প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৫৪
জান্নাত নুসরাত
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দূর আকাশের পানে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরশ। হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে আছে বারান্দার রেলিঙ। পিছনে ফিরে একবার তাকালো বিছানায় শয়নরত নুসরাতের দিকে। আবার চোখ ফিরিয়ে নিল। ভিতরে অস্থিরতা অনুভব হচ্ছে। পা ভেঙে অসাড় হয়ে আসছে। কোথায় বসা উচিত? আরশ কোনো রকম পা টেনে নিয়ে গিয়ে রকিং চেয়ারে বসলো। চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলো কিছুক্ষণ আগের কথা!
কিছুক্ষণ আগে,
“হ্যালো আরশ ভাইয়া!
আরশ নির্লিপ্ত গলায় বলল,
” হু!
“একটু আসতে পারবেন। ডাক্তার আঙ্কেল আমাকে আর আম্মুকে তার কেবিনের বাহিরে অপেক্ষা করার জন্য বলেছে। আপনি একটু কষ্ট করে আসুন ভাইয়া। আমার কিছুটা ভয় লাগছে।
আরশ আশ্বাস দিয়ে বলল,
” ভয় পেও না! আমি আসছি।
আরশ তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বের হয়ে আসলো। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে পৌঁছালো সিলেট সিটি হসপিটালে।
পা চালিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো। একটু ভিতরে হাঁটতেই আরশ দেখতে পেল ইসরাত আর নাজমিন বেগম মোবাইল হাতে নিয়ে বসে আছেন।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
আরশ কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ইসরাত মুখে আঙুল চেপে বলল কথা না বলার জন্য। সম্মোহনের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পরিবেশ হওয়া প্রয়োজন তাই আরশকে ইসরাত ইশারা করে কথা বলতে না করলো।
আরশ চুপ করে নাজমিন বেগমের পাশ ঘেঁষে বসলো। মোহাম্মদ চৌধুরী একে একে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগলেন। নুসরাত উত্তর দিতে লাগলো। আরশ মনোযোগ সহকারে সব উত্তর শুনলো নুসরাতের।
প্রায় এক ঘন্টা পার হওয়ার পর মোহাম্মদ চৌধুরী ভিতরে ঢুকার পারমিশন দিলেন। আরশ কারোর দিকে না তাকিয়ে বড় বড় পা ফেলে ভিতরে প্রবেশ করলো।
নাজমিন বেগম আরশের পিছনে ভিতরে ঢুকতে গেলে ইসরাত হাত টেনে থামিয়ে দিল। মাথা নাড়িয়ে ভিতরে যেতে মানা করলো। আরশ দুই-মিনিটের মাথায় নুসরাত কে কোলে তুলে নিয়ে বাহিরে আসলো।
মুখ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে সামনের দিকে এগিয়ে গেল। ইসরাতের দৃষ্টি গোচর হলো না আরশের বিধ্বস্থ লাল হয়ে যাওয়া মুখ। মুখ যতেষ্ট স্বাভাবিক রেখে জিজ্ঞেস করলো, “নুসরাত কে নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?
আরশ কারোর দিকে না তাকিয়ে ছোট্ট করে বলল,
” বাসায় যাচ্ছি।
কোনো প্রকার শব্দ ব্যয় না করে আরশ সামনের দিকে বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে গেল।
এতক্ষণে রকিং চেয়ার দোলা বন্ধ হয়ে গেছে। চোখ বন্ধ করে রকিং চেয়ারে পড়ে রইলো আরশ। চোখের কোণ ঘেঁষে এক ফোটা জল নিশব্দে বের হয়ে আসলো। কেউ দেখলো না সেই জল, কেউ জানলে না এই জলের উৎপত্তি কোথা থেকে? অন্ধকারের চাদরে ঢাকা পড়ল পুরুষটার কন্দন।
অন্যদিকে,
ইসরাত আর নাজমিন বেগম ভেতরে ঢোকার জন্য অনুমতি চাইলেন। মোহাম্মদ চৌধুরী অনুমতি দিতেই তারা ভেতরে প্রবেশ করলেন। কেবিনে ঢুকে ইসরাত এবং নাজমিন বেগম চুপচাপ এক কোণায় দাঁড়িয়ে রইলেন। মোহাম্মদ চৌধুরী ইশারা করলেন চেয়ারে বসার জন্য। ইসরাত চেয়ার টেনে দিল নাজমিন বেগমকে বসার জন্য। নিজের জন্যও একটি চেয়ার টেনে বসে, দু’হাত টেবিলের উপর রেখে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো মোহাম্মদ চৌধুরীর দিকে।
মোহাম্মদ চৌধুরীর দিকে প্রশ্নাতক দৃষ্টিতে তাকাতেই তিনি ইসরাতের না বলা প্রশ্নের উত্তর বলতে লাগলেন,
“দেখো ইসরাত, এর আগেও তুমি নুসরাতকে নিয়ে এসেছ। আমি তোমাকে বলেছি, ওর মধ্যে কোনো বড় সমস্যা নেই—ও ডিপ্রেশনে ভুগছে। যদি সাইকোলজির ভাষায় বলতে যাই, তাহলে এটাকে নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার বলা যায়।
ইসরাত নিজের পাতলা ভ্রু কুঁচকে নিল। মোহাম্মদ চৌধুরী ইসরাতের চাহনি দেখে বুঝতে পারলেন ইসরাত কিছুই বুঝেনি।
” আচ্ছা আমি ভেঙে বলছি। ধরো তোমার ছোট বেলার খারাপ স্মৃতি! মানুষ তোমাকে আঘাত করে কথা বলতো, অপমান করত,তোমাকে অন্য একজনের সাথে তোলনা করে ছোট করতো, তুমি সবার কাছ থেকে চাইতে যে তোমাকে এসব খারাপ আচরণ, তোলনা, অপমানের হাত থেকে তোমার ফ্যামেলি রক্ষা করুক কিন্তু তারা এরুপ কোনো কাজ করতো না। তারা শুধু রুশ-পূর্ণ দৃষ্টিতে তোমাকে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতো তখন এটা তোমার মাথায় এফেক্ট করবে না।
ইসরাত মাথা নাড়ালো।মোহাম্মদ চৌধুরী হাত দিয়ে চুটকি বাজিয়ে বললেন, “এক্সেক্টলি নুসরাতের সাথে এইটা হয়েছে। সে চাইতো তোমরা ওকে এসব অপমান মূলক কথার হাত থেকে প্রটেক্ট করো, কিন্তু তোমরা তা করোনি। এ-জন্য ও নিজেকে চেঞ্জ করতে শুরু করলো। যা করলে তোমাদের রাগ হয়,বিরক্ত হও,আর যা যা তোমাদের সহ্যের বাইরে তা তা ও করতে শুরু করলো। আর ওর এইসব কাজে তোমাদের যখন বিরক্ত লাগা শুরু হলো ওর ব্রেইন এধরণের কাজ করতে ওকে আরো উৎসাহ দিতে থাকলো।
প্রথমবার যখন ও কথার জবাবে কথা ফিরিয়ে দেবার পর লুৎফার মুখ কালো হয়ে গিয়েছিল তখন ও বুঝতে পারল ওকে এই সব করতে হবে। ভালো হয়ে হবে কি? মানুষ ছিঁড়ে খুবলে খেতে ওকে এক সেকেন্ড ও দেরি করবে না। এক একটা মানুষ ওকে কথার বানে মেরে ফেলবে। তাই নিজেকে বাঁচাতে হলে নিজের, প্রটেক্ট নিজের করতে হবে।
ইসরাত আর নাজমিন বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেন,
” আই হোপ আপা, আপনি বুঝেছেন। ইসরাত তুমি ও।
নাজমিন বেগম দু-পাশে মাথা নাড়ালেন। যার মানে তিনি পুরো বুঝেননি। ইসরাত গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করলো,”ওর মধ্যে নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার এর সিমট্রম আছে?
মোহাম্মদ চৌধুরী মাথা নাড়ালেন হ্যাঁ ভঙ্গিতে। ইসরাত কিছু বলতে গিয়ে বার বার থেমে গেল। মোহাম্মদ চৌধুরী বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করলেন,”যা বলতে চাও ইসরাত স্পষ্ট করে বলো। হ্যাসিটেইট ফিল করো না।
“আঙ্কেল নুসরাত নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার এর জন্য কাউকে আঘাত করবে।
” আমার জানামতে এই ডিসঅর্ডার এর জন্য মানুষ কাউকে আঘাত করে না কিন্তু কেউ ওকে আঘাত করলে তা যতক্ষণ পর্যন্ত না ও ফিরিয়ে দে ততক্ষণ পর্যন্ত চুপচাপ বসে থাকে না। মানুষ কে তারা শারিরীক আঘাত করে না কিন্তু, মানুষিক আঘাত বা আবেগীয় আঘাতে তারা প্রবণ বেশি থাকে।
ইসরাত তাকিয়ে তাকলো নিষ্পলক দৃষ্টিতে। মোহাম্মদ চৌধুরী শ্বাস নিলেন। কথা বলে হাপিয়ে উঠেছেন তিনি। গ্লাস থেকে ঢাকনা সরিয়া পানি খেয়ে নিলেন এক চুমুকে।
“নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে যারা আক্রান্ত তারা মানসিক এবং আবেগিকভাবে আঘাত করতে বেশি প্রবণ হয়, যেমন: অপরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অপমান করা, বা তাদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করা। আমার কাছে যা মনে হলো আরশের কপালে দুঃখ আছে। ও কিন্তু নুসরাত কে সেদিন আঘাত করেছে এবং তা ও ফিরিয়ে দিবে আরশকে খুব তাড়াতাড়ি যা আমি বুঝতে পেরেছি।
ইসরাত চোখ মুখ অন্ধকার করে বলল,
“আপনি কীভাবে বুঝলেন?
মোহাম্মদ চৌধুরী ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলেন। দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরে বললেন,”আরশ ইজ ফলিং অন নুসরাত।
ইসরাত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“আপনি সিউর।
” সিউর নই, কিন্তু আরশের যা অবস্থা দেখলাম তাতে তাই বুঝতে পারলাম। বেচারা বড় সড় আঘাত পেতে চলেছে স্ত্রীর হাত থেকে।
ইসরাত উঠে দাঁড়ালো। নাজমিন বেগম তখনো বসে।
“এর কোনো প্রতিকার আছে আঙ্কেল?
” মেবি নেই। কিন্তু তোমরা ওকে সব সময় মাথিয়ে রাখার চেষ্টা করবে, নিয়মিত ঔষধ দিবে, আর চাইলে থেরাপি দিতে পারো।
ইসরাত ধন্যবাদ বলল মোহাম্মদ চৌধুরীকে। তিনি হেসে বললেন,”ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই ইসরাত। এটা আমার পেশা।
“আপনার বিল?
তিনি ইসরাতের মাথায় হাত দিয়ে চুল অগোছালো করে দিলেন। শব্দ করে হেসে বললেন,”দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ইসরাত বলতে গেল প্রয়োজন আছে। কিন্তু, ডাক্তার মোহাম্মদ চৌধুরী ইসরাতকে ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ দেখালেন।
ইসরাত জেদি স্বরে বলল,
“আঙ্কেল এটা আপনার পাওনা।
মোহাম্মদ চৌধুরী হাসলেন। ইসরাতের বাড়িয়ে দেওয়া টাকা ইসরাতের হাতে মুঠোয় আবার ধরিয়ে দিয়ে বললেন,” এটা তোমার বিয়ের গিফট। পেন্ডিংয়ে ছিল, আজকে তোমাকে দিয়ে দিলাম।
ইসরাত দেশে আসার আজ প্রায় দশদিন। ইসরাত আগের মতো চুপচাপ, নুসরাত চঞ্চল চড়ুইয়ের মতো পুরো বাড়ি মাথিয়ে রেখেছে। আরশের সাথে সম্পর্কের আগের তুলনায় আরেকটু অবনতি হয়েছে নুসরাতের। আগে আরশের রুমে থাকতো,পাঁচ দিন আগে নিজের পোটলা পোটলি নিয়ে এসে ইসরাতের রুমে সিফট হয়েছে নুসরাত।
জায়িনের দিন যায় ইসরাতের দেখা পাওয়ার অপেক্ষায়। সারাদিন ইসরাতের রুমের দরজার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দিন কাটে। রাত হয় দরজার পানে তাকাতে তাকাতে। সুযোগ পেলে জায়িন রুমে ইসরাতের সাথে কথা বলতে ঢোকার চেষ্টা করে তখন কাবাবে হাড্ডি হয়ে নুসরাত বাঁধা দেয়। ইসরাতের সাথে সেদিন দেখা হলো করিডোরে জায়িনের। ইসরাত পাত্তা দিল না। এমনভাবে হেঁটে গেল যেন এখানে কোন কাক পক্ষির ছায়া নেই। জায়িন ইসরাতের হাত ধরতেই বাজ পাখির মতো নুসরাত উড়ে আসলো। ইসরাত কে ঝাপটে ধরে টেনে নিয়ে রুমে ঢুকিয়ে ইয়া বড় তালা মেরে দিল রুমের সামনের দরজায়। জায়িন হতবম্ব হয়ে তালার দিকে তাকিয়ে রইলো। চোখ তুলে তাকাতেই মিচকে শয়তানের মতো হাস্যরতো নুসরাতের মুখ চোখে ভাসলো। নুসরাত ভ্রু নাঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“এখানে কি?
জায়িন কথার উত্তর না দিয়ে নুসরাতের পিছনের দরজার দিকে তাকিয়ে বলল, “তালা দিয়েছো কেন?
“আমার রুম, আমার যা ইচ্ছা তাই করবো।
জায়িন কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,
“তোমার রুম কবে থেকে এটা হলো?
একটু ধীর গলায় বলল,
“যবে থেকে এমেলি আপনার হয়েছে তবে থেকে।
জায়িন ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলল,
” কি কি বললে?
“বলেছি ইসরাত যেদিন আসলো সেদিন থেকে আমার রুম এটা।
জায়িন গম্ভীর গলায় বলল,
” রুমের তালা খুলো।
নুসরাত গলা কাথ করলো এক পাশ থেকে আরেক-পাশ।
ঠোঁট কামড়ে বলল,”আদেশ করছেন?
“দেখো নুসরাত তোমার সাথে আমার কোনো লেনদেন নেই। আমাকে ভিতরে ঢুকতে দাও।
নুসরাত ঠোঁট এলিয়ে হাসল। আরশ তখন আসলো। জায়িন আর নুসরাতকে দাঁড়িয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে দেখে আরশ দু-জনের মাঝে এসে দাঁড়ালো। তীক্ষ্ণ চোখে দু-জনের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চাইলো আসলে হচ্ছে টা কি এখানে?
নুসরাত রাগী গলায় বলল,
” যান না যান ওই বিদেশী আপুর কাছে। এখানে আমার বোনের কাছে কি?
“দেখো নুসরাত কথা টেনে আনবে না। তোমার বোন বলেছে যে তুমি আমাকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখে ঝগড়া করতে,আর বিদেশিনী কে টেনে এনে খোঁটা দিতে।
নুসরাত রোবটের মতো দু-দিকে মাথা নাড়ালো। আরশ জায়িনের সামনে থেকে নুসরাত কে টেনে সরিয়ে নিয়ে আসলো তার সামনে। দেয়ালে দু-হাত দিয়ে বাহু বেষ্টনী করে মাথা বাঁকিয়ে নুসরাতের দিকে তাকালো। নুসরাত নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো আরশের দিকে। আরশ নুসরাতের হাত চেপে ধরে আলগোছে প্যান্টের পকেট থেকে চাবি বের করলো। জায়িনের দিকে ছুঁড়ে মারল চাবি। জায়িন কেচ করলো। নুসরাত পা দিয়ে লাথ মারতে নিল,আরশ হাত ধরা অবস্থায় পিছনে সরে গেল। নুসরাত রাগে ফুসফুস করতে লাগলো জায়িনের দিকে তাকিয়ে। জায়িন চাবি ঘুরাতেই দরজা খুলে গেল। তালা টেনে খুলতে দেখে নুসরাত হাসল ঠোঁট বাঁকিয়ে। আরশের বেষ্টনীতে বন্ধি থেকে মুখ দিয়ে শিষ বাজাতে লাগলো। শিষ বাজাতে বাজাতে শব্দ করে হাসল জায়িনের তৎপরতা দেখে। আরশ কপালে ভাঁজ পড়ল। জায়িন দরজার নব ধরে মুচড় দিতেই অপরপাশ থেকে দরজা আটকানো দেখলো। নুসরাত গান গাইতে লাগলো ফাঁটা গলা দিয়ে।
আরশকে হা করে জায়িনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে পায়ে ভর দিয়ে আরশের ঠোঁটে ঠোঁট স্পর্শ করে আরশের হাতের নিচের দিকে ঝুঁকে বের হয়ে গেল। আরশ মনে হয় ধাক্কা সামলাতে পারল না। ঠোঁটে হাত দিয়ে নুসরাতের যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকলো। নুসরাত সামনের দিকে যেতে যেতে একবার ফিরে তাকিয়ে চোখ টিপল আরশের উদ্দেশ্যে।
জায়িন দরজা খুলতে না পেরে চিৎকার করে উঠলো।
প্রিয় প্রণয়িনী পর্ব ৫৩ (২)
“ড্যাম ইট!
আরশের দিকে ঘুরে চাইতেই দেখলো আরশ ঠোঁটে হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে। জায়িন গিয়ে আরশকে হালকা ধাক্কা দিতেই নড়েচড়ে উঠলো। চিন্তিত গলায় জিজ্ঞেস করলো,”কি হয়েছে? হা করে ওদিকে তাকিয়ে আছিস কেন?
আরশ হাসল ঠোঁট চেপে। মাথা নাড়িয়ে কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেল। জায়িন দু-কাঁধ উপরে তুলে ঝাকিয়ে বলল,”কি হলো এর আবার? হাসছে কেন কোনো কারণ ছাড়া?