নীলের হুরপাখি পর্ব ২
কারিমা ইসলাম কেয়া
পাখি অনেক জ্বালিয়েছ এখন আমার পালা।
হুর নিজের ঘরে দৌড়ে গিয়ে ওয়াসরুমে ডুকল।বার বার মুখে পানি দিচ্ছে।ঠাণ্ডা শীতল পানির সাথে এক ফোটা হাল্কা গরম নোনা পানি গড়িয়ে পড়ল চোঁখ বেয়ে।
নীল ভাইই তুমি কেন এত নিষ্ঠুর,আমায় সবসময় কষ্ট দাও কারণে অকারণে।সবাইকে ভালোবাসো শুধু আমায় ভালোবাসোনা।লাগবে না আমার তুমার ভালোবাসা। হুর হিচকি তুলে তুলে বলল।
আমি কিহ ইচ্ছে করে তুবা আপুর জায়গায় চলে গেছি। আর তুমারই বাহ এত তারা কেন, বিয়ের আগেই এত ঘনিষ্ঠ কেন হতে হবে।
আর আমিই বাহ এত রেগে যাচ্ছি কেন, ডেবিলটা যাহ ইচ্ছে করুক তাতে আমার কিহ।
কাদঁতে কাদঁতে হুর নিজেকে আয়নায় দেখতে ভুলল না, বাহ আমায় তহ খুব সুন্দর লাগছে কিন্তু ঠোঁটটা আর একটু বাকালে কিউট লাগবে।
এমা আমার পিংকি লিপ জোড়া তহ একদম লাল লাল হয়ে ফুলে আছে।
নিজের ঠোঁটে হাত রেখে হুরের মুখটা লজ্জায় লাল আভায় ছেয়ে গেল।
নীল ভাই তুমি কাছে এলে কেমন যেন আমার শ্বাস -প্রশাস গভীর হয়ে আসে।ভয় আর উত্তেজনার চাদরে নিজেকে হারিয়ে ফেলি, এহ কেমন অনুভূতি।
হুর নিজের ভাবনাকে সাইডে ফেলে ওয়াসরুম থেকে বের হলো।
হুর এই হুর দরজা খোল,,,(নীলাসা)
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নীলাসার গলা শুনে হুর দরজা খুলতে গিয়ে আবার ফিরে এসে কড়া লাল কালারের লিপস্টিক ঠোঁটে দিল।
হুমম এবার ঠিক আছে নীল ভাইয়ের কুকৃর্তির ছাপ আর নেই।
হুর দরজা খুলল,,,
কিরে ভিতরে কিহ টাওয়াল ড্যান্স করছিলি নাকি এতক্ষন লাগে দরজা খুলতে(নীলাসা)
হুর দেখল তুবা আর কলি ওহ আছে সাথে।
হুর নীলাসার মুখ চেপে ধরল লজ্জায়।
তুবা হেসে দিল।
টাওয়াল ড্যান্সসস(তুবা)
হুম ভাবি হুর আপু মাঝে মাঝেই গোসল সেরে ধুমতারাকা গাণ চালিয়ে টাওয়াল ড্যান্স মারে (কলি)
এই চুপ ছোট ছোটদের মতোই থাকবি, বেশি কথা বললে এসপার উসপার করে দিব।(হুর)
উমমমম(নিলাসা)
হুর নিলাসার মুখ থেকে নিজের হাত সরিয়ে নিল।
সরি সরি,,(হুর)
নিলাসা হুরের মাথায় গাট্টা মেরে,মারবি নাকি।
তবে টাওয়াল ড্যান্স খারাপ না,,(তুবা)
সকলে হাসতে লাগল।
সরকার বাড়ির বয়োজেষ্ঠ সকলেই নিচে। নাহিদ সরকার,হায়দার সরকার,কমল সরকার আর তাদের মা চারুলতা সরকার। সরকার বাড়ির তিন গিন্নি রুহানি সরকার,লামহা সরকার আর রুজি সরকার।
নীলাদ্র,রক্তিম, লামীমী ওহ আছে।
খন্দকার বাড়ির কিছু সদস্য ওহ আছে আজ নীল আর তুবার পাকা কথা হচ্ছে।
তখনি সিড়ি বেয়ে নামছিল হুর,তুবা,নিলাসা,কলি।
হুরের গায়ে বরাবরের মতোই ইং করা শার্ট আর সার্ট।সাদা শার্ট আর সাদার মাঝে গোলাপি রাঙ্গা সার্ট।
হুর সিড়ি বেয়ে নিচে নামতেই অসাবধানতায় পড়ে যেতে নেয়।
নিল আর রক্তিম দুই সুদর্শন যুবকই দৌঁড়ে আসে।
রক্তিম হুরকে ধরতে গেলে নীল কেড়ে নেয় হুরকে নীলের বাহুড়রে।
নীলের গায়ে বরাবরের মতোই সাদা শার্ট। এটা নীলের জাতীয় ওহ আন্তর্জাতিক পোশাক।
নীলের চোঁখ যায় হুরের ঠোঁটের দিকে।ঠোঁটে লাল টকটকে লিপস্টিক। নীলের চেহারা মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়ে যায়।নীল সকলের সামনেই হুরকে ফেলে দেয়।
নীলাসা আর কলি হুরকে উঠায়।
এটাই ঠিক আছে, এখন থেকে আর হুটহাট পড়ে যাবি না।(নীল)
যাহ,,,এবার নিজের রুমে যাহ তরা সবাই।(নীল)
নীলের কথায় হুর,কলি,নিলাসা উপরে চলে যায়।
এটা বেশি হয়ে গেল নাহ,,,(নীলের বাবা নাহিদ)
নীল তার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।নীলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তুবা হতাশ হয়।
নীল তুমি এমন কেন,সমস্যা নেই খুব তাড়াতারি আমি তুমার জীবনে প্রবেশ করছি, তুমায় ভালোবেসে খুব যত্নে পাল্টে দিব।প্রমিস জান।(তুবা)
রাত গভীর হয়ে আসছে, রাত প্রায় 12 :30 বাজতে চলল।
নীল দুপুরের পর আর বাড়ি ফিরেনি এখন বাড়ি ফিরে সাওয়ারে ডুকেছে।
হুর এক কাপ ব্ল্যক কফি বানিয়ে নীলের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
নীল ভাই আসব।দরজায় নক করে হুর বলল।
ভিতর থেকে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে হুর ভিতরে গেল।
কফির মগটা টি টেবিলে রাখল।
তখনই দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।নীলের শরীরে শুধু হোয়াইট টাওয়াল।ফর্সা বুকে বিন্দু বিন্দু পানি।
চুল গুলো বেশ লাগছে দেখতে।
নীল হুরের হাত চেপে ধরল।
নীলের হুরপাখি পর্ব ১
তকে কতবার বলল,আমার রুমে ডুকার সময় অনুমতি চাইবি না।তুই তহ জানিস রাতে ঘুমোনোর আগে তর হাতের কফি না খেলে আমার ঘুম হয় না আসতে এত দেরি হলো কেন।(নীল)
ভয় আর উত্তেজনায় হুরের শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভিক ভাবে বাড়তে লাগল।