তোর নেশা শেষ পর্ব 

তোর নেশা শেষ পর্ব 
তুষার আহমেদ কাব্য

৫ বছর আগে!
সবাই কে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায় নিরব। সেখানে গিয়ে সেই ডাক্তার কে দেখতে পায় করিডোরে। নিরব তার কাছে যেতেই সে বলে
— সবাই এসেছে?(ডাক্তার)
—আন্টি আর আংকেল…(নিরব)
—উনারা এসেছেন,কাব্যের স্ত্রী?
—এই যে…(মাইশার দিকে ইশারা করে)
ডাক্তার মাইশার দিকে তাকায়। কিছু না বলে নিরবের দিকে আবার তাকায়।

—- নিরব কাব্যকে খুব বাজে অবস্থায় এখানে অ্যাডমিট করা হয়েছে, তবে এটা হয়তো কাকতালীয় বা এটা হবারই ছিলো আমিও কাব্যের কাছেই যাচ্ছিলাম। যে মেডিসিন এর খোজ এতোদিন করছি তা কাল পেয়েছি। তবে জানিনা কাব্যের শরীর ওই মেডিসিন এর প্রভাব সহ্য করার মত অবস্থায় আছে কি না। এখন ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। হয় কাব্যের শরীর কিউর হতে শুরু করবে বা আরো অবনতির দিকে চলে যাবে।।
বলেই ডাক্তার কেবিন দেখিয়ে চলে যায়। মাইশা ছুটে কেবিনে চলে যায়। কাব্য শুয়ে আছে। জ্ঞান নেই। মাইশা কাব্যের পাশে বসে। কাব্য সাধারণত চুপচাপই থাকে তবে আজকের এই নিস্তব্ধতা যেন মাইশার জান নিচ্ছে.. মাইশার চোখ বেয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে৷ নিজেকে সামলে রাখাটা কস্টকর হয়ে যাচ্ছে।
কাব্যকে কখনো বলা হয়নি ভালোবাসি! তবে এখন খুব ইচ্ছে করছে বলতে ভালোবাসি! তবে এখন কাব্য শুনবে না। খুব কস্ট হচ্ছে মাইশার।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মাইশা দিনের বেশির ভাগ সময় কাব্যের পাশেই থাকে,এভাবে কেটে যায় ৪৮ ঘন্টা।
মাইশা কোনো এক কাজে বাসায় ফিরে আসে। রেডি হয়ে বের হবে তখনই কল আসে হাসপাতাল থেকে… কল টা রিসিভ করতেই হাত থেকে ফোন পড়ে যায়…
মাইশা ছুটতে থাকে হাসপাতালের দিকে…
বর্তমানে…

—-নিলা! এই নিচে এসো! তোমার ভাইয়া প্রায় এসে গেছে! (মাইশা)
মাইশার ডাক শুনে নিলা উঠে বসে!ডাইরি টা রেখে বেরিয়ে যায়।
নিচে গিয়ে দেখে মাইশা চুল ঠিক করছে
তখনই দরজায় টোকা পড়ে।
মাইশা মুখে রাগী এক্সপ্রেশন নিয়ে দরজা খোলে। হাতে কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাব্য!
—-নিলা! কেক টা নিয়ে ভেতরে যাও(মাইশা)
নিলা হেসে কেক টা নিয়ে ধীরে ধীরে ভেতরে চলে যায়
আর মনে মনে ভাবছে” সেদিন হাসপাতাল থেকে যখন বলল কাব্যের শরীরে সেই মেডিসিন ভালো ভাবেই কাজ করছে আর সে সুস্থ হয়ে যাবে তখন মাইশা কত খুশি হয়েছিলো!
এইদিকে…
মাইশা ঘুরে হাটা শুরু করতেই পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাব্য

— ছাড় আমায়(মাইশা)
—- না(কাব্য)
—- ছাড়তে বলেছি
—- আচ্ছা
—- ছাড়লে খবর আছে
মাইশা আলতো ভাবে নিজের ঘাড়ের চুল নিজেই সরিয়ে দেয় আর কাব্য গভীর ভাবে সেখানে চুমু দেয়
—- দেরী হলো যে?(মাইশা)
কাব্য ব্যাগ থেকে বেলী, সাদা গোলাপ আর রজনীগন্ধার গুচ্ছ মাইশাকে দেয়।

তোর নেশা পর্ব ৮

—- শোনো না(কাব্য)
—কি?
—- দাও
—- নাহ
—- দাও
—- না
—- আচ্ছা লাগবে না
মাইশা হেসে কাব্যের পায়ের উপর ভরে দিয়ে ঠোঁট এ ঠোঁট চেপে ধরে….

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here