন্যই তাড়া দিবো না তোমায়। শুধু এটুকু মনে রেখো, আজ থেকে তুমি শুধু আমারই। আর আমিও শুধু তোমারই। তাই আমাদের প্রতিটা দিন-রাত, প্রতিটা মুহূর্ত সুন্দর ভাবে কাটাতে চাই। বিশ্বাস করো, তুমি আমার জন্য হালাল হলেও তোমার প্রতি আমার পূর্ণ অধিকার থাকলেও আমি সেই অধিকারের সুযোগ নিতে চাই না। আমি চাই তুমি নিজ থেকে আমায় আপন করে নাও।”
পিহুর বুকের ভিতরে অজানা কারণে কাজ করা এতোসময়ের ধুকপুকানি ভাবটা কেটে গেলো যেনো মূহূর্তেই সারফারাজের এরূপ কথা শুনে।
কিয়ৎক্ষণের নীরবতার পর সারফারাজ আবারও বললো…..

—“তোমায় আমি একটা সুন্দর নামে ডাকতে চাই প্রিটি। তোমার পিহু নামটাও সুন্দর। এই নামে পুরো জগৎ তোমায় ডাকবে। ডাকুক। কিন্তু কেবল আমি তোমায় এমন একটা নামে ডাকতে চাই যে নামটা সচরাচর কেউ তার স্ত্রীকে ডাকার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে না।”
পিহু সারফারাজের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। সারফারাজ বললো…..
—”আজ থেকে তোমায় আমি ‘হায়াতি’ বলে ডাকবো।”
পিহু বললো…..
—”এই নামের অর্থ কি?”
—”আমার জীবন।”
—”আমি আপনার জীবন এমপি সাহেব?”
—”হু।”

নির্ঝর গাড়ি নিয়ে বাংলো বাড়ির বিশাল গেইট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলো। জানালা দিয়ে মাথা সামান্য বের করে মেয়েটি চারপাশটাতে নিজের তীক্ষ্ণ নজরখানা বুলাচ্ছে। দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে বিশালাকার গাছ দাঁড়িয়ে আছে। আর তার মাঝ দিয়ে সরু হেয়ারিং এর মতো একটা রাস্তা ধরে এগিয়ে এসে বাংলোর পার্কিং সাইডে গাড়ি থামালো নির্ঝর।
মেয়েটি ভ্রু কুঁচকে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বললো….
—“চারপাশটা এমন আলো-আঁধারে ঢাকা কেনো? পরিবেশটা এতো নিস্তব্ধ কেনো? এখানে কি মানুষজন থাকে না নাকি?”
নির্ঝর সিটবেল্ট খুলে নির্লিপ্ত গলায় বললো….

—“গেইটে দু’জন দারোয়ান থাকে সবসময়। আর ভেতরে রান্না-বান্না ও পুরো বাংলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য থাকেন তিন-চারজন সার্ভেন্ট। আর কেউ থাকে না এখানে।”
—“আপনাদের পরিবার? তারা কোথায় থাকে?”
—“অন্য বাসায় থাকে সবাই। ওনারা এখানে আসেন না।”
মেয়েটির কণ্ঠস্বর কিছুটা রূঢ় করে বললো….

—“তাহলে আমাকে আপনি ওখানে না নিয়ে এমন সুনশান জায়গায় কেনো আনলেন? কোনো ব*দ মতলব নেই তো আপনার? সাহায্যের নাম করে ফাঁ*দে ফেলার চেষ্টা করছেন না তো? আমাকে পাঁ*চার করার প্ল্যান করছেন নাকি?”
নির্ঝর দু’হাতে গাড়ির স্টিয়ারিংটা শক্ত করে চেপে ধরলো। দাঁতে দাঁত চেপে রাগ সামলে বললো…..
—“আপনি কি সিনেমার শুধু ওই অংশই দেখেছেন যেখানে মেয়েদের ফাঁ*দে ফেলে পাঁ*চা*র করা হয়? হিরোরা যে এন্ট্রি নিয়ে মেয়েদের বাঁচায়, নিরাপদ আশ্রয় দেয় ওইসব দৃশ্যগুলো দেখেন নি কখনো?”
মেয়েটি নাক সিঁ*ট*কিয়ে বললো…..
—“দেখেছি। তবে আপনি যে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে আমার সামনে নিজেকে হিরো সাজাচ্ছেন, সেটা যে আপনার ভীষণ ভুল ধারণা তা সরাসরিই বলছি।”
—“ভুল ধারণা? আমাকে কোন দিক থেকে বাংলা সিনেমার ভি*লেন মিশা সওদাগর বা ডিপজলের মতো মনে হচ্ছে আপনার?”

—”তাদের চেনার ও মনে রাখার জন্য খারাপ হলেও তো নিজস্ব গুণ ছিলো। আপনার কি আছে? এই হ*নু*মানের মতো চেহারা আর ব*ল*দে*র মতো ব্রেইন! আপনাকে ভি*লে*ন বলাও বড় ল*জ্জা*র।”
কথা শেষ করেই মেয়েটি সিটবেল্ট খুলে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো। নির্ঝর হাঁ হয়ে তাকিয়ে রইলো মেয়েটির দিকে। কারণ নিজের বাহ্যিক ও অন্তর্গত রূপ নিয়ে এমন মন্তব্য জীবনে শোনে নি সে।
মেয়েটি এবার জানালার কাঁচে হাত ভাঁজ করে খানিকটা নিচু হয়ে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বললো….
—“এমন হুটহাট এমন হা করে বসেন কেনো? হা করা ব্য*রা*ম-ট্য*রাম আছে নাকি আপনার?”
নির্ঝর তৎক্ষণাৎ নিজের মুখ বন্ধ করে বললো….

—“আর কি কি ফ্লেভারে আমার ইজ্জতের ফা*লু*দা বানানোর ইচ্ছে আছে আপনার?”
মেয়েটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললো…..
—“আপাতত আর না। গাড়ি থেকে নামুন এবার। পিছনের লোকটাকেও নামান। তাকে যথাস্থানে শোয়ানোর ব্যবস্থা করুন। আর আমাকেও একটা নির্দিষ্ট জায়গা দেখিয়ে দিন যেখানে আমি নিশ্চিন্ত মনে লম্বা ঘুম দিতে পারবো।”
নির্ঝর আর কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে ভিতর থেকে ২জন সার্ভেন্টদের ডেকে এনে তাদের সাহায্যে তেজকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ওকে ওর রুমে শুইয়ে দিলো। ফিরে আসতেই নির্ঝর দেখলো ড্রয়িংরুমে দাঁড়িয়ে মেয়েটি সেখানে রাখা এন্টিক পিচগুলো একে একে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে।
নির্ঝর সতর্ক কন্ঠে বললো…..

—“ওগুলো কিন্তু সব দামী ও দূর্লভ জিনিস। তেজ ভাইয়ের অনেক শখের এগুলো। অ*সা*বধানে কোনো একটাও ভে*ঙে গেলে কিন্তু ঝা*মে*লা হয়ে যাবে।”
মেয়েটি নির্ঝরের দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো…..
—“তেজ কে? ওই ভেতরে যাকে শুইয়ে এলেন সেই লোকটা?”
—“আজ্ঞে হ্যা।”
মেয়েটা নির্ঝরের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো….
—”এর আগেও কতো মেয়েকে এখানে এনেছিলেন আপনারা?”
নির্ঝর বললো….

—”আসতাগফিরুল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ। এসব কি ধরণের কথা বলছেন আপনি?”
—”এতো অবাক হওয়ার কি আছে এখানে? এতো বড় বাংলো বাড়ি। কোনো গার্জিয়ান থাকেন না নজর রাখার জন্য। দু’জন প্রাপ্ত বয়সের পুরুষ যখন খুশি এখানে এসে থাকতে পারছে তো তারা নিজেদের মনোরঞ্জন এর জন্য মেয়ে তো….!”
—”যতোটুকু বলেছেন বলেছেন, ঐ পর্যন্তই থেমে যান। অতিরিক্ত ভাবা ও বলা কোনোটাই ঠিক না। সাহায্য করার কথা নিজ থেকে বলেছি এর মানে এই তো না যে সর্বক্ষেত্রে আমায় আপনি ভি*লে*ন বানিয়ে দিবেন!”
মেয়েটি আরেকটু নির্ঝরের দিকে এগিয়ে আসতেই ওর মাথা ঘুরে উঠলো। তৎক্ষনাৎ পরে যেতে নিলে নির্ঝর এগিয়ে এসে মেয়েটির ডান হাতের কলাই চেপে ধরে ওকে পরে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে নিলো। মেয়েটা পিছনের দিকে কিছুটা হেলে গিয়েছে। নির্ঝর মেয়েটাকে ধরে সোফায় এনে বসিয়ে দিলে মেয়েটা সোফার সাথে হেলান দিয়ে দু’চোখ বুঁজে নিলো। নির্ঝর বললো….

—”আপনি ঠিক আছেন? কি সমস্যা হচ্ছে আপনার?”
মেয়েটাকে নিরব থাকতে দেখে নির্ঝর রান্নাঘরে গিয়ে লবন-চিনি ও সামান্য লেবুর রস ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে একগ্লাস শরবত বানিয়ে এনে মেয়েটার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো….
—”এই শরবত টুকু পান করুন। আশাকরছি ভালো লাগবে আপনার। আর আমি সার্ভেন্টকেও বলে দিয়েছি খাবারের ব্যবস্থা করতে। মনে হচ্ছে আপনার শরীর দূর্বল অনেক।”
মেয়েটা সোজা হয়ে বসে নির্ঝরের হাত থেকে শরবতের গ্লাসটা নিয়ে বললো…..
—“তখন আপনার থেকে পানি নিয়ে পান করেছিলাম কোথাও সেটার জন্যই আমার এমন মাথা ঘুরাচ্ছে না তো! আর এতেও কিছু মিশিয়েছেন নাকি আমায় আরো দূর্বল করার জন্য?”

নির্ঝরের এইমূহূর্তে ইচ্ছে করছে এই শরবতের গ্লাসেই হয় নিজে ডুবে ম*রে যেতে নয়তো এই মেয়েটাকে ডু*বি*য়ে মা*র*তে। কিন্তু তা তো সম্ভব না। নির্ঝর নিজের রাগকে ভিতরে ভিতরেই চি*বি*য়ে নিয়ে বললো….
—“তখন কিছু মিশানোর মতো সময় বা সুযোগ কোনোটাই হয় নি ঠিকই। তবে এবার হয়েছে। সামান্য লবন, লেবুর রস আর খানিকটা চিনি দিয়েছি। চিনি মিশানোর কারণ হলো আপনার মুখ থেকে বের হতে থাকা এতো এতো তি*ক্ত*কর কথাগুলোর ফাঁ*ক দিয়ে একটু যেনো মিষ্টি কথাও শোনার সৌভাগ্য হয় আমার সেই চিন্তা করেই।”
মেয়েটা ভেং*চি কেটে শরবতটুকু পান করলো। পরক্ষণেই একজন সার্ভেন্ট এসে ‘খাবার টেবিলে দেওয়া হয়েছে’ বলে চলে গেলেন৷ নির্ঝর বললো….

—”এবার কোনো উল্টো-পাল্টা শব্দ মুখ দিয়ে বের না করে চলুন দয়া করে। নিজেও খাবেন আর এই অ*ধম টাকেও তার ক্ষুধা নিবারণ করার সুযোগ দিন!”
অতঃপর ওরা ২জনে একসাথে ডাইনিং টেবিলে এসে বসলো। খাওয়া শেষ করে আবারও ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়াতেই নির্ঝর বললো….
—“সামনের ঐ সরু রাস্তা ধরে এগিয়ে যান। ওখানে আমাদের গেস্ট রুম। আপনি গেস্ট রুমে গিয়ে এবার বিশ্রাম নিন।”
মেয়েটা বললো….

—“আমি একা ঐ রুমে ঘুমাবো? যদি রাতে আপনি এসে….!”
নির্ঝর তৎক্ষনাৎ মেয়েটাকে থামিয়ে দিয়ে নিজের মাথায় হাত রেখে বললো….
—“এইযে নিজের মাথা ছুঁয়ে কসম কাটছি, আমি নিজের রুমে গিয়ে রুম একেবারে লক করে ঘুমাবো। তাতেও যদি আপনি সন্তুষ্ট না হন তাহলে চলুন আমার সাথে বাহির থেকে আমার রুমে তালা লাগিয়ে দিবেন। আর চাবিটা নিজের কাছে রেখে দিবেন।”
মেয়েটা ঠোঁট কাঁ*ম*ড়ে বললো….

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১৭

—“চাবি যদি কপি করে রাখেন?”
নির্ঝরের এবার ইচ্ছে হচ্ছে এইখানেই মেঝের উপর হাত-পা ছড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে। মানে একটা মেয়ে এতোটা এতোটা সন্দেহবাতিক স্বভাব কি করে হতে পারে নির্ঝর তা কল্পনাও করতে পারছে না।

না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ১৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here