মায়াকুমারী পর্ব ৫৯

মায়াকুমারী পর্ব ৫৯
মেহেরিন আনজারা

“আল্লাহ,তুমি আমার আয়ু আমার ভাইকে দাও। ওকে বাঁচাও!”
ভেতরের যন্ত্রের তীক্ষ্ণ শব্দ,ডাক্তারদের ছুটাদৌঁড়,নার্সদের উৎকণ্ঠা- সব মিলিয়ে করিডর যেন জীবন্ত আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ধ্রুবর মনে হলো,আজ ভোরের আলো যেন মৃত্যু ও জীবনের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে। তার ভাইয়ের শ্বাস থেমে যাওয়ার ভয়,নিশুর কাঁদা চোখ- সবই ধ্রুবর মনকে আঁকড়ে ধরল। বুক ধড়ফড় করতে করতে ধ্রুব মনে মনে প্রার্থনা করল,”আল্লাহ,আমার ভাইকে বাঁচাও। আমি তার জন্য যা কিছু ত্যাগ করার প্রয়োজন,করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে জানের বদলে জান দিবো,শুধু ওকে ফিরিয়ে দাও।”

মুষড়ে পড়ল নিশু। ধ্রুব শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরল,যেন তার বুক থেকে একটিমাত্র শক্তি নিশুর কাছে যায়। হঠাৎ নিশুর হাত ধরে এক এক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগল ধ্রুব।
“কোথায় যাচ্ছ?”
কিছু বলল না ধ্রুব।
“কোথায় যাচ্ছ?”
নীরব রইল ধ্রুব। তার মন এখন শুধুই ভাইয়ের সুস্থতার চিন্তায় আবদ্ধ। গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলো।
“ভাইয়া মৃত্যুর মুখে আর তুমি কোথায় যাচ্ছ?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ধ্রুবর চোখ-মুখ শক্ত। মুখে কোনো শব্দ নেই। শুধু অন্তরের প্রার্থনা ভাইকে রক্ষা করা। গাড়ি চলে গেল গাবতলী পশুর হাটে। সকাল দশটা। হাট এখনও প্রাণবন্ত। চারপাশে গরু,খাসি,ছাগল- সবই বিক্রির জন্য সাজানো। বিক্রেতারা চিৎকার করছে,ক্রেতারা দরদাম করছে। গরুদের হুহু,চোখের ভীতি,বিক্রেতাদের চিৎকার- সব মিলিয়ে হাট যেন জীবন খুঁজে পেয়েছে। ধ্রুব ধীরে ধীরে একটি গরু বেছে নিলো। একে একে সব গরুর স্বাস্থ্য,আকৃতি,ওজন যাচাই করল। একবার গরুর পিঠে হাত বুলিয়ে দেখল,চোখে যেন প্রাণ আছে। নিশু পাশে দাঁড়িয়ে,চোখে ভয় কিন্তু ধ্রুবর দৃঢ়তার প্রতি আস্থা। ধ্রুব দরদাম করে সঠিক দাম নির্ধারণ করল। তার নজর যাচাই করছে প্রতিটি গরুর স্বাস্থ্য,শক্তি,ওজন। একটি শক্তিশালী গরু এবং দুটি খাসি বেছে নিয়ে ধ্রুব পিক-আপে তুলে দিলো। এরপর নিশুকে নিয়ে গাড়িতে উঠে এতিমখানার দিকে রওনা দিলো। গরু এবং খাসি দুটো দান করল এতিমখানায়। সব কাজ শেষ হতে বেশ সময় পেরোল। জুমুআর আযান হতেই ধ্রুব নিশুর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে হাসপাতালে রেখে দ্রুত মসজিদে চলে গেল। নামাজ আদায় শেষে ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করে হুজুরের মাধ্যমে মিলাদ পড়িয়ে দোয়া চাইল। মিলাদ শেষে ধ্রুব হাতে দু’টি জিলাপি নিয়ে হাসপাতালে নিশুর কাছে ফিরল। ওর হাতে জিলাপি দু’টি তুলে দিলো।

“মিলাদের জিলাপি। নে খা।”
নিশু একটি জিলাপি টিস্যুতে মুড়িয়ে আরেকটিতে আস্তে করে কামড় দিলো।
“ওটা টিস্যুতে নিলি কেন?”
“দ্যুতির জন্য।”
ধ্রুব কিছু বলল না। শুধু নিশ্চুপ থেকে নিশুর দিকে তাকিয়ে রইল। মুহূর্তটি যেন স্থির হয়ে গেল।

হাসপাতালের রাত যেন অন্যরকম- বাইরের শহর জেগে আছে নীরব আলোয় আর ভেতরে কেবিন জুড়ে জমে আছে এক চাপা নিস্তব্ধতা। জানালার বাইরে আকাশে ম্লান চাঁদ,ছড়িয়ে আছে কয়েকটি তারা। দূরে কোথাও রাতের পাখির ডাক আর মাঝে মাঝে গাছের পাতার সোঁ সোঁ শব্দ ভেসে আসছে। মনে হচ্ছিল,প্রকৃতি নিজেও যেন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করছে কারও সুস্থ হয়ে ওঠার আশায়। পেরিয়ে গেল পাঁচ দিন। ধূসর এখন মোটামুটি সুস্থ,তবুও তার চোখের গভীরে লেগে আছে দুর্বলতা। কেবিনের ভেতরে বসে আছেন দিলরুবা খাতুন,দ্যুতি ও বুশরা। যন্ত্রের হালকা বীপ-বীপ শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। তবুও ধূসরের বুকের ভিতর যেন এক অদৃশ্য চাপ বাড়তে লাগল। চতুর্দিকে তাকাল সে সবাই আছে,শুধু নিশু নেই। এই অনুপস্থিতিই যেন তার ভিতরে এক শূন্যতা তৈরি করল। বুকের ভিতর চিনচিন করতে লাগল,হালকা ব্যথা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল। ঠোঁট কাঁপল,তবু জিজ্ঞেস করতে পারল না। চোখ বুজল। বাইরের বাতাসে শিশিরের গন্ধ,রাতের শীতলতা আর ভেতরের বেদনাতুর নীরবতা মিলেমিশে যেন তার মুখে এক অদ্ভুত ক্লান্তির রেখা এঁকে দিলো।

“বাবা,কী হয়েছে তোর?”
“কিছু না,আম্মা।”
সন্তুষ্ট হতে পারলেন না তিনি। উনার চোখে উৎকণ্ঠার ছায়া বাড়তে লাগল। দ্যুতি ও বুশরা চুপচাপ তাকিয়ে রইল। কেবিনের আলো ম্লান হয়ে এ মুহূর্তটিকে আরও নিস্তব্ধ করে তুলল।
“খারাপ লাগছে? ডাক্তার ডাকব?”
“বুকের ভিতর ব্যথা করছে,আম্মা।”
“ডাক্তারকে ডাকি।”
“লাগবে না।”
উঠতে নিতেই হাত ধরে ফেলল।
“কেন?”
“সব ব্যথা ডাক্তার কিংবা মেডিসিনের দ্বারা উপশম হয় না,আম্মা।”
“মানে?”
“তুমি বুঝবে না।”

ঠিক তখনই ভেতরে ঢুকল ধ্রুব। মুখে ক্লান্তি,চোখে উদ্বেগের ছাপ।
“কিছু লাগবে,আম্মা?”
“না,ওর বুকে ব্যথা করছে রে,বাবা।”
ধূসরের দিকে সরাসরি তাকাল ধ্রুব। চোখে খুঁজল কোনো সংকেত। সোজা প্রশ্ন করল,”কম না বেশি?”
“ওমন কিছু না।”
“সমস্যা চেপে রেখে কী লাভ?”
ধূসর কোনো উত্তর দিলো না। শুধু চোখ নামিয়ে নিলো,যেন ব্যথা আর নিঃশব্দ কষ্ট গোপন করতেই চাইছে। করিডরের বাতি নরম আলো ফেলছিল মেঝেতে আর বাইরে রাতের আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল অদৃশ্য নীরবতা। দ্রুত পদক্ষেপে কেবিন থেকে বেরিয়ে ধ্রুব সোজা ডাক্তার শুভ্রর কেবিনে নক করল।

“আসুন।”
ভেতরে ঢুকতেই শুভ্র চমকে তাকাল।
“বসুন।”
ধ্রুব কড়া স্বরে বলল,”বসব না। আমার ভাইয়ের বুক ব্যথা কমছে না,বুঝলাম না ডাক্তার!”
অপ্রস্তুত হলো শুভ্র।
“উনি তো পুরোপুরি সুস্থ। সিটি স্ক্যান করেছি,কোনো সমস্যাই ধরা পড়েনি।”
তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল ধ্রুব।
“বলতে চাইছেন,আমার ভাই মিথ্যা বলছে?”
“না,সেরকম নয়। তবে রিপোর্টে সেইরকম কিছুই পাওয়া যায়নি।”
“আমার ভাইকে ধরে রেখে লাভ নেই। সুস্থ করতে না পারলে সোজাসুজি বলতেন,আমরা দেশের বাইরে নিয়ে যেতাম। আমার ভাই কষ্ট পাচ্ছে।”

কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলো শুভ্র। কিছু বলার আগেই ধ্রুব বেরিয়ে গেল কেবিন থেকে। শুভ্রও চেয়ার সরিয়ে ধীরে ধীরে ধূসরের কেবিনে ঢুকল। ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে দৃষ্টিতে পড়ল দ্যুতির উপর। বুকের ভিতর হঠাৎ এক অদ্ভুত শিহরণ জাগল শুভ্রর। চোখে চোখ পড়তেই দ্যুতি হকচকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। শুভ্রর নিঃশ্বাস ভারি হয়ে উঠল,এক পা এগোতেই দ্যুতি সরে দাঁড়াল। মুহূর্তটা যেন নিস্তব্ধতায় গাঢ় হয়ে রইল। শুভ্র ধূসরের দিকে ঝুঁকল,গলায় ভরসার সুর এনে বলল,”আপনার বুকে নাকি ব্যথা?”
ধূসর ভ্যাবাচ্যাকা খেল।
“না,ওমন কিছু না।”
ধ্রুব ধমকে উঠল,”সবেই তো বললি বুকে ব্যথা!”

মাথা নিচু করে চুপ করে রইল ধূসর। শুভ্র স্টেথোস্কোপ বুকের ভিতর চেপে ধরে মনোযোগ দিয়ে শুনল। কিছুক্ষণ পর নরম কণ্ঠে বলল,”ব্যথা কি খুব বেশি?”
“না,হালকা। এটা কোনো সমস্যা না,ঠিক হয়ে যাবে।”
শ্বাস ফেলে যেন স্বস্তি পেল শুভ্র। প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দিলো।
“এগুলো এনে নিয়ম করে খাওয়াবেন।”
দ্যুতির দিকে এক ঝলক দৃষ্টি ছুঁড়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেল। কেবিনে তখনও নীরবতা ঝুলে আছে,শ্বাস আঁটকে রইল দ্যুতি। প্রেসক্রিপশন নিয়ে বেরিয়ে গেল ধ্রুব। বুশরা ফিসফিস করে বলল,”ডাক্তার,তোর দিকে এভাবে তাকাল কেন,দ্যুতি?”

“আশ্চর্য আমি কী জানি!”
“মনে হচ্ছে,তোর প্রেমে পড়েছে।”
“ধুর!”
“দ্যুতি,সাবধান!”
নীরব রইল দ্যুতি। ঔষধ নিয়ে এলো ধ্রুব। একটা একটা করে পাতা থেকে বের করে ধূসরের হাতে দিলো।
“খেয়ে নে।”
এক গ্লাস পানি ঢেলে দিলো গ্লাসে। ভাইয়ের দিকে একপলক তাকিয়ে ঔষধ খেয়ে নিলো ধূসর।
“সমস্যা হলে বলবি,চেপে রাখবি না। প্রয়োজন হলে দেশের বাইরে নিয়ে যাব।”

নীরবে ধূসর চোখ মুদে শুয়ে পড়ল,যেন ঘুমের আড়ালে শরীরের ক্লান্তি আর বুকের অস্বস্তি গোপন করতে চাইছে। অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইল বুশরা। বিয়ের পর থেকে আজ অব্ধি তার সঙ্গে একটি কথাও বলেনি ধূসর। বুশরা বারবার চেষ্টা করেছিল,কাছে টেনে নিতে চেয়েছিল কিন্তু ধূসর যেন অদৃশ্য এক দেয়াল তুলে রেখেছে। বুশরা নীরবে সোফার এক কোণে বসে রইল। ম্লান আলোয় তার মুখে গভীর ক্লান্তি আর ব্যথার ছায়া।
“আম্মা,বাসায় যাবে চলো।”
“আমি আজ থাকি।”
“আব্বা একা।”
“আজ রাতটুকু থাকি না,বাবা। নিশু কী করছে কে জানে। তুই তাড়াতাড়ি বাসায় যা।”
“দ্যুতি,চল।”
“আমি আম্মার সাথেই থাকি।”
শেষমেশ থেকে গেল দিলরুবা খাতুন,দ্যুতি আর বুশরা। ধ্রুব বাসার পথে রওনা দিলো। হাসপাতালের করিডরের নিস্তব্ধতা ভেঙে ধ্রুবর পদচারণা মিলিয়ে গেল রাতের অন্ধকারে। বাইরে হাসপাতালের আঙিনায় টুপটাপ কাঠগোলাপ ঝরছে,বাতাসে ভেসে আসছে শীতের আগমনী হাওয়া। আর ভেতরে একটি অসুস্থ হৃদয়ের চারপাশে নীরব প্রহরারত তিন নারীর চোখজোড়া নিঃশব্দ প্রার্থনায় জ্বলজ্বল করছে।

চোখ বুজে শুয়ে আছে অনিক। কেবিনের অন্ধকারে শুধু বাতাসের হালকা দোল আর দূরের ঘড়ির টিকটিকি ভেসে আসছে। পাশে বসে আছেন আদনীন ফেরদৌস,নিঃশব্দে অনিকের দিকে নজর রাখছেন। কিন্তু কক্ষের শান্তি খুব বেশি স্থায়ী হলো না। হঠাৎ দরজা ঝাপসা খুলে কেবিনে ঢুকল সিফাত,মুখে চঞ্চলতা আর চোখে কৌতূহল।
“কীরে শ্লা,ঘুম ভাঙছে তোর?”
পিটপিট করে তাকায় অনিক।
“হ্লা,তোর বোইন তো শাদি কইরা ফালাইছে।”
চমকায় অনিক।
“সিফাত,বাইরে যাও। বিরক্ত করো না।”
“আরে খাঁড়ান কাকীমা,একটু কইবার দেন তো!”
“সিফাত,প্লিজ!”
“দোস্ত,তোর বোইন শাদি কইরা ফালাইছে,তুই তো ফেল।”
“কারে করছে?”
“গাউছিয়ার স্যান্ডেল ব্যাপারিরে।”
“কী!”

“হ,দোস্ত!”
“এই সব কী হচ্ছে,সিফাত?”
“আরে কইবার দেন!”
“প্লিজ,যাও এখান থেকে।”
“আরে খাঁড়ান না একটু! দোস্ত,তুই তো ফেল!”
অনিকের চোখ বড় হয়ে গেল,মনের মধ্যে অদ্ভুত ঝড় বইতে শুরু করল।”
“ওই হ্লা,আমার বোনরে বিয়া করছে?”
“হ,দোস্ত!”
“হ্লা,তো দেখতাছি আমার আগে আমারে হ্লা কইরা ফেলল!”
আকস্মিক সিফাতের কোমরে একটা লাথি পড়তেই চমকে উঠল।
“শালার পুত,বেরো!”
“আরে কইতে দেন।”
“বের হ বলছি।”

ইফতেখার মির্জার দৃঢ়তা অটল। সিফাতকে কড়া হাতে বের করে দিলেন। তারপর ফরহাদকে নির্দেশ করলেন,”ওকে টিকেট কেটে দাও। চলে যাক।”
মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানাল ফরহাদ।
“আমি এখুনি দেশে ফিরমু,আব্বাজান।”
“কেন?”
“ওই হ্লা,আমার বোনরে বিয়া কইরা ফাস্ট হইয়া গেছে। আমি ওর বোইনরে বিয়া করমু।”
কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারলেন অনিককে।
“একদম চুপ!”
কক্ষের নিস্তব্ধতা যেন আরও গভীর হলো।

বসন্তের রাত। বাইরে বাগানের জুঁই আর বেলিফুলের সুবাস হালকা হাওয়ায় ভেসে আসছে। জানালার পর্দা ধীরে ধীরে দোল খাচ্ছে,আর বাতাসে একটু আর্দ্রতার ছোঁয়া মিশে ঘরের নীরবতাকে আরও শান্ত করে তুলেছে। নিশু ঘুমিয়ে পড়েছে সোফার উপর। এতক্ষণ আসাদ সাহেবকে বসে বসে হাদিস পড়িয়ে শুনিয়েছে। প্রতিটি শব্দ যেন নিঃশব্দে ঘরের বাতাসে মিশে গিয়ে নিখুঁত শান্তি ছড়িয়ে দিয়েছিল। বিছানা থেকে উঠে তিনি নিশুর বুকের উপর থেকে হাদিসের বইটি সরিয়ে একখানি পাতলা কাঁথা বুক থেকে পা অব্ধি টেনে দিলেন।
“রিনা কয়েল দে তো। মেয়েটাকে মশা খাবে।”

রিনা দ্রুত কয়েল নিয়ে এলো। ধোঁয়া ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে গেল,নিশুর চারপাশে হালকা নরম কুয়াশার মতো আবরণ তৈরি হলো। নাকে ধোঁয়া ঢুকতেই একটু কেশে উঠল নিশু।
“ইশ! মেয়েটা কাশছে। ঘাড়ত্যাঁড়া মুডওয়ালা ছেলেটা কোথায়?”
“হসপিটালে ভাইজান।”

মায়াকুমারী পর্ব ৫৮

“কয়েল সরিয়ে রাখ। পায়ের দিকে দেখ মশা খাচ্ছে কিনা।”
রিনা লক্ষ্য করতে লাগল। বেশ কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরল ধ্রুব। কলিংবেল দিতেই রিনা খুলল।
“নিশু কই?”
“খালুজানের ঘরে ঘুমাইয়া পড়ছে।”

মায়াকুমারী পর্ব ৬০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here