না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২২
মাইশা জান্নাত নূরা
নির্ঝরের কথায় তেজ আর ইলমা দু’জনেই থেমে গেলো। নির্ঝর তেজের দিকে তাকিয়ে বললো…
—”মানছি ইলমা মেয়ে মানুষ। পায়ে পাড়া দিয়ে ঝ*গ*ড়া করাটা ওনার সাথে যায় কিন্তু তুমি! তুমি কিভাবে একটা মেয়ের সাথে এভাবে ঝ*গ*ড়া করতে পারছো তেজ ভাই?”
ইলমা চোখ ছোট ছোট করে নির্ঝরকে বললো….
—”আপনি আমাকে ঝ*গ*ড়ু*টে বলছেন?”
তেজ ঠোঁট চেপে হাসি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। নির্ঝর ইলমার দিকে তাকিয়ে বললো….
—”আমি তো শুধু কথার কথা বললাম। এতো সিরিয়াস নিচ্ছেন কেনো?”
—”চুপ করুন। আর বাহানা দেখাতে হবে না। আপনি ডিরেক্টলি আমাকে ঐসব মেয়েদের তালিকায় জুড়েছেন যারা ইচ্ছে করে পায়ে পা*ড়া দিয়ে ঝ*গ*ড়া করে।”
নির্ঝর অসহায়ের মতো মুখ করে বললো…..
—”আমার ভু*ল হয়ে গিয়েছে আম্মা। আমি আপনাকে ভু*ল চিনেছি। আর যা বলেছি যা সম্পূর্ণই নিজের ভু*ল ধারণা থেকে বলে ফেলেছি। আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন।”
—”কোন এঙ্গেল থেকে আমাকে আপনার আম্মার বয়সী লাগলো যে আপনি আমাকে আম্মা বলে সম্বোধন করলেন?”
নির্ঝর দাঁতে দাঁত চেপে দু’হাতে নিজের মাথার চুল টানতে শুরু করলো। তেজ আর হাসি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। শব্দ করে হাসতে শুরু করলো সে। ইলমা তেজের দিকে তাকিয়ে বললো….
—”এভাবে হেসে নিজেকে বে*ক্ক*ল প্রমাণ করে খুব মজা পেলেন নিশ্চয়ই!”
তেজ হাসি থামিয়ে বললো….
—”কে বে*ক্ক*ল? আমি?”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
—”থাক থাক আর স্বীকার করতে হবে না। জাতি জানে যে আপনি একটা বে*ক্ক*ল।”
তেজ তৎক্ষনাৎ আশেপাশে তাকিয়ে ওর বসারত সোফার একপার্শে থাকা সাইড টেবিলটার উপর থেকে ফুলদানীটা উঠিয়ে ইলমার দিকে তে*ড়ে আসতে নিলে নির্ঝর উঠে তেজের পেট জড়িয়ে ধরে ওকে থামিয়ে দিলে। তেজ হি*স*হি*সি*য়ে বললো….
—”নিজ্ঝরিয়া, ছাড় আমাকে। আজ আমি এই মহিলার মা*থা ফাঁ*টি*য়ে তবেই দ*ম ফেলবো।”
নির্ঝর বললো….
—”ভাই, ভাই, শান্ত হও তুমি। তোমার হাতের ফুলদানীটা অনেক দামী আর মূল্যবান। ওটা তুমি আমেরিকা থেকে এনেছিলে ভুলে গিয়েছো!”
তেজের এমন রিয়াকশনে ইলমা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে এবার পায়ের উপর পা তুলে বসে বললো….
—”আর একটু সময় ধরে রাখুন ওনাকে নির্ঝর। দেখা যাবে উনি দম না ফেলে কতোসময় থাকতে পারেন।”
তেজ এবার জো*র দেখানো বন্ধ করলে নির্ঝর তেজকে ছেড়ে দিলো। তেজ ফুলদানীটা নিজের কপালের সাথেই আলতো করে দু’টো বারি দিলো। ইলমা বললো…..
—”এতো আস্তে বা*রি দিলে তো মাথার একটা চুলেরও কিছু হবে না। মাথা ফাঁ*টা তো অনেক দূরের বিষয়।”
নির্ঝর ইলমার দিকে ঘুরে হাত জোর করে ইশারায় ওকে থামতে অনুরোধ করলো। তেজ বললো….
—”এ এ কোন চিজ তুই রাস্তা থেকে উঠিয়ে এনেছিস রে ভাই! এ তো আমাদের পাবনা না পাঠানো পর্যন্ত স্বস্তি পাবে বলে মনে হয় না।”
ইলমা মুখ বাঁ*কি*য়ে বিরবির করে বললো….
—”পাবনাও আপনাদের মতো লোকদের গ্রহন করবে না।”
প্রায় অনেকটা সময় ধরে গল্পে মগ্ন হয়ে ছিলো পিহু আর নীরা। নীরার কান্নাভেজা মুখ, ভেতরে জমে থাকা চাপা অভিমানগুলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে গিয়ে ওর মুখে এখন হাসি ফুটে উঠেছে। যে মেয়ে কিছুক্ষণ আগেও কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো, সে এখন প্রাণোচ্ছল ভঙ্গিতে নিজের বড় ভাবীর সাথে গল্প করছে।
ঠিক তখনই দরজা ঠেলে ভেতরে এলেন নীরার মা আতুশি। তিনি সম্পর্কে পিহুর ছোট চাচী-শ্বাশুড়ি হন। ঠোঁটে স্নেহভরা হাসি ফুটিয়ে আতুশি বললেন….
—“পিহু মা’কে নিয়ে কেবল গল্পে মজে থাকলেই চলবে নীরা? নিচে যেতে হবে তো। সকালবেলার খাবার খেতে হবে না নাকি?”
নীরা হেসে বললো….
—“মা, এমন মিষ্টি একজন ভাবী পেয়েছি আমি। তার সাথে গল্প জুড়লে সময়ের খেয়াল থাকে নাকি!”
পিহু লাজুক ভঙ্গিতে হাসলো। চোখ নামিয়ে নরম স্বরে বললো….
—“তুমিও খুব মিষ্টি নীরা।”
আতুশি বললেন….
—“হয়েছে হয়েছে, ননদ-ভাবীতে একে-অপরের প্রশংসা অনেক করা হলো এখন নিচে চলো তোমরা। সবাই তোমাদের জন্য খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছেন।”
অতঃপর নীরা আর পিহু দু’জনকে নিয়ে আতুশি নিচে নামলেন। ডাইনিং রুমে প্রবেশ করতেই পিহু দেখলো খান বাড়ির সবাই আগে থেকেই সেখানে বসে আছেন। নতুন বউ হিসেবে আজ পিহুর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম সকাল। ওর মনে এক অদ্ভুত শিহরণ কাজ করলো।
পিহু ওর ওড়নার আঁচলখানা মাথায় টেনে নিলো। ভদ্র ভঙ্গিতে সবার সামনে দাঁড়িয়ে নরম স্বরে সালাম দিলো। সবাই মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকালেন পিহুর দিকে ও সালামের উত্তর জানালেন।
আতুশি বললেন….
—“পিহু মা, তুমি সারফারাজ বাবার পাশেই বসো।”
পিহু চুপচাপ ওর স্বামী সারফারাজের পাশের চেয়ারটি টেনে সেখানে বসলো। সারফারাজ মাথা হালকা নিচু করে রেখেছে। খান বাড়ির প্রধান কর্তা মোস্তফা খানের মেজো পুত্র জায়েদ খান যিনি সম্পর্কে সারফারাজের মেজো চাচা হন তিনি হালকা গম্ভীর কণ্ঠে বললেন…..
—“আজ আমাদের নতুন অতিথি সারফারাজ বাবার জীবনসঙ্গিনী পিহু মায়ের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হলো। খান বাড়ির বড় বধূ হিসেবে তোমার দায়িত্ব কিন্তু অনেক বড় বউমা। আমাদের খান পরিবারের ঐতিহ্য, স্নেহ আর বন্ধনের অংশীজন আজ থেকে তুমিও হলে মা।”
পিহু মাথা নিচু করে বিনয়ের স্বরে বললো….
—“দোয়া করবেন সবাই। আমি যেনো আপনাদের ভালোবাসা আর সম্মান ধরে রাখতে পারি।”
সারফারাজ চোখ তুলে পিহুর দিকে তাকালো। তবে কিছু বললো না। পরপরই আবারও মাথা নিচু করে নিলো।
সোফায় বসে মাথার উপর কোল্ড ব্যগটা চেপে ধরে আছে তেজ। নেশার ঘোর কাটিয়ে ঘুম থেকে উঠার পরই ইলমার কথায় মাথা যথেষ্ট গরম হয়ে গিয়েছিলো ওর। নির্ঝর কমোরের ব্যথায় একপার্শে কাঁ*ত হয়ে শুয়ে আছে। ইলমা ওর ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের নখ কাঁ*ম*ড়া*তে কাঁ*ম*ড়া*তে তেজ আর নির্ঝরকে পর্যবেক্ষণ করছিলো। পরপরই ইলমা বললো…
—”মানছি রাস্তা থেকে আমাকে উঠিয়ে এনেছেন সাহায্য করার নিয়ত নিয়ে। আমি তো আশ্রম থেকে পা*লি*য়ে এসেছিলাম। যার দরুন কোনো কাপড় নিতে পারি নি। তাই বলে কি আমাকে সারাটাদিন-রাত এই এক বোরখা পড়িয়েই বসিয়ে রাখবেন আপনি, নির্ঝর? এই আপনার সাহায্যের নমুনা!”
তেজ ভ্রু কুঁটিয়ে ইলমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেনো ওকে কাঁ*চা অবস্থাতেই চি*বি*য়ে খে*তে পারলে শান্তি মিলতো ওর। নির্ঝর ওর মুখ দিয়ে চাপা আ*র্ত*না*দ বের করতে করতে বললো…..
—”ইলমা, আমার অবস্থা তো আপনার চোখের সামনেই ভাসছে। কোমরের ব্য*থায় নড়াচড়া করতে পারছি না। এখন আপনাকে সপিং করাতে নিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।”
ইলমা কিছু বললো না। একটু পর নির্ঝর তেজের দিকে তাকিয়ে কাতর স্বরে বললো…..
—”তেজ ভাই, আমি জানি তুমি এসব একদম পছন্দ করো না। তার উপর ইলমার সাথে ১ম সাক্ষাৎ এই তোমার কথা কা*টা*কা*টি হলো। কিন্তু আমি তো না পারছি নড়তে, না পারছি কিছু করতে। আমার উপর দয়া করে হলেও উনাকে নিয়ে যাও সপিং করাতে প্লিজ!”
তেজ ভ্রু-জোড়া আরো কুঁচকে বললো…..
—”আমাকে এসব ফা*ল*তু কাজ করার কথার বলবি না নির্ঝর। আমার মাথা এমনিই যথেষ্ট গরম হয়ে আছে আর গরম করার মতো কাজ করতে বলিস না।”
ইলমা মুখ বাঁ*কা*লো কেবল। এখন কিছু বললে হয়তো তেজ আরো বেঁ*কে বসবে যা ইলমার নিজের জন্যই লস। কারণ এই গরমে বোরখাটা লম্বা সময় ধরে পড়ে থাকাতে ভিষণ অস্বস্তি বোধ হচ্ছে ইলমার। তাই এই পোশাক অতিদ্রুত পরিবর্তন করা অনেক জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে ওর জন্য।
নির্ঝর অনুনয়ের স্বরে বললো….
—”একবারই তো ভাই। তুমি না গেলে ইলমাকে এই পোশাক পড়েই থাকতে হবে যা ওনার জন্য কষ্টকর। আর আমার ও সম্মানের বিষয় জড়িয়ে আছে এখানে। আমি পারলে আমিই নিয়ে যেতাম। কিন্তু আমি তো পারছি না। তাই তোমার উপরেই সব ভরসা আমার। প্লিজ, আর না করো না। প্লিজ, প্লিজ, প্লিইইইইইইইইজ।”
তেজ চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবে একবার নিঃশ্বাস নিলো। অতঃপর দাঁতে দাঁত চেপে বললো…..
—”ঠিক আছে। কিন্তু মনে রাখিস, তোর জন্যই যাচ্ছি।”
ইলমা মনে মনে বললো….
—”বাধ্য না হলে আপনার মতো বাঁ*দ*র মার্কা লোকের সাথে যাওয়ার কথা চিন্তাতেও আনতাম না।”
অতঃপর তেজ আর ইলমা বেড়িয়ে গেলো। তেজ পার্কিং সাইড থেকে ওর বাইকটা নিয়ে এসে ইলমার সামনে দাঁড় করিয়ে বললো….
—”বাইকে উঠার অভ্যাস তো নেই মনে হয়। তাই সাবধানে উঠে বসুন৷ ছোট ভাইয়ের আমানত আপনি আমার৷ কোনো অ*ঘ*ট*ন ঘটুক এমনটা চাই না।”
ইলমা কিছুটা সংকোচ নিয়ে তেজের কাঁধের উপর একহাত রেখে ভর দিয়ে উঠে বসলো। বেশ খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেছে ইলমা তেজের থেকে। তেজ বললো….
—”ওখানে না বসে গাড়ির পিছনের চাকার সাথে ঝুলে চলুন না! তাহলেই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।”
ইলমা তেজের কথার মানে বুঝতে না পেরে বললো….
—”মানে?”
—”ওতো যে সরে বসেছেন একটা ব্রেষ কষলেই তো সেই হয় আমার গায়ের উপর এসে উপচে পড়তে হবে নয়তো কোনো গাড়ির চাকার নিচে যেতে হবে। লজ্জায় পড়ার বা পটল তোলার ইচ্ছে না থাকলে মিনিমাম দূরত্ব রেখে বসে আমার কাঁধে হাত রাখুন ভালো ভাবে।”
—”সেটা তো ভালো ভাবেও বলা যায়। এমন খা*রু*শে*র মতো কথা বলেন কেন? জন্মের পর মুখে কি মধু পরে নি?”
—”নাদান ছিলাম। মধু দিয়েছিলো কি না জানা নেই। আর প্রথমে ভালো ভাবেই বলেছিলাম। ভালো কথা ভালো ভাবে বললেও আপনাদের সেটা পোষায় না কিনা তাই এবার এভাবেই বলতে হলো।”
ইলমা তেজের দিকে আরো খানিকটা এগিয়ে এসে শক্ত করে ওর ডান কাঁধটা চেপে ধরলো ইচ্ছে করেই। তেজ হালকা ব্য*থা অনুভব করে কাঁধটা বাঁ*কি*য়ে বললো…..
—”কাঁধের উপর ডিগ্রি তুলতে বলি নি আপনাকে।”
—”এতো বেশি বকর বকর না করে চলুন তো।”
এই বলে ইলমা ওর হাতটা হালকা ঢিল দিলো। তেজ বাইক স্টার্ট করলো। উদ্দেশ্য সপিংমলে যাওয়া।
খাওয়া শেষে সারফারাজ ওর রুমে চলে এসেছে আগেই। বেশ খানিকটা সময় পর পিহু রুমে প্রবেশ করলো। তেজ বিছানায় বসে ছিলো। পিহুকে দেখে বললো…..
—”তখন না বলেই কোথায় চলে গিয়েছিলে?”
পিহু স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর করলো…..
—”নীরার রুমে, ওর সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য।”
সারফারাজের চোয়াল খানিকটা শক্ত হয়ে এলো। হাত মুষ্ঠু করে বললো….
—”পরিচয় পর্ব শেষ হয়েছে নিশ্চয়ই! এখন থেকে নীরার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলবে তুমি৷”
পিহু বিছানার কাছে এসে দাঁড়িয়ে সারফারাজের দিকে তাকিয়ে বললো…..
—”সমস্যা আপনার সাথে নীরার। আপনারা ভাই-বোন। আর আপনার রাগের জন্য আমি কেনো নীরার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে যাবো? আমি নীরার সাথে ভাবীর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলি নি। ওকে আমি আমার ছোট বোনের জায়গা দিয়েছি। তাই ওর সাথে মেশা নিয়ে আমি কারোর নি*ষে*ধ মানতে পারবো না।”
সারফারাজ ওর রাগ নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে বললো…
—”তুমি আমার স্ত্রী পিহু৷ তাই আমার আদেশ-নি*ষে*ধ মানতে তুমি বাধ্য।”
পিহু শব্দ করে একবার নিঃশ্বাস ফেলে সারফারাজের দিকে এগিয়ে গেলো। ওর মুখোমুখি বসে শান্ত কন্ঠে বললো…..
—”শুনুন! নীরা অনেক ভালো মেয়ে। ওর মনটাও অনেক নরম। আমি ওর সাথে কথা বলে যা বুঝেছি কোনো বড় সমস্যা ছিলো জন্যই ও আপনাদের সাথে এমন করেছে। আর আপনি যেহেতু রাগের কারণে ওর সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলেই ঠিক করেছেন তখন আমিই কথা বলবো। আমি শুনবো এমনটা করার পিছনে আসলে কি কা……!”
পিহু ওর পুরো কথা শেষ করতে পারলো না। সারফারাজ ধ*ম*কে উঠে বললো…..
না চাইলেও তুমি শুধু আমারই পর্ব ২১
—”চুপ, আর একটা কথা না। অনেক বার বলেছি তোমায় এ বিষয়ে কথা না বাড়াতে। কেনো জেদ খেয়ে বসেছো তুমি? আমি কি বলেছি তোমায় আমায় জানাতে কি কারণে কি নীরা ওমন করেছিলো আমাদের সাথে? বলি নি তো? তাহলে কেনো এসব করছো তুমি? হ্যা?”
সারফারাজের ধমকে পিহুর মুখটা ছোট হলে এলো। দু’চোখ ছলছল করছে ওর। ঠোঁট চেপে ধরেছে। পরপরই পিহু সারফারাজের কাছে থেকে উঠে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। সারফারাজ সঙ্গে সঙ্গে রাগে বিছানার পাশে দেওয়ালে স্বজোরে একটা ঘুঁ*ষি মে*রে বললো…..
—”সি*ট…!”