বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ৪৮

বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ৪৮
ইশরাত জাহান

রাতের বেলা তুহিনকে নিয়ে বাসায় আসে দর্শন।দিদারকে কল করে জানিয়েছে।দিদার বাড়িতে জানানো মাত্রই দিজার মুখটা আনন্দে চিকচিক করে ওঠে।দ্রুত ব্যাগ থেকে নিজের একটা সুন্দর দেখে সালোয়ার কামিজ নিয়ে পরে নিলো।মাথাটা আঁচড়ে হালকা সাজলো।শোভা চেয়ে চেয়ে দেখলো।ভ্রুকুটি করে বলে,“হঠাৎ সাজছো কেন?”
দিজা ধরা দিবে না তাই বলে,“এমনিতেই।”
শোভার পেটে ব্যাথা বাড়ছে।প্রথম দুইদিন এমন হয়।তবে এত বেশি ব্যাথা আগে কখনও হয়নি।এবারই যেনো বেশি।পেট খিঁচে বসে পড়ে বিছানায়। দিজা দেখতে পেয়ে বলে,“কি হলো তোমার?”

“পেটে ভীষণ ব্যাথা।আগে এমন হতো না।”
দিজা বলে,“আমার তো এমনটাই হয়।তুমি তো তাও কাজ করেছো।আমি হলে দুইদিন বিশ্রাম নিতাম।”
“আমার এমনটা হয়না।এখন হলো হঠাৎ।”
“কিছু অনিয়ম করেছো হয়তো।”
“অনেক কিছুই তো অনিয়ম করে চলি।অবশ্য এখন আমার সাথে কী হয় নিজেই বুঝে উঠতে পারিনা।তোমার ভাই রকেটের গতিতে আমার জীবন পাল্টে দিলো।”
দিজা মিটিমিটি হেসে বলে,“আমি ঔষধ খাই।তুমি খাবে?”
শোভা নাকোচ করে বলে,“না,আমি এমনিতেই অনেক ঔষধ খেয়েছি।ঔষধ খাওয়ার কারণে গাল তিতা লাগে।এখন আর না।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“তাহলে একটা বোতলে গরম পানি নিয়ে পেটের উপর রাখতে পারো।উষ্ণ গরমে ব্যাথা কমবে।”
“আমি দেখছি।”
“তুমি ঘরে যাও আমি এনে দিচ্ছি।”
শোভা মাথা নাড়িয়ে চলে যায় ঘরে।এসেছিল নিজের বাকি জামাকাপড় নিতে। দিজা নিজেকে আয়নায় দেখে দৌড়ে চলে গেলো রান্নাঘরে।কুসুম গরম পানি করে বোতলে ঢেলে বাইরে বের হতেই দেখে দর্শন ও তুহিনের আগমণ।ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল দিজার।তুহিনকে দেখা মাত্রই লাজুক হেঁসে উঠল।তুহিন তাকালো না দিজার দিকে।তবে দিজা সৌজন্যতা বজায় রেখে সালাম দেয়,“আসসালামু আলাইকুম।”
তুহিন এবার তাকালো।মৃদু হেঁসে উত্তর দেয়, “ওয়ালাইকুম আসসালাম।”
দর্শন দিজার হাতের বোতল দেখে বলে,“বোতলে পানি কেন?”

“ভাবীকে দিবো।”
“ওর কী হয়েছে?”
“অসুস্থ।”
দর্শন দ্রুত দিজার হাত থেকে বোতল নিয়ে চলে গেলো নিজের ঘরের দিকে। দিজা চমকে তাকালো।এভাবে হাত থেকে বোতল নিয়ে দ্রুত দৌড়ে যাওয়ার কি হলো মাথায় আসছে না।দর্শনের এমন কান্ড দেখে হাসলো তুহিন।দিদার এসে দিজার মাথায় টোকা দিয়ে বলে, “যা নাশতা নিয়ে আয়।”
দিজা ইশারায় রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।দিদার এলো তুহিনের কাছে।দুজনে বসে গল্প জুড়ে দিলো।
ঘরে এসে দর্শন দেখলো শোভা পেটে হাত দিয়ে বসে আছে।নাকমুখ কুঁচকে আছে।দর্শন দ্রুত শোভার পাশে বসে বলে,“কি হয়েছে?”

শোভা চমকে উঠে তাকালো।একটু কেঁপে উঠলো।দর্শন হাতটা শোভার কাঁধে রেখে বলে,“রিল্যাক্স,আমি।”
শোভা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে বলে,“হঠাৎ এভাবে পাশে বসলে ভয় তো পাবোই।”
“তুমি আবারও অসুস্থ হয়েছো আর এই বোতলে পানি দিয়ে কি করবে?”
শোভা দ্রুত বোতল নিয়ে পেটে চেপে ধরে বলে,“অসুস্থ তো ছিলাম।নতুন কিছু না।”
দর্শন দেখলো শুধু।মেয়েদের এসব বিষয় তার অত জানা নেই।প্রশ্ন করলো,“এখন ভালো লাগছে?”
শোভা মাথা উপর নিচ করে বলে,“আপনার সেই বন্ধু এসেছেন?”
“হুমমম।”
শোভা উঠতে নিলে দর্শন হাত ধরে বসিয়ে বলে,“কোথায় যাচ্ছো?”

“নাস্তা পানি এগিয়ে দিতে।”
“দিজা আছে।”
“ও একা পারবে না।সারাদিন অনেক কাজ করেছে।এমনকি ঘর পরিষ্কার করেছে ঘণ্টা খানিক সময় নিয়ে।”
“আমি আছি তো।আমার ফ্রেন্ডকে আমি নাস্তা পানি দিতে পারব।তুমি বিশ্রাম নেও।”
“বাড়ির বউ মেহমান আসলে ঘরে বসে থাকে?”
“আমার বউ থাকে।”
“লোকে কি বলবে?”
“পরোয়া করি না আমি।”
শোভা মুখটা বেকিয়ে বলে,“আপনি কেন পরোয়া করবেন?বলবে তো আমাকে।”
“বলবে না।”
শোভা ভ্রু কুঁচকে বলে,“কেন বলবে না?”

“কারণ আমার ওয়াইফিকে কেউ কোনো কটু কথা বলার সাহস পাবে না।”
শোভা নরম চাহনি দিয়ে দেখলো দর্শনকে।কিছুক্ষণ পর বিদ্রুপের হাসি দিয়ে শোভা বলে,“আপনি নিজেই তো আমাকে কটু কথা শুনিয়েছেন।ওগুলো কি আমার জন্য কম?”
দর্শনের মনে পড়তেই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠল।নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,“এতদিন ধরে আমার সাথে থেকে তোমার মনের মধ্যে শুধু ওই কটু কথাগুলোই জমে আছে?”
শোভা বলতে চায়,“না,আপনার যত্ন আপনার রাগের সাথে মেশানো যত্ন আমি ভুলিনি।ভুলিনি বলেই আমি আপনার দুটো রূপকে দেখে গুলিয়ে ফেলি।”

মনের মধ্যে কথাগুলো আড়াল রেখে দিলো শোভা।মেয়েদের একটা আলাদা ইগো আছে।ওদের ইগো সবার উপরে থাকে।শোভা সেই ইগোকে মূল্যায়ন করে বলে,“আমার চরিত্রে আঙুল তুলেছিলেন আপনি।”
দর্শন তৎক্ষণাৎ বলে,“আমি তোমার চরিত্রে আঙুল তুলিনি।”
শোভা বুঝে উঠতে পারল না।দর্শন আবারও বলে,“আমি শুধু আলাদা এক কল্পনার জগতে চলে যাই।যেটা আমাকে ধ্বংস করে দেয়।আমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে না।আমি চেয়েছিলাম নীরবে এই ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতে কিন্তু পারছিলাম না।আমার মনে তোমাকে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।আমি জানি তুমি পবীত্র।এই পবীত্র নারীকে আমি যে না দেখেই ভা….

বলতে গিয়েও থেমে গেলো দর্শন।শোভা প্রশ্নবিত্ব হয়ে চেয়ে আছে।বাকি কথা জানার আগ্রহ বাড়লো কিন্তু জানতে পারল না কিছুই।কৌতূহল ধরে রাখতে না পেরে প্রশ্ন করে,“কি হলো?বাকিটা বলুন।”
দর্শন মনে মনে বলে, “না,আমার দুর্বলতা জানতে দিবো না।আমার মানসিক চাপ যেটার জন্য আমি শোভার উপর অন্যায় করেছিলাম সেটা সম্পর্কে জানতে পেরে শোভা যদি আমাকে ছেড়ে চলে যায়!না না আমি যেতে দিবো না ওকে।এর থেকে আমি নিজেকে সুস্থ রাখার আরো চেষ্টা চালিয়ে যাব।নিজেকে শোভার মনের মত গড়ে তুলবো কিন্তু তাও ওকে আমার মানসিক চাপ সম্পর্কে জানতে দিবো না কখনোই না।”
দর্শন উঠে দাঁড়ালো।শোভাকে হতাশ করে বলে,“ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতে হবে।তুহিন এসেছে।ওকে একটু সময় দিয়ে আসি।তুমি বিশ্রাম নেও।”

শোভার আবারও প্রশ্ন ছুড়তে ইচ্ছা করছে কিন্তু করবে না। সে তার এই রাগী স্বামীকে খুব ভালোভাবে চিনেছে।রাগী লোকটাকে তার ইচ্ছার বাইরে কিছুই করানো যায়না। সে যেকোনো কাজই হোক না কেন।দর্শনকে শোভা বর্তমানে একগুঁয়ে,রাগী, জেদি,বদমেজাজি,যত্নশীল এবং গম্ভীর ব্যক্তিত্বের হিসেবেই চিনতে পারল।দর্শন ওয়াশরুমে যেতেই শোভা ভাবছে ভা এর সাথে কি বলতে চেয়েছিল দর্শন।ভালোবাসা নাকি ভাগ্য নাকি ভাবনা।একটা ছোট্ট অক্ষর অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারে।শোভাকে চিন্তায় ফেলে দিলো। সে তো নিজেও চায় এই সম্পর্কে থাকতে কিন্তু দর্শনের থেকে সম্মান নিয়ে।অসম্মানের সাথে সংসার হয়না।

কখনও হয়না।শোভার এগুলো খুব ভালোভাবে জানা।শামীমা বেগম মৃত্যুর আগে শোভাকে বারবার বলেছিলেন,“সংসার কখনও ভাঙতে নেই।সংসার ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখা মানে মসজিদ ভাঙা।জন্ম বিয়ে মৃত্যু আল্লাহ ঠিক করেন।তোর এই বিয়ে আমরা কেউই ঠিক করিনি। জানতাম না আজ তোর বিয়ে।আল্লাহ ঠিকই মিলিয়ে দিলেন।তুই এই সম্পর্ক ধরে রাখবি কিন্তু যদি দেখিস তোর স্বামী তোকে সম্মান দিতে জানে না। সে তোকে ভালো না বেসে বউ হিসেবে মেনে না নিয়ে অন্য কোথাও সম্পর্কে জড়িয়েছে তুইও কিন্তু নিজেকে ওখানে ছোট করতে রাখবি না।ধৈর্য ধরবি কিন্তু নিজেকে শেষ করে দিবি না মা।তোর মায়ের এই বাড়িতেই দরকার হয় তুই এক কোণায় পড়ে থাকবি কিন্তু যে তোকে মর্যাদা দিবে না তার দুয়ারে ঠাঁই নিবি না।ওটাও যে একটা অভিশপ্ত জীবন।ওই জীবনে মেয়েরা কোনোদিন সুখ পায়না।মৃত্যু পর্যন্ত যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।”

শামীমা বেগম অনেক কিছুই শোভাকে শিখিয়ে দিতেন।সাথে ছিলেন পারুল বেগম ও দাদাজান।শোভা যে এত চতুরতার সাথে দর্শনের সাথে যুদ্ধ করে এসেছে এগুলো দাদাজানের কুবুদ্ধিতে।এগুলোতে কোনো অভিযোগ নেই দর্শনের।
দরজায় শব্দ পেতেই শোভা চোখ তুলে তাকালো।দর্শন টি শার্ট ও ট্রাউজার পড়ে আছে।ভেজা চুলগুলো টাওয়াল দিয়ে ঝাড়া দিচ্ছে।শোভা চোখ সরিয়ে নিলো।দর্শন নিজের পোশাকগুলো ব্যালকনিতে মেলে দিয়ে আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পরিপাটি করে নেয়।পিছন ফিরে শোভার উদ্দেশ্যে বলে,“আমার ফোনটা রেখে গেলাম।কিছু লাগলে দিজাকে কল দিও।”
শোভা বলে,“আমারও ফোন আছে।”
“জানি কিন্তু ফোনে টাকা নেই।”
“আপনি কিভাবে জানলেন?”
দর্শন উত্তর না দিয়ে মৃদু হেসে চলে যায়।শোভা মুখ ভেংচে বলে,“আমার সবকিছুর খেয়াল রাখে আবার আমাকেই মানে না!”

একটু থেমে আবারও বলে,“নাকি মানতে শুরু করেছে?কেনই বা মানবে এত তাড়াতাড়ি আমাকে?এখানে এসে অসুস্থ হবার পর থেকে ওনার মধ্যে আমি স্বামী স্বামী ভাবটা পাই।তবে কি ওনার রোগা বউই পছন্দ?অদ্ভুত পছন্দ!”
শোভা নিজের মত করে একেক ভাবনায় মশগুল।কেউই তো নেই যে তাকে সাহায্য করবে।নিজের মত করেই সব খুঁজতে হবে তাকে।
নিচে এসে দর্শন দেখলো তুহিনের জন্য ফল,মিষ্টি ও নুডুলস প্রিসে সাজানো আছে।দাদাজান এক কোনায় বসে আছেন।দিদার গল্প করছে তুহিনের সাথে। দিজা সবার জন্য চা এনে দিলো।দাদাজান চা দেখে বলেন,“এই রাতে চা?”

দিজা কি বলবে বুঝে উঠলো না।নাস্তার সাথে চা দেওয়া এটা একটা স্বভাব হয়ে উঠেছে।সবসময় তো এভাবেই আপ্যায়ন করে।দাদাজানের কথা শুনে লজ্জা পেলো মেয়েটা।দিদার বলে ওঠে,“বাসায় মেহমান আসলে চা বানানো একটা অভ্যাস হয়ে উঠেছে তোমার নাতনির।”

দিজা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে চায়ের কাপ এগিয়ে দিলো তুহিনের দিকে।তুহিন না তাকিয়ে চায়ের কাপ ধরতে নেয়।অভিমান জমে আছে তার মনে।এই অভিমান সবার কাছে মূল্যহীন।শুধু তুহিন মূল্যায়ন করে অভিমানকে। দিজা মন খারাপ করলো।তুহিন কি একবারও তাকাবে না তার দিকে?তুহিন না তাকিয়ে কাপে হাত দিতে গিয়ে একটা আঙ্গুল ছুঁয়ে দিলো দিজার আঙুলের উপর। দিজা কেঁপে উঠলো।চায়ের কাপ নড়ে উঠতেই তুহিন নিজেও হিমশিম খেয়ে দ্রুত চায়ের কাপ ধরে।ব্যাপারটা নজর এড়ায়নি দিদারের।নিজের বোনের লাজুক হাসির দিকে দিদার সন্দিহার চোখে তাকালো।তবে তুহিনের মধ্যে কোনো ভাবান্তর দেখতে পাচ্ছে না।দর্শন এগিয়ে এসে দিজার পিছন থেকে বলে,“সাবধানে চলবি তো।গরম চা যদি কারো গায়ে পড়তো তখন আরেক অঘটন ঘটতো।”
দিজা মাথা নিচু করে।তুহিন চায়ে চুমুক দিয়ে আড়ালে এক পলক তাকালো দিজার দিকে।চা একদম তুহিনের মনমতো।বেশি কড়া লিকার না।চিনিও কম।যেমনটা তুহিন পছন্দ করে।মনে মনে বলে, “আস্ত নারিটাই যেখানে নিজের প্রিয় তার হাতের চাও হয়তো সেখানে প্রিয় হয়ে যায়।”

দিদার চায়ে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, “চা ঠিক আছে তো ভাইয়া?”
তুহিন গলা ঝেড়ে বলে,“হুমমম,সব ঠিক আছে।”
দিদার মৃদু হাসলো।তুহিন উঠে দাঁড়িয়ে বলে,“বাসায় যেতে হবে।মা অপেক্ষা করছে।”
দর্শন বলে ওঠে,“রাতে খেয়ে যা।”
তুহিন না করে বলে,“মা অপেক্ষা করবে।দাদাজান ও দিদার এসেছে বলে তুই দেখা করতে নিয়ে এলি। মাকে বলে আসিনি।”
দিদার বলে ওঠে,“আন্টিকে বলে দিন আজকে আমাদের এখানে খাচ্ছেন।”

তুহিনের থাকার ইচ্ছেটা অল্প হলেও আছে কিন্তু এখানে যত থাকবে তার মধ্যে মায়া বাড়তে থাকবে।প্রিয় নারীটির দিকে চোখ চলে যাবে বারবার।এই ধরে কয়েকবার গোপনে চোখ চলে গেছে।নিজেকে ধরে রাখা কঠিন।তুহিনের মাঝের কষ্টটা সে নিজেই জানে।তাই বলে,“না থাক।অন্য একদিন খাওয়া যাবে।আজকে আমার শরীরটাও ভালো লাগছে না।”

বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ৪৭

দর্শন দেখলো তুহিনকে।এভাবে মুখভাব তুহিনের আগে দেখেনি।দর্শন বাধা দিলো না।তুহিনের যেটাতে ভালো লাগবে সেটাই করুক।সবাইকে বিদায় দিয়ে বেরিয়ে গেল তুহিন।বেরোবার সময় না চাইতেও নির্লজ্জ চোখজোড়া চলে গেলো দিজার দিকে।

বাবুই পাখির সুখী নীড় পর্ব ৪৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here