প্রেমতৃষা পর্ব ৩৬
ইশরাত জাহান জেরিন
নীলগিরির বুক চিরে ওঠা পাহাড়গুলোর পাশে দাঁড়িয়ে
রিসোর্টটি। রাতের আঁধার নামতেই জায়গাটা যেন অন্য এক জগতে ঢুকে যায়। চারদিক নিঝুম, শুধু দূরের ঝরনার ধ্বনি আর মাঝে মাঝে শোঁ শোঁ করে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি হাওয়ার শব্দ। রিসোর্টের বারান্দা থেকে তাকালেই চোখে পড়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা কুয়াশা।
আজ আকাশে তারার অগণিত মেলা। অন্ধকারে জোনাকি জ্বলে উঠছে আভা ছড়িয়ে। চারপাশের গাছপালা রাতের আলো-আঁধারিতে দাঁড়িয়ে আছে নিরব প্রহরীর মতো। কাঠের তৈরি কটেজগুলো নরম আলোর হলুদাভ লণ্ঠনে ঝলমল করছে। ভেতর থেকে ভেসে আসছে উষ্ণতার আবহ। দূরে পাহাড়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই রিসোর্ট থেকে মনে হয় পুরো পৃথিবীটা থমকে গেছে। শুধু নিস্তব্ধতা আর প্রকৃতির গোপন গুঞ্জন বাজছে কানে। রাত বাড়তে থাকলে এই পাহাড়ি হাওয়া আরও শীতল হয় । শরীরে কাঁপন ধরায়, অথচ সেই কাঁপুনি মন শান্ত করার মতো এক ধরণের প্রশান্তি নিয়ে আসে। রাত গাঢ় হয়েছে এখন। সেই সঙ্গে রিসোর্টের চারপাশে নীরবতার চাদর আরও ঘন হয়েছে। মাঝে মাঝে দূরের পাহাড়ি পথ ধরে হেডলাইটের ক্ষীণ আলো ভেসে আসছে, আবার মিলিয়ে যায় আঁকাবাঁকা আঁধারে। সেই ক্ষণিক আলোয় পাহাড়ের ছায়াগুলো আরো রহস্যময় হয়ে ওঠছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নীলগিরির বুক চিরে ওঠা পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে প্রেম ও তৃষা। ঠিক কিছুক্ষণ আগেই শিমলা আর অংকুর এসে পৌঁছেছে। এই দু’জনকে পাওয়া যায় না সহজে, সারাদিন তারা কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়ায়, কেউই জানে না। আসার পরপরই প্রেম, অংকুরকে সঙ্গে করে অন্যদিকে চলে গেল। শিমলাকে ফেলে রেখে গেল তৃষার কাছে। দুই বান্ধবী পাশাপাশি বসে আকাশের কালো গামছার মতো চাদরে ভরা তারাদের দেখতে ব্যস্ত। হঠাৎ শিমলা ফিসফিস করে বলল, ‘তোর কত ভাগ্য! বাসার সবাই তোর আর প্রেম ভাইকে মেনে নেবে।’
তৃষা মৃদু হেসে মাথা নাড়ল, গলায় অনিশ্চয়তা, ‘তোকে কে বলল? ফাউল কথা। আমাকে আমার পরিবার জীবনেও বাড়িতে জায়গা দিবে না। তবে তোর পরিবারের কথা বলতে পারছি না। আচ্ছা আসল ঘটনা কি বলতো? পালিয়ে চলে এলি কেন? বাসায় বলতেই তো পারতি অংকুরকে ভালোবাসিস। আমি না হয় কাউকে পছন্দ করতাম না বিধায় পালানোর সময় কিছু বলে আসতে পারিনি। তোকে তো বলেছিই, বাইক রাইড আমার জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ? পাশাপাশি জগন্নাথে পড়াও। আমাকে আমার ভাগ্য এখানে টেনে এনেছে। এখন এটাই আমার ঠিকানা হয়ে গেছে। আসলে আমি বোধহয় কখনো প্রত্যুষ দেওয়ানকে চাই নি। সবসময় এই হারে বজ্জাত হাইব্রিড করলা প্রেম নেওয়াজকেই চেয়েছি নয়তো শেষে ঘুরে ফিরে তার প্রেমে কেন পড়লাম? যাক বাবা যা হয়েছে ভালো হয়েছে। তবে আমি এখনো অনেক কিছু জানি না। প্রেমের বাবা-মা কি করে মরল। লোকটা কি আগেও এমন শক্ত মনের ছিল নাকি পরিস্থিতি তাকে এত কঠোর হতে বাধ্য করেছে? আচ্ছা বাদ দে…তোর কথা বল।’
শিমলার চোখ ঝলমল করে উঠল, ‘আমার বলার মতো কোনো কথা নেই। কেবল আমি জানি অংকুর আমাকে কতটা ভালোবাসে। জোর পূর্বক বুড়ো লোকের সঙ্গে বিয়ের হাত থেকে সে বাঁচিয়েছে আমায়। আর তার জন্যই বাড়িতে হওয়া আমার ওপর মানসিক নির্চাতনের হাত থেকে আমি আজ রেহাই পেয়েছি। তো তোর না চিত্রা নামক কার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক? কথা বলিস না এখন?’
তৃষা মৃদু ভ্রুকুটি করল, ‘কথা কি আর বলব? বললেই তার ওই হ্যান্ডসাম স্বামীটা বলে আমি নাকি ছোটলোক। সামনা সামনি একদিন পাই ব্যাটাকে তখন বুঝাব এই তৃষা কি জিনিস।’
শিমলা হেসে উঠল, ‘তুই বুঝানোর আগেই যেন সে আবার না বুঝিয়ে দেয়। আচ্ছা নামটা জানি কি তার?’
তৃষা একপল থেমে জবাব দিলো, ‘ফারাজ এলাহী।’ বলতে না বলতেই হঠাৎ ফোনে একটা ভিডিও কল এলো। কলটা দেখে তৃষার মুখে খুশির সীমা রইল না। সে রিসিভ করে বলল, ‘আরে চিত্রা কি খবর তোমার? আমায় তো ভুলেই গেছো।’
চিত্রা সে হেসে বলল, ‘আসলে তেমন কিছু না। সংসার, সন্তান, স্বামী নিয়ে আজকাল একটু ব্যস্ত সময় কাটছে। তোমার কি অবস্থা?’
তৃষা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সব খুলে বলল। শুনে চিত্রা মুচকি হাসল, ‘আমার অবস্থা?’ এক এক করে সব কিছু চিত্রাকে খুলে বলতেই চিত্রা মুচকি হাসি দিলো। বলল, ‘তাও ভালো প্রেমকে তুমি আগে থেকে পছন্দ করতে। সুখেই আছো। আমার সঙ্গে যখন ফারাজের বিয়ে হলো! হায় আল্লাহ ওইসব দিন কি করে যে কাটিয়েছিলাম। তবে এখন আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া কারণ ওইসব খারাপ দিন না দেখলে আজকের ভালো দিন গুলো দেখতে পেতাম না। স্বামী হিসেবে ফারাজ এলাহী আমার কাছে শ্রেষ্ঠ।’
‘হু তোমার গল্প তো তুমি আগেও বলেছিলে। যত শুনি তত মুগ্ধ হই।’
চিত্রা হাসল, ‘তোমার গল্পও কম কোথায়? স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই রাইডার।’
‘আর তুমি? তুমিও তো…..’
‘ইশ……..’ ওইসব গল্প গোপন থাক। বলেই মুচকি হাসল চিত্রা। চেহারার লাবণ্য দিনকে দিন বেড়েই চলছে। সাধে কি তাকে তার স্বামীজান আগুন সুন্দরী বলে ডাকে? তৃষা কথা বলে রাখল। চিত্রা জানিয়েছে ফারাজের কক্সবাজারে কি একটা দরকারি কাজ আছে। এই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ আসবে। বউ ছাড়া ওই লোক কোথাও যায় না। অবশ্যই ইতালি থেকে গোটা পরিবার সহ আসবে। ভালোই হবে। এখান থেকে কক্সবাজার যেতে কি এমন সময় লাগবে? দেখা করতেই পারবে। কেমন যেন একটা ভালো-লাগা কাজ করছে। এই সুযোগে ফারাজ এলাহীর সঙ্গে প্রেম নেওয়াজের একটা পরিচয় পর্ব হয়ে যাবে। তৃষা উঠে দাঁড়াতেই পেছন থেকে প্রেম তার কোমর জড়িয়ে ধরল। সেই হাত সরাসরি পৌঁছে গেলো টিশার্ট ভেদ করে উষ্ণ কোমরের ভাঁজে। তৃষা নিজেকে ছাড়িয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘আরে কি করছেন? শিমলা সামনে আছে দেখতে পারছেন না?’
‘তুমি পাশে থাকলে আমার অন্য কিছু আর দেখতে মন চায় না সোনা।’
‘উফ চুপ করেন।’
শিমলার এসব দেখে লজ্জা পাচ্ছে। সরে যাবে তার আগেই তাকে অন্ধকারে টেনে বুকের সঙ্গে মিশিয়ে জড়িয়ে ধরল অংকুর। গালে চুমু দিয়ে বলল, ‘চশমা সুন্দরী চলো রুমে চলো। ঘুম পাচ্ছে।’
শিমলা মুচকি হেসে বলল, ‘ঘুম পাচ্ছে সত্যি তো?’
অংকুর চতুর হেসে উত্তর দিলো, ‘ইশ কথা কম ভালোবাসা বেশি জানো না?’ বলেই সে হাত টেনে শিমলাকে রুমে নিয়ে গেল। তারা যেতেই প্রেম তৃষার ঠোঁটে জোর করে শক্ত চুমু দিয়ে বলল, ‘এবার চলো আমরাও যাই। নেওয়াজ বংশ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে না?’
প্রেম তৃষার চোখে একটা কাপড় বেঁধেছিল। রুমে এনে সেই কাপড় খুলতেই তৃষা রীতিমতো অবাক। রুমটা কি সুন্দর করে সাজানো। চারিদিক ফুলের গন্ধ ম-ম করছে। বিছানার ওপর সাদা চাদর টানটান করে বিছানো হয়েছে। বিছানার চারপাশে সাদা পাতলা পর্দা ক্যানোপি স্টাইল টানানো। ছাদের ঠিক মাঝ বরাবর ফুল দিয়ে তৈরি করা মোটা একটি আর্চ সাঁটানো রয়েছে। ফুলগুলোতে লাল, হলুদ, গোলাপি, সাদা রঙের মিশ্রণ। ফুলের মালা থেকে ঝুলে আছে কাঁচের লণ্ঠনের মতো ছোট ছোট ঝাড়বাতি, ভেতরে মোমবাতির হলুদ আলো জ্বলছে। এগুলোর নরম সোনালি আলো পুরো ঘরটিকে মায়াময় আবেশে ঢেকে দিয়েছে। ঘরের প্রতি কোণে সুগন্ধি মোমবাতির আলো জ্বলছে এবং ফুলের সাজে জায়গাটা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পাশেই একটি আরামকেদারা। তাও মাধুরি মিশিয়ে সাজিয়ে তোলা। তৃষা অবাক হয়ে প্রেমের দিকে তাকাতেই প্রেম তাকে বলল, ‘ওই যে জামা রাখা আছে। তৈরি হয়ে আসো। আমি অপেক্ষায়।’
তৃষা কিছু বলতে যাবে তার আগেই প্রেম পুনরায় বলল, ‘আজ আর কোনো কথা নয় সোনা। যাও। ‘ তৃষা কথা না বলে কাপড়ের ব্যাগটা তুলে নিলো। অতঃপর পোশাক বদলে আসতেই দেখল বড় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে প্রেম নেওয়াজ। আলো-অন্ধকারের খেলা তার অবয়বটাকে আরও রহস্যময় করে তুলল। গায়ে সাদা ফুলহাতা শার্ট, বুকের উপর নিখুঁতভাবে মানিয়ে নেওয়া কালো ওয়েস্টকোট, গলায় আঁটসাঁট কালো টাই। অতীব ভদ্রলোকসুলভ সাজ। তবে তাকে অন্যদিন গুলোর থেকে আজকে অন্য রকম লাগছে। বলতে গেলে চোখ ফেরানো দায়। এই পুরুষকে অতীব ভদ্র সাজে যে এতটা সুন্দর লাগতে পারে তা ভাবনার বাইরে ছিল। তার লম্বা, সোজা গড়ন, প্রশস্ত কাঁধ আর ছিপছিপে শরীর তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বাম কব্জিতে ঝকমকে ঘড়ির আভিজাত্য, ডান হাতে ধরা একটি লাল গোলাপ।
তৃষা আসতেই তার গাঢ় বাদামী চোখ গুলো একবার তাকে ওপর থেকে নিচ অবধি পরখ করল। রাতের গভীরতার মতো এক কৃষ্ণাঙ্গিনী গাউ. বক্ষদেশের মধুর রেখা ধরে নেমে এসেছে সুচারু সুইটহার্ট নেকলাইন। গাউনের মসৃণ কালো কাপড়টি তার লাবণ্যময় দেহলতা বেয়ে নেমে এসে এক পাশ দিয়ে উঠেছে সাহসী চেরা, যা পদযুগলের ঈষৎ ঝলক দেখিয়ে রহস্যময় আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তৃষার শরীরী গঠন যেন তক্ষশীলার ভাস্কর্য, প্রতিটি ভাঁজে অপূর্ব ছন্দ। কোমর থেকে বক্ররেখা নেমে এসেছে এক সুমিতিতে, যা নজর কাড়ে। সুদীর্ঘ, ঢেউ খেলানো কেশরাশি তার পিঠের উপর দিয়ে ছড়িয়ে আছে। যেন কালো ঝর্ণাধারা। মুখমণ্ডল প্রেমিকের স্পর্শে আবৃত হলেও,তার উজ্জ্বল ত্বক এবং সংযত দেহভঙ্গি সৌন্দর্য প্রকাশ করছে।
তৃষার পরনের কালো গাউনে তার শরীরের প্রতিটি বাঁক স্পষ্ট। প্রেম ঢোক গিলল। তার কণ্ঠমণি ওপর-নিচ হতেই সে আর থমকে থাকতে পারল না। তৃষার অন্য হাতে উঁচু চোখা হিল জুতো। সে প্রেমের দিকে তাকিয়ে জুতার দিকে ইশারা করতেই প্রেম বাঁকা হেসে তাকে কাছে টেনে তার চুলে মুখ গুঁজে দিলো। নিশ্বাস তার বন্ধ হয়ে আসছে। এই চুলের গন্ধ তাকে মাতাল করে দিবে। উফ কন্ট্রোল! তবে প্রেম নেওয়াজের সঙ্গে কন্ট্রোল শব্দটা যায় না। প্রেম তার ঘাড়ে মুখ ঢুবিয়ে দিলো। তার সুদীর্ঘ চুল পিঠের উপর আলতোভাবে সরিয়ে দিলো। প্রেমের বাহুদ্বয় তৃষাকে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরেছে। প্রেমের ডান হাতটি আলতো করে তৃষার মুখ ছুঁয়ে আছে, তৃষার চোখ দুটি বন্ধ, সে প্রেমের স্পর্শে যেন সমস্ত ক্লান্তি ভুলে নিজেকে সমর্পণ করেছে।
প্রেম অত্যন্ত নিচু স্বরে ফিসফিস করল, “তৃষা তোমার প্রেমের তৃষা, তোমায় ছোঁয়ার তৃষায় আমি কিন্তু এইবার মরেই যাব।”
‘একটু হিসেব করে ভালোবাসুন প্রেম নেওয়াজ। এত ভালোবাসা দিলে আমি বেহায়া হয়ে যাব।’
‘যে সম্পর্ক হিসেব কষে চলে, সে তো ব্যবসা—ভালোবাসা নয়।’
‘প্রেম আমি না আপনাকে বরবাদ করতে চাই জানেন?’
‘আমি তো অলরেডি তোমার প্রেমে বরবাদ হয়ে গেছি।’ তৃষা মুচকি হাসল। নিজেকে ছাড়িয়ে জুতোর দিকে ইশারা করতেই প্রেম তৃষার দিকে তাকালো। তৃষা তাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে কপাল থেকে আঙুল নিচে নামাতে নামাতে বুকের ওপর এসে থামল। বুকে একটা চুমু দিয়ে জুতো বাড়িয়ে দিতেই প্রেম চেয়ার টেনে তৃষাকে সেখানে বসিয়ে চেয়ারটা একেবারে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে। তৃষা তার উরুর ওপর পা রাখতেই প্রেম সেই পায়ে চুমু দিয়ে জুতো পড়িয়ে দেয়। অতঃপর ফিতা লাগানোর সময় প্রেমের স্পর্শ যেন বাড়ে। তৃষাকে নিজের কাছে টেনে আসার আগেই দরজায় ঠকঠক শব্দ হয়। তৃষা ছিটকে দূরে সরে যায়। একটা লাল চেরি মুখে দিয়ে প্রেমের দিকে তাকাতেই বলল, ‘এইবারের মতো ছাড়লাম কিন্তু একটু পর সোনা তোমায় এমন বাতাস দেব, বাতাসের ঠেলায় চোখে জল চলে আসবে।’
প্রেমতৃষা পর্ব ৩৫
প্রেম চলে যেতেই তৃষা দরজা লাগিয়ে দেয়। ড্রয়ার থেকে জলদি একটা পুতুল বের করল। একটা পুরুষ পুতুল।পুতুলের মাথার চুলগুলো সোনালী রঙের। তৃষা সেই চুলের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ তারপর বলল, ‘উঁহু এই পুতুলকে কালো রঙের চুলেই ভালো মানাবে। তো পুতুল সোনা তোমার নতুন চুল চাই?’ বলেই তৃষা হাসল। অতঃপর প্রেমের ফোনটা টেবিলের ওপর থেকে হাতে নিয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকালো। প্রেমের ছবিটির দিকে তাকিয়ে গুন-গুন করে গান ধরল,
~প্রেম আমার…..ওওওওও প্রেম আমার।~