প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ১৪

প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ১৪
জান্নাত নুসরাত

সকাল থেকে নাজমিন বেগম নুসরাতের পেছন পেছন ঘুরছেন। নুসরাত কারণ জিজ্ঞেস করার পর ও কোনো উত্তর দিচ্ছেন না। নুসরাত ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য কাপড় বের করে ওয়াশরুমের দিকে গেল। নাজমিন বেগম ও তার পেছন পেছন গেলেন। নুসরাত ওয়াশরুমের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। পিছন ফিরে মায়ের দিকে তাকালো। এক ভ্রু তুলে জিজ্ঞেস করলো কি? নাজমিন বেগম না করলেন কিছু না। নুসরাত নাজমিন বেগমের এমন আচরণ দেখে বিরক্ত হলো।

” আম্মা কি হয়েছে?
নাজমিন বেগম আবার বললেন,
“কিছু হয়নি!
নুসরাত প্রচুর বিরক্ত হলো। মুখ দিয়ে কিছু অদ্ভুত শব্দ বের করে বলল,” আম্মা তুমি কি এখন আমার সাথে ওয়াশরুমে যাবে? আমি কাপড় কীভাবে বদলাবো তা দেখবে?
” ছিহ্ না! আমি কেন তোর সাথে ওয়াশরুমে যাব? তোর কেন মনে হলো আমি তোর সাথে ওয়াশরুমে যাব?
” তাহলে আমার পিছন পিছন ওয়াশরুমের দরজা পর্যন্ত আসার মানেটা কি?
” আসলে, ভার্সিটি থেকে একটু তাড়াতাড়ি আসিস?
“কেন? তাড়াতাড়ি এসে কি করব?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” ইসরাতকে দেখতে আসছে আজ…
“তো কি হয়েছে?
” আমাকে শেষ করতে দে!
” আচ্ছা বলো।
” একটু কাজে সাহায্য করবি! তাড়াতাড়ি চলে আসিস! আমার সোনা মেয়ে!
“পারব না আসতে। আমার প্রচুর কাজ আছে আজ ভার্সিটিতে।
নাজমিন বেগম কিছু একটা ভেবে বললেন,
” আজ যদি ভার্সিটি থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসিস তাহলে তোকে টাকা দিব।
টাকার কথা শুনতেই লাফ দিয়ে নাজমিন বেগমের কাছে আসলো নুসরাত। মুখ হাসি হাসি করে বলল, “আম্মা কত টাকা দিবা?

” ২২০ টাকা দিব!
নুসরাত কপাল কুঁচকে তাকালো। নাজমিন বেগম বুঝলেন এই টাকায় হবে না। আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,” আচ্ছা ৪০০ টাকা দিব। হবে! এর বেশি দিতে পারব না। রাজি থাকলে বল!
নুসরাত মিচকা শয়তানের মতো মুখ বানিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে হাসলো। যার মানে সে রাজি এই প্রস্তাবে। নাজমিন বেগম বললেন, ” দেরি হয়ে যাচ্ছে না ভার্সিটি যেতে। তাড়াতাড়ি রেডি হ! পরে ইরহাম রেখে চলে যাবে।
নুসরাত তড়িগড়ি ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করলো।
ওয়াশরুমের ভিতর থেকে চিৎকার করে বলল,” আম্মা নাস্তা দাও?
নাজমিন বেগম বললেন,
” দিয়ে দিয়েছি!

ইরহাম আর নুসরাত ভার্সিটি যাওয়ার পথে বাইক নিয়ে একটা ছেলে এসে তাদের পথ রোধ করলো। নুসরাত প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে তাকালো ছেলেটার দিকে। মাথা থেকে হেলমেট খুলে ছেলেটা চুল দু-দিকে ঝাড়া দিল।
” কি ভাই? বাইক কেন থামালেন আমাদের সামনে! অন্য জায়গা পাননি বাইক থামানোর জন্য। আর আমার মুখের উপর এসে চুল ঝাড়া দিলেন কেন? আর জায়গা খুঁজে পাননি? আমার সেনসেটিভ নাক এখন পিটপিট করছে। আজাইরা মানুষ, কাজ কাম নাই। আমার নাকের বিনাষ করে দিলেন।
ইরহাম নুসরাতকে বকবক করতে দেখে কানে কানে বলল চুপ করার জন্য। নুসরাত ইরহামের পায়ে লাথ দিয়ে বলল,

” তুই তো পুরুষ নামের কলঙ্ক! তোর বোনের উপর গাড়ি তুলে ফেলছে আর তার প্রতিবাদ তুই থাকতে আমি করছি। আবার বলিস আমাকে চুপ করার জন্য। আজ বাড়িতে গিয়ে তোকে কীভাবে শায়েস্তা করি দেখিস?
ইরহামকে শাসানো শেষে নুসরাত বলল,
” হ্যাঁ, কি যেন বলছিলাম?
ছেলেটা কানে হাত চাপা দিল। নুসরাতকে উদ্দেশ্য করে বলল, ” শালিকা এতো কথা বল না! এতো কথা কীভাবে একসাথে তুমি বলতে পারো? এতো কথা বলে আমার কানের পোকা মেরে ফেলছো? আচ্ছা যাই হোক, ওইসব ছাড়ো! তোমার বোন কোথায়? ভার্সিটিতে আজকাল দেখা যায় না।
নুসরাত নিজের তর্জনী আঙ্গুল তুলে বলল,

” এই ছেলে এই, তুমি আমার বোনকে দিয়ে কি করবে? ও ভার্সিটিতে গেলে যাবে না গেলে নেই। তোমার কি দরকার ওর সাথে?
কিছুটা অবাক হওয়ার ভান করে বলল ছেলেটা,
” তুমি জানো না শালিকা! তোমার বোন তোমাকে বলেনি! আচ্ছা না বললে কি হয়েছে? আমি বলে দিচ্ছি। ও আমার ভবিষ্যৎ বাবুর আম্মু লাগে। আর তুমি আমার শালিকা।
নুসরাতের মাথা প্রচন্ড গরম হলো। হাতের কাছে কিছু থাকলে ছেলেটার মাথা ফাটিয়ে দিত এখন। এমনিতেই লেট হয়েছে বাসা থেকে ভার্সিটির জন্য বের হতে এর মাঝে এই ছেলে আরো পেঁচাল শুরু করেছে।

নুসরাত হালকা ঝুঁকে ছোট্ট একটা পাথর হাতে নিল। নুসরাতকে এভাবে হঠাৎ ঝুঁকতে দেখে ছেলেটা ও ঝুঁকে তাকাল নুসরাতের সাথে। যখন দেখল নুসরাত ছোটো খাটো পাথর তুলছে। ছেলেটা বুঝে গেল ওর উপরই পাথর টা মারা হবে। বাইক স্ট্রার্ট দেওয়ার আগেই নুসরাত ছোটখাটো পাথর টা ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে মারলো। পাথর টা ছেলেটার চোখের কিছুটা উপরে পড়ল। নুসরাতকে আবার ঝুঁকতে দেখে বাইক টান দিয়ে চলে যেতে যেতে বলল,
” যেমন বড় বোন তেমন ছোট বোন! আয় হায়, আমার চোখ ফাটিয়ে দিল শালি।
নুসরাত হাত ঝেড়ে বিচ্ছিরি গালি দিল। ইরহামের বাহুতে থাপ্পড় মারলো। ইরহাম থাপ্পড় খেয়ে হাত দিয়ে বাহু ঘষলো।
নুসরাত বলল,
” তুই ভাই নামের কলঙ্ক ছেলে নামের ও কলঙ্ক।

অন্যদিকে,
সৈয়দ বাড়ির গেটের সামনে থেকে গাড়ির হর্ণের শব্দ আসলো। জায়িন নিজের রুমের জানালার পর্দা সরিয়ে রাস্তার দিকে তাকালো। কাঙ্কিত ব্যক্তিকে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হালকা হাসল। যা আবার নিমেষেই মিশে গেল মুখের সাথে। মুখ গম্ভীর বানিয়ে ফর্মাল শার্টের উপরের বোতাম লাগিয়ে নিল জায়িন। ডিভান হতে কোর্ট হাতে তুলে নিয়ে রুম থেকে বের হলো। রুম লক করে সিঁড়ির দিকে চলে গেল। ইসরাতের রুম ক্রস করার সময় রুমের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নিল।
নিচ তলায় নেমে লিপি বেগমকে ডাক দিয়ে বলল,

” আম্মু আমি বের হচ্ছি। ফিরতে লেট হবে!
জায়িন কথাটা বলেই মেইন দরজা খুলে বের হয়ে গেল। লিপি বেগম কিচেন থেকে বের হয়ে আসলেন। পিছন থেকে চিৎকার করে বললেন, ” তুই আরশ, ইরহাম সবগুলো চলে যাচ্ছিস! আজ মেহমান বাড়িতে আসছে আর একটা ছেলেও বাড়িতে নেই। জায়ানটা ও কোথায় চলে গেল?
জায়িন পিছন না ফিরে চিৎকার করে বলল,
“আম্মু আরশকে নাহয় জায়ানকে পাঠিয়ে দিব! আমি এসবে থেকে কি করবো? আমার কাজ আছে ডেলার সাথে।
লিপি বেগম মুখ কালো করে চেয়ে থাকলেন জায়িনের দিকে। মুখ দেখে বুঝা গেল ডেলার কথা শুনে উনার মুখ কালো হয়ে গিয়েছে।

প্রফেসর ক্লাস করাচ্ছেন। সবার মনোযোগ প্রফেসরের দিকে হলেও শেষের বেঞ্চে বসা তিনজন মেয়ের কোনো মনোযোগ নেই সেদিকে। তারা আছে তাদের নিজেদের গল্প নিয়ে। কিছুক্ষণ পর পর পিছনের বেঞ্চ হতে আসছে ফিসফিস হাসির শব্দ। প্রফেসর নিজের ক্লাস শেষে নিজের মাইক, প্রজেক্টর গুছিয়ে চলে গেলেন ক্লাস থেকে। প্রফেসর বের হওয়ার সাথে সাথে যারা ক্লাস করবে না তারা বের হয়ে গেল।
নুসরাত ব্যাগ হাতে নিয়ে ক্লাস হতে বের হলো সাথে ইরহাম ও বের হলো । সাদিয়া আর সৌরভি সব ক্লাস করে যাবে বাসায়। তাই তারা ক্লাসে রয়ে গেল।
ক্লাস থেকে বের হয়ে করিডোরে দাঁড়াতেই জুন মাসের রোদের তাপ শরীরে লেগে খাঁ খাঁ করে উঠলো। নুসরাতের মনে হলো তার শরীর জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে গেল।
ইরহাম বলল,

” চল আইস্ক্রিম খাই! এই গরমে শরীর পুড়ে গেল। আইস্ক্রিম খেলে একটু আরাম লাগবে।
রোদের জন্য নুসরাত চোখ কুঁচকে তাকিয়ে বলল,
” তুই গিয়ে নিয়ে আয়! আমি এখানে অপেক্ষা করছি তোর জন্য।
ইরহাম আচ্ছা বলে আইস্ক্রিম কিনতে চলে গেল। নুসরাত কপাল হতে ঘাম মুছে এদিক সেদিক তাকিয়ে ছাত্র -ছাত্রীদের যাওয়া আসা দেখতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর, ইরহাম আইস্ক্রিম নিয়ে আসলে দু-জন ভার্সিটি থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়ালো। দাঁড়ানোর দুই মিনিটের মাথায় একটা রিকশা আসলে সেটা ভাড়া করে উঠে গেল রিকশায়।

সৈয়দ বাড়ির সামনে গিয়ে রিকশা থেকে নেমে গেল নুসরাত আর ইরহাম। ভাড়া মিটিয়ে বাসার গেইটের সামনে থেকে নতুন মানুষের কথার শব্দ শুনে ইরহামকে বলল,
” মনে হয়, মেহমান চলে এসেছে। আমি কিচেনের দরজা দিয়ে ভিতরে যাচ্ছি।
ইরহাম বলল,
” আমি এই বেষ নিয়ে নতুন মানুষের সামনে দিয়ে যাব! আমি ও কিচেনের রাস্তা দিয়ে তোর সাথে যাব।
নুসরাত আর ইরহাম কিচেনের দরজা দিয়ে গিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকল।

” নুসরাত তুমি বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকো! এই দিক দিয়ে গেলে তো ড্রয়িং রুম হয়ে যেতে হবে। আমি বাড়ির পিছনের দরজা খুলছি ! আর তুমি ফ্রেশ হয়ে কিচেনে আসো কিছু কাজ আছে! ইরহাম ফ্রেশ হয়ে ওখানে বসো কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে এগিয়ে দিবে। ভাইয়ারা এখনো কেউ বাসায় আসেনি। বড় ভাই ততক্ষণ তাদের সাথে কথা বলুক। দাঁড়িয়ে আছো কেন? যাও তাড়াতাড়ি দু-জন! আর নতুন কাপড় পরে বের হবে ইরহাম। নুসরাত তুমি একটা কামিজ পড়ে নিও মা। প্লিজ!
রুহিনি কাজ করতে করতে তাড়াহুড়ো করে কথাগুলো বলল।
নুসরাত আচ্ছা বলে চুপচাপ বাড়ির পিছনের দিকে চলে গেল। ইরহাম ও নুসরাতের পিছন পিছন দৌড়াল।
রহিমা এসে দরজা খুলে দিল। তারা দু- জন বাড়ির পিছনে দরজা দিয়ে নিজের রুমে চলে গেল।

নাছির সাহেব বাড়িতে এসেছেন কিছুক্ষণ হলো। ছেলের বাড়ির সবার সাথে পরিচিত হওয়ার পর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন।
সবাই সবার নিজস্ব মতামত দিচ্ছে কোন সরকার থাকলে ভালো হবে কোন সরকার থাকলে খারাপ হবে। এসব বিষয় নিয়ে বয়স্ক মানুষদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে।
মেহেরুন নেছা লাঠি ভর দিয়ে এসে বসলেন ড্রয়িং রুমের সোফায়। মুখের ভিতর একদলা পান সুপারি।
ছেলের বাড়ির মানুষ সালাম দিলেন মেহেরুন নেছাকে । মেহেরুন নেছা সালামের জবাব ফিরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,” পোলা কোনডা?
বয়স্ক দেখতে যে লোক তিনি বললেন,

” কি বলছেন? বুঝতে পারিনি?
ঘটক পান খাওয়া দাঁত বের করে হাসলো। লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বলল,” মতিউর ভাই! খালা বলছেন, আমাগো মানে আপনার ছেলে কোনডা?
মতিউর সাহেব হেসে তার পাশে বসে থাকা ত্রিশ বছরের এক ছেলে দেখিয়ে বললেন,” আমার ছেলে সিয়াম চৌধুরী।
মেহেরুন নেছা কপাল কুঁচকে সিয়াম নামের ছেলেটার উপর থেকে নিচে চোখ বুলালেন। ছেলেটাকে পর্যবেক্ষণ করা শেষে মুখের বিকৃতি ঘটিয়ে বললেন, ” এইডা পোলা। আমার ইসরাতের জন্য এইডারে তুই পছন্দ করছিস নাছির?
নাছির সাহেব চোখ দিয়ে ইশারা দিলেন মেহেরুন নেছাকে এরুপ কথা না বলার জন্য। মেহেরুন নেছা কারোর কথা শোনার পাত্রি না। তিনি আবার বললেন,”এই পোলার তোলনায় আমার আশিক বহুত সুন্দর!
মেহেরুন নেছাকে কথা বলতে না দিয়ে হেলাল সাহেব কথা বলা শুরু করলেন। মেহেরুন নেছা ক্ষেপে গেলেন হেলালকে তার কথার মধ্যে বাঁ-হাত ঢুকানোর জন্য।
হেলাল সাহেব বললেন,

” তা তোমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু?
সিয়াম বলল,
“জি গ্রেজুয়েট!
মেহেরুন নেছা বললেন,
” এতো কম পড়াশোনা করছো তুমি! আমার ছোট নাডিডা তো তোমার তুলনায় বেশি পড়ালেখা করছে।
নাছির সাহেব কপাল চাপড়ালেন। মেহেরুন নেছার ছেলে পছন্দ হয়নি এজন্য এরকম উল্টা পাল্টা কথা বলছেন।
নুসরাত আর ইরহাম ড্রয়িংরুমে এসে ছেলে পক্ষের সবাইকে সালাম দিল। চোখ দিয়ে গণনা করলো কতজন মানুষ এসেছে?
নাছির সাহেব নুসরাতকে দেখিয়ে বললেন,

“আমার ছোট মেয়ে!
ছেলের মা নুসরাতকে দেখে মুখ কী রকম বানিয়ে ফেললেন? নুসরাত মহিলার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে কিচেনে চলে গেল।
রুহিনি নুসরাতকে জিজ্ঞেস করলো,
” কতজন মানুষ এসেছে?
নুসরাত মুখ গম্ভীর করে উত্তর দিল,
” সাত জন!
রুহিনি খাবারের ট্রে সাজাতে সাজাতে জিজ্ঞেস করলো,
“কে কে এসেছে জানো?
নুসরাত বলল,
” ছেলের মা,ছেলের বাবা, মেইবি ছেলের ভাই,আর ছেলের দাদি আর জানি না!
রুহিনি ট্রে নুসরাতের হাতে দিয়ে বলল,
“ডায়নিং রুমে গিয়ে টেবিল সাজাও তাড়াতাড়ি ।
এরমধ্যে ছেলের মা পারভিন ময়মুনা বললেন,
“মেয়েকে নিয়ে আসুন? অনেকক্ষণ তো হলো আসালাম!
হেলাল সাহেব বললেন,

প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ১৩

” আগে নাস্তা শেষ করুন তারপর মেয়ে দেখবেন।
ইরহাম এসে বলল সবাইকে ডায়নিং রুমে আসার জন্য। পারভিন বেগম হাতে ছোট একটা পার্স নিয়ে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। মুখের বিকৃতি ঘটিয়ে গিয়ে ডায়নিংয়ে বসলেন। চিকেন ফ্রাই মুখে দিয়ে এমন ভাব করলেন যেন বমি চলে আসবে। টিস্যু হাতে নিয়ে মুখ থেকে চিকেন ফ্রাই বের করে ফেলে দিলেন পারভিন। সিয়াম চিকেন ফ্রাই হাতে নেওয়ার আগেই পারভিন বললেন,” ওটা খাস না! একদম বিচ্ছিরি হয়েছে।

প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ১৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here